Wednesday, November 27, 2024

ix geography নবম ভূগোল

 বিবেকানন্দ কোচিং সেন্টার 

নবম শ্রেনী ভূগোল প্রশ্নোত্তর 

1) শুদ্ধ ও অশুদ্ধ লেখ।

I) সব দুর্যোগের অন্তিম পর্যায় হল বিপর্যয়।উ:- শুদ্ধ।

ii) অক্ষরেখা ও দ্রাঘিমা রেখার কৌনিক মানের পার্থক্য 180 ডিগ্রি।উ:- শুদ্ধ।

iii) সকল পার্বত্য অঞ্চলেই গ্রস্ত উপত্যকা সৃষ্টি হয় । উ:- অশুদ্ধ।

iv) মৌজা মানচিত্র বৃহৎ স্কেলের মানচিত্র । উ:- শুদ্ধ।

v) নিম্ন অক্ষাংশে গোধূলির স্থায়িত্বকাল বেশি। উ:- অশুদ্ধ।

vi)ধাপচাষ অধিক দেখা যায় পার্বত্য অঞ্চলে। উ:- শুদ্ধ।

vii) ভূমিকম্প ঘটলেই সুনামী হয়। - অশুদ্ধ।

viii) জল ধরো জল ভরো একটি খরা প্রতিরোধ কর্মসূচি। উ:- শুদ্ধ।

ix)রেগোলিথ মৃত্তিকা সৃষ্টির মূল উপাদান। উ:- শুদ্ধ।

x)পুঞ্জিত ক্ষয় হলে ক্ষয়ীভবনের হার বাড়ে। উ:- শুদ্ধ।

xi)শর্সাবর্তানে মাটির উর্বরতা শক্তি বজায় থাকে। উ:- শুদ্ধ।

xii) মহিভাবক আলোড়নের ফলে স্তুপ পর্বত গঠিত হয় । উ:- অশুদ্ধ ।

xiii) অহ্মরেখা  সমান ও সমান্তরাল । উ:- শুদ্ধ ।

xiv) কৃত্তিম উপগ্রহ নিজেদের কহ্মপথে থাকে । উ:- শুদ্ধ ।

xv)  নিরক্ষীয় অঞ্চল অপেক্ষা মেরু অঞ্চলে বস্তুর ওজন কম হয়। উ:- অশুদ্ধ ।

XVI)  ইউরেনাসের আবর্তনের দিক উত্তর থেকে দক্ষিণে। উ:- শুদ্ধ ।

XVII) উত্তরবঙ্গের 'ত্রাসের নদী' বলা হয় তিস্তাকে। উ:- শুদ্ধ ।

XVIII) গিনিচের সময় নির্ধারক ঘড়ি হল ক্রোনোমিটার । উ:- শুদ্ধ ।

XIX ) তরাই কথার অর্থ হল পাহাড়ি অঞ্চল । উ:- অশুদ্ধ ।

XX) Mappa কথাটি লাতিন শব্দ । উ:- শুদ্ধ ।

XXI) অ্যালুভিয়েশন মৃত্তিকা সৃষ্টির একটি পর্যায় । উ:- শুদ্ধ ।

XXII) উত্তরবঙ্গের নদীগুলি বরফগলা জলে পু্ষ্ট । উ:- শুদ্ধ ।

XXIII) পৃথিবীর পরিধি নির্ণয় করেন এরাটোসথেনিস । উ:- শুদ্ধ ।

XXIV) পশ্চিমবঙ্গের প্রথম কাপড় কল স্থাপিত হয় ঘুসড়িতে । উ:- শুদ্ধ ।




XXV) টোপোগ্রাফিক্যাল মানচিত্র একটি বিষয়ভিত্তিক মানচিত্র । উ:- শুদ্ধ ।

XXVI) নিরহ্মরেখায় সারাবছর দিনরাত সমান হয় । উ:- শুদ্ধ ।

XXVII) সমভূমিকে খনিজ ভান্ডার বলা হয় । উ:- অশুদ্ধ ।

XXVIII) সম্পদের কার্যকারিতা সর্বদা গতিশীল । উ:- শুদ্ধ।

2) শূন্যস্থান পূরণ করো:- 

I) সম্পদের প্রকৃত জননী হল ------। উ:- মানুষের জ্ঞান 

ii) পৃথিবীর দীর্ঘতম গ্রস্ত উপত্যকা হল -----। উ:- দ্যা গ্রেট রিফট ভ্যালি।

iii) মৃত্তিকা সৃষ্টির প্রাথমিক পর্যায়ে ---- সৃষ্টি হয়।  উ:- রেগোলিথ।

iv) ক্ষয়ীভবনের আরেক নাম ----। উ:- পর্যায়ন।

v) আবহবিকারের অপর নাম ----। উ:- শিলাবিকার।

vi) ধস একধরনের ----। উ:- পুঞ্জিত ক্ষয়।

vii) অ্যাটলাস হল - মানচিত্র।

viii) জাহাজের নাবিকেরা ব্যবহার করেন - মানচিত্র চার্ট।

3) সঠিক উত্তর নির্বাচন করো:-

I) কুলিক পাখিরালয় কোন জেলায় অবস্থিত? উ:- রায়গঞ্জ জেলায়।

ii) পশ্চিমবঙ্গের নবতম জেলা হল -- ঝাড়গ্রাম।

iii) পশ্চিমবঙ্গে পাম্প স্টোরেজ জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র রয়েছে কোন জেলায় ?উ:- পুরুলিয়া জেলায়।

iv) বিহারীনাথ পাহাড় অবস্থিত – বাঁকুড়াজেলায়।

v)মৎস্য বন্দর গড়ে উঠেছে – শংকরপুরে।

vi)চিন সাগরে ঘূর্ণিঝড়টির নাম হল - টাইফুন।

vii) প্রথম মানচিত্র বই প্রকাশ করেন— মার্কেটর।

viii)ভূমিকম্পের দেশ ' বলা হয় -জাপানকে।

ix)জারণ প্রক্রিয়ায় কোন গ্যাসীয় উপাদান প্রয়োজন হয়? উ:- অক্সিজেন।

x) ভারতের নিম্নলিখিত কোন অঞ্চল সর্বাধিক ভূমিকম্পপ্রবণ -হিমালয়।

xi)পোড়ামাটির পুতুল ও মূর্তি বিশ্ববিখ্যাত – বিষ্ণুপুর(কৃষ্ণনগর)।

xii) তুষার ঝড় সবচেয়ে বেশি হয় - মেরু অঞ্চলে।

xiii) সুনামী কোন ভাষার শব্দ? উ:- জাপানি শব্দ।

Xiv) জল জমে বরফ হলে কতটা বাড়ে? উ:- 9 শতাংশ।

xv) ভারতের প্রথম পাটকল স্থাপিত হয় - হুগলিতে।

xvi) উত্তর পূর্ব ভারতের প্রবেশদ্বার হল - শিলিগুড়ি।

xvii) কলকাতার পরিপূরক বন্দর হল - হলদিয়া।

xviii) শৈলশহরের রানী বলা হয় - দার্জিলিঙকে।

xix) মিলিয়ন শহরের জনসংখ্যা হয় - 10 লক্ষর বেশি।

xx) পশ্চিমবঙ্গের ধানভান্ডার বলা হয় - বর্ধমানকে।

xxi) ধান উৎপাদনে পশ্চিমবঙ্গ ভারতে - প্রথম।

xxii) পশ্চিমবঙ্গ কোন ধানের চাষ সবচেয়ে বেশি হয় - আমন ধান।

xxiii) পশ্চিমবঙ্গের কোন জেলায় লু বয় - পুরুলিয়া।

xxiv) পশ্চিমবঙ্গে কালবৈশাখী হয় - গ্রীষ্মকালে।

xxv) পশ্চিমবঙ্গের দুঃখ বলা হয় - দামোদরকে।

xxvi) দ্বারকেশ্বর ও শিলাবতীর মিলিত প্রবাহ - রূপনারায়ন।

xxvii) উত্তরবঙ্গের ত্রাসের নদী হল - তিস্তা।

xxviii)কেলেঘাই ও কংসাবতীর মিলিত প্রবাহ - হলদি।

xxix) পশ্চিমবঙ্গের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ হল - সান্দাকফু।

xxx) পশ্চিমবঙ্গের মোট জেলা হল - 23 টি।

xxxi) পশ্চিমবঙ্গের নবতম জেলা হল - ঝাড়গ্রাম।

xxxii) ভারতের প্রাচীনতম তৈলখনি হল - ডিগবয়।

xxxiii ) ভারতেরবৃহত্তম তৈল খনি হল- বোম্বে হাই।

xxxiv ) সাদা কয়লা বলা হয় - জলবিদ্যুৎকে।

xxxv )কোক কয়লা তৈরি হয় - বিটুমিনাস থেকে।

xxxvi) ভারতেরবৃহত্তম কয়লাখনি হল - ঝরিয়া।

xxxvii ) সম্পদের প্রকৃত জননী হল - মানুষের জ্ঞান।

xxxviii) পেনিপ্লেনের অনুচ্চ টিলা হল - মোনাডনক।

xxxix)  পৃথিবীর উচ্চতম মালভূমি হল - পামীর।

XL) পর্বতের যে ঢালে বৃষ্টি হয় - প্রতিবাত ঢাল।

XLI )ভূমধ্যসাগরের আলোকস্তম্ভ বলা হয় - স্ট্রম্বলিকে।

XLII) পাতসংস্থান তত্বের জনক হলেন - পিচো।

XLIII )অক্ষরেখার অপর নাম - সমাক্ষরেখা।

XLIV) দ্রাঘিমা রেখার অপর নাম - দেশান্তর রেখা।

XLV) এক ডিগ্রি দ্রাঘিমার জন্য সময়ের পার্থক্য হয় - চার মিনিট।

XLVI ) কোন স্থান ও তার প্রতিপাদ স্থানের সময়ের পার্থক্য হয় - 12 ঘন্টা।

XLVII) প্রতিটি দ্রাঘিমা কত ডিগ্রি কোন উৎপন্ন করে - 180 ডিগ্রি।

XLVIII) গিনিচের সময় নির্নয়ক ঘড়ি হল - ক্রনোমিটার।

XLIX) ভারতের প্রমাণ দ্রাঘিমা - 82 ডিগ্রি 30 মিনিট।

L) গিনিচের সঙ্গে ভারতের প্রমাণ সময়ের পার্থক্য - সাড়ে পাচ ঘন্টা।

4. সঠিক উত্তর নির্বাচন করো :- 

a) সর্বপ্রথম পৃথিবীর গোলীয় আকৃতির কথা বলেন--- পিথাগোরাস ।

b) পৃথিবীর আবর্তনের গতিবেগ সবচেয়ে বেশি --- নিরক্ষরেখায়। 

c) কোনো স্থান ও তার প্রতিপাদ স্থানের সময়ের পার্থক্য--- 12 ঘণ্টা ।

d)  ভারতে যে নদী গ্রস্ত উপত্যকার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়, তা হল --- নর্মদা। 

e) চ্যুতি দেখা যায় যে পর্বতে, তা হল--- স্তূপ পর্বত । 

f) ভারতের সর্বোচ্চ মালভূমি হল--- লাদাখ মালভূমি ।

g) শিলায় মরচে পড়ে যে প্রক্রিয়ায়, তা হল--- অক্সিডেশন । 

h) আবহবিকারের সঙ্গে অপসারণযুক্ত হলে তাকে বলা হয়--- নগ্নীভবন।

i)  ভারতের সর্বাধিক বন্যাপ্রবণ রাজ্য  হল--- অসম ।

j)  ভারতের বৃহত্তম কয়লাখনি হল---  ঝরিয়া ।

k) একটি অফুরন্ত সম্পদ হল--- সূর্যকিরণ ।

l) টোপোগ্রাফিক্যাল মানচিত্রে সমোন্নতিরেখা যে রঙে দেখানো হয়, তা হল--- বাদামি ।

m) জ্যামিতিক পদ্ধতিতে প্রথম পৃথিবীর পরিধি নির্ণয় করেন--- এরাটোসথেনিস ।

n)  লেগুন দেখা যায় --- উপকুলীয় সমভূমিতে ।

o)  যান্ত্রিক আবহবিকার অধিক লক্ষ করা যায়--- মরু জলবায়ুতে ।

p) মৃত্তিকা হ্ময়ের একটি অন্যতম কারণ হল--- ঝুম  চাষ ।

q) স্থলভাগে সৃষ্ট একটি ঘূর্ণিঝড় হল--- টর্নেডো।

r)  সার্বজনীন স্কেল হল--- ভগ্নাংশসূচক স্কেল।

s) Mappa কথার অর্থ হল --- একখন্ড কাপড় ।

t) পৃথিবীর কহ্মপথের আকৃতি --- উপবৃত্তাকার ।

u) পৃথিবীর পরিক্রমন গতিবেগ ঘন্টায় --- 1 লহ্ম কিমি ।

v) সর্বপ্রথম পৃথিবীর মানচিত্র নির্মান করেন --- মেসোপটেমিয়ানরা ।

w) একটি বামন গ্রহ হল --- প্লুটো ।

x) ভারতের প্রাচীনতম তৈলখনি হল ---ডিগবয় ।

y) পশ্চিমবঙ্গের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ হল --- সান্দাকফু ।

z)  পৃথিবীর নিরহ্মীয় ব্যাস ও মেরু ব্যাসের পার্থক্য হল --- 43 কিমি ।

aa) সমপ্রায়ভূমির টিলা গুলিকে বলে --- মোনাডনক।

ab) নিরহ্মরেখায় পৃথিবীর আবর্তন বেগ --- 1670 কিমি ।

ac) শল্কমোচন অধিক দেখা যায় --- উষ্ণমরু অঞ্চলে ।

ad) শিলাবতী ও দ্বারকেশ্বরের মিলিত রূপ হল --- রূপনারায়ন ।

ae) ভারতের প্রমান দ্রাঘিমা হল --- 82 ডিগ্রি 30 মিনিট পূর্ব দ্রাঘিমা ।

af) ভারতের একটি স্তুপ পর্বত হল --- সাতপুরা ।

ag) টেরাকোটা শহর হল --- বিষ্ণুপুর ।

af) নিশীথ সূর্যের দেশ বলা হয় --- নরওয়েকে ।

ag) Disaster কথার অর্থ হল --- অশুভ তাঁরা ।

ah) বেডফোর্ড লেভেল পরীহ্মাটি করেন --- রাসেল ওয়েলস ।

1। বন্যা ও খরার কারন লেখ।

উ:- বন্যার কারন:- 

ক) একনাগাড়ে কয়েকদিন বৃষ্টি হলে বন্যা দেখা দেয়।

খ) বর্ষা কালের আগে মৌসুমী বায়ু প্রবেশ করলে অতিরিক্ত বৃষ্টির ফলে বন্যা হয়।

গ) মৌসুমী বায়ু বেশি দিন স্থায়ী হলে বন্যা হয়।

ঘ) অতিরিক্ত পরিমাণে বাধের জল ছাড়লে বন্যা হয়।

খরার কারন:- 

ক) মৌসুমী বায়ুর স্থায়ীত্ব কম হলে খরা হয়।

খ) সময়ের পরেও মৌসুমী বায়ুর আগমন না ঘটলে খরা হয়।

গ) স্বাভাবিক এর তুলনায় কম বৃষ্টি হলে খরা হয়।

ঘ) অতিরিক্ত পরিমাণে গাছ কাটার ফলে বৃষ্টির পরিমাণ কমে যায়। ফলে খরা হয়।

2। হিমানী সম্প্রপাত কী? 

উ:- পর্বতের উপরের বিশালাকার বরফের স্তুপ অভিকর্ষের টানে নীচে নেমে আসাকে হিমানী সম্প্রপাত বলে। এর প্রভাবে পার্বত্য অঞ্চলে বিশাল ক্ষয়ক্ষতি হয়।

3) যান্ত্রিক আবহবিকারের প্রক্রিয়াসমূহের সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যা দাও । 

উষ্ণতার পরিবর্তন , শিলাস্তরে চাপের হ্রাসবৃদ্ধি , আর্দ্রতার পরিবর্তন প্রভৃতি কারণে ভূপৃষ্ঠের শিলাস্তর যান্ত্রিকভাবে চূর্ণবিচূর্ণ হলে তাকে যান্ত্রিক আবহবিকার বলে । যান্ত্রিক আবহবিকার বিভিন্নভাবে ঘাটে । যেমন- -

ক ) প্রস্তর টাই খণ্ডীকরণ বা পিওবিশরণ : শিলা তাপের কুপরিবাহী হওয়ায় দিনের বেলা শিলা অধিক তাপে প্রসারিত এবং রাত্রিবেশ কম তাপে সংকুচিত হয় । ক্রমাগত সংকোচন ও প্রসারণের কারণে শিলাস্তরে অসংখ্য ফাটলের সৃষ্টি হয় এবং একসময়ে ফাটল বরাবর শিলাখন্ড আলগা হয়ে খুলে বেরিয়ে আসে । একে প্রস্তুর চাই খ্রন্ডীকরণ বলে । মরুভূমি অঞ্চলের গ্রানাইট শিলায় এই প্রক্রিয়া দেখা যায়।

খ) ক্ষুদ্রকণা বিশরণ :-

শিলা বিভিন্ন খনিজের সমন্বয়ে গঠিত হওয়ায় দিনের প্রস্তর চাই খণ্ডীকরণ বেলায় সূর্যতাপে শিলাখনিজগুলি বিভিন্ন হারে প্রসারিত ও রাত্রিবেলা বিভিন্ন হারে সংকুচিত হয় । ক্রমাগত সংকোচন ও প্রসারণে শিলায় পীড়নের সৃষ্টি হয় এবং একসময় শিলা আওয়াজ করে ফেটে ক্ষু ক্ষুদ্র খাণ্ডে পরিণত হয় । একে ক্ষুদ্রকণা বিশরণ বলে । মরু অঞ্চলের গ্রানাইট শিলাতে এই প্রক্রিয়া দেখা যায় । 

গ) শল্ক মোচন :-

 শিলা তাপের কুপরিবাহী হওয়ায় শিলাস্তরের বাইরের অংশ দিনের বেলায় প্রসারিত ও রাত্রিবেলায় সংকুচিত হয় । কিন্তু ভিতরের অংশ অপরিবর্তনীয় থাকে । ফলে শিলান্তরের ভিতর থেকে বাইরের দিকে তাপীয় ঢালের সৃষ্টি হয় । এর ফলে বাইরের অংশ পিঁয়াজের খোসার মতো খুলে যায় । একে শঙ্কমোচন  বলে । মরু অঞ্চলে গ্রানাইট শিলায় শঙ্কমোচন দেখা যায় ।

4) রাসায়নিক আবহবিকার প্রক্রিয়াগুলির নাম করো এবং যে কোনো দুটি প্রক্রিয়ার ব্যাখ্যা দাও ।

 রাসায়নিক আবহবিকারের প্রধান প্রক্রিয়া গুলি হল— ( 1 ) কার্বনেশন বা অঙ্গারযোজন , ( ii ) অক্সিডেশন বা জারণ ( iii ) হাইড্রেশন বা জলযোজন , ( iv ) হাইড্রোলিসিস বা আর্দ্র বিশ্লেষণ এবং ( v ) সলিউশন বা দ্রবন।

 ( i ) কার্বনেশন ( Carbonation ) বা অঙ্গার যোজন : বায়ুমণ্ডলের কার্বন ডাই - অক্সাইডের  সঙ্গে জলের রাসায়নিক সংযোগ সৃষ্ট কার্বনিক আসিড শিলা খনিজের সাথে বিক্রিয়া ঘটিয়ে শিলার পরিবর্তন ঘটালে তাকে কার্বনেশন বলে । বৃষ্টির জল বাতাসের কার্বন ডাইএক্সাইডের সাথে মিশে সৃষ্টি হয় মৃদু কার্বনিক অ্যাসিড।এই কার্বনিক আসিড চুনাপাথর বা আলশিয়াম কার্বনেটের সাথে বিক্রিয়া ঘটিয়ে ক্যালশিয়াম বাই কার্বনেট তৈরি করে যা সহজেই জলে দ্রবীভূত হয় ।

 ( ii ) অক্সিডেশন ( Oxidation ) বা জারন:-

জল  বা জলীয় বাষ্পের উপস্থিতিতে শিলা খনিজের সাথে রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় অক্সিজেন যুক্ত হলে তাকে কারণ বলে । ভূপৃষ্ঠে যে সকল শিলার মধ্যে লোহা আছে সেখানেই এই প্রক্রিয়া . ক্রিয়াশীল । তাছাড়া আম্ফিবোল , পাইরক্সিন ও বায়োটাইট খনিজের ওপরেও অক্সিডেশন কার্যকর হয় । লোহা যখন ফোরাস অক্সাইড রূপে থাকে তখন তা ভীষণ কঠিন , কিন্তু অক্সিডেশন প্রক্রিয়ায় যখন ফেলিক অক্সাইডে পরিণত হয় তা সহজে ভেঙে যায় এবং শিলায় মরচে ধরে।

9).মৌজা মানচিত্রের গুরুত্ব ও বৈশিষ্ট্য লেখো । 

উ:- ( ১ ) এই মানচিত্র থেকে জমির পরিমাণ ও মালিকানা জানা যায় । ( ২ ) সরকারের জমি অধিগ্রহণের প্রয়োজন হলে এই মানচিত্রের সাহায্য নেয় । ( ৩ ) সরকার জমির রেভিনিউ , ট্যাক্স এই মানচিত্রের মাধ্যমে সংগ্রহ করে । ( ৪ ) সরকার নির্ধারিত জমির এই মানচিত্রের দ্বারা ঠিক হয় । ( ৫ ) উন্নয়নের পরিকল্পনা গ্রহণে এই মানচিত্র কাজে লাগে । ( ৬ ) ভূমিব্যবহার মানচিত্র ( Land Use Map ) এই মানচিত্র থেকেই প্রস্তুত হয় । 

10) টোপোগ্রাফিক্যাল মানচিত্রের বৈশিষ্ট্য লেখো । 

উ:-  ( ১ ) এটি বৃহৎ স্কেলের মানচিত্র এবং এটি সুনির্দিষ্ট স্কেলে আঁকা হয় । ( ২ ) এই মানচিত্রে অক্ষাংশ ও দ্রাঘিমার বিস্তার নির্দিষ্ট থাকে এবং প্রতিটি মানচিত্রের একটি নির্দিষ্ট নাম্বার থাকে । ( ৩ ) জরিপকার্যের মাধ্যমে এই মানচিত্র প্রস্তুত হয় । বর্তমানে উপগ্রহ চিত্র ও আকাশচিত্রথেকে প্রাপ্ত তথ্যের উপর ভিত্তি করে মানচিত্রকে আরও নিখুঁতভাবে পরিবর্ধন ও পরিমার্জন করা হয় । ( ৪ ) বাদামি রঙের সমোন্নতি রেখার সাহায্যে ভূমির উচ্চতা দেখানো হয় ।

11) প্রশ্ন:-পৃথিবীর অভিগত গোলীয় আকৃতির স্বপক্ষে প্রমাণগুলি লেখো।

★একই দ্রাঘিমা বরাবর দুটি অক্ষরেখার মধ্যে দূরত্ব :-

পৃথিবী অভিগত গোলক বলেই একই দ্রাঘিমা বরাবর দুটি অক্ষরেখার মধ্যে দূরত্ব সবস্থানে সমান হয়নি।

★নিরক্ষীয় অঞ্চল অপেক্ষা মেরু অঞ্চলে বস্তুর ওজন বেশি : -

ভূপৃষ্ঠের যে অংশ পৃথিবীর কেন্দ্রের যত কাছে সেখানে। অভিকর্ষজ বল তত বেশি। নিরক্ষীয় অঞ্চল স্ফীত বলেই এটি পৃথিবীর কেন্দ্র থেকে দূরে রয়েছে। ফলে বস্তুর ওজন কম হয়। আবার মেরু অঞ্চল চাপা বলে এটি পৃথিবীর কেন্দ্রের কাছে আসে তাই অভিকর্ষজ বল বেশি। ফলে বস্তুর ওজনও অভিকর্ষজ বল মেরুতে বেশি বলেই নিরক্ষীয় অঞ্চল অপেক্ষা মেরুতে বায়ুমণ্ডলীয় চাপও বেশি।

★পৃথিবীর নিরক্ষীয় ও মেরু ব্যাস এবং পরিধির দৈর্ঘ্য সমান নয়: 

বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে মেরু ব্যাস অপেক্ষা নিরক্ষীয় ব্যাস ৪৩ কিমি দীর্ঘতর এবং মেরু পরিধি অপেক্ষা নিরক্ষীয় পরিধি ৫১ কিমি বেশি দীর্ঘ। অতএব নিরক্ষীয় অঞ্চল স্ফীত এবং মেরু অঞ্চল চাপা-পৃথিবীর আকৃতি অভিগত গোলক।

★দোলক ঘড়ি নিরক্ষীয় অঞ্চলে ধীরে এবং মেরু অঞ্চলে দ্রুত চলে: 

নিউটনের সূত্র অনুযায়ী পৃথিবীর যে বস্তু কেন্দ্রের যত কাছে সেখানে আকর্ষণ ক্ষমতা তত বেশি। এই নিয়ম অনুযায়ীই দোলক ঘড়ি কেইন দ্বীপে (নিরক্ষীয় অঞ্চলের কাছে বলে) আস্তে এবং প্যারিসে (নিরক্ষীয় অঞ্চল থেকে দূরে) ঠিক সময়ে চলে।

* নক্ষত্রের উন্নতি কোণের তারতম্য:

কোনো দ্রাঘিমা বরাবর উত্তরে নির্দিষ্ট দূরত্ব অতিক্রম করার পর (ধরো ১১০ কিমি) তুমি যন্ত্র দিয়ে মেপে দেখলে ধ্রুবতারা ১০ কোণ তৈরি করেছে। এই নিয়ম মেনে তুমি আরও ১১০ কিমি উত্তরে গিয়ে ভাবলে এখানে ধ্রুবতারার উন্নতি কোণ ২০ হবে। কিন্তু হল না, সামান্য কম হল। তুমি ২০ মান পেলে ঠিকই কিন্তু আরও একটু উত্তরে গিয়ে সামান্য বেশি দূরত্ব অতিক্রম করার পর। পৃথিবী অভিগত গোলক বলেই দূরত্ব অতিক্রম করার পর। পৃথিবী অভিগত গোলক বলেই মেরুর দিকে যত যাবে ধ্রুবতারার উন্নতিকোণের জন্য সামান্য বেশি দূরত্ব অতিক্রম করতে হবে।

No comments:

Post a Comment