Saturday, March 30, 2024

2 marks geo x

 1. সমপ্রায় ভূমি কাকে বলে ?

 উ : সংজ্ঞা : বৃষ্টিবহুল আর্দ্র অঞ্চলে নদীর জলধারা , বৃষ্টির জল ও অন্যান্য প্রাকৃতিক শক্তির প্রভাবে , প্রাচীন মালভূমি এবং উচ্চভূমি দীর্ঘদিন ধরে ক্ষয় পেতে পেতে একসময় উঁচু নীচু , ঢেউ খেলানো ভূমি বা প্রায় সমতল ভূমিতে পরিণত হলে তাদের সমপ্রায়ভূমি বলে । উদা : ভারতের ঝাড়খণ্ড রাজ্যের ছোটনাগপুর মালভূমির কোনো কোনো অংশ সমপ্রায়ভূমি । 

2. অবরোহন প্রক্রিয়া কী ? উ : সংজ্ঞা : ইংরেজি ' Degradation ' বা বাংলা ‘ অবরোহন ' শব্দটির আভিধানিক অর্থ হল ' নীচে নামা ' । বহির্জাত প্রক্রিয়াসমূহের মধ্যে যেসব প্রক্রিয়ার দ্বারা নীভবন বা নির্মোচনের মাধ্যমে ভূপৃষ্ঠের উচ্চতা পর্যায়ক্রমিকভাবে হ্রাস পায় বা ভূমিভাগ নীচু হয়ে যায় , তাদের অবরোহন প্রক্রিয়া বলে । বৈশিষ্ট্য : ( i ) পৃথিবীর স্থলভাগের ক্ষেত্রমান এই প্রক্রিয়ায় হ্রাস পায় । ( ii ) এটি অত্যন্ত ধীর প্রক্রিয়া । উদা : সুউচ্চ পার্বত্যভূমি ক্রমশ ক্ষয় হতে হতে প্রথমে ক্ষয়জাত পর্বত , তারপর ক্ষয়জাত মালভূমি এবং শেষে ক্ষয়জাত সমভূমিতে পরিণত হয় ।

 3. পর্যায়ন কী ? উঃ সংজ্ঞা : বহির্জাত প্রক্রিয়াসমূহ ক্ষয় ও সঞ্চয় কাজের মাধ্যমে অবরোহন , আরোহন ও জৈবিক পদ্ধতিতে ভূমিভাগের উচ্চতার পরিবর্তন ঘটায় এবং এই পরিবর্তনের মাধ্যমে বিভিন্ন উচ্চতা বিশিষ্ট ভূমিরূপের মধ্যে ক্রমশ একটি সমতা বা সামঞ্জস্য আনার চেষ্টা করে । ভূমিরূপের সামপ্রসা বিধানকারী এই প্রক্রিয়া পর্যায়ন নামে পরিচিত ।

 4. ওয়াদি কী ?

 উ : সংজ্ঞা : ওয়াদি একটি আরবি শব্দ । এর অর্থ এক উপত্যকা । মরুভূমির মাঝে জলস্রোতের দ্বারা সৃষ্ট অ্য নদীখাতগুলিকে ওয়াদি বলে । বৈশিষ্ট্য : ( i ) এই সমস্ত নদীখাতে বৃষ্টির সময় ছাড়া বছরের অধিকাংশ সময় জল থাকে না । ( ii ) ওয়াদিগুলির জল কিছুদূর প্রবাহিত হওয়ার পর বালির মধ্যে হারিয়ে যায় । উদা : মেক্সিকোর বোলসন , ভারতের ধান্দ বলে ।

 5. ড্রামলিন কী ? উ : সংজ্ঞা : পর্বতের পাদদেশে হিমবাহ বাহিত টিলা সঞ্চয়ের ফলে ওলটানো নৌকা বা চামচের মতো যে ভূমিরূপ গড়ে ওঠে তাকে ড্রামলিন বলে । বৈশিষ্ট্য : ( i ) ড্রামলিন বহুল অঞ্চলকে ' Basket of eggs relief or topograohy ' বলে । ( ii ) ড্রামলিনের উচ্চতা 6- 60 মিটার । ( iii ) ড্রামলিনের মাঝে জলাভূমির সৃষ্টি হতে পারে । উদা : স্কটল্যান্ড , আয়ারল্যান্ড , সুইডেন ইত্যাদি দেশে দেখা যায় । 

6. প্রিয়ান কী ? উ : সংজ্ঞা : রাজস্থান মরুভূমির চলমান বালিয়াড়িগুলিকে প্রিয়ান বলে । স্থানীয় অধিবাসীরা এই বালির পাহাড়গুলিকে ' টিব্বা ' বলে থাকেন । সৃষ্টির কারণ : ( i ) বায়ুপ্রবাহ এর দিক ও গতি পরিবর্তন । ( ii ) সঞ্চারণশীল হালকা বালুকারাশির অবস্থান ও স্থানীয় ধূলিঝড় । 

7. ষষ্ঠঘাতের সূত্র বলতে কী বোঝ ? 

উ : সংজ্ঞা : 1842 খ্রিস্টাব্দে W. HOPKINS ষষ্ঠঘাতের ব্যাখ্যা দেন । নদীর বহন ক্ষমতা নির্ভর করে ভূমির ঢাল , জলের গতিবেগ , জলের পরিমাণ ও নদীবাহিত পদার্থের পরিমাণের ওপর । নদীর গতিবেগের সাথে নদীর বহন ক্ষমতার সুনির্দিষ্ট সম্পর্ক আছে । নদীর গতিবেগ কোনো কারণে দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেলে নদীর বহন ক্ষমতা 64 গুণ অর্থাৎ 26 হারে বৃদ্ধি পায় । একেই ষষ্ঠঘাতের সূত্র বলে । : ষষ্ঠঘাতের সূত্রানুযায়ী নদীর গতিবেগ বাড়লে , বহন ক্ষমতা বাড়বে ।

8. লোয়েস সমভূমি বলতে কী বোঝ ? 

সংজ্ঞা : মরু ও মরুপ্রায় অঞ্চলে হলুদ ও ধূসর বর্ণের কোয়ার্টজ , ফেলসপার , ডলোমাইট প্রভৃতি খনিজ সমৃদ্ধ সূক্ষ্ম পলি কণার সঞ্চয়কে লোয়েন বলে । লোয়েস দিয়ে গঠিত সমতল অঞ্চলকে লোয়েস সমভূমি বলে । অর্থ : জার্মান শব্দ ' Loss -এর অর্থ হল সূক্ষ্ম পলি ' । সূক্ষ্ম পলিকণা বায়ু বাহিত হয়ে বহুদূরে সঞ্চিত হলে লোয়েস সমভূমির সৃষ্টি হয় । উদা : মধ্য এশিয়ার গোবি মরুভূমির বালুরাশি বাহিত হয়ে চিনের হোয়াংহো নদীর অববাহিকায় সঞ্চিত হয়ে লোয়েস সমভূমি সৃষ্টি করেছে ।

 11. হিমরেখা ( Snow line ) বলতে কী বোঝ ?

 উ : সংজ্ঞা : ভূপৃষ্ঠের য কাল্পনিক সীমারেখার ঊর্দ্ধে সারাবছর বরফ জমে যায় এবং নীচে বরফ গলে জলে পরিণত হয় তাকে হিমরেখা বলে । অবস্থান : শীত , গ্রীষ্মের উষ্ণতা মতো তারতম্যে অনেক হিমরেখার অবস্থান পরিবর্তিত হয় , এদের অস্থায়ী হিমরেখা বলে । কিন্তু যে উচ্চতার ওপর বরফ কখনো গলে না , তাকে স্থায়ী হিমরেখা বলে ।

No comments:

Post a Comment