Wednesday, November 27, 2024

নবম ইতিহাস ix history

 *** দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের বিভিন্ন কারণগুলি আলোচনা করো।

উত্তর:-  দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ (১৯৩৯-'৪৫ খ্রি.) ছিল বিশ্ব ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়ানক যুদ্ধ। এই যুদ্ধে একদিকে ছিল অক্ষশক্তিভুক্ত জার্মানি, ইটালি, জাপান প্রভৃতি রাষ্ট্র এবং অন্যদিকে ছিল ইংল্যান্ড, ফ্রান্স, রাশিয়া, আমেরিকা প্রভৃতি রাষ্ট্র। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের  কারণগুলি  ছিল ---

1.ত্রুটিপূর্ণ ভার্সাই সন্ধি: - প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর বিজয়ী মিত্রশক্তি পরাজিত জার্মানির ওপর তীব্র বৈষম্যমূলক ভার্সাই সন্ধি (১৯১৯ খ্রি.) চাপিয়ে দেয়। এই সন্ধির দ্বারা জার্মানির বিভিন্ন ভূখণ্ড, শিল্পাঞ্চল, খনি ও উপনিবেশগুলি কেড়ে নেওয়া হয় । জার্মানির সামরিক শক্তি হ্রাস করা হয়। জার্মানির ওপর বিপুল পরিমাণ আর্থিক ক্ষতিপূরণের বোঝা চাপানো হয়। ঐতিহাসিক ই এইচ কার একে 'জবরদস্তিমূলক চুক্তি' বলে অভিহিত করেছেন। জার্মানি এই 'একতরফা চুক্তি' ভেঙে ফেলার সুযোগের অপেক্ষায় ছিল।

2.ঔপনিবেশিক লড়াই:- বিংশ শতকের শুরুতে বিশ্বের অধিকাংশ উপনিবেশ ইংল্যান্ড, ফ্রান্স, বেলজিয়াম, হল্যান্ড, আমেরিকা প্রভৃতি দেশের দখলে চলে যায়। পরবর্তীকালে ইটালি, জাপান প্রভৃতি দেশ খুব বেশি উপনিবেশ দখল করার সুযোগ না পেয়ে ক্ষুদ্ধ হয়। ফলে উপনিবেশের অধিকার নিয়ে বিভিন্ন দেশের মধ্যে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা শুরু হয়।

3.একনায়কতন্ত্রের উত্থান: - প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর কয়েকটি দেশে একনায়কতান্ত্রিক শাসকের উদ্ভব ঘটে। এদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন ইটালির ফ্যাসিস্ট শাসক মুসোলিনি, জার্মানির নাৎসি শাসন হিটলার, জাপানের শাসন তোজো প্রমুখ। তাদের উগ্র সাম্রাজ্যবাদ ও যুদ্ধবাদী নীতি বিশ্বে অশান্তি সৃষ্টি করে।



4.নিরস্ত্রীকরণ সম্মেলনের ব্যর্থতা: - জেনিভার নিরস্ত্রীকরণ সম্মেলনে (১৯৩৩ খ্রি.) বৃহৎ শক্তিগুলি জার্মানির অস্ত্রশক্তি হ্রাসে অত্যন্ত উদ্‌গ্রীব হলেও তারা নিজেদের অস্ত্রশক্তি হ্রাস করতে রাজি ছিল না। জার্মানি নিজের সামরিক শক্তি বৃদ্ধির সুযোগ না পেয়ে সম্মেলন ত্যাগ করে নিজের ইচ্ছামতো সামরিক শক্তি বৃদ্ধি করতে থাকে।

5.জাতিসংঘের ব্যর্থতা: - প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য নিয়ে জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠিত হলেও জাতিসংঘ তার লক্ষ্যপূরণে বারবার ব্যর্থ হয়। যেমন-  জাপান চিনের মাঞ্চুরিয়া দখল (১৯৩১ খ্রি.) করলেও জাতিসংঘ জাপানের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিতে পারেনি  । ইটালি অ্যাবিসিনিয়া দখল (১৯৩৬ খ্রি.) করলে জাতিসংঘ তা প্রতিরোধ করতে ব্যর্থ হয়।কিন্তু এই রকম পরিস্থিতিতেও জাতিসংঘ নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করে।

6.শক্তিজোট: - দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আগে বিশ্ব পরস্পর- বিরোধী দুটি সশস্ত্র শিবিরে বিভক্ত হয়ে পড়ে। একদিকে থাকে ইংল্যান্ড, ফ্রান্স, রাশিয়া, আমেরিকা প্রভৃতি দেশকে নিয়ে গড়ে ওঠা 'মিত্রশক্তি' এবং অন্যদিকে থাকে জার্মানি, ইটালি, জাপান প্রভৃতি দেশকে নিয়ে গড়ে ওঠা 'অক্ষশক্তি'। উভয় শিবিরের মধ্যে সমরসজ্জার প্রতিযোগিতা শুরু হয়।

7.ইঙ্গ-ফরাসি তোষণ: জার্মানি, ইটালি, জাপান প্রভৃতি সাম্রাজ্যবাদী রাষ্ট্র ক্রমাগত ভার্সাই সন্ধির বিভিন্ন ধারাগুলি লঙ্ঘন করে বিভিন্ন দেশে আগ্রাসন চালায়। এই আগ্রাসন প্রতিরোধের চেষ্টা না করে ইঙ্গ-ফরাসি শক্তি দীর্ঘদিন সাম্রাজ্যবাদী শক্তিগুলিকে তোষণ করতে থাকে। ইঙ্গ- ফরাসি শক্তি মনে করত যে, তোষণনীতির মাধ্যমে যুদ্ধ এড়ানো যাবে। কিন্তু এই তোষণনীতির ফলে সাম্রাজ্যবাদী দেশগুলির আগ্রাসন আরও বেড়ে যায়।

৪. প্রত্যক্ষ কারণ: জার্মানির শাসক হিটলার ১৯৩৯  খ্রিস্টাব্দের ১ সেপ্টেম্বর পোল্যান্ড আক্রমণ করলে ৩ সেপ্টেম্বর ইঙ্গ-ফরাসি শক্তি জার্মানির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে। ফলে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয়।


* *পার্ল হারবারের ঘটনাটি কী? (Marks-4)

অথবা, পার্ল হারবারে জাপান কর্তৃক বোমাবর্ষণ সম্পর্কে কী জান?

উত্তর:-  পার্ল হারবার হল প্রশান্ত মহাসাগরের হাওয়াই দ্বীপে অবস্থিত একটি বন্দর। এখানে আমেরিকা তার নৌঘাঁটি স্থাপন করেছিল। ইউরোপে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলার সুযোগে এশীয় রাষ্ট্র জাপান প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল ও দূরপ্রাচ্যের বিভিন্ন স্থানে আগ্রাসী নীতি প্রয়োগ করে। আমেরিকা এই আগ্রাসনের বিরোধিতা করলে আমেরিকা ও জাপানের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি ঘটে।

1. আমেরিকার উদ্যোগ:- জাপানের আগ্রাসী নীতির ফলে আমেরিকা জাপানের সঙ্গে পুরোনো বাণিজ্যিক চুক্তিটি বাতিল করে দেয়। জাপানে পেট্রোলিয়ামজাত পণ্য-সহ বেশ কয়েকটি পণ্য সরবরাহ বন্ধ করে দেয়। আমেরিকায় অবস্থিত জাপানি সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে। এসব ঘটনায় জাপান ক্ষুদ্ধ হয়।

2. যুদ্ধের সম্ভাবনা:- জাপান খনিজ তেলসমৃদ্ধ দক্ষিণ ইন্দোচিন দখল (১৯৪১ খ্রি.) করে নিলে জাপানের সঙ্গে আমেরিকা সব ধরনের বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছিন্ন করে। এরপর চিন ও ইন্দোচিন থেকে জাপানি সেনা প্রত্যাহারের দাবি জানায়। আমেরিকার এই দাবি জাপান প্রত্যাহার করলে উভয় পক্ষের মধ্যে যুদ্ধের সম্ভাবনা দেখা দেয়।

3.  পার্ল হারবারে আক্রমণ:- জাপান ১৯৪১ খিস্টাব্দের ৭ ডিসেম্বর সকালে বিশাল নৌবহর ও ৩৩৫টি যুদ্ধবিমান নিয়ে ডাইস অ্যাডমিরাল নোগুচি-র নেতৃত্বে আমেরিকার নৌঘাঁটি পার্ল হারবারে বোমাবর্ষণ শুরু করে এবং এখানকার মার্কিন নৌঘাঁটি ধ্বংস করে দেয়। এটি পার্ল হারবারের ঘটনা নামে পরিচিত।

4 দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে যোগদান: - পার্ল হারবারের ঘটনার পরদিন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নিরপেক্ষতা নীতি ত্যাগ করে সক্রিয়ভাবে জাপানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে যোগ দেয়। ফলে প্রাচ্যে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ে।


*** টীকা লেখো: রুশ-জার্মান অনাক্রমণ চুক্তি

উত্তর। নাৎসি শাসক হিটলার যেমন কমিউনিস্ট-বিরোধী ছিলেন তেমনি কমিউনিস্ট শাসক স্ট্যালিনও তীব্র নাৎসি-বিদ্বেষী ছিলেন।হিটলার এবং স্ট্যালিনের মধ্যে বিরোধ থাকা সত্ত্বেও বিশেষ পরিস্থিতিতে উভয়ের মধ্যে মিত্রতা স্থাপিত হয়।

1.জার্মানির উদ্দেশ্য: - পোল্যান্ড আক্রমণ করতে গিয়ে একই সঙ্গে পূর্ব সীমান্তে রাশিয়া এবং পশ্চিম সীমান্তে ইঙ্গ-ফরাসি শক্তির বিরুদ্ধে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়তে হতে পারে বলে হিটলার আপাতত রাশিয়ার সঙ্গে মিত্রতা স্থাপনের দ্বারা পূর্ব সীমান্তে যুদ্ধের সম্ভাবনা দূর করেন।

2. রাশিয়ার উদ্দেশ্য:-  সাম্যবাদ-বিরোধী ইঙ্গ-ফরাসি শক্তির সঙ্গে জোট গঠনে ব্যর্থ হয়ে রাশিয়া নিজের নিরাপত্তার প্রয়োজনে জার্মানির সঙ্গে মিত্রতা স্থাপনে আগ্রহী হয়।

3 .  চুক্তি স্বাক্ষর:-  রাশিয়া ও জার্মানির মধ্যে ১৯৩৯ খ্রিস্টাব্দে (২৩ আগস্ট) রুশ-জার্মান অনাক্রমণ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এই চুক্তি স্বাক্ষরে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী মলোটভ এবং জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী রিবেনট্রপ।

4 চুক্তির শর্তাবলি:-  রুশ-জার্মান অনাক্রমণ চুক্তির দ্বারা স্থির হয় যে, রাশিয়া ও জার্মানি- 

[a] শান্তিপূর্ণ উপায়ে নিজেদের মধ্যে বিবাদের মীমাংসা করবে।

 [b] পরবর্তী ১০ বছর একে অপরকে আক্রমণ করবে না। 

[c] তৃতীয় কোনো শক্তির দ্বারা আক্রান্ত হলে কেউ তৃতীয় পক্ষকে সহায়তা করবে না।

 [d] পোল্যান্ডকে নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি করে নেবে।

5 চুক্তিভঙ্গ: রাশিয়ার সঙ্গে অনাক্রমণ চুক্তি সত্ত্বেও হিটলার দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় চুক্তি ভঙ্গ করে ১৯৪১ খ্রিস্টাব্দে (২২ জুন) রাশিয়া আক্রমণ করেন।


*** ইটালিতে মুসোলিনির নেতৃত্বে ফ্যাসিস্ট দলের ক্ষমতা লাভের প্রেক্ষাপট আলোচনা করো।

উত্তর। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর দেশের সংকটজনক পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে মুসোলিনির নেতৃত্বে ফ্যাসিস্ট দল ১৯২২ খ্রিস্টাব্দে ইটালির শাসনক্ষমতা দখল করে।

ইটালিতে ফ্যাসিস্ট দলের ক্ষমতা দখল:- ইটালিতে মুসোলিনির নেতৃত্বে ফ্যাসিস্ট দলের ক্ষমতা দখলের প্রেক্ষাপট ছিল-

1 ইটালির দুর্দশা:- প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর ইটালিতে চরম রাজনৈতিক অস্থিরতা, অর্থনৈতিক সংকট, সামাজিক দুর্দশা, শ্রমিক ধর্মঘট, দাঙ্গা, লুঠতরাজ প্রভৃতি দেশকে এক চরম দুর্দশার দিকে ঠেলে দেয়। ফলে সরকারের ওপর ইটালিবাসী চরম ক্ষুদ্ধ হয়।

2 মুসোলিনির প্রচার:-  মুসোলিনি প্রচার করেন যে, প্রথম বিশ্বযুদ্ধে ইটালি মিত্রপক্ষের হয়ে যুদ্ধ করা সত্ত্বেও যুদ্ধের পর ভার্সাই সন্ধিতে ইটালিকে তার প্রাপ্য স্থানগুলি থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। তাঁর প্রচার ইটালির সেনা-অফিসার ও বেকার যুবকদের উদ্দীপ্ত করে।

3 ফ্যাসিস্ট দল গঠন:- মুসোলিনি ইটালির মিলান শহরে ১৯১৯ খ্রিস্টাব্দে (২৩ মার্চ) বেকার সৈনিক ও দেশপ্রেমিকদের এক সমাবেশে 'ফ্যাসিস্ট' দল প্রতিষ্ঠা করেন।

4 দলের সংগঠন:- ফ্যাসিস্ট দল শীঘ্রই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে অসংখ্য শাখা গড়ে তোলে। ১৯২১ খ্রিস্টাব্দে এই দলের সদস্যসংখ্যা প্রায় ৩ লক্ষে পৌঁছায়। মুসোলিনি বেকার সৈনিক ও যুবকদের নিয়ে 'ব্ল‍্যাক শার্টস' নামে একটি আধা-স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী গড়ে তোলেন।

5 রোম অভিযান:- ফ্যাসিস্ট দল ১৯২২ খ্রিস্টাব্দে বলপ্রয়োগ করে সমাজতন্ত্রীদের ধর্মঘট ভেঙে দিয়ে রাতারাতি জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। এরপর 'ব্লাক শার্টস' বাহিনীর ৫০ হাজার সদস্যকে নিয়ে মুসোলিনি রাজধানী রোম অভিযান (২৭ অক্টোবর) করেন।

6. ক্ষমতা দখল: - মুসোলিনির রোম অভিযানের ফলে রোমের ফ্যাক্টা মন্ত্রীসভা পদত্যাগ করে। রাজা তৃতীয় ভিক্টর ইমান্যুয়েল তাঁকে মন্ত্রীসভা গঠনের আহ্বান জানালে তাঁর নেতৃত্বে ফ্যাসিস্ট দল ইটালির ক্ষমতা দখল করে (৩০ অক্টোবর, ১৯২২ খ্রি.)।

*** রোম-বার্লিন-টোকিও অক্ষচুক্তি সম্পর্কে আলোচনা করো।

উত্তর। প্রথম  বিশ্বযুদ্ধের পর যেসব উগ্র সাম্রাজ্যবাদী একনায়কের আবির্ভাব ঘটে তাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন ইটালির মুসোলিনি, জার্মানির হিটলার এবং জাপানের তোজো।

1 ঘনিষ্টতার উদ্যোগ:- জার্মান শাসক হিটলারের শক্তিবৃদ্ধিতে আতঙ্কিত হয়ে ইটালির শাসক মুসোলিনি ফ্রান্সের সঙ্গে মিত্রতা গড়ে তোলেন। কিন্তু হিটলার উপলব্ধি করেন যে, জার্মানি ভবিষ্যতে অস্ট্রিয়া দখলের উদ্যোগ নিলে ইটালির সমর্থন তাঁর বিশেষ প্রয়োজন। মুসোলিনি ১৯৩৫ খ্রিস্টাব্দে অ্যাবিসিনিয়া আক্রমণ করলে হিটলার তাঁকে সমর্থন করেন। ফলে মুসোলিনি ও হিটলারের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা বৃদ্ধি পায়।

2. রোম-বার্লিন-টোকিও অক্ষচুক্তি:- মুসোলিনি ও হিটলারের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা বৃদ্ধি পেলে উভয়ের মধ্যে মিত্রতা (অক্টোবর, ১৯৩৬ খ্রি.) গড়ে ওঠে। ইটালি ও জার্মানির মধ্যে স্থাপিত এই মিত্রতা 'রোম-বার্লিন অক্ষচুক্তি' নামে পরিচিত।  জার্মানি ও জাপানের অ্যান্টি-কমিন্টার্ন জোটে ইটালি যোগ (৬ নভেম্বর, ১৯৩৭ খ্রি.) দিলে ইটালি, জার্মানি ও জাপানের মধ্যে 'রোম- বার্লিন-টোকিও অক্ষচুক্তি' মৈত্রীজোট গড়ে ওঠে।

শর্তাবলী:- ইটালি, জার্মানি জেনে রাখো ও জাপানের মধ্যে গড়ে ওঠা জোটের নামকরণে 'অক্ষ' শব্দটি প্রথম ব্যবহার করেন মুসোলিনি।  রোম-বার্লিন-টোকিও অক্ষচুক্তির দ্বারা স্থির হয় যে-

 [a] এই জোটের কোনো রাষ্ট্র চতুর্থ কোনো রাষ্ট্রের দ্বারা আক্রান্ত হলে তারা একে অন্যকে সহায়তা করবে।

 [b] এই চুক্তির স্থায়িত্ব হবে ১০ বছর।



বিবেকানন্দ কোচিং সেন্টার

শিক্ষক :- স্বপন কুমার রায়।

নবম শ্রেনী ইতিহাস 2023 প্রশ্নোত্তর

উপবিভাগ – ক

1) সত্য ও মিথ্যা নির্ণয় করো :-

i) বিসমার্ক এমস্ টেলিগ্রাম মারফত ইটালিকে যুদ্ধের ফাঁদে ফেলেন । উ:- মিথ্যা।

ii) গ্রিক জাতীয়তাবাদের উন্মেষে হেটাইরিয়া ফিলকের বিশেষ ভূমিকা ছিল । উ:- সত্য।

iii) কার্ল মার্কস বলেছেন রাষ্ট্র হল শ্রেণি শোষণের যন্ত্র ।উ:- সত্য।

iv) জাতিসংঘের পতন হয় 1946 খ্রিস্টাব্দে । উ:- মিথ্যা।

v) আমেরিকা নাগাসাকিতে ' ফ্যাটম্যান ' নামে পারমাণবিক বোমা ফেলেছিল ।উ:- সত্য।

vi) আন্তর্জাতিক বিচারালয়ের বিচারপতিরা ন - বছরের জন্য নির্বাচিত হন ।উ:- সত্য।

vii) 1917 খ্রিস্টাব্দে রুশ বিপ্লবের কালে জার ছিলেন দ্বিতীয় নিকোলাস ।উ:- সত্য।

viii) জাতিসংঘের খসড়া সংবিধান লিগ কভেনান্ট।উ:- সত্য।

ix) ফ্রাংকো ছিলেন জার্মান সেনানায়ক।উ:- মিথ্যা।

x) জাতিসংঘ প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পরে তৈরি হয়।উ:- সত্য।

xi) এপ্রিল থিসিস ঘোষনা করেন লেনিন।উ:- সত্য।

xii) ফুয়েরার হিটলারের উপাধী।উ:- সত্য।

xiii) বুরবো রাজারা ছিল একছত্র ক্ষমতার অধিকারী।উ:- সত্য।

xiv) ভারত ছিল ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের রত্ন।উ:- সত্য।

xv) কার্ল মার্কস বলেছেন রাষ্ট্র হল শ্রেণি শোষনের যন্ত্র।উ:- সত্য।

xvi) মুসোলিনি নাৎসিবাদের সূচনা ঘটান।উ:- মিথ্যা।

xvii) ইতালিতে জোলভেরাইন নামক শুল্ক সংঘ গঠিত হয়।উ:- সত্য।

xviii) ঘেটো হল শিল্প বিপ্লব কালে শহরের ছোট অঞ্চল।উ:- সত্য।

xix) নেপোলিয়ন তার ভাই জেরেম বোনাপার্টকে দক্ষিণ ইতালির সিংহাসনে বসান।উ:- সত্য।

xx) লিটল বয় একটি পারমাণবিক বোমা।উ:- সত্য।

উপবিভাগ – খ

2)  : বিবৃতিটির সঙ্গে সঠিক ব্যাখ্যাটি নির্বাচন করো 

i)বিবৃতি বিপ্লবপূর্ব ফ্রান্স ছিল ' ভ্রান্ত অর্থনীতির জাদুঘর । : 

ব্যাখ্যা ১। ফ্রান্সের বুরবো রাজারা অনর্থক একটি অর্থনীতির জাদুঘর প্রতিষ্ঠা করেন । 

ব্যাখ্যা ২ ফরাসি সরকারের অর্থনৈতিক নীতি , শুষ্কনীতি ছিল বৈষম্যমূলক । 

ব্যাখ্যা ৩। অর্থনৈতিক সমস্যা ও সমাধানের ক্ষেত্র ছিল অসামঞ্জস্যপূর্ণ ।

উ:-  ব্যাখ্যা ২ ফরাসি সরকারের অর্থনৈতিক নীতি , শুষ্কনীতি ছিল বৈষম্যমূলক । 

ii) বিবৃতি : নেপোলিয়ন পোপের সঙ্গে ধর্মমীমাংসা চুক্তি ( 1801 খ্রিস্টাব্দে ) স্বাক্ষর করেন । 

ব্যাখ্যা ১ ধর্মীয় ক্ষেত্রে ঐকা প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিলেন । 

ব্যাখ্যা ২ চার্চের সম্পত্তির জাতীয়করণ করতে চেয়েছিলেন ।

ব্যাখ্যা ৩ রাজনৈতিক কারণে চার্চের ওপর রাষ্ট্রের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিলেন ।

উ:- ব্যাখ্যা ২ চার্চের সম্পত্তির জাতীয়করণ করতে চেয়েছিলেন ।

iii) বিবৃতি : মহান পিটার বা জার পিটার দ্য গ্রেট ' আধুনিক রাশিয়ার জনক ' নামে পরিচিত । 

ব্যাখ্যা ১। তিনি ভূমিদাসদের মুক্তি দেন ।

 ব্যাখ্যা ২ : তাঁর শাসনকালে রাশিয়ার আধুনিকীকরণ শুরু হয় । 

ব্যাখ্যা ৩ তাঁর শাসনকালে রাশিয়ার শিল্পায়নের সূচনা হয় । 

উ:-  ব্যাখ্যা ২ : তাঁর শাসনকালে রাশিয়ার আধুনিকীকরণ শুরু হয় । 

iv) হিটলার অপারেশন বারবারোসার মাধ্যমে পূর্ব সীমান্তে যুদ্ধ শুরু করেন । 

ব্যাখ্যা ১: হিটলার অপারেশন বারবারোসার মাধ্যমে হাঙ্গেরি আক্রমণ করেন । 

ব্যাখ্যা ২ :হিটলার অপারেশন বারবারোসার মাধ্যমে পোল্যান্ড আক্রমণ করেন । 

ব্যাখ্যা ৩: হিটলার অপারেশন বারবারোসার মাধ্যমে রাশিয়া আক্রমণ করেন ।

উ:- ব্যাখ্যা ৩: হিটলার অপারেশন বারবারোসার মাধ্যমে রাশিয়া আক্রমণ করেন ।

v) বিবৃতি : ১৮১৫ খ্রিস্টাব্দে ভিয়েনা সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় । 

ব্যাখ্যা ১। বিজয়ী নেতৃবর্গ ইউরোপের পুনর্গঠন চেয়েছিলেন । 

ব্যাখ্যা ২:- নেতৃবৃন্দ ফরাসি বিপ্লবের ভাবধারা ফ্রান্সের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে চেয়েছিলেন ।

 ব্যাখ্যা ৩ বিজয়ী নেতারা নেপোলিয়নকে নির্বাসনে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিতে চেয়েছিলেন ।

উ:- ব্যাখ্যা ১। বিজয়ী নেতৃবর্গ ইউরোপের পুনর্গঠন চেয়েছিলেন । 

vi) বিবৃতি : নেপোলিয়ন বিপ্লবের ধ্বংসকারী ছিলেন । 

ব্যাখ্যা ১ - তিনি বিপ্লবের সাম্য ও মৈত্রীর আদর্শকে ধ্বংস করেছিলেন । 

ব্যাখ্যা ২।তিনি ইউরোপের বিস্তীর্ণ অঞ্চল দখল করেছিলেন । 

ব্যাখ্যা ৩:- । তিনি বিপ্লবের স্বাধীনতার আদর্শ ধ্বংস করে স্বৈরাচারী হয়ে উঠেছিলেন ।

উ:- ব্যাখ্যা ৩:- । তিনি বিপ্লবের স্বাধীনতার আদর্শ ধ্বংস করে স্বৈরাচারী হয়ে উঠেছিলেন ।

viii) ফরাসি  বিপ্লবে দার্শনিকরা ভূমিকা রেখেছিলেন।

 ব্যাখ্যা ১ দার্শনিকরা সরাসরি বিপ্লবে যোগ দিয়েছিলেন । 

ব্যাখ্যা ২ : দার্শনিকরা ফরাসি আর্থ সামাজিক প্রকৃতির সমালোচনা করেছিলেন । 

ব্যাখ্যা ৩ দার্শনিকর অভিজাত বিপ্লব করেছিলেন ।

উ:-ব্যাখ্যা ২ : দার্শনিকরা ফরাসি আর্থ সামাজিক প্রকৃতির সমালোচনা করেছিলেন । 

ix) নেপোলিয়ন ছিলেন বিপ্লবের সন্তান।

 ব্যাখ্যা ১ নেপোলিয়ন ফরাসি বিপ্লনের জন্যই ক্ষমতায় আসতে পেরেছিলেন । 

ব্যাখ্যা ২ : নেপোলিয়ন বিপ্লবের আদর্শ বিশ্বে ছড়িয়েছিলেন ।

 ব্যাখ্যা ৩ । নেপোলিয়ন বিপ্লবকে ধ্বংস করেছিলেন । 

উ:- ব্যাখ্যা ৩ । নেপোলিয়ন বিপ্লবকে ধ্বংস করেছিলেন । 

x) বিবৃতি:- মার্শাল পরিকল্পনা ও ট্রুম্যান ডকট্রিন রচিত হয় -

 ব্যাখ্যা ১। বিশ্বের গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রজোট গঠনের জন্য । 

ব্যাখ্যা ২। বিশ্বের সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্রজোট গঠনের জন্য ।

 ব্যাখ্যা ৩। বিশ্বের সামরিক রাষ্ট্রজোট গঠন করা।

উ:- ব্যাখ্যা ১। বিশ্বের গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রজোট গঠনের জন্য । 

xi) ফরাসি বিপ্লবের প্রাক্কালে ফ্রান্সের রাজকোশ শূন্য হয়ে পড়ে । 

ব্যাখ্যা১) ফ্রান্সের কৃষি ব্যবস্থা ভেঙে পড়ার জন্য ।

ব্যাখ্যা২)ফ্রান্সের বাণিজ্য ব্যবস্থা অচল হয়ে যাওয়ার জন্য । 

ব্যাখ্যা ৩) ফরাসি রাজপরিবারের বিলাসিতা , যুদ্ধনীতি , ঋণনীতি ইত্যাদির জন্য । 

উ:- ব্যাখ্যা ৩) ফরাসি রাজপরিবারের বিলাসিতা , যুদ্ধনীতি , ঋণনীতি ইত্যাদির জন্য । 

xiii) বিবৃতি : দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শেষে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও সোভিয়েত রাশিয়ার মধ্যে ঠান্ডা লড়াই শুরু হয় । 

ব্যাখ্যা ১ : মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও সোভিয়েত রাশিয়া উভয়েই যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার পক্ষপাতী ছিল ।

 ব্যাখ্যা ২। নিজ নিজ স্বার্থরক্ষার জন্য উভয় রাষ্ট্রের সংঘাত অনিবার্য ছিল । 

ব্যাখ্যা ৩। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সোভিয়েত রাশিয়াকে আর্থিক দিক থেকে সাহায্য করতে চায়নি।

উ:- ব্যাখ্যা ২। নিজ নিজ স্বার্থরক্ষার জন্য উভয় রাষ্ট্রের সংঘাত অনিবার্য ছিল । 

xiii) বিবৃতি:  চিনকে ইউরোপীয়রা তরমুজের মতো টুকরো করেছিল— 

ব্যাখ্যা১)  । তাদের অর্থনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করতে । 

ব্যাখ্যা ২ ইউরোপ চিন দেশকে দুর্বল করতে চেয়েছিল । 

ব্যাখ্যা ৩ : ছোটো ছোটো অঞ্চলে ভাগ করে চিনের উন্নতি করতে ।

উ:- ব্যাখ্যা ১)  । তাদের অর্থনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করতে । 

xiv)   বিবৃতি ; উগ্ন জাতীয়তাবাদ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের একটি কারণ হয়ে উঠেছিল— 

ব্র্যাখ্যা ১। উগ্র জাতীয়তাবাদের জন্য জার্মানি ইটালির মতো দেশগুলি সাম্রাজ্যবাদী আগ্রাসী নীতি নিয়েছিল ।

ব্যাখ্যা ২ উগ্র জাতীয়তাবাদ জাতিগুলিকে শক্তিশালী করে তুলেছিল । 

ব্যাখ্যা৩  উগ্র জাতীয়তাবাদের প্রসারে কিছু দেশ অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়েছিল । 

উ:- ব্র্যাখ্যা ১। উগ্র জাতীয়তাবাদের জন্য জার্মানি ইটালির মতো দেশগুলি সাম্রাজ্যবাদী আগ্রাসী নীতি নিয়েছিল 

xv) বিবৃতি : এমস টেলিগ্রাম ' - এর ঘটনাকে ঘিরে ফ্রান্স প্রাশিয়ার যুদ্ধ হয়।

ব্যাখ্যা ১ প্রাশিয়া ফ্রান্সের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে । 

ব্যাখ্যা ২ কুটকৌশলী বিসমার্ক অসম্পূর্ণ টেলিগ্রাম ছাপিয়ে যুদ্ধ বাধান ।

 ব্যাখ্যা ও প্রাশিয়ার রাজা ফরাসি রাষ্ট্রদূতকে অপমান করেন ।

উ:- ব্যাখ্যা ২ কুটকৌশলী বিসমার্ক অসম্পূর্ণ টেলিগ্রাম ছাপিয়ে যুদ্ধ বাধান ।

xvi) বিবৃতি : প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠিত হয় । 

ব্যাখ্যা ১  উদ্দেশ্য ছিল বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠা । 

ব্যাখ্যা ২ মানুষের আর্থ - সামাজিক অবস্থার উন্নতি ঘটানো । 

ব্যাখ্যা ৩  আন্তর্জাতিক আইন চালু করা ।

উ:- ব্যাখ্যা ১  উদ্দেশ্য ছিল বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠা । 

xvii) বিবৃতি রুশীকরণনীতির বিরুদ্ধে সোভিয়েত রাশিয়ায় প্রবল বিক্ষোভ শুরু হয় । 

ব্যাখ্যা ১। জার সরকার অনরুশদের ওপর অত্যাচার শুরু করে । 

ব্যাখ্যা ২- জার সরকার অরুশদের ওপর রুশ ভাষা , সংস্কৃতি ও কৃষ্টি চাপিয়ে দেয় । 

ব্যাখ্যা ৩  জার সরকার অনুশদের রাশিয়া থেকে বিতাড়িত করার আদেশ দেয় । 

উ:- ব্যাখ্যা ২- জার সরকার অরুশদের ওপর রুশ ভাষা , সংস্কৃতি ও কৃষ্টি চাপিয়ে দেয় । 

xviii) বিবৃতি : মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জাতিসংঘের সদস্য হয়নি । 

ব্যাখ্যা ১ : মার্কিন সেনেট জাতিসংঘে যোগদানের অনুমতি দেয়নি । 

ব্যাখ্যা ২ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের সর্বাধিক ধনী রাষ্ট্র ছিল । 

ব্যাখ্যা ৩ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বজুড়ে অস্ত্র প্রতিযোগিতায় নেতৃত্ব দিয়েছিল ।

উ:- ব্যাখ্যা ১ : মার্কিন সেনেট জাতিসংঘে যোগদানের অনুমতি দেয়নি । 

অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নাবলী :-

1) ইউরোপের রুগ্ন মানুষ বলা হয় - তুরস্ককে।

2) প্রভাদা ছিল - বলশেভিক দলের মুখপত্র।

3) শান্তি- জমি- রুটি স্লোগানটি জনপ্রিয় হয় - বলশেভিক বিপ্লবের সময়।

4) ক্যাশ অ্যান্ড ক্যারি নীতি নিয়েছিল - আমেরিকা।

5) জাতিপুঞ্জের সদর দপ্তর - নিউ ইয়র্ক এ।

6) অ্যাসাইনেট হল - এক ধরনের কাগজের নোট।

7) ইনটেন্টডেন্টদের পদগুলি দখল করেছিল - অভিজাতরা।

8) নেপোলিয়ন প্রথমবার নির্বাসিত হন - এলবা দ্বীপে।

9) দ্বন্দ্বমূলক বস্তুবাদের প্রবক্তা - কার্ল মার্কস।

10) ফ্রান্সকে ভ্রান্ত অর্থনীতির যাদুঘর বলেছেন - অ্যাডাম স্মিথ।

11) রোবসপিয়র ছিলেন - জ্যাকোবিন নেতা।

12) দ্বিতীয় জাস্টিনিয়ান বলা হয় - নেপোলিয়নকে।

13) নেপোলিয়নের বিরুদ্ধে পোড়ামাটি নীতি গ্রহন করে - রাশিয়া।

14) নেপোলিয়নের শেষ যুদ্ধ ছিল - ওয়াটারলুর যুদ্ধ।

15) হিটাইরিয়াফিলিকে প্রতিষ্ঠা করেছেন - স্কুপাস নামক গ্রিক ব্যবসায়ী।

16) ক্রিমিয়ারযুদ্ধ কত বছর ধরে চলছিল? উ:- তিন বছর ধরে।

17) দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের মহড়া বলা হয় - স্পেনের গৃহযুদ্ধকে।

18) কমিউনিস্ট ম্যানিফেস্টো গ্রন্থটি রচনা করেন - মার্কস এঙ্গেলস।

19) টিলজিটের সন্ধি স্বাক্ষরিত হয় - 1807 খ্রিঃ।

20) বলকান অঞ্চলে উষ্ণজল নীতি গ্রহণ করে - রাশিয়া।

21) প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শুরু  হয় - 1914 খ্রিঃ 24 শে জুলাই।

22) ব্যাংক অব ফ্রান্স প্রতিষ্ঠা করেন - নেপোলিয়ন।

23) নাৎসি দলের সংগীত রচয়িতা ছিলেন - হস্ট ওয়েলেস।

24) ফরাসি বিপ্লবের আদর্শ ছিল - সাম্য, মৈত্রী ও স্বাধীনতা।

25) জুলাই বিপ্লব কোন রাজবংশের পতন ঘটায়? উ:- বুরবো রাজবংশের।

26) অসিয়া রেজিম কথার অর্থ হল - পুরাতনতন্ত্র।

27) আমিই রাষ্ট্র কথাটি বলেছেন - চতুর্দশ লুই।

28) ফ্রান্সে ' গ্যাবেল " ছিল একধরনের- লবন কর।

29) অষ্টাদশ শতকের ফ্রান্স ছিল একটি - কৃষিনির্ভর দেশ।

30) নেপোলিয়ন সারাজীবনের জন্য কনসাল পদে নিযুক্ত হন - 1802 খ্রিস্টাব্দে।

31) চাটিস্ট আন্দোলন হয়েছিল - ইংল্যাণ্ডে।

32) জেমস ওয়াট আবিষ্কার করেন - বাস্পচালিত ইঞ্জিন।

33) সোভিয়েত রাশিয়ার পার্লামেন্টের নাম- ডুমা।

34) জাতিসংঘের প্রথম মহাসচিব ছিলেন - এরিক ড্রুমন্ড।

35) জাতিপুঞ্জ দিবস হিসেবে পালিত হয় - 24 শে অক্টোবর দিনটি।

36) সন্ত্রাসের রাজত্বে ব্যবহার হওয়া যন্ত্রটি হল - গিলোটিন।

37) স্পিনিং জেনি আবিষ্কার করেন - হারগ্রিভস।

38) প্যারিস শান্তি সম্মেলন হয়েছিল –  1919 খ্রিস্টাব্দে।

39) বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থাটি হল— WHO।

40) পার্ল হারবার ছিল—  মার্কিন নৌ-ঘাঁটি।

41) আটলান্টিক সনদ স্বাক্ষরিত হয় –  1941 খ্রিস্টাব্দে।

42) যার হাতে বল, সেই রাষ্ট্র পরিচালনার অধিকারী—উক্তিটি হল – মুসোলিনির।

43) ভার্সাই চুক্তিতে মোট ধারার সংখ্যা ছিল – 440 টি।

44) NATO-এর পুরো কথা হল—North Atlantic Treaty Organisation।

45) জাতিসংঘের জনক নামে যিনি পরিচিত ছিলেন – উড্রো উইলসন।

46) ভেটো (Veto) কথার অর্থ-  প্রস্তাব নাকচ করা।

47) UNO-এর পুরো নাম হল - ইউনাইটেড নেশনস্ অর্গানাইজেশন।

48) মীর’ ছিল— গ্রাম্য সমিতি।

49) ফুয়েরার” বা ‘প্রধান নেতা’ বলে কাকে সম্বোর্ধিত করা হয়? -হিটলার।

50) ইটালিতে ফ্যাসিস্ট দল গঠন করেন – বেনিতো মুসোলিনি।

51) উনিশ শতকে অন্ধকারাচ্ছন্ন মহাদেশ’ নামে যে দেশটি পরিচিত ছিল— আফ্রিকা।

52) সেফটি ল্যাম্প’ আবিষ্কার করেন—  হামফ্রি ডেভি।

53) পুঁজিবাদের সর্বোচ্চ স্তর হল সাম্রাজ্যবাদ’– এ কথা বলেছিলেন— কার্ল মার্কস।

54) দুনিয়ার শ্রমিক এক হও’–এরূপ আহ্বান জানান— কার্ল মার্কস।

55) ভারতে কবে রেলপথ প্রর্বতিত হয়? - 1853 খ্রিস্টাব্দে।

56) কূটনীতির যাদুকর বলা হত—  মেটারনিখকে।

57) ডাইরেক্টরি শাসনের সদস্য সংখ্যা ছিল—  5 জন।

58) ক্ষমতা বিভাজন নীতির কথা বলেন  –  মন্তেস্কু।

59) ওয়েলথ অব নেশন গ্রন্থের রচয়িতা হলেন—  অ্যাডাম স্মিথ।

60) পঞ্চদশ লুইকে ‘প্রজাপতি রাজা’ বলা হয়।

61) ফরাসি বিপ্লবের সূচনাকালে ফ্রান্সের রাজা কে ছিলেন?

উত্তর। ফরাসি বিপ্লবের সূচনাকালে ফ্রান্সের রাজা ছিলেন ষােড়শ লুই।

62) প্লেবিয়ান’ কারা?

উত্তর ফরাসি বিপ্লবের আগে ফরাসি সমাজের তৃতীয় শ্রেণির মানুষরা ‘প্লেবিয়ান’ নামে পরিচিত ছিল।

63) 40সামাজিক চুক্তি' (Social Contract) গ্রন্থের রচয়িতা কে?

উত্তর। সামাজিক চুক্তি’ (Social Contract) গ্রন্থের রচয়িতা হলেন রুশাে।

64) কুলাক' কাদের বলা হয়?

উত্তর রাশিয়ার নতুন জমিদার বা জোতদার শ্রেণিকে কুলাক’ বলা হয়।

65) ওয়াল ওয়াল ঘটনা' কী ?

উত্তর ওয়াল ওয়াল হল আফ্রিকা মহাদেশের অন্তর্গত আবিসিনিয়ার সীমান্তবর্তী একটি গ্রাম।  ১৯৩৪ খ্রিস্টাব্দের ৫ ডিসেম্বর সােমালিল্যান্ড ও আবিসিনিয়ার সীমান্তে অবস্থিত ওয়াল ওয়াল গ্রামে দুপক্ষের সেনাবাহিনীর মধ্যে খণ্ডযুদ্ধ হয়। এই ঘটনাকে 'ওয়াল ওয়াল ঘটনা’ বলা হয়। 

66).অপারেশন বারবারোসা’ কী ?

উত্তর হিটলারের রাশিয়া অভিযানের (১৯৪১ খ্রি.) সাংকেতিক নাম ছিল ‘অপারেশন বারবারােসা’। 

1) টীকা লেখো : রুশ - জার্মান অনাক্রমণ চুক্তি 

জার্মানির শাসক হিটলার এবং রাশিয়ার  শাসক স্ট্যালিনের মধ্যে 1939 খ্রিস্টাব্দে  রুশ-জার্মান অনাক্রমন চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

a) জার্মানির উদ্দেশ্য :হিটলার উপলব্ধি করেন যে  পোল্যান্ড আক্রমণ করতে গিয়ে একই সঙ্গে পূর্ব সীমান্তে রাশিয়া এবং পশ্চিম সীমান্তে ইঙ্গ ফরাসি শক্তির বিরুদ্ধে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়তে হতে পারে। তাই  হিটলার আপতত রাশিয়ার সঙ্গে মিত্রতা স্থাপনের দ্বারা পূর্ব সীমান্তে যুদ্ধের সম্ভাবনা দুর করেন । যাতে তিনি  পোল্যান্ড আক্রমন করতে পারেন।

b) রাশিয়ার উদ্দেশ্য : সাম্যবাদ - বিরোধী ইঙ্গ - ফরাসি শক্তির সঙ্গে জোট গঠনে ব্যর্থ হয়ে রাশিয়া নিজের নিরাপত্তার প্রয়োজনে জার্মানির সঙ্গে মিত্রতা স্থাপনে আগ্রহী হয় ।

c).চুক্তি স্বাক্ষর : রাশিয়া ও জার্মানির মধ্যে ১৯৩৯ খ্রিস্টাব্দে ( ২৩ আগস্ট ) রুশ - জার্মান অনাক্রমণ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় । এই চুক্তি স্বাক্ষরে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী মলোটভ এবং জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী রিবেনট্রপ । 

d) চুক্তির শর্তাবলি : রুশ - জার্মান অনাক্রমণ চুক্তির দ্বারা স্থির হয় যে , রাশিয়া ও জার্মানি — [ 1 ] শান্তিপূর্ণ উপায়ে নিজেদের মধ্যে বিবাদের মীমাংসা করবে । [ 2 ] পরবর্তী ১০ বছর একে অপরকে আক্রমণ করবে না । [ 3 ] তৃতীয় কোনো শক্তির দ্বারা আক্রান্ত হলে কেউ তৃতীয় পক্ষকে সহায়তা করবে না । [ 4 ] পোল্যান্ডকে নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি করে নেবে । 

e)  চুক্তিভঙ্গ : রাশিয়ার সঙ্গে অনাক্রমণ চুক্তি সত্ত্বেও হিটলার দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় চুক্তি ভঙ্গ করে ১৯৪১ খ্রিস্টাব্দে ( ২২ জুন ) রাশিয়া আক্রমণ করেন ।

2)   রোম বার্লিন - টোকিও অক্ষচুক্তি

দুই বিশ্বযুদ্ধের মধ্যবর্তী সময়ে যেসব উগ্র সাম্রাজ্যবাদী একনায়কের আবির্ভাব ঘটে তাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন ইটালির মুসোলিনি , জার্মানির হিটলার এবং জাপানের তোজো । দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আগে ইটালি , জার্মানি ও জাপানের মধ্যে ‘ রোম- বার্লিন - টোকিও অক্ষচুক্তি ' নামে এক মৈত্রীজোট গড়ে ওঠে ।

a) ঘনিষ্টতার উদ্যোগ : জার্মান শক্তিবৃদ্ধিতে আতঙ্কিত হয়ে ইটালির শাসক মুসোলিনি ফ্রান্সের সঙ্গে মিত্রতা গড়ে তোলেন । কিন্তু হিটলার উপলব্ধি করেন যে , জার্মানি ভবিষ্যতে অস্ট্রিয়া দখলের উদ্যোগ নিলে ইটালির সমর্থন তাঁর বিশেষ প্রয়োজন ।মুসোলিনি ১৯৩৫ খ্রিস্টাব্দে অ্যাবিসিনিয়া আক্রমণ করলে হিটলার তাঁকে সমর্থন করেন । ফলে মুসোলিনি ও হিটলারের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা বৃদ্ধি পায় । 

b) রোম - বার্লিন অক্ষচুক্তি : মুসোলিনি ও হিটলারের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা বৃদ্ধি পেলে উভয়ের মধ্যে মিত্রতা ( অক্টোবর , ১৯৩৬ খ্রি . ) গড়ে ওঠে । ইটালি ও জার্মানির মধ্যে স্থাপিত এই মিত্রতা ' রোম - বার্লিন অক্ষ্যচুক্তি ' নামে পরিচিত। ১৯৩৬ খ্রিস্টাব্দের নভেম্বরে জার্মানি ও জাপানের মধ্যে সাম্যবাদ - বিরোধী অ্যান্টি কমিষ্টার্ন চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় । 

c)  রোম - বার্লিন - টোকিও অক্ষচুক্তি:- জার্মানি ও জাপানের অ্যান্টি কমিন্টার্ন জোটে ইটালি যোগ ( ৬ নভেম্বর , ১৯৩৭ ( . ) দিলে ইটালি , জার্মানি ও জাপানের মধ্যে রোম বার্লিন - টোকিও অক্ষচুক্তি মৈত্রীজোট গড়ে ওঠে ।

3) পার্ল হারবারের ঘটনা কী?

উ:- পার্ল হারবার হল প্রশান্ত মহাসাগরের হাওয়াই দ্বীপে অবস্থিত একটি বন্দর । এখানে আমেরিকা তার নৌঘাঁটি স্থাপন করেছিল । 

a) আমেরিকার উদ্যোগ : জাপানের আগ্রাসী নীতির ফলে আমেরিকা— [ 1 ] জাপানের সঙ্গে পুরোনো বাণিজ্যিক চুক্তিটি বাতিল করে দেয় । [ 2 ] জাপানে পেট্রোলিয়ামজাত পণ্য - সহ বেশ কয়েকটি পণ্য সরবরাহ বন্ধ করে দেয় । [ 3 ] আমেরিকায় অবস্থিত জাপানি সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে । এসব ঘটনায় জাপান ক্ষুব্ধ হয় । 

b)  যুদ্ধের সম্ভাবনা : জাপান খনিজ তেলসমৃদ্ধ দক্ষিণ ইন্দোচিন দখল ( ১৯৪১ খ্রি . ) করে নিলে জাপানের সঙ্গে আমেরিকা সব ধরনের বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছিন্ন করে । এরপর চিন ও ইন্দোচিন থেকে জাপানি সেনা প্রত্যাহারের দাবি জানায় । আমেরিকার এই দাবি জাপান প্রত্যাহার করলে উভয় পক্ষের মধ্যে যুদ্ধের সম্ভাবনা দেখা দেয় ।

c) পার্ল হারবারে আক্রমণ : জাপান ১৯৪১ খ্রিস্টাব্দের ৭ ডিসেম্বর সকালে বিশাল নৌবহর ও ৩৩৫ টি যুদ্ধবিমান নিয়ে ভাইস অ্যাডমিরাল নোগুচি - র নেতৃত্বে আমেরিকার নৌঘাঁটি পার্ল হারবারে বোমাবর্ষণ শুরু করে এবং এখানকার মার্কিন নৌঘাঁটি ধ্বংস করে দেয় । এটি পার্ল হারবারের ঘটনা নামে পরিচিত ।

d) ফলাফল :- এই ঘটনার পরদিন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জাপানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করলে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু  হয়।



A। সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করো:

1.  'আমার ইচ্ছাই আইন'-এ কথা বলেছিলেন --- ষোড়শ লুই 

2. 'কাঁদিদ' প্রন্থটি রচনা করেন--- ভলতেয়ার ।

3. ফ্রান্সের ভূমিকরের নাম ছিল--- টেইলি।

4. নেপোলিয়ন কত খ্রিস্টাব্দে জামান রাজ্যগুলিকে নিয়ে 'কনফেডারেশন অফ দ্য রাইন গঠন করেন ---  ১৮০৬ খ্রিস্টাব্দে ।

5. কনসুলেটের সংবিধান রচনা করেন ---  অ্যাবে সিয়েস।

6. যে সন্ধি মারা স্যাডোয়ার যুদ্ধের অবসান ঘটে তা হল---  গ্যাস্টিনের সন্ধি ।

7. ১৮৩০ খ্রিস্টাব্দের জুলাই বিপ্লবের মাধ্যমে ফ্রান্সের রাজা হয়েছিলেন- --  লুই ফিলিপ।

8.-জোলভেরাইন গঠিত হয়--- জার্মানিতে ।

9.  জন কে আবিষ্কার করেন--- ফ্লাইং শাটল ।

10.  'রুশ বিপ্লবের জনক' বলা হয়--- লেনিনকে ।

11. জাতিসংঘের প্রথম মহাসচিব ছিলেন- --স্যার এরিখ ড্রুমন্ড ।

12. 'গণতন্ত্র' বলতে বোঝায়---  জনগণের শাসন ।

13.  মিউনিখ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল--- ১৯৩৮ খ্রিস্টাব্দে ।

14. D Day বলা হয় --- ১৯৪৪ খ্রি: ৬ জুনকে ।

15. ফ্রান্সে বিপ্লবের সময় রাজা ছিলেন--- ষোড়শ লুই ।

16.  রোবসপিয়র ছিলেন-- জ্যাকোবিন নেতা ।

17. ফ্রান্সকে ভান্ত অর্থনীতির জাদুঘর' বলে সমালোচনা করেন--'  অ্যাডাম স্মিথ ।

18. 'দ্বিতীর জাস্টিনিয়ান' বলা হয়--- নেপোলিয়ন-কে ।

19.  'সিজালপাইন প্রজাতন্ত্র' প্রতিষ্ঠিত হয়---  ইটালিতে ।

20.  সেন্ট হেলেনা দ্বীপে নির্বাসিত হন --- নেপোলিয়ন । 

21.  ভিয়েনা সম্মেলন হয়---  ১৮১৫ খ্রিস্টাব্দে । 

22. সেডানের যুদ্ধ হয়---  ১৮৭০ খ্রিস্টাব্দে । 

23. রাশিয়ার ভূমিদাস প্রথা তুলে দেন--- দ্বিতীয় আলেকজান্ডার । 

24.  সর্বপ্রথম শিল্পবিপ্লব ঘটেছিল--- ইংল্যান্ডে । 

25. 'বিশ্বে প্রথম কারখানা' হিসেবে পরিচিত দেশ---  ইংল্যান্ড। 

26. ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের রত্ন' বলা হত--- ভারত-কে । 

27.  প্যারিস শান্তি সম্মেলন হয়েছিল--- ১৯১৯ খ্রিস্টাব্দে । 

28. অর্থনৈতিক মহামন্দার সময় মার্কিন রাষ্ট্রপতি ছিলেন---  হুভার । 

29. স্পেনে প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়--- ১৯৩১ খ্রিস্টাব্দে । 

30. পোলিশ করিডর' হল --- পোল্যান্ডের ভিতর দিয়ে যাতায়াতের রাস্তা। 

31.  'তানাকা মেমোরিয়াল' ছিল একটি--- প্রতিবেদন। 

32. ফরাসি বিপ্লব হয়েছিল ---  ১৭৮৯ খ্রিস্টাব্দে। 

33. 'আমিই রাষ্ট্র ' উক্তিটি  করেছিলেন--- চতুর্দশ লুই । 

34.  বাধ্যতামূলক শ্রমদান ছিল---  করভি । 

35.  'কোড নোপোলিয়ন এ বিধিসংখ্যা ছিল--- ২২৮৭টি। 

36. নেপোলিয়ন রাশিয়া আক্রমণ করেন---  ১৮১২ খ্রিস্টাব্দে। 

37. ভিয়েনা সম্মেলনের সভাপতি ছিলেন--- মেটারনিখ ।

38. কোন দেশে জুলাই বিপ্লব হয়েছিল? --- ফ্রান্স। 

39.  ফ্রান্সে  দ্বিতীয় প্রজাতন্ত্র' প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল---  ১৮৪৮ খ্রিস্টাব্দে ।

40.  স্পিনিং জেনি' আবিষ্কার করেন--- জেমস হারগ্রিভস। 

41.  ইংল্যান্ডে শিল্পবিপ্লব' প্রথম পরিলক্ষিত হয়--- বস্ত্রশিল্পে ।

42.  ইউরোপে সবচেয়ে দেরিতে শিল্পায়ন শুরু হয়েছিল---  রাশিয়ায়। 

43.  রাশিয়ার শাসকদের বলা হত--- জার । 

44.  এপ্রিল থিসিস' কার লেখা? ---  লেনিন-এর । 

45. কে স্পেনে একনায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেন--- জেনারেল ফ্রাঙ্কো । 

46. দ্বিতীয় বিশ্বযুদের প্রত্যক্ষ কারণ ছিল---  হিটলারের পোল্যান্ড আক্রমণ । 

47. প্রথম  বিশ্বযুদের প্রত্যক্ষ কারণ ছিল---  সেরাজেভো হত্যাকান্ড ।

48. জাতি সংঘের জনক হলেন --- উড্রো উইলসন ।

49.  'লেতর ফিলজফিক' গ্রন্থের লেখক হলেন---  ভলতেয়ার ।

50. 'ফান্সে  সন্ত্রাসের শাসনের প্রাণপুরুষ' ছিলেন--- রোবসপিয়র।

51. নেপোলিয়ন 'ফরাসি জাতির সম্রাট' উপাধি গ্রহণ করেন--- ১৮০৪ খ্রিস্টাব্দে । 

52. নেপোলিয়নের বিরুদ্ধে 'পোড়ামাটির নীতি' অনুসরণ করেছিল---  রাশিয়া । 

53. নেপোলিয়ন সমগ্র ফ্রান্সকে কতকগুলি প্রদেশে বিভক্ত  করেন? ----  ৮৩টি । 

54. ১৮১৫-১৮৪৮ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত সময়কালকে বলা হয় --- মেটারনিখ যুগ । 

55. ফেব্রুয়ারি বিপ্লবের সময় ফ্রান্সের রাজা ছিলেন---  লুই ফিলিপ । 

56. রাশিয়ার ভূমিদাসদের মুক্তি দেওয়া হয়--- ১৮৬১ খ্রিস্টাব্দে । 

57.  'ব্রিটিশ সমাজতন্ত্রের জনক' ছিলেন---  রর্বাট আওয়েন । 

58. সুয়েজ খাল খনন করে--- ফ্রান্স। 

59. লালফৌজ' যে দেশের সেনাবাহিনীর নাম ছিল---  রাশিয়ার। 

60. 'NEP' ঘোষণা করেন--- লেনিন । 

61.  স্পেনের গৃহযুদ্ধে শেষপর্যন্ত জয়লাভ করেছিলেন--- জেনারেল ফ্রাঙ্কো  । 

62. প্রথম পারমাণবিক বোমা বিস্ফোরণ হয়---  হিরোশিমায় । 

63. সামাজিক চুক্তি মতবাদের প্রবক্তা  ছিলেন--- রুশো ।

64. যে ভারতীয় শাসক জ্যাকোবিন ক্লাবের সদস্য হয়েছিলেন--- টিপু সুলতান ।

65. নেপোলিয়ন বোনাপার্ট-এর জন্ম হয়--- কর্সিকা দ্বীপে । 

66.  ফ্রান্সে ডাইরেক্টরি শাসন সমাপ্ত হয়--- ১৭৯১ খ্রিস্টাব্দে । 

67.  'ইউরোপের রুগ্ন  মানুষ' বলা হত ---  তুরস্ক সাম্রাজ্যকে । 

68.  উডন্ত  মাকু আবিষ্কার করেন ---  জন কে । 

69. Welt Politic' নীতির প্রবর্তক ছিলেন---  কাইজার দ্বিতীয় উইলিয়াম । 

70.  'মরুভূমির শৃগাল' বলা হয় --- রোমেল-কে । 

71. জাপান পার্ল হারবার আক্রমণ করে ১৯৪১ খ্রিস্টাব্দের ---  ৭ ডিসেম্বর ।

72. সাত সপ্তাহের যুদ্ধ নামে পরিচিত --- স্যাডোয়ার যুদ্ধ ।

73. রক্ত ও লৌহ নীতির প্রবক্তা হলেন --- বিসমার্ক ।

74. বাস্পীয় ইঞ্জিন আবিস্কার করেন --- জেমস ওয়াট ।

75. সুয়েজ খাল সংযুক্ত করে --- ভূমধ্যসাগর ও লোহিত সাগরকে ।

76. দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয় --- ১৯৩৯ খ্রি : ।

77. চোদ্দ দফা নীতি ঘোষনা করেন --- উড্রো উইলসন ।

78. ফরাসি বিপ্লবের আদর্শ --- সাম্য , মৌত্রী ও স্বাধীনতা ।

79. প্রজাপতি রাজা বলা হয় --- পঞ্চদশ লুইকে ।

80. ফরাসি বিপ্লবের জননী বলা হয় --- প্যারিস শহরকে ।


A. বিবৃতিটির সঙ্গে সঠিক ব্যাখ্যাটি নির্বাচন করো

 1.  বিবৃতি : রুশীকরণনীতির বিরুদ্ধে সোভিয়েত রাশিয়ায় প্রবল বিক্ষোভ শুরু হয় । 

ব্যাখ্যা১। জার  সরকার অরুশদের ওপর অত্যাচার শুরু করে ।

ব্যাখ্যা২। জার সরকার অরুশদের ওপর রুশ ভাষা , সংস্কৃতি ও কৃষ্টি চাপিয়ে দেয় ।

ব্যাখ্যা৩। জার সরকার অরুশদের রাশিয়া থেকে বিতাড়িত করার আদেশ দেয় ।

 2.  বিবৃতি : ভাসাই চুক্তির শর্তগুলি জার্মানদের কাছে অমর্যাদার ছিল ।

ব্যাখ্যা১।  ভার্সাই চুক্তির শর্তগুলিতে জার্মান জাতীয়তাবাদের অপমান করা হয় । 

ব্যাখ্যা২ । ভাসাই চুক্তির মাধ্যমে জার্মানদের ব্যক্তি স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করা হয় ।

ব্যাখ্যা৩ । জার্মান উপনিবেশগুলি কেড়ে নেওয়া হয় এবং জার্মানির ওপর বিরাট অঙ্কের ক্ষতিপূরণ চাপানো হয় । 

 3. বিবৃতি : বিশ্ব রাজনীতিতে ‘ রোম - বার্লিন - টোকিয়ো চুক্তি ' ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ । 

ব্যাখ্যা ১ এই চুক্তি সাম্যবাদের প্রসার ঘটায় . একনায়কতন্ত্রের প্রসার রোধ করে ।

 ব্যাখ্যা ২। এই চুক্তি একনায়কতন্ত্রের প্রসার ঘটায় , সাম্যবাদের প্রসার রোধ করে ।

 ব্যাখ্যা ৩। এই চুক্তি নাৎসিবাদ ও ফ্যাসিবাদের প্রসার রোধ করে । 

4.  বিবৃতি:  মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জাতিসংঘের সদস্য হয়নি ।

ব্যাখ্যা১।  মার্কিন সেনেট জাতিসংঘে যোগদানের অনুমতি দেয়নি । 

ব্যাখ্যা ২ : মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের সর্বাধিক ধনী রাষ্ট্র ছিল । 

ব্যাখা ৩ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বজুড়ে অস্ত্র প্রতিযোগিতায় নেতৃত্ব দিয়েছিল ।

5. বিবৃতি : চিনকে ইউরোপীয়রা তরমুজের মতো টুকরো করেছিল । 

 ব্যাখ্যা ১। তাদের অর্থনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করতে । 

ব্যাখ্যা ২ : ইউরোপ চিন দেশকে দুর্বল করতে চেয়েছিল । 

ব্যাখ্যা ৩ : ছোটো ছোটো অঞ্চলে ভাগ করে চিনের উন্নতি করতে ।

6. বিবৃতি: রাশিয়ার জার দ্বিতীয় আলেকজান্ডার ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে আছেন । 

ব্যাখ্যা ১। তাঁর আমলে রাশিয়ায় কৃষিতে ব্যাপক উন্নতি ঘটে । 

ব্যাখ্যা ২। তাঁর আমলে রাশিয়ার ভূমিদাসরা স্বাধীনভাবে জীবনযাপন করার ও সম্পত্তির অধিকার লাভ করে।

 ব্যাখ্যা ৩। তাঁর আমলে রাশিয়ায় স্বৈরাচারী জার শাসনের অবসান ঘটে।

7. বিবৃতি জার পিটার দ্য গ্রেটকে আধুনিক রাশিয়ার জনক ' বলা হয় । 

ব্যাখ্যা ১। তাঁর নেতৃত্বে সোভিয়েত রাশিয়ার আধুনিকীকরণের সূচনা ঘটে । 

ব্যাখ্যা ২ : তিনি ভূমিদাস প্রথার বিলোপ ঘটান । 

ব্যাখ্যা ৩। তিনি রুশ অর্থনীতির আধুনিকীকরণ ঘটান ।

8. বিবৃতি : ফরাসি বিপ্লবে দার্শনিকরা ভূমিকা রেখেছিলেন।

 ব্যাখ্যা ১ : দার্শনিকরা সরাসরি বিপ্লবে যোগ দিয়েছিলেন । 

ব্যাখ্যা ২ : দার্শনিকরা ফরাসি আর্থ সামাজিক প্রকৃতির সমালোচনা করেছিলেন । 

ব্যাখ্যা ৩ : দার্শনিকরা অভিজাত বিপ্লব করেছিলেন।

9. বিবৃতি : নেপোলিয়ন ছিলেন বিপ্লবের সন্তান ।

ব্যাখ্যা ১ : নেপোলিয়ন ফরাসি বিপ্লবের জন্যই ক্ষমতায় আসতে পেরেছিলেন ।

 ব্যাখ্যা ২ : নেপোলিয়ন বিপ্লবের আদর্শ বিশ্বে ছড়িয়েছিলেন ।

 ব্যাখ্যা ৩ : নেপোলিয়ন বিপ্লবকে ধ্বংস করেছিলেন । 

10. বিবৃতি : মার্শাল পরিকল্পনা ও টুম্যান ডকট্রিন রচিত হয়— 

ব্যাখ্যা ১ : বিশ্বের গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রজোট গঠনের জন্য ।

 ব্যাখ্যা ২ : বিশ্বের সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্রজোট গঠনের জন্য । 

ব্যাখ্যা ৩ : বিশ্বের সামরিক রাষ্ট্রজোট গঠন করা ।

11.বিবৃতি : জাপানের হিরোসিমা ও নাগাসাকির ঘটনা বিশ্ববাসীকে আলোড়িত করে ।

ব্যাখ্যা ১ : ভয়াল ভয়ঙ্কর পরমাণু বোমার ধ্বংসলীলা দেখে— যুদ্ধ নয় শান্তির জন্য । 

ব্যাখ্যা ২ : বিশ্বের তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রস্তুতির জন্য ।

 ব্যাখ্যা ৩ : আর কোনো তৃতীয় পরমাণু যুদ্ধ নয় ও নব্য সাম্রাজ্যবাদ নয় । 

12.বিবৃতি:  বিপ্লবপূর্ব ফ্রান্স ছিল ‘ ভ্রান্ত অর্থনীতির জাদুঘর । 

 ব্যাখ্যা ১। ফ্রান্সের বুরবো রাজারা অনর্থক একটি অর্থনীতির জাদুঘর প্রতিষ্ঠা করেন । 

ব্যাখ্যা ২ । ফরাসি সরকারের অর্থনৈতিক নীতি , শুষ্কনীতি ছিল বৈষম্যমূলক । 

ব্যাখ্যা ৩। অর্থনৈতিক সমস্যা ও সমাধানের ক্ষেত্র ছিল অসামঞ্জস্যপূর্ণ । 

13.বিবৃতি : নেপোলিয়ান ইউরোপীয় মানচিত্রে বিপুল পরিবর্তন ঘটান।

 ব্যাখ্যা ১ : নেপোলিয়ন বেশ কয়েকটি ' ইউরোপীয় দেশ অর্থের বিনিময়ে দখল করেন ।

 ব্যাখ্যা ২ : ইউরোপের বিভিন্ন দেশ তিনি জয় করেন ।

ব্যাখ্যা৩।  যুদ্ধনীতির সাহায্যে তিনি ইউরোপের কয়েকটি দেশকে ধ্বংস করে দেন । 

14.বিবৃতি : ফরাসি বিপ্লবের প্রাক্কালে ফ্রান্সের রাজকোশ শূন্য হয়ে পড়ে ।

 ব্যাখ্যা ১ ফ্রান্সের কৃষি ব্যবস্থা ভেঙে পড়ার জন্য । 

ব্যাখ্যা ২। ফ্রান্সের বাণিজ্য ব্যবস্থা অচল হয়ে যাওয়ার জন্য । 

ব্যাখ্যা ৩ ফরাসি রাজপরিবারের বিলাসিতা যুদ্ধনীতি , ঋণনীতি ইত্যাদির জন্য । 

15.বিবৃতি:  নেপোলিয়ন মহাদেশীয় অবরোধ ব্যবস্থা প্রবর্তন করেন 

ব্যাখ্যা ১। এই ব্যবস্থা প্রবর্তনের মাধ্যমে তিনি ফ্রান্সকে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ দেশে পরিণত করতে চেয়েছিলেন ।

  ব্যাখ্যা ২। এই ব্যবস্থা প্রবর্তনের মধ্য দিয়ে ইংল্যান্ডকে অর্থনৈতিক দিক দিয়ে দুর্বল করতে চেয়েছিলেন ।

 ব্যাখ্যা ৩। এই ব্যবস্থা প্রবর্তনের মাধ্যমে তিনি ইউরোপ মহাদেশের ঐক্য প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিলেন ।

16.বিবৃতি:  দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শেষে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও সোভিয়েত রাশিয়ার মধ্যে ঠাণ্ডা লড়াই শুরু হয় ।

 ব্যাখ্যা ১। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও সোভিয়েত রাশিয়া উভয়েই যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার পক্ষপাতী ছিল ।

ব্যাখ্যা ২। নিজ নিজ স্বার্থরক্ষার জন্য উভয় রাষ্ট্রের সংঘাত অনিবার্য ছিল ।

 ব্যাখ্যা ৩। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সোভিয়েত রাশিয়াকে আর্থিক দিক থেকে সাহায্য করতে চায়নি ।

17.বিবৃতি : ‘ এমস টেলিগ্রাম ’ - এর ঘটনাকে ঘিরে ফ্রান্স প্রাশিয়ার যুদ্ধ হয় ।

ব্যাখ্যা ১ : প্রাশিয়া ফ্রান্সের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে । 

ব্যাখ্যা ১: কূটকৌশলী বিসমার্ক অসম্পূর্ণ টেলিগ্রাম ছাপিয়ে যুদ্ধ বাধান । 

 ব্যাখ্যা ৩ : প্রাশিয়ার রাজা ফরাসি রাষ্ট্রদূতকে অপমান করেন ।

18.বিবৃতি : প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠিত হয়— | 

ব্যাখ্যা ১: উদ্দেশ্য ছিল বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠা । 

ব্যাখ্যা ২ : মানুষের আর্থ - সামাজিক অবস্থার উন্নতি ঘটানো । 

ব্যাখ্যা ৩: আন্তর্জাতিক আইন চালু করা ।

19.বিবৃতি: জাতিসংঘ কোনো অতিরাষ্ট্রিক সংগঠন ছিল না । 

ব্যাখ্যা ১ : জাতিসংঘের সার্বভৌম ক্ষমতা ছিল না । 

ব্যাখ্যা ২: জাতিসংঘ রাষ্ট্র - সমবায় গড়ে তুলেছিল । 

ব্যাখ্যা ৩ : জাতিসংঘের কোনো রাজধানী ছিল না । 

20.বিবৃতি: 1871-1913 খ্রিস্টাব্দকে ' সশস্ত্র শাস্তির যুগ ' বলে অভিহিত করা হয় ।

 ব্যাখ্যা ১। এই সময় বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হয় । 

ব্যাখ্যা ২। এই সময় শান্তির আড়ালে যুদ্ধের প্রস্তুতি চলতে থাকে ।

 ব্যাখ্যা ৩। এই সময় বেশ কয়েকবার যুদ্ধ হয় । 

 21. বিবৃতি মিউনিখ চুক্তি ( 1939 ) ব্যর্থ হয় ।

 ব্যাখ্যা ১। ফ্রান্স মিউনিখ চুক্তির শর্তাবলি পালনে আন্তরিক ছিল না । 

ব্যাখ্যা ২। ইংল্যান্ড মিউনিখ চুক্তির শর্তাবলি পালনে আন্তরিক ছিল না ।

 ব্যাখ্যা ৩। হিটলার সমগ্র ঢোকোস্লোভাকিয়া দখল করলে মিউনিখ চুক্তি ভেঙে যায় ।

22. বিবৃতি : ভার্সাই সন্ধি জার্মানদের কাছে অমর্যাদাকার ছিল । 

ব্যাখ্যা ১ : জার্মানির সব অঞ্চল কেড়ে নিয়ে তার ওপর বিশাল আর্থিক ক্ষতিপূরণের বোঝা চাপানো হয় ।

 ব্যাখ্যা ২। জার্মানির জনগণের ব্যক্তিস্বাধীনতা কেড়ে নেওয়া হয় । 

ব্যাখ্যা ৩ জার্মানির সম্মতিতে এই চুক্তি হয় ।

23.বিবৃতি: ফরাসি জনতা বাস্তিল দুর্গ আক্রমণ করে ।

 ব্যাখ্যা ১ : ফরাসি সম্রাট জনপ্রিয় মন্ত্রী নেকারকে পদচ্যুত করেছিলেন ।

 ব্যাখ্যা ২ : ফরাসি অভিযুক্তদের এই দুর্গে রাখা হত । 

ব্যাখ্যা ৩ : ফরাসি জনতা সম্রাটের ওপর বীতশ্রদ্ধ হয়ে পড়েছিল । 

24.বিবৃতি: নেপোলিয়ন ডাইরেক্টরির শাসনের অবসান ঘটান । 

ব্যাখ্যা ১ : ডাইরেক্টরির শাসন ছিল দুর্বল ও দুর্নীতিগ্রস্ত । 

ব্যাখ্যা ২ : ডাইরেক্টরির শাসন বিপ্লবের বিরোধী ছিল ।

 ব্যাখ্যা ৩ : ডাইরেক্টরির শাসকরা নেপোলিয়নের শত্রু ছিল ।

25.বিবৃতি : জাতীয় সভা সংবিধান সভায় রূপান্তরিত হত।

 ব্যাখ্যা ১ : জাতীয় সভার সদস্যরা সংবিধান সভা গঠন করে । 

ব্যাখ্যা ২ : জাতীয় সভার সদস্যরা সংবিধান রচনা করে । 

ব্যাখ্যা ৩ : জাতীয় সভা ভেঙে দিয়ে সংবিধান সভা গড়ে তোলা হয় । 

26.বিবৃতি : ইংল্যান্ডে সবার আগে শিল্পবিপ্লব ঘটেছিল—

 ব্যাখ্যা ১ : ইংল্যান্ডে সবার আগে শিল্প পরিকাঠামো গড়ে উঠেছিল ।

 ব্যাখ্যা ২ : ইংল্যান্ডের মানুষ অন্য দেশের থেকে শিক্ষিত ছিল । 

ব্যাখ্যা ৩ : ইংল্যান্ডে শিল্পজাত পণ্যসামগ্রীর চাহিদা ছিল সর্বাধিক ।

27.বিবৃতি : ঘেটো ছিল মূলত শহরের সবচেয়ে গরিব ও দুর্দশাগ্রস্ত অঞ্চল— 

ব্যাখ্যা ১:  এখানে বসবাসকারী কৃষকদের জমি কেড়ে নেওয়া হয়েছিল ।

 ব্যাখ্যা ২ : এখানে কর্মচ্যুত শ্রমিকদের বাসভূমি নির্দিষ্ট হয়েছিল । 

ব্যাখ্যা ৩ : এখানে সাধারণত দরিদ্র শ্রমিকশ্রেণির বসবাস ছিল ।

28.বিবৃতি: বিপ্লবের আগের ফ্রান্স ছিল ‘ ভ্রান্ত অর্থনীতির জাদুঘর ' । 

ব্যাখ্য ১ : সরকারের কর কাঠামো ছিল বৈষম্যমূলক । 

ব্যাখ্যা ২ : কেবলমাত্র অভিজাতরা রাজাকে কর দিত । 

বিবৃতি ব্যাখ্যা ৩ : অর্থনৈতিক সমস্যা সমাধানে রাজা উদাসীন ছিলেন । 

29.বিবৃতি : ' লাইপজিগের যুদ্ধ ' জাতিসমূহের যুদ্ধ নামে পরিচিত । 

ব্যাখ্যা ১। এই যুদ্ধে সমগ্র ফরাসি জাতি যোগ দেয় । 

ব্যাখ্যা ২ : এই যুদ্ধে ফরাসি জাতির পরাজয় ঘটে ।

 ব্যাখ্যা ৩ : এই যুদ্ধে সমগ্র ইউরোপের তেরোটি জাতি নেপোলিয়নের বিরুদ্ধে যুদ্ধে যোগ দেয়।

30.বিবৃতি: উড্রো উইলসনকে ‘ জাতিসংঘের জনক ' বলা হয় । 

ব্যাখ্যা ১ : তাঁর প্রচেষ্টায় জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল । 

ব্যাখ্যা ২ : তিনি জাতিসংঘের প্রথম সভাপতি ছিলেন ।

 ব্যাখ্যা ৩: তাঁর চোদ্দো দফা নীতির ভিত্তিতে জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠিত হয় ।


B. সত্য ও মিথ্যা নির্ণয় করো :--

1. বুরবো রাজারা ছিলেন একচ্ছত্র ক্ষমতার অধিকারী । 

2.  বিপ্লবী - পূর্ববর্তী ফ্রান্সে সমগ্র রাজস্বের শতকরা চারভাগ ধনী যাজক ও অভিজাতদের কাছ থেকে আদায় করা হত ।

3.  ' ফুয়েরার ' মুসোলিনির উপাধি । 

4. জাতিপুঞ্জের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সংস্থা হল নিরাপত্তা পরিষদ ।

5. ভারত হল ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের রত্ন।

6.ফরাসি বিপ্লবে অংশগ্রহণকারী নারীদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিলেন মারি আঁতোয়াৎ । 

7.নেপোলিয়ন তাঁর ভাই জেরোম বোনাপার্টকে দক্ষিণ ইটালির সিংহাসনে বসান । 

8.জাতিসংঘের পতন ঘটে হিটলারের উত্থানে । 

9.ইটালিতে ' জোলভারেইন ' নামে শুল্ক সংঘ গঠিত হয় । 

10. ঘেটো ' হল শিল্পবিপ্লবকালে শহরের ছোটো অঞ্চল ।

11.সেফটি ল্যাম্প উদ্ভাবন করেন জন কে ।

12.জাতিসংঘ প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পরে তৈরি হয় । 

13.এসিস ঘোষণা করেন লেনিন ।

14. জাতিসংঘের খসড়া সংবিধান লিগ কভেনান্ট ।

15.মুসোলিনি নাৎসিবাদের উত্থান ঘটান ।

16.ফ্রাংকো ছিলেন জার্মান সেনানায়ক।

17. হিটলার ফ্যাসিবাদের সূচনা করেন।

18.আমেরিকা নাগাসাকিতে ' ফ্যাটম্যান ' নামে পারমাণবিক বোমা ফেলেছিল ।

19.জাতিপুঞ্জের প্রথম মহাসচিব ছিলেন এরিক ডুমন্ড । 

20.আন্তর্জাতিক বিচারালয়ের বিচারপতিরা ন - বছরের জন্য নির্বাচিত হন । 

21 1917 খ্রিস্টাব্দে রুশ বিপ্লবের কালে জার ছিলেন দ্বিতীয় নিকোলাস । 

22.বিসমার্ক এমস্ টেলিগ্রাম মারফত ইটালিকে যুদ্ধের ফাঁদে ফেলেন ।

23.গ্রিক জাতীয়তাবাদের উন্মেষে হেটাইরিয়া ফিলকের বিশেষ ভূমিকা ছিল । 

24.কার্ল মার্কস বলেছেন রাষ্ট্র হল শ্রেণি শোষণের যন্ত্র । 

25.জাতিসংঘের পতন হয় 1946 খ্রিস্টাব্দে ।

26.নেপোলিয়নকে ‘ দ্বিতীয় জাস্টিনিয়ান ’ বলা হয় । 

27.দ্বিতীয় আলেকজান্ডারকে ‘ মুক্তিদাতা জার ’ বলা হয় । 

28.হিটলারের ইহুদি নির্যাতন বিভাগের প্রধান ছিলেন আইখম্যান । 

29.আন্তর্জাতিক বিচারালয় অবস্থিত জেনেভায় ।

30.ভিয়েনা সম্মেলনের সভাপতি ছিলেন অস্ট্রিয়ার চ্যান্সেলার মেটারনিখ । 

31.লিজিয়ন অফ অনার ছিল ফরাসি বিপ্লবকালে প্রদত্ত উপাধি ।

32.মুসোলিনি নিজেকে ‘ ফ্যুয়েরার ' বলে ঘোষণা করেন ।

33.রোবসপিয়রের শাসনকাল ' শ্বেত সন্ত্রাস ' নামে পরিচিত । 

34.NATO'- এর পুরো কথা হল – North Atlantic Treaty Organization।

35.ডুমা ' জার্মানির আইনসভার নাম ।

36.ফরাসি যাজক সম্প্রদায় রাষ্ট্রকে স্বেচ্ছাধীন কর দিত ।

37.স্পেনের গৃহযুদ্ধকে ‘ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের মহড়া ' বলা হয় ।

38.ম্যাৎসিনি ছিলেন পিডমন্ট - সার্ডিনিয়ার প্রধানমন্ত্রী ।

39.প্রথম বিশ্বযুদ্ধের প্রত্যক্ষ কারণ ছিল ' সেরাজেভো হত্যাকাণ্ড । 

40.ফরাসি বিপ্লবের আদর্শ ছিল সাম্য , মৈত্রী ও স্বাধীনতা । 

41.জার্মানি , ইটালি ও জাপানকে নিয়ে গড়ে উঠেছিল অক্ষশক্তি।

42.বিপ্লবের সময় ফ্রান্সের রাজা ছিলেন পঞ্চদশ লুই । 

43.ইউরোপের রুগ্ণ মানুষ ' বলা হয় তুরস্ককে । 

44.অন্ধকারাচ্ছন্ন মহাদেশ ’ বলা হয় আফ্রিকাকে।

মান - 2 

1. লোকার্নো চুক্তি কী?

উ:-  জাতিসংঘের উদ্যোগে ১৯২৫ খ্রিস্টাব্দে লোকার্নো চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এই চুক্তির উদ্দেশ্য ছিল প্রথম বিশ্বযুদ্ধে বিজয়ী ও পরাজিত দেশগুলির মধ্যে বিরোধ দূর করা।

2. আগাদির ঘটনা কী?

উ:-  ১৯১১ খ্রিস্টাব্দে আফ্রিকার মরক্কোর রাজধানী ফেজ শহরে এক উপজাতি বিদ্রোহে কিছু ইউরোপীয় প্রাণ হারান। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ফ্রান্স ফেজ শহর দখল করে নিলে জার্মানি এর প্রতিবাদ করে এবং সেখানকার আগাদির বন্দরে 'প্যান্থার' নামে এক যুদ্ধজাহাজ পাঠায়। ফ্রান্সের সমর্থনে ইংল্যান্ডও সেখানে একটি যুদ্ধজাহাজ পাঠায়। ফলে যুদ্ধের পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। এটি 'আগাদির ঘটনা' নামে পরিচিত।

3. নভেম্বর বিপ্লব বলতে কী বোঝ? অথবা, অক্টোবর বিপ্লব বলতে কী বোঝ ?

উ:- কেরেস্কির নেতৃত্বাধীন রাশিয়ার বুর্জোয়া প্রজাতান্ত্রিক সরকার জনপ্রিয়তা হারালে বলশেভিক নেতা লেনিনের নির্দেশে এবং ট্রটস্কি-র নেতৃত্বে 'লাল ফৌজ' নামে এক স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী ৭ নভেম্বর (১৯১৭ খ্রি.) রাজধানী পেট্রোগ্রাড দখল করে নেয়। এই ঘটনা 'নভেম্বর বিপ্লব' নামে পরিচিত। এটি রাশিয়ার পুরোনো ক্যালেন্ডার অনুসারে ২৫ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হওয়ায় ঘটনাটি 'অক্টোবর বিপ্লব' নামেও পরিচিত।

4. নতুন অর্থনৈতিক নীতি' বা নেপ (NEP) কী?

উ:- বলশেভিক বিপ্লবের (১৯১৭ খ্রি.) পর রাশিয়ায় কৃষি ও শিল্পক্ষেত্রে বিপর্যয় দেখা দিলে বাস্তববাদী প্রেসিডেন্ট লেনিন বিশুদ্ধ সমাজতন্ত্রের পথ থেকে সরে এসে এক নতুন অর্থনৈতিক পদক্ষেপ ঘোষণা (১৯২১ খ্রি.) করেন। এটি 'নতুন অর্থনৈতিক নীতি' বা নেপ (New Economic Policy বা NEP) নামে পরিচিত।

5. কুলটুর কাম্ফ' কী?

উ:-  প্রাশিয়ার প্রধানমন্ত্রী বিসমার্ক ক্যাথোলিক খ্রিস্টানদের জার্মান ঐক্যের বিরোধী বলে মনে করতেন। এজন্য তিনি ক্যাথোলিকদের দমন করার উদ্দেশ্যে বিভিন্ন আইন জারি করেন। ফলে জার্মান রাষ্ট্র ও চার্চের মধ্যে দ্বন্দ্ব দেখা দেয়। এই দ্বন্দ্ব 'কুলটুর কাম্ফ' বা 'সভ্যতার সংগ্রাম' নামে পরিচিত।

6. হুভার মোরাটোরিয়াম কী ?

উ:- মোরাটোরিয়াম শব্দের অর্থ হল স্থগিতাদেশ। মার্কিন রাষ্ট্রপতি হিসেবে হার্বাট হুভার জার্মানি ও


মিত্রশক্তিবর্গ কর্তৃক মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে ক্ষতিপূরণ দানের যে নীতির ওপর স্থগিতাদেশ দেন তা ইতিহাসে হুভার মোরাটোরিয়াম নামে পরিচিত। মার্কিন রিপাবলিকান দলের প্রার্থী হিসেবে চুড়ার জয়ী হয়ে হুভার  মার্কিন রাষ্ট্রপতি হন (১৯২৮খ্রি.)। কিন্তু ১৯২৯ খ্রি. বিশ্বজুড়ে আর্থিক মহামন্দার সূচনা ঘটে। মার্কিন কংগ্রেসে (পার্লামেন্টে) একটি চড়াশুল্ক  বিল পাস হলেও আর্থিক পরিস্থিতির তেমন উন্নতি হয়নি। এই প্রেক্ষাপটে হুভার  এই আর্থিক স্থগিতাদেশ ঘোষণা করেন। 

7. নারদনিক আন্দোলন কী ? 

উ:- রাশিয়ার জার শাসন কালের আন্দোলনগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি আন্দোলন হলো নারোদনিক আন্দোলন । ষাটের দশকে যে নিহিলিস্ট আন্দোলন শুরু হয়েছিল সে আন্দোলন ক্রমান্বয়ে নারোদনিক আন্দোলনের রূপ ধারণ করে। নারোদ শব্দটি রুশ শব্দ এর অর্থ হচ্ছে জনসাধারণ। অর্থাৎ নারোদনিক আন্দোলন ছিল জনসাধারণের আন্দোলন।

8. Semaphore Relay কী ?

উ:- Semaphore হল চাক্ষুষ সংবাদ পাঠানোর কৌশল। দিনেরবেলা এক জাহাজ থেকে অন্য জাহাজে অথবা জাহাজ থেকে তটভূমিতে সংবাদ পাঠানোর জন্য নৌ-সেমাফোর ব্যবস্থা চালু হয়। পরবর্তীসময়ে রেল ব্যবস্থায়ও এটি ব্যবহৃত হয়। একটা খুঁটির ওপর অনুভূমিকভাবে স্থাপিত বাহুর ন্যায় দণ্ডের নড়াচড়ার মধ্য দিয়ে বিভিন্ন সংকেত বোঝানো হয়।

9. প্যারি কমিউন কী ?

উ:- প্যারিসের শ্রমজীবী মানুষ ফ্রান্সের ফরাসি বুর্জোয়া সরকার এবং জার্মানদের ফ্রান্স অধিকারের বিরুদ্ধে যে অভ্যুত্থান ঘটায় তা 'প্যারি কমিউন' নামে পরিচিত। তৃতীয় নেপোলিয়নের পতনের পর ফ্রান্সের শ্রমজীবী শ্রেণি নবগঠিত জাতীয় সংসদের বিরোধিতা প্রশ্ন করে। প্যারিসকে রাজধানী না করে ভাসাই নগরীতে প্রতিনিধি সভা স্থাপন করা হলে এই বিদ্রোহ শুর হয়। বিদ্রোহী শ্রমজীবীরা নিজস্ব সরকার নির্বাচিত করে প্যারি কমিউন গঠন করে (২৬ মার্চ, ১৮৭১ খ্রি.)। কমিউনের নেতৃবর্গ প্যারিসকে এক স্বশাসিত নগরী হিসেবে গঠন করেন। বিদ্রোহীরা প্যারিসের ধাঁচে ফ্রান্সের লিওঁ, মাসাই সহ ফ্রান্সের বেশ কিছু ছোটো শহরে 'কমিউন' গড়ে তোলে।

10. জুলাই রাজতন্ত্র কী ?

উ:- ১৮৩০ খ্রি. ফ্রান্সে জুলাই বিপ্লব শুরু হয়। এই বিপ্লবের মধ্য দিয়ে স্বৈরাচারী বুরবোঁ রাজবংশের পতন ঘটে। ফরাসি পার্লামেন্টের সিদ্ধান্ত মেনে অর্লিয়েন্স রাজবংশের লুই ফিলিপ ফ্রান্সের সিংহাসনে বসেন। তিনি সংশোধিত সংবিধান মেনে ফ্রান্সে শাসন পরিচালনার শপথ নেন। জুলাই বিপ্লবের ফলে প্রতিষ্ঠিত এই নতুন রাজতন্ত্র জুলাই রাজতন্ত্র (July Monarchy) নামে পরিচিত পায়।

11. বুর্জোয়াসি কী ?

উ:-  'বুর্জোয়াসি' বলতে ফরাসি বিপ্লবে (১৭৮৯ খ্রি.) অংশগ্রহণকারী তৃতীয় শ্রেণিভুক্ত বুর্জোয়াদের বোঝানো হয়েছে। বার্গার শব্দ থেকে বুর্জোয়া শব্দের উৎপত্তি ঘটেছে। ফরাসিভাষায় বাগীর শব্দের অর্থ হল নাগরিক শ্রেণি। প্রকৃত অর্থে ফ্রান্সে বুর্জোয়াদের সকলেই শহরে থাকতেন না। অনেকে গ্রামেও থাকতেন। তিন শ্রেণিতে বিভক্ত বুর্জোয়াদের মধ্যে উচ্চ  বুর্জোয়াভুক্ত ছিল বণিক, শিল্পপতি, ব্যাংকার ও জাহাজের মালিকগণ। মধ্যবুর্জোয়াদের মধ্যে ছিল চিকিৎসক, শিক্ষক, আইনজীবী, বুদ্ধিজীবী, শিল্পী, সাংবাদিক প্রমুখ। আর ছোটোখাটো কারিগরি ও পেশাদারি কাজ করে যাঁরা জীনিকা চালাতেন, তাঁরা ছিলেন নিম্নবুর্জোয়াভুক্ত। 

12) ডিসেমব্রিস্ট' বিদ্রোহ বলতে কী বোঝ?

উ. রুশ জার নিকোলাস সিংহাসনে বসার পর কিছু রুশ দেশপ্রেমিক ও একদল সেনা ১৮২৫ খ্রিস্টাব্দে ২৬ ডিসেম্বর রাশিয়ার পেট্রোগ্র্যাড শহরে নিকোলাসের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে। ডিসেম্বর মাসে সংঘটিত এই বিদ্রোহ ডিসেমব্রিস্ট বিদ্রোহ নামে পরিচিত।

13.  ভূমিদাসদের মুক্তির ঘোষণাপত্রের সুফলগুলি কী ছিল?

উ: রাশিয়ার ভূমিদাসদের মুক্তির ঘোষণাপত্রের সুফলগুলি হল - (ⅰ) মধ্যযুগীয় কুপ্রথার অবসান, (ii) কৃষির উন্নতি, (iii) বানিজ্যিক উন্নতি এবং (iv) স্বাধীন শিল্পের বিকাশ।

14. অক্টোবর ইস্তাহার' বলতে কী বোঝ?

উ. ১৯০৫ খ্রিস্টাব্দের রুশ বিপ্লবের পরিপ্রেক্ষিতে ৩০ অক্টোবর জার দ্বিতীয় নিকোলাস একটি ঘোষণাপত্র বা ইস্তাহার জারি করেন। এই ইস্তাহারে যে বিষয়গুলি তুলে ধরা হয়, তা হল- (i) নাগরিকদের ব্যক্তি স্বাধীনতা, (ii) সর্বজনীন ভোটাধিকারের ভিত্তিতে 'ডুমা' বা রুশ পার্লামেন্ট গঠন, (iii) ডুমা-র হাতে সরকারি দায়িত্ব প্রদান প্রভৃতি।

No comments:

Post a Comment