Thursday, May 22, 2025

Ix H total

 বিবেকানন্দ কোচিং সেন্টার

শিক্ষক :- স্বপন কুমার রায়।

নবম শ্রেনী ইতিহাস 2023 প্রশ্নোত্তর

উপবিভাগ – ক

1) সত্য ও মিথ্যা নির্ণয় করো :-

i) বিসমার্ক এমস্ টেলিগ্রাম মারফত ইটালিকে যুদ্ধের ফাঁদে ফেলেন । উ:- মিথ্যা।

ii) গ্রিক জাতীয়তাবাদের উন্মেষে হেটাইরিয়া ফিলকের বিশেষ ভূমিকা ছিল । উ:- সত্য।

iii) কার্ল মার্কস বলেছেন রাষ্ট্র হল শ্রেণি শোষণের যন্ত্র ।উ:- সত্য।

iv) জাতিসংঘের পতন হয় 1946 খ্রিস্টাব্দে । উ:- মিথ্যা।

v) আমেরিকা নাগাসাকিতে ' ফ্যাটম্যান ' নামে পারমাণবিক বোমা ফেলেছিল ।উ:- সত্য।

vi) আন্তর্জাতিক বিচারালয়ের বিচারপতিরা ন - বছরের জন্য নির্বাচিত হন ।উ:- সত্য।

vii) 1917 খ্রিস্টাব্দে রুশ বিপ্লবের কালে জার ছিলেন দ্বিতীয় নিকোলাস ।উ:- সত্য।

viii) জাতিসংঘের খসড়া সংবিধান লিগ কভেনান্ট।উ:- সত্য।

ix) ফ্রাংকো ছিলেন জার্মান সেনানায়ক।উ:- মিথ্যা।

x) জাতিসংঘ প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পরে তৈরি হয়।উ:- সত্য।

xi) এপ্রিল থিসিস ঘোষনা করেন লেনিন।উ:- সত্য।

xii) ফুয়েরার হিটলারের উপাধী।উ:- সত্য।

xiii) বুরবো রাজারা ছিল একছত্র ক্ষমতার অধিকারী।উ:- সত্য।

xiv) ভারত ছিল ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের রত্ন।উ:- সত্য।

xv) কার্ল মার্কস বলেছেন রাষ্ট্র হল শ্রেণি শোষনের যন্ত্র।উ:- সত্য।

xvi) মুসোলিনি নাৎসিবাদের সূচনা ঘটান।উ:- মিথ্যা।

xvii) ইতালিতে জোলভেরাইন নামক শুল্ক সংঘ গঠিত হয়।উ:- সত্য।

xviii) ঘেটো হল শিল্প বিপ্লব কালে শহরের ছোট অঞ্চল।উ:- সত্য।

xix) নেপোলিয়ন তার ভাই জেরেম বোনাপার্টকে দক্ষিণ ইতালির সিংহাসনে বসান।উ:- সত্য।

xx) লিটল বয় একটি পারমাণবিক বোমা।উ:- সত্য।

উপবিভাগ – খ

2)  : বিবৃতিটির সঙ্গে সঠিক ব্যাখ্যাটি নির্বাচন করো 

i)বিবৃতি বিপ্লবপূর্ব ফ্রান্স ছিল ' ভ্রান্ত অর্থনীতির জাদুঘর । : 

ব্যাখ্যা ১। ফ্রান্সের বুরবো রাজারা অনর্থক একটি অর্থনীতির জাদুঘর প্রতিষ্ঠা করেন । 

ব্যাখ্যা ২ ফরাসি সরকারের অর্থনৈতিক নীতি , শুষ্কনীতি ছিল বৈষম্যমূলক । 

ব্যাখ্যা ৩। অর্থনৈতিক সমস্যা ও সমাধানের ক্ষেত্র ছিল অসামঞ্জস্যপূর্ণ ।

উ:-  ব্যাখ্যা ২ ফরাসি সরকারের অর্থনৈতিক নীতি , শুষ্কনীতি ছিল বৈষম্যমূলক । 

ii) বিবৃতি : নেপোলিয়ন পোপের সঙ্গে ধর্মমীমাংসা চুক্তি ( 1801 খ্রিস্টাব্দে ) স্বাক্ষর করেন । 

ব্যাখ্যা ১ ধর্মীয় ক্ষেত্রে ঐকা প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিলেন । 

ব্যাখ্যা ২ চার্চের সম্পত্তির জাতীয়করণ করতে চেয়েছিলেন ।

ব্যাখ্যা ৩ রাজনৈতিক কারণে চার্চের ওপর রাষ্ট্রের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিলেন ।

উ:- ব্যাখ্যা ২ চার্চের সম্পত্তির জাতীয়করণ করতে চেয়েছিলেন ।

iii) বিবৃতি : মহান পিটার বা জার পিটার দ্য গ্রেট ' আধুনিক রাশিয়ার জনক ' নামে পরিচিত । 

ব্যাখ্যা ১। তিনি ভূমিদাসদের মুক্তি দেন ।

 ব্যাখ্যা ২ : তাঁর শাসনকালে রাশিয়ার আধুনিকীকরণ শুরু হয় । 

ব্যাখ্যা ৩ তাঁর শাসনকালে রাশিয়ার শিল্পায়নের সূচনা হয় । 

উ:-  ব্যাখ্যা ২ : তাঁর শাসনকালে রাশিয়ার আধুনিকীকরণ শুরু হয় । 

iv) হিটলার অপারেশন বারবারোসার মাধ্যমে পূর্ব সীমান্তে যুদ্ধ শুরু করেন । 

ব্যাখ্যা ১: হিটলার অপারেশন বারবারোসার মাধ্যমে হাঙ্গেরি আক্রমণ করেন । 

ব্যাখ্যা ২ :হিটলার অপারেশন বারবারোসার মাধ্যমে পোল্যান্ড আক্রমণ করেন । 

ব্যাখ্যা ৩: হিটলার অপারেশন বারবারোসার মাধ্যমে রাশিয়া আক্রমণ করেন ।

উ:- ব্যাখ্যা ৩: হিটলার অপারেশন বারবারোসার মাধ্যমে রাশিয়া আক্রমণ করেন ।

v) বিবৃতি : ১৮১৫ খ্রিস্টাব্দে ভিয়েনা সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় । 

ব্যাখ্যা ১। বিজয়ী নেতৃবর্গ ইউরোপের পুনর্গঠন চেয়েছিলেন । 

ব্যাখ্যা ২:- নেতৃবৃন্দ ফরাসি বিপ্লবের ভাবধারা ফ্রান্সের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে চেয়েছিলেন ।

 ব্যাখ্যা ৩ বিজয়ী নেতারা নেপোলিয়নকে নির্বাসনে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিতে চেয়েছিলেন ।

উ:- ব্যাখ্যা ১। বিজয়ী নেতৃবর্গ ইউরোপের পুনর্গঠন চেয়েছিলেন । 

vi) বিবৃতি : নেপোলিয়ন বিপ্লবের ধ্বংসকারী ছিলেন । 

ব্যাখ্যা ১ - তিনি বিপ্লবের সাম্য ও মৈত্রীর আদর্শকে ধ্বংস করেছিলেন । 

ব্যাখ্যা ২।তিনি ইউরোপের বিস্তীর্ণ অঞ্চল দখল করেছিলেন । 

ব্যাখ্যা ৩:- । তিনি বিপ্লবের স্বাধীনতার আদর্শ ধ্বংস করে স্বৈরাচারী হয়ে উঠেছিলেন ।

উ:- ব্যাখ্যা ৩:- । তিনি বিপ্লবের স্বাধীনতার আদর্শ ধ্বংস করে স্বৈরাচারী হয়ে উঠেছিলেন ।

viii) ফরাসি  বিপ্লবে দার্শনিকরা ভূমিকা রেখেছিলেন।

 ব্যাখ্যা ১ দার্শনিকরা সরাসরি বিপ্লবে যোগ দিয়েছিলেন । 

ব্যাখ্যা ২ : দার্শনিকরা ফরাসি আর্থ সামাজিক প্রকৃতির সমালোচনা করেছিলেন । 

ব্যাখ্যা ৩ দার্শনিকর অভিজাত বিপ্লব করেছিলেন ।

উ:-ব্যাখ্যা ২ : দার্শনিকরা ফরাসি আর্থ সামাজিক প্রকৃতির সমালোচনা করেছিলেন । 

ix) নেপোলিয়ন ছিলেন বিপ্লবের সন্তান।

 ব্যাখ্যা ১ নেপোলিয়ন ফরাসি বিপ্লনের জন্যই ক্ষমতায় আসতে পেরেছিলেন । 

ব্যাখ্যা ২ : নেপোলিয়ন বিপ্লবের আদর্শ বিশ্বে ছড়িয়েছিলেন ।

 ব্যাখ্যা ৩ । নেপোলিয়ন বিপ্লবকে ধ্বংস করেছিলেন । 

উ:- ব্যাখ্যা ৩ । নেপোলিয়ন বিপ্লবকে ধ্বংস করেছিলেন । 

x) বিবৃতি:- মার্শাল পরিকল্পনা ও ট্রুম্যান ডকট্রিন রচিত হয় -

 ব্যাখ্যা ১। বিশ্বের গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রজোট গঠনের জন্য । 

ব্যাখ্যা ২। বিশ্বের সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্রজোট গঠনের জন্য ।

 ব্যাখ্যা ৩। বিশ্বের সামরিক রাষ্ট্রজোট গঠন করা।

উ:- ব্যাখ্যা ১। বিশ্বের গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রজোট গঠনের জন্য । 

xi) ফরাসি বিপ্লবের প্রাক্কালে ফ্রান্সের রাজকোশ শূন্য হয়ে পড়ে । 

ব্যাখ্যা১) ফ্রান্সের কৃষি ব্যবস্থা ভেঙে পড়ার জন্য ।

ব্যাখ্যা২)ফ্রান্সের বাণিজ্য ব্যবস্থা অচল হয়ে যাওয়ার জন্য । 

ব্যাখ্যা ৩) ফরাসি রাজপরিবারের বিলাসিতা , যুদ্ধনীতি , ঋণনীতি ইত্যাদির জন্য । 

উ:- ব্যাখ্যা ৩) ফরাসি রাজপরিবারের বিলাসিতা , যুদ্ধনীতি , ঋণনীতি ইত্যাদির জন্য । 

xiii) বিবৃতি : দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শেষে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও সোভিয়েত রাশিয়ার মধ্যে ঠান্ডা লড়াই শুরু হয় । 

ব্যাখ্যা ১ : মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও সোভিয়েত রাশিয়া উভয়েই যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার পক্ষপাতী ছিল ।

 ব্যাখ্যা ২। নিজ নিজ স্বার্থরক্ষার জন্য উভয় রাষ্ট্রের সংঘাত অনিবার্য ছিল । 

ব্যাখ্যা ৩। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সোভিয়েত রাশিয়াকে আর্থিক দিক থেকে সাহায্য করতে চায়নি।

উ:- ব্যাখ্যা ২। নিজ নিজ স্বার্থরক্ষার জন্য উভয় রাষ্ট্রের সংঘাত অনিবার্য ছিল । 

xiii) বিবৃতি:  চিনকে ইউরোপীয়রা তরমুজের মতো টুকরো করেছিল— 

ব্যাখ্যা১)  । তাদের অর্থনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করতে । 

ব্যাখ্যা ২ ইউরোপ চিন দেশকে দুর্বল করতে চেয়েছিল । 

ব্যাখ্যা ৩ : ছোটো ছোটো অঞ্চলে ভাগ করে চিনের উন্নতি করতে ।

উ:- ব্যাখ্যা ১)  । তাদের অর্থনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করতে । 

xiv)   বিবৃতি ; উগ্ন জাতীয়তাবাদ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের একটি কারণ হয়ে উঠেছিল— 

ব্র্যাখ্যা ১। উগ্র জাতীয়তাবাদের জন্য জার্মানি ইটালির মতো দেশগুলি সাম্রাজ্যবাদী আগ্রাসী নীতি নিয়েছিল ।

ব্যাখ্যা ২ উগ্র জাতীয়তাবাদ জাতিগুলিকে শক্তিশালী করে তুলেছিল । 

ব্যাখ্যা৩  উগ্র জাতীয়তাবাদের প্রসারে কিছু দেশ অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়েছিল । 

উ:- ব্র্যাখ্যা ১। উগ্র জাতীয়তাবাদের জন্য জার্মানি ইটালির মতো দেশগুলি সাম্রাজ্যবাদী আগ্রাসী নীতি নিয়েছিল 

xv) বিবৃতি : এমস টেলিগ্রাম ' - এর ঘটনাকে ঘিরে ফ্রান্স প্রাশিয়ার যুদ্ধ হয়।

ব্যাখ্যা ১ প্রাশিয়া ফ্রান্সের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে । 

ব্যাখ্যা ২ কুটকৌশলী বিসমার্ক অসম্পূর্ণ টেলিগ্রাম ছাপিয়ে যুদ্ধ বাধান ।

 ব্যাখ্যা ও প্রাশিয়ার রাজা ফরাসি রাষ্ট্রদূতকে অপমান করেন ।

উ:- ব্যাখ্যা ২ কুটকৌশলী বিসমার্ক অসম্পূর্ণ টেলিগ্রাম ছাপিয়ে যুদ্ধ বাধান ।

xvi) বিবৃতি : প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠিত হয় । 

ব্যাখ্যা ১  উদ্দেশ্য ছিল বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠা । 

ব্যাখ্যা ২ মানুষের আর্থ - সামাজিক অবস্থার উন্নতি ঘটানো । 

ব্যাখ্যা ৩  আন্তর্জাতিক আইন চালু করা ।

উ:- ব্যাখ্যা ১  উদ্দেশ্য ছিল বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠা । 

xvii) বিবৃতি রুশীকরণনীতির বিরুদ্ধে সোভিয়েত রাশিয়ায় প্রবল বিক্ষোভ শুরু হয় । 

ব্যাখ্যা ১। জার সরকার অনরুশদের ওপর অত্যাচার শুরু করে । 

ব্যাখ্যা ২- জার সরকার অরুশদের ওপর রুশ ভাষা , সংস্কৃতি ও কৃষ্টি চাপিয়ে দেয় । 

ব্যাখ্যা ৩  জার সরকার অনুশদের রাশিয়া থেকে বিতাড়িত করার আদেশ দেয় । 

উ:- ব্যাখ্যা ২- জার সরকার অরুশদের ওপর রুশ ভাষা , সংস্কৃতি ও কৃষ্টি চাপিয়ে দেয় । 

xviii) বিবৃতি : মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জাতিসংঘের সদস্য হয়নি । 

ব্যাখ্যা ১ : মার্কিন সেনেট জাতিসংঘে যোগদানের অনুমতি দেয়নি । 

ব্যাখ্যা ২ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের সর্বাধিক ধনী রাষ্ট্র ছিল । 

ব্যাখ্যা ৩ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বজুড়ে অস্ত্র প্রতিযোগিতায় নেতৃত্ব দিয়েছিল ।

উ:- ব্যাখ্যা ১ : মার্কিন সেনেট জাতিসংঘে যোগদানের অনুমতি দেয়নি । 

অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নাবলী :-

1) ইউরোপের রুগ্ন মানুষ বলা হয় - তুরস্ককে।

2) প্রভাদা ছিল - বলশেভিক দলের মুখপত্র।

3) শান্তি- জমি- রুটি স্লোগানটি জনপ্রিয় হয় - বলশেভিক বিপ্লবের সময়।

4) ক্যাশ অ্যান্ড ক্যারি নীতি নিয়েছিল - আমেরিকা।

5) জাতিপুঞ্জের সদর দপ্তর - নিউ ইয়র্ক এ।

6) অ্যাসাইনেট হল - এক ধরনের কাগজের নোট।

7) ইনটেন্টডেন্টদের পদগুলি দখল করেছিল - অভিজাতরা।

8) নেপোলিয়ন প্রথমবার নির্বাসিত হন - এলবা দ্বীপে।

9) দ্বন্দ্বমূলক বস্তুবাদের প্রবক্তা - কার্ল মার্কস।

10) ফ্রান্সকে ভ্রান্ত অর্থনীতির যাদুঘর বলেছেন - অ্যাডাম স্মিথ।

11) রোবসপিয়র ছিলেন - জ্যাকোবিন নেতা।

12) দ্বিতীয় জাস্টিনিয়ান বলা হয় - নেপোলিয়নকে।

13) নেপোলিয়নের বিরুদ্ধে পোড়ামাটি নীতি গ্রহন করে - রাশিয়া।

14) নেপোলিয়নের শেষ যুদ্ধ ছিল - ওয়াটারলুর যুদ্ধ।

15) হিটাইরিয়াফিলিকে প্রতিষ্ঠা করেছেন - স্কুপাস নামক গ্রিক ব্যবসায়ী।

16) ক্রিমিয়ারযুদ্ধ কত বছর ধরে চলছিল? উ:- তিন বছর ধরে।

17) দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের মহড়া বলা হয় - স্পেনের গৃহযুদ্ধকে।

18) কমিউনিস্ট ম্যানিফেস্টো গ্রন্থটি রচনা করেন - মার্কস এঙ্গেলস।

19) টিলজিটের সন্ধি স্বাক্ষরিত হয় - 1807 খ্রিঃ।

20) বলকান অঞ্চলে উষ্ণজল নীতি গ্রহণ করে - রাশিয়া।

21) প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শুরু  হয় - 1914 খ্রিঃ 24 শে জুলাই।

22) ব্যাংক অব ফ্রান্স প্রতিষ্ঠা করেন - নেপোলিয়ন।

23) নাৎসি দলের সংগীত রচয়িতা ছিলেন - হস্ট ওয়েলেস।

24) ফরাসি বিপ্লবের আদর্শ ছিল - সাম্য, মৈত্রী ও স্বাধীনতা।

25) জুলাই বিপ্লব কোন রাজবংশের পতন ঘটায়? উ:- বুরবো রাজবংশের।

26) অসিয়া রেজিম কথার অর্থ হল - পুরাতনতন্ত্র।

27) আমিই রাষ্ট্র কথাটি বলেছেন - চতুর্দশ লুই।

28) ফ্রান্সে ' গ্যাবেল " ছিল একধরনের- লবন কর।

29) অষ্টাদশ শতকের ফ্রান্স ছিল একটি - কৃষিনির্ভর দেশ।

30) নেপোলিয়ন সারাজীবনের জন্য কনসাল পদে নিযুক্ত হন - 1802 খ্রিস্টাব্দে।

31) চাটিস্ট আন্দোলন হয়েছিল - ইংল্যাণ্ডে।

32) জেমস ওয়াট আবিষ্কার করেন - বাস্পচালিত ইঞ্জিন।

33) সোভিয়েত রাশিয়ার পার্লামেন্টের নাম- ডুমা।

34) জাতিসংঘের প্রথম মহাসচিব ছিলেন - এরিক ড্রুমন্ড।

35) জাতিপুঞ্জ দিবস হিসেবে পালিত হয় - 24 শে অক্টোবর দিনটি।

36) সন্ত্রাসের রাজত্বে ব্যবহার হওয়া যন্ত্রটি হল - গিলোটিন।

37) স্পিনিং জেনি আবিষ্কার করেন - হারগ্রিভস।

38) প্যারিস শান্তি সম্মেলন হয়েছিল –  1919 খ্রিস্টাব্দে।

39) বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থাটি হল— WHO।

40) পার্ল হারবার ছিল—  মার্কিন নৌ-ঘাঁটি।

41) আটলান্টিক সনদ স্বাক্ষরিত হয় –  1941 খ্রিস্টাব্দে।

42) যার হাতে বল, সেই রাষ্ট্র পরিচালনার অধিকারী—উক্তিটি হল – মুসোলিনির।

43) ভার্সাই চুক্তিতে মোট ধারার সংখ্যা ছিল – 440 টি।

44) NATO-এর পুরো কথা হল—North Atlantic Treaty Organisation।

45) জাতিসংঘের জনক নামে যিনি পরিচিত ছিলেন – উড্রো উইলসন।

46) ভেটো (Veto) কথার অর্থ-  প্রস্তাব নাকচ করা।

47) UNO-এর পুরো নাম হল - ইউনাইটেড নেশনস্ অর্গানাইজেশন।

48) মীর’ ছিল— গ্রাম্য সমিতি।

49) ফুয়েরার” বা ‘প্রধান নেতা’ বলে কাকে সম্বোর্ধিত করা হয়? -হিটলার।

50) ইটালিতে ফ্যাসিস্ট দল গঠন করেন – বেনিতো মুসোলিনি।

51) উনিশ শতকে অন্ধকারাচ্ছন্ন মহাদেশ’ নামে যে দেশটি পরিচিত ছিল— আফ্রিকা।

52) সেফটি ল্যাম্প’ আবিষ্কার করেন—  হামফ্রি ডেভি।

53) পুঁজিবাদের সর্বোচ্চ স্তর হল সাম্রাজ্যবাদ’– এ কথা বলেছিলেন— কার্ল মার্কস।

54) দুনিয়ার শ্রমিক এক হও’–এরূপ আহ্বান জানান— কার্ল মার্কস।

55) ভারতে কবে রেলপথ প্রর্বতিত হয়? - 1853 খ্রিস্টাব্দে।

56) কূটনীতির যাদুকর বলা হত—  মেটারনিখকে।

57) ডাইরেক্টরি শাসনের সদস্য সংখ্যা ছিল—  5 জন।

58) ক্ষমতা বিভাজন নীতির কথা বলেন  –  মন্তেস্কু।

59) ওয়েলথ অব নেশন গ্রন্থের রচয়িতা হলেন—  অ্যাডাম স্মিথ।

60) পঞ্চদশ লুইকে ‘প্রজাপতি রাজা’ বলা হয়।

61) ফরাসি বিপ্লবের সূচনাকালে ফ্রান্সের রাজা কে ছিলেন?

উত্তর। ফরাসি বিপ্লবের সূচনাকালে ফ্রান্সের রাজা ছিলেন ষােড়শ লুই।

62) প্লেবিয়ান’ কারা?

উত্তর ফরাসি বিপ্লবের আগে ফরাসি সমাজের তৃতীয় শ্রেণির মানুষরা ‘প্লেবিয়ান’ নামে পরিচিত ছিল।

63) 40সামাজিক চুক্তি' (Social Contract) গ্রন্থের রচয়িতা কে?

উত্তর। সামাজিক চুক্তি’ (Social Contract) গ্রন্থের রচয়িতা হলেন রুশাে।

64) কুলাক' কাদের বলা হয়?

উত্তর রাশিয়ার নতুন জমিদার বা জোতদার শ্রেণিকে কুলাক’ বলা হয়।

65) ওয়াল ওয়াল ঘটনা' কী ?

উত্তর ওয়াল ওয়াল হল আফ্রিকা মহাদেশের অন্তর্গত আবিসিনিয়ার সীমান্তবর্তী একটি গ্রাম।  ১৯৩৪ খ্রিস্টাব্দের ৫ ডিসেম্বর সােমালিল্যান্ড ও আবিসিনিয়ার সীমান্তে অবস্থিত ওয়াল ওয়াল গ্রামে দুপক্ষের সেনাবাহিনীর মধ্যে খণ্ডযুদ্ধ হয়। এই ঘটনাকে 'ওয়াল ওয়াল ঘটনা’ বলা হয়। 

66).অপারেশন বারবারোসা’ কী ?

উত্তর হিটলারের রাশিয়া অভিযানের (১৯৪১ খ্রি.) সাংকেতিক নাম ছিল ‘অপারেশন বারবারােসা’। 

1) টীকা লেখো : রুশ - জার্মান অনাক্রমণ চুক্তি 

জার্মানির শাসক হিটলার এবং রাশিয়ার  শাসক স্ট্যালিনের মধ্যে 1939 খ্রিস্টাব্দে  রুশ-জার্মান অনাক্রমন চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

a) জার্মানির উদ্দেশ্য :হিটলার উপলব্ধি করেন যে  পোল্যান্ড আক্রমণ করতে গিয়ে একই সঙ্গে পূর্ব সীমান্তে রাশিয়া এবং পশ্চিম সীমান্তে ইঙ্গ ফরাসি শক্তির বিরুদ্ধে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়তে হতে পারে। তাই  হিটলার আপতত রাশিয়ার সঙ্গে মিত্রতা স্থাপনের দ্বারা পূর্ব সীমান্তে যুদ্ধের সম্ভাবনা দুর করেন । যাতে তিনি  পোল্যান্ড আক্রমন করতে পারেন।

b) রাশিয়ার উদ্দেশ্য : সাম্যবাদ - বিরোধী ইঙ্গ - ফরাসি শক্তির সঙ্গে জোট গঠনে ব্যর্থ হয়ে রাশিয়া নিজের নিরাপত্তার প্রয়োজনে জার্মানির সঙ্গে মিত্রতা স্থাপনে আগ্রহী হয় ।

c).চুক্তি স্বাক্ষর : রাশিয়া ও জার্মানির মধ্যে ১৯৩৯ খ্রিস্টাব্দে ( ২৩ আগস্ট ) রুশ - জার্মান অনাক্রমণ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় । এই চুক্তি স্বাক্ষরে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী মলোটভ এবং জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী রিবেনট্রপ । 

d) চুক্তির শর্তাবলি : রুশ - জার্মান অনাক্রমণ চুক্তির দ্বারা স্থির হয় যে , রাশিয়া ও জার্মানি — [ 1 ] শান্তিপূর্ণ উপায়ে নিজেদের মধ্যে বিবাদের মীমাংসা করবে । [ 2 ] পরবর্তী ১০ বছর একে অপরকে আক্রমণ করবে না । [ 3 ] তৃতীয় কোনো শক্তির দ্বারা আক্রান্ত হলে কেউ তৃতীয় পক্ষকে সহায়তা করবে না । [ 4 ] পোল্যান্ডকে নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি করে নেবে । 

e)  চুক্তিভঙ্গ : রাশিয়ার সঙ্গে অনাক্রমণ চুক্তি সত্ত্বেও হিটলার দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় চুক্তি ভঙ্গ করে ১৯৪১ খ্রিস্টাব্দে ( ২২ জুন ) রাশিয়া আক্রমণ করেন ।

2)   রোম বার্লিন - টোকিও অক্ষচুক্তি

দুই বিশ্বযুদ্ধের মধ্যবর্তী সময়ে যেসব উগ্র সাম্রাজ্যবাদী একনায়কের আবির্ভাব ঘটে তাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন ইটালির মুসোলিনি , জার্মানির হিটলার এবং জাপানের তোজো । দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আগে ইটালি , জার্মানি ও জাপানের মধ্যে ‘ রোম- বার্লিন - টোকিও অক্ষচুক্তি ' নামে এক মৈত্রীজোট গড়ে ওঠে ।

a) ঘনিষ্টতার উদ্যোগ : জার্মান শক্তিবৃদ্ধিতে আতঙ্কিত হয়ে ইটালির শাসক মুসোলিনি ফ্রান্সের সঙ্গে মিত্রতা গড়ে তোলেন । কিন্তু হিটলার উপলব্ধি করেন যে , জার্মানি ভবিষ্যতে অস্ট্রিয়া দখলের উদ্যোগ নিলে ইটালির সমর্থন তাঁর বিশেষ প্রয়োজন ।মুসোলিনি ১৯৩৫ খ্রিস্টাব্দে অ্যাবিসিনিয়া আক্রমণ করলে হিটলার তাঁকে সমর্থন করেন । ফলে মুসোলিনি ও হিটলারের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা বৃদ্ধি পায় । 

b) রোম - বার্লিন অক্ষচুক্তি : মুসোলিনি ও হিটলারের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা বৃদ্ধি পেলে উভয়ের মধ্যে মিত্রতা ( অক্টোবর , ১৯৩৬ খ্রি . ) গড়ে ওঠে । ইটালি ও জার্মানির মধ্যে স্থাপিত এই মিত্রতা ' রোম - বার্লিন অক্ষ্যচুক্তি ' নামে পরিচিত। ১৯৩৬ খ্রিস্টাব্দের নভেম্বরে জার্মানি ও জাপানের মধ্যে সাম্যবাদ - বিরোধী অ্যান্টি কমিষ্টার্ন চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় । 

c)  রোম - বার্লিন - টোকিও অক্ষচুক্তি:- জার্মানি ও জাপানের অ্যান্টি কমিন্টার্ন জোটে ইটালি যোগ ( ৬ নভেম্বর , ১৯৩৭ ( . ) দিলে ইটালি , জার্মানি ও জাপানের মধ্যে রোম বার্লিন - টোকিও অক্ষচুক্তি মৈত্রীজোট গড়ে ওঠে ।

3) পার্ল হারবারের ঘটনা কী?

উ:- পার্ল হারবার হল প্রশান্ত মহাসাগরের হাওয়াই দ্বীপে অবস্থিত একটি বন্দর । এখানে আমেরিকা তার নৌঘাঁটি স্থাপন করেছিল । 

a) আমেরিকার উদ্যোগ : জাপানের আগ্রাসী নীতির ফলে আমেরিকা— [ 1 ] জাপানের সঙ্গে পুরোনো বাণিজ্যিক চুক্তিটি বাতিল করে দেয় । [ 2 ] জাপানে পেট্রোলিয়ামজাত পণ্য - সহ বেশ কয়েকটি পণ্য সরবরাহ বন্ধ করে দেয় । [ 3 ] আমেরিকায় অবস্থিত জাপানি সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে । এসব ঘটনায় জাপান ক্ষুব্ধ হয় । 

b)  যুদ্ধের সম্ভাবনা : জাপান খনিজ তেলসমৃদ্ধ দক্ষিণ ইন্দোচিন দখল ( ১৯৪১ খ্রি . ) করে নিলে জাপানের সঙ্গে আমেরিকা সব ধরনের বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছিন্ন করে । এরপর চিন ও ইন্দোচিন থেকে জাপানি সেনা প্রত্যাহারের দাবি জানায় । আমেরিকার এই দাবি জাপান প্রত্যাহার করলে উভয় পক্ষের মধ্যে যুদ্ধের সম্ভাবনা দেখা দেয় ।

c) পার্ল হারবারে আক্রমণ : জাপান ১৯৪১ খ্রিস্টাব্দের ৭ ডিসেম্বর সকালে বিশাল নৌবহর ও ৩৩৫ টি যুদ্ধবিমান নিয়ে ভাইস অ্যাডমিরাল নোগুচি - র নেতৃত্বে আমেরিকার নৌঘাঁটি পার্ল হারবারে বোমাবর্ষণ শুরু করে এবং এখানকার মার্কিন নৌঘাঁটি ধ্বংস করে দেয় । এটি পার্ল হারবারের ঘটনা নামে পরিচিত ।

d) ফলাফল :- এই ঘটনার পরদিন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জাপানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করলে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু  হয়।


No comments:

Post a Comment