Monday, December 18, 2023

চীন ও জাপানের ইতিহাস

 চীন ও জাপানের ইতিহাস

MARKS:- 15

1. Give a brief account for the Meiji Restoration in Japan . Was this restoration a mark of " a sharp break with the past " ? (জাপানে মেইজি পুনরুদ্ধারের জন্য একটি সংক্ষিপ্ত বিবরণ দিন।  এই পুনরুদ্ধার কি "অতীতের সাথে একটি তীক্ষ্ণ বিরতির" একটি চিহ্ন ছিল?)

Answer:- 

মেইজি পুন:প্রতিষ্ঠা:-

ঊনবিংশ শতকের মধ্যবর্তী সময়ে কিয়োটোর রাজদরবারে একটি শোগুন - বিরোধী গোষ্ঠী মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছিল । শোগুনতন্ত্রের রাজনৈতিক দুর্বলতার সুযোগে রাজতন্ত্রের সমর্থক এই প্রভাবশালী চক্র রাজার ক্ষমতা বৃদ্ধি করার বিষয়ে উৎসাহী হয়ে উঠেছিল । শোগুন যখন বহিঃচাপের মুখে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য ইউরোপীয় দেশসমূহের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেয় , তখন এই গোষ্ঠী শোগুন- বিরোধী আন্দোলন শুরু করে ও “ সোন্নো - জো - ই " ( সম্রাটকে সমর্থন কর ও বিদেশীদের বিতাড়িত কর ) স্লোগান তোলে । এই চক্র বিদেশিদের কাছে জাপানকে উন্মুক্ত করার ব্যাপারে দ্বিধাগ্রস্ত ছিল । কিন্তু শোগুনতন্ত্রের সমর্থক গোষ্ঠী পাশ্চাত্য দেশসমূহের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করতে আগ্রহী ছিল ।শোগুন - বিরোধী গোষ্ঠী শোগুনতন্ত্রের অবসান ঘটিয়ে সম্রাটের রাজনৈতিক পুনরভ্যুদয়ের জন্য সচেষ্ট হয় ৷ এই বিষয়ে অগ্রণী ভূমিকা গ্রহণ করে সাৎসুমা , চোসু , হিজেন ও তোসা — এই চারটি গোষ্ঠী । হ্যারিস চুক্তি স্বাক্ষরিত হবার পর শোগুনতন্ত্রের বিরোধিতার সঙ্গে বিদেশি বিরোধিতারও তীব্রতা বৃদ্ধি পায় । কিছুদিনের মধ্যেই এই বিরোধিতা উগ্র রূপ ধারণ করে ।

বহুদিন ধরেই সাৎসুমা ও চোসু গোষ্ঠীর মধ্যে সম্পর্ক ছিল তিক্ত । কিন্তু শোগুন - বিরোধী আন্দোলনকে শক্তিশালী করার উদ্দেশ্যে ১৮৬৬ খ্রিস্টাব্দে ঐ দুই গোষ্ঠী একটি গোপন মিত্রতা চুক্তিতে আবদ্ধ হয় । তারপর তারা পশ্চিম জাপানেরই আরও দুটি প্রভাবশালী গোষ্ঠী হিজেন ও তোসার সঙ্গে হাত মেলায়।সম্রাটকে ক্ষমতায় পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করার আন্দোলন ক্রমশ জোরদার হতে থাকে । এই অবস্থায় তোসা গোষ্ঠীভূক্ত কিছু ব্যক্তি সাৎসুমা ও চোসু গোষ্ঠীর ক্ষমতাবৃদ্ধিতে আশঙ্কিত হয়ে প্রস্তাব দেন যে , শোগুন যদি স্বেচ্ছায় তাঁর সার্বভৌম ক্ষমতা পরিত্যাগ করেন , তবে নতুন ব্যবস্থায় তাঁকে একটি সম্মানজনক স্থান দিতে হবে । কিন্তু চোসু ও সাৎসুমা নেতাদের উদ্দেশ্য ছিল সম্পূর্ণ ভিন্ন । এই দুই গোষ্ঠীর তরুণ উগ্রপন্থী নেতারা শোগুনের রাজনৈতিক ক্ষমতার অবসান ঘটিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে চাননি । তার ওপর তাঁরা শোগুনের সম্পত্তি গ্রাস করতেও উদ্যোগী হয়ে উঠেছিলেন ।

সাৎসুমা ও চোসু নেতাদের তীব্র শোগুন বিরোধিতার পরিপ্রেক্ষিতে সর্বশেষ শোওন যোশিনবু ওরফে কেইকি ১৮৬৭ খ্রিস্টাব্দের নভেম্বরে সম্রাটের হাতে যাবতীয় রাজনৈতিক ক্ষমতা অর্পণ করেন ।এরপর বিদ্রোহীরা ১৮৬৮ খ্রিস্টাব্দের ৩ জানুয়ারি তাঁরা কিয়োটোতে অবস্থিত শোগুনের প্রাসাদ আক্রমণ করেন এবং সম্রাটের রাজনৈতিক ক্ষমতা পুনঃপ্রতিষ্ঠার কথা ঘোষণা করেন । এই ঘটনাই জাপানের ইতিহাসে মেইজি পুনঃপ্রতিষ্ঠা ( Meiji Restoration ) নামে বিখ্যাত ।পরবর্তীকালে মুৎসুহিত সম্রাট মেইজি নামে পরিচিত হন । " মেইজি ” শব্দের অর্থ “ জ্ঞানদীপ্তের শাসন " ( Enlightened Rule ) । তাঁর সুদীর্ঘ ৪৫ বছরব্যাপী শাসনকালের মধ্যে জাপান বিভিন্ন ক্ষেত্রে কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখেছিল এবং একটি আধুনিক রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছিল ।

*** " a sharp break with the past (অতীতের সাথে একটি তীক্ষ্ণ বিরতি) / প্রকৃতি:- 

1. বৈপ্লবিক পরিবর্তন :-

আপাতদৃষ্টিতে মেইজি পুনঃপ্রতিষ্ঠার ঘটনা একটি বলপূর্বক রাজনৈতিক ক্ষমতা দখলের ঘটনামাত্র , যার মাধ্যমে শাসনতান্ত্রিক ক্ষমতা শাসক শ্রেণীর একাংশের কাছ থেকে অন্যশ্রেণীর কাছে হস্তান্তরিত হয়েছিল । কিন্তু বিষয়টিকে বৃহত্তর প্রক্রিয়ায় ব্যাখ্যা করলে দেখা যাবে যে , উনিশ শতকের মধ্যভাগের আগে থেকেই জাপানে কতকগুলি পরিবর্তন আসতে শুরু করেছিল । এই পরিবর্তনের পরিণতি হিসাবে শতাব্দীর অন্তিম লগ্নে জাপান একটি আধুনিক রাষ্ট্র হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেছিল । জাপানের সামাজিক প্রেক্ষিতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন স্পষ্ট হয়ে উঠেছিল । 

2.সম্রাটের প্রতি আনুগত্য বৃদ্ধি :-

জাপানের ইতিহাসের রক্ষণশীল গোঁড়া ও ঐতিহ্যবাদীরা মনে করে টোকুগাওয়া শোগুনতন্ত্রের যুগে সম্রাটকে ক্ষমতাহীন করে তুললেও জাপানের মানুষের সম্রাটের প্রতি আনুগত্যে এতটুকু চিড় ধরেনি ।এই পরিস্থিতিতে একদল স্বার্থচিন্তাহীন দেশপ্রেমিক জাতীয়বাদী চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে সম্রাটের কর্তৃত্ব পুনরুদ্ধারে প্রয়াসী হয়েছিলেন । বস্তুত মেইজি জাপানের শিক্ষা সংস্কারের মধ্যে এই উদ্দেশ্যই স্পষ্ট হয়ে উঠেছিল । নতুন শিক্ষা ব্যবস্থার উদ্দেশ্য ছিল দেশপ্রেম ও সম্রাটের প্রতি আনুগত্য বৃদ্ধি করা ।

3. সামন্ততন্ত্রের অবসান:-

মার্কসবাদী ঐতিহাসিকরা  মেইজি পুনঃ- প্রতিষ্ঠাকে একটি বুর্জোয়া নিয়ন্ত্রিত আন্দোলন হিসাবে বর্ণনা করেছেন , যার পরিণতি ছিল জাপানে সামন্ততন্ত্রের অবসান ।  মেইজি পুনঃপ্রতিষ্ঠার ঘটনা বুর্জোয়া শ্রেণী নিয়ন্ত্রিত হলেও পুনঃপ্রতিষ্ঠার পরও জাপানের গ্রামাঞ্চলে বহু এলাকায় সামন্ততান্ত্রিক সম্পর্ক ও বন্ধনগুলি থেকে গিয়েছিল ।

4.ক্ষমতার পুন:প্রতিষ্টা:-

মেইজিপুনঃপ্রতিষ্ঠার পর  থেকে সম্রাট  দেশের প্রকৃত শাসকে পরিণত হন । সেদিক থেকে ঘটনাটি ছিল যথার্থই পুন:প্রতিষ্টা ।মেইজিপুনঃপ্রতিষ্ঠার পর জাপানে  দ্বৈত শাসনব্যবস্থার অবসান ঘটেছিল ও সম্রাট তাঁর হারানো ক্ষমতা ফিরে পেয়েছিলেন ।

উপসংহার :- 

মেইজি পুনঃপ্রতিষ্ঠার পরও জাপানে বৈদেশিক আক্রমণের আশঙ্কা থেকে গিয়েছিল । এই পুনঃপ্রতিষ্ঠাকে যারা কার্যকরী করেছিলেন , সেই সমস্ত তরুণ সামুরাই নেতারা স্পষ্টই উপলব্ধি করেছিলেন যে , কেবলমাত্র টোকুগাওয়া শোগুনতন্ত্রের অবসান ঘটিয়েই বিদেশী আক্রমণ রোধ করা যাবে না । বৈদেশিক আক্রমণ ঠেকাতে হলে জাপানকেও পশ্চিমি রাষ্ট্রগুলির ঢঙে একটি আধুনিক রাষ্ট্র হিসাবে গড়ে তুলতে হবে । ইউরোপীয় শক্তিবর্গ কর্তৃক আক্রমণের তীব্র আশঙ্কা মেইজি শাসকদের সন্ত্রস্ত করে তুলেছিল । মেইজি পুনঃপ্রতিষ্ঠার পরবর্তীকালে তারা কতকগুলি সংস্থার সাধন করেন । এই সংস্কারগুলি পুঁজিবাদী অর্থনীতি গড়ে তোলার পথ প্রশস্ত করেছিল ( These reforms paved the road for the development of the modern capitalistic economy ) ।


2. What were the causes and consequences of the Russo - Japanese War ? Why was Russia defeated ?[ রুশ-জাপান যুদ্ধের কারণ ও পরিণতি কী ছিল?  রাশিয়া কেন পরাজিত হয়েছিল? ]

Answer :- চীন - জাপান যুদ্ধের প্রায় দশ বছর পর জাপান অধিকতর প্রবল প্রতিপক্ষ রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়েছিল ।কোরিয়া এবং মাঞ্চুরিয়া এই দুটি অঞ্চলের ওপর কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টাকে কেন্দ্র করেই রাশিয়া ও জাপানের মধ্যে তিক্ত সম্পর্কের সূচনা হয়েছিল ।এই স্বার্থান্বেষী ও আগ্রাসী বৈদেশিক নীতি রুশ - জাপান যুদ্ধের ( ১৯০৪ ) পটভূমিকা তৈরি করেছিল ।

রুশ-জাপান যুদ্ধের কারণ:-

চীনকে পরাস্ত করার পর শিমনোসেকির সন্ধি- চুক্তির মাধ্যমে জাপান চীনের যে সমস্ত অঞ্চল অধিকার করেছিল , রাশিয়ার  হস্তক্ষেপ জাপান তা থেকে বঞ্চিত হয়েছিল । উপরন্ত রাশিয়া ১৮৯৬ খ্রিস্টাব্দে চীনের সাথে লি - লোবানত চুক্তি নামে একটি গোপন চুক্তি স্বাক্ষর করে , যা ছিল অবশ্যই জাপানের বিরুদ্ধে একটি আক্রমণাত্মক চুক্তি । জাপান চীন - জাপান যুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত লিয়া ওটাং উপদ্বীপ সমেত বেশকিছু অঞ্চল চীনকে ফিরিয়ে দিতে বাধ্য হয় । 

জাপান কোরিয়াকে একটি আধুনিক রাষ্ট্রে পরিণত করার পক্ষপাতী ছিল । কিন্তু রাশিয়া কোরিয়াতে কোনো আধুনিক সংস্কার সাধনের বিরোধী ছিল । কারণ রাশিয়া জানত যে , কোরিয়ার অভ্যন্তরীণ বিশৃঙ্খলা এবং দুর্বলতা তাকে রাশিয়ার ওপর অধিকতর নির্ভরশীল করে তুলবে । কিন্তু জাপানের উদ্দেশ্য ছিল ভিন্ন ধরনের , কারণ কোরিয়াতে জাপানের অর্থনৈতিক স্বার্থ জড়িত ছিল । ঊনবিংশ শতকের শেষদিকে জাপানে দ্রুত শিল্পায়ন ঘটেছিল এবং জাপানি শিল্পপতিরা কোরিয়ার বাজারের প্রতি আকৃষ্ট হয়েছিলেন ।

কোরিয়ার পর চীনের মাঞ্চুরিয়া দুই দেশের মধ্যে দ্বন্দ্বের কারণ হিসাবে দেখা দেয় । রাশিয়া মাঞ্চুরিয়ার ভেতর দিয়ে ট্রান্স- সাইবেরিয়ান রেলপথ নির্মাণ এবং রুশ - চীন যৌথ ব্যাঙ্কের প্রতিষ্ঠা  করেছিল । আবার অন্যদিকে শিল্পায়নের গতি দ্রুততর করার তাগিদে মাঞ্চুরিয়ার বনজ সম্পদ , কয়লা , লোহা , সোনা প্রভৃতির ওপর জাপানের দৃষ্টি ছিল ।  চীনের বক্সার বিদ্রোহের সুযোগে রাশিয়া মাঞ্চুরিয়াতে সৈন্য পাঠিয়েছিল । এই ঘটনায় সবথেকে আতঙ্কিত হয়েছিল জাপান । ১৯০২ খ্রিস্টাব্দে পূর্ব এশিয়াতে রুশ আগ্রাসনের পরিপ্রেক্ষিতে যে ইঙ্গ - জাপান মৈত্রী চুক্তি সম্পাদিত হয়েছিল , তার অব্যবহিত পরেই রাশিয়া কথা দেয় যে , সে শীঘ্রই মাঞ্চুরিয়া থেকে তার সৈন্য অপসারণ করবে । দক্ষিণ মাঞ্চুরিয়া থেকে ছমাস ও মধ্য মাঞ্চুরিয়া থেকে এক বছরের মধ্যে যাবতীয় রুশ সৈন্য প্রত্যাহৃত হবে বলে , রাশিয়া প্রতিশ্রুতি দেয় । কিন্তু রাশিয়া এই প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করে এবং জাপান উদ্বিগ্ন হয়ে ওঠে ।

১৯০৪ খ্রি: জাপান পোর্টআর্থার আক্রমন করলে রুশ-জাপান যুদ্ধ শুরু হয়।

পোর্টসমাউথের সন্ধি - চুক্তি:-

রুশ - জাপান যুদ্ধে জাপান রাশিয়াকে চূড়ান্তভাবে পরাজিত করে । ১৯০৫ খ্রিস্টাব্দে  পোর্টসমাউথের সন্ধি - চুক্তির মাধ্যমে রুশ - জাপান যুদ্ধের অবসান ঘটে । জাপান যেহেতু জয়ী পক্ষ ছিল , তাই জাপান স্বাভাবিকভাবেই চুক্তির শর্ত হিসাবে রাশিয়ার কাছে কতকগুলি দাবি পেশ করে । দাবিগুলি ছিল : 

( ১ ) কোরিয়াতে জাপানের প্রাধান্য স্বীকার করে নিতে হবে । 

( ২ ) দক্ষিণ মাঞ্চুরিয়াতে রাশিয়ার ইজারাধীন অঞ্চল ও রুশ রেলপথ জাপানকে ছেড়ে দিতে হবে।

 ( ৩ ) দূরপ্রাচ্যে রাশিয়ার নৌশক্তি হ্রাস করতে হবে । 

( ৪ ) জাপানকে যুদ্ধের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে । 

( ৫ ) সাইবেরীয় উপকূলে জাপানি নাগরিকদের মাছ ধরার অধিকার দিতে হবে ।

 ( ৬ ) জাপানের হাতে রাশিয়াকে সাখালিন অঞ্চল ছেড়ে দিতে হবে । 

রাশিয়া জাপানের  বেশকিছু দাবি মেনে নিলেও , অনেকগুলি দাবি মেনে নেয়নি।

গুরুত্ব:-

আধুনিক দূরপ্রাচ্য তথা সমগ্র বিশ্বের ইতিহাসে রুশ - জাপান যুদ্ধের গুরুত্ব অপরিসীম । রাশিয়ার বিরুদ্ধে জাপানের বিজয় পূর্ব এশিয়াতে রাশিয়ার আগ্রাসী বৈদেশিক নীতির ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছিল । প্রাচ্যে রাশিয়ার সাম্রাজ্যবাদী সম্প্রসারণ ব্যাহত হবার ফলে রাশিয়া পুনরায় ইউরোপে , বিশেষত বলকান অঞ্চলের দিকে অগ্রসর হয়। ফলে বলকান সমস্যা আরও জটিল হয়ে ওঠে।

রাশিয়াকে পরাস্ত করার ফলে জাপানের আন্তর্জাতিক মর্যাদা অনেকাংশে বৃদ্ধি পেয়েছিল এবং জাপান পাশ্চাত্য সাম্রাজ্যবাদী শক্তিগুলির সমপর্যায়ে পৌছাতে পেরেছিল । এই যুদ্ধে বিজয়ী হবার পরেই  জাপান কোরিয়াকে গ্রাস করতে উদ্যত হয়।  ১৯১০ খ্রিস্টাব্দে কোরিয়া তার স্বাধীনতা হারিয়ে জাপানি সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত হয় । 

যদিও এই যুদ্ধ জাপানকে নিরবচ্ছিন্ন সাফল্য এনে দিয়েছিল , তবুও এই যুদ্ধের ফলে জাপানে অসংখ্য জীবনহানি ঘটেছিল এবং যুদ্ধের ব্যয়ভার জাপানের জাতীয় অর্থনীতিকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছিল । ফলে জাপানে এক তাৎক্ষণিক অর্থনৈতিক সংকট দেখা দেয় এবং এর পরিপ্রেক্ষিতে গণ- অসন্তোষ মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে ।

MARKS:-10

1.  Discuss the causes of Sino - Japanese War . (চীন-জাপান যুদ্ধের কারণ আলোচনা কর।)

Answer :- চীন - জাপান বিরোধের প্রেক্ষাপট আলোচনা করতে গিয়ে ঐতিহাসিক হ্যারল্ড ভিনাক ( Harold Vinacke ) বলেছেন , চীন ও জাপানের ঐতিহাসিক সম্পর্ক কোরিয়াকে কেন্দ্র করেই গড়ে উঠেছিল এবং আধুনিক ইতিহাসে তাদের মধ্যে প্রথম গুরুত্বপূর্ণ বিরোধ কোরিয়াকে নিয়েই আরম্ভ হয়েছিল ( The historical relations of Japan and China all centred in Korea , and it was in and over Korea that they first came into serious conflict in the modern period of their history .)।

চীন-জাপান যুদ্ধের কারণ :-

১৮৭৩ খ্রিস্টাব্দে কোরিয়ার বিরুদ্ধে সশস্ত্র অভিযান চালানোর পরিকল্পনা পরিত্যক্ত হবার পর জাপান কোরিয়ার সঙ্গে ১৮৭৬ খ্রিস্টাব্দে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করে । ঐ চুক্তির মাধ্যমে কোরিয়া একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি লাভ করে । জাপান ও কোরিয়ার মধ্যে একটি নিয়মিত কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপিত হয় । অন্যদিকে জাপান যে মুহূর্তে কোরিয়াকে স্বাধীন দেশের স্বীকৃতি দেয় , সে মুহূর্তেই স্বাভাবিকভাবেই চীনের স্বার্থ ক্ষুণ্ণ হয়েছিল । কোরিয়াতে জাপানের ক্রমবর্ধমান প্রভাবকে প্রতিহত করার জন্য চীন সচেষ্ট হয় । ফলে চীন - জাপান দ্বন্দ্ব অনিবার্য হয়ে ওঠে ।

ইতিমধ্যে কোরিয়ার অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে দুটি গোষ্ঠীর সৃষ্টি হয় । একটি ছিল জাপানের সমর্থক , অপর গোষ্ঠী ছিল চীনের সমর্থক । জাপান সমর্থক গোষ্ঠী ছিল প্রগতিবাদী ও কোরিয়ার অভ্যন্তরীণ সংস্কারের পক্ষপাতী । কিন্তু চীনপন্থী গোষ্ঠী ছিল প্রগতি - বিরোধী এবং যাবতীয় আধুনিক সংস্কারের বিপক্ষে ।কোরিয়ার এই অভ্যন্তরীণ গোষ্ঠীদ্বন্দ্বকে কেন্দ্র করে চীন ও জাপানের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি ঘটেছিল । 

এই ঘটনার কিছুদিনের মধ্যেই কোরিয়াতে টংহ্যাক অভ্যুত্থান দেখা দেয় । বিদ্রোহীদের দমন করতে ব্যর্থ হবার পর কোরিয়া ইউয়ান শিশু কাই এর সাহায্য প্রার্থনা করে । এই সময়ে জাপান একটি অনবদ্য কুটনৈতিক চাল চালে । জাপানের উদ্দেশ্য ছিল চীন কোরিয়াতে সৈন্য প্রেরণের সঙ্গে সঙ্গে জাপানও কোরিয়াতে সামরিক বাহিনী পাঠাবে । চীন জাপানের ফাদে পা দেয় এবং টংহ্যাক বিদ্রোহ দমন করার জন্য একটি ছোটো বাহিনী কোরিয়াতে পাঠিয়ে দেয় । জাপান তৎক্ষণাৎ প্রায় ৮০০০ সৈন্যের একটি বাহিনী কোরিয়াতে পাঠায় । টংহ্যাক বিদ্রোহ সহজেই দমন করা হয় । কিন্তু জাপান তখনও কোরিয়া থেকে সেনা প্রত্যাহার করে না । 

ইতিমধ্যে চীন ও জাপান — উভয়পক্ষের সৈন্যবাহিনী কোরিয়ার সিওলে পরস্পর পরস্পরের সম্মুখীন হয় । চীন যুদ্ধ এড়াতে চেয়েছিল । চীনের  আশা ছিল যে , পাশ্চাত্য শক্তিবর্গের হস্তক্ষেপের মাধ্যমে একটি শান্তিপূর্ণ মীমাংসায় আসা যাবে । রাশিয়া তার প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করে চীনকে কোনোরকম সাহায্য করা থেকে বিরত থাকে । ব্রিটেন ও আমেরিকা অবশ্য জাপানের কাছে শান্তি বজায় রাখার জন্য আবেদন রাখে , কিন্তু জাপান তা প্রত্যাখ্যান করে । ১৮৯৪ খ্রিস্টাব্দের জুলাই মাসে জাপানি সৈন্যরা সিওলের রাজপ্রাসাদ আক্রমণ করে এবং রাজাকে ক্ষমতাচ্যুত করে একটি সরকার গঠন করে । ২৫ জুলাই জাপানিরা কোরীয় উপসাগরে " কাওশিং " নামে একটি চীনা জাহাজ ডুবিয়ে দেয় । ১৮৯৪ খ্রিস্টাব্দের ১ আগস্ট উভয়ে উভয়ের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে ।এই যুদ্ধে চীন চুড়ান্ত ভাবে পরাজিত হয়। ফলে চীন জাপানের সাথে সিমনোসেকির সন্ধি স্বাক্ষরিত হয়।

চীন-জাপান যুদ্ধের ফলাফল :-

চীন - জাপান যুদ্ধে চীনের শোচনীয় পরাজয় চীনকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে । পাশ্চাত্য সাম্রাজ্যবাদী শক্তিবর্গ চীনের দুর্বলতার সুযোগে নিয়ে চীনকে নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নেওয়ার প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হয় । চীনের সার্বভৌমত্ব , স্বাধীনতা এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতা বিপন্ন হয়ে পড়ে ।তাছাড়া , জাপানের মতো একটি ক্ষুদ্র দেশের হাতে পরাজয়ের ফলে দেশের জনসমক্ষে মাঞ্চু রাজবংশের প্রভাব , প্রতিপত্তি ও মর্যাদা নষ্ট হয়ে যায় । অন্যদিকে চীনের মতো একটি সুবিশাল দেশকে পরাস্ত করার পর জাপানের আত্মবিশ্বাস অনেকাংশে বেড়ে যায় । চীন - জাপান যুদ্ধে জাপানের সাফল্য রাশিয়াকে ভীত করে তুলেছিল।

2.  What were the causes and consequences of Japanese aggression at Manchuria(মাঞ্চুরিয়ায় জাপানি আগ্রাসনের কারণ ও পরিণতি কী ছিল?)

Answer :- জাপানের মাঞ্চুরিয়া আক্রমণের কারন:-

জাপানের মাঞ্চুরিয়া আক্রমনের পিছনে কতগুলি গুরুত্বপূর্ন কারন ছিল । মাঞ্চুরিয়ার ওপর কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার বিষয়কে কেন্দ্র করে রুশ - জাপান যুদ্ধ ( ১৯০৪-০৫ ) যুদ্ধ হয়েছিল এবং এই যুদ্ধে প্রায় ১ লক্ষ জাপানির প্রাণহানি হয়েছিল । তাছাড়া , জাপানের সামরিক নীতি নির্ধারকরা উত্তরমুখী রুশ সম্প্রসারণের প্রতিবন্ধক হিসাবে মাঞ্চুরিয়াকে ব্যবহার করতে চেয়েছিলেন । ১৯১৭ সালের রুশ বিপ্লবের পর থেকে সাম্যবাদের অগ্রগতি রোধ করার প্রশ্নে মাঞ্চুরিয়ার সামরিক সুরক্ষা জাপানের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন ছিল।

প্রথমে অবশ্য জাপান মাঞ্চুরিয়াকে তার উপনিবেশে পরিণত করতে চায়নি । জাপান চেয়েছিল একজন সমরনায়কের অধীনে মাঞ্চুরিয়াতে চীনা সার্বভৌমত্ব বজায় থাকুক । চীনের অনৈক্যের সুযোগ নিয়ে জাপান মাঞ্চুরিয়াতে সুবিধাজনক অবস্থায় থাকতে চেয়েছিল । কিন্তু ১৯২০ - র দশকে চীনা জাতীয়তাবাদের উত্থান জাপানের এই আকাঙ্ক্ষা পূর্ণ হতে দেয়নি । চীনা জাতীয়তাবাদীরা মাঞ্চুরিয়াতে জাপানের অবস্থানকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিলেন নতুন পরিস্থিতিতে জাপানের কোনো গুরুত্বপূর্ণ গোষ্ঠীই মাঞ্চুরিয়া থেকে সে মুহূর্তে হাত গুটিয়ে নিতে চায়নি ।মধ্যপন্থী সামরিক নেতারাও বুঝেছিলেন যে মাঞ্চুরিয়াতে জাপানের কর্তৃত্ব বহাল রাখার জন্য তাৎক্ষণিকভাবে কিছু করা দরকার।

জাপানের মাঞ্চুরিয়া আক্রমণ:-

দূরপ্রাচ্যের ইতিহাসে জাপানের মাঞ্চুরিয়া আক্রমণ একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা হিসাবে চিহ্নিত । ১৯০৫ খ্রিস্টাব্দে রুশ - জাপান যুদ্ধের অবসান ঘটে পোর্টস্মাউথ সন্ধি - চুক্তির মাধ্যমে । এই চুক্তির দ্বারা সিদ্ধান্ত হয়েছিল যে , জাপান দক্ষিণ  মাঞ্চুরিয়াতে  রেলপথের নিরাপত্তা রক্ষার জন্য মাঞ্চুরিয়াতে ১৫,০০০ সৈন্য মোতায়েন রাখতে পারবে । এই বাহিনীর কেন্দ্রীয় দপ্তর মুকডেনে অবস্থিত ছিল । ১৯৩১ খ্রিস্টাব্দের ১৮ সেপ্টেম্বর মুকডেনের কাছে ঐ রেলপথের ওপর বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে । মুকডেনে বসবাসকারী জাপানি সামরিক নেতারা এই ঘটনার জন্য সরাসরি একদল চীনা সৈন্যকে দায়ী করেন এবং বলেন যে , চীনা সৈন্যরা ঐ রেলপথ ধ্বংস করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছিল । তাঁরা তৎক্ষণাৎ সমগ্র মাঞ্চুরিয়া জুড়ে একটি সামরিক অভিযান পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেন ।  মাত্র চারদিনের মধ্যেই মুকডেনের উত্তরে ২০০ মাইল এলাকা বিস্তৃত সব কটি চীনা শহর জাপান দখল করে নেয় ।

ফলাফল:-

সদুরপ্রাচ্যে জাপানের আগ্রাসী নীতি বন্ধ করতে বা শান্তিভঙ্গের অপরাধে জাপানের বিরুদ্ধে কোন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে জাতিসংঘ চূড়ান্ত ব্যর্থ হয়েছিল । জাপানের মাঞ্চুরিয়া আক্রমণ জাতিসংঘের সক্ষমতাকে প্রশ্ন করেছিল । একটি জটিল ও সংকটজনক পরিস্থিতির সামনে জাতিসংঘের দুর্বলতাকে বিশ্বের সামনে প্রকাশ করেছিল । 


Marks:-5

1.Write a note on " Tonghak " rebellion . (" টং - হ্যাক " বিদ্রোহ কী)

Answer :-1894-95 সালের চীন - জাপান যুদ্ধের প্রত্যক্ষ কারণ ছিল কোরিয়ার " টং - হ্যাক বিদ্রোহ " । টং - হ্যাক কথাটির অর্থ হলো প্রাচ্যের শিক্ষা ( Eastern learning )। 1890 এর দশকের শুরুতে কোরিয়ায় টং হ্যাক নামের এক  জাতীয়তাবাদী  কৃষক অভ্যুত্থান ঘটে | সরকারি নিপীড়ন এবং খ্রিস্ট ধর্মের প্রসারে অত্যাচারিত  হয়ে " টং - হ্যাক " ধর্মীয় সম্প্রদায় এই  আন্দোলন  গড়ে তোলেন | এই সম্প্রদায় ছিল বৌদ্ধ ধর্ম , কনফুসীয় মতবাদ এবং তাও মতবাদের মেনে চলতেন। কোরিয়ার সরকার এই সম্প্রদায়কে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে।

কালক্রমে এই টং - হ্যাক সম্প্রদায়ের বিদ্রোহ এমন চেহারা নেয় যে , কোরিয়ার সরকার চীনের মাঞ্চু সম্রাটের কাছে সামরিক সাহায্য চান | ইতিপূর্বে 1885 সালে চীন ও জাপানের মধ্যে এই মর্মে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল যে , কোন দেশেই অপর দেশকে না জানিয়ে কোরিয়ার ভূখণ্ডে সেনাবাহিনীর পাঠাতে পারবে না | কাজেই চীন যখন কোরিয়ার রাজার অনুরোধে উত্তর কোরিয়ায় সেনাবাহিনী পাঠালো , তখন জাপানও দক্ষিণ কোরিয়ায় সেনা পাঠায় | এরই ফলশ্রুতি ছিল চীন - জাপান যুদ্ধ ( 1894-95 )শুরু হয় | এই যুদ্ধে চীনের পরাজয় ঘটে এবং 1895 সালের মার্চ মাসে উভয়ের মধ্যে শিমনোসেকির চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় |

4.What is " extra - territoriality " ? 

3.Write a note on " Sphere of Influence " . 

2.Write a note on " Nine Power Treaty " . 

Answer :- চীনের আঞ্চলিক অখন্ডতা রক্ষার জন্য একটি গুরুত্ব পূর্ণ পদক্ষেপ হল ১৯২২ খ্রি: ওয়াশিংটন সন্মেলনে স্বাক্ষরিত নয় শক্তির চুক্তি (Nine power Treaty).  ১৯২১ ২২ খ্রি: ওয়াশিংটন সন্মেলনে আমেরিকা ও ব্রিটেনসহ মোট নয়টি দেশ যোগদান করলে তাদের মধ্যে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক নিয়ে সাতটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এই চুক্তি গুলির মধ্যে  অন্যতম হল নয় শক্তির চুক্তি (Nine power Treaty)।স্বাক্ষরকারী দেশগুলি চীনের সার্বভৌমত্ব ও স্বাধীনতা , আঞ্চলিক অখণ্ডতা ও মুক্তদ্বার নীতি মেনে চলতে রাজি  হয় । পশ্চিমি দুনিয়ায় এই চুক্তিটির কথা ঘটা করে প্রচার করা হয়েছিল কিন্তু চীনের কাছে এই চুক্তি ছিল মূল্যহীন । যদিও শানটুং ফিরে পেয়ে চীন কিছুটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছিল , কিন্তু চীন যে আশা নিয়ে এই সম্মেলনে যোগ দিয়েছিল তার অধিকাংশই ওয়াশিংটন সম্মেলন পূরণ করতে পারেনি।

এই চুক্তির পরেও চীনের অভ্যন্তরে বিদেশি শক্তিগুলি যে সমস্ত অন্যায় সুযোগ - সুবিধা উপভোগ করত , সেগুলি অক্ষুণ্ণ থেকে গিয়েছিল এবং চীনে নিজেদের প্রতিপত্তি বৃদ্ধি করার জন্য তারা যে নির্লজ্জ প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হয়েছিল তা অব্যাহত ছিল । চীনে বিদেশিদের অতি আঞ্চলিক অধিকার এবং চীনা শুল্ক নির্ধারণের ক্ষেত্রে বৈদেশিক নিয়ন্ত্রণ চীনের সার্বভৌমত্বকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছিল । কিন্তু ওয়াশিংটন সম্মেলনে এই ব্যবস্থা দুটিকে রদ করার বিষয়ে কোনো সুস্পষ্ট আশ্বাস দেয়নি । তাই চীনের কাছে তার আঞ্চলিক অখণ্ডতা ও স্বাধীনতা নিয়ে স্বাক্ষরিত এই নয় শক্তির চুক্তিটি ছিল অর্থহীন ।

Mark:- 1

A.  Answer any ten questions from the following : 

( a ) In which year the First Opium War took place ? (প্রথম আফিম যুদ্ধ কোন সালে সংঘটিত হয়েছিল? )

answer :- প্রথম আফিম যুদ্ধ কোন সালে সংঘটিত হয়েছিল 1840 খ্রিষ্ঠাব্দে।

( b ) Mention the " Three Principles " of Sun Yat Sen.(সান ইয়াৎ সেনের "তিনটি নীতি" উল্লেখ করো।)

Answer :- সান ইয়াৎ সেনের "তিনটি নীতি" হল --- জাতীয়তাবাদ , সমাজতন্ত্র ও গণতন্ত্র।

 ( c ) Who was the leader of Taiping rebellion ?(তাইপিং বিদ্রোহের নেতা কে ছিলেন?)

Answer :- তাইপিং বিদ্রোহের নেতা  ছিলেন -- হুং শিউ চুয়ান।

 ( d ) When the Treaty of Shimonoseki was signed ? (শিমোনোসেকি চুক্তি কবে স্বাক্ষরিত হয়? )

Answer :- শিমোনোসেকি চুক্তি কবে স্বাক্ষরিত হয় 1895 খ্রি: 17 ই এপ্রিল।

( e ) Who were Samurais ? (সামুরাই কারা ছিল? )

Answer:- প্রাক-শিল্পাঞ্চল যুগে  জাপানী যোদ্ধা বা সামরিক বাহিনীর সদস্যদের সামুরাই বলা হয়। । 

একজন সামুরাই অনেক ধরনের অস্ত্রশস্ত্র ব্যবহার করার অধিকারী ছিলেন।  তাদের কাছে জনপ্রিয় অস্ত্র ছিল একধরনের  লম্বাটে তলোয়ার।

 ডান হাতেই তারা অস্ত্র ধারণ করে থাকে। যোদ্ধার করণীয়  নীতি অনুসরণ করে সামুরাই নিজ জীবন সচল রাখেন। 

( f ) Who were Zaibatsu ?(জাইবাতসু কারা ছিলেন? )

Answer:- zaibatsu, হল  দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আগে জাপানে সংগঠিত এককটি ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠান যা প্রধাণত একটি পরিবারকে ঘিরে গঠিত হয়েছে। 

zaibatsu বিভিন্ন অর্থনৈতিক কার্যকলাপ যেমন ব্যাঙ্ক পরিচালনা, বৈদেশিক বানিজ্য নিয়ন্ত্রন , খনি, বীমা পরিচালনা ইত্যাদি কাজে অংশগ্রহন করতেন।  

জাইবাতসু ছিল জাপান সাম্রাজ্যের মধ্যে অর্থনৈতিক ও শিল্প কার্যকলাপের কেন্দ্রবিন্দু, এবং জাপানের জাতীয় ও বিদেশী নীতির উপর তাদের ব্যাপক প্রভাব ছিল। 

 ( g ) What is warlordism ?(সমরনায়কতন্ত্র কি?  )

Answer:- ১৯১২ খ্রিস্টাব্দে চীনে প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হলে সমরনায়ক ইউয়ান শি - কাই সর্বপ্রথম রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচিত হয়েছিলেন ।  তিনি রাজতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে তৎপর হয়েছিলেন । গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক পদগুলিতে তিনি সামরিক অফিসারদের নিযুক্ত করেছিলেন । প্রদেশসমুহের শাসনভার তাঁরই অনুগত সামরিক নেতাদের উপর তিনি দিয়েছিলেন । এইভাবে তিনি দেশে সামরিক শাসন প্রচলিত করেছিলেন । কেন্দ্রে অর্থাৎ পিকিং - এ ইউয়ানের শাসন প্রচলিত হল আর প্রদেশগুলিতে থাকল প্রাদেশিক সমরনায়কদের অধীনে । ১৯১৬ সালে ইউয়ান - শি - কাই -এর মৃত্যুর পরে  এই প্রাদেশিক শাসনকর্তারাই দেশে সামরিক শাসন প্রবর্তন করেন । সমর নেতাদের ক্ষমতার উৎস ছিল সেনাবাহিনী । এই সেনাবাহিনী পাশ্চাত্য ধাঁচে গঠিত হওয়ার জন্য দুর্বল কেন্দ্রীয় শাসন তা প্রতিরোধ করতে পারেনি ।

 ( h ) What is Taoism ?(তাওবাদ কি?)

Answer:-তাওবাদ: 

 তাওবাদী দর্শনের মূল কথা ছিল প্রকৃতির মধ্যে পথের অনুসন্ধান করা । ' তাও ' শব্দের অর্থ পথ ( way ) । তাওপন্থীরা মনে করতেন জ্ঞানের প্রকৃত উৎস প্রকৃতি । সকলেরই উচিত প্রকৃতি সম্পর্কে যথার্থ জ্ঞান আহরণ করা এবং প্রকৃতিকে বিশ্লেষণ করা।

 প্রাচীন চৈনিক চিন্তার ইতিহাসে কনফুসীয় পন্থার পরেই তাওবাদের স্থান । তাওবাদ ছিল সবকিছু থেকে সরে থাকার ও প্রত্যাহার করে নেওয়ার দর্শন । তাঁরা ক্ষমতা , মর্যাদা ও সম্পদ অর্জনের জন্য সংঘাত এড়িয়ে চলার পক্ষপাতী ছিলেন । 

অন্যান্য রহস্যবাদীদের মতোই তাওপন্থীরাও তাঁদের মৌলিক ধারণাগুলি শব্দের মাধ্যমে প্রকাশ করতেন না । তাঁরা বলতেন— “ যিনি জানেন তিনি কথা বলেন না , যিনি কথা বলেন তিনি জানেন না ” ( The one who knows does not speak , and the one who speaks does not know ) । তাও হল নামহীন আকারহীন এমন এক পথ , যা সার্বিকভাবে প্রাকৃতিক প্রক্রিয়ার ওপর নির্ভরশীল । 

 ( i ) Which country was not invited in the Washington Conference ?(ওয়াশিংটন সম্মেলনে কোন দেশকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি?)

Answer :- ওয়াশিংটন সম্মেলনে রাশিয়াকে  আমন্ত্রণ জানানো হয়নি ।

 ( j ) Who was Confucius ? (কনফুসিয়াস কে ছিলেন?  )

Answer :- কনফুসীয় পন্থা:-

 চীনা ঐতিহ্যে তথা চীনা সভ্যতার প্রাচীন ইতিহাসে কনফুসীয়পন্থার প্রভাব অপরিসীম । কনফুসীয় পন্থার প্রবক্তা ছিলেন কনফুসিয়াস। ফেয়ারব্যাঙ্ক লিখেছেন— কনফুসিয়াস ছিলেন চীনের প্রথম পেশাদার শিক্ষক ও দার্শনিক এবং আজও তিনি পূর্ব এশিয়ার শ্রেষ্ঠ শিক্ষক ও দার্শনিক হিসাবে স্বীকৃত । চৌ রাজত্বে ৫৫১ খ্রিস্টপূর্বাব্দে কনফুসিয়াসের জন্ম হয়।তিনি ছিলেন গৌতম বুদ্ধের সমসাময়িক। 

কনফুসিয়াস , তাঁর মতাদর্শ ও তাঁর দর্শন সম্পর্কে আমরা জানতে পারি ' লুন - উ ' ` বা ' বচনসংগ্রহ ' গ্রন্থ থেকে । লুন - উ  কতকগুলি প্রশ্নের উত্তর । শিষ্য প্রশ্ন করেছেন , গুরু কনফুসিয়াস তার উত্তর দিয়েছেন । বচন সংগ্রহ ' বা লুন - উ  গ্রন্থটি সংকলন করেন  কনফুসিয়াসের কোনো শিষ্য বা শিষ্যের শিষ্যা । 

কনফুসিয়াস বিশ্বাস করতেন সমাজে প্রতিটি মানুষের জন্য একটি ভূমিকা নির্দিষ্ট করা আছে । প্রতিটি মানুষেরই সেই নির্দিষ্ট ভূমিকা যথাযথ ও আন্তরিকভাবে পালন করা উচিত । এ প্রসঙ্গে তাঁর সংক্ষিপ্ত বক্তব্য — একজন শাসক শাসক হবেন , প্রজা হবেন প্রজা । পিতা পিতার মতো আচরণ করবেন , পুত্রের আচরণ হবে পুত্রবৎ । কনফুসিয়াস জোরের সঙ্গে বলেছিলেন — এই নীতি হবে সমাজের ভিত্তি ।

কনফুসিয়াসের মতাদর্শ তার সময় থেকেই চ্যুই ধর্ম নামে পরিচিত ছিল । চীনা সভ্যতায় একজন চ্যুই ছিলেন রক্ষণশীল মনোভাবাপন্ন ব্যক্তি , যার দেশ ও বিশ্বের অতীত ইতিহাস সম্পর্কে অনন্যসাধারণ পাণ্ডিত্য ছিল । চ্যুই ধর্মের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে কনফুসিয়াস বলেছেন- একজন চ্যুই হবেন উদারমনোভাবাপন্ন , ক্ষমতাসীন মানুষের অনুগ্রহের প্রতি লালায়িত হবেন না তিনি , সাফল্য বা অসাফল্য , কোনো কিছুতেই সত্যের পথ বর্জন করবেন না তিনি এবং একই সঙ্গে তিনি অন্যের মতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকবেন এবং নিয়মনীতি সম্পর্কে নমনীয় মনোভাব গ্রহণ করবেন । 

( k ) Who formed K.M.T ? (কে এম টি গঠন করেন?)

Answer :-কুয়োমিনটাং:- 

 1912 সালে চীনে প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠার পর সান ইয়াৎ সেনের নেতৃত্বাধীন তুং - মেং - হুই দলের নতুন নামকরণ হয় কুয়োমিনটাং(KMT) বা জাতীয়তাবাদী দল ।

বিপ্লবী সংগঠনের পরিবর্তে কুয়োমিনটাং একটি সাধারন শিথিল সংগঠনে পরিণত হয়েছিল | ইউয়ান - শি - কাই এর ক্ষমতা দখলের পর চীনা সংসদে বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করেছিল কুয়োমিনটাং দল | যদিও কুয়োমিনটাং এর সদস্যরা মাঝে মধ্যে সমাজসেবা মূলক কর্মসূচি , এমনকি সমাজতন্ত্রের কথাও বলতেন | তবে তারা কখনোই কৃষি সংস্কারের উপর গুরুত্ব দিতে চাননি | 

যদিও সান ইয়াৎ সেনের উদ্যোগেই কুয়োমিনটাং দল গঠিত হয়েছিল , তা সত্ত্বেও প্রথম থেকেই এই দলের কার্যকলাপে তিনি যথেষ্ট অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন পুরনো বিপ্লবী চেতনা সদস্যদের মধ্যে ফিরিয়ে আনার উদ্দেশ্যে সান ইয়াৎ সেন কুয়োমিনটাং এর ভেতরেই তুং- যেং - হুই ইয়ুথ ক্লাব নামে ক্ষুদ্র সংগঠন তৈরি করেন |

( l ) When did U.S.A throw atomic bomb at Hiroshima and Nagasaki ?(মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কখন হিরোশিমা ও নাগাসাকিতে পারমাণবিক বোমা নিক্ষেপ করে?)

Answer :- মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র 1945 খ্রি: 6 ও 9 ই আগষ্ট হিরোশিমা ও নাগাসাকিতে পারমাণবিক বোমা নিক্ষেপ করে ।

m) What is the meaning of Taiping ? (তাইপিং কথার অর্থ কী? )

Answer :- তাইপিং কথার অর্থ হল -- মহতী শান্তি বা মহান সামাজিক সঙ্গতি [Great social Harmony]


No comments:

Post a Comment