History of North Bengal DSE2
1 . Answer any ten questions from the following :
( a ) Write the full form of S.R.C.
উ:- SRC এর পুরো কথা হল States Reorganisation Commission.
( b ) Who was the last Independent king of Cooch Behar State ?
উ:- কোচবিহারের শেষ স্বাধীন রাজা ছিলেন জগদীপেন্দ্র নারায়ন।
( e ) What do you mean by " Haluya " in Cooch Behar and Jalpaiguri ?
উ :- কোচবিহার ও জলপাইগুড়িতে Haluya বলতে একধরনের প্রথাগত নাচকে বোঝানো হয়।
( d ) In which year Rai Saheb Panchanan Barma was born ?
উ:- বাংলা 1272 সালে 1 লা ফাল্গুন (ইংরেজি 1865 খ্রি: ) পঞ্চানন বর্মা জন্মগ্রহন করেন।
( e ) In which year was the Rajbanshi Kshatriya Samiti founded ?
উ:- পঞ্চানন বর্মা রাজবংশীদের জন্য বাংলা 1317 সালে রংপুর জেলায় ক্ষত্রিয় সমিতি তৈরি করেন ।
( g) Who wrote the famous book The Rajbanshis of North Bengal " ?
উ :- চারুচন্দ্র সান্যাল The Rajbanshis of North Bengal গ্রন্থটি লিখেছেন।
( h ) Who was the founder of Khen Dynasty ?
উ :- কামতাপুরে খেনবংশের প্রতিষ্ঠাতা হলেন নীলধ্বব্জ। তিনি কামতেশ্বর উপাধী নেন।
(i) When did the Anglo-Koch treaty signed?
উ :- অ্যাংলো - কোচ সন্ধি স্বাহ্মরিত হয় 1773 খ্রিষ্টাব্দে।
(j) When did the Rangpur Sahitya Parisad establish/found ?
উ:- রংপুর সাহিত্য পরিষদ গঠিত হয় 1905 খ্রিষ্টাব্দে।
(k) Who was the Hubsi ruler who attaked Kamtapur?
উ:- গৌড়ের হাবসি রাজা আলাউদ্দিন হোসেন শাহ কামতাপুর আক্রমন করেন।
(l) Who founded Nabobidhan Brahma Samaj ?
উ:- কেশবচন্দ্র সেন 1880 খ্রিষ্টাব্দে নববিধান ব্রাহ্মসমাজ প্রতিষ্ঠা করেন।
(m) Who gave the title Brahmananda to Keshab Ch. Sen?
উ:- কেশবচন্দ্র সেনকে ব্রহ্মানন্দ উপাধী দেন দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর।
(n) Who wrote 'The Autobiography of an Indian Princess' / Amrit Bindu / Sishu Keshab ?
উ :- মহারানী সুনীতি দেবী The Autobiography of an Indian Princess ও অমৃতবিন্দু , শিশু কেশব গ্রন্থগুলি লিখেছেন।
(o) What is the present name of Victoria College ?
উ:- ভিক্টোরিয়া কলেজের বর্তমান নাম এ. বি. এন. শীল কলেজ।
(p) Who was the founder of Cooch Behar dynasty ?
উ :- কোচবিহার রাজবংশের প্রতিষ্ঠাতা হলেন চন্দন।
(q) Who built coochbehar royal palece?
উ:- কোচবিহার রাজ প্রাসাদ গঠন করেন 1817 সালে মহারাজা নৃপেন্দ্র নারায়ন।
(r) What is another name of cooch Behar Royal Palace?
উ:- কোচবিহার রাজ প্রাসাদ ভিক্টর জুবিলি প্যালেস নামেও পরিচিত।
( s) Who destroyed Kamtapur kingdom?
উ :- কামতাপুর রাজ্য ধ্বংস করেন রুকনুদ্দিন বরবক শাহ।
( t) Who was Devi Singh ?
উ :- দেবী সিং ছিলেন রংপুরের একজন অত্যাচারী ইজারাদার।
(u) mention two leaders of Santhal Uprising ?
উ :- সাওতাল বিদ্রোহের দুজন নেতা হলেন সিধু , কানু ,চাদ ও ভৈরব।
(v)mention one leader of Shipoy Mutiny ?
উ :- সিপাহী বিদ্রোহের নেতা মঙ্গল পান্ডে।
( w)mention two leaders of Quit India Movement ?
উ :- ভারত ছাড়ো আন্দোলনের নেতা গান্ধিজী , মাতঙ্গিনী হাজরা।
(x)mention two leaders of North Bengal of Quit India Movement ?
উ :- উওরবঙ্গে ভারত ছাড়ো আন্দোলনের নেতা সুবোধ কুমার মিশ্র , প্রিয়া নিবাসী।
(y) Where did the British company establish their first factory?
উ :- ব্রিটিশ কোম্পানি 1680 খ্রি: মালদায় তাদের প্রথম কারখানা প্রতিষ্ঠা করেন।
(z) Who was Doors Gandhi?
উ :- ডুয়ার্সের গান্ধি বলা হয় যঞ্জেশ্বর রায়কে।
Q. Write a note on the growth and development of Cinchona Plantation in Darjeeling. [marks-5]
Ans. ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিং-এ সিঙ্কোনা গাছের চাষ শুরু হয় 19 শতকের মাঝামাঝি। 1862 সালে, ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি দার্জিলিং এর মুংপুতে সরকারি সিঙ্কোনা প্ল্যান্টেশন প্রতিষ্ঠা করে, যাতে সিঙ্কোনা ছাল থেকে ম্যালেরিয়ার ওষুধ কুইনাইন তৈরি করা হয়। সিনকোনা চাষের প্রবর্তন ম্যালেরিয়া মোকাবেলায় কার্যকরি ভুমিকা নিয়েছিল।
বিংশ শতকের গোড়ার দিকে, দার্জিলিংয়ে সিঙ্কোনা চাষ উল্লেখযোগ্যভাবে সম্প্রসারিত হয়েছিল, হাজার হাজার একর জুড়ে আবাদ করা হয়েছিল। এই অঞ্চলটি কুইনাইনের একটি প্রধান উৎপাদন কেন্দ্র হয়ে উঠেছে, যা বিভিন্ন দেশে ওষুধ সরবরাহ করে। দার্জিলিং-এ সিঙ্কোনা চাষের সাফল্যের জন্য বেশ কিছু কারণকে দায়ী করা হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে অনুকূল জলবায়ু পরিস্থিতি, দক্ষ শ্রম এবং চাষের কৌশলের অগ্রগতি। এই সময়ের মধ্যে, এই অঞ্চলটি প্রচুর পরিমাণে কুইনাইন উৎপাদন করেছিল, যা বিশ্বব্যাপী ম্যালেরিয়া নিয়ন্ত্রণ প্রচেষ্টায় উল্লেখযোগ্যভাবে অবদান রেখেছিল।
বর্তমানে, দার্জিলিং-এ সিনকোনা চাষ বেশ কিছু চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন, যার মধ্যে রয়েছে কৃত্রিম ওষুধের প্রতিযোগিতা, বাজারের সীমিত চাহিদা । আধুনিক চাষাবাদ পদ্ধতি গ্রহণ, প্রযুক্তির উন্নতি এবং নতুন বাজারের সুযোগ দার্জিলিংয়ের সিনকোনা শিল্পকে পুনরুজ্জীবিত করার জন্য কাজ করছে।
Q. Write a short note on Jitu Santhal of Malda.(মালদার জিতু সাঁওতাল সম্পর্কে একটি ছোট টিকা লেখ।)
উ:- জিতু সাঁওতাল ছিলেন মালদার একজন বিশিষ্ট ব্যক্তি, সাঁওতাল আদিবাসী সম্প্রদায়ের সাথে যুক্ত একজন নেতা । সাঁওতালদের অধিকার ও কল্যাণের জন্য তিনি আন্দোলন শুরু করেন। জিতু সাঁওতাল উপজাতীয় সমস্যা সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে ভূমিকা পালন করেছিলেন এবং মালদহের আদিবাসী সম্প্রদায়ের উন্নতির জন্য কাজ করেছিলেন। তার প্রচেষ্টা সাঁওতাল সম্প্রদায়ের আর্থ-সামাজিক উন্নতি এবং সাংস্কৃতিক সংরক্ষণ সহ বিভিন্ন দিককে অন্তর্ভুক্ত করতে পারে।
তাঁর এবং তাঁর বাহিনী বিষ মাখানো তীর এবং ধনুক ব্যবহার করতো , যাকে বৃটিশ এবং মুসলিম উভয়েই সমীহ করে চলতো । তিনি সাঁওতালদের হিন্দু সমাজের সঙ্গে একাত্ম করে গড়ে তোলার জন্য নিজেকে নিয়োজিত করেন । তাঁকে সাঁওতাল_গুরু ' বলা হত । উনি মা কালীর পূজার মাধ্যমে সাঁওতাল সমাজকে সংগঠিত করতে শুরু করেন এবং খ্রীষ্টান ধর্মে ধর্মান্তরিত সাঁওতালদের স্বধর্মে ফিরিয়ে আনার কাজ শুরু করেন ।
১৯৩২ সালের ৩ রা ডিসেম্বর আদিনাথের মন্দিরের দখল নেয় জিতুর বাহিনী । অপরপক্ষে ছিল বৃটিশদের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কোতোয়ালির জমিদার আবুল হোসেন খান চৌধুরীর নেতৃত্বে আশপাশের মুসলমানরা । সাঁওতাল বীরদের তিরের সামনে অসহায় হয়ে পড়ে বৃটিশ এবং মুসলমানদের যৌথবাহিনী । তখন সন্ধির প্রস্তাব দেওয়া হয় জিতুকে । সাঁওতাল বাহিনী এই প্রস্তাবে সাড়া দিয়ে মন্দিরের বাইরে বেরিয়ে এলে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে জিতু সর্দারকে এবং তাঁর দুই সহযোদ্ধাকে গুলি করে হত্যা করা হয় ।
Q. Write in short the demographic pattern of North Bengal during Colonial rule.
ঔপনিবেশিক শাসনের সময় উত্তরবঙ্গের জনসংখ্যার বিন্যাস : -
ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা বৃদ্ধি, নগরায়নের বিকাশ জনসংখ্যার বিন্যাসে বিশেষভাবে প্রভাব বিস্তার করেছিল।
জনসংখ্যা বৃদ্ধি
ঔপনিবেশিক আমলে উত্তরবঙ্গ উল্লেখযোগ্য জনসংখ্যা বৃদ্ধি ঘটেছিল। 1872 এবং 1947 সালের মধ্যে এই অঞ্চলের জনসংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে, উন্নত কৃষি পদ্ধতি, মৃত্যুর হার হ্রাস এবং এই অঞ্চলের ক্রমবর্ধমান চা ও পাট শিল্পে সুযোগ , বহিরাগতদের আগমনের ফলে জনসংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি ঘটে।
নগরায়ন
ঔপনিবেশিক যুগে উত্তরবঙ্গে দ্রুতগতিতে নগরায়ন হয়েছিল । দার্জিলিং, শিলিগুড়ি এবং দিনাজপুরের মতো শহরগুলি দ্রুত বিকাশ ঘটেছিল। চা বাগান প্রতিষ্ঠা, ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার এবং প্রশাসনিক কেন্দ্রগুলির বিকাশ ইত্যাদি কারনে এই নগরায়নের সুচনা ঘটে।
ধর্মীয় কারন
ঔপনিবেশিক আমলে উত্তরবঙ্গের ধর্মীয় গঠনও উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন সাধিত হয়। হিন্দুধর্মই প্রভাবশালী ধর্ম হিসেবে থাকলেও, মুসলিম জনসংখ্যার উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি ঘটেছে । বিশেষ করে এই অঞ্চলের পূর্বাঞ্চলীয় জেলাগুলোতে। এটি প্রাথমিকভাবে পূর্ববঙ্গ (বর্তমান বাংলাদেশ) থেকে মুসলমানদের অভিবাসনের কারণে মুসলমানদের জনসংখ্যা বৃদ্ধি হয়েছিল।
ঔপনিবেশিক শাসনের প্রভাব
ঔপনিবেশিক নীতি এবং অর্থনৈতিক পরিবর্তন উত্তরবঙ্গের জনসংখ্যার নিদর্শনগুলির উপর গভীর প্রভাব ফেলেছিল। রেলপথ এবং রাস্তা নির্মাণের ফলে স্থানান্তর এবং নগরায়ন সহজতর হয়েছে, যখন নতুন কৃষি পদ্ধতি এবং চিকিৎসা হস্তক্ষেপের প্রবর্তন জনসংখ্যা বৃদ্ধির প্রবণতাকে প্রভাবিত করেছে।
গিরিজ জনগোষ্ঠীর হ্রাস : ব্রিটিশ শাসনের পূর্বে উত্তরবঙ্গের জনসংখ্যার একটি উল্লেখযোগ্য অংশ ছিল বিভিন্ন গিরিজ জনগোষ্ঠী । তবে ব্রিটিশদের আগমনের পর বনাঞ্চল দখল , জমিদারি ব্যবস্থা চালু করা এবং নতুন ফসল চাষের প্রবর্তনের ফলে তাদের জীবনযাত্রার উপর ব্যাপক প্রভাব পড়ে ।
অভিবাসনের বৃদ্ধি : ইজারি পদ্ধতি , এবং অন্যান্য বাণিজ্যিক ফসল চাষের জন্য শ্রমিকের প্রয়োজন বৃদ্ধির ফলে ঔপনিবেশিক শাসনামলে উত্তরবঙ্গে অভিবাসন বৃদ্ধি পায় । প্রধানত বিহার , উড়িষ্যা এবং ছোটনাগপুর থেকে প্রচুর সংখ্যক মানুষ কাজের সন্ধানে উত্তরবঙ্গে আসেন ।
উপসংহার
ঔপনিবেশিক শাসনের সময় উত্তরবঙ্গে জনসংখ্যাগত পরিবর্তনগুলি অর্থনৈতিক, সামাজিক এবং রাজনৈতিক কারণগুলির একটি জটিল ইন্টারপ্লে ছিল। এই পরিবর্তনগুলি এই অঞ্চলের আধুনিক জনসংখ্যাগত ল্যান্ডস্কেপের ভিত্তি স্থাপন করেছে এবং আজও এর আর্থ-সামাজিক উন্নয়নকে প্রভাবিত করছে।
No comments:
Post a Comment