Sunday, January 21, 2024

মর্লে- মিন্টো সংস্কার ও নৌবিদ্রোহর

 5.  1909 খ্রিস্টাব্দের মর্লে- মিন্টো সংস্কার আইনের সমালোচনামূলক আলোচনা করো । 

ভারত সচিব জন মর্লে এবং বড়োলাট মিন্টো কংগ্রেসের নরমপন্থী গোষ্ঠীকে সন্তুষ্ট করতে এবং  নরমপন্থী ও চরমপন্থীদের মধ্যে বিবাদ দীর্ঘস্থায়ী করতে চেষ্টা করেন।  পাশাপাশি  কংগ্রেসবিরোধী রাজনৈতিক দল মুসলিম লিগকে খুশি করার জন্য 1908 খ্রিস্টাব্দের 1 অক্টোবর ভারতের শাসন সংস্কারের উদ্দেশ্যে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে একটি খসড়া আইন পেশ করেন । 1909 খ্রিস্টাব্দে এটি আইনের রূপ পায় , যা কাউন্সিল আইন বা মর্লে-মিন্টো শাসন সংস্কার আইন ( 1909 ) নামে পরিচিত হয় । 

■ আইনের বিভিন্ন দিক : মলে - মিন্টো সংস্কার আইনের দুটি প্রধান দিক– কার্যনির্বাহক পরিষদ ও আইন পরিষদ ।

● কার্যনির্বাহক পরিষদঃ-  কেন্দ্র ও বিভিন্ন প্রদেশে কার্যনির্বাহক পরিষদ গঠনের লক্ষ্যে কয়েকটি পদক্ষেপ নেওয়া হয়— 

i) বড়োলাটের কার্যনির্বাহক পরিষদে এই প্রথম একজন ভারতীয় সদস্য নিযুক্ত হয় এবং প্রথম ভারতীয় সদস্য হিসেবে নিযুক্ত হন সত্যেন্দ্র প্রসন্ন সিংহ । 

ii)বোম্বাই ও মাদ্রাজের কার্যনির্বাহক পরিষদের সদস্য সংখ্যা বৃদ্ধি করে 2 থেকে 4 করা হয় । 

iii) বাংলার ছোটোলাটের জন্য তৈরি হয় একটি কার্যনির্বাহক পরিষদ ।

● আইন পরিষদ : মর্লে - মিন্টো আইন দ্বারা কেন্দ্র ও প্রদেশে আইন পরিষদ গঠন ও ক্ষমতা বিষয়ে কয়েকটি পদক্ষেপ নেওয়া হয় । 

i)  কেন্দ্রীয় আইন পরিষদের সংখ্যা বৃদ্ধি করে 16 থেকে 60 করা হয় । 

ii ) প্রাদেশিক আইন সভার সদস্য সংখ্যা বৃদ্ধি করে 50 জনের মধ্যে রাখা হয় ।

iii)  কেন্দ্রীয় ও প্রাদেশিক আইন পরিষদগুলি বাজেট তৈরি , বাজেট পাস , বাজেট সম্পর্কে আলোচনা ও ভোটদানের অধিকার পায় ।

iv ) আইন পরিষদ দেশের সার্বিক পরিস্থিতি সম্পর্কে আলোচনা ও সুপারিশ করার ক্ষমতা পায় ।

v)  মুসলিম সম্প্রদায়কে পৃথকভাবে সদস্য নির্বাচনের অধিকার দেয় ।

vi )  গভর্নর জেনারেল ও প্রাদেশিক গভর্নরগণ তাদের অপছন্দের যে - কোনো সদস্যকে আইনসভা থেকে অপসারণের অধিকায় পায় ।

● আইনের ত্রুটি:-

a)  এই শাসনসংস্কার আইন দ্বারা কেন্দ্র কিংবা প্রদেশে কোনো দায়িত্বশীল শাসনব্যকথা গড়ে ওঠেনি । 

b) এই আইনের দ্বারা নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের কোনো ক্ষমতা বা মতামতের গুরুত্ব ছিল না ।

c )  দেশীয় রাজ্য , সামরিক বিভাগ , বৈদেশিক নীতি প্রভৃতি বিষয়ে কোনো প্রস্তাব আনার অধিকার আইনসভার ছিল না ।

d )  এই আইনানুসারে গভর্নর জেনারেলই ছিলেন সর্বোচ্চ ক্ষমতার অধিকারী । আইনসভার যে - কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ , বাতিল করার অধিকারী ছিলেন তিনি । 

e ) এই আইনে মুসলিমদের জন্য পৃথক নির্বাচকমণ্ডলী গঠনের কথা বলা হয়েছিল , যা ভারতীয় জাতীয়তাবাদে আঘাত হানে । 

f ) এই আইনের দ্বারা কংগ্রেসের চরমপন্থী গোষ্ঠীকে জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন করার উদ্যোগ নেওয়া হয় , অন্যদিকে নরমপন্থীদেরও আশা - আকাঙ্ক্ষা পূরণ করা হয়নি । 

● গুরুত্ব:-  এই আইন ভারতের শাসনব্যবস্থা ও রাজনীতির উপর গভীর প্রভাব ফেলেছিল । এই আইনের দ্বারাই প্রথম কেন্দ্রীয় ও প্রাদেশিক আইনসভাগুলিতে বেসরকারি সদস্য সংখ্যা বৃদ্ধি করা হয় । এই আইনের দ্বারা বড়োলাটের শাসন পরিষদে একজন ভারতীয় সদস্য গ্রহণ করে সরকারি প্রশাসনে ভারতীয়দের যুক্ত করার ব্যবস্থা করা হয় ।  এই সংস্কার আইন ভারতে সাংবিধানিক রীতিনীতি প্রচলন ও আইনের শাসনের ভিত্তি প্রতিষ্ঠা করে ।

6. Ans নৌবিদ্রোহের কারণ ও গুরুত্ব লেখো । 

ভূমিকা : দ্বিতীয় বিশযুদ্ধের পরবর্তীকালে ভারতে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ জাতীয়  অভ্যুত্থান ছিল রয়্যাল ইন্ডিয় নেভির ধর্মঘট যা নৌবিদ্রোহ নামে ভারত ইতিহাসে খ্যাত । সুমিত সরকার লিখেছেন " ব্রিটিশদের সবচেয়ে  বড়ো ত্রাস অবশ্যই ছিল 1946 খ্রিস্টাব্দের নৌবিদ্রোহ ।

●  নৌবিদ্রোহের কারণ :-  1946 খ্রিস্টাব্দে বোম্বাইয়ের ভারতীয় নৌবাহিনীতে ব্যাপকভাবে  বিদ্রোহ ঘটেছিল তার পিছনে একাধিক কারণ দায়ী ছিল । যথা—

A)  খাদ্যগত বৈষম্য : ভারতীয় নাবিকদের নিকৃষ্টমানের খাদ্য সরবরাহ করা হত । কিন্তু ইংরেজ সেনারা উচ্চমানের খাদ্য পেত । ফলে ভারতীয় নৌসেনা , কর্মী এবং অফিসারদের মধ্যে বিক্ষোভ দানা বাধে।

 B) জাভিগত বিদ্বেষ:- ইংরেজ নাবিক ও নৌ - অফিসাররা ভারতীয় নাবিক ও নৌ - অফিসারদের যথেষ্ঠ ঘৃনার চোখে দেখত । এ ছাড়া ভারতীয় নাবিকদের সঙ্গে অপমানজনক ব্যবহারও করা হত । ফলে ভারত নাবিক ও সেনারা ইংরেজদের প্রতি প্রতিশোধপরায়ণ হয়ে ওঠে ।

C) ব্রিটিশ অফিসারদের খারাপ ব্যবহার : নৌসেনাবাহিনীতে জাতিগত বিদ্বেষের কারণে ইংরেজ নৌঅফিসাররা ভারতীয় নৌসেনাদের অকারণে গালিগালাজ , অপমান ও তাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করত । এই বৈষম্যমূলক আচরণ ভারতীয় নৌসেনাদের মনে অসন্তোষের জন্ম দেয়।

D ) বেতন বৈষম্য : সমযোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও ভারতীয় নৌসেনাদের কখনোই ব্রিটিশ নৌসেনাদের সমপরিমাণ বেতন দেওয়া হতো না । ব্রিটিশ সরকারের এই বেতন বৈষম্য ভারতীয় নৌসেনাদের মনে ক্ষোভের সঞ্চার করেছিল । 

E ) পদোন্নতি না করানো : নৌবাহিনীতে ভারতীয় নৌসেনাদের পদোন্নতির কোনো সুযোগ ছিল না । এমনকী চাকরির মেয়াদ শেষ হলেও পুনর্বাসনের কোনো ব্যবস্থা ছিল না । 

F ) আজাদ হিন্দ সেনাদের বিচার : ভারতের স্বাধীনতার জন্য নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর নেতৃত্বে আজাদ হিন্দ ফৌজের বীরত্বপূর্ণ সংগ্রাম ভারতীয় নৌসেনাদের খুবই অনুপ্রাণিত করেছিল । এবং তাদের বিদ্রোহের পথে পা বাড়াতে উদ্বুদ্ধ করে । আজাদ হিন্দ বাহিনীর আত্মত্যাগ এবং ভারতের স্বাধীনতার জন্য এই বাহিনীর সংগ্রাম নৌসেনাদের নতুন দিশা দেখায় ।

বিদ্রোহের প্রসার : ভারতীয় নৌবাহিনীর মধ্যে উপারার কারণে বিদ্রোহের পটভূমি তৈরি হয়েছিল । 1946 খ্রিস্টাব্দের ১৪ ফেব্রুয়ারি বোম্বাইয়ে তলোয়ার জাহাজে ভারতীয় নৌসেনাগণ বিদ্রোহের প্রত্যক্ষ সূচনা ঘটায় । কিছুদিনের মধ্যেই এই বিদ্রোহ  কলকাতা , করাচি , কোচিন , মাদ্রাজ প্রভৃতি স্থানেও ছড়িয়ে পড়ে । ভারতীয় নৌসেনিওরা বিদ্রোহটি পরিচালিত করার জন্য ' কেন্দ্রীয় ধর্মঘট কমিটি ' গড়ে তোলে ।

গুরুত্ব :- নৌবিদ্রোহ শেষ পর্যন্ত ব্যর্থ হয়েছিল ঠিকই , তার এই বিদ্রোহের গুরুত্ব ছিল অপরিসীম ।

এই বিদ্রোহের ফলে ইংরেজরা বুঝতে পেরেছিল যে শুধু সাধারণ মানুষ নয় ভারতীয় নৌসেনারাও তাদের চরম শত্রুতে পরিণত হয়েছে । 

এই বিদ্রোহের ফলে ভারতীয় স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে নতুন অধ্যায়ের সূচনা হয় । এই বিদ্রোহে হিন্দু - মুসলিম ঐক্য স্থাপিত হয়েছিল ।

এই বিদ্রোহের ফলে ভারতীয় নৌসেনা ও সাধারণ মানুষদের মধ্যে ব্যবধান হ্রাস পায় এবং তারা একত্রে ব্রিটিশ বিরোধী বিদ্রোহে যোগদান করে । 

জাতীয় কংগ্রেস ও মুসলিম লিগ উভয় শীর্ষগানীয় রাজনৈতিক দলই এই বিদ্রোহের বিরোধিতা করেছিল । কেবলমাত্র ভারতীয় কমিউনিস্ট দলের থেকেই বিদ্রোহীরা সমর্থন পেয়েছিল । শীর্ষস্থানীয় দলগুলি জাতীয় আন্দোলনের প্রসারের তুলনায় রাজনৈতিক ক্ষমতা দখলের ক্ষেত্রেই অধিক মনোযোগী ছিল ।

ভূমিরাজস্ব ও নবজাগরন

 3. ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির আমলে ভারতের ভূমিরাজস্ব ব্যবস্থার সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও । 

উত্তর:- 1765 খ্রিস্টাব্দে দেওয়ানি লাভের পর বাংলার গভর্নর লর্ডক্লাইভ পূর্বতন মুঘল আমলের ভূমিরাজস্ব ব্যবস্থা বজায় রাখেন । পরবর্তীকালে ওয়ারেন হেস্টিংস বাংলার গভর্নর - জেনারেল নিযুক্ত হয়ে ভারতের ভূমিরাজস্ব ব্যবস্থা সম্পর্কে বিভিন্ন পরীক্ষানিরীক্ষা চালিয়ে , রাজস্ব আদায়ের ভার কোম্পানির হাতে তুলে দেন । 

■ কোম্পানির আমলে ভারতের বিভিন্ন ভূমিরাজস্ব ব্যবস্থা :- 

● পাঁচসালা বন্দোবস্ত :- 1772 খ্রিস্টাব্দে বাংলার গভর্নর থাকার সময় হেস্টিংস তাঁর কাউন্সিলের চারজন সদস্যকে নিয়ে একটি ভ্রাম্যমাণ কমিটি গঠন করেন । এই কমিটির দায়িত্ব ছিল জমির ইজারাদার নিয়োগের । সর্বাধিক রাজস্ব প্রদানে সম্মত ইজারাদারকে পরবর্তী পাঁচ বছরের জন্য জমি ইজারার দায়িত্ব দেওয়া হত । সর্বাধিক রাজস্ব দিতে ব্যর্থ ইজারাদারের কাছ থেকে জমি কেড়েও নেওয়া হত । পাঁচ বছরের জন্য বলবৎ এই ব্যবস্থাটিকে পাঁচসালা বন্দোবস্ত বলা হত । 1772 থেকে 1777 খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত এই ব্যবস্থা কার্যকর থাকে । এই ভূমি বন্দোবস্তের উল্লেখযোগ্য দিকগুলি হল— 

কালেক্টর নিয়োগ:-  পূর্বে ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির রাজস্ব সংক্রান্ত সমস্ত ব্যাপার দেখাশোনা করত সুপারভাইজার নামক এক শ্রেণির কর্মচারী হেস্টিংস ওই কর্মচারীদের নতুন নামকরণ করেন কালেক্টর কালেক্টরদের নির্দিষ্ট কতগুলি দায়িত্ব পালন করতে হত । 

রাজস্ব বোর্ড ( Board of Revenue ) গঠন :- ভ্রাম্যমাণ কমিটি ক্ষমতার অপব্যবহার করে দুর্নীতিগ্রস্ত হয়ে পড়ে ফলশ্রুতিস্বরূপ হেস্টিংস এই কমিটিকে বাধ্য হয়ে বাতিল করেন সঠিকভাবে রাজস্ব সংগ্রহ করার জন্য 1773 খ্রিস্টাব্দে তিনি একটি রাজস্ব বোর্ড ( Board of Revenue ) গঠন করেন । 

আমিনি কমিশন গঠন : রাজস্বের ব্যাপারে সঠিক তথ্যসংগ্রহ করার উদ্দেশ্যে হেস্টিংস 1776 খ্রিস্টাব্দে আমিনি কমিশন গঠন করেন । 

● একসালা বন্দোবস্ত :-  পাঁচসালা বন্দোবস্তে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেওয়ায় হেস্টিংস 1777 খ্রিস্টাব্দে এটি বাতিল করে দেন । পরিবর্তে এক বছরের জন্য জমি বন্দোবস্ত দেওয়ার ব্যবস্থা চালু করেন । নতুন এই জমি বন্দোবস্ত প্রথাটি পরিচিত হয় একসালা বন্দোবস্ত নামে । 1277 খ্রিস্টাব্দে চালু হওয়া ব্যবস্থাটি 1779 খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত বলবৎ থাকে । এই জমি বন্দোবস্তের কয়েকটি উল্লেখযোগ্য ইতিবাচক দিক হল— একসালা বন্দোবস্তে কোনো জমিদার যদি রাজস্ব বাকি রাখতেন তাহলে সেই পরিমাণ রাজস্ব আদায়ের উপায় নির্দিষ্ট থাকত । সেক্ষেত্রে এই জমিদারের জমিদারির একাংশ বিক্রি করে তাকে রাজস্ব প্রদান করতে হয় এই ব্যবস্থায় নির্দিষ্ট জমির অধিকারী হতেন পুরোনো জমিদাররাই । 

●  দশসালা বন্দোবস্ত:-  জন শোরের বক্তব্যে আকৃষ্ট হয়ে কর্নওয়ালিশ 1789 খ্রিস্টাব্দে বাংলা ও বিহারে এবং  উড়িষ্যায় দশ বছরের জন্য জমি দেওয়ার প্রথা চালু করেন , যা দশসালা বন্দোবস্তা নামে পরিচিত হয় । এই ব্যবস্থা প্রবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে তিনি ঘোষণা করেন যে ব্রিটেনের পরিচালক সত্তা অনুমোদন দিলে এই দশ বছর মেয়াদি বন্দোবস্তকে চিরস্থায়ী করা হবে ।

● চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত :- 1794 খ্রিস্টাব্দে বাংলা , বিহার ওড়িশায় লর্ডকর্নওয়ালিস  চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত চালু করেন।চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের ফলাফল সম্পর্কে ঐতিহাসিকরা ভিন্ন ভিন্ন মত প্রকাশ করেছেন । মার্শম্যান এর মতো অনেকে এই ব্যবস্থার সাফল্যের কথাও বলেছেন । অপরদিকে হোমস - এর মতো কোনো কোনো ঐতিহাসিক এই ভূমি বন্দোবস্তের বেশকিছু ত্রুটি তুলে ধরেছেন । 

● সুফল : চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত ভারতের সামাজিক ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে যথেষ্ট ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছিল । এর সুফলগুলি হল— 

(A) এই ভূমি বন্দোবস্তের ফলে কৃষির উন্নতি ঘটে এবং কৃষিযোগ্য জমির পরিমাণও বৃদ্ধি পায় । 

(B)  চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের ফলে সরকারের বার্ষিক আয় সুনির্দিষ্ট হওয়ায় বাজেট প্রস্তুতিতে সুবিধা হয় । 

(C) জমিদাররা নির্দিষ্ট খাজনা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে দিয়ে বংশানুক্রমিকভাবে জমি ভোগ করার অধিকার পান । 

(D) এর ফলে নতুন জমিদার শ্রেণির উত্থান ঘটে , যারা ব্রিটিশ সরকারের বিশেষ সমর্থকে পরিণত হয় ।

● কুফল :-চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের ফল অপেক্ষা ফল ছিল অনেক বেশি । সেগুলি হল-- 

(A) জমির গুণাগুণ বিচার করে যে রাজস্ব ধার্য করা হত তার পরিমাণ ছিল অনেক বেশি । 

(B ) সূর্যাস্ত আইন অনুযায়ী জমিদাররা নির্দিষ্ট দিনে রাজস্ব জমা না দিলে তাদের জমিদারি হারাতে হত । 

(C ) অতিরিক্ত রাজস্বের চাপে কৃষকরা মহাজনদের কাছে সুদে টাকা  নিতে বাধ্য হত । এভাবেই গরিব কৃষকরা ঋণের জালে জড়িয়ে পড়ে । 

(D ) চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের অন্যতম প্রধান কুফল  হল পাত্তনি প্রথা এবং পাত্তনিদার নামক এক মধ্যস্বত্বভোগী শ্রেণির উদ্ভব । 

● রায়তওয়ারি বন্দোবস্ত :- দক্ষিণ ও দক্ষিণ - পশ্চিম ভারতের বেশকিছু অঞ্চলে ইংরেজ কোম্পানির শাসন । প্রতিষ্ঠিত হলে সেখানকার ভূমিবন্দোবস্তু সম্পর্কে নতুন করে চিন্তাভাবনা শুরু হয় যার ফলস্বরূপ 1820 খ্রিস্টাব্দে স্থানীয় প্রশাসক আলেকজান্ডার রিড এবং স্যার টমাস মনরো রায়তওয়ারি বন্দোবস্ত প্রবর্তন করেন ।

এই ব্যবস্থায় রায়তদের জমির ওপর স্থায়ী অধিকার থাকত না । দীর্ঘমেয়াদি শর্তে তারা 20-30 বছরের জন্য জমি ভোগদখলের অধিকার পেত । রায়তওয়ারি ব্যবস্থার অন্যতম বৈশিষ্ট্যগুলি হল— রায়তওয়ারি ব্যবস্থায় কৃষিযোগ্য জমিগুলিকে প্রথমে জরিপের ব্যবস্থা করা হত । তারপর সেগুলিকে উৎপাদন ক্ষমতা ও উর্বরতা অনুযায়ী এটি শ্রেণিতে বিভক্ত করে কৃষকাদের মধ্যে বণ্টন করা হত ।

● মহলওয়ারি বন্দোবস্ত:- 1822 খ্রিস্টাব্দে গাঙ্গেয় উপত্যকা , উত্তর - পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশ এবং মধ্যভারতের বেশকিছু অঞ্চলে মহলওয়ারি বন্দোবস্ত চালু হয়েছিল । নতলওয়ারি ব্যবস্থায় কয়েকটি গ্রাম নিয়ে তৈরি হওয়া মহল বা তালুকের ওপর রাজস্ব নির্ধারিত হত । এক্ষেত্রেও জমি বন্দোবস্ত দেওয়া হত 20-30 বছরের জন্য । এই বন্দোবস্তের প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলি হল— ইজারা প্রদান নির্দিষ্ট রাজস্ব প্রদানের শর্তে এক বা একাধিক ব্যক্তিকে সরকার কোনো নির্দিষ্ট মহল বা অঞ্চলের ইজারা দিত । ইজারা প্রাপক গ্রামের প্রধান বা মহলের কৃষকদের থেকে রাজস্ব আদায় করে সরকারকে দিত ।

এ ছাড়াও কোম্পানি নানা ধরনের ভূমিরাজস্ব ব্যবস্থা প্রবর্তন করে যেমন , ভাইয়াচারি বন্দোবস্ত পাঞ্জাবের কিছু অঞ্চলে চালু করা হয় । পরীক্ষানিরীক্ষা করে , যাতে সর্বোচ্চ রাজস্ব , ভারতের বিপুল চাষি - জমি থেকে জোগাড় করা যায় , সেই লক্ষ্য পূরণে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি তৎপর ছিল।

4. বাংলার নবজাগরণের প্রকৃতি আলোচনা করো । এর সীমাবদ্ধতা কী ছিল ? 

 নবজাগরণ :- উনিশ শতকে পাশ্চাত্য শিক্ষায় শিক্ষিত বাঙালি মধ্যবিত্ত শ্রেণির উদ্যোগে বাংলায় পাশ্চাত্য শিক্ষা ও জ্ঞান- বিজ্ঞানের চর্চা , ধর্মীয় উদারতা , সমাজসংস্কার , আধুনিক সাহিত্যের বিকাশ প্রভৃতি শুরু হয় । ফলে ঊনবিংশ শতকে বাংলার সমাজ- সংস্কৃতিতেও ব্যাপক অগ্রগতি ঘটে । এই অগ্রগতিকে কেউ কেউ উনিশ শতকে বাংলার নবজাগরণ ' বলে অভিহিত করেছেন ।

 নবজাগরণের প্রসার : উনিশ শতকে বাংলার বৌদ্ধিক অগ্রগতি বা নবজাগরণের প্রাণকেন্দ্র ছিল কলকাতা । কলকাতা থেকে এই অগ্রগতির ধারা পরবর্তীকালে বাংলা তথা ভারতের সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে রাজা রামমোহন রায়ের সময়কে এই জাগরণের সূচনাকাল হিসেবে ধরা হয় রামমোহন , বিদ্যাসাগর , কেশবচন্দ্র , দেবেন্দ্রনাথ প্রমুখ এই আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেন ।

বাংলার নবজাগরণের চরিত্র বা প্রকৃতি:-  পঞ্চদশ শতকে সংঘটিত ইউরোপের নবজাগরণের সঙ্গে অনেকে উনিশ শতকে সংঘটিত বাংলার নবজাগরণের তুলনা করেছেন । এর ফলে বাংলার নবজাগরণের চরিত্র বা প্রকৃতি নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে ।

(A ) সীমিত পরিসর :- ঊনিশ শতকের বাংলার নবজাগরণের ব্যাপ্তি বা পরিসর ছিল খুবই সীমিত । তা ছিল মূলত শহরকেন্দ্রিক , বিশেষ করে কলকাতাকেন্দ্রিক । কলকাতার বাইরে গ্রামবাংলায় এই নবজাগরণের প্রসার ঘটেনি এবং গ্রামবাংলার বৃহত্তর জনগোষ্ঠী এই নবজাগরণের কোনো সুফল পায়নি ।

(B ) মধ্যবিত্ত সমাজের মধ্যে সীমাবদ্ধতা :-  বাংলার জাগরণ শুধু পাশ্চাত্য শিক্ষায় শিক্ষিত প্রগতিশীল সমাজে সীমাবদ্ধ ছিল । বিভিন্ন ঐতিহাসিক এই সমাজের লোকেদের মধ্যবিত্ত ভদ্রলোক ' বলে অভিহিত করেছেন এজন্য অধ্যাপক অনিল শীল এই জাগরণকে এলিটিস্ট আন্দোলন বলে অভিহিত করেছেন । 

(C ) ব্রিটিশ নির্ভরতা :- বাংলার এই জাগরণ অতিমাত্রায় ব্রিটিশ - নির্ভর হয়ে পড়েছিল । ব্রিটিশ শাসনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল নবজাগরণের নেতৃবৃন্দ মনে করতেন যে , ব্রিটিশ শাসনের দ্বারাই ভারতীয় সমাজের মঙ্গল সাধিত হবে ।

(D ) হিন্দু জাগরণবাদ:- বাংলার নবজাগরণ প্রকৃতপক্ষে ‘ হিন্দু জাগরণবাদের পর্যবসিত হয় । রাধাকান্ত দেব , মৃত্যুঞ্জয় বিদ্যালঙ্কার প্রমুখের কার্যকলাপে হিন্দু জাগরণবাদের ছায়া দেখতে পাওয়া যায় । আবার , রামমোহন ও বিদ্যাসাগরও হিন্দুশাস্ত্রকে ভিত্তি করেই সমাজ পরিবর্তনের ডাক দিয়েছিলেন । 

● নবজাগরণ মতবাদের বিতর্ক :- 

পহ্মে :- ঐতিহসিক যদুনাথ সরকার , সুশোভন সরকার প্রমুখ উনিশ শতকের অগ্রগতিকে নবজাগরণ ' বলে স্বীকার করে নিয়েছেন ।স্যার যদুনাথ সরকার তার হিস্ট্রি অব বেঙ্গল ' গ্রন্থে উনিশ শতকে বাংলার বৌদ্ধিক অগ্রগতিকে নবজাগরণ ' বলে স্বীকার করে নিয়েছেন ।ঐতিহাসিক যদুনাথ সরকার লিখেছেন , ' ইংরেজদের দেওয়া সবচেয়ে বড়ো উপহার হল আমাদের উনিশ শতকের নবজাগরণ । 

বিপক্ষে :- নবজাগরণ ' অভিধার বিপক্ষে অশোক মিত্র , বিনয় ঘোষ , সুপ্রকাশ রায় , ড . বরুণ দে , ড . সুমিত সরকার প্রমুখ উনিশ শতকে বাংলার বৌশিক অগ্রগতিকে নবজাগরণ ' বলে স্বীকার করেন না । অশোক মিত্র সেন্সাস রিপোর্টে উনিশ শতকে বাংলার নবজাগরণকে ' তথাকথিত নবজাগরণ " বলে অভিহিত করেছেন ।

সীমাবদ্ধতা :

(i )  ইটালির ফ্লোরেন্স নগরী ইউরোপের নবজাগরণে যে ভূমিকা পালন করে বাংলার কলকাতা তা করতে পারেনি ।

(ii) ফ্লোরেন্সের মতো স্বাধীন মানসিকতা ও শিল্পীমন কলকাতার ছিল না । 

(iii) উনিশ শতকে বাংলার নবজাগরণ ছিল মূলত শহরকেন্দ্রিক । কৃষক - শ্রমিকসহ সমাজের একটি বড়ো অংশ এই নবজাগরণের অংশ হতে পারেনি । 

(iv) বাংলার নবজাগরণ ছিল মূলত বর্ণহিন্দুদের । মুসলিম সমাজ এর বাইরে ছিল । 

(v) বাংলার নবজাগরণের প্রবক্তারা বাংলার সমাজকাঠামো , ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান , জাতিভেদ প্রথা প্রভৃতি ক্ষেত্রে পুরোপুরি সাফল্য লাভ করেনি ।

হো - চি - মিন ও কিউবা হ্মেপনাস্ত্র সংকটর

 5. ভিয়েতনামের স্বাধীনতা আন্দোলনে হো - চি - মিনের ভূমিকার মূল্যায়ন করো ।

 Ans দক্ষিণ - পূর্ব এশিয়ার অন্যতম দেশ ইন্দোচিনে উনিশ শতকে যে ফরাসি প্রাধান্যের সূচনা হয়েছিল , দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পর্যন্ত তা অব্যাহত ছিল । 1940 খ্রিস্টাব্দ নাগাদ জাপান দক্ষিণ - পূর্ব এশিয়ায় সাম্রাজ্যবাদ বিস্তার নীতি গ্রহণ করে এবং সমগ্র ইন্দোচিনে সাময়িকভাবে জাপানি আধিপত্য প্রতিষ্ঠিত হয় । এই সময় শ্রমিক ও কৃষকদের ঐক্যবদ্ধ করে ইন্দোচিনে জাতীয়তাবাদী মুক্তিসংগ্রাম শুরু হয় এই সংগ্রামের নেতা ছিলেন কমিউনিস্ট নেতা নগুয়েন আই কুয়োক , যিনি হো - চি - মিন নামে পরিচিত ।

● ভিয়েতনাম :-  আন্নাম , টংকিং ও কোচিন নিয়ে গঠিত ছিল ভিয়েতনাম । 1930 খ্রিস্টাব্দে হো - চি - মিন ভিয়েতনাম ওয়ার্কার্স পার্টি গঠন করেন এবং পরবর্তীকালে এটি ' ভিয়েতনাম কমিউনিস্ট পার্টি ' নামে পরিচিত হয় । 1941 খ্রিস্টাব্দে তিনি ' লিগ ফর দি ইনডিপেন্ডেন্স ইন ভিয়েতনাম ' বা ' ভিয়েতমিন ' গঠন করেন । এছাড়াও তিনি একটি গুপ্ত সংগঠন গড়ে তোলেন । এই সংগঠনের সদস্যরা গেরিলা যুদ্ধে পারদর্শী ছিল ।

●হো - চি - মিনের নেতৃত্ব :-  ইন্দোচিনে ফরাসি সাম্রাজ্যবাদের অবসান ঘটার পরে  জাপানের আবির্ভাবের সুযোগে আন্নাম , কম্বোজ ও লাওসের রাজারা নিজেদের স্বাধীন বলে ঘোষণা করেন ।  ভিয়েতমিন নেতা হো - চি - মিন এই সুযোগে টংকিং - এর সাতটি প্রদেশে নিজ কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করেন এবং হ্যানয় নামক স্থানটিও নিজ অধিকার করেন ।  হো - চি - মিনের নেতৃত্বে এইসব  স্থানে ভিয়েতনাম গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয় ।

● দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধোত্তর পরিস্থিতি:- 1945 খ্রিস্টাব্দে জাপানের আত্মসমর্পণের পর 1945 খ্রিস্টাব্দে পটসডাম সম্মেলনে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে জাপানের অপসারণের পর ইন্দোচিনের 17 অক্ষরেখার উত্তর কুয়োমিনটাং এবং 17 ° অক্ষরেখার দক্ষিণে ব্রিটেন দায়িত্ব গ্রহণ করবে । দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইন্দোচিনে ফ্রান্সের কর্তৃত্ব পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়। অন্যদিকে কুয়োমিনটাং চিন ও উত্তর ইন্দোচিনে হো - চি - মিনের ক্ষমতা দখল করে । 

●যুদ্ধের সূচনা :- ফ্রান্স কেবলমাত্র দক্ষিণ ইন্দোচিন নিয়ে খুশি ছিল না । তার লক্ষ্য ছিল সমগ্র ইন্দোচিনে ফরাসি আধিপত্যের পুন:প্রতিষ্ঠা করা  । অপরদিকে হো - চি - মিনের লক্ষ্য ছিল ভিয়েতনামের স্বাধীনতা অর্জন করা । 1946 খ্রিস্টাকে উভয়পক্ষের মধ্যে চুক্তি হওয়া সত্ত্বেও ইন্দোচিনে ভিয়েতনাম যুদ্ধ শুরু হয় , যা দীর্ঘ আট বছর ধরে চলে । দীর্ঘস্থায়ী এই যুদ্ধে ফ্রান্স ইন্দোচিনের কিছু শহরে নিজ আধিপত্য বজায় রাখতে সক্ষম হলেও গ্রামাঞ্চলে ছিল ভিয়েতমিন বাহিনীর আধিপত্য প্রতিষ্ঠিত হয় ।

●  মার্কিন ভূমিকাঃ- পশ্চিমি শক্তিজোটের পক্ষে ভিয়েতনাম যুদ্ধ ছিল একটি অসমযুদ্ধ । মুষ্টিমের প্রতিক্রিয়াশীল সামন্ত , বণিক সম্প্রদায় ও আমলাগোষ্ঠীই তাদের পক্ষে ছিল । অন্যদিকে ইন্দোচিনের সাধারণ মানুষ ছিল হো - চি - মিনের পক্ষে । শুরুতে আমেরিকা ভিয়েতনাম যুদ্ধে সরাসরি দেয়নি , ফ্রান্সকে মদত দিয়েছে । কিন্তু হো - চি - মিনের আন্দোলনে সাম্যবাদী আন্দোলনের প্রভাব লক্ষ করায় আমেরিকা হস্তক্ষেপ করার নীতি গ্রহণ করে । ফরাসি সেনাপতি নেভারে ভিয়েতমিনদের ধ্বংস করতে দিয়েন বিয়েন - ফু নামে একটি অস্ত্রভাণ্ডার গড়ে তোলে । কিন্তু ভিয়েতমিন সেনাপতি জেনারেল গিয়াপ এক সময়োচিত আক্রমণে ফরাসি বাহিনীর দুর্ভেদ্য ঘাঁটি ছিন্নভিন্ন করে দেয় ।

●ভিয়েতকং :- 1954 খ্রিস্টাব্দের জেনেভা চুক্তির দ্বারা ভিয়েতনাম সমস্যার সমাধান হয়নি । 17 ° উত্তর অক্ষরেখা বরাবর ভিয়েতনামকে দ্বিধাবিভক্ত করে উত্তর ভিয়েতনামে ভিয়েতমিন এবং দক্ষিণ ভিয়েতনামে ন দিন দিয়েম - এর শাসন প্রতিষ্ঠিত হয় । উত্তর ভিয়েতনামে হো - চি - মিনের নেতৃত্বে সুসংবদ্ধ সরকার তৈরি হলেও দক্ষিণ ভিয়েতনামের পরিস্থিতি জটিল হয়ে ওঠে । দিয়েমের স্বৈরাচারী শাসনের বিরুদ্ধে দক্ষিণ ভিয়েতনামে জাতীয় মুক্তি ফ্রন্ট গঠিত হয় । দিয়েম এই ফ্রন্টকে ভিয়েতকং বা ভিয়েতনামি কমিউনিস্ট পার্টি ' আখ্যা দেন । অর্থ ও অস্ত্র দিয়ে উত্তর ভিয়েতনাম তাদের নানাভাবে সাহায্য করে । এইভাবে ভিয়েতনাম ক্রমশ ঐক্যবদ্ধ হয়ে স্বাধীনতার পথে এগিয়ে যেতে থাকে ।

2. কিউবা হ্মেপনাস্ত্র সংকট কী ? এর গুরুত্ব আলোচনা করো ?

উ :- দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরবর্তীকালে ক্যরিবিয়ান সাগরে অবস্থিত পশ্চিম ভারতীয় দ্বীপপুঞ্জে অবস্থিত সর্ববৃহৎ দ্বীপ কিউবায় হ্মেপনাস্ত্র ঘাটি নির্মানকে কেন্দ্র করে সোভিয়েত রাশিয়া ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে যে সংষাত শুরু হয় তা কিউবা হ্মেপনাস্ত্র সংকট নামে পরিচিত। 

● পটভূমি :- আর্থিক দিক থেকে বিচার করলে কিউবা হল একটি মার্কিন উপনিবেশ। কিউবার অর্থনীতি পুরোপুরি আমেরিকার আর্থিক সাহায্য ও বিনিযোগের উপর নির্ভরশীল ছিল। 1959 খ্রি: কিউবায় বাতিস্তা সরকারের পতন ঘটলে ফিদেল কাস্ত্রোর নেতৃত্বে নতুন সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়। পরবর্তীকালে কিউবার অর্থনৈতিক সংস্কারকে কেন্দ্র করে কিউবা ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয় এবং কিউবা ক্রমে সোভিয়েত অনুগত রাষ্ট্রে পরিনত হয়।

● ফিদেল কাস্ত্রোর ভূমিকা:- বাতিস্তা সরকারের জনবিরোধী কাজকর্মের প্রতিবাদে কিউবার তৎকালীন ছাত্রনেতা ফিদেল কাস্ত্রো তীব্র সরকারবিরোধী আন্দোলন গড়ে তোলেন । ক্রমশ জনসমর্থন আদায় করে এক বৈপ্লবিক অভ্যুত্থানের দ্বারা বাতিস্তা সরকারের পতন ঘটিয়ে কাস্ত্রো কিউবার ক্ষমতা দখল করেন। কিউবার রাষ্ট্রপতি কাস্ত্রো এরপর পুঁজিবাদী আমেরিকার দিক থেকে সরে এসে রাশিয়া , চিন ও অন্যান্য সমাজতান্ত্রিক দেশের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলার উদ্যোগ নেন ।

● কাস্ত্রো সরকারের অপসারণে আমেরিকার ভূমিকা : গ্রামেরিকা যুক্তরাষ্ট্র কাস্ত্রোর এরকম কার্যকলাপে অত্যন্ত ক্ষুব্ধ হয়ে নানাভাবে কাস্ত্রো সরকারের পতনের পরিকল্পনা নেয় ।1961 খ্রি: 16 ই এপ্রিল মার্কিন উদ্যোগে 1800 কাস্ত্রো বিরোধী সৈন্য কিউবায় অবতরন করেন। কিন্তু মাত্র দুদিনেই কিউবার সেনাবাহিনী এই আক্রমন প্রতিহত করতে সহ্মম হয়।

● কিউবায় ক্ষেপণাস্ত্র ঘাঁটি গঠন :-কাস্ত্রো সরকার 50 লক্ষ কিউবাবাসীকে রক্ষার জন্য রাশিয়ার সাহায্যে কিউবাতে একটি ক্ষেপণাস্ত্র ঘাঁটি গড়ার সিদ্ধান্ত নেয় ।1982 খ্রিস্টাব্দে সোভিয়েত ইউনিয়ন কিউবায় একটি মাঝারি ধরনের ক্ষেপনাস্ত্র ও 30 টি কেন্ট আণবিক বোমার বিমান সরবরাহ করে । বিদেশের মাটিতে এটিই ছিল সোভিয়েত ইউনিয়নে প্রথম ক্ষেপণাস্ত্র ঘাঁটি ।

●আমেরিকার প্রতিক্রিয়া:-  1962  খ্রিস্টাব্দের অক্টোবর মাসে আমেরিকা তার গুপ্তচর বিমানের তোলা ছবি থেকে জানতে পারে যে , কিউবায় সোভিয়েত ইউনিয়ন একটি ক্ষেপণাস্ত্র ঘাঁটি তৈরি করেছে।  কাজেই এখান থেকে নিক্ষিপ্ত ক্ষেপণাস্ত্র যুক্তরাষ্ট্র - সহ সমস্ত পশ্চিম গোলাধের নিরাপত্তাই ব্যাহত করতে পারে এই আশঙ্কায় আমেরিকা ভীত হয়ে পড়ে।

● কিউবা অবরোধ :- মার্কিন  রাষ্ট্রপতি কোনেডি কিউবায় নৌ - অবরোধের নির্দেশ দেন । 1962 খ্রি: 22 অক্টোবর এক বেতার ঘোষণার মাধ্যমে তিনি বিশ্ববাসীকে সেই অবরোধ সম্পর্কে জানান । প্রতিক্রিয়া স্বরুপ  সোভিয়েত সরকারও যুদ্ধের প্রস্তুতি গ্রহণ করে । এই অবস্থায় শেষ পর্যন্ত জাতিপুঞ্জের মধ্যস্থতায় এই সমস্যার সমাপ্তি ঘটে।

গুরুত্ব:- কিউবা সংকট হ্মনস্থায়ী হলেও এর গুরুত্ব অপরিসীম । যেমন ---

  মানবতাবাদের জয়:-  কিউবা সংকটকে কেন্দ্র করে ভবিষ্যতে আণবিক যুদ্ধ শুরু হতে পারে এমন আশঙ্কা  দেখা দিয়েছিল । তবে সঠিক সময় মার্কিন রাষ্ট্র এবং সোভিয়েত রাশিয়া এর ভয়াবহতা বুঝতে পারে । এই দুই দেশের পক্ষ থেকে যুদ্ধের উদ্যোগ হ্রাস পেলে মানবতাবাদের জয় হয়।

Madhyamik Geo Suggestion 2024

 A. শুদ্ধ অথবা  অশুদ্ধ লেখ:-

1)বায়ুমন্ডলের সবচেয়ে হালকা গ্যাস হল হাইড্রোজেন । --- শুদ্ধ।

2)গঙ্গানদীর নিম্ন প্রবাহে অসংখ্য অশ্বক্ষুরাকৃতি হ্রদ দেখা যায় । --- শুদ্ধ।

3)আপেক্ষিক আর্দ্রতা সর্বাধিক হয় দুপুর বেলা । --- অশুদ্ধ (ভোরবেলা )।

4)খারিফ শষ্য বর্ষাকালে চাষ হয় ।--- শুদ্ধ।

5)পৃথিবীর উষ্ণায়নে CFC এর প্রভাব সবচেয়ে বেশি ।--- অশুদ্ধ(co2)

6)উপগ্রহ চিত্র প্রকৃত ও ছদ্ম উভয় রঙের হয় ।--- শুদ্ধ।

7)স্ক্রাবার পদ্ধতিতে বায়ুর ধোঁয়া ও বর্জ্য নিষ্কাশন করা হয় । --- শুদ্ধ।

8)নলপথের মাধ্যমে যাত্রী পরিবাহিত হয় ।--- অশুদ্ধ(তেল)

9) হুগলি নদীতে শীতকালে ষাড়াষাড়ির বান দেখা যায়। --- অশুদ্ধ (বর্ষাকালে)

10) ভারতের সর্বাধিক জনঘনত্বযুক্ত রাজ্য হল বিহার । --- শুদ্ধ।

11) শুষ্ক নদীখাতকে ওয়াদি বলে । --- শুদ্ধ।

12) মালাবার উপকুলে বছরে দুবার বৃষ্টি হয়। --- অশুদ্ধ (করমন্ডল উপকুলে )

13)মরু উদ্ভিদ জেরোফাইট নামে পরিচিত । --- শুদ্ধ।

14)মন্থকূপ সৃষ্টি হতে গেলে নদীগর্ভ মসৃণ হওয়া একান্ত প্রয়োজন । অশুদ্ধ (উচু নিচু নদী গর্ভ হতে হবে।)

15) ভারতে মহানগরের সংখ্যা 53 টি । --- শুদ্ধ।

16) দিল্লীতে ভারতের প্রথম মেট্রোরেল পরিষেবা চালু হয়। --- অশুদ্ধ(কলকাতায় )

17)পাঞ্জাবে সবুজ বিপ্লবের দরুণ গমের উৎপাদন বৃদ্ধি পায় । --- শুদ্ধ।

18)নিরক্ষীয় অঞ্চলে পরিচলন বৃষ্টি সংঘটিত হয় ।--- শুদ্ধ।

19)মৌসুমী বায়ুকে স্থলবায়ু ও সমুদ্রবায়ুর বৃহত্তম সংস্করণ বলা হয় ।--- শুদ্ধ।

20)প্লাস্টিক হল এক প্রধান অজৈব অভঙ্গুর বর্জ্য পদার্থ । --- শুদ্ধ ।

21) অমাবস্যা তিথিতে মরা কোটাল হয়। --- অশুদ্ধ (ভরা কোটাল)

22) বৃহ্মরোপন মরু সম্প্রসারন রোধের অন্যতম উপায়। --- শুদ্ধ ।

23) বার্খান বালিয়াড়ির পরিবর্তিত রূপ সিফ । --- শুদ্ধ।

24) অ্যালবেডোর পরিমান 66% । --- অশুদ্ধ (44%)

25) অ্যানিমোমিটারের সাহায্যে বায়ুর গতিবেগ মাপা হয়। --- শুদ্ধ।

26) ভারতের সর্বোচ্চ মালভূমি ডেকানট্রাপ। --- অশুদ্ধ (লাডাক )

27)হিমরেখার ওপর থেকে নদীর কাজ শুরু হয় । --- অশুদ্ধ ( হিমরেখার নীচে বরফ গলে নদী তৈরি হয়।)

28) ওজনস্তরকে প্রাকৃতিক সৌরপর্দা বলে । --- শুদ্ধ।

29) ভারতের সবথেকে বেশি চা উৎপন্ন হয় অসমে। --- শুদ্ধ।

30)উপগ্রহ চিত্রের ক্ষুদ্রতম একক পিক্সেল ।--- শুদ্ধ।

31) কার্পাস চাষে পলিমাটি উপযুক্ত। --- অশুদ্ধ (কৃষ্ণ মৃত্তিকা )

32) ম্যানগ্রোভ অরন্যে জরায়ুজ অঙ্কুরোদগম দেখা যায়। --- শুদ্ধ।

33) গঙ্গেয় সমভূমিতে ল্যাটেরাইট মাটি দেখা যায়। --- অশুদ্ধ (পলি মাটি )

34)ওজোন গ্যাস সূর্যের অতি বেগুনি রশ্মিকে শোষণ করে । --- শুদ্ধ।

35) অধিক জলসেচে মাটির লবনতা হ্রাস পায়। --- অশুদ্ধ (বৃদ্ধি পায়)

36) পার্বত্য মৃত্তিকার অপর নাম রেগুর । --- অশুদ্ধ (পডসল)

37) ঝুমচাষ মৃত্তিকা হ্ময়ের কারন। --- শুদ্ধ।

38)অ্যানাবেটিক বায় দিনের বেলায় প্রবাহিত হয় । --- শুদ্ধ।

39) চিল্কা পূর্ব উপকুলের উপহ্রদ । --- শুদ্ধ।

40)ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলে সাধারণত গ্রীষ্মকালে বৃষ্টিপাত হয় । --- অশুদ্ধ (শীতকালে বৃষ্টি হয়।)

41) মানুষের দ্বারা বাতিল দ্রব্য হল বর্জ্য। --- শুদ্ধ।

42) প্রাচীন পলিগঠিত অঞ্চল খাদার নামে পরিচিত। --- অশুদ্ধ(প্রাচীন পলিগঠিত অঞ্চল ভাঙর নামে পরিচিত)

43)ভারতবর্ষে পশ্চিমী ঝঞ্ঝা - এর আগমন ঘটে শীতকালে ।--- শুদ্ধ।

44) হিমশৈলের 1/9 অংশ জলের উপরে ভেসে থাকে। --- শুদ্ধ।

45)সমুদ্রে ভাসমান বরফের স্তুপকে হিমশৈল বলে । --- শুদ্ধ।

46) হিমালয়ের প্রাচীনতম অংশ হল টেথিস । --- শুদ্ধ।

47)লৌহ ইস্পাত শিল্প হল আধুনিক শিল্পদানব। --- অশুদ্ধ (পেট্ররসায়ন শিল্প)

48) ভারতের সিলিকন ভ্যালি হল বেঙ্গালুরু । --- শুদ্ধ।

49)অনিয়ন্ত্রিত জনসংখ্যা বৃদ্ধি স্থিতিশীল উন্নয়নের পক্ষে বাঁধা হয়ে দাঁড়ায় । --- শুদ্ধ।

50) অহ্মাংশের ভিত্তিতে হিমরেখার উচ্চতা পরিবর্তিত হয়। --- শুদ্ধ।

51)জাহাজ চলাচলের জন্য নির্দিষ্ট সমুদ্রপথকে শিপিং লেন বলে । --- শুদ্ধ।

52) ভূমধ্যসাগরে জোয়ারভাটা দেখা যায় না। --- শুদ্ধ।

53)বার্ষিক উয়তার প্রসর সবচেয়ে বেশি হয় নিরক্ষীয় অঞ্চলে ।--- অশুদ্ধ (মেরু অঞ্চলে)

54) আপেহ্মিক আদ্রতা শতকরা হারে প্রকাশ করা হয়। --- শুদ্ধ।

55) অধহ্মেপনের উদাহরন হল কুয়াশা। --- অশুদ্ধ (গুড়িগুড়ি বৃষ্টি , তুষারপাত)

56)পশ্চিমঘাট পর্বত ও নীলগিরির মাঝে অবস্থিত পালঘাট গিরিপথ ।--- শুদ্ধ।

57) লু এক প্রকার সাময়িক বায়ু। ---অশুদ্ধ ( স্থানীয় বায়ু)

58)মেঘাচ্ছন্ন রাত্রিতে শিশির বেশি পড়ে । --- অশুদ্ধ (মেঘমুক্ত আকাশে বেশি শিশির পড়ে) 

59) তুষার ভহ্মক বলা হয় চিনুককে। --- শুদ্ধ।

60)বাখান বালিয়াড়ি বায়ুপ্রবাহের সমান্তরালে গঠিত হয় । --- অশুদ্ধ(আড়াআড়ি ভাবে গঠিত হয়।)

61) ওজন হল হালকা নীল রঙের গ্যাস । --- শুদ্ধ।

62) হিমসিড়িতে গড়ে ওঠা হ্রদকে বলে প্যাটারনস্টার্ন হ্রদ। --- শুদ্ধ।

63) মিসিসিপি নদীর বদ্বীপ পাখির পায়ের মতো। --- শুদ্ধ।

64)বিষাক্ত বর্জ্য সিসার প্রভাবে ব্ল্যাকফুট রোগ হয় । --- অশুদ্ধ(আর্সেনিক)

65) জলপ্রপাতের পাদদেশে মন্থকুপ সৃষ্টি হয়। --- অশুদ্ধ (মন্থকুপ নদীগর্ভে সৃষ্টি হয়।)

66) ধনুকের মতো বদ্বীপ দেখা যায় নীলনদে। --- শুদ্ধ।

67)মরু অঞ্চলে লবণাক্ত হ্রদগুলিকে প্লায়া বলে ।--- শুদ্ধ।

68) জলপ্রপাত ক্রমশ উৎসের দিকে সরে আসে। --- শুদ্ধ।

69) ওজন গ্যাসের ঘনত্ব মাপার একক ডবসন । --- শুদ্ধ।

70) ভারতের শীতলতম স্থান হল লাদাকের দ্রাস । --- শুদ্ধ।

71)মাজুলি ভারতের বৃহত্তম নদী দ্বীপ ।--- শুদ্ধ।

72)বিশাখাপত্তনম ভারতের একমাত্র শুল্কমুক্ত বন্দর ।--- অশুদ্ধ (কান্ডালা )

73)বাজাদা অবস্থান করে পেডিমেন্ট ও প্লায়ার মাঝে । ---শুদ্ধ।

74)একটি সক্রিয় সেন্সর - এর উদাহরণ হল RADAR। --- শুদ্ধ।

75)ভূ - বৈচিত্র্যসূচক মানচিত্রে কালো রং দিয়ে নিত্যবহ নদী চিহ্নিত করা হয় ।--- শুদ্ধ।

B. একটি বা দুটি শব্দে উত্তর দাও :-

1)যে উচ্চভূমি দুটি নদীব্যবস্থাকে পৃথক করে তাকে কি বলে ? Answer :- জলবিভাজিকা।

2)ক্ষয়সীমা ধারণার প্রবর্তক কে ? Answer :- পাওয়েল।

3)ভারতের বৃহত্তম লেগুন হ্রদ কোনটি ? Answer :- চিল্কা হ্রদ।

4) মিলেট কী ? Answer :- জোয়ার, বাজরা , ও রাগীকে মিলেট বলে।

5)ভারতের বৃহত্তম সমুদ্র বন্দরটির নাম কী ? Answer :-মুম্বাই।

6) ভারতের জমি জরিপ সংস্থা কোথায় অবস্থিত ? Answer :- দেরাদুনে।

7)ভারতে ‘ উন্নয়নের জীবনরেখা ' বলা হয় কোন্ পরিবহণ মাধ্যমকে ? Answer :- জলপথকে।

8) কলকাতার পরিপুরক বন্দরের নাম কী ? Answer :- হলদিয়া।

9) ভারতের একটি শুল্কমুক্ত বন্দরের নাম কী ? Answer :- কান্ডালা।

10) একটি স্বাভাবিক পোতাশ্রয় যুক্ত বন্দরের নাম কী ? Answer :- কান্ডালা।

11) ভারতে কত বছর অন্তর জনগননা হয় ? Answer :- 10 বছর।

12) ভারতের ডেট্রয়েট কোন শহরকে বলে ? Answer :- চেন্নাই শহরকে।

13)কাসকেড ' কোথায় দেখা যায় ? Answer :- নদীর উচ্চগতিতে।

14) দুটি পানীয় ফসলের নাম লেখ। Answer :- চা , কফি।

15) একটি জায়িদ ফসলের নাম লেখ । Answer :- কুমড়ো।

16)ভারতের কোন শহরে প্রথম পাতাল রেলের যাত্রা শুরু হয় ? Answer :- কলকাতা।

17)নদীর গতিবেগ দ্বিগুণ হলে তার বহন ক্ষমতা কত গুণ বৃদ্ধি পায় ?  Answer :- 64 গুন।

18) ভারতের উচ্চতম বাধের নাম কী ? Answer :- ভাকরানাঙাল।

19)ভারতের কোন রাজ্যে বনভূমির পরিমাণ সবথেকে বেশি ? Answer :- মধ্যপ্রদেশ।

20)পার্বত্য হিমবাহের পৃষ্ঠদেশে সৃষ্ট গভীর ফাটল কি নামে পরিচিত ? Answer :- ক্রেভাস।

21)ভারতে অবস্থিত হিমালয় পর্বতের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ কোনটি ? Answer :- গডউইন অস্টিন।

22)মেগাসিটি ' তে ন্যূনতম জনসংখ্যা কত থাকে ? Answer:- 50 লহ্ম।

23) Doctor's wind কাকে বলে ? Answer :- হারমাট্টানকে।

24)কোন শহরকে ভারতের প্রবেশদ্বার বলা হয় ? Answer :- মুম্বাইকে।

25)মৃত্তিকা ক্ষয় প্রতিরোধী একটি কৃষি পদ্ধতির নাম লেখ । Answer :- ধাপচাষ।

26) ভারতের কোথায় প্রথম পেট্ররসায়ন শিল্প গড়ে ওঠে ? Answer :- ট্রম্বেতে।

27)ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থার নাম কি ? Answer :- ISRO 

28) চা গবেষনাগার কোথায় অবস্থিত ? Answer :- অসমের জোরহাটে।

29) ভারতের প্রথম সুতাকল কোথায় স্থাপিত হয় ? Answer :- হুগলির ঘুসড়িতে।

30) ধান উৎপাদনে ভারতের কোন রাজ্য প্রথম ?  Answer :- পশ্চিমবঙ্গ।

31) বিশ্বের বৃহত্তম নদী অববাহিকার নাম কী ? Answer :- আমাজন।

32) মরুভূমির লবনাক্ত হ্রদগুলিকে কী বলে ? Answer :- প্লায়া।

33)একটি মুখ্য জোয়ার ও গৌণ জোয়ারের মধ্যে সময়ের পার্থক্য কত ?  Answer :- 12 ঘন্টা 26 মিনিট।

34) ভারতের উচ্চতম জলপ্রপাতের নাম কী ? Answer :- যোগ।

35) ভারতে গড় সাহ্মরতার হার কত? Answer :- 74.04%

36)ধুয়াধর জলপ্রপাত কোন নদীর উপর অবস্থিত ?  Answer :- নর্মদা নদীর উপর।

37)

38)গঙ্গা অ্যাকশন প্ল্যান ' প্রকল্পটি কবে গৃহীত হয় ? Answer :- 1986 খ্রি:।

39)

40)ভারতের কোন রাজ্য ইক্ষু উৎপাদনে প্রথম ? Answer :- উত্তরপ্রদেশ।

41)ভারতের একটি আগ্নেয়গিরির নাম লেখো ।Answer :- ব্যারেন।

42)উপগ্রহ চিত্রের ক্ষুদ্রতম এককের নাম কি ? Answer :- পিক্সেল।

43)কম্পোস্ট পদ্ধতিতে কীসের দ্বারা জৈব পদার্থের পচন ঘটানো হয় ?  Answer :- জীবানু ।

44)বরদইছিলা কোথায় দেখা যায় ?  Answer :- অসমে।

45)ভারতের ম্যাস্টোর ' কোন শহরকে বলা হয় ?  Answer :- আমেদাবাদকে।

46)ভারতের উচ্চতম হ্রদ কি ও কোথায় আছে ?  Answer :- সিকিমের গুরুদোংমা।

47)পর্বতের ঢাল বেয়ে উপত্যকায় যে বায়ু প্রবাহিত হয় তাকে কী বলে ?  Answer :- ক্যাটাবেটিক বায়ু।

48)ভারতের দীর্যতম নদী বাধের নাম কী ? Answer :- হীরাকুদ বাধ(মহানদী)।

49)পৃথিবীতে দিনে কতবার জোয়ার ও কতবার ভাটা হয় ? Answer :- দুবার জোয়ার ও দুবার ভাটা।

50)সাহারায় বালুকাময় মরুভূমিকে কী বলে ? Answer :- আর্গ। 

51)ভারতের অরন্য গবেষনা গার কোথায় অবস্থিত ? Answer :- দেরাদুনে।


Madhyamik English 2024

 VIVEKANANDA COACHING CENTRE

TUTOR:- SWAPAN KUMAR RAY(M.A)

MADHYAMIK -2024 

EXTRA ACTIVITY 

1.  Suppose you have lost your mobile phone . Write a letter to the OC of your local police station , reporting the loss .

 The Officer - in - Charge 

Sitai  Police Station 

Sitai, Cooch Behar

Sub : Loss of Mobile Phone.

 Sir/maam, 

 I , ------, c/o- ----- is currently residing at -------under Sitai Police Station . On 11 th January,2024 I lost my vivo v5 mobile phone near Sitai BDO office . 

I shall be highly obliged if you do the needful as early as possible . I also request you to make a recovery of the lost mobile phone  if possible .Thanking you ,

 Yours faithfully 

--------

2. Write a letter to the Manager of a bank to open a savings account in his branch.

To,

The Manager

Central Bank of India

Deokhata, Netaji Bazar

Sub:- opening a new account.

Sir,

I beg to inform you that I am ----- c/o -------, a resident of ----- , p.o-----, Dist -----. I want to open a new savings account in your branch for my personal use.

Therefore, I request you let me open a new account in your branch as early as possible. Thanking you,

Yours faithfully

----------

3. Write a letter to the headmaster of your school seeking leave of absence for three days for your illness.

To,

The Head Master

Konachatra High School

Konachatra, Sitai

Sub:-leave of absence. 

Sir/Maam,

I beg to inform you that I am Samridhya Ray Roll- 7 class- ix a student  in your school.I could not attained school from 12 th november to 15 th november for my ilness. 

Therefore I requested you kindly grant my application.

Yours faitfully

Samridhya Ray

Class:- ix 

Roll:- 7

Sec:- A

>> Write a letter to your friend inviting him/her to join to the marriage ceremony of your elder sister.

vill: Sagar Dighi.

p.o:- Br. Chatra.

Dist:- Cooch Behar

Pin:- 736167

My dear friend,

For a long time, I did not get any letter from you. So, I dont know how you are. I hope you are fine. I am very fine. My elder sister marriage ceremony  will be held on 12 th december 2023 in our house. Please come. 

No more today many when we meet.

Your ever

Sonamani

To, 

Name:- Samridhya  Ray

C/o :- Swapan kumar Ray

Vill:- Jatigara.

P.O:- Jatigara.

Dist:- Cooch Behar.

Pin:- 736167.

Story 

Moral list:-

1. cut your coat according to your cloth. (আয় বুঝে ব্যায় করো)

2. No pains, no gains (কষ্ঠ না করলে কেষ্ট মেলে না )

3. Grapes are sour. (আঙুরফল টক /পান না তাই খান না )

4. A friend in need is a friend inded. (অসময়ের বন্ধু প্রকৃত বন্ধু)

5. might is right (জোর যার মুলুক তার)

6. Tit for tat. (যেমন কুকুর তেমন মুগুর)

7. Many a little makes a mickle. (দশের লাঠি একের বোঝা)

8. Mind your own business. (নিজের চরকায় তেল দাও )

9. While there's life, there's hope. (যতহ্মন শ্বাস ততহ্মন আশ )

10. Dimond cuts dimond. (সেয়ানে সেয়ানে কোলাকুলি )

11. All that glitters is not gold. (চকচক করলেই সোনা হয় না )

12. Honesty is the best policy. (সততাই উত্তম পন্থা )

13. Knowledge is power (জ্ঞানই বল )

14. unity is strenght. (একতাই বল )

15. As you sow, so shall you reap. (যেমন কর্ম তেমন ফল )

16. It is easy to say, but hard to do. (বলা সহজ, করা কঠিন )

Biography (জীবনী) 

Rules:-

1. Many great men/women were born in our country, but ব্যাক্তির নাম  was a great man/ woman of all them.

2. His/Her original name was আসল নাম.

3. He/She was born on জন্ম তারিখ in জন্ম সাল  in জন্ম স্থান. 

4. His/Her father name was বাবার নাম and mother name was মায়ের নাম. 

5. He/She took his/her early education from প্রাথমিক স্কুলের নাম .

6. He/She passed ডিগ্রির নাম  in সাল .

7. He/She became যে পদ পেয়েছেন in সাল .

8. He/She joined যে দলে যোগ দেন  in সাল . 

9. He/She wrote many books like বই , বই, বই etc.

10. He/She established যে প্রতিষ্ঠান তৈরি করেন at স্থান in সাল .

11. Lastly he/she passed away on মৃত্যুর তারিখ in মৃত্যুর সাল  in মৃত্যুর স্থান .

>> Write a paragraph on Iswarchandra Vidyasagar in about 100 words . The following points will help you .

 Date of birth - 26th September , 1820 at Birsingha in Midnapore . Father Thakurdas Bandyopadhyay , mother - Bhagabati Devi , Primary Education - village Pathshala ; Higher education Sanskrit College in Kolkata ; Activities - joined Fort William College as professor - later joined Sanskrit College - became Principal - established Metropolitan Institution - took leading part in spreading education especially in rural areas and for females - wrote " Barno Parichaya " , " Bodhoday " etc - Social reformer - faught against early marriage and introduced Act for Hindu widow Remarriage Death , 29th July , 1891 .

Ans:-  ISWARCHANDRA VIDYASAGAR

 Many great men were born in our country, but Iswarchandra Vidyasagar   was a great man of all them. His original name was Iswarchandra Bandhyopadhyay.He was born on 26th September in 1820  in Birsingha in Midnapore.  His  father name was Thakurdas Bandyopadhyay  and mother name was Bhagabati Devi . He took his  early education from village pathsala.  He passed Higher education Sanskrit College in Kolkata.He  became Principal. He  joined  Fort William College as professor. . He wrote many books like  " Barno Parichaya " , " Bodhoday "  etc. Lastly he  passed away on 29th July  in 1891.


Madhyamik History Short 2024

  বিবেকানন্দ কোচিং সেন্টার 

ক্লাস : দশম শ্রেনী ; বিষয় : ইতিহাস 


A. সত্য বা মিথ্যা নির্ণয় করো :-

1)জন ম্যাকাডাম পিচ ঢালা রাস্তা নির্মাণ করেন । [ সত্য ]

2) ভারতে প্রথম হকি ক্লাব প্রতিষ্ঠিত হয় কলকাতায় । [ সত্য ]

3) ক্যামেরা শব্দটি প্রথম ব্যবহার করেন লিওনার্দো দা ভিঞ্চি । [ সত্য ]

4) সঞ্জীবনী পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর । [ মিথ্যা ] 

5) একজন বিখ্যাত ক্রীড়া গবেষক হলেন বোরিয়া মজুমদার ।  [ সত্য ]

6) উত্তরাখণ্ডে চিপকো আন্দোলন সংঘটিত হয় । [ সত্য ]

7) হিন্দু বালিকা বিদ্যালয়ের বর্তমান নাম বেথনু স্কুল । [ সত্য ]

8) কলকাতা বিশ্ববিদালয়ের প্রথম ভারতীয় উপাচার্য হল গুরুদাস বন্দ্যোপাধ্যায় । [ সত্য ] 

9) বিদ্যাসাগর ১৮৯০ খ্রিস্টাব্দে “ ভগবতী বিদ্যালয় ' প্রতিষ্ঠা করেন । [ সত্য ] 

10) খুৎকাঠি কথাটির অর্থ হল যৌথ মালিকানা । [ সত্য ] 

11) নদীয়ার নীলকুঠিয়াল ছিলেন স্যামুয়েল ফেডি । [ সত্য ] 

12) ফরাজি কথাটির অর্থ হল মহম্মদ প্রদর্শিত পথ । [ মিথ্যা]

13) ১৮৬৫ খ্রিস্টাব্দে প্রথম অরণ্য আইন প্রণীত হয় । [ সত্য ]

14) মহাশ্বেতা দেবীর অরণ্যের অধিকার ' মুণ্ডা বিদ্রোহের প্রেক্ষাপটে রচিত । [ সত্য ] 

15)  ১৮৬০ খ্রিস্টাব্দে নীল কমিশন গঠিত হয় ।  [ সত্য ] 

16) হিন্দুমেলার উদ্দেশ্য ছিল জাতীয়তাবাদী চেতনার জাগরণ ঘটানো । [ সত্য ] 

17) মুঘল সম্রাট দ্বিতীয় বাহাদুর শাহকে মান্দালয়ে নির্বাসন দেওয়া হয় ।  [ মিথ্যা ] 

18) আনন্দমোহন বসু ভারতসভা প্রতিষ্ঠার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন । [ সত্য ] 

19) ১৮৭৮ খ্রিস্টাব্দে দেশীয় ভাষায় সংবাদপত্র আইন প্রণীত হয় । [ সত্য ] 

20) বাংলায় উন্নত লাইনোটাইপ তৈরি করেন সুরেশচন্দ্র মজুমদার । [ সত্য ]

21) আইন অমান্য আন্দোলনের পটভূমিতে “ গোরা ’ উপন্যাসটি রচিত । [ মিথ্যা ]

22) ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর প্রতিষ্ঠিত ছাপাখানার নাম সংস্কৃত যন্ত্র। [ সত্য ]

23) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ' টেগোর অ্যান্ড কোং ' প্রতিষ্ঠা করেন । [ মিথ্যা ]

24) ভারতবর্ষে প্রথম গোয়ায় ছাপাখানা প্রতিষ্ঠিত হয় । [ সত্য ]

25) জগদীশচন্দ্র ক্রেসকোগ্রাফ যন্ত্রের সাহায্যে প্রমাণ করে যে উদ্ভিদের প্রাণ আছে । [ সত্য ] 

26) বেঙ্গল টেকনিক্যাল ইনস্টিটিউশন বর্তমানে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় নামে পরিচিত। [ সত্য ] 

27) স্বরাজ্য দলের সভাপতি ছিলেন চিত্তরঞ্জন দাশ । [মিথ্যা ] 

28) ভারতের কমিউনিস্ট পার্টিকে ' দ্বিজ ' বলা হল । [ সত্য ] 

29) কংগ্রেস সোশালিস্ট পার্টির প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ছিলেন জয়প্রকাশ নারায়ণ । [ সত্য ] 

30) বাবা গরিবদাস ছিলেন বারদৌলি সত্যাগ্রহের নেতা । [ মিথ্যা ] 

31) পাকিস্তানের প্রথম প্রধানমন্ত্রী ছিলেন লিয়াকত আলি খান । [ সত্য ]

32) সরকারি ভাষা কমিশনের সদস্য ছিলেন সুনীতি কুমার চট্টোপাধ্যায় । [ সত্য ]

33)রম্পা কৃষক বিদ্রোহের নেতা ছিলেন আল্লারি সীতারাম রাজু । [ সত্য ]

34)ভারতে ওয়াহাবি আন্দোলনের নেতা ছিলেন স্যার সৈয়দ আহমেদ খান ।  [ সত্য ]

35)আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু ' ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য কাল্টিভেশন অফ সায়েন্স ' প্রতিষ্ঠা করেন । [মিথ্যা ] 

36)বাংলার ' মুকুটহীন রাজা ' বলা হত বিপিন চন্দ্র পালকে । [ সত্য ]

37)নীলবিদ্রোহের নেতা ছিলেন দিগম্বর বিশ্বাস । [ সত্য ]

38)তিতুমিরের প্রধান সেনাপতি ছিলেন গোলাম মাসুম ।  [ সত্য ]

39)ভারতমাতা চিত্রটি এঁকেছিলেন গগনেন্দ্রনাথ ঠাকুর । [মিথ্যা]

40)গ্রামবার্তা প্রকাশিকা'র প্রথম সম্পাদক কাঙাল হরিনাথ ।[ সত্য]

41)১৯৪৭ - এ কাশ্মিরের রাজা ছিলেন হরি সিং ।[সত্য]

42) তিতুমির বাশের কেল্লা ভেঙে দেন । [মিথ্যা] 

43) শ্রী রামকৃষ্ণ দেব রামকৃষ্ণ মিশন প্রতিষ্ঠা করেন। [মিথ্যা]

44) ভারতসভা ইলবার্ট বিলের বিরোধীতা করে । [মিথ্যা ]

45) লাঙল পত্রিকার সম্পাদক হলেন কাজী নজরুল ইসলাম । [সত্য ]

46) নদীয়ার চৌগাছা গ্রামে নীল বিদ্রোহ শুরু হয়। [সত্য]

47) ১৮৬০ খ্রি: নীল কমিশন গঠিত হয়। [সত্য] 

48) যতিনদাশ ৬৪ দিন অনশন করে মারা যান ।  [সত্য] 

49) বীরসা মুন্ডার উপাস্য দেবতা সিং বোঙা । [সত্য ] 

50) ফরাজি কথার অর্থ হল বাধ্যতামুলক কর্তব্য । [সত্য ]

B. নিম্নলিখিত বিবৃতিগুলির সঠিক ব্যাখ্যা নির্বাচন করো :

1)  বিবৃতি : লর্ড লিটন ' নাট্যাভিনয় নিয়ন্ত্রণ আইন ' পাস করেছিলেন 

 ব্যাখ্যা : লিটন নাটক পছন্দ করতেন না । 

ব্যাখ্যা : নাটকের মাধ্যমে ধর্মীয় শিক্ষা দেওয়া হত ।

 ব্যাখ্যা : নাটকের মাধ্যমে ব্রিটিশ অন্যায় ও অত্যাচার জনমানসে তুলে ধরা হত । 

উত্তর :- ব্যাখ্যা : নাটকের মাধ্যমে ব্রিটিশ অন্যায় ও অত্যাচার জনমানসে তুলে ধরা হত । 

2) বিবৃতি : ১৯১১ খ্রিস্টাব্দে মোহনবাগান ক্লাবের আই . এফ . এ শিল্ড জয় একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা।

 ব্যাখ্যা : শিল্ড জয় ঔপনিবেশিক ব্রিটিশ শাসকের বিরুদ্ধে ভারতীয় জাতীয়তাবাদের জয় । 

ব্যাখ্যা : শিল্ড জয়ের ফলে মোহনবাগান অনেক অর্থ লাভ করে । 

ব্যাখ্যা : মোহনবাগান জাতীয় দলের মর্যাদা লাভ করে ।

 উত্তর :-  ব্যাখ্যা : শিল্ড জয় ঔপনিবেশিক ব্রিটিশ শাসকের বিরুদ্ধে ভারতীয় জাতীয়তাবাদের জয় ।

3) বিবৃতি : রামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের ধর্মভাবনার মূলকথা সর্বধর্ম সমন্বয় ।

ব্যাখ্যা : রামকৃষ্ণ একাধিক ধর্মগ্রন্থ পাঠ করেছিলেন ।

  ব্যাখ্যা : তিনি একেশ্বরবাদে বিশ্বাসী ছিলেন । 

ব্যাখ্যা : তিনি বিশ্বাস করতেন সবধর্মের মূল বক্তব্য এক এবং সেখানে একটি ঐক্য বিরাজমান । 

উত্তর :- ব্যাখ্যা : তিনি বিশ্বাস করতেন সবধর্মের মূল বক্তব্য এক এবং সেখানে একটি ঐক্য বিরাজমান ।

4)  বিবৃতি : রাজা রামমোহন রায় আমহার্স্টকে চিঠি লিখেছিলেন।

 ব্যাখ্যা : সতীদাহ প্রথা বন্ধ করার জন্য আবেদন হিসাবে ।

 ব্যাখ্যা : ভারতে পাশ্চাত্য শিক্ষা বিস্তারের উদ্যোগী হওয়ার আবেদন হিসাবে ।

 ব্যাখ্যা : ভারতে সংস্কৃতি শিক্ষা প্রসারের জন্য ।

 উ : ব্যাখ্যা : ভারতে পাশ্চাত্য শিক্ষা বিস্তারের উদ্যোগী হওয়ার আবেদন হিসাবে ।

 5. বিবৃতি : গ্রামবার্তা প্রকাশিকা ছিল এক জনপ্রিয় পত্রিকা ।

ব্যাখ্যা : এই পত্রিকা নীল বিদ্রোহের সমর্থন করে । 

 ব্যাখ্যা : এই পূর্ববর্তী কোনো সংবাদপত্রে গ্রামের কথা বলা হয়নি । 

ব্যাখ্যা : এর সম্পাদক কাঙাল হরিনাথ ছিলেন একজন জনপ্রিয় ব্যক্তি ।

 উ : ব্যাখ্যা : এই পূর্ববর্তী কোনো সংবাদপত্রে গ্রামের কথা বলা হয়নি ।

6. বিবৃতি ; উনিশ শতকের ভারতে ' নবজাগরণ ' কথাটি মানানসই নয় । - 

ব্যাখ্যা : এই নবজাগরণের কোনো নিশ্চিত স্রষ্টা নেই । 

ব্যাখ্যা : এই নবজাগরণকে ইউরোপীয়  নবজাগরণের সঙ্গে তুলনা করা যায় না ।  

ব্যাখ্যা : নবজাগরণ সমাজের সর্বস্তরের মানুষকে স্পর্শ করেনি ।

 উ : ব্যাখ্যা : নবজাগরণ সমাজের সর্বস্তরের মানুষকে স্পর্শ করেনি । 

7.  বিবৃতি ; ব্রিটিশ সরকার অরণ্য আইন পাস করে - 

 ব্যাখ্যা : অরণ্য আইনের উদ্দেশ্য ছিল অরণ্য সংরক্ষণ করা । 

 ব্যাখ্যা : অরণ্যের পশু পাখিদের রক্ষা করা । 

ব্যাখ্যা : অরণ্য আইনের উদ্দেশ্য ছিল অরণ্য সম্পদের ওপর থেকে আদিবাসীদের অধিকার কেড়ে নেওয়া । 

উ : ব্যাখ্যা : অরণ্য আইনের উদ্দেশ্য ছিল অরণ্য সম্পদের ওপর থেকে আদিবাসীদের অধিকার কেড়ে নেওয়া ।

8. বিবৃতি : রংপুরের কৃষকরা দেবী সিংহের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে ।

 ব্যাখ্যা : দেবী সিংহ কৃষকদের জমি কেড়ে নিয়েছিলেন । 

ব্যাখ্যা : দেবী সিংহ জমিদার ও প্রজাদের ওপর রাজস্বের হার বৃদ্ধি করে । 

 ব্যাখ্যা : দেবী সিংহ কৃষকদের নীলচাষে বাধ্য করেন । 

উ : ব্যাখ্যা : দেবী সিংহ জমিদার ও প্রজাদের ওপর রাজস্বের হার বৃদ্ধি করে । 

9. বিবৃতি : বিরসা মুণ্ডা নতুন ধর্ম মতের প্রচার করেন 

ব্যাখ্যা : তিনি ধর্মের প্রতি আসক্ত হয়ে পড়েন ।

 ব্যাখ্যা : তাঁর উদ্দেশ্য ছিল ধর্মগুরু হিসাবে কাজ করা । 

ব্যাখ্যা : তাঁর উদ্দেশ্য ছিল ধর্মের বন্ধনে মুণ্ডাদের ঐক্যবদ্ধ করা । 

উ : ব্যাখ্যা : তাঁর উদ্দেশ্য ছিল ধর্মের বন্ধনে মুণ্ডাদের ঐক্যবদ্ধ করা ।

10.  বিবৃতি : নীলকর সাহেবরা বে - এলাকা ' চাষে বেশি উৎসাহী ছিল । 

 ব্যাখ্যা : বে - এলাকা চাষে নীলকরদের নিজের জমির প্রয়োজন হত না । 

ব্যাখ্যা : বে - এলাকা চাষে কৃষকদের সুবিধা হত । 

 ব্যাখ্যা : বে - এলাকা চাষে শান্তি বজায় থাকতো । 

উ : ব্যাখ্যা : বে - এলাকা চাষে কৃষকদের সুবিধা হত ।

11.  বিবৃতি : উনিশ শতককে সভাসমিতির যুগ বলা হয় - 

ব্যাখ্যা : ড : অনিল শীল উনিশ শতককে সভাসমিতির যুগ বলেন । 

ব্যাখ্যা : উনিশ শতকে জাতীয় কংগ্রেস অনেকগুলি সভা করেছিলেন । 

ব্যাখ্যা : উনিশ শতকে ভারতে বিভিন্ন রাজনৈতিক সভাসমিতি গড়ে ওঠে ।

 উ : ব্যাখ্যা : উনিশ শতকে ভারতে বিভিন্ন রাজনৈতিক সভাসমিতি গড়ে ওঠে ।

12. বিবৃতি : ব্রিটিশ সরকার আনন্দমঠ উপন্যাসটি নিষিদ্ধ করে ।

ব্যাখ্যা : আনন্দমঠ সাম্প্রদায়িকতা ছড়ায় । 

ব্যাখ্যা : আনন্দমঠ উপন্যাসটি শিক্ষিতদের স্বদেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করে । 

ব্যাখ্যা : আনন্দমঠে ভারতীয়দের ' বন্দেমাতরম্ ' সংগীত ছিল ।

 উ : ব্যাখ্যা : আনন্দমঠ উপন্যাসটি শিক্ষিকদের স্বদেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করে । 

13. বিবৃতি গগনেন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর ব্যঙ্গচিত্রে বাঙালি বাবুদের সমালোচনা করেন।

 ব্যাখ্যা : বাঙালি বাবুরা পাশ্চাত্য সভ্যতার অন্ধ অনুকরণকারী ছিলেন । 

 ব্যাখ্যা : বাঙালি বাবুরা শিক্ষিত ছিলেন । 

ব্যাখ্যা : বাঙালি বাবুরা ধনী ও বিলাসি ছিলেন ।

 উ : ব্যাখ্যা : বাঙালি বাবুরা পাশ্চাত্য সভ্যতার অন্ধ অনুকরণকারী ছিলেন । 

14. বিবৃতি : ১৮১৭ খ্রিস্টাব্দে কলকাতা স্কুল বুক সোসাইটি ' প্রতিষ্ঠিত হয় ।

ব্যাখ্যা : এই সোসাইটির উদ্দেশ্য ছিল শিক্ষকদের কাছ থেকে বই বিষয়ে পরামর্শ নেওয়া । 

ব্যাখ্যা : এই সোসাইটির উদ্দেশ্য ছিল স্কুল পাঠ্যবই ছাপিয়ে সুলভে বা বিনামূল্যে শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেওয়া ।ব্যাখ্যা : এই সোসাইটির উদ্দেশ্য ছিল কলকাতায় ছাপাখানা প্রতিষ্ঠা করা । 

উ :  ব্যাখ্যা : এই সোসাইটির উদ্দেশ্য ছিল স্কুল পাঠ্যবই ছাপিয়ে সুলভে বা বিনামূল্যে শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেওয়া ।

 15. বিবৃতি ; জগদীশচন্দ্র বসু বসুবিজ্ঞান মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন ।

ব্যাখ্যা : বসুবিজ্ঞান মন্দির প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য ছিল বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখার মৌলিক গবেষণার কাজ করা । 

ব্যাখ্যা : ব্রিটিশ সরকার জগদীশচন্দ্র বসুকে এটি প্রতিষ্ঠায় উৎসাহ দেন । 

 ব্যাখ্যা : নিজের কাজকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য ।

 উ : ব্যাখ্যা : বসুবিজ্ঞান মন্দির প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য ছিল বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখার মৌলিক গবেষণার কাজ করা । 

16. বিবৃতি ; রবীন্দ্রনাথ প্রকৃতির সান্নিধ্যে শিক্ষাদানের সমর্থক ছিলেন - 

ব্যাখ্যা : রবীন্দ্রনাথ মনে করতেন প্রকৃতির কোলেই আদর্শ শিক্ষা হয় । 

 ব্যাখ্যা : রবীন্দ্রনাথ চাইতেন শিক্ষার্থীরা প্রকৃতির গুরুত্ব উপলব্ধি করুক । 

ব্যাখ্যা : রবীন্দ্রনাথ মানুষ ও প্রকৃতিকে বিচ্ছিন্ন কোনো বিষয় বলে মনে করতেন না । 

উ : ব্যাখ্যা : রবীন্দ্রনাথ মানুষ ও প্রকৃতিকে বিচ্ছিন্ন কোনো বিষয় বলে মনে করতেন না ।

17. বিবৃতি : আইন অমান্য আন্দোলনে ভারতের কৃষক সম্প্রদায় স্বতঃস্ফূর্তভাবে সামিল হয় -

 ব্যাখ্যা : কৃষকদের স্বার্থরক্ষার বিষয়টি এই আন্দোলনের কর্মসূচিভুক্ত ছিল । 

ব্যাখ্যা ; কৃষকরা এই আন্দোলনে যোগ দেওয়ার সুযোগ পায় । 

 ব্যাখ্যা : আন্দোলনে কৃষি রাজস্ব মকুবের ওপর জোর দেওয়া হয় । 

উ : ব্যাখ্যা : কৃষকদের স্বার্থরক্ষার বিষয়টি এই আন্দোলনের কর্মসূচিভুক্ত ছিল । 

18. বিবৃতি : মানবেন্দ্রনাথ রায় ভারত ত্যাগ করেন ১৯১৫ খ্রিস্টাব্দে ।

 ব্যাখ্যা : রাশিয়ার আন্দোলনে যোগ দেওয়ার জন্য ।

 ব্যাখ্যা:  জার্মানি থেকে অস্ত্র সংগ্রহের উদ্দেশ্যে । 

 ব্যাখ্যা : তৃতীয় আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যোগ দেওয়ার জন্য । 

উ : ব্যাখ্যা : জার্মানি থেকে অস্ত্র সংগ্রহের উদ্দেশ্যে । 

19. বিবৃতি : সরকার ১৯০৫ খ্রিস্টাব্দে ' কার্লাইল সার্কুলার ' ঘোষণা করে।

ব্যাখ্যা : সরকারের উদ্দেশ্য ছিল কৃষক আন্দোলন । দমন করা । 

ব্যাখ্যা : সরকারের উদ্দেশ্য ছিল নারী আন্দোলন দমন করা । 

ব্যাখ্যা : সরকারের উদ্দেশ্য ছিল ছাত্র আন্দোলন দমন করা । 

উ : ব্যাখ্যা : সরকারের উদ্দেশ্য ছিল ছাত্র আন্দোলন দমন করা । 

20. বিবৃতি : মাতঙ্গিনী হাজরাকে ' গান্ধিবুড়ি ' বলা হয় । 

 ব্যাখ্যা : মাতঙ্গিনী হাজরা গান্ধিজির মতো বৃদ্ধ বয়সেও আন্দোলন করনে । 

ব্যাখ্যা তিনি গান্ধিজির অহিংস উপায় অবলম্বন করে আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন । 

ব্যাখ্যা তিনি গান্ধিজির মতো শ্বেতবস্ত্র পরিধান করতেন ।

 উঃ ব্যাখ্যা: তিনি গান্ধিজির অহিংস উপায় অবলম্বন করে আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন । 

21. বিবৃতি সতীশচন্দ্র মুখোপাধ্যায় ডন সোসাইটি প্রতিষ্ঠা করেন কারণ - 

 ব্যাখ্যা : এর উদ্দেশ্য ছিল ছাত্রদের ঐক্যবদ্ধ করে আন্দোলনে সামিল করা । 

ব্যাখ্যা : অস্ত্রচালনা শিক্ষা দেওয়া । 

ব্যাখ্যা : সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপে উৎসাহ প্রদান করো ।

 উ : ব্যাখ্যা : এর উদ্দেশ্য ছিল ছাত্রদের ঐক্যবদ্ধ করে আন্দোলনে সামিল করা ।

22. বিবৃতি : মাস্টারদা সূর্যসেনকে ব্রিটিশ সরকার ফাঁসি দেয়।

 ব্যাখ্যা:  তিনি আলিপুর বোমা মামলায় অভিযুক্ত ছিলেন । 

ব্যাখ্যা : তিনি অলিন্দ যুদ্ধে অংশ নেন । 

ব্যাখ্যা : তিনি চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুণ্ঠনে নেতৃত্ব দেন । 

উ : ব্যাখ্যা:  তিনি চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুণ্ঠনে নেতৃত্ব দেন । 

23. বিবৃতি : দেশীয় রাজ্যগুলির ভারতভুক্তির ব্যাপারে বল্লভভাই প্যাটেল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয় - 

ব্যাখ্যা : তিনি ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন । 

 ব্যাখ্যা : তিনি দেশীয় রাজ্যগুলির মধ্যে সংহতি রক্ষা করতে চেয়েছিলেন ।

 ব্যাখ্যাঃ তিনি বিদেশি শাসনের বিরোধী ছিলেন ।

উ : ব্যাখ্যা : তিনি দেশীয় রাজ্যগুলির মধ্যে সংহতি রক্ষা করতে চেয়েছিলেন । 

24. বিবৃতি : ভারতের ইতিহাসে স্বাধীনতার পরবর্তী পাঁচবছর পুনর্বাসনের যুগ নামে অভিহিত হয়

ব্যাখ্যা : এই সময় উদবাস্তুদের ত্রাণ ও পুনর্বাসনের ওপর জোর দেওয়া হয় । 

ব্যাখ্যা : এই সময় পুনর্বাসন চুক্তি হয় । 

ব্যাখ্যা : এই সময় গৃহহীনদের ঘর দেওয়ার পৰিকল্পনা নেওয়া হয় ।

উঃ ব্যাখ্যা : এই সময় উদবাস্তুদের ত্রাণ পুনর্বাসনের ওপর জোর দেওয়া হয় । 

25. বিবৃতি : সাঁওতালরা ১৮৫৫ খ্রিস্টাব্দে স্বাধীনতার জন্য আন্দোলন শুরু করে ।

ব্যাখ্যা : সাঁওতালরা বহিরাগত মহাজন , দেশীয় জমিদার ও বনিকদের অত্যাচারে অসন্তুষ্ট ছিল ।

 ব্যাখ্যা : ইংরেজরা তাদের যুদ্ধে যোগদান করার জন্য অত্যাচার করত । 

 ব্যাখ্যা : সাওতালরা ব্রিটিশ বনিকদের দাসে পরিণত হয়েছিল । 

উ : ব্যাখ্যা ; সাঁওতালরা বহিরাগত মহাজন , দেশীয় জমিদার ও বনিকদের অত্যাচারে অসন্তুষ্ট ছিল । 

26. বিরতি নাথ ঠাকুর গোরা উপন্যাসে লিখেছিলেন - 

ব্যাখ্যা : ঔপনিবেশিক প্রশাসনকে সমালোচনা করার জন্য । 

ব্যাখ্যা : পাশ্চাত্য শিক্ষার সমালোচনা করার জন্য । 

 ব্যাখ্যা : সংকীর্ণ , জাতীয়তাবাদকে সমালোচনা করার জন্য । 

উ : ব্যাখ্যা : সংকীর্ণ জাতীয়তাবাদকে সমালোচনা করার জন্য ।

27. বিবৃতি ১৯০৬ খ্রিস্টাব্দে জাতীয় শিক্ষা পরিষদ পঠিত হয় - 

 ব্যাখ্যা : বৈজ্ঞানিক গবেষণার উন্নতির জন্য । 

 ব্যাখ্যা : জাতীয় শিক্ষা দানের জন্য । 

 ব্যাখ্যা : কারিগরি শিক্ষার উন্নতির জন্য ।

 উ : ব্যাখ্যা : জাতীয় শিক্ষা দানের জন্য । 

28. বিবৃতি : জাতীয় কংগ্রেস শ্রমিক আন্দোলনকে খুব বেশি প্রাধান্য দেয়নি ।

ব্যাখ্যা : কংগ্রেস শ্রমিকস্বার্থ অপেক্ষা গোষ্ঠীস্বার্থ রক্ষায় অধিক আগ্রহী ছিল এবং শ্রমিক আন্দোলনের কমিউনিজম ঘেঁষা আদর্শের পরিপন্থি ছিল । 

ব্যাখ্যা:  জাতীয় কংগ্রেস শ্রমিকদের পছন্দ করত না । 

ব্যাখ্যা : শ্রমিক আন্দোলনের কোনো নীতি ও আদর্শ ছিল না ।

 উ : ব্যাখ্যা : কংগ্রেস শ্রমিকস্বার্থ অপেক্ষা গোষ্ঠীস্বার্থ রক্ষায় অধিক আগ্রহী ছিল এবং শ্রমিক আন্দোলনের কমিউনিজম ঘেঁষা আদর্শের পরিপন্থি ছিল । 

29. বিবৃতি : শচীন্দ্র প্রসাদ বসু ' অ্যান্টি সার্কুলার সোসাইটি ' গঠন করেন --

ব্যাখ্যা : কার্লাইল সার্কুলারের প্রতিবাদ স্বরূপ গড়ে ওঠে অ্যান্টি সার্কুলার সোসাইটি । 

ব্যাখ্যা : কার্লাইল সার্কুলারের নির্দেশগুলি কার্যকর করার জন্য এই সোসাইটি গড়ে ওঠে । 

ব্যাখ্যা : ভারতের নারীদের ঐক্যবদ্ধ করার জন্য ।

 উঃ ব্যাখ্যা : কার্লাইল সার্কুলারের প্রতিবাদ স্বরূপ গড়ে ওঠে অ্যান্টি সার্কুলার সোসাইটি । 

30. বিবৃতি : স্বাধীনতার পর বাংলা ও পাঞ্জাবে শরণার্থী সমস্যা সবচেয়ে বেশি দেখা গিয়েছিল । - 

( ১ ) ব্যাখ্যা : বাংলা ও পাঞ্জাবে প্রতি বর্গমাইলে জনঘনত্ব খুব বেশি ছিল । 

 ব্যাখ্যা : বাংলা ও পাঞ্জাব ভারত - পাকিস্তানে দ্বিবিভাজিত হয় এবং এইসব অঞ্চলে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার পরিমাণও ছিল বেশি । 

ব্যাখ্যা : বাংলা ও পাঞ্জাব বসবাসের উপযোগি ছিল ।

 উ :  ব্যাখ্যা : বাংলা ও পাঞ্জাব ভারত - পাকিস্তানে দ্বিবিভাজিত হয় এবং এইসব অঞ্চলে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার পরিমাণও ছিল বেশি ।

31. বিবৃতি : স্বদেশি আন্দোলনের সময় বিলেতি পণ্যের দোকানের সামনে পিকেটিং চালানো হয় ।

ব্যাখ্যা  : পিকেটিং এর উদ্দেশ্য ছিল বিলেতি পণ্য বিক্রি বন্ধ করা । 

ব্যাখ্যা  : পিকেটিং এর উদ্দেশ্য ছিল ব্রিটিশদের দেশ থেকে বিতাড়িত করা ।

 ব্যাখ্যা : পিকেটিং এর উদ্দেশ্য ছিল সস্তার বিলেতি পণ্য জোগান দেওয়া ।

উ : ব্যাখ্যা  : পিকেটিং এর উদ্দেশ্য ছিল বিলেতি পণ্য বিক্রি বন্ধ করা । 

32. বিবৃতি : সরলাদেবী চৌধুরানী লক্ষ্মার ভান্ডার স্থাপন করেন ।

ব্যাখ্যা : লক্ষ্মীপুজোর আয়োজন করা তাঁর উদ্দেশ্য ছিল । 

ব্যাখা : স্বদেশী জিনিসপত্রের ব্যবহার বাড়ানোই তাঁর উদ্দেশ্য । 

ব্যাখ্যা  : দরিদ্রদের দান করাই তাঁর উদ্দেশ্য ছিল । 

উ : ব্যাখা : স্বদেশী জিনিসপত্রের ব্যবহার বাড়ানোই তাঁর উদ্দেশ্য । 

33. বিবৃতি : ' আজাদ হিন্দ ফৌজের নারী বাহিনীর নাম রাখা হয়েছিল ঝাঁসির রানি ব্রিগেড । 

ব্যাখ্যা  : ঝাঁসির রানী লক্ষ্মীবাঈয়ের লড়াকু মনোভাবকে স্মরণে রাখতে । 

ব্যাখ্যা :ঝাঁসির রানী লক্ষ্মীবাঈকে শ্রদ্ধা জানাতে ।

 ব্যাখ্যা : লক্ষ্মীবাঈ সহ দেশীয় রাজন্যবর্গকে সম্মান জানাতে ।

উ: ব্যাখ্যা  : ঝাঁসির রানী লক্ষ্মীবাঈয়ের লড়াকু মনোভাবকে স্মরণে রাখতে । 

34.  বিবৃতি : ব্রিটিশরা মুদ্রণ শিল্পের বিকাশের চেষ্টা করেছিল- 

ব্যাখ্যাঃ  ভারতীয়দের শিক্ষিত করতে চেয়েছিল । 

ব্যাখ্যাঃ  ভারতীয়দের মধ্যে খ্রিষ্টানধর্ম প্রচার করতে চেয়েছিল । 

ব্যাখ্যা : ভারতবর্ষ সম্পর্কে তথ্য জানা ও কোম্পানীর কর্মচারীদের তা জানানোর জন্য ।

উ: ব্যাখ্যা : ভারতবর্ষ সম্পর্কে তথ্য জানা ও কোম্পানীর কর্মচারীদের তা জানানোর জন্য ।

35. বিবৃতি : জেমস লঙ সাহেবের জেল ও জরিমানা হয়েছিল । 

ব্যাখ্যা : তিনি সরকারি অফিসের নথি চুরি করেছিলেন । 

ব্যাখ্যা : তিনি ' নীলদর্পণ ' নাটক ইংরাজিতে প্রকাশ করেছিলেন । 

ব্যাখ্যা : তিনি ব্রিটিশ কর্মচারীকে হত্যা করেছিলেন ।

উ : ব্যাখ্যা : তিনি ' নীলদর্পণ ' নাটক ইংরাজিতে প্রকাশ করেছিলেন । 

36.  বিবৃতি : ভারত ছাড়ো আন্দোলনের সময়ে ঊষা মেহতা কংগ্রেসের ' বেতার কেন্দ্র ' স্থাপন করেন । 

ব্যাখ্যা: স্বাধীনতার বাণী প্রচার ও আন্দোলন সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য সরবরাহ করায় ছিল এর উদ্দেশ্যে ।

ব্যাখ্যা:  দেশ - বিদেশে আন্দোলনের সংবাদ প্রচার করা । 

ব্যাখ্যা: দেশবাসীর সহানুভূতি ও সমর্থন আদায় করা । 

উ: ব্যাখ্যা: স্বাধীনতার বাণী প্রচার ও আন্দোলন সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য সরবরাহ করায় ছিল এর উদ্দেশ্যে ।

37. বিবৃতি : ১৯৪৬ খ্রীঃ ১২ ফেব্রুয়ারী রসিদ আলি দিবস ' পালিত হয় । 

ব্যাখ্যা : হিন্দু - মুসলিম ঐক্য স্থাপন করার জন্য । 

ব্যাখ্যা:  ক্যাপ্টেন রসিদ আলির সশ্রম কারাদণ্ডের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে । 

ব্যাখ্যা :  মন্ত্রী মিশনের প্রস্তাবের বিরোধীতা করতে । 

উ : ব্যাখ্যা:  ক্যাপ্টেন রসিদ আলির সশ্রম কারাদণ্ডের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে । 


Monday, January 15, 2024

বাচ্য Bacchya

 বাচ্য

বাচ্য হল বাক্যের মধ্যে ক্রিয়ার ( সমাপিকা ক্রিয়া ) প্রকাশভঙ্গিমার একটা বিশেষ রূপ । বাক্য মধ্যস্থ সমাপিকা ক্রিয়ার সঙ্গে কর্তা অথবা কর্মের সম্বন্ধ প্রকাশ করতে গিয়ে বাক্যগত প্রকাশভঙ্গিমাৰ যে রুপভেদ দেখা যায় তাকে বলে বাচ্য । 

বাচ্যের শ্রেণিবিভাগ বাংলা বাক্যের প্রকাশভঙ্গিমার রূপভেদের ভিত্তিতে বাচাকে চার ভাগে ভাগ করা যায়— কর্তৃবাচ্য , কর্মবাচ্য ভাববাচ্য ও কর্মকর্তৃবাচ্য ।

কর্তৃবাচ্য :-  যে বাক্যে সমাপিকা ক্রিয়ার সঙ্গে কর্তার অন্বয় স্পষ্ট হয়ে ওঠে অর্থাৎ কর্তার প্রাধান্য থাকে এবং ক্রিয়া কর্তার পুরুষের অনুগামী হয় তাকে বলে কর্তৃবাচ্য । যেমন— আমরা নিয়মিত খেলা করি । গীতা গান ভালোবাসে ।

কর্মবাচ্য : যে বাক্যে কর্মই প্রধান এবং ক্রিয়াপদ কর্মের পুরুষ অনুসারে গঠিত হয় তাকে বলে কর্মবাচ্য কর্তারূপী কর্মে প্রধানত শূন্যবিভক্তি হয় , প্রকৃত কর্তা গৌণভাবে অবস্থান করে অর্থাৎ ' র ' বা ' এর ' বিভক্তিযুক্ত হয় এবং এর পরে — ‘ দ্বারা ’ , ‘ দিয়া , “ দিয়ে ’ , ‘ কর্তৃক ' প্রভৃতি অনুসর্গ বসে । 

ভাববাচ্য :-  যে বাক্যে ক্রিয়াপদ নিজেই প্রধান হয়ে বাক্যের ভঙ্গি নির্ধারণ করে অর্থাৎ ক্রিয়ার ভাবই প্রাধান্য পায় , ক্রিয়া অকর্মক হয় এবং কর্তার সঙ্গে ক্রিয়ার অন্বয় হয় না , তাকে বলে ভাববাচ্য । ভাববাচো ক্রিয়া প্রায় সময়ই ' হ ধাতুযুক্ত হয় এবং প্রথমপুরুষের একবচন হয় ।

কর্মকর্তৃবাচ্য :- কর্তাবিহীন যে বাক্যে কর্মই কর্তার আসনে বসে কর্তা রূপে ক্রিয়ার সঙ্গে অন্বিত হয় । তাকে বলে কর্মকর্তৃবাচ্য । যেমন— গাড়ি চলে , ঘণ্টা বাজে , শঙ্খ বাজে , বাঁশি বাজে ইত্যাদি ।

■কর্তৃবাচ্য : মা রান্না করেছেন । 

কর্মবাচ্য : মায়ের রান্না করা হয়েছে । / মায়ের দ্বারা রান্না করা হয়েছে ।

 ■ কর্তৃবাচ্য : রাম রাবণকে নিহত করেন । 

কর্মবাচ্য : রাম কর্তৃক রাবণ নিহত হন । 

■ কর্তৃবাচ্য : বিভূতিভূষণ ' পথের পাঁচালী ' রচনা করেন । 

কর্মবাচ্য : বিভূতিভূষণ কর্তৃক ' পথের পাঁচালী ' রচিত হয় । 

■ কর্তৃবাচ্য : মশাই , যাবেন কোথায় ? 

ভাববাচ্য : মশাইয়ের কোথায় যাওয়া হবে ? 

■কর্তৃবাচ্য : কী করিতেছ ?

 ভাববাচ্য : কী করা হইতেছে ?

 ■ কর্তৃবাচ্য : আমি খাইব না ।

 ভাববাচ্য : আমার খাওয়া হইবে না