Saturday, August 24, 2024

xii Beng

 বিবেকানন্দ কোচিং সেন্টার 

ক্লাস:- দ্বাদশ শ্রেনী ; বিষয়:- বাংলা 

পূর্নমান:- 30 ; সময়:- 45 মিনিট

১) সঠিক বিকল্পটি নির্বাচন করো :- ২০×১=২০

১.১) টপ্পা গানকে জনপ্রিয় করেন --- (ক) বেগম আখতার (খ) রামনিধি গুপ্ত  (গ) ভূপেন হাজারিকা  (ঘ) স্বপন কুমার রায়।

১.২) অস্বচ্ছ জলরঙে আকা ছবিকে বলে --- (ক) ওয়াশ (খ) গুয়াশ  (গ) স্কেচ (ঘ) পট ।

১.৩) Indian Statistical Imstitution প্রতিষ্ঠা করেন --- (ক) জগদীশ চন্দ্র বসু  (খ) মেঘনাদ সাহা (গ) সত্যেন্দ্র নাথ বসু  (ঘ) পি সি মহলানবিশ ।

১.৪) একজন কবিয়াল হলেন --- (ক) হরু ঠাকুর  (খ) লালন ফকির  (গ) রামপ্রসাদ সেন  (ঘ) গোবিন্দদাস কবিরাজ।

১.৫) বাংলার প্রথম সবাক চলচিত্র --- (ক)  জামাইষষ্টী (খ) রাজা হরিশচন্দ্র  (গ) মনের মানুষ  (ঘ) হারানো সুর ।

১.৬) সত্যজিৎ রায়ের পথের পাঁচালী ছবির সংগীত পরিচালনা করেছিলেন --- (ক) সত্যজিৎ রায় (খ)  পন্ডিত রবিশঙ্কর (গ)  ওস্তাদ বিলায়েত খাঁ (ঘ) ওস্তাদ বিসমিল্লাহ খাঁ । 

১.৭) কচ ও দেবযানী ছবিটির স্রষ্টা হলেন --- (ক) নন্দলাল বসু (খ)  অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর (গ)  যামিনী রায় (ঘ)  রামকিঙ্কর বেইজ । 

১.৮)মান্না দে দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার পান ---(ক)  2005 খ্রিস্টাব্দে (খ)  2007 খ্রিস্টাব্দে (গ)  2009 খ্রিস্টাব্দে (ঘ)  2011 খ্রিস্টাব্দে । 

১.৯)তুলনামূলক ভাষাবিজ্ঞানের সূত্রপাত করেছিলেন ---(ক)  সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় (খ) উইলিয়াম কেরি (গ) সুকুমার রায় (ঘ) উইলিয়াম জোন্স । 

১.১০)সবুজ দ্বীপের রাজা ছবির পরিচালক -- (ক) মৃণাল সেন (খ) সত্যজিৎ রায় (গ)  হৃত্বিক ঘটক (ঘ)  তপন সিনহা । 

১.১১) ভাষার বৃহত্তম একক হল --- (ক) ধ্বনি  (খ) বর্ন (গ) শব্দ  (ঘ) বাক্য ।

১.১২) চলতি বাংলায় স্বরধ্বনি হল --- (ক) ৭টি  (খ) ৯ টি  (গ) ১১টি (ঘ) ১৩টি ।

১.১৩) দাবা খেলার শ্রষ্টা হলেন --- (ক) সীতা  (খ) জনা (গ) পার্বতী (ঘ) মন্দোদরী ।

১.১৪) অব্যক্ত গ্রন্থের লেখক --- (ক) জে সি বোস  (খ) পি সি রায়  (গ) মেঘনাদ সাহা (ঘ) সি ভি রমন ।

১.১৫) দশরথী রায় যে গানের সঙ্গে যুক্ত --- (ক) গম্ভীরা  (খ) লোকগান  (গ) টপ্পা (ঘ) পাঁচালী ।

১.১৬) কোনটি বাগযন্ত্র নয় --- (ক) জিহ্বা  (খ) নাক  (গ) কান  (ঘ) কন্ঠ ।

১.১৭) মধ্যযুগের সন্তগন ছবিটি একেছেন --- (ক) বিনোদবিহারী (খ) নন্দলাল (গ) অবনীন্দ্রনাথ (ঘ) দেবীপ্রসাদ ।

১.১৮) একটি তাড়িত ধ্বনি হল --- (ক) ঝ  (খ) ম (গ) ঞ  (ঘ) ড় ।

১.১৯) শৈলী শব্দের অর্থ হল --- (ক) সৃষ্টি  (খ) রচনা  (গ) রীতি  (ঘ) রচনারীতি ।

১.২০) অভিধান বিজ্ঞানের পথিকৃত হলেন --- (ক) চমস্কি (খ) যাস্ক (গ) জনসন (ঘ) হরিচরন।

২) সংহ্মেপে উত্তর দাও:-  ১×১০=১০

২.১) মুন্ডমাল শব্দ কাকে বলে ?

২.২) ক্লিপিংস কী ? 

২.৩) নুন্যতম শব্দজোড় কাকে বলে ?  or, স্পর্শবর্ণ কী ?

২.৪) নাসিক্যবর্ন কোনগুলি ? 

২.৫) শব্দের ব্যাপকতা কী ? or, Dictionary শব্দটি প্রথম কোথায় পাওয়া যায় ?

২.৬) অযোগবাহ বর্ণ কাকে বলে ? 

২.৭) প্রতিপাদিক কী ? or, মৌলিক স্বরধ্বনি কী ?

২.৮) লা প্যারোল কী ?

২.৯) LAS এর পুরো কথা কী ? or, SOV কী ? 

২.১০) প্রত্যয় কী ? or, তদ্ভব শব্দ কী ?



2024

বাংলা

 ' ক ' ভাষা

 ( নতুন পাঠ্যক্রম )

মোট সময় : 3 ঘন্টা 15 মিনিট                                                                                                         পূর্ণমান : 80

পরীক্ষার্থীদের জন্য নির্দেশ : 

1. পরিমিত এবং যথাযথ উত্তরের জন্য বিশেষ মূল্য দেওয়া হবে । 

2. বর্ণাশুদ্ধি , অপরিচ্ছন্নতা এবং অপরিষ্কার হস্তাক্ষরের ক্ষেত্রে নম্বর কেটে নেওয়া হবে ।

 3. উপায়ে প্রশ্নের পূর্ণমান সূচিত আছে । 

1. সঠিক বিকল্পটি নির্বাচন করো : 1x18=18

1.1) “ কিছুই কি করা যায় না ” — কথাটি বলেছে ( ক ) মৃত্যুঞ্জয় ( খ ) নিখিল ( গ ) টুনুর মা ( ঘ ) অফিসের কেউ ।

1.2) উচ্ছবকে ভাত খেতে দেয়নি ( ক ) সতীশবাবু ( খ ) সাধনবাবু ( গ ) বড়োবাবু ( ঘ ) বাসিনী।

1.3)বুড়িকে হরিবোল হরিবোল বলতে শুনেছিল ( ক ) নকড়ি নাপিত ( খ ) ভটচাজ মশাই ( গ ) নিবারণ বাগদি  ( ঘ ) চৌকিদার।

1.4)বুড়ির গায়ে জড়ানো ছিল ( ক ) চাদর ( খ ) তুলোর কম্বল  ( গ ) কম্বল ( ঘ ) কাপড় ।

1.5)বুড়োকর্তার জন্য তান্ত্রিক এনেছিলেন ( ক ) বড়ো বউয়ের বাবা ( খ ) মেজো বউয়ের কাকা  ( গ ) ছোটো বউয়ের বাবা ( ঘ ) ছোটো বউয়ের কাকা ।

1.6)কবি আপনারে চিনলেন ---  ( ক ) আঘাতে ( খ ) বেদনায় ( গ ) আঘাতে বেদনায় (ঘ) আনন্দে।

1.7) নীলনদের গ্লাসে মিশরের মানুষী রেখেছিল ---( ক ) হিরে   ( খ ) পান্না ( গ ) চুন্নি (ঘ ) মুক্তো।

1.8)সত্যজিৎ রায় পরিচালিত প্রথম ছবির নাম --- (ক)পথের পাঁচালী ( খ) আগন্তুক ( গ) সংবর্তনী ( ঘ ) অপুর সংসার।

1.9)জাপানি থিয়েটারের নাম ---  ( ক ) কাবুকি ( খ ) ইয়াৎসা ( গ ) তাকাহাসি ( ঘ ) কাবুকিরি।

1.10)' মালতী লতা দোলে গানটি গাওয়া হয়েছিল --- (ক) ফিল্মি কায়দায় (খ) ন্যকামি কায়দায় (গ) গানের সুরে (ঘ) নাচের তালে।

1.11) ' কালীনাথ সেনের গায়ে ছিল ---  ( ক ) গামছা ( খ ) কালো চাদর ( গ ) জামা (ঘ) পাগলু জামা।

1.12)' অব্যক্ত ' গ্রন্থটির লেখক ( ক ) মৃণাল সেন (খ ) ঋত্বিক ঘটক (গ) সত্যেন্দ্রনাথ বসু (ঘ)জগদীশচন্দ্র বসু ।

1.13)' সবুজ দ্বীপের রাজা ’ ছবির পরিচালক ছিলেন --- (ক) স্বপন কুমার রায় (খ) সত্যজিৎ রায় (গ) তপন সিনহা (ঘ) ঋত্বিক ঘটক। 

1.14) “ আর্মাডা যখন ডুবল ” - আর্মাডা হল ( ক ) রণতরী ( খ ) যুদ্ধজাহাজ ( গ ) যুদ্ধের সরঞ্জামবাহী জাহাজ ( ঘ ) ডুবোজাহাজ।

1.15) “ বাঃ বাঃ বুঢ়ঢ়া । আচ্ছাহি কিয়া । ” এই বুঢ়ঢ়া হলেন  --- ( ক ) রামব্রীজ ( খ ) কালীনাথ সেন  ( গ ) অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায় ( ঘ ) রজনীকান্ত চট্টোপাধ্যায়। 

1.16)রজনীকান্ত ঘুমিয়েছিলেন --- ( ক ) মেঝেতে ( খ ) খাটেতে ( গ ) টেবিলে ( ঘ ) চেয়ারে ।

1.17) আমরা বাঙালিরা শুনি কাঁদুনে জাত ” — কথাটি বলেছিলেন ( ক ) রবীন্দ্রনাথ ( খ ) সুকান্ত ভট্টাচার্য ( গ ) বল্লভভাই প্যাটেল ( ঘ ) লালা লাজপত রাই। 

1.18)মিছিলের সামনের ছেলেটি খুব তীব্র গলায় বলে ওঠে ---  ( ক ) চাল চাই ( খ ) কাপড় চাই ( গ ) চাল চাই কাপড় চাই ( ঘ ) অন্ন চাই ।

2. অনধিক 20 টি শব্দে প্রশ্নগুলির উত্তর দাও : 1 × 12 = 12

2.1) অফিসে আসার পর মৃত্যুঞ্জয়কে দেখে নিখিল কী অনুমান করতে পারল ? 

অথবা, “ খামোখা হাসি পেলেই হল ? ” – কী করলে ঠিকঠাক হাসি পাবে ? 

2.2) “ আচ্ছা আমি আর একটা চেষ্টা করব ” - কে , কীসের চেষ্টা করার কথা বলেছেন ? 

অথবা, কী পোশাক পরে , কীভাবে রজনীকান্ত মধ্যরাত্রে মঞ্চে প্রবেশ করেছিলেন ? 

2.3) “ আমি তো চললাম- আবার দেখা হয় কিনা কে জানে ” - উক্তিটির উৎস কী ? 

অথবা, “ এখনও আগুন জ্বলছে তাদের " কাদের , কোন আগুন জ্বলছে । 

2.4) “ খরচ মেটাত কে ? ” – কীসের খরচ ? 

অথবা , “ ওঁর কাছে জল পেতে পার ” — কার কাছে জল পাওয়া যেতে পারে ? 

2.5) “ সবুজের অনটন ঘটে ” —কোথায় , কেন সবুজের অনটন ঘটে ? 

অথবা, “ যে কখনো করে না বঞ্চনা ” - সে কে ? সে কেন বঞ্চনা করে না ?

2.6)  “ যা পারি কেবল ” - কবি কী পারেন ? 

অথবা, “ অলস সূর্য দেয় এঁকে ” - কী আঁকে ? 

2.7) ন্যূনতম শব্দজোড় বলতে কী বোঝো ? 

2.8) ক্লিপিংস কী ?  

অথবা,  লা প্যারোল ( La parole ) কী ?

অথবা,  মৌলিক স্বরধ্বনি কাকে বলে ? উদাহরণ দাও ।

2.9) নাট্যকার মারাঠি তামাশায় কী দেখেছিলেন ? 

অথবা , “ সে রাজনীতি আমার জন্য নয় ” - কোন রাজনীতি , কার জন্য নয় ?

2.10) “ চৌকিদার হাঁ করে দেখছে ? ” – কী দেখছে ? 

অথবা , “ বাসিনী থমকে দাঁড়ায় ” -কেন ? 

2.11)নিজেকে না খাইয়ে মারা বড় পাপ ” - এ কথা শুনে মৃত্যুঞ্জয় কী বলেছিল ? 

অথবা , হরিণটি ভোরের আলোয় নেমে প্রথমে কী করেছিল ? 

2.12) নাসিক্যব্যঞ্জন কোনগুলি ?

3. অনধিক 150 শব্দে যে - কোন একটি প্রশ্নের উত্তর দাও : 5 × 1 = 5

3.1) “ আমি কী তা দেখতে পাচ্ছিস নে ? ” - কে , কোন্ প্রশ্নের উত্তরে এ কথা বলেছে ? তার এই কথার মধ্য দিয়ে লেখক কোন্ বার্তা পৌঁছে দিতে চেয়েছেন ? 

3.2) “ তারপর মৃত্যুঞ্জয়ের গা থেকে ধূলিমলিন সিল্কের জামা অদৃশ্য হয়ে যায় ” — উৎস নির্দেশ করো । কীভাবে মৃত্যুঞ্জয়ের গা থেকে সিল্কের জামা অদৃশ্য হয়ে যায় ?

4. অনধিক 150 শব্দে যে - কোন একটি প্রশ্নের উত্তর দাও : 5 × 1 = 5

4.1) মহুয়ার দেশ কবিতায় নাগরিক যন্ত্রনার যে চিত্র তুলে ধরেছেন তা আলোচনা করো।

4.2) গাছের সবুজটুকু শরীরে দরকার --- উক্তিটির তাৎপর্য লেখ।

5. অনধিক 150 শব্দে যে - কোন একটি প্রশ্নের উত্তর দাও : 5 × 1 = 5

5.1) "আমাদের মনে হয় এর নাম হওয়া উচিত অভাব নাটক " --- এরকম মনে হওয়ার কারণ কী? 

5.2) বিভাব নাটকে নাট্যরীতির যে নতুনত্ব প্রকাশ পেয়েছে তা লেখ।

6. অনধিক 150 শব্দে যে - কোন একটি প্রশ্নের উত্তর দাও : 5 × 1 = 5

6.1) " গল্পটা আমাদের স্কুলে শোনানো হল।" --- গল্পটা কী? গল্প শুনে লেখকের কেমন প্রতিক্রিয়া হয়েছিল?

6.2) " সেই সন্ধ্যায় কোথায় গেল রাজমিস্ত্রিরা।" --- প্রসঙ্গ উল্লেখ করে ব্যাখ্যা করো।

7. অনধিক 150 শব্দে যে - কোন একটি প্রশ্নের উত্তর দাও : 5 × 1 = 5

7.1) "তোমরা হাত বাড়াও, তাকে সাহায্য করো।" --- লেখক কাকে, কীভাবে, কেন সাহায্য করতে বলেছেন?

7.2) "তাই প্রজারা বিদ্রোহী হয়ে উঠল।" --- প্রজাদের বিদ্রোহের কারণ কী? তাদের নেতা কে ছিলেন?

8. অনধিক 150 শব্দে যে - কোন একটি প্রশ্নের উত্তর দাও : 5 × 1 = 5

8.1) শব্দার্থ পরিবর্তনের ধারাগুলি আলোচনা করো।

8.2) উদাহরণ সহ স্বাধীন রূপমূল ও পরাধীন রূপমূল বিষয়টি বুঝিয়ে দাও।

9. অনধিক 150 শব্দে যে - কোন দুটি প্রশ্নের উত্তর দাও : 5 × 2 = 10

9.1) পট শব্দের অর্থ কী? পট শিল্প সম্পর্কে লেখ।

9.2) রামায়ণে বর্নিত কাহিনী অনুসারে দাবা খেলার স্রষ্টা কে? এই খেলায় বাঙালীর অবদান লেখ।

9.3) চিত্র শিল্পের ধারায় যামিনী রায়ের অবদান লেখ।

9.4) বাঙালীর সংগীতের ইতিহাসে মান্না দের অবদান লেখ।

10. নিম্নলিখিত যে কোনো একটি বিষয় নির্বাচন করে নির্দেশ অনুসারে কমবেশি 400 শব্দের মধ্যে 1 টি প্রবন্ধ রচনা করো : 10x1 = 10 

10.1 ) নিক্সে প্রদত্ত মানস মানচিত্র অবলম্বনে একটি প্রবন্ধ রচনা করো :

পৃথিবী সৃষ্ঠির মূহুর্তে তাপ

 ঊষ্ণায়ন রোধে ভাবনা

 বিশ্ব উষ্ণায়ন 

উষ্ণায়নের প্রভাব

 পৃথিবীতে উষ্ণায়নের সূচনা

10.2 ) প্রদত্ত অনুচ্ছেদটিকে প্রস্তাবনা বা ভূমিকা স্বরূপ গ্রহণ করে বিষয়ের গভীরে প্রবেশ করে একটি পূর্ণাঙ্গ প্রবন্ধ রচনা করো : 

মাতৃভাষার মাধ্যমে শিক্ষা 

শিক্ষায় মাতৃভাষাই মাতৃদুগ্ধ , জগতে এই সর্বজনস্বীকৃত নিরতিশয় সহজ কথাটা বহুকাল পূর্বে একদিন বলেছিলাম , আজও তার পুনরাবৃত্তি করব । সেদিন ইংরেজি শিক্ষার মন্ত্রমুগ্ধ কর্ণকুহরে অশ্রাব্য হয়েছিল আজও যদি তা লক্ষ্যভ্রষ্ট হয় তবে আশা করি পুনরাবৃত্তি করবার মানুষ বারে বারে পাওয়া যাবে । 

10.3 ) প্রতিপক্ষের যুক্তির অসারতা প্রমাণ করে স্বপক্ষে যুক্তিক্রম বিন্যাস করে প্রবন্ধ রচনা করো : 

বিতর্কের বিষয় : বিজ্ঞাপনী প্রচার মানুষকে বোকা বানায় । 

মতের পক্ষে : নিজের চাহিদা ও পছন্দ অনুযায়ী পণ্য নির্বাচনের সুযোগ দেয় বিজ্ঞাপন । কিন্তু নির্মাতারা মিথ্যা প্রলোভন সৃষ্টি করে ক্রেতাকে বিভ্রান্ত করে । রুচিহীন বিজ্ঞাপন সমাজের ক্ষতি করে । মুনাফা লাভের জন্য পন্য নির্মাতারা ভুল তথ্য পরিবেশন করে । 

10.4 ) প্রদত্ত সুর ও তথ্য অবলম্বনে একটি প্রবন্ধ রচনা করো : সত্যজিৎ রায়

 জন্ম : 2 রা মে , 1921. আধুনা বাংলাদেশ কিশোরগঞ্জ জেলা । 

পরিচয় : পিতা সুকুমার রায় , বিখ্যাত কবি । মাতা সুপ্রভা দেবী । পিতামহ বিখ্যাত শিশু সাহিত্যিক উপেন্দ্রকিশোর । রায় চৌধুরী । জন্মের তিন বছরে পিতৃবিযোগ । 

শিক্ষা : কলকাতার প্রেসিডেন্সিতে অর্থনীতির শিক্ষা লাভ । শান্তিনিকেতনে কলা শিক্ষা । সানিধ্য লাভ ।

কর্মজীবন : ব্রিটিশ বিজ্ঞাপনী সংস্থায় কর্মজীবন আরম্ভ ( 1943 ) বিখ্যাত কবি , লেখক , চিত্রপরিচালক । 1943 মালে পথের পাচালী নিয়ে চিত্র পরিচালনা । পরে গুপি গাইন বাঘা বাইন ( 1968 ) , অপরাজিত ( 1965 ) , প্রতিদ্বন্দ্বী ( 1970 ) , সীমাবদ্ধ ( 1971 ) , জন অরস্য ( 1972 ) চিত্র পরিচালনা । সাহিত্যকীর্তি : ফেলুদা ও শঙ্কু চরিত্রের শ্রষ্ঠা । ' একেই বলে শুটিং ( 1979 ) , বিষয় চলচ্চিত্র ( 1982 ) গ্রন্থের রচয়িতা । 

সম্মান : 1985 সালে দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার । মৃত্যুর আগে ভারতরত্ন পুরস্কার । 

মৃত্যু : 23 শে এপ্রিল , 1992 সাল । } 1


অলৌকিক 

মান- 5

১) 'গল্পটা শুনতে বেশ ভালো লাগছিল।' --- গল্পটির বর্ণনা দাও। গল্প শুনে লেখকের কী প্রতিক্রিয়া হয়েছিল? ৪+১

অথবা, 

'গল্পটা মনে পড়লেই হাসি পেত। ' --- গল্পটির বর্ণনা দাও। লেখকের হাসি পেত কেন?

অথবা,

'গল্পটা বার কয়েক গুরুদ্বারেতেও শুনেছি। ' --- গল্পটির বর্ণনা দাও। গল্প শুনে লেখকের কী প্রতিক্রিয়া হয়েছিল? ৪+১

অথবা,

'গল্পটা আমাদের স্কুলে শোনানো হল। ' --- গল্পটির বর্ণনা দাও। গল্প শুনে লেখকের কী প্রতিক্রিয়া হয়েছিল? ৪+১

অথবা, 

'গুরু নানকের হাতের ছাপ ওতে আজও লেগে রয়েছে। ' --- গল্পটির বর্ণনা দাও। গল্প শুনে লেখকের কী প্রতিক্রিয়া হয়েছিল? ৪+১

অথবা, 

' সন্ধ্যায় ফেরার পথে মা ছোটো বোনকে পাঞ্জাসাহেবের গল্প বলছিল। ' --- গল্পটির বর্ণনা দাও। গল্প শুনে লেখকের কী প্রতিক্রিয়া হয়েছিল? ৪+১

২) ' সারাদিন একফোঁটা জলও মুখে দিতে পারিনি। ' --- লেখকের এমন প্রতিক্রিয়ার কারন কী ব্যাখ্যা করো। ৫

অথবা,

' মায়ের বান্ধবী আমাদের সমস্ত ঘটনাটা শোনালেন। ' --- ঘটনাটির বর্ননা দাও। লেখকের কেমন প্রতিক্রিয়া হয়েছিল? ৪+১

অথবা, 

' চোখের জলটা তাদের জন্য। ' --- ঘটনাটির বর্ণনা দাও। লেখক কাদের জন্য চোখের জল উৎসর্গ করেছিলেন? ৩+২

অথবা,

' খালপাড়ের সেতুটির দিকে রক্তের স্রোত। ' --- প্রসঙ্গ উল্লেখ করে ঘটনাটির বর্ণনা দাও। ৫

আমার বাংলা 

উচ্চ মাধ্যমিক ছাএছাত্রীদের  জন্য পূর্নাঙ্গ সহায়ক গ্রন্থ 'আমার বাংলা ' থেকে শুধুমাত্র বর্ননাধর্মী উত্তর ভিত্তিক 5 নম্বরের প্রশ্ন থাকে। আমরা এখানে কতগুলি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের নমুনা উত্তর দেখে নেব। 
'আমার বাংলা' গ্রন্থটি লেখক সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের লেখা। এগারোটি অংশে রচিত এই গ্রন্থটি সুভাষ মুখোপাধ্যায় কাশ্মীরের ছেলে জলিমোহন কলকে উৎস্বর্গ করেছেন। গ্রন্থটির বিভিন্ন অংশ 1353 বঙ্গাব্দে 'রংমশাল পত্রিকায় ধাপে ধাপে প্রকাশিত হয়।
এগারোটি অংশে বিভক্ত এই গ্রন্থের কেবলমাত্র পাচটি অংশ  উচ্চ মাধ্যমিক  পরীক্ষার্থীদের সিলেবাসে অন্তভুক্ত করা হয়েছে। এই পাচটি অংশ হল- 
* গারো পাহাড়ের নীচে।
* ছাতির বদলে হাতি।
* কলের কলকাতা।
* মেঘের গায়ে জেলখানা।
* হাত বাড়াও।
WBCHSE Bengali note/WBCHSE Bengali questions /উচ্চমাধ্যমিক বাংলা ' আমার বাংলা গ্রন্থের প্রশ্ন উত্তর  '/আমার বাংলা  গ্রন্থ/Higher secondary Bengali questions /WBCHSE Bengali suggestion / higher secondary Bengali question/ গারো পাহাড়ের নীচে/ ছাতির বদলে হাতি/কলের কলকাতা/ মেঘের গায়ে জেলখানা/ হাত বাড়াও।

1.  "জঙ্গলে যখন আগুন লাগে তখন হয় মজা'' - জঙ্গলে আগুন লাগানোর প্রসঙ্গ উল্লেখ করো। তখন কী মজা হয়? 2+3
উ:- লেখক সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের লেখা 'গারো পাহাড়ের নীচে ' রচনায় গারো পাহাড়ের নীচে বাসবাসকারী গারো চাষীদের চাষবাস প্রসঙ্গে কথাটি বলা হয়েছে। গারো পাহাড়ে বসবাসকারী আদিবাসীদের চাষ করার জন্য হাল, বলদ, জমি কিছুই নেই। তারা পাহাড়ের পাথরময় জমিতে জঙ্গল পুড়িয়ে চাষাবাদ করে।  চৈত্র মাসে তারা জঙ্গলে আগুন লাগিয়ে দেয়। চৈত্র মাসের শুকনো ঝোপঝাড় দাউদাউ করে আগুন জ্বলে। লেখকের মতে 'যেন রাবনের চিতা-জ্বলছে তো জ্বলছেই'। ধীরে ধীরে জঙ্গল পুড়ে পাহাড়ময় কালো ছাইয়ের আস্তরণ তৈরি হয়। সেই পোড়া ছাইয়ের ওপরে তারা ধান, তামাক সহ অন্যান্য ফসল ফলায়।
জঙ্গলে আগুন লাগলে বন্য পশুরা প্রান ভয়ে পালাতে থাকে। বন্য হরিণ, শুয়োর, বাঘ, অজগর ইত্যাদি জন্তুরা প্রান ভয়ে যে যেদিকে পারে পালাতে থাকে।  আর সেই সুযোগে আদিবাসীরা বন্য হরিণ ও শুয়োর শিকার করে মনের সুখে ভোজন করে। আর সেই শিকারকে কেন্দ্র করে রাত্রিবেলা তাদের নাচগানের আসর বসে। সেখানে তারা সবাই গোল হয়ে ঘিরে নাচগান করে। পাঠ্যাংশে এই মজার কথাই বলা হয়েছে।
2. গারো পাহাড়ের নীচে বসবাসকারী আদিবাসীদের বৈশিষ্ট্য আলোচনা করো। 5
উ:-  সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের লেখা  গারো পাহাড়ের নীচে রচনায় জানা যায় গারো পাহাড়ের নীচে হাজং, গারো, ডালু, কোচ, বানাই ইত্যাদি উপজাতিরা  বসবাস করে । তাদের কতগুলো বৈশিষ্ট্য তাদেরকে অন্যান্যদের থেকে আলাদা করে তুলেছে। 
প্রথমত, তাদের ভাষা ও উচ্চারণের কথা বলা যায়। তারা 'ত' কে 'ট' বলে, আবার 'ট' কে বলে 'ত'; আবার 'দ' কে বলে 'ড' তেমনি 'ড'  কে বলে 'দ'। তাদের উচ্চারণ শুনলে হাসি পায় যখন তাদের দুধকে ডুড, তামাককে টামাক বলতে শোনা যায়।
দ্বিতীয়ত, তাদের ঘরবাড়ি গুলি সব উচ্চাসনে মাচার ওপর। বন্য জংলী পশুদের হাত থেকে বাচার জন্য এইরকম ব্যবস্থা। মাচার উপরেই তাদের রান্নাবান্না হয়।  তেমনি হাস, মুরগি ইত্যাদি পালিত পশুপাখিরাও এই মাচার উপরেই থাকে।
তৃতীয়ত, এদের মুখচোখে পাহাড়ি ছাপ লক্ষ্য করা যায়। এরা প্রধাণত চাষবাস করে জীবনযাপন করে। 
3. 'কিন্তুু হাতি- বেগার আর চলল না' - হাতি বেগার কী? তা আর চলল না কেন পাঠ্যাংশ অবলম্বনে লেখ? 2+3
উ:- সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের লেখা 'গারো পাহাড়ের নীচে ' রচনায় পঞ্চাশ ষাট বছর আগে এই অঞ্চলে প্রচলিত একটি জমিদারি আইনের কথা বলা হয়েছে। জমিদারের হাতি ধরার শখ পূরণ করার জন্য বিভিন্ন গ্রাম থেকে প্রজাদের জঙ্গলে আসতে হত। তারা জঙ্গলের চারপাশে বেড় দিয়ে দাড়াত। জমিদার ও তার সেপাইসন্ত্রীরা জঙ্গলের মাঝখানে বানানো মাচার উপরে বসে শিকার আরম্ভ করত। যে সমস্ত প্রজারা হাতি বেড় দিত তাদের কাউকে হয় সাপের কামড়ে নয়তো বাঘের মুখে প্রান দিতে হত। এটাই হাতিবেগার আইন।
গোরাচাদ মাস্টারের নেতৃত্বে প্রজারা হাতিবেগার আইনের বিরোধীতা করতে শুরু করে। প্রজারা ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই আইনের বিরুদ্ধে মিটিং মিছিল করতে থাকে। কামারশালায়  তৈরি  দাঁ, কুড়ুল, ইত্যাদি আস্ত্রশস্ত্র নিয়ে প্রজারা জমিদারি পল্টনদের সঙ্গে লড়াই করতে শুরু  করে। যদিও শেষ পর্যন্ত প্রজারা লড়াইয়ে হেরে গিয়েছিল কিন্তুু  হাতিবেগার আইন বন্ধ হয়ে যায়।
4. 'তাতে চেংমানের চোখ কপালে উঠল' - চেংমান কে? তার চোখ কপালে উঠেছিল কেন প্রসঙ্গ উল্লেখ করে আলোচনা করো। 1+4
উ:- সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের লেখা 'ছাতির বদলে হাতি' পাঠ্যাংশে চেংমান হল গারো পাহাড়ের নীচে বসবাসকারী একজন গরিব চাষী।
লেখক সুভাষ মুখোপাধ্যায় তার 'আমার বাংলা ' গ্রন্থে প্রাচীনকালে  বাংলাদেশে প্রচলিত মহাজনি শোষণের করুন কাহিনী বর্ননা করেছেন। এরকমই একটি কাহিনীর বর্ননা রয়েছে 'ছাতির বদলে হাঁতি' রচনায়। পচিশ-ত্রিশ বছর আগে চেংমান নামক একজন গারো চাষি হালুয়া ঘাট বন্দরে জিনিসপত্র সওদা করতে গিয়েছিল। হঠাৎ মুষলধারে বৃষ্টি শুরু  হলে চেংমান মনমোহন মহাজনের দোকানের নীচে আশ্রয় নেয়।
 চেংমান যখন বাড়ি ফেরার কথা চিন্তা করছিল তখন হঠাৎ মনমোহন মহাজন কলকাতা থেকে আনা একটি নতুন ছাতি চেংমানকে দিয়ে বলেন- 'যা যা ছাতিটা নিয়ে বাড়ি চলে যা। ' চেংমান সাতপাঁচ না ভেবে ছাতি নিয়ে মহাফূর্তিতে বাড়ি চলে যায়।
এরপর চেংমান যতবার টাকা দিতে যায় মহাজন ততবার বলে 'আহা অত তাড়া কিসের, সে দিও ক্ষন পরে।' এভাবে কয়েক বছর পার হলে হঠাৎ একদিন মনমোহন মহাজন চেংমানকে পাকড়াও করে পাওনা মেটানোর কথা বলেন। তারপর মনমোহন মহাজন জাবদা খাতা বার করে পাওনা হিসাব জানান।ছাতির দাম এতবছরে সুদ সমেত চক্রবৃদ্ধি হারে প্রায় এক হাজার টাকা হয়েছে, যা প্রায় একটি হাতির দামের সমান। এতে চেংমানের চোখ কপালে ওঠে।
5. 'কলের কলকাতা রে ভাই, কলের কলকাতা ' - পাঠ্যাংশ অবলম্বনে মোনা ঠাকুরের বর্নিত কলকাতার বর্ননা দাও। 5
উ:- সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের 'আমার বাংলা ' গ্রন্থের অন্তর্গত 'কলের কলকাতা ' রচনায় মোনা ঠাকুর তার দেখা কলকাতা শহরের বর্ননা দিয়েছেন।
পচিশ বছর আগে মোনা ঠাকুর কালিঘাটে পৈতে নিতে কলকাতায় গিয়েছিলেন। ফিরে এসে তিনি লেখক দের কাছে কলকাতা শহরের বর্ননা দিয়েছেন।মোনা ঠাকুরের মতে কলকাতা একটি আজব শহর। সেখানে তিনি  কত বাড়ি, কত গাড়ি, কত যে বাস দেখেছেন তার হিসেব নেই। কোথাও কোন মাটি নেই। কলকব্জায় ভরা কলকাতায় কলের সাহায্যে চলে সব কিছু । কল খুললেই জল পড়ে, কল টিপলেই নিমিষে অন্ধকার দূর হয়ে আলোয় ভরে ওঠে। কলের কলকাতায় অসংখ্য রাস্তা, অসংখ্য গলি, অসংখ্য মোড় যা দেখলে মাথা বনবন করে ঘোরে, পা কনকন করে কাঁপতে থাকে।মোনা ঠাকুরের মতে সেখানে "রাত রাত নয়,দিন দিন নয়।" রাস্তার দুপাশে ফুটপাতে সারিবদ্ধ ভাবে বসে দোকানপাট। এখানে যা কিছু চাইবে সব পাওয়া যায়।
6. 'এরা সব সাধুচরণের অতীত, সাধুচরণ এদের ভবিষ্যৎ' - সাধুচরণ কে? সাধুচরণ এদের ভবিষ্যৎ কেন? 3+2
উ:- মেঘের গায়ে জেলখানা রচনায় সাধুচরণ একজন পাকা চোর। তার বয়স পঞ্চাশের মতো। জয়নগরের কাছেই তার বাড়ি। ছেলেবেলায় বাবা মাকে হারিয়ে সাধুচরণ পেটের দায়ে চুরি করা শুরু করে। চুরি করতে গিয়ে ধরা পড়ে তার জেল হয়। এভাবেই সে পাকা চোরে পরিনত হয়। বিয়ে করার ইচ্ছে থাকলেও চৌকিদারদের খবরদারিতে তার আর বিয়ে করা হয়ে ওঠেনি। কারন চুরি না করলেও কোথায় কোন চুরির ঘটনা ঘটলেই সাধুচরণকে সন্দেহ করে থানায় ডাকা হয়। তাই সাধুচরণ চুরি না করে অত্যাচার সহ্য করার থেকে চুরি করাকে শ্রেয় বলে মনে করেন।
সাধুচরণকে চোট্ট ছিচকে চোরদের ভবিষ্যৎ বলা হয়েছে। কারণ তারা আজ সাধারণ চোর হলেও একদিন তারা সাধুচরণের পাকা চোরে পরিণত হবে।
7. "কিন্তুু এদের কারো জন্যে তৈরি হয়নি বক্সা বন্দি শিবির " - এদের বলতে কাদের কথা বলা হয়েছে? কাদের জন্য বক্সা বন্দি শিবির তৈরি হয়েছে? 3+2
উ:- বক্সা বন্দি শিবির সাধারণ ও অভিজাত চোরদের জন্য বানানো হয়নি। সাধারন জেলখানা  সাধারন চোর, পকেটমার, খুনি আসামি দের জন্য শংশোধনাগার হিসাবে ব্যবহৃত হয়। তেমনি আবার অভিজাত চোর যারা প্রকাশ্যে চুরি ডাকাতি করেনি বরং যারা খাবার ভেজাল করে, ব্যাঙ্ক ডাকাতি করে, নোট জাল করে জেলে আসে, যারা টাকা দিয়ে জেলে বসে সমস্ত রকমের সুযোগ সুবিধা ভোগ করে তাদের জন্যও নয় এই বন্দি শিবির। এ এক বিশেষ ধরনের জেলখানা।
বক্সা বন্দি শিবির সেই সমস্ত আসামিদের জন্য যারা দেশকে ইংরেজ মুক্ত করতে চেয়েছেন। লেখক বলেছেন- 'দেশকে ভালোবাসা ছাড়া কোন অপরাধই যাদের বিরুদ্ধে প্রমান হয়নি, আজও তাদের স্থান বক্সায়।' ইংরেজ সরকার দেশপ্রেমিক বিপ্লবীদের অপরাধের শাস্তি হিসাবে এই জেলখানায় বন্দি করত। এখানে তারা সভ্য জগত থেকে দুরে প্রতিকুল পরিস্থিতিতে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ত।
8. "জেলখানা একটা আলাদা জগৎ।" - মেঘের গায়ে জেলখানা  পাঠ্যাংশ অবলম্বনে জেলখানার জগতের পরিচয় দাও। 5
উ:- লেখক সুভাষ মুখোপাধ্যায় 'মেঘের গায়ে জেলখানা'  পাঠ্যাংশে জেলখানার জগতের পরিচয় দিয়েছেন। জেলখানার  জগত বাইরের জগতের মতো নয়। এখানে বাইরের জগতের মতো স্বাধীনতা নেই। 
সন্ধে নামার অনেক আগেই সমস্ত আসামিদের জেলের ছোট্ট কুটুরির মধ্যে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। সেখানে সবাই গাদাগাদি করে এক সঙ্গে থাকে। আবার ভোর হবার অনেক আগেই তাদের কুটুরির বাইরে বের করে গুনতি করে ছেড়ে দেওয়া। সারাদিন নানাবিধ কাজকর্ম করার পর আবার তাদের জেলের কুটুরিতে ছেড়ে দেওয়া হয়।
ইয়ার্ডে ইয়ার্ডে ভাগ করা বিভিন্ন বিভাগে বিভিন্ন ধরনের আসামিরা থাকে। কারও নামে নালিশ হলেই কেসটেবিলে ডেকে পাঠানো হয়। তারপর তাদের মার্কাকাটা, ডিগ্রিবন্ধ, কম্বল ধোলাই, মাড়ভাত ইত্যাদি শাস্তি দেওয়া হয়।
9. "কিন্তুু অবাক কান্ড। জেলখানায় পয়সা?" - জেলখানায় কিভাবে পয়সা রাখা হয় লেখ? 5
উ:- লেখক সুভাষ মুখোপাধ্যায় 'মেঘের গায়ে জেলখানা ' পাঠ্যাংশে জেলের আসামি দের কাছে সঞ্চিত পয়সা দেখে অবাক হয়েছেন। কারন আসামিদের কাছে পয়সা রাখার কোন নিয়ম নেই। তাছাড়া যেখানে সেখানে টাকা রাখলে চুরি যাবার ভয় থাকে।কিন্তু তা হলেও তো পয়সা ছাড়া চলবে কেন? তাই আসামিরা পয়সা রাখার জন্য নতুন ফন্দি এটেছেন। এজন্য তাদের গলার মধ্যে থলি বানিয়ে নিতে হত। 'গলার মধ্যে থলি বানাতে কষ্ট আছে।'থলি বানানোর জন্য তাদের একটি সিসের বলকে দির্ঘদিন গলার মধ্যে রাখতে হত।  ক্রমে সেই বল মাংসের ভিতরে ঢুকে ঘা তৈরি হত। তিরপর কিছুদিন পরে ঘা শুকিয়ে গেলে সিসের বলটিকে বাইরে বার করা হত। আর এভাবেই পয়সা রাখবার থলে তৈরি হয়ে যেত।লেখকের মতে " তার মধ্যে অনায়াসে সোনা-গিনি লুকিয়ে রাখো।কারো সাধ্য নেই টের পায়।" গলায় বানানো থলিতে টাকা রেখে আসামিরা দিব্যি খায় দায় ও ঘুমায়।
10. "তোমরাও হাত বাড়াও, তাকে সাহায্য করো।" - তাকে বলতে কার কথা বলা হয়েছে? তার সাহায্যের প্রয়োজন কেন? 1+4
উ:- তাকে বলতে একটি বারো তেরো বছরের উলঙ্গ শিশুর কথা বলা হয়েছে। ছেলেটির আনাহারে মাজা পড়ে গেলে সে চারপায়ে এগিয়ে এসে খুটে খুটে চাল আর ছোলা খাচ্ছে।
লেখক সুভাষ মুখোপাধ্যায় তার 'হাত বাড়াও' রচনায় ফরিদপুর যাবার জন্য রাজবাড়ির বাজারের কাছে বসে ছিলেন। শীতের কুয়াশাচ্ছন্ন সকালে লেখক দুর থেকে একটি চারপায়ে এগিয়ে আসা জন্তুকে দেখতে পান। তিনি দুর থেকে বুঝে উঠতে পারেন না জন্তুটি আসলে কেমন? কিন্তুু  কাছাকাছি আসতেই তিনি স্তম্ভিত হয়ে যান। দেখেন এটি কোন একটি শিশু। বারো-তেরো বছরের একটি শিশু। অনাহারে তার কোমরের মাজা পড়ে গেছে। তার চোখগুলি ক্ষুধায় জ্বলজ্বল করছে।
লেখক সভ্য জগতের সাধারণ মানুষকে হাত বাড়াতে বলেছেন। কারন এসময় তার খাবার চাই, সাহায্যের জন্য দুটো হাত চাই। তবেই সে উঠে দাড়াবে। আর তাদের শাস্তি দেবে যারা তার এই অবস্থার জন্য দ্বায়ী। যারা কৃত্রিম ভাবে খাদ্য সংকট তৈরি করে দুর্ভিক্ষকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে।







No comments:

Post a Comment