Wednesday, November 27, 2024

নবম ইতিহাস ix history

 *** দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের বিভিন্ন কারণগুলি আলোচনা করো।

উত্তর:-  দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ (১৯৩৯-'৪৫ খ্রি.) ছিল বিশ্ব ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়ানক যুদ্ধ। এই যুদ্ধে একদিকে ছিল অক্ষশক্তিভুক্ত জার্মানি, ইটালি, জাপান প্রভৃতি রাষ্ট্র এবং অন্যদিকে ছিল ইংল্যান্ড, ফ্রান্স, রাশিয়া, আমেরিকা প্রভৃতি রাষ্ট্র। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের  কারণগুলি  ছিল ---

1.ত্রুটিপূর্ণ ভার্সাই সন্ধি: - প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর বিজয়ী মিত্রশক্তি পরাজিত জার্মানির ওপর তীব্র বৈষম্যমূলক ভার্সাই সন্ধি (১৯১৯ খ্রি.) চাপিয়ে দেয়। এই সন্ধির দ্বারা জার্মানির বিভিন্ন ভূখণ্ড, শিল্পাঞ্চল, খনি ও উপনিবেশগুলি কেড়ে নেওয়া হয় । জার্মানির সামরিক শক্তি হ্রাস করা হয়। জার্মানির ওপর বিপুল পরিমাণ আর্থিক ক্ষতিপূরণের বোঝা চাপানো হয়। ঐতিহাসিক ই এইচ কার একে 'জবরদস্তিমূলক চুক্তি' বলে অভিহিত করেছেন। জার্মানি এই 'একতরফা চুক্তি' ভেঙে ফেলার সুযোগের অপেক্ষায় ছিল।

2.ঔপনিবেশিক লড়াই:- বিংশ শতকের শুরুতে বিশ্বের অধিকাংশ উপনিবেশ ইংল্যান্ড, ফ্রান্স, বেলজিয়াম, হল্যান্ড, আমেরিকা প্রভৃতি দেশের দখলে চলে যায়। পরবর্তীকালে ইটালি, জাপান প্রভৃতি দেশ খুব বেশি উপনিবেশ দখল করার সুযোগ না পেয়ে ক্ষুদ্ধ হয়। ফলে উপনিবেশের অধিকার নিয়ে বিভিন্ন দেশের মধ্যে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা শুরু হয়।

3.একনায়কতন্ত্রের উত্থান: - প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর কয়েকটি দেশে একনায়কতান্ত্রিক শাসকের উদ্ভব ঘটে। এদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন ইটালির ফ্যাসিস্ট শাসক মুসোলিনি, জার্মানির নাৎসি শাসন হিটলার, জাপানের শাসন তোজো প্রমুখ। তাদের উগ্র সাম্রাজ্যবাদ ও যুদ্ধবাদী নীতি বিশ্বে অশান্তি সৃষ্টি করে।



4.নিরস্ত্রীকরণ সম্মেলনের ব্যর্থতা: - জেনিভার নিরস্ত্রীকরণ সম্মেলনে (১৯৩৩ খ্রি.) বৃহৎ শক্তিগুলি জার্মানির অস্ত্রশক্তি হ্রাসে অত্যন্ত উদ্‌গ্রীব হলেও তারা নিজেদের অস্ত্রশক্তি হ্রাস করতে রাজি ছিল না। জার্মানি নিজের সামরিক শক্তি বৃদ্ধির সুযোগ না পেয়ে সম্মেলন ত্যাগ করে নিজের ইচ্ছামতো সামরিক শক্তি বৃদ্ধি করতে থাকে।

5.জাতিসংঘের ব্যর্থতা: - প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য নিয়ে জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠিত হলেও জাতিসংঘ তার লক্ষ্যপূরণে বারবার ব্যর্থ হয়। যেমন-  জাপান চিনের মাঞ্চুরিয়া দখল (১৯৩১ খ্রি.) করলেও জাতিসংঘ জাপানের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিতে পারেনি  । ইটালি অ্যাবিসিনিয়া দখল (১৯৩৬ খ্রি.) করলে জাতিসংঘ তা প্রতিরোধ করতে ব্যর্থ হয়।কিন্তু এই রকম পরিস্থিতিতেও জাতিসংঘ নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করে।

6.শক্তিজোট: - দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আগে বিশ্ব পরস্পর- বিরোধী দুটি সশস্ত্র শিবিরে বিভক্ত হয়ে পড়ে। একদিকে থাকে ইংল্যান্ড, ফ্রান্স, রাশিয়া, আমেরিকা প্রভৃতি দেশকে নিয়ে গড়ে ওঠা 'মিত্রশক্তি' এবং অন্যদিকে থাকে জার্মানি, ইটালি, জাপান প্রভৃতি দেশকে নিয়ে গড়ে ওঠা 'অক্ষশক্তি'। উভয় শিবিরের মধ্যে সমরসজ্জার প্রতিযোগিতা শুরু হয়।

7.ইঙ্গ-ফরাসি তোষণ: জার্মানি, ইটালি, জাপান প্রভৃতি সাম্রাজ্যবাদী রাষ্ট্র ক্রমাগত ভার্সাই সন্ধির বিভিন্ন ধারাগুলি লঙ্ঘন করে বিভিন্ন দেশে আগ্রাসন চালায়। এই আগ্রাসন প্রতিরোধের চেষ্টা না করে ইঙ্গ-ফরাসি শক্তি দীর্ঘদিন সাম্রাজ্যবাদী শক্তিগুলিকে তোষণ করতে থাকে। ইঙ্গ- ফরাসি শক্তি মনে করত যে, তোষণনীতির মাধ্যমে যুদ্ধ এড়ানো যাবে। কিন্তু এই তোষণনীতির ফলে সাম্রাজ্যবাদী দেশগুলির আগ্রাসন আরও বেড়ে যায়।

৪. প্রত্যক্ষ কারণ: জার্মানির শাসক হিটলার ১৯৩৯  খ্রিস্টাব্দের ১ সেপ্টেম্বর পোল্যান্ড আক্রমণ করলে ৩ সেপ্টেম্বর ইঙ্গ-ফরাসি শক্তি জার্মানির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে। ফলে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয়।


* *পার্ল হারবারের ঘটনাটি কী? (Marks-4)

অথবা, পার্ল হারবারে জাপান কর্তৃক বোমাবর্ষণ সম্পর্কে কী জান?

উত্তর:-  পার্ল হারবার হল প্রশান্ত মহাসাগরের হাওয়াই দ্বীপে অবস্থিত একটি বন্দর। এখানে আমেরিকা তার নৌঘাঁটি স্থাপন করেছিল। ইউরোপে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলার সুযোগে এশীয় রাষ্ট্র জাপান প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল ও দূরপ্রাচ্যের বিভিন্ন স্থানে আগ্রাসী নীতি প্রয়োগ করে। আমেরিকা এই আগ্রাসনের বিরোধিতা করলে আমেরিকা ও জাপানের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি ঘটে।

1. আমেরিকার উদ্যোগ:- জাপানের আগ্রাসী নীতির ফলে আমেরিকা জাপানের সঙ্গে পুরোনো বাণিজ্যিক চুক্তিটি বাতিল করে দেয়। জাপানে পেট্রোলিয়ামজাত পণ্য-সহ বেশ কয়েকটি পণ্য সরবরাহ বন্ধ করে দেয়। আমেরিকায় অবস্থিত জাপানি সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে। এসব ঘটনায় জাপান ক্ষুদ্ধ হয়।

2. যুদ্ধের সম্ভাবনা:- জাপান খনিজ তেলসমৃদ্ধ দক্ষিণ ইন্দোচিন দখল (১৯৪১ খ্রি.) করে নিলে জাপানের সঙ্গে আমেরিকা সব ধরনের বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছিন্ন করে। এরপর চিন ও ইন্দোচিন থেকে জাপানি সেনা প্রত্যাহারের দাবি জানায়। আমেরিকার এই দাবি জাপান প্রত্যাহার করলে উভয় পক্ষের মধ্যে যুদ্ধের সম্ভাবনা দেখা দেয়।

3.  পার্ল হারবারে আক্রমণ:- জাপান ১৯৪১ খিস্টাব্দের ৭ ডিসেম্বর সকালে বিশাল নৌবহর ও ৩৩৫টি যুদ্ধবিমান নিয়ে ডাইস অ্যাডমিরাল নোগুচি-র নেতৃত্বে আমেরিকার নৌঘাঁটি পার্ল হারবারে বোমাবর্ষণ শুরু করে এবং এখানকার মার্কিন নৌঘাঁটি ধ্বংস করে দেয়। এটি পার্ল হারবারের ঘটনা নামে পরিচিত।

4 দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে যোগদান: - পার্ল হারবারের ঘটনার পরদিন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নিরপেক্ষতা নীতি ত্যাগ করে সক্রিয়ভাবে জাপানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে যোগ দেয়। ফলে প্রাচ্যে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ে।


*** টীকা লেখো: রুশ-জার্মান অনাক্রমণ চুক্তি

উত্তর। নাৎসি শাসক হিটলার যেমন কমিউনিস্ট-বিরোধী ছিলেন তেমনি কমিউনিস্ট শাসক স্ট্যালিনও তীব্র নাৎসি-বিদ্বেষী ছিলেন।হিটলার এবং স্ট্যালিনের মধ্যে বিরোধ থাকা সত্ত্বেও বিশেষ পরিস্থিতিতে উভয়ের মধ্যে মিত্রতা স্থাপিত হয়।

1.জার্মানির উদ্দেশ্য: - পোল্যান্ড আক্রমণ করতে গিয়ে একই সঙ্গে পূর্ব সীমান্তে রাশিয়া এবং পশ্চিম সীমান্তে ইঙ্গ-ফরাসি শক্তির বিরুদ্ধে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়তে হতে পারে বলে হিটলার আপাতত রাশিয়ার সঙ্গে মিত্রতা স্থাপনের দ্বারা পূর্ব সীমান্তে যুদ্ধের সম্ভাবনা দূর করেন।

2. রাশিয়ার উদ্দেশ্য:-  সাম্যবাদ-বিরোধী ইঙ্গ-ফরাসি শক্তির সঙ্গে জোট গঠনে ব্যর্থ হয়ে রাশিয়া নিজের নিরাপত্তার প্রয়োজনে জার্মানির সঙ্গে মিত্রতা স্থাপনে আগ্রহী হয়।

3 .  চুক্তি স্বাক্ষর:-  রাশিয়া ও জার্মানির মধ্যে ১৯৩৯ খ্রিস্টাব্দে (২৩ আগস্ট) রুশ-জার্মান অনাক্রমণ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এই চুক্তি স্বাক্ষরে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী মলোটভ এবং জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী রিবেনট্রপ।

4 চুক্তির শর্তাবলি:-  রুশ-জার্মান অনাক্রমণ চুক্তির দ্বারা স্থির হয় যে, রাশিয়া ও জার্মানি- 

[a] শান্তিপূর্ণ উপায়ে নিজেদের মধ্যে বিবাদের মীমাংসা করবে।

 [b] পরবর্তী ১০ বছর একে অপরকে আক্রমণ করবে না। 

[c] তৃতীয় কোনো শক্তির দ্বারা আক্রান্ত হলে কেউ তৃতীয় পক্ষকে সহায়তা করবে না।

 [d] পোল্যান্ডকে নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি করে নেবে।

5 চুক্তিভঙ্গ: রাশিয়ার সঙ্গে অনাক্রমণ চুক্তি সত্ত্বেও হিটলার দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় চুক্তি ভঙ্গ করে ১৯৪১ খ্রিস্টাব্দে (২২ জুন) রাশিয়া আক্রমণ করেন।


*** ইটালিতে মুসোলিনির নেতৃত্বে ফ্যাসিস্ট দলের ক্ষমতা লাভের প্রেক্ষাপট আলোচনা করো।

উত্তর। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর দেশের সংকটজনক পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে মুসোলিনির নেতৃত্বে ফ্যাসিস্ট দল ১৯২২ খ্রিস্টাব্দে ইটালির শাসনক্ষমতা দখল করে।

ইটালিতে ফ্যাসিস্ট দলের ক্ষমতা দখল:- ইটালিতে মুসোলিনির নেতৃত্বে ফ্যাসিস্ট দলের ক্ষমতা দখলের প্রেক্ষাপট ছিল-

1 ইটালির দুর্দশা:- প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর ইটালিতে চরম রাজনৈতিক অস্থিরতা, অর্থনৈতিক সংকট, সামাজিক দুর্দশা, শ্রমিক ধর্মঘট, দাঙ্গা, লুঠতরাজ প্রভৃতি দেশকে এক চরম দুর্দশার দিকে ঠেলে দেয়। ফলে সরকারের ওপর ইটালিবাসী চরম ক্ষুদ্ধ হয়।

2 মুসোলিনির প্রচার:-  মুসোলিনি প্রচার করেন যে, প্রথম বিশ্বযুদ্ধে ইটালি মিত্রপক্ষের হয়ে যুদ্ধ করা সত্ত্বেও যুদ্ধের পর ভার্সাই সন্ধিতে ইটালিকে তার প্রাপ্য স্থানগুলি থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। তাঁর প্রচার ইটালির সেনা-অফিসার ও বেকার যুবকদের উদ্দীপ্ত করে।

3 ফ্যাসিস্ট দল গঠন:- মুসোলিনি ইটালির মিলান শহরে ১৯১৯ খ্রিস্টাব্দে (২৩ মার্চ) বেকার সৈনিক ও দেশপ্রেমিকদের এক সমাবেশে 'ফ্যাসিস্ট' দল প্রতিষ্ঠা করেন।

4 দলের সংগঠন:- ফ্যাসিস্ট দল শীঘ্রই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে অসংখ্য শাখা গড়ে তোলে। ১৯২১ খ্রিস্টাব্দে এই দলের সদস্যসংখ্যা প্রায় ৩ লক্ষে পৌঁছায়। মুসোলিনি বেকার সৈনিক ও যুবকদের নিয়ে 'ব্ল‍্যাক শার্টস' নামে একটি আধা-স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী গড়ে তোলেন।

5 রোম অভিযান:- ফ্যাসিস্ট দল ১৯২২ খ্রিস্টাব্দে বলপ্রয়োগ করে সমাজতন্ত্রীদের ধর্মঘট ভেঙে দিয়ে রাতারাতি জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। এরপর 'ব্লাক শার্টস' বাহিনীর ৫০ হাজার সদস্যকে নিয়ে মুসোলিনি রাজধানী রোম অভিযান (২৭ অক্টোবর) করেন।

6. ক্ষমতা দখল: - মুসোলিনির রোম অভিযানের ফলে রোমের ফ্যাক্টা মন্ত্রীসভা পদত্যাগ করে। রাজা তৃতীয় ভিক্টর ইমান্যুয়েল তাঁকে মন্ত্রীসভা গঠনের আহ্বান জানালে তাঁর নেতৃত্বে ফ্যাসিস্ট দল ইটালির ক্ষমতা দখল করে (৩০ অক্টোবর, ১৯২২ খ্রি.)।

*** রোম-বার্লিন-টোকিও অক্ষচুক্তি সম্পর্কে আলোচনা করো।

উত্তর। প্রথম  বিশ্বযুদ্ধের পর যেসব উগ্র সাম্রাজ্যবাদী একনায়কের আবির্ভাব ঘটে তাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন ইটালির মুসোলিনি, জার্মানির হিটলার এবং জাপানের তোজো।

1 ঘনিষ্টতার উদ্যোগ:- জার্মান শাসক হিটলারের শক্তিবৃদ্ধিতে আতঙ্কিত হয়ে ইটালির শাসক মুসোলিনি ফ্রান্সের সঙ্গে মিত্রতা গড়ে তোলেন। কিন্তু হিটলার উপলব্ধি করেন যে, জার্মানি ভবিষ্যতে অস্ট্রিয়া দখলের উদ্যোগ নিলে ইটালির সমর্থন তাঁর বিশেষ প্রয়োজন। মুসোলিনি ১৯৩৫ খ্রিস্টাব্দে অ্যাবিসিনিয়া আক্রমণ করলে হিটলার তাঁকে সমর্থন করেন। ফলে মুসোলিনি ও হিটলারের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা বৃদ্ধি পায়।

2. রোম-বার্লিন-টোকিও অক্ষচুক্তি:- মুসোলিনি ও হিটলারের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা বৃদ্ধি পেলে উভয়ের মধ্যে মিত্রতা (অক্টোবর, ১৯৩৬ খ্রি.) গড়ে ওঠে। ইটালি ও জার্মানির মধ্যে স্থাপিত এই মিত্রতা 'রোম-বার্লিন অক্ষচুক্তি' নামে পরিচিত।  জার্মানি ও জাপানের অ্যান্টি-কমিন্টার্ন জোটে ইটালি যোগ (৬ নভেম্বর, ১৯৩৭ খ্রি.) দিলে ইটালি, জার্মানি ও জাপানের মধ্যে 'রোম- বার্লিন-টোকিও অক্ষচুক্তি' মৈত্রীজোট গড়ে ওঠে।

শর্তাবলী:- ইটালি, জার্মানি জেনে রাখো ও জাপানের মধ্যে গড়ে ওঠা জোটের নামকরণে 'অক্ষ' শব্দটি প্রথম ব্যবহার করেন মুসোলিনি।  রোম-বার্লিন-টোকিও অক্ষচুক্তির দ্বারা স্থির হয় যে-

 [a] এই জোটের কোনো রাষ্ট্র চতুর্থ কোনো রাষ্ট্রের দ্বারা আক্রান্ত হলে তারা একে অন্যকে সহায়তা করবে।

 [b] এই চুক্তির স্থায়িত্ব হবে ১০ বছর।



বিবেকানন্দ কোচিং সেন্টার

শিক্ষক :- স্বপন কুমার রায়।

নবম শ্রেনী ইতিহাস 2023 প্রশ্নোত্তর

উপবিভাগ – ক

1) সত্য ও মিথ্যা নির্ণয় করো :-

i) বিসমার্ক এমস্ টেলিগ্রাম মারফত ইটালিকে যুদ্ধের ফাঁদে ফেলেন । উ:- মিথ্যা।

ii) গ্রিক জাতীয়তাবাদের উন্মেষে হেটাইরিয়া ফিলকের বিশেষ ভূমিকা ছিল । উ:- সত্য।

iii) কার্ল মার্কস বলেছেন রাষ্ট্র হল শ্রেণি শোষণের যন্ত্র ।উ:- সত্য।

iv) জাতিসংঘের পতন হয় 1946 খ্রিস্টাব্দে । উ:- মিথ্যা।

v) আমেরিকা নাগাসাকিতে ' ফ্যাটম্যান ' নামে পারমাণবিক বোমা ফেলেছিল ।উ:- সত্য।

vi) আন্তর্জাতিক বিচারালয়ের বিচারপতিরা ন - বছরের জন্য নির্বাচিত হন ।উ:- সত্য।

vii) 1917 খ্রিস্টাব্দে রুশ বিপ্লবের কালে জার ছিলেন দ্বিতীয় নিকোলাস ।উ:- সত্য।

viii) জাতিসংঘের খসড়া সংবিধান লিগ কভেনান্ট।উ:- সত্য।

ix) ফ্রাংকো ছিলেন জার্মান সেনানায়ক।উ:- মিথ্যা।

x) জাতিসংঘ প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পরে তৈরি হয়।উ:- সত্য।

xi) এপ্রিল থিসিস ঘোষনা করেন লেনিন।উ:- সত্য।

xii) ফুয়েরার হিটলারের উপাধী।উ:- সত্য।

xiii) বুরবো রাজারা ছিল একছত্র ক্ষমতার অধিকারী।উ:- সত্য।

xiv) ভারত ছিল ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের রত্ন।উ:- সত্য।

xv) কার্ল মার্কস বলেছেন রাষ্ট্র হল শ্রেণি শোষনের যন্ত্র।উ:- সত্য।

xvi) মুসোলিনি নাৎসিবাদের সূচনা ঘটান।উ:- মিথ্যা।

xvii) ইতালিতে জোলভেরাইন নামক শুল্ক সংঘ গঠিত হয়।উ:- সত্য।

xviii) ঘেটো হল শিল্প বিপ্লব কালে শহরের ছোট অঞ্চল।উ:- সত্য।

xix) নেপোলিয়ন তার ভাই জেরেম বোনাপার্টকে দক্ষিণ ইতালির সিংহাসনে বসান।উ:- সত্য।

xx) লিটল বয় একটি পারমাণবিক বোমা।উ:- সত্য।

উপবিভাগ – খ

2)  : বিবৃতিটির সঙ্গে সঠিক ব্যাখ্যাটি নির্বাচন করো 

i)বিবৃতি বিপ্লবপূর্ব ফ্রান্স ছিল ' ভ্রান্ত অর্থনীতির জাদুঘর । : 

ব্যাখ্যা ১। ফ্রান্সের বুরবো রাজারা অনর্থক একটি অর্থনীতির জাদুঘর প্রতিষ্ঠা করেন । 

ব্যাখ্যা ২ ফরাসি সরকারের অর্থনৈতিক নীতি , শুষ্কনীতি ছিল বৈষম্যমূলক । 

ব্যাখ্যা ৩। অর্থনৈতিক সমস্যা ও সমাধানের ক্ষেত্র ছিল অসামঞ্জস্যপূর্ণ ।

উ:-  ব্যাখ্যা ২ ফরাসি সরকারের অর্থনৈতিক নীতি , শুষ্কনীতি ছিল বৈষম্যমূলক । 

ii) বিবৃতি : নেপোলিয়ন পোপের সঙ্গে ধর্মমীমাংসা চুক্তি ( 1801 খ্রিস্টাব্দে ) স্বাক্ষর করেন । 

ব্যাখ্যা ১ ধর্মীয় ক্ষেত্রে ঐকা প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিলেন । 

ব্যাখ্যা ২ চার্চের সম্পত্তির জাতীয়করণ করতে চেয়েছিলেন ।

ব্যাখ্যা ৩ রাজনৈতিক কারণে চার্চের ওপর রাষ্ট্রের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিলেন ।

উ:- ব্যাখ্যা ২ চার্চের সম্পত্তির জাতীয়করণ করতে চেয়েছিলেন ।

iii) বিবৃতি : মহান পিটার বা জার পিটার দ্য গ্রেট ' আধুনিক রাশিয়ার জনক ' নামে পরিচিত । 

ব্যাখ্যা ১। তিনি ভূমিদাসদের মুক্তি দেন ।

 ব্যাখ্যা ২ : তাঁর শাসনকালে রাশিয়ার আধুনিকীকরণ শুরু হয় । 

ব্যাখ্যা ৩ তাঁর শাসনকালে রাশিয়ার শিল্পায়নের সূচনা হয় । 

উ:-  ব্যাখ্যা ২ : তাঁর শাসনকালে রাশিয়ার আধুনিকীকরণ শুরু হয় । 

iv) হিটলার অপারেশন বারবারোসার মাধ্যমে পূর্ব সীমান্তে যুদ্ধ শুরু করেন । 

ব্যাখ্যা ১: হিটলার অপারেশন বারবারোসার মাধ্যমে হাঙ্গেরি আক্রমণ করেন । 

ব্যাখ্যা ২ :হিটলার অপারেশন বারবারোসার মাধ্যমে পোল্যান্ড আক্রমণ করেন । 

ব্যাখ্যা ৩: হিটলার অপারেশন বারবারোসার মাধ্যমে রাশিয়া আক্রমণ করেন ।

উ:- ব্যাখ্যা ৩: হিটলার অপারেশন বারবারোসার মাধ্যমে রাশিয়া আক্রমণ করেন ।

v) বিবৃতি : ১৮১৫ খ্রিস্টাব্দে ভিয়েনা সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় । 

ব্যাখ্যা ১। বিজয়ী নেতৃবর্গ ইউরোপের পুনর্গঠন চেয়েছিলেন । 

ব্যাখ্যা ২:- নেতৃবৃন্দ ফরাসি বিপ্লবের ভাবধারা ফ্রান্সের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে চেয়েছিলেন ।

 ব্যাখ্যা ৩ বিজয়ী নেতারা নেপোলিয়নকে নির্বাসনে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিতে চেয়েছিলেন ।

উ:- ব্যাখ্যা ১। বিজয়ী নেতৃবর্গ ইউরোপের পুনর্গঠন চেয়েছিলেন । 

vi) বিবৃতি : নেপোলিয়ন বিপ্লবের ধ্বংসকারী ছিলেন । 

ব্যাখ্যা ১ - তিনি বিপ্লবের সাম্য ও মৈত্রীর আদর্শকে ধ্বংস করেছিলেন । 

ব্যাখ্যা ২।তিনি ইউরোপের বিস্তীর্ণ অঞ্চল দখল করেছিলেন । 

ব্যাখ্যা ৩:- । তিনি বিপ্লবের স্বাধীনতার আদর্শ ধ্বংস করে স্বৈরাচারী হয়ে উঠেছিলেন ।

উ:- ব্যাখ্যা ৩:- । তিনি বিপ্লবের স্বাধীনতার আদর্শ ধ্বংস করে স্বৈরাচারী হয়ে উঠেছিলেন ।

viii) ফরাসি  বিপ্লবে দার্শনিকরা ভূমিকা রেখেছিলেন।

 ব্যাখ্যা ১ দার্শনিকরা সরাসরি বিপ্লবে যোগ দিয়েছিলেন । 

ব্যাখ্যা ২ : দার্শনিকরা ফরাসি আর্থ সামাজিক প্রকৃতির সমালোচনা করেছিলেন । 

ব্যাখ্যা ৩ দার্শনিকর অভিজাত বিপ্লব করেছিলেন ।

উ:-ব্যাখ্যা ২ : দার্শনিকরা ফরাসি আর্থ সামাজিক প্রকৃতির সমালোচনা করেছিলেন । 

ix) নেপোলিয়ন ছিলেন বিপ্লবের সন্তান।

 ব্যাখ্যা ১ নেপোলিয়ন ফরাসি বিপ্লনের জন্যই ক্ষমতায় আসতে পেরেছিলেন । 

ব্যাখ্যা ২ : নেপোলিয়ন বিপ্লবের আদর্শ বিশ্বে ছড়িয়েছিলেন ।

 ব্যাখ্যা ৩ । নেপোলিয়ন বিপ্লবকে ধ্বংস করেছিলেন । 

উ:- ব্যাখ্যা ৩ । নেপোলিয়ন বিপ্লবকে ধ্বংস করেছিলেন । 

x) বিবৃতি:- মার্শাল পরিকল্পনা ও ট্রুম্যান ডকট্রিন রচিত হয় -

 ব্যাখ্যা ১। বিশ্বের গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রজোট গঠনের জন্য । 

ব্যাখ্যা ২। বিশ্বের সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্রজোট গঠনের জন্য ।

 ব্যাখ্যা ৩। বিশ্বের সামরিক রাষ্ট্রজোট গঠন করা।

উ:- ব্যাখ্যা ১। বিশ্বের গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রজোট গঠনের জন্য । 

xi) ফরাসি বিপ্লবের প্রাক্কালে ফ্রান্সের রাজকোশ শূন্য হয়ে পড়ে । 

ব্যাখ্যা১) ফ্রান্সের কৃষি ব্যবস্থা ভেঙে পড়ার জন্য ।

ব্যাখ্যা২)ফ্রান্সের বাণিজ্য ব্যবস্থা অচল হয়ে যাওয়ার জন্য । 

ব্যাখ্যা ৩) ফরাসি রাজপরিবারের বিলাসিতা , যুদ্ধনীতি , ঋণনীতি ইত্যাদির জন্য । 

উ:- ব্যাখ্যা ৩) ফরাসি রাজপরিবারের বিলাসিতা , যুদ্ধনীতি , ঋণনীতি ইত্যাদির জন্য । 

xiii) বিবৃতি : দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শেষে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও সোভিয়েত রাশিয়ার মধ্যে ঠান্ডা লড়াই শুরু হয় । 

ব্যাখ্যা ১ : মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও সোভিয়েত রাশিয়া উভয়েই যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার পক্ষপাতী ছিল ।

 ব্যাখ্যা ২। নিজ নিজ স্বার্থরক্ষার জন্য উভয় রাষ্ট্রের সংঘাত অনিবার্য ছিল । 

ব্যাখ্যা ৩। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সোভিয়েত রাশিয়াকে আর্থিক দিক থেকে সাহায্য করতে চায়নি।

উ:- ব্যাখ্যা ২। নিজ নিজ স্বার্থরক্ষার জন্য উভয় রাষ্ট্রের সংঘাত অনিবার্য ছিল । 

xiii) বিবৃতি:  চিনকে ইউরোপীয়রা তরমুজের মতো টুকরো করেছিল— 

ব্যাখ্যা১)  । তাদের অর্থনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করতে । 

ব্যাখ্যা ২ ইউরোপ চিন দেশকে দুর্বল করতে চেয়েছিল । 

ব্যাখ্যা ৩ : ছোটো ছোটো অঞ্চলে ভাগ করে চিনের উন্নতি করতে ।

উ:- ব্যাখ্যা ১)  । তাদের অর্থনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করতে । 

xiv)   বিবৃতি ; উগ্ন জাতীয়তাবাদ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের একটি কারণ হয়ে উঠেছিল— 

ব্র্যাখ্যা ১। উগ্র জাতীয়তাবাদের জন্য জার্মানি ইটালির মতো দেশগুলি সাম্রাজ্যবাদী আগ্রাসী নীতি নিয়েছিল ।

ব্যাখ্যা ২ উগ্র জাতীয়তাবাদ জাতিগুলিকে শক্তিশালী করে তুলেছিল । 

ব্যাখ্যা৩  উগ্র জাতীয়তাবাদের প্রসারে কিছু দেশ অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়েছিল । 

উ:- ব্র্যাখ্যা ১। উগ্র জাতীয়তাবাদের জন্য জার্মানি ইটালির মতো দেশগুলি সাম্রাজ্যবাদী আগ্রাসী নীতি নিয়েছিল 

xv) বিবৃতি : এমস টেলিগ্রাম ' - এর ঘটনাকে ঘিরে ফ্রান্স প্রাশিয়ার যুদ্ধ হয়।

ব্যাখ্যা ১ প্রাশিয়া ফ্রান্সের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে । 

ব্যাখ্যা ২ কুটকৌশলী বিসমার্ক অসম্পূর্ণ টেলিগ্রাম ছাপিয়ে যুদ্ধ বাধান ।

 ব্যাখ্যা ও প্রাশিয়ার রাজা ফরাসি রাষ্ট্রদূতকে অপমান করেন ।

উ:- ব্যাখ্যা ২ কুটকৌশলী বিসমার্ক অসম্পূর্ণ টেলিগ্রাম ছাপিয়ে যুদ্ধ বাধান ।

xvi) বিবৃতি : প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠিত হয় । 

ব্যাখ্যা ১  উদ্দেশ্য ছিল বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠা । 

ব্যাখ্যা ২ মানুষের আর্থ - সামাজিক অবস্থার উন্নতি ঘটানো । 

ব্যাখ্যা ৩  আন্তর্জাতিক আইন চালু করা ।

উ:- ব্যাখ্যা ১  উদ্দেশ্য ছিল বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠা । 

xvii) বিবৃতি রুশীকরণনীতির বিরুদ্ধে সোভিয়েত রাশিয়ায় প্রবল বিক্ষোভ শুরু হয় । 

ব্যাখ্যা ১। জার সরকার অনরুশদের ওপর অত্যাচার শুরু করে । 

ব্যাখ্যা ২- জার সরকার অরুশদের ওপর রুশ ভাষা , সংস্কৃতি ও কৃষ্টি চাপিয়ে দেয় । 

ব্যাখ্যা ৩  জার সরকার অনুশদের রাশিয়া থেকে বিতাড়িত করার আদেশ দেয় । 

উ:- ব্যাখ্যা ২- জার সরকার অরুশদের ওপর রুশ ভাষা , সংস্কৃতি ও কৃষ্টি চাপিয়ে দেয় । 

xviii) বিবৃতি : মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জাতিসংঘের সদস্য হয়নি । 

ব্যাখ্যা ১ : মার্কিন সেনেট জাতিসংঘে যোগদানের অনুমতি দেয়নি । 

ব্যাখ্যা ২ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের সর্বাধিক ধনী রাষ্ট্র ছিল । 

ব্যাখ্যা ৩ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বজুড়ে অস্ত্র প্রতিযোগিতায় নেতৃত্ব দিয়েছিল ।

উ:- ব্যাখ্যা ১ : মার্কিন সেনেট জাতিসংঘে যোগদানের অনুমতি দেয়নি । 

অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নাবলী :-

1) ইউরোপের রুগ্ন মানুষ বলা হয় - তুরস্ককে।

2) প্রভাদা ছিল - বলশেভিক দলের মুখপত্র।

3) শান্তি- জমি- রুটি স্লোগানটি জনপ্রিয় হয় - বলশেভিক বিপ্লবের সময়।

4) ক্যাশ অ্যান্ড ক্যারি নীতি নিয়েছিল - আমেরিকা।

5) জাতিপুঞ্জের সদর দপ্তর - নিউ ইয়র্ক এ।

6) অ্যাসাইনেট হল - এক ধরনের কাগজের নোট।

7) ইনটেন্টডেন্টদের পদগুলি দখল করেছিল - অভিজাতরা।

8) নেপোলিয়ন প্রথমবার নির্বাসিত হন - এলবা দ্বীপে।

9) দ্বন্দ্বমূলক বস্তুবাদের প্রবক্তা - কার্ল মার্কস।

10) ফ্রান্সকে ভ্রান্ত অর্থনীতির যাদুঘর বলেছেন - অ্যাডাম স্মিথ।

11) রোবসপিয়র ছিলেন - জ্যাকোবিন নেতা।

12) দ্বিতীয় জাস্টিনিয়ান বলা হয় - নেপোলিয়নকে।

13) নেপোলিয়নের বিরুদ্ধে পোড়ামাটি নীতি গ্রহন করে - রাশিয়া।

14) নেপোলিয়নের শেষ যুদ্ধ ছিল - ওয়াটারলুর যুদ্ধ।

15) হিটাইরিয়াফিলিকে প্রতিষ্ঠা করেছেন - স্কুপাস নামক গ্রিক ব্যবসায়ী।

16) ক্রিমিয়ারযুদ্ধ কত বছর ধরে চলছিল? উ:- তিন বছর ধরে।

17) দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের মহড়া বলা হয় - স্পেনের গৃহযুদ্ধকে।

18) কমিউনিস্ট ম্যানিফেস্টো গ্রন্থটি রচনা করেন - মার্কস এঙ্গেলস।

19) টিলজিটের সন্ধি স্বাক্ষরিত হয় - 1807 খ্রিঃ।

20) বলকান অঞ্চলে উষ্ণজল নীতি গ্রহণ করে - রাশিয়া।

21) প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শুরু  হয় - 1914 খ্রিঃ 24 শে জুলাই।

22) ব্যাংক অব ফ্রান্স প্রতিষ্ঠা করেন - নেপোলিয়ন।

23) নাৎসি দলের সংগীত রচয়িতা ছিলেন - হস্ট ওয়েলেস।

24) ফরাসি বিপ্লবের আদর্শ ছিল - সাম্য, মৈত্রী ও স্বাধীনতা।

25) জুলাই বিপ্লব কোন রাজবংশের পতন ঘটায়? উ:- বুরবো রাজবংশের।

26) অসিয়া রেজিম কথার অর্থ হল - পুরাতনতন্ত্র।

27) আমিই রাষ্ট্র কথাটি বলেছেন - চতুর্দশ লুই।

28) ফ্রান্সে ' গ্যাবেল " ছিল একধরনের- লবন কর।

29) অষ্টাদশ শতকের ফ্রান্স ছিল একটি - কৃষিনির্ভর দেশ।

30) নেপোলিয়ন সারাজীবনের জন্য কনসাল পদে নিযুক্ত হন - 1802 খ্রিস্টাব্দে।

31) চাটিস্ট আন্দোলন হয়েছিল - ইংল্যাণ্ডে।

32) জেমস ওয়াট আবিষ্কার করেন - বাস্পচালিত ইঞ্জিন।

33) সোভিয়েত রাশিয়ার পার্লামেন্টের নাম- ডুমা।

34) জাতিসংঘের প্রথম মহাসচিব ছিলেন - এরিক ড্রুমন্ড।

35) জাতিপুঞ্জ দিবস হিসেবে পালিত হয় - 24 শে অক্টোবর দিনটি।

36) সন্ত্রাসের রাজত্বে ব্যবহার হওয়া যন্ত্রটি হল - গিলোটিন।

37) স্পিনিং জেনি আবিষ্কার করেন - হারগ্রিভস।

38) প্যারিস শান্তি সম্মেলন হয়েছিল –  1919 খ্রিস্টাব্দে।

39) বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থাটি হল— WHO।

40) পার্ল হারবার ছিল—  মার্কিন নৌ-ঘাঁটি।

41) আটলান্টিক সনদ স্বাক্ষরিত হয় –  1941 খ্রিস্টাব্দে।

42) যার হাতে বল, সেই রাষ্ট্র পরিচালনার অধিকারী—উক্তিটি হল – মুসোলিনির।

43) ভার্সাই চুক্তিতে মোট ধারার সংখ্যা ছিল – 440 টি।

44) NATO-এর পুরো কথা হল—North Atlantic Treaty Organisation।

45) জাতিসংঘের জনক নামে যিনি পরিচিত ছিলেন – উড্রো উইলসন।

46) ভেটো (Veto) কথার অর্থ-  প্রস্তাব নাকচ করা।

47) UNO-এর পুরো নাম হল - ইউনাইটেড নেশনস্ অর্গানাইজেশন।

48) মীর’ ছিল— গ্রাম্য সমিতি।

49) ফুয়েরার” বা ‘প্রধান নেতা’ বলে কাকে সম্বোর্ধিত করা হয়? -হিটলার।

50) ইটালিতে ফ্যাসিস্ট দল গঠন করেন – বেনিতো মুসোলিনি।

51) উনিশ শতকে অন্ধকারাচ্ছন্ন মহাদেশ’ নামে যে দেশটি পরিচিত ছিল— আফ্রিকা।

52) সেফটি ল্যাম্প’ আবিষ্কার করেন—  হামফ্রি ডেভি।

53) পুঁজিবাদের সর্বোচ্চ স্তর হল সাম্রাজ্যবাদ’– এ কথা বলেছিলেন— কার্ল মার্কস।

54) দুনিয়ার শ্রমিক এক হও’–এরূপ আহ্বান জানান— কার্ল মার্কস।

55) ভারতে কবে রেলপথ প্রর্বতিত হয়? - 1853 খ্রিস্টাব্দে।

56) কূটনীতির যাদুকর বলা হত—  মেটারনিখকে।

57) ডাইরেক্টরি শাসনের সদস্য সংখ্যা ছিল—  5 জন।

58) ক্ষমতা বিভাজন নীতির কথা বলেন  –  মন্তেস্কু।

59) ওয়েলথ অব নেশন গ্রন্থের রচয়িতা হলেন—  অ্যাডাম স্মিথ।

60) পঞ্চদশ লুইকে ‘প্রজাপতি রাজা’ বলা হয়।

61) ফরাসি বিপ্লবের সূচনাকালে ফ্রান্সের রাজা কে ছিলেন?

উত্তর। ফরাসি বিপ্লবের সূচনাকালে ফ্রান্সের রাজা ছিলেন ষােড়শ লুই।

62) প্লেবিয়ান’ কারা?

উত্তর ফরাসি বিপ্লবের আগে ফরাসি সমাজের তৃতীয় শ্রেণির মানুষরা ‘প্লেবিয়ান’ নামে পরিচিত ছিল।

63) 40সামাজিক চুক্তি' (Social Contract) গ্রন্থের রচয়িতা কে?

উত্তর। সামাজিক চুক্তি’ (Social Contract) গ্রন্থের রচয়িতা হলেন রুশাে।

64) কুলাক' কাদের বলা হয়?

উত্তর রাশিয়ার নতুন জমিদার বা জোতদার শ্রেণিকে কুলাক’ বলা হয়।

65) ওয়াল ওয়াল ঘটনা' কী ?

উত্তর ওয়াল ওয়াল হল আফ্রিকা মহাদেশের অন্তর্গত আবিসিনিয়ার সীমান্তবর্তী একটি গ্রাম।  ১৯৩৪ খ্রিস্টাব্দের ৫ ডিসেম্বর সােমালিল্যান্ড ও আবিসিনিয়ার সীমান্তে অবস্থিত ওয়াল ওয়াল গ্রামে দুপক্ষের সেনাবাহিনীর মধ্যে খণ্ডযুদ্ধ হয়। এই ঘটনাকে 'ওয়াল ওয়াল ঘটনা’ বলা হয়। 

66).অপারেশন বারবারোসা’ কী ?

উত্তর হিটলারের রাশিয়া অভিযানের (১৯৪১ খ্রি.) সাংকেতিক নাম ছিল ‘অপারেশন বারবারােসা’। 

1) টীকা লেখো : রুশ - জার্মান অনাক্রমণ চুক্তি 

জার্মানির শাসক হিটলার এবং রাশিয়ার  শাসক স্ট্যালিনের মধ্যে 1939 খ্রিস্টাব্দে  রুশ-জার্মান অনাক্রমন চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

a) জার্মানির উদ্দেশ্য :হিটলার উপলব্ধি করেন যে  পোল্যান্ড আক্রমণ করতে গিয়ে একই সঙ্গে পূর্ব সীমান্তে রাশিয়া এবং পশ্চিম সীমান্তে ইঙ্গ ফরাসি শক্তির বিরুদ্ধে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়তে হতে পারে। তাই  হিটলার আপতত রাশিয়ার সঙ্গে মিত্রতা স্থাপনের দ্বারা পূর্ব সীমান্তে যুদ্ধের সম্ভাবনা দুর করেন । যাতে তিনি  পোল্যান্ড আক্রমন করতে পারেন।

b) রাশিয়ার উদ্দেশ্য : সাম্যবাদ - বিরোধী ইঙ্গ - ফরাসি শক্তির সঙ্গে জোট গঠনে ব্যর্থ হয়ে রাশিয়া নিজের নিরাপত্তার প্রয়োজনে জার্মানির সঙ্গে মিত্রতা স্থাপনে আগ্রহী হয় ।

c).চুক্তি স্বাক্ষর : রাশিয়া ও জার্মানির মধ্যে ১৯৩৯ খ্রিস্টাব্দে ( ২৩ আগস্ট ) রুশ - জার্মান অনাক্রমণ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় । এই চুক্তি স্বাক্ষরে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী মলোটভ এবং জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী রিবেনট্রপ । 

d) চুক্তির শর্তাবলি : রুশ - জার্মান অনাক্রমণ চুক্তির দ্বারা স্থির হয় যে , রাশিয়া ও জার্মানি — [ 1 ] শান্তিপূর্ণ উপায়ে নিজেদের মধ্যে বিবাদের মীমাংসা করবে । [ 2 ] পরবর্তী ১০ বছর একে অপরকে আক্রমণ করবে না । [ 3 ] তৃতীয় কোনো শক্তির দ্বারা আক্রান্ত হলে কেউ তৃতীয় পক্ষকে সহায়তা করবে না । [ 4 ] পোল্যান্ডকে নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি করে নেবে । 

e)  চুক্তিভঙ্গ : রাশিয়ার সঙ্গে অনাক্রমণ চুক্তি সত্ত্বেও হিটলার দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় চুক্তি ভঙ্গ করে ১৯৪১ খ্রিস্টাব্দে ( ২২ জুন ) রাশিয়া আক্রমণ করেন ।

2)   রোম বার্লিন - টোকিও অক্ষচুক্তি

দুই বিশ্বযুদ্ধের মধ্যবর্তী সময়ে যেসব উগ্র সাম্রাজ্যবাদী একনায়কের আবির্ভাব ঘটে তাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন ইটালির মুসোলিনি , জার্মানির হিটলার এবং জাপানের তোজো । দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আগে ইটালি , জার্মানি ও জাপানের মধ্যে ‘ রোম- বার্লিন - টোকিও অক্ষচুক্তি ' নামে এক মৈত্রীজোট গড়ে ওঠে ।

a) ঘনিষ্টতার উদ্যোগ : জার্মান শক্তিবৃদ্ধিতে আতঙ্কিত হয়ে ইটালির শাসক মুসোলিনি ফ্রান্সের সঙ্গে মিত্রতা গড়ে তোলেন । কিন্তু হিটলার উপলব্ধি করেন যে , জার্মানি ভবিষ্যতে অস্ট্রিয়া দখলের উদ্যোগ নিলে ইটালির সমর্থন তাঁর বিশেষ প্রয়োজন ।মুসোলিনি ১৯৩৫ খ্রিস্টাব্দে অ্যাবিসিনিয়া আক্রমণ করলে হিটলার তাঁকে সমর্থন করেন । ফলে মুসোলিনি ও হিটলারের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা বৃদ্ধি পায় । 

b) রোম - বার্লিন অক্ষচুক্তি : মুসোলিনি ও হিটলারের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা বৃদ্ধি পেলে উভয়ের মধ্যে মিত্রতা ( অক্টোবর , ১৯৩৬ খ্রি . ) গড়ে ওঠে । ইটালি ও জার্মানির মধ্যে স্থাপিত এই মিত্রতা ' রোম - বার্লিন অক্ষ্যচুক্তি ' নামে পরিচিত। ১৯৩৬ খ্রিস্টাব্দের নভেম্বরে জার্মানি ও জাপানের মধ্যে সাম্যবাদ - বিরোধী অ্যান্টি কমিষ্টার্ন চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় । 

c)  রোম - বার্লিন - টোকিও অক্ষচুক্তি:- জার্মানি ও জাপানের অ্যান্টি কমিন্টার্ন জোটে ইটালি যোগ ( ৬ নভেম্বর , ১৯৩৭ ( . ) দিলে ইটালি , জার্মানি ও জাপানের মধ্যে রোম বার্লিন - টোকিও অক্ষচুক্তি মৈত্রীজোট গড়ে ওঠে ।

3) পার্ল হারবারের ঘটনা কী?

উ:- পার্ল হারবার হল প্রশান্ত মহাসাগরের হাওয়াই দ্বীপে অবস্থিত একটি বন্দর । এখানে আমেরিকা তার নৌঘাঁটি স্থাপন করেছিল । 

a) আমেরিকার উদ্যোগ : জাপানের আগ্রাসী নীতির ফলে আমেরিকা— [ 1 ] জাপানের সঙ্গে পুরোনো বাণিজ্যিক চুক্তিটি বাতিল করে দেয় । [ 2 ] জাপানে পেট্রোলিয়ামজাত পণ্য - সহ বেশ কয়েকটি পণ্য সরবরাহ বন্ধ করে দেয় । [ 3 ] আমেরিকায় অবস্থিত জাপানি সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে । এসব ঘটনায় জাপান ক্ষুব্ধ হয় । 

b)  যুদ্ধের সম্ভাবনা : জাপান খনিজ তেলসমৃদ্ধ দক্ষিণ ইন্দোচিন দখল ( ১৯৪১ খ্রি . ) করে নিলে জাপানের সঙ্গে আমেরিকা সব ধরনের বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছিন্ন করে । এরপর চিন ও ইন্দোচিন থেকে জাপানি সেনা প্রত্যাহারের দাবি জানায় । আমেরিকার এই দাবি জাপান প্রত্যাহার করলে উভয় পক্ষের মধ্যে যুদ্ধের সম্ভাবনা দেখা দেয় ।

c) পার্ল হারবারে আক্রমণ : জাপান ১৯৪১ খ্রিস্টাব্দের ৭ ডিসেম্বর সকালে বিশাল নৌবহর ও ৩৩৫ টি যুদ্ধবিমান নিয়ে ভাইস অ্যাডমিরাল নোগুচি - র নেতৃত্বে আমেরিকার নৌঘাঁটি পার্ল হারবারে বোমাবর্ষণ শুরু করে এবং এখানকার মার্কিন নৌঘাঁটি ধ্বংস করে দেয় । এটি পার্ল হারবারের ঘটনা নামে পরিচিত ।

d) ফলাফল :- এই ঘটনার পরদিন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জাপানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করলে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু  হয়।



A। সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করো:

1.  'আমার ইচ্ছাই আইন'-এ কথা বলেছিলেন --- ষোড়শ লুই 

2. 'কাঁদিদ' প্রন্থটি রচনা করেন--- ভলতেয়ার ।

3. ফ্রান্সের ভূমিকরের নাম ছিল--- টেইলি।

4. নেপোলিয়ন কত খ্রিস্টাব্দে জামান রাজ্যগুলিকে নিয়ে 'কনফেডারেশন অফ দ্য রাইন গঠন করেন ---  ১৮০৬ খ্রিস্টাব্দে ।

5. কনসুলেটের সংবিধান রচনা করেন ---  অ্যাবে সিয়েস।

6. যে সন্ধি মারা স্যাডোয়ার যুদ্ধের অবসান ঘটে তা হল---  গ্যাস্টিনের সন্ধি ।

7. ১৮৩০ খ্রিস্টাব্দের জুলাই বিপ্লবের মাধ্যমে ফ্রান্সের রাজা হয়েছিলেন- --  লুই ফিলিপ।

8.-জোলভেরাইন গঠিত হয়--- জার্মানিতে ।

9.  জন কে আবিষ্কার করেন--- ফ্লাইং শাটল ।

10.  'রুশ বিপ্লবের জনক' বলা হয়--- লেনিনকে ।

11. জাতিসংঘের প্রথম মহাসচিব ছিলেন- --স্যার এরিখ ড্রুমন্ড ।

12. 'গণতন্ত্র' বলতে বোঝায়---  জনগণের শাসন ।

13.  মিউনিখ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল--- ১৯৩৮ খ্রিস্টাব্দে ।

14. D Day বলা হয় --- ১৯৪৪ খ্রি: ৬ জুনকে ।

15. ফ্রান্সে বিপ্লবের সময় রাজা ছিলেন--- ষোড়শ লুই ।

16.  রোবসপিয়র ছিলেন-- জ্যাকোবিন নেতা ।

17. ফ্রান্সকে ভান্ত অর্থনীতির জাদুঘর' বলে সমালোচনা করেন--'  অ্যাডাম স্মিথ ।

18. 'দ্বিতীর জাস্টিনিয়ান' বলা হয়--- নেপোলিয়ন-কে ।

19.  'সিজালপাইন প্রজাতন্ত্র' প্রতিষ্ঠিত হয়---  ইটালিতে ।

20.  সেন্ট হেলেনা দ্বীপে নির্বাসিত হন --- নেপোলিয়ন । 

21.  ভিয়েনা সম্মেলন হয়---  ১৮১৫ খ্রিস্টাব্দে । 

22. সেডানের যুদ্ধ হয়---  ১৮৭০ খ্রিস্টাব্দে । 

23. রাশিয়ার ভূমিদাস প্রথা তুলে দেন--- দ্বিতীয় আলেকজান্ডার । 

24.  সর্বপ্রথম শিল্পবিপ্লব ঘটেছিল--- ইংল্যান্ডে । 

25. 'বিশ্বে প্রথম কারখানা' হিসেবে পরিচিত দেশ---  ইংল্যান্ড। 

26. ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের রত্ন' বলা হত--- ভারত-কে । 

27.  প্যারিস শান্তি সম্মেলন হয়েছিল--- ১৯১৯ খ্রিস্টাব্দে । 

28. অর্থনৈতিক মহামন্দার সময় মার্কিন রাষ্ট্রপতি ছিলেন---  হুভার । 

29. স্পেনে প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়--- ১৯৩১ খ্রিস্টাব্দে । 

30. পোলিশ করিডর' হল --- পোল্যান্ডের ভিতর দিয়ে যাতায়াতের রাস্তা। 

31.  'তানাকা মেমোরিয়াল' ছিল একটি--- প্রতিবেদন। 

32. ফরাসি বিপ্লব হয়েছিল ---  ১৭৮৯ খ্রিস্টাব্দে। 

33. 'আমিই রাষ্ট্র ' উক্তিটি  করেছিলেন--- চতুর্দশ লুই । 

34.  বাধ্যতামূলক শ্রমদান ছিল---  করভি । 

35.  'কোড নোপোলিয়ন এ বিধিসংখ্যা ছিল--- ২২৮৭টি। 

36. নেপোলিয়ন রাশিয়া আক্রমণ করেন---  ১৮১২ খ্রিস্টাব্দে। 

37. ভিয়েনা সম্মেলনের সভাপতি ছিলেন--- মেটারনিখ ।

38. কোন দেশে জুলাই বিপ্লব হয়েছিল? --- ফ্রান্স। 

39.  ফ্রান্সে  দ্বিতীয় প্রজাতন্ত্র' প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল---  ১৮৪৮ খ্রিস্টাব্দে ।

40.  স্পিনিং জেনি' আবিষ্কার করেন--- জেমস হারগ্রিভস। 

41.  ইংল্যান্ডে শিল্পবিপ্লব' প্রথম পরিলক্ষিত হয়--- বস্ত্রশিল্পে ।

42.  ইউরোপে সবচেয়ে দেরিতে শিল্পায়ন শুরু হয়েছিল---  রাশিয়ায়। 

43.  রাশিয়ার শাসকদের বলা হত--- জার । 

44.  এপ্রিল থিসিস' কার লেখা? ---  লেনিন-এর । 

45. কে স্পেনে একনায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেন--- জেনারেল ফ্রাঙ্কো । 

46. দ্বিতীয় বিশ্বযুদের প্রত্যক্ষ কারণ ছিল---  হিটলারের পোল্যান্ড আক্রমণ । 

47. প্রথম  বিশ্বযুদের প্রত্যক্ষ কারণ ছিল---  সেরাজেভো হত্যাকান্ড ।

48. জাতি সংঘের জনক হলেন --- উড্রো উইলসন ।

49.  'লেতর ফিলজফিক' গ্রন্থের লেখক হলেন---  ভলতেয়ার ।

50. 'ফান্সে  সন্ত্রাসের শাসনের প্রাণপুরুষ' ছিলেন--- রোবসপিয়র।

51. নেপোলিয়ন 'ফরাসি জাতির সম্রাট' উপাধি গ্রহণ করেন--- ১৮০৪ খ্রিস্টাব্দে । 

52. নেপোলিয়নের বিরুদ্ধে 'পোড়ামাটির নীতি' অনুসরণ করেছিল---  রাশিয়া । 

53. নেপোলিয়ন সমগ্র ফ্রান্সকে কতকগুলি প্রদেশে বিভক্ত  করেন? ----  ৮৩টি । 

54. ১৮১৫-১৮৪৮ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত সময়কালকে বলা হয় --- মেটারনিখ যুগ । 

55. ফেব্রুয়ারি বিপ্লবের সময় ফ্রান্সের রাজা ছিলেন---  লুই ফিলিপ । 

56. রাশিয়ার ভূমিদাসদের মুক্তি দেওয়া হয়--- ১৮৬১ খ্রিস্টাব্দে । 

57.  'ব্রিটিশ সমাজতন্ত্রের জনক' ছিলেন---  রর্বাট আওয়েন । 

58. সুয়েজ খাল খনন করে--- ফ্রান্স। 

59. লালফৌজ' যে দেশের সেনাবাহিনীর নাম ছিল---  রাশিয়ার। 

60. 'NEP' ঘোষণা করেন--- লেনিন । 

61.  স্পেনের গৃহযুদ্ধে শেষপর্যন্ত জয়লাভ করেছিলেন--- জেনারেল ফ্রাঙ্কো  । 

62. প্রথম পারমাণবিক বোমা বিস্ফোরণ হয়---  হিরোশিমায় । 

63. সামাজিক চুক্তি মতবাদের প্রবক্তা  ছিলেন--- রুশো ।

64. যে ভারতীয় শাসক জ্যাকোবিন ক্লাবের সদস্য হয়েছিলেন--- টিপু সুলতান ।

65. নেপোলিয়ন বোনাপার্ট-এর জন্ম হয়--- কর্সিকা দ্বীপে । 

66.  ফ্রান্সে ডাইরেক্টরি শাসন সমাপ্ত হয়--- ১৭৯১ খ্রিস্টাব্দে । 

67.  'ইউরোপের রুগ্ন  মানুষ' বলা হত ---  তুরস্ক সাম্রাজ্যকে । 

68.  উডন্ত  মাকু আবিষ্কার করেন ---  জন কে । 

69. Welt Politic' নীতির প্রবর্তক ছিলেন---  কাইজার দ্বিতীয় উইলিয়াম । 

70.  'মরুভূমির শৃগাল' বলা হয় --- রোমেল-কে । 

71. জাপান পার্ল হারবার আক্রমণ করে ১৯৪১ খ্রিস্টাব্দের ---  ৭ ডিসেম্বর ।

72. সাত সপ্তাহের যুদ্ধ নামে পরিচিত --- স্যাডোয়ার যুদ্ধ ।

73. রক্ত ও লৌহ নীতির প্রবক্তা হলেন --- বিসমার্ক ।

74. বাস্পীয় ইঞ্জিন আবিস্কার করেন --- জেমস ওয়াট ।

75. সুয়েজ খাল সংযুক্ত করে --- ভূমধ্যসাগর ও লোহিত সাগরকে ।

76. দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয় --- ১৯৩৯ খ্রি : ।

77. চোদ্দ দফা নীতি ঘোষনা করেন --- উড্রো উইলসন ।

78. ফরাসি বিপ্লবের আদর্শ --- সাম্য , মৌত্রী ও স্বাধীনতা ।

79. প্রজাপতি রাজা বলা হয় --- পঞ্চদশ লুইকে ।

80. ফরাসি বিপ্লবের জননী বলা হয় --- প্যারিস শহরকে ।


A. বিবৃতিটির সঙ্গে সঠিক ব্যাখ্যাটি নির্বাচন করো

 1.  বিবৃতি : রুশীকরণনীতির বিরুদ্ধে সোভিয়েত রাশিয়ায় প্রবল বিক্ষোভ শুরু হয় । 

ব্যাখ্যা১। জার  সরকার অরুশদের ওপর অত্যাচার শুরু করে ।

ব্যাখ্যা২। জার সরকার অরুশদের ওপর রুশ ভাষা , সংস্কৃতি ও কৃষ্টি চাপিয়ে দেয় ।

ব্যাখ্যা৩। জার সরকার অরুশদের রাশিয়া থেকে বিতাড়িত করার আদেশ দেয় ।

 2.  বিবৃতি : ভাসাই চুক্তির শর্তগুলি জার্মানদের কাছে অমর্যাদার ছিল ।

ব্যাখ্যা১।  ভার্সাই চুক্তির শর্তগুলিতে জার্মান জাতীয়তাবাদের অপমান করা হয় । 

ব্যাখ্যা২ । ভাসাই চুক্তির মাধ্যমে জার্মানদের ব্যক্তি স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করা হয় ।

ব্যাখ্যা৩ । জার্মান উপনিবেশগুলি কেড়ে নেওয়া হয় এবং জার্মানির ওপর বিরাট অঙ্কের ক্ষতিপূরণ চাপানো হয় । 

 3. বিবৃতি : বিশ্ব রাজনীতিতে ‘ রোম - বার্লিন - টোকিয়ো চুক্তি ' ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ । 

ব্যাখ্যা ১ এই চুক্তি সাম্যবাদের প্রসার ঘটায় . একনায়কতন্ত্রের প্রসার রোধ করে ।

 ব্যাখ্যা ২। এই চুক্তি একনায়কতন্ত্রের প্রসার ঘটায় , সাম্যবাদের প্রসার রোধ করে ।

 ব্যাখ্যা ৩। এই চুক্তি নাৎসিবাদ ও ফ্যাসিবাদের প্রসার রোধ করে । 

4.  বিবৃতি:  মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জাতিসংঘের সদস্য হয়নি ।

ব্যাখ্যা১।  মার্কিন সেনেট জাতিসংঘে যোগদানের অনুমতি দেয়নি । 

ব্যাখ্যা ২ : মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের সর্বাধিক ধনী রাষ্ট্র ছিল । 

ব্যাখা ৩ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বজুড়ে অস্ত্র প্রতিযোগিতায় নেতৃত্ব দিয়েছিল ।

5. বিবৃতি : চিনকে ইউরোপীয়রা তরমুজের মতো টুকরো করেছিল । 

 ব্যাখ্যা ১। তাদের অর্থনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করতে । 

ব্যাখ্যা ২ : ইউরোপ চিন দেশকে দুর্বল করতে চেয়েছিল । 

ব্যাখ্যা ৩ : ছোটো ছোটো অঞ্চলে ভাগ করে চিনের উন্নতি করতে ।

6. বিবৃতি: রাশিয়ার জার দ্বিতীয় আলেকজান্ডার ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে আছেন । 

ব্যাখ্যা ১। তাঁর আমলে রাশিয়ায় কৃষিতে ব্যাপক উন্নতি ঘটে । 

ব্যাখ্যা ২। তাঁর আমলে রাশিয়ার ভূমিদাসরা স্বাধীনভাবে জীবনযাপন করার ও সম্পত্তির অধিকার লাভ করে।

 ব্যাখ্যা ৩। তাঁর আমলে রাশিয়ায় স্বৈরাচারী জার শাসনের অবসান ঘটে।

7. বিবৃতি জার পিটার দ্য গ্রেটকে আধুনিক রাশিয়ার জনক ' বলা হয় । 

ব্যাখ্যা ১। তাঁর নেতৃত্বে সোভিয়েত রাশিয়ার আধুনিকীকরণের সূচনা ঘটে । 

ব্যাখ্যা ২ : তিনি ভূমিদাস প্রথার বিলোপ ঘটান । 

ব্যাখ্যা ৩। তিনি রুশ অর্থনীতির আধুনিকীকরণ ঘটান ।

8. বিবৃতি : ফরাসি বিপ্লবে দার্শনিকরা ভূমিকা রেখেছিলেন।

 ব্যাখ্যা ১ : দার্শনিকরা সরাসরি বিপ্লবে যোগ দিয়েছিলেন । 

ব্যাখ্যা ২ : দার্শনিকরা ফরাসি আর্থ সামাজিক প্রকৃতির সমালোচনা করেছিলেন । 

ব্যাখ্যা ৩ : দার্শনিকরা অভিজাত বিপ্লব করেছিলেন।

9. বিবৃতি : নেপোলিয়ন ছিলেন বিপ্লবের সন্তান ।

ব্যাখ্যা ১ : নেপোলিয়ন ফরাসি বিপ্লবের জন্যই ক্ষমতায় আসতে পেরেছিলেন ।

 ব্যাখ্যা ২ : নেপোলিয়ন বিপ্লবের আদর্শ বিশ্বে ছড়িয়েছিলেন ।

 ব্যাখ্যা ৩ : নেপোলিয়ন বিপ্লবকে ধ্বংস করেছিলেন । 

10. বিবৃতি : মার্শাল পরিকল্পনা ও টুম্যান ডকট্রিন রচিত হয়— 

ব্যাখ্যা ১ : বিশ্বের গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রজোট গঠনের জন্য ।

 ব্যাখ্যা ২ : বিশ্বের সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্রজোট গঠনের জন্য । 

ব্যাখ্যা ৩ : বিশ্বের সামরিক রাষ্ট্রজোট গঠন করা ।

11.বিবৃতি : জাপানের হিরোসিমা ও নাগাসাকির ঘটনা বিশ্ববাসীকে আলোড়িত করে ।

ব্যাখ্যা ১ : ভয়াল ভয়ঙ্কর পরমাণু বোমার ধ্বংসলীলা দেখে— যুদ্ধ নয় শান্তির জন্য । 

ব্যাখ্যা ২ : বিশ্বের তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রস্তুতির জন্য ।

 ব্যাখ্যা ৩ : আর কোনো তৃতীয় পরমাণু যুদ্ধ নয় ও নব্য সাম্রাজ্যবাদ নয় । 

12.বিবৃতি:  বিপ্লবপূর্ব ফ্রান্স ছিল ‘ ভ্রান্ত অর্থনীতির জাদুঘর । 

 ব্যাখ্যা ১। ফ্রান্সের বুরবো রাজারা অনর্থক একটি অর্থনীতির জাদুঘর প্রতিষ্ঠা করেন । 

ব্যাখ্যা ২ । ফরাসি সরকারের অর্থনৈতিক নীতি , শুষ্কনীতি ছিল বৈষম্যমূলক । 

ব্যাখ্যা ৩। অর্থনৈতিক সমস্যা ও সমাধানের ক্ষেত্র ছিল অসামঞ্জস্যপূর্ণ । 

13.বিবৃতি : নেপোলিয়ান ইউরোপীয় মানচিত্রে বিপুল পরিবর্তন ঘটান।

 ব্যাখ্যা ১ : নেপোলিয়ন বেশ কয়েকটি ' ইউরোপীয় দেশ অর্থের বিনিময়ে দখল করেন ।

 ব্যাখ্যা ২ : ইউরোপের বিভিন্ন দেশ তিনি জয় করেন ।

ব্যাখ্যা৩।  যুদ্ধনীতির সাহায্যে তিনি ইউরোপের কয়েকটি দেশকে ধ্বংস করে দেন । 

14.বিবৃতি : ফরাসি বিপ্লবের প্রাক্কালে ফ্রান্সের রাজকোশ শূন্য হয়ে পড়ে ।

 ব্যাখ্যা ১ ফ্রান্সের কৃষি ব্যবস্থা ভেঙে পড়ার জন্য । 

ব্যাখ্যা ২। ফ্রান্সের বাণিজ্য ব্যবস্থা অচল হয়ে যাওয়ার জন্য । 

ব্যাখ্যা ৩ ফরাসি রাজপরিবারের বিলাসিতা যুদ্ধনীতি , ঋণনীতি ইত্যাদির জন্য । 

15.বিবৃতি:  নেপোলিয়ন মহাদেশীয় অবরোধ ব্যবস্থা প্রবর্তন করেন 

ব্যাখ্যা ১। এই ব্যবস্থা প্রবর্তনের মাধ্যমে তিনি ফ্রান্সকে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ দেশে পরিণত করতে চেয়েছিলেন ।

  ব্যাখ্যা ২। এই ব্যবস্থা প্রবর্তনের মধ্য দিয়ে ইংল্যান্ডকে অর্থনৈতিক দিক দিয়ে দুর্বল করতে চেয়েছিলেন ।

 ব্যাখ্যা ৩। এই ব্যবস্থা প্রবর্তনের মাধ্যমে তিনি ইউরোপ মহাদেশের ঐক্য প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিলেন ।

16.বিবৃতি:  দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শেষে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও সোভিয়েত রাশিয়ার মধ্যে ঠাণ্ডা লড়াই শুরু হয় ।

 ব্যাখ্যা ১। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও সোভিয়েত রাশিয়া উভয়েই যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার পক্ষপাতী ছিল ।

ব্যাখ্যা ২। নিজ নিজ স্বার্থরক্ষার জন্য উভয় রাষ্ট্রের সংঘাত অনিবার্য ছিল ।

 ব্যাখ্যা ৩। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সোভিয়েত রাশিয়াকে আর্থিক দিক থেকে সাহায্য করতে চায়নি ।

17.বিবৃতি : ‘ এমস টেলিগ্রাম ’ - এর ঘটনাকে ঘিরে ফ্রান্স প্রাশিয়ার যুদ্ধ হয় ।

ব্যাখ্যা ১ : প্রাশিয়া ফ্রান্সের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে । 

ব্যাখ্যা ১: কূটকৌশলী বিসমার্ক অসম্পূর্ণ টেলিগ্রাম ছাপিয়ে যুদ্ধ বাধান । 

 ব্যাখ্যা ৩ : প্রাশিয়ার রাজা ফরাসি রাষ্ট্রদূতকে অপমান করেন ।

18.বিবৃতি : প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠিত হয়— | 

ব্যাখ্যা ১: উদ্দেশ্য ছিল বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠা । 

ব্যাখ্যা ২ : মানুষের আর্থ - সামাজিক অবস্থার উন্নতি ঘটানো । 

ব্যাখ্যা ৩: আন্তর্জাতিক আইন চালু করা ।

19.বিবৃতি: জাতিসংঘ কোনো অতিরাষ্ট্রিক সংগঠন ছিল না । 

ব্যাখ্যা ১ : জাতিসংঘের সার্বভৌম ক্ষমতা ছিল না । 

ব্যাখ্যা ২: জাতিসংঘ রাষ্ট্র - সমবায় গড়ে তুলেছিল । 

ব্যাখ্যা ৩ : জাতিসংঘের কোনো রাজধানী ছিল না । 

20.বিবৃতি: 1871-1913 খ্রিস্টাব্দকে ' সশস্ত্র শাস্তির যুগ ' বলে অভিহিত করা হয় ।

 ব্যাখ্যা ১। এই সময় বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হয় । 

ব্যাখ্যা ২। এই সময় শান্তির আড়ালে যুদ্ধের প্রস্তুতি চলতে থাকে ।

 ব্যাখ্যা ৩। এই সময় বেশ কয়েকবার যুদ্ধ হয় । 

 21. বিবৃতি মিউনিখ চুক্তি ( 1939 ) ব্যর্থ হয় ।

 ব্যাখ্যা ১। ফ্রান্স মিউনিখ চুক্তির শর্তাবলি পালনে আন্তরিক ছিল না । 

ব্যাখ্যা ২। ইংল্যান্ড মিউনিখ চুক্তির শর্তাবলি পালনে আন্তরিক ছিল না ।

 ব্যাখ্যা ৩। হিটলার সমগ্র ঢোকোস্লোভাকিয়া দখল করলে মিউনিখ চুক্তি ভেঙে যায় ।

22. বিবৃতি : ভার্সাই সন্ধি জার্মানদের কাছে অমর্যাদাকার ছিল । 

ব্যাখ্যা ১ : জার্মানির সব অঞ্চল কেড়ে নিয়ে তার ওপর বিশাল আর্থিক ক্ষতিপূরণের বোঝা চাপানো হয় ।

 ব্যাখ্যা ২। জার্মানির জনগণের ব্যক্তিস্বাধীনতা কেড়ে নেওয়া হয় । 

ব্যাখ্যা ৩ জার্মানির সম্মতিতে এই চুক্তি হয় ।

23.বিবৃতি: ফরাসি জনতা বাস্তিল দুর্গ আক্রমণ করে ।

 ব্যাখ্যা ১ : ফরাসি সম্রাট জনপ্রিয় মন্ত্রী নেকারকে পদচ্যুত করেছিলেন ।

 ব্যাখ্যা ২ : ফরাসি অভিযুক্তদের এই দুর্গে রাখা হত । 

ব্যাখ্যা ৩ : ফরাসি জনতা সম্রাটের ওপর বীতশ্রদ্ধ হয়ে পড়েছিল । 

24.বিবৃতি: নেপোলিয়ন ডাইরেক্টরির শাসনের অবসান ঘটান । 

ব্যাখ্যা ১ : ডাইরেক্টরির শাসন ছিল দুর্বল ও দুর্নীতিগ্রস্ত । 

ব্যাখ্যা ২ : ডাইরেক্টরির শাসন বিপ্লবের বিরোধী ছিল ।

 ব্যাখ্যা ৩ : ডাইরেক্টরির শাসকরা নেপোলিয়নের শত্রু ছিল ।

25.বিবৃতি : জাতীয় সভা সংবিধান সভায় রূপান্তরিত হত।

 ব্যাখ্যা ১ : জাতীয় সভার সদস্যরা সংবিধান সভা গঠন করে । 

ব্যাখ্যা ২ : জাতীয় সভার সদস্যরা সংবিধান রচনা করে । 

ব্যাখ্যা ৩ : জাতীয় সভা ভেঙে দিয়ে সংবিধান সভা গড়ে তোলা হয় । 

26.বিবৃতি : ইংল্যান্ডে সবার আগে শিল্পবিপ্লব ঘটেছিল—

 ব্যাখ্যা ১ : ইংল্যান্ডে সবার আগে শিল্প পরিকাঠামো গড়ে উঠেছিল ।

 ব্যাখ্যা ২ : ইংল্যান্ডের মানুষ অন্য দেশের থেকে শিক্ষিত ছিল । 

ব্যাখ্যা ৩ : ইংল্যান্ডে শিল্পজাত পণ্যসামগ্রীর চাহিদা ছিল সর্বাধিক ।

27.বিবৃতি : ঘেটো ছিল মূলত শহরের সবচেয়ে গরিব ও দুর্দশাগ্রস্ত অঞ্চল— 

ব্যাখ্যা ১:  এখানে বসবাসকারী কৃষকদের জমি কেড়ে নেওয়া হয়েছিল ।

 ব্যাখ্যা ২ : এখানে কর্মচ্যুত শ্রমিকদের বাসভূমি নির্দিষ্ট হয়েছিল । 

ব্যাখ্যা ৩ : এখানে সাধারণত দরিদ্র শ্রমিকশ্রেণির বসবাস ছিল ।

28.বিবৃতি: বিপ্লবের আগের ফ্রান্স ছিল ‘ ভ্রান্ত অর্থনীতির জাদুঘর ' । 

ব্যাখ্য ১ : সরকারের কর কাঠামো ছিল বৈষম্যমূলক । 

ব্যাখ্যা ২ : কেবলমাত্র অভিজাতরা রাজাকে কর দিত । 

বিবৃতি ব্যাখ্যা ৩ : অর্থনৈতিক সমস্যা সমাধানে রাজা উদাসীন ছিলেন । 

29.বিবৃতি : ' লাইপজিগের যুদ্ধ ' জাতিসমূহের যুদ্ধ নামে পরিচিত । 

ব্যাখ্যা ১। এই যুদ্ধে সমগ্র ফরাসি জাতি যোগ দেয় । 

ব্যাখ্যা ২ : এই যুদ্ধে ফরাসি জাতির পরাজয় ঘটে ।

 ব্যাখ্যা ৩ : এই যুদ্ধে সমগ্র ইউরোপের তেরোটি জাতি নেপোলিয়নের বিরুদ্ধে যুদ্ধে যোগ দেয়।

30.বিবৃতি: উড্রো উইলসনকে ‘ জাতিসংঘের জনক ' বলা হয় । 

ব্যাখ্যা ১ : তাঁর প্রচেষ্টায় জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল । 

ব্যাখ্যা ২ : তিনি জাতিসংঘের প্রথম সভাপতি ছিলেন ।

 ব্যাখ্যা ৩: তাঁর চোদ্দো দফা নীতির ভিত্তিতে জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠিত হয় ।


B. সত্য ও মিথ্যা নির্ণয় করো :--

1. বুরবো রাজারা ছিলেন একচ্ছত্র ক্ষমতার অধিকারী । 

2.  বিপ্লবী - পূর্ববর্তী ফ্রান্সে সমগ্র রাজস্বের শতকরা চারভাগ ধনী যাজক ও অভিজাতদের কাছ থেকে আদায় করা হত ।

3.  ' ফুয়েরার ' মুসোলিনির উপাধি । 

4. জাতিপুঞ্জের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সংস্থা হল নিরাপত্তা পরিষদ ।

5. ভারত হল ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের রত্ন।

6.ফরাসি বিপ্লবে অংশগ্রহণকারী নারীদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিলেন মারি আঁতোয়াৎ । 

7.নেপোলিয়ন তাঁর ভাই জেরোম বোনাপার্টকে দক্ষিণ ইটালির সিংহাসনে বসান । 

8.জাতিসংঘের পতন ঘটে হিটলারের উত্থানে । 

9.ইটালিতে ' জোলভারেইন ' নামে শুল্ক সংঘ গঠিত হয় । 

10. ঘেটো ' হল শিল্পবিপ্লবকালে শহরের ছোটো অঞ্চল ।

11.সেফটি ল্যাম্প উদ্ভাবন করেন জন কে ।

12.জাতিসংঘ প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পরে তৈরি হয় । 

13.এসিস ঘোষণা করেন লেনিন ।

14. জাতিসংঘের খসড়া সংবিধান লিগ কভেনান্ট ।

15.মুসোলিনি নাৎসিবাদের উত্থান ঘটান ।

16.ফ্রাংকো ছিলেন জার্মান সেনানায়ক।

17. হিটলার ফ্যাসিবাদের সূচনা করেন।

18.আমেরিকা নাগাসাকিতে ' ফ্যাটম্যান ' নামে পারমাণবিক বোমা ফেলেছিল ।

19.জাতিপুঞ্জের প্রথম মহাসচিব ছিলেন এরিক ডুমন্ড । 

20.আন্তর্জাতিক বিচারালয়ের বিচারপতিরা ন - বছরের জন্য নির্বাচিত হন । 

21 1917 খ্রিস্টাব্দে রুশ বিপ্লবের কালে জার ছিলেন দ্বিতীয় নিকোলাস । 

22.বিসমার্ক এমস্ টেলিগ্রাম মারফত ইটালিকে যুদ্ধের ফাঁদে ফেলেন ।

23.গ্রিক জাতীয়তাবাদের উন্মেষে হেটাইরিয়া ফিলকের বিশেষ ভূমিকা ছিল । 

24.কার্ল মার্কস বলেছেন রাষ্ট্র হল শ্রেণি শোষণের যন্ত্র । 

25.জাতিসংঘের পতন হয় 1946 খ্রিস্টাব্দে ।

26.নেপোলিয়নকে ‘ দ্বিতীয় জাস্টিনিয়ান ’ বলা হয় । 

27.দ্বিতীয় আলেকজান্ডারকে ‘ মুক্তিদাতা জার ’ বলা হয় । 

28.হিটলারের ইহুদি নির্যাতন বিভাগের প্রধান ছিলেন আইখম্যান । 

29.আন্তর্জাতিক বিচারালয় অবস্থিত জেনেভায় ।

30.ভিয়েনা সম্মেলনের সভাপতি ছিলেন অস্ট্রিয়ার চ্যান্সেলার মেটারনিখ । 

31.লিজিয়ন অফ অনার ছিল ফরাসি বিপ্লবকালে প্রদত্ত উপাধি ।

32.মুসোলিনি নিজেকে ‘ ফ্যুয়েরার ' বলে ঘোষণা করেন ।

33.রোবসপিয়রের শাসনকাল ' শ্বেত সন্ত্রাস ' নামে পরিচিত । 

34.NATO'- এর পুরো কথা হল – North Atlantic Treaty Organization।

35.ডুমা ' জার্মানির আইনসভার নাম ।

36.ফরাসি যাজক সম্প্রদায় রাষ্ট্রকে স্বেচ্ছাধীন কর দিত ।

37.স্পেনের গৃহযুদ্ধকে ‘ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের মহড়া ' বলা হয় ।

38.ম্যাৎসিনি ছিলেন পিডমন্ট - সার্ডিনিয়ার প্রধানমন্ত্রী ।

39.প্রথম বিশ্বযুদ্ধের প্রত্যক্ষ কারণ ছিল ' সেরাজেভো হত্যাকাণ্ড । 

40.ফরাসি বিপ্লবের আদর্শ ছিল সাম্য , মৈত্রী ও স্বাধীনতা । 

41.জার্মানি , ইটালি ও জাপানকে নিয়ে গড়ে উঠেছিল অক্ষশক্তি।

42.বিপ্লবের সময় ফ্রান্সের রাজা ছিলেন পঞ্চদশ লুই । 

43.ইউরোপের রুগ্ণ মানুষ ' বলা হয় তুরস্ককে । 

44.অন্ধকারাচ্ছন্ন মহাদেশ ’ বলা হয় আফ্রিকাকে।

মান - 2 

1. লোকার্নো চুক্তি কী?

উ:-  জাতিসংঘের উদ্যোগে ১৯২৫ খ্রিস্টাব্দে লোকার্নো চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এই চুক্তির উদ্দেশ্য ছিল প্রথম বিশ্বযুদ্ধে বিজয়ী ও পরাজিত দেশগুলির মধ্যে বিরোধ দূর করা।

2. আগাদির ঘটনা কী?

উ:-  ১৯১১ খ্রিস্টাব্দে আফ্রিকার মরক্কোর রাজধানী ফেজ শহরে এক উপজাতি বিদ্রোহে কিছু ইউরোপীয় প্রাণ হারান। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ফ্রান্স ফেজ শহর দখল করে নিলে জার্মানি এর প্রতিবাদ করে এবং সেখানকার আগাদির বন্দরে 'প্যান্থার' নামে এক যুদ্ধজাহাজ পাঠায়। ফ্রান্সের সমর্থনে ইংল্যান্ডও সেখানে একটি যুদ্ধজাহাজ পাঠায়। ফলে যুদ্ধের পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। এটি 'আগাদির ঘটনা' নামে পরিচিত।

3. নভেম্বর বিপ্লব বলতে কী বোঝ? অথবা, অক্টোবর বিপ্লব বলতে কী বোঝ ?

উ:- কেরেস্কির নেতৃত্বাধীন রাশিয়ার বুর্জোয়া প্রজাতান্ত্রিক সরকার জনপ্রিয়তা হারালে বলশেভিক নেতা লেনিনের নির্দেশে এবং ট্রটস্কি-র নেতৃত্বে 'লাল ফৌজ' নামে এক স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী ৭ নভেম্বর (১৯১৭ খ্রি.) রাজধানী পেট্রোগ্রাড দখল করে নেয়। এই ঘটনা 'নভেম্বর বিপ্লব' নামে পরিচিত। এটি রাশিয়ার পুরোনো ক্যালেন্ডার অনুসারে ২৫ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হওয়ায় ঘটনাটি 'অক্টোবর বিপ্লব' নামেও পরিচিত।

4. নতুন অর্থনৈতিক নীতি' বা নেপ (NEP) কী?

উ:- বলশেভিক বিপ্লবের (১৯১৭ খ্রি.) পর রাশিয়ায় কৃষি ও শিল্পক্ষেত্রে বিপর্যয় দেখা দিলে বাস্তববাদী প্রেসিডেন্ট লেনিন বিশুদ্ধ সমাজতন্ত্রের পথ থেকে সরে এসে এক নতুন অর্থনৈতিক পদক্ষেপ ঘোষণা (১৯২১ খ্রি.) করেন। এটি 'নতুন অর্থনৈতিক নীতি' বা নেপ (New Economic Policy বা NEP) নামে পরিচিত।

5. কুলটুর কাম্ফ' কী?

উ:-  প্রাশিয়ার প্রধানমন্ত্রী বিসমার্ক ক্যাথোলিক খ্রিস্টানদের জার্মান ঐক্যের বিরোধী বলে মনে করতেন। এজন্য তিনি ক্যাথোলিকদের দমন করার উদ্দেশ্যে বিভিন্ন আইন জারি করেন। ফলে জার্মান রাষ্ট্র ও চার্চের মধ্যে দ্বন্দ্ব দেখা দেয়। এই দ্বন্দ্ব 'কুলটুর কাম্ফ' বা 'সভ্যতার সংগ্রাম' নামে পরিচিত।

6. হুভার মোরাটোরিয়াম কী ?

উ:- মোরাটোরিয়াম শব্দের অর্থ হল স্থগিতাদেশ। মার্কিন রাষ্ট্রপতি হিসেবে হার্বাট হুভার জার্মানি ও


মিত্রশক্তিবর্গ কর্তৃক মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে ক্ষতিপূরণ দানের যে নীতির ওপর স্থগিতাদেশ দেন তা ইতিহাসে হুভার মোরাটোরিয়াম নামে পরিচিত। মার্কিন রিপাবলিকান দলের প্রার্থী হিসেবে চুড়ার জয়ী হয়ে হুভার  মার্কিন রাষ্ট্রপতি হন (১৯২৮খ্রি.)। কিন্তু ১৯২৯ খ্রি. বিশ্বজুড়ে আর্থিক মহামন্দার সূচনা ঘটে। মার্কিন কংগ্রেসে (পার্লামেন্টে) একটি চড়াশুল্ক  বিল পাস হলেও আর্থিক পরিস্থিতির তেমন উন্নতি হয়নি। এই প্রেক্ষাপটে হুভার  এই আর্থিক স্থগিতাদেশ ঘোষণা করেন। 

7. নারদনিক আন্দোলন কী ? 

উ:- রাশিয়ার জার শাসন কালের আন্দোলনগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি আন্দোলন হলো নারোদনিক আন্দোলন । ষাটের দশকে যে নিহিলিস্ট আন্দোলন শুরু হয়েছিল সে আন্দোলন ক্রমান্বয়ে নারোদনিক আন্দোলনের রূপ ধারণ করে। নারোদ শব্দটি রুশ শব্দ এর অর্থ হচ্ছে জনসাধারণ। অর্থাৎ নারোদনিক আন্দোলন ছিল জনসাধারণের আন্দোলন।

8. Semaphore Relay কী ?

উ:- Semaphore হল চাক্ষুষ সংবাদ পাঠানোর কৌশল। দিনেরবেলা এক জাহাজ থেকে অন্য জাহাজে অথবা জাহাজ থেকে তটভূমিতে সংবাদ পাঠানোর জন্য নৌ-সেমাফোর ব্যবস্থা চালু হয়। পরবর্তীসময়ে রেল ব্যবস্থায়ও এটি ব্যবহৃত হয়। একটা খুঁটির ওপর অনুভূমিকভাবে স্থাপিত বাহুর ন্যায় দণ্ডের নড়াচড়ার মধ্য দিয়ে বিভিন্ন সংকেত বোঝানো হয়।

9. প্যারি কমিউন কী ?

উ:- প্যারিসের শ্রমজীবী মানুষ ফ্রান্সের ফরাসি বুর্জোয়া সরকার এবং জার্মানদের ফ্রান্স অধিকারের বিরুদ্ধে যে অভ্যুত্থান ঘটায় তা 'প্যারি কমিউন' নামে পরিচিত। তৃতীয় নেপোলিয়নের পতনের পর ফ্রান্সের শ্রমজীবী শ্রেণি নবগঠিত জাতীয় সংসদের বিরোধিতা প্রশ্ন করে। প্যারিসকে রাজধানী না করে ভাসাই নগরীতে প্রতিনিধি সভা স্থাপন করা হলে এই বিদ্রোহ শুর হয়। বিদ্রোহী শ্রমজীবীরা নিজস্ব সরকার নির্বাচিত করে প্যারি কমিউন গঠন করে (২৬ মার্চ, ১৮৭১ খ্রি.)। কমিউনের নেতৃবর্গ প্যারিসকে এক স্বশাসিত নগরী হিসেবে গঠন করেন। বিদ্রোহীরা প্যারিসের ধাঁচে ফ্রান্সের লিওঁ, মাসাই সহ ফ্রান্সের বেশ কিছু ছোটো শহরে 'কমিউন' গড়ে তোলে।

10. জুলাই রাজতন্ত্র কী ?

উ:- ১৮৩০ খ্রি. ফ্রান্সে জুলাই বিপ্লব শুরু হয়। এই বিপ্লবের মধ্য দিয়ে স্বৈরাচারী বুরবোঁ রাজবংশের পতন ঘটে। ফরাসি পার্লামেন্টের সিদ্ধান্ত মেনে অর্লিয়েন্স রাজবংশের লুই ফিলিপ ফ্রান্সের সিংহাসনে বসেন। তিনি সংশোধিত সংবিধান মেনে ফ্রান্সে শাসন পরিচালনার শপথ নেন। জুলাই বিপ্লবের ফলে প্রতিষ্ঠিত এই নতুন রাজতন্ত্র জুলাই রাজতন্ত্র (July Monarchy) নামে পরিচিত পায়।

11. বুর্জোয়াসি কী ?

উ:-  'বুর্জোয়াসি' বলতে ফরাসি বিপ্লবে (১৭৮৯ খ্রি.) অংশগ্রহণকারী তৃতীয় শ্রেণিভুক্ত বুর্জোয়াদের বোঝানো হয়েছে। বার্গার শব্দ থেকে বুর্জোয়া শব্দের উৎপত্তি ঘটেছে। ফরাসিভাষায় বাগীর শব্দের অর্থ হল নাগরিক শ্রেণি। প্রকৃত অর্থে ফ্রান্সে বুর্জোয়াদের সকলেই শহরে থাকতেন না। অনেকে গ্রামেও থাকতেন। তিন শ্রেণিতে বিভক্ত বুর্জোয়াদের মধ্যে উচ্চ  বুর্জোয়াভুক্ত ছিল বণিক, শিল্পপতি, ব্যাংকার ও জাহাজের মালিকগণ। মধ্যবুর্জোয়াদের মধ্যে ছিল চিকিৎসক, শিক্ষক, আইনজীবী, বুদ্ধিজীবী, শিল্পী, সাংবাদিক প্রমুখ। আর ছোটোখাটো কারিগরি ও পেশাদারি কাজ করে যাঁরা জীনিকা চালাতেন, তাঁরা ছিলেন নিম্নবুর্জোয়াভুক্ত। 

12) ডিসেমব্রিস্ট' বিদ্রোহ বলতে কী বোঝ?

উ. রুশ জার নিকোলাস সিংহাসনে বসার পর কিছু রুশ দেশপ্রেমিক ও একদল সেনা ১৮২৫ খ্রিস্টাব্দে ২৬ ডিসেম্বর রাশিয়ার পেট্রোগ্র্যাড শহরে নিকোলাসের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে। ডিসেম্বর মাসে সংঘটিত এই বিদ্রোহ ডিসেমব্রিস্ট বিদ্রোহ নামে পরিচিত।

13.  ভূমিদাসদের মুক্তির ঘোষণাপত্রের সুফলগুলি কী ছিল?

উ: রাশিয়ার ভূমিদাসদের মুক্তির ঘোষণাপত্রের সুফলগুলি হল - (ⅰ) মধ্যযুগীয় কুপ্রথার অবসান, (ii) কৃষির উন্নতি, (iii) বানিজ্যিক উন্নতি এবং (iv) স্বাধীন শিল্পের বিকাশ।

14. অক্টোবর ইস্তাহার' বলতে কী বোঝ?

উ. ১৯০৫ খ্রিস্টাব্দের রুশ বিপ্লবের পরিপ্রেক্ষিতে ৩০ অক্টোবর জার দ্বিতীয় নিকোলাস একটি ঘোষণাপত্র বা ইস্তাহার জারি করেন। এই ইস্তাহারে যে বিষয়গুলি তুলে ধরা হয়, তা হল- (i) নাগরিকদের ব্যক্তি স্বাধীনতা, (ii) সর্বজনীন ভোটাধিকারের ভিত্তিতে 'ডুমা' বা রুশ পার্লামেন্ট গঠন, (iii) ডুমা-র হাতে সরকারি দায়িত্ব প্রদান প্রভৃতি।

viii অষ্টম সাজেসন suggestion

 বিবেকানন্দ কোচিং সেন্টার 

অষ্টম শ্রেনী -2024 

1. . হর্ষবর্ধন ছিলেন ---- a) অসমের রাজা, (b) গৌড়ের রাজা, (c) কনৌজের রাজা, (d) মালবের রাজা।

2. . পাল বংশের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন --- (a)  ধর্মপাল, (b) গোপাল, (c) দেবপাল, (d) রামপাল।

3.  'হর্ষচরিত' রচনা করেন ---  (a) হর্ষবর্ধন, (b) জয়দেব, (c) বানভট্ট, (d) সন্ধ্যাকর নন্দী।

4. দিল্লির সুলতানি শাসন প্রতিষ্ঠা করেন --- (a) মহম্মদ ঘুরি, (b) কুতুবউদ্দিন আইবক, (c) ইলতুৎমিশ, (d) গজনির সুলতান মাহমুদ।

5.  পানিপথের প্রথম যুদ্ধ হয়েছিল ---  (a) 1520 খ্রিস্টাব্দে, (b) 1526 খ্রিস্টাব্দে, (c) 1527 খ্রিস্টাব্দে, (d) 1556 খ্রিস্টাব্দে।

6. হুমায়ুননামা' রচনা করেন --- a) বাবর, (b) হুমায়ুন, (c) গুলবদন বেগম, (d) বদাউনি।

7. 'দীন-ই-ইলাহি' প্রবর্তন করেন ---  (a) আকবর, (b) জাহাঙ্গির, (c) শাহজাহান, (d) ঔরঙ্গজেব।

8. বাংলায় 'দ্বৈত শাসনব্যবস্থা'-এর সূচনা করেন ---  (a) ওয়ারেন হেস্টিংস, (b) রবার্ট ক্লাইভ, (c) লর্ড ওয়েলেসলি, (d) লর্ড কর্নওয়ালিশ।

9. 'চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত' প্রবর্তিত হয় --- (a) 1773 খ্রিস্টাব্দে, (b) 1793 খ্রিস্টাব্দে, (c) 1813 খ্রিস্টাব্দে, (d) 1844 খ্রিস্টাব্দে।

10. ভারতে প্রথম রেলপথ চালু হয় ---  (a) 1833 খ্রিস্টাব্দে, (b) 1843 খ্রিস্টাব্দে, (c) 1853 খ্রিস্টাব্দে, (d) 1855 খ্রিস্টাব্দে।



11. তিতুমির' ছিলেন --- (a)  ওয়াহাবি আন্দোলনের নেতা, (b) ফরাজি আন্দোলনের নেতা, (c) নীল বিদ্রোহের নেতা, (d)  মুন্ডা বিদ্রোহের নেতা। 

12.  'আর্য সমাজ' প্রতিষ্ঠা করেন --- (a) দয়ানন্দ সরস্বতী, (b) জ্যোতিরাও ফুলে, (c) মহাদেব গোবিন্দ রানাডে, (d) স্বামী বিবেকানন্দ।

13. ভারতের প্রথম ভাইসরয় ছিলেন --- (a) লর্ড ক্যানিং, (b) লর্ড বেন্টিঙ্ক, (c) ওয়ারেন হেস্টিংস, (d) লর্ড ডালহৌসি।

14.  বঙ্গভঙ্গ রদ করা হয় ----  (a) 1905 খ্রিস্টাব্দে, (b) 1907 খ্রিস্টাব্দে, (c) 1911 খ্রিস্টাব্দে, (d) 1919 খ্রিস্টাব্দে।

15.  অলিন্দ যুদ্ধ সংঘটিত হয় --- (a) 1919 খ্রিস্টাব্দে, (b) 1930 খ্রিস্টাব্দে, (c) 1935 খ্রিস্টাব্দে, (d) 1942 খ্রিস্টাব্দে।

16. ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী হিলেন ---  (a) জওহরলাল নেহরু, (b) রাজেন্দ্র প্রসাদ, (c) লর্ড মাউন্ট ব্যাটেন, (d)  লাল বাহাদুর শাস্ত্রী।

17.  লোকসভায় সভাপতিত্ব করেন ---  (a) রাষ্ট্রপতি, (b) প্রধানমন্ত্রী, (c) উপরাষ্ট্রপতি, (d) অধ্যক্ষ।

18. কলকাতায় ফোর্ট উইলিয়ম কলেজ প্রতিষ্ঠা হয়- (a) ১৮০০ খ্রিস্টাব্দে, (b) ১৮১৭ খ্রিস্টাব্দে, (c) ১৭৮১ খ্রিস্টাব্দে, (d) ১৮৩০ খ্রিস্টাব্দে। 

19. ১৮১২ খ্রিস্টাব্দে পাকাপাকিভাবে বিলুপ্ত হয় ---  (a) সিপাহি বাহিনী, (b) দারোগা ব্যবস্থা, (c) ফৌজদারি ব্যবস্থা, (d) সিভিল সার্ভিস।

20. হিন্দু কলেজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না--- (a) ডেভিড হেয়ার, (৮) এডওয়ার্ড হাইড ইস্ট, (c) রামমোহন রায়, (d) নাথানিয়েল ব্র্যাসি হালেদ।

21. আত্মীয় সভা প্রতিষ্ঠা করেন ---  (a) রামমোহন রায়, (b) স্বামী দয়ানন্দ সরস্বতী, (c) রাজনারায়ণ বসু, (d) বিস্তুশাস্ত্রী পণ্ডিত।

22. 'হুল' শব্দের অর্থ ---  (a) মহাজন, (৮) জমিদার, (c) বিদ্রোহ, (d) বহিরাগত।

23.  ১৮৫৭-এর বিদ্রোহে গ্রামে খবর দেওয়া-নেওয়ার মাধ্যম ছিল --- (a) রুটি, (b) চিঠি, (c) টেলিগ্রাফ, (d) সংবাদপত্র। 

24.  কংগ্রেসের প্রথম অধিবেশনে বেশিরভাগ প্রতিনিধি যোগ দিয়েছিলেন --- (a) বাংলা, (b) মাদ্রাজ, (c) বোম্বাই, (d) দিল্লি থেকে।

25. ১৯০৫ খ্রিস্টাব্দে বঙ্গভঙ্গের সরকারি ঘোষণা করা হয় ---  (৪) ১৬ অক্টোবর, (b) ১৯ জুলাই, (c) ৩০ ডিসেম্বর, (d) ৩০ এপ্রিল। 

26. এঁদের মধ্যে কে ১৯৩০ খ্রিস্টাব্দের ৮ ডিসেম্বরের রাইটার্স বিল্ডিং অভিযানের সলো যুক্ত ছিলেন না?-

--- (a) বিনয় বসু, (b) রসময় শূর, (c) দীনেশ গুপ্ত, (d) সূর্য সেন।

27.  ফারসির বদলে ইংরেজিকে সরকারি ভাষার স্বীকৃতি দেওয়া হয়--- (a) ১৮৮৫ খ্রিস্টাব্দে, (b) ১৮৩৭ খ্রিস্টাব্দে, (c) ১৯৩২ খ্রিস্টাব্দে, (d) ১৮৯৮ খ্রিস্টাব্দে।

28.  ইউনিয়নিস্ট পার্টির নেতা ছিলেন--- (a) স্যার সিকন্দর হায়াৎ খান, (b) চক্রবর্তী রাজা গোপালাচারী, (c) মোতিলাল নেহরু, (৫) মহম্মদ ইকবাল।

29. স্বাধীন ভারতের সংবিধানের মূল রূপকার ---  (a) জওহরলাল নেহরু, (b) বি আর আম্বেদকর, (c) রাজেন্দ্র প্রসাদ, (d) মহাত্মা গান্ধি।

30.  রাজ্যসভায় রাষ্ট্রপতি নিয়োগ করতে পারেন ---  (a) ১২, (b) ১৫, (c) ১০, (d) ৯ জন সদস্যকে।

31.  আইন করে সতীদাহপ্রথা নিষিদ্ধ করেছিলেন--- (a) লর্ড ডালহৌসি, (b) রাজা রামমোহন রায়, (c) লর্ড বেন্টিঙ্ক, (d) ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর।

32.  সত্যশোধক সমাজ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন---  (a) দয়ানন্দ সরস্বতী, (৮) জ্যোতিরাও ফুলে, (c) বীরেশলিঙ্গাম পাণ্ডুলু, (d) রাজা রামমোহন রায়।

33.  এলিজা ইম্পের বানানো আইনগুলির বাংলা অনুবাদ করেছিলেন---- (a) বিদ্যাসাগর, (b) ওয়ারেন হেস্টিংস, (c) জোনাথন ডানকান, (d) উইলিয়ম কেরি।

34. নরমপন্থী ও চরমপন্থীরা আলাদা হয়েছিল কংগ্রেসের -- (a) কলকাতা অধিবেশনে, (b) বোম্বাই অধিবেশনে, (৫) লখনউ অধিবেশনে, (d) সুরাট অধিবেশনে। 

35. ১৯০৫ খ্রিস্টাব্দে রাখিবন্ধন উৎসব পালিত হয়েছিল ---  (a) ৫ অক্টোবর, (b) ১৬ অক্টোবর, (c) ১৬ নভেম্বর, (d) ১০ অক্টোবর।

36. বিপ্লববাদের জনক' বলা হয় --- (a) মাস্টারদা সূর্য সেনকে, (b) ভগৎ সিংকে, (c) বাসুদেব বলবন্ত ফাদকেকে, (d) বাল গঙ্গাধর তিলককে।

37. মন্টেগু-চেমসফোর্ড ভারত শাসন আইন পাস হয়েছিল --- a) ১৯১৯ খ্রি. (b) ১৯১৫ খ্রি, (c) ১৯১৮ খ্রি. (d) ১৯১৭ খ্রি।

38. জালিয়ানওয়ালাবাগের হত্যাকাণ্ড ঘটেছিল ১৯১৯ সালের ---  (a) ১২ মার্চ, (b) ১৬ মার্চ, (c) ১৩ এপ্রিল, (d) ১৮ এপ্রিল।

39. ভগৎ সিং-এর ফাঁসি হয়েছিল--- (a) লাহোর ষড়যন্ত্র মামলায়, (৮) কাকোরি ষড়যন্ত্র মামলায়, (c) আলিপুর বোমার মামলায়, (d) মিরাট ষড়যন্ত্র মামলায়।

40. মুসলিম লিগের লাহোর অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন --- (a) চৌধুরি রহমৎ আলি, (b) ফজলুল হক, (c) খাজা আবদুল রহিম, (d) মহম্মদ আলি জিন্নাহ।

41. ভারতের স্বাধীনতা আইন পাস হয় --- (a) ১৯৪৬ খ্রিস্টাব্দের ১৮ জুলাই, (b) ১৯০৭ খ্রিস্টাব্দের ৩ জুন, (c) ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দের ৪ জুলাই, (d) ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দের ২৮ জুলাই।

42. কৃষক প্রজা পার্টির নেতা ছিলেন ---  (a) মুজফ্ফর আহমেদ, (b) এ কে ফজলুল হক, (c) মানবেন্দ্রনাথ রায়, (d) বিধানচন্দ্র রায়।

43.  ভারতের গণপরিষদের স্থায়ী সভাপতি ছিলেন--- (a) জওহরলাল নেহরু, (b) ড. বি আর আম্বেদকর, (c) ৬. রাজেন্দ্র প্রসাদ, (d) সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল। 

44.  কেন্দ্রীয় আইনসভার উচ্চকক্ষকে বলা হয় ---  (a) বিধানসভা, (b) লোকসভা, (c) বিধান পরিষদ, (d) রাজ্যসভা।

45.  গ্রামীণ পঞ্চায়েত ব্যবস্থার সবথেকে ওপরের স্তরে রয়েছে --- (a)  গ্রাম পঞ্চায়েত, (b) পঞ্চায়েত সমিতি, (c) পৌরসভা, (d) জেলা পরিষদ।

46. ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি বাংলায় দেওয়ানি লাভের অধিকার পেয়েছিল-- - (a)  ১৭৭০ খ্রিস্টাব্দে, (b)  ১৭৭২ খ্রিস্টাব্দে, (c) ১৭৭৪ খ্রিস্টাব্দে, (১) ১৭৬৫ খ্রিস্টাব্দে।

47.  কোম্পানির আমলে পুলিশ থানা ব্যবস্থা চালু হয়েছিল --- (a) লর্ড ওয়ারেন হেস্টিংসের আমলে, (b) লর্ড কর্নওয়ালিশের আমলে, (c) লর্ড বেন্টিজ্ঞের আমলে, (d) লর্ড ক্যানিং-এর আমলে। 

48.  ১৭৬৪ খ্রিস্টাব্দে বাংলায় নদীপথগুলি জরিপ করেন --- (a) এলিজা ইম্পে, (b) জেমস রেনেল, (c) মেকলে, (d) চার্লস উড।

49. বেঙ্গল গেজেট' নামে সাপ্তাহিক পত্রিকা প্রকাশ করেন ---  (a) মার্শম্যান, (b) জেমস অগাস্টাস হিকি, (c) উইলিয়ম কেরি, (d) ডিরোজিও।

50.  প্রথম ভাইসরয় হিসেবে নিযুক্ত হন --- (a) লর্ড বেন্টিক, (b) লর্ড ডালহৌসি, (c) লর্ড ক্যানিং, (d) লর্ড লিটন।

51.  জাতীয় কংগ্রেসের প্রথম সভা বসেছিল ---  (a) বোম্বাইতে, (b) মাদ্রাজে, (c) দিল্লিতে, (d) কলকাতায়। 

52.  জ্যোতিরাও ফুলের দ্বারা গঠিত হয়েছিল --- a) আত্মীয় সভা, (b) সত্যশোধক সমাজ, (c) হিন্দু মেলা, (d) আর্য সমাজ।

53.  বাংলায় বিপ্লবী আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত ছিল --- (a) যুগান্তর, (b) হিন্দু প্যাট্রিয়ট, (c) সোমপ্রকাশ, (d) অমৃতবাজার পত্রিকা। 

54.  'সীমান্ত গান্ধি' নামে পরিচিত ছিলেন --- (a) সৈয়দ আহমদ খান, (b) খান আবদুল গফফর খান, (c) মহম্মদ আলি জিন্নাহ, (d) শওকত আলি।

55. রেগুলেটিং অ্যাক্ট পাস হয় (a) ১৭৭২ খ্রিস্টাব্দে, (b) ১৭৭৩ খ্রিস্টাব্দে, (c) ১৭৭৪ খ্রিস্টাব্দে, (d) ১৭৮৪ খ্রিস্টান্সে।

56.  ঠগি দস্যুদের দমন করেছিলেন --- a) ওয়ারেন হেস্টিংস, (b) লর্ড উইলিয়ম বেন্টিঙ্ক, (c) কর্নওয়ালিশ, (d) ডালহৌসি।

57. জেমস রেনেল ছিলেন ভারতের --- (a) বিচারপতি, (b) জরিপ বিভাগের প্রধান, (c) গভর্নর জেনারেল, (d) জনশিক্ষা কমিটির সভাপতি।

58.  শিকাগো বিশ্ব ধর্ম সম্মেলনে যোগদান করেছিলেন--- (a) দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর, (b) কেশবচন্দ্র সেন, (c) স্বামী বিবেকানন্দ, (d) রাজা রামমোহন রায়।

59.  হাজি শরিয়তউল্লা ফরাজি আন্দোলন গড়ে তুলেছিলেন ---  (a) মিরাটে, (b) ব্যারাকপুরে, (c) বারাসাতে, (d) ফরিদপুরে। 

60.  ভারতের প্রথম ভাইসরয় ছিলেন --- (a) লর্ড ডালহৌসি, (b) রবার্ট ক্লাইভ, (c) লর্ড বেন্টিঙ্ক, (d) লর্ড ক্যানিং।

61. ভারতের জাতীয় কংগ্রেসের প্রথম সভা বসেছিল ---  (a) মাদ্রাজে, (b) কলকাতায়, (c) দিল্লিতে, (d) বোম্বাইতে।

62. বঙ্গভঙ্গ রদ করা হয় ---  (a) ১৯০৬ খ্রিস্টাব্দে, (b) ১৯০৯ খ্রিস্টাব্দে, (৫) ১৯১১ খ্রিস্টাব্দে, (d) ১৯০৫ খ্রিস্টাব্দে। 

63.  চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুণ্ঠনে নেতৃত্ব দেন ----  (a) ভগৎ সিং, (b) মাস্টারদা সূর্য সেন, (c) বিনয় বসু, (d) বাদল গুপ্ত।

64.  তাম্রলিপ্ত জাতীয় সরকার গঠিত হয়--- (a) সুভাষচন্দ্র বসুর নেতৃত্বে, (b) মাতঙ্গিনী হাজরার নেতৃত্বে, (c) সতীশচন্দ্র সামন্তের নেতৃত্বে, (d) মহাত্মা গান্ধির নেতৃত্বে।

65. মুসলিম লিগ গঠিত হয় --- (a) ঢাকায়, (b) যশোরে, (c) খুলনায়, (d) কলকাতায়।

66.  বাংলার কৃষক প্রজা পার্টির নেতা ছিলেন- (a) এ কে ফজলুল হক, (b) মহম্মদ আলি জিন্নাহ, (c) স্যার সিকন্দর হায়াৎ খান, (d) শওকত আলি। 

67. স্বাধীন ভারতের সংবিধানের মূল রূপকার ছিলেন- (a) ড. রাজেন্দ্র প্রসাদ, (b) বি আর আম্বেদকর, (c) ড. সর্বপল্লী রাধাকৃয়ণ, (d) জওহরলাল নেহরু।

68.  যে চাষি পরের জমি ফসলের ভাগের বিনিময়ে চাষ করে তাকে বলে --- (a) খেতমজুর, (b) ভূমিহীন চাষি, (c) পাট্টাদার, (d) বর্গাদার। 

69.  ভারতে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির প্রথম গভর্নর জেনারেল ছিলেন --- (a) লর্ড ওয়েলেসলি, (b) লর্ড ওয়ারেন হেস্টিংস, (c) লর্ড বেন্টিঙ্ক, (d) লর্ড ক্লাইভ।

69.  উইলিয়ম জোনস ১৭৮৪ খ্রিস্টাব্দে কলকাতায় প্রতিষ্ঠা করেন--- (a) এশিয়াটিক সোসাইটি, (b) কলকাতা মাদ্রাসা, (c) সংস্কৃত কলেজ, (d) ফোর্ট উইলিয়ম কলেজ।

70. বাংলার নদীপথগুলি জরিপ করেছিলেন ---  (a) চার্লস উড, (b) এলিজা ইম্পে, (c) উইলিযম জোনস, (d) জেমস রেনেল।

71. সতীদাহ রদ 'আইন পাস করেন --- (a) লর্ড ক্যানিং, (b) উইলিয়ম বেন্টিঙ্ক. (c) লর্ড ডালহৌসি, (৫) লর্ড আমহার্স্ট।

72. হুল শব্দের অর্থ হল (a) মহাজন, (b) জমিদার, (c) বিদ্রোহ, (d) বহিরাগত।

73.  'নীলদর্পণ' নাটকটি লেখেন ---  (a) ববীন্দ্রনাথ ঠাকুর, (b) কালিদাস, (c) দীনবন্ধু মিত্র, (d) বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়।

74. বাংলা বিভাজনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন ---  (a) লর্ড কার্জন, (৮) লর্ড রিপন, (c) লর্ড লিটন, (d) সি পি ইলবার্ট।

75. আলিগড় আন্দোলনের নেতৃত্ব দেন --- a) স্যার সৈয়দ আহমদ খান, (b) আবুল কালাম আজাদ, (c) শওকত ওসমানি, (d)  মহম্মদ আলি জিন্নাহ্। 

76. 'পাকিস্তান' রাষ্ট্রের কথা প্রথম বলেন ---  (a) চৌধুরি রহমৎ আলি, (চ) মহাত্মা গান্ধি, (c) জওহরলাল নেহরু, (d) ফজলুল হক।

77.  আধুনিক ভারতের সবথেকে বড়ো কৃষক আন্দোলন সংঘটিত হয়েছিল---- (a) তেভাগায়, (b) তেলেঙ্গানায়, (c) জনগাঁওয়ে, (d) মহারাষ্ট্রে।





সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করে লেখো:

1.  একটি পর্দাবিহীন কোশ অঙ্গাণু হল ---- (a) রাইবোজোম, (b) লাইসোজোম, (c) মাইটোকনড্রিয়া, (d) গলগি বস্তু।

2.  ডায়ারিয়া হল---- (a) ভাইরাসঘটিত রোগ, (b) আদ্যপ্রাণীঘটিত রোগ, (c) ব্যাকটেরিয়াঘটিত রোগ, (d) ছত্রাকঘটিত রোগ।

3. জরুরিকালীন হরমোন হল ---- (a) থাইরক্সিন, (b) ইনসুলিন, (c) ইস্ট্রোজেন, (d) অ্যাড্রিনালিন।

4. কেল্প' হল--- (a) সামুদ্রিক মাছ, (b) সামুদ্রিক ঝিনুক, (c) সামুদ্রিক শ্যাওলা, (d) সামুদ্রিক কাঁকড়া।

5.  মিউসিলেজ ও পেকটিন থাকে ---  (a) বেলে, (b) রসুনে, (c) পুদিনায়, (d) আমলকীতে।

6. 'কোশের শক্তিঘর' নামে পরিচিত যে অঙ্গাণু সেটি হল ----  (a) গলগি বস্তু, (b) মাইট্রোকনড্রিয়া, (c) রাইবোজোম, (d) সেন্ট্রোজোম।

7.  আদ্যপ্রাণীঘটিত রোগটি হল ----  (a) কালাজ্বর, (b) অ্যালার্জি, (c) কলেরা, (d) মাম্পস।

8. আপদকালীন হরমোন হল ----  (a) থাইরক্সিন, (b) অ্যাড্রিনালিন, (c) টেস্টোস্টেরন, (d) ইস্ট্রোজেন।

9.  নালিপদের সাহায্যে গমন করে --- (a) তারামাছ, (b) অক্টোপাস, (c) হাঙর, (d) সাগরকলম।

10. ত্রিফলাতে যা থাকে না সেটি হল --- (a) আমলকী, (b) নিম, (c) বহেড়া, (d) হরিতকি।

11. ভারতে কোন্ প্রাণীকে 'জাতীয় জলজ প্রাণী' বলা হয়? --- (a) গঙ্গার কুমির, (b) গঙ্গার শুশুক, (c) ঘড়িয়াল, (d) কঙ্কপ।

12. থাইরক্সিন হরমোন ক্ষরণে উদ্দীপনা জোগায় --- (a) থাইরয়েড গ্রন্থি, (b) প্যারাথাইরয়েড গ্রন্থি, (c) পিটুইটারি গ্রন্থি, (d) অ্যাড্রিনাল গ্রন্থি।

13. গন্ডারের ক্ষেত্রে প্রদত্ত যে তথ্যটি ভুল সেটি হল---- (a) লম্বা ঘাসযুক্ত জলাভূমি গন্ডারের বাসস্থান, (b) পবিতোরা অরণ্যে গন্ডার সংরক্ষণ করা হয়, (c) গন্ডারের খঙ্গ কেরাটিন দিয়ে তৈরি,(d) গন্ডারের দৃষ্টিশক্তি প্রবল কিন্তু ঘ্রাণশক্তি দুর্বল।

14. অ্যালিসিন নামক যৌগ পাওয়া যায় --- (a) আদাতে, (b) পেঁয়াজে, (c) রসুনে, (d) হলুদে।

15. একটি স্বাধীনজীবী ব্যাকটেরিয়া হল --- (a) রাইজোবিয়াম, (b) ক্রসট্রিডিয়াম, (c) নাইট্রোব্যাকটর, (d) ই. কোলাই।

16. পর্দাবিহীন কোশ অঙ্গাণু হল ---  (a) মাইটোকনড্রিয়া, (b) নিউক্লিয়াস, (c) লাইসোজোম, (d) রাইবোজোম।

17. কোন ভাইরাসঘটিত রোগ নয়? --  (a) চিকেন পক্স, (b) টাইফয়েড, (c) হেপাটাইটিস, (d) ডেঙ্গু।

18. পিটুইটারি গ্রন্থি থেকে ক্ষরিত একটি হরমোন হল ---  (a) গ্লুকাগন, (৮) থাইরক্সিন, (c) ভেসোপ্রেসিন, (d) ইস্ট্রোজেন।

19. দংশক কোশ দেখা যায় ----  (a) অক্টোপাসে, (b) সাগরকুসুমে, (c) স্কুইডে, (d) সাগরকলমে।

20. ব্যাকটেরিয়ার শ্বসনে সাহায্য করে --- (a) মাইটোকনড্রিয়া, (b) রাইবোজোম, (c) মেসোজোম, (d) নিউক্লিওয়েড।

21. প্রদত্ত কোন্ মশলাটি উদ্ভিদের ফল? --- (a) গোলমরিচ, (b) জায়ফল, (c) জোয়ান, (d) মৌরি।

22.  একটি উপকারী ব্যাকটেরিয়া হল ---  (a) সালমোনেল্লা, (b) অ্যাজোটোব্যাকটর, (c) স্ট্রেপটোকক্কাস, (d) ভিব্রিও কলেরি।

23. একটি এককোশী প্রাণী হল ---  (a) মশা, (b) অ্যামিবা, (c) শামুক, (d) কাঁকড়া।

24. একটি আদ্যপ্রাণীঘটিত রোগের নাম হল --- (a) আমাশয়, (b) AIDS, (c) যক্ষ্মা, (d) ক্যানসার।

25. আপদকালীন চরমোন হল --- (a) সোমাটোট্রপিক হরমোন, (b) অ্যাড্রিনালিন, (c) ইনসুলিন, (d) ইস্ট্রোজেন।

26. তারামাছ বা স্টারফিশের গমন অঙ্গের নাম হল --- (a) চোষক বা সাকার, (b) ফ্ল্যাজেলা, (c) নালিপদ বা টিউব ফিট, (d) সিলিয়া।

27. ম্যানগ্রোভ অরণ্যের উদ্ভিদ হল ---  (a) শাল, (b) সুন্দরী, (c) নারিকেল, (d) আম।

28.  ফলের রসে থাকা শর্করাকে যে ছত্রাকটি ভেঙে দিতে পারে, সেটি হল ---  (a) মিউকর, (b) পেনিসিলিয়াম, (c) ইস্ট, (d) অ্যাগারিকাস।

29.  এক্স-সিটু সংরক্ষণের উদাহরণ।- (a) জুওলজিক্যাল পার্ক, (b) সংরক্ষিত অরণ্য, (c) জাতীয় উদ্যান, (d) বায়োস্ফিয়ার রিজার্ভ।

30. জলাতঙ্ক যে প্রকার অণুজীব দ্বারা ঘটে, সেটি হল ---  (a) ভাইরাস, (b) ব্যাকটেরিয়া, (c) প্রোটোজোয়া, (d) ছত্রাক।

31. ব্যাকটেরিয়া কোশে নিউক্লিয়াসের বদলে যেটি থাকে, সেটি হল ----  (a) প্লাসমিড, (b) নিউক্লিওলাস, (c) নিউক্লিওয়েড, (d) পিলি।

32.  শুধুমাত্র স্ত্রীদেহে পাওয়া যায় এমন একটি হরমোন হল  --- (a) ইনহিবিন, (৮) টেস্টোস্টেরন, (c) STH, (d) ইস্ট্রোজেন।

33. নালিপদ দেখা যায় যে প্রাণীটিতে, সেটি হল --- (a) স্কুইড, (b) হাঙর, (c) অক্টোপাস, (d) তারামাছ।

34. শৈবাল ও ছত্রাকের সহাবস্থানই হল --- (a) ল্যাকটোব্যাসিলাস, (b) লাইকেন, (c) অ্যামিবা, (d) স্পাইরোগাইরা।

35. গঙ্গার শুশুকের প্রতিটি চোয়ালের দাঁতের সংখ্যা হল--- (a) 27-32 টা, (b) 32-42 টা, (c) 42-47 টা, (d) 20-27 টা।

36.  তারামাছের বাহুর সংখ্যা ---  (a) ২টি, (b) 3টি, (c) 4টি, (d) এটি।

37. ইনসুলিন নিঃসৃত হয় --- (a) অগ্ন্যাশয়, (b) থাইরয়েড, (c) বৃক্ক, (d) হৃৎপিণ্ড থেকে।

38. বহিঃক্ষরা গ্রন্থির উদাহরণ হল--- (a) থাইরয়েড, (b) অগ্ন্যাশয়, (c) লালাগ্রন্থি, (d) পিটুইটারি গ্রন্থি।

39. ব্যাকটেরিয়া যে রাজ্যের অন্তর্গত তা হল --- (a) প্রোটোজোয়া, (৮) ফানজি, (c) প্ল্যান্টি, (d) মোনেরা।

40.  পক্স হল --- (a) ব্যাকটেরিয়া, (৮) ভাইরাস, (c) প্রোটোজোয়া, (d) ছত্রাকঘটিত রোগ।

41. একটি স্বাধীনজীবী ব্যাকটেরিয়া হল--- (a) অ্যাজোটোব্যাকটর, (b) রাইজোবিয়াম, (c) নাইট্রোসোমোনাস, (d) কোনোটিই নয়।

42. প্রোটিন তৈরি করতে সাহায্য করে --- (a) গলগি বস্তু, (৮) সাইটোপ্লাজাম, (c) লাইসোজোম, (৫) রাইবোজোম।

43.  কারকিউমিন যৌগটি পাওয়া যায় যে মশলায় সেটি হল ---  (a) দারচিনি, (৮) হলুদ, (c) রসুন, (d) আদা।

44. আমেরিকার মরু অঞ্চলে রেড ইন্ডিয়ানরা পাথরের তৈরি যে বাড়িতে থাকে তার নাম --- (a) ইগলু, (b) পুয়েবলা, (c) তাঁবু, (d) ঝুপড়ি।

45.  ইনসুলিন ক্ষরিত হয় যে গ্রন্থি থেকে সেটি হল --- (a) অগ্ন্যাশয়, (b) থাইরয়েড, (c) অ্যাড্রিনাল, (d) পিটুইটারি। 

46. ডেঙ্গিার রোগটি হল ---  (a) ব্যাকটেরিয়াঘটিত, (b) ভাইরাসঘটিত, (c) ছত্রাকমটিত, (d) আদ্যপ্রাণীঘটিত।

47. রসুনে থাকে --- (a) অ্যালিসিন, (৮) রৌবেসিন, (c) পিপেরাইন, (d) কারকিউমিন।

48.  অ্যান্টিডায়াবেটিক হরমোনটি হল --- (a) হাকাগন, (b) ইনসুলিন, (c) ভেসোপ্রেসিন, (d) অক্সিটোসিন।

49. একটি এক্স-সিটু সংরক্ষণের উদাহরণ হল ---  (a) বোটানিক্যাল গার্ডেন, (b) অভয়ারণ্য, (c) ন্যাশনাল পার্ক, (d) বায়োস্ফিয়ার রিজার্ভ।

50. একটি পর্দাবিহীন কোশ অঙ্গাণু হল ---  (a) লাইসোজোম, (b) গলগি বস্তু, (c) ER, (d) সেস্ট্রোজোম।



সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করে লেখো:

1.  রবিনসন দ্বী প অবস্থান করছে  --- (a) এশিয়া, (b) দক্ষিণ আফ্রিকা, (c) অস্ট্রেলিয়া-তে।

2.  মারে-ডার্লিং নদী মিলিত হয়েছে --- (a) পার্থ, (b) সেন্টলুই, (c) ওয়েন্ট ওয়ার্থ শহরে।

3. জীবাশ্ম দেখা যায় --- (a) পাললিক, (b) আগ্নেয়, (c) রূপান্তরিত শিলায়।

4. ক্যারিবিয়ান সাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড়  --- (a) হ্যারিকেন, (b) টাইফুন, (c) টর্নেডো নামে পরিচিত।

5. পরিষ্কার আকাশ নির্দেশ করে ---  (a) নিম্নোস্ট্যাটাস, (b) কিউমুলাস, (c) কিউমুলোনিস্বাস মেঘ।

6. চলচ্চিত্র শিল্পে উন্নত  --- (a) ভূমধ্যসাগরীয়, (b) মৌসুমি, (c) নিরক্ষীয় জলবায়ু অঞ্চল।

7.  'ইয়াকুত' উপজাতির মানুষেরা ---  (a) ল্যাপল্যান্ডে, (b) সাইবেরিয়ায়, (c) ফিনল্যান্ডে বাস করে।

8. আর্থ সামিট অনুষ্ঠিত হয়েছিল  --- (a) ব্যাংকক, (b) দিল্লি, (c) রিও-ডি-জেনিরো শহরে।

9. সুন্দরলাল বহুগুণা একজন  ---- (a) অর্থনীতিবিদ, (৮) পরিবেশবিদ, (c) আবহাওয়াবিদ।

10.  জুন-জুলাই মাস ওশিয়ানিয়াতে ---  (a) শীতকাল, (b) বসন্তকাল, (c) গ্রীষ্মকাল।

11. মহাসাগরীয় ভুত্বক যে শিলা দ্বারা গঠিত তা হল --- (a) গ্রাফাইট, (b) ব্যাসল্ট, (c) গ্রানাইট।

12. জয়সলমিরের সোনার কেল্লা তৈরি হয়েছে ---  (a) বেলেপাথর, (b) চুনাপাথর, (c) কাদাপাথর দিয়ে।

13.  যে তাপমাত্রায় বায়ু সম্পৃক্ত হয়, তাকে বলে--- (a) হিমাঙ্ক, (b) স্ফুটনাঙ্ক, (c) শিশিরাঙ্ক।

14.  জলকণা ও তুষারকণার আংশিক মিশ্রিত রূপ হল ---  (a) তুষারবৃষ্টি, (b) প্লিট, (c) শিলাবৃষ্টি।

15. পিগমিরা যে জলবায়ু অঞ্চলের অন্তর্গত, তা হল ---  (a) নিরক্ষীয়, (b) তুন্দ্রা, (c) তৈগা।

16. মৌসুমি জলবায়ু অঞ্চলের প্রধান ফসল হল ---  (a) ধান, (b) গম, (c) ভুট্টা।

17. একটি পরিবেশবান্ধব শক্তি হল--- (a) তাপবিদ্যুৎ, (b) জলবিদ্যুৎ, (c) পারমাণবিক বিদ্যুৎ।

18.  'আর্থ সামিট' পরিবেশ সম্মেলন হয় --- (a) 1972 সালে, (b) 1982 সালে, (c) 1992 সালে।

19.  'গ্রেট বেরিয়ার রিফ' ----  (a) প্রশান্ত, (b) ভারত, (c) কুমেরু মহাসাগরে দেখা যায়।

20.  ওশিয়ানিয়ার সর্বোচ্চ শৃঙ্গটি অবস্থিত ---  (a) অস্ট্রেলিয়ায়, (b) পাপুয়া নিউগিনিতে, (c) নিউজিল্যান্ডে।

21.  পৃথিবীর ঘনত্ব হল- (a) 5.5 গ্রাম/ ঘনসেমি, (b) 2.6-3.3 গ্রাম/ ঘনসেমি, (c) 11 গ্রাম/ ঘনসেমি, (d) 13-14 গ্রাম/ ঘনসেমি।

22. ব্যাসল্ট-এর রূপান্তরিত রূপ হল ---  (a) কোয়ার্টজাইট, (b) অ্যাম্ফিবোলাইট, (c) গ্রাফাইট, (d) সিস্ট।

23. আকাশে প্রদত্ত কোন্ মেঘ থাকলে পরিষ্কার আবহাওয়া নির্দেশ করে? --- (a) স্ট্যাটাস , (b) নিম্নোস্ট্যাটাস, (c) কিউমুলাস, (d) কিউমুলোনিম্বাস।

24. মেঘের মধ্যে জলকণাগুলির গড় ব্যাস হল ---  (a) 2 মিমি, (b) 0.2 মিমি, (c) 0.02 মিমি, (d) 0.002 মিমি।

25. দক্ষিণ আমেরিকার চিলিতে সাধারণত যে জলবায়ু লক্ষ করা যায় তা হল- --- (a) নিরক্ষীয় জলবায়ু, (৬) মৌসুমি জলবায়ু, (c) তুন্দ্রা জলবায়ু, (৫) ভূমধ্যসাগরীয় জলবায়ু।

26. সর্বনিম্ন বার্ষিক উন্নতার প্রসর লক্ষ করা যায়--- (a) নিরক্ষীয় জলবায়ু অঞ্চলে, (b) তুন্দ্রা জলবায়ু অঞ্চলে, (c) মৌসুমি জলবায়ু অঞ্চলে, (d) ভূমধ্যসাগরীয় জলবায়ু অঞ্চলে।

27.  পরিবেশ অবনমনের মনুষ্যসৃষ্ট কারণটি হল  --- (a) বন্যা, (b) ধস, (c) অপরিকল্পিত নগরায়ণ, (d) ভূমিকম্প।

28.  'Earth Summit' কত সালে হয়েছিল? -- (a) 1984 সালে, (b) 1986 সালে, (c) 1973 সালে, (d) 1992 সালে।

29.  একটি প্রবাল দ্বীপ হল ---  (a) ক্যারোলাইন, (৮) ফিজি, (c) তাহিতি, (d) সলোমন।

30.  ওশিয়ানিয়ার যে আঞ্চলিক বিভাগে ইস্টার দ্বীপপুঞ্জ অবস্থিত তা হল- (a) পলিনেশিয়া, (b) মাইক্রোনেশিয়া (c) মেলানেশিয়া (d) অস্ট্রেলেশিয়া।

31. বহিঃকেন্দ্রমণ্ডলের ভৌত অবস্থা --- (a) কঠিন, (b) তরল, (c) অর্ধতরল, (d) গ্যাসীয় প্রকৃতির।

32.  চুনাপাথর যে খনিজ দিয়ে গঠিত তা হল ---  (a) কোয়ার্টজ, (b) ক্যালসাইট, (c) ফেল্ডসপার, (d) সিলিকন।

33. বায়ুর উন্নতা বেড়ে গেলে আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ ---  (a) বাড়ে, (b) কমে, (c) একই থাকে, (d) সবকটিই ঠিক।

34. ) প্রদত্ত কোন মেঘের মধ্যে থেকে সুর্যকে অনুজ্জ্বল দেখায়। --- (a) অল্টোকিউমুলাস, (b) স্ট্র্যাটোকিউমুলাস, (c) সিরোস্ট্যাটাস, (d) অন্টোস্ট্যাটাস।

35.  আফ্রিকা মহাদেশের কোন দেশে ভূমধ্যসাগরীয় জলবায়ু দেখা যায়? --- (a) আলবেনিয়া, (৮) আলজিরিয়া, (c) সিরিয়া, (d) তানজানিয়া।

36.  প্রদত্ত কোন্ প্রাকৃতিক ঘটনা পরিবেশের অবনমনের জন্য দায়ী নয়?--- (a) মৃত্তিকা ক্ষয়, (৮) জীববৈচিত্র্য হ্রাস, (c) অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত, (d) ভূমিধস।

37. ক্রান্তীয় শীতকাল দেখা যায় কোন্ জলবায়ু অঞ্চলে? ---  (a) মৌসুমি, (b) ভূমধ্যসাগরীয়, (c) নিরক্ষীয়, (d) তুন্দ্রা জলবায়ু অনঞ্চলে। 

38. ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য পরিবেশের গুণগত মানকে বজায় রেখে যে উন্নয়ন করা হয়, তা হল--- (a) পর্যাপ্ত উন্নয়ন, (৮) স্থিতিশীল উন্নয়ন, (c) পরিবেশের সংরক্ষণ, (d) অর্থনৈতিক উন্নয়ন।

39.  ওশিয়ানিয়া মহাদেশের আঞ্চলিক বিভাগের সংখ্যা কয়টি? ---  (a) ২টি, (b) ত্রুটি, (c) 4টি, (d) 5টি।

40. পলিনেশিয়ায় অবস্থিত একটি দ্বীপের নাম হল ---  (a) মার্শাল, (b) কুক, (c) সলোমন, (৫) নাউরু।

41.  কৃত্রিম উপগ্রহের বিচারে সামগ্রিকভাবে পৃথিবীর গড় ঘনত্ব--- (a) 5.1 গ্রাম/ঘনসেমি, (b) 5.5 গ্রাম/ ঘনসেমি, (c) 0.3 গ্রাম/ ঘনসেমি, (d) 6.5 গ্রাম/ ঘনসেমি।

42. শ্রেণিকক্ষের ব্লাকবোর্ড তৈরিতে যে শিলার প্রয়োজন হয় তা হল ---  (a) মারবেল, (b) নিস, (c) প্লেট, (d) বেলেপাথর।

43.  'ম্যাকারেল আকাশ' সৃষ্টি হয় যে মেঘে আকাশ ছেয়ে গেলে তা হল  --- (a) সিরাস, (b) সিরোস্ট্যাটাস, (c) অল্টোকিউমুলাস, (d) সিরোকিউমুলাস।

44. জলকণা ও তুষারকণার আংশিক মিশ্রিত রূপ হল ---  (a) ব্লিট, (b) শিলাবৃষ্টি, (c) শিশির, (১) ড্রিজল। 

45. ভূমধ্যসাগরীয় জলবায়ু অঞ্চলের 'প্রতিফলক বৃক্ষ' নামে পরিচিত যে গাছ তা হল --- (a) ম্যাপল, (b) লরেল, (c) জলপাই, (d) রোজমেরি।

46. 'মেরুপ্রভা' যে জলবায়ু অঞ্চলে সৃষ্টি হয় তা হল--- (a) নিরক্ষীয় জলবায়ু অঞ্চলে, (৬) মৌসুমি জলবায়ু অঞ্চলে, (c) ভূমধ্যসাগরীয় জলবায়ু অঞ্চলে, (d) তুন্দ্রা জলবায়ু অন্যলে।

47.  ভোপালের গ্যাস দুর্ঘটনায় যুক্ত বিষাক্ত গ্যাসটি হল (a) MIC, (b) Co,, (c) O,, (d) N₂O 

48. জাপানের ফুকুসিমা পরমাণু দুর্ঘটনাটি ঘটে (a) 1986 সালে, (b) 1984 সালে, (c) 2012 সালে, (d) 2011 সালে।

49. রুপোর শহর' নামে পরিচিত ওশিয়ানিয়া মহাদেশের যে শহরটি তা হল (a) ব্রোকেনহিল, (b) মিলডুরা, (c) রোমা, (d) বেন্ডিগো।

50. প্রদত্ত দ্বীপগুলির মধ্যে যে দ্বীপটি প্রবাল জমে সৃষ্টি হয়েছে তা হল ---  (a) তাহিতি, (b) কিলাউইয়া, (c) ক্যারোলাইন, (d) ফিজি।




সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করো: 

1.  বল পরিমাপের সূত্রটি হল  --- (a) ভর বেগ, (b) ভর ত্বরণ, (c) ভর সরণ, (d) ভর দ্রুতি।

2. কোনো আলোকরশ্মি একটি সমতল দর্পণের ওপর লম্বভাবে আপতিত হলে, প্রতিফলন কোণের মান হবে- -- (a) 90°, (b) 0°, (c) 45°, (d) 60°

3. ফুলারিনের সংকেত ---  (a) C₁g- (b) Cap- (c) Co (d) C201

4. অক্সিজেন প্রস্তুত করতে যে অনুঘটকটি ব্যবহার করা হয়, সেটি হল  --- (a) Mn2O2, (b) MnO2, (c) Mn₂O, (d) Mno

5. আইসোবারের ক্ষেত্রে যে কথাটি ঠিক, সেটি হল- (a) ভরসংখ্যা সমান, (b) প্রোটন সংখ্যা সমান, (c) নিউট্রন সংখ্যা সমান, (d) পারমাণবিক সংখ্যা সমান।

6. প্রদত্ত কোনটি গ্রিনহাউস গ্যাস নয়? -- (a) CO₂, (b) CH₁, (c) N2O. (d) N

7.  সমতল দর্পণে লম্বভাবে আপতিত আলোকরশ্মির ক্ষেত্রে প্রতিফলন কোণের মান হবে ---  (a) 90°, (b) 60°, (c) 50", (d) 0°

8.  নিউট্রন আবিষ্কার করেন ---  (a) জে জে থমসন, (৮) রাদারফোর্ড, (c) স্যাডউইক, (d) জন ডালটন।

9. বিস্ফোরক তৈরিতে কোন্ অ্যাসিড প্রয়োজন?--- (a) নাইট্রিক অ্যাসিড, (b) সালফিউরিক অ্যাসিড, (c) হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড, (d) অ্যাসিটিক অ্যাসিড।

10. কার্বনের নিয়তাকার রূপভেদ হল  -- (a) গ্রাফাইট, (b) গ্যাসকার্বন, (c) কোক, (d) করলা।

11.  45° কোণে আনত দুটি সমতল দর্পণের মাঝে কোনো বস্তু রাখলে দর্পণে সৃষ্ট প্রতিবিম্বের সংখ্যা হবে। --- (a) 6 টি, (b) ৪ টি, (c) 7 টি, (d) ৭ টি।

12.  প্রদত্ত কোন্ মৌলটি জৈব যৌগ গঠনে অপরিহার্য? -- (a) নাইট্রোজেন, (৮) অক্সিজেন, (c) হাইড্রোজেন, (d) কার্বন।

13. প্রদত্ত কোনটির ওপর তরলের চাপ নির্ভর করে না? (a) গভীরতা, (b) ঘনত্ব, (c) উন্নতা, (d) কোনোটিই নয়।

14.  প্রদত্ত কোনটি উৎপাদন অক্সিজেনের বৃহৎ শিল্প ব্যবহার? ---  (a) অ্যামোনিয়া, (b) ইউরিয়া, (c) সোডা, (d) ইস্পাত।

15. 18Ar এবং 40 Ca-এর মধ্যে সম্পর্কটি হল --- (a) আইসোটোপ, (৮) আইসোবার, (c) আইসোটোন, (d) আয়ন।

16. তরলের ঘনত্ব বেড়ে গেলে প্রবক বলের মান ---  (a) বেড়ে যায়, (b) কমে যায়, (c) একই থাকে, (d) নির্দিষ্ট করে কিছু বলা যাবে না।

17. শূন্যস্থানের প্রতিসরাঙ্ক হয় (a) শূন্য, (b) অসীম, (c) 1, (d) 0.51

18. Na মৌলটির পরমাণুর নিউট্রন সংখ্যা --  (a) 11, (b) 12, (c) 23, (d) 341

19. প্রদত্ত কোন ধাতুটি লঘু সালফিউরিক অ্যাসিডের সঙ্গে বিক্রিয়া করে হাইড্রোজেন গ্যাস উৎপন্ন করে না?

---  (a) Zn, (b) Fe, (c) Al, (d) Cul

20.  কার্বনের একটি রূপভেদ হল ---  (a)  সালফার, (b) ওজোন, (c) গ্রাফাইট, (d) কার্বন ডাইঅক্সাইড।

21.  হিরে চকচকে দেখায় আলোর কোন ধর্মের জন্য? ---  (a) প্রতিফলন, (b) প্রতিসরণ, (c) অভ্যন্তরীণ পূর্ণ প্রতিফলন, (d) প্রতিসৃত রশ্মি।

22. শূন্যযোজী মৌল হল -- (a) হাইড্রোজেন, (b) হিলিয়াম, (c) কার্বন, (d) লিথিয়াম।

23. কোনটির উৎপাদন অক্সিজেনের বৃহৎ শিল্প ব্যবহার? --- (a) ইস্পাত, (b) তামা, (c) সোনা, (d) জিংক।

24. প্রদত্ত কোনটির থেকে শুষ্ক বরফ তৈরি হয়? --'  (a) জল, (b) বায়ু, (c) অক্সিজেন, (d) কার্বন ডাইঅক্সাইড।

25. উদ্ভিদ বা অণুজীবের মধ্যে আস্ট্রকরণ হয়ে কার্বনঘটিত যৌগ তৈরি হয়। এটিকে বলে--- (৪) সৌরশক্তি, (b) পেট্রোলিয়াম, (c) বায়োফুয়েল, (৩) বায়োডিজেল।

26. যৌগিক আলোক অণুবীক্ষণ যন্ত্রের লেন্সে দ্রষ্টব্য বস্তুকে কত গুণ বড়ো দেখায়? --- (a) 3000-5000, (b) 2000-4000, (c) 6000-8000, (d) 8000-100001

27. একটি ভাইরাসঘটিত রোগ হল ---  (a) অ্যালার্জি, (b) ডেঙ্গি, (c) কলেরা, (d) কালাজ্বর।

28. আপদকালীন হরমোন হল ---  (a) থাইরক্সিন, (b) STH, (c) অ্যাড্রিনালিন, (d) ইনসুলিন।

29. বনের মাটি ও গাছের পাতা বৃষ্টিপাতের কত অংশ শুষে নেয়? -- a) 20%, (b) 30%, (c) 40%, (d) 50% 1

30.  আদা ও হলুদের উদ্ভিদের কোন অংশ মশলা হিসেবে ব্যবহৃত হয়?  --- (a) কান্ড, (b) গ্রন্থিকাণ্ড, (c) মূল, (d) পাতা।

31. স্প্রিং তুলাযন্ত্রের সাহায্যে পরিমাপ করা হয় বস্তুর --  (a) ভর, (b) ওজন, (c) ঘনত্ব, (d) আয়তন।

32.  হিরে চকচকে দেখায় আলোর যে ধর্মের জন্য তা হল--- (a) নিয়মিত প্রতিফলন, (b) অভ্যন্তরীণ পূর্ণ প্রতিফলন, (c) বিক্ষিপ্ত প্রতিফলন, (d) বিচ্ছুরণ।

33. কার্বনের নিয়তাকার রূপভেদ হল -- (a)  গ্যাসকার্বন, (b) কোল, (c) ফুলারিন, (৫) চারকোল।

34. প্রদত্ত যৌগগুলির মধ্যে আম্লিক অক্সাইড হল --- (a) CaO, (b) ZnO, (c) SO2, (d) Al2O3

35.  CCI যৌগে কার্বনের যোজ্যতা হল ---  (a) 2, (b) 3, (c) 4. (d) 11

36. পর্দাবিহীন কোশীয় অঙ্গাণু দুটি হল -- (a) গলগি বস্তু, রাইবোজোম, (b) লাইসোজোম, রাইবোজোম, (c) রাইবোজোম, সেন্ট্রোজোম, (d) কোনোটিই নয়।

37. কোনটি আদ্যপ্রাণীঘটিত রোগ?  --- (a) কলেরা, (b) ম্যালেরিয়া, (c) দাদ, (d) পোলিয়ো।

38. থাইরক্সিন ক্ষরিত হয় কোন্ গ্রন্থি থেকে? ---  (a) পিটুইটারি, (b) থাইরয়েড, (c) অগ্ন্যাশয়, (d) অ্যাড্রিনাল। (ix) শ্বাসমূলযুক্ত উদ্ভিদের উদাহরণ হল (a) বট, (b) আমলকী, (c) ক্যাকটাস, (৫) গরান।

39. বহুবর্ষজীবী বীরুৎ জাতীয় গাছের উদাহরণ হল ---  (a) এলাচ, (চ) বেল, (c) নয়নতারা, (d) সবগুলিই।

40. থাইরক্সিন ক্ষরিত হয় কোন্ গ্রন্থি থেকে? ---  (a) পিটুইটারি, (b) থাইরয়েড, (c) অগ্ন্যাশয়, (d) অ্যাড্রিনাল। 

41.  শ্বাসমূলযুক্ত উদ্ভিদের উদাহরণ হল ---  (a) বট, (b) আমলকী, (c) ক্যাকটাস, (৫) গরান।

42. কোনো তরলপূর্ণ পাত্রের তলদেশে তরলের চাপ নির্ভর করে না? --- (a) তরলের প্রকৃতির ওপর, (b) তরলের আয়তনের ওপর, (c) তরলের উচ্চতার ওপর, (d) অভিকর্ষজ ত্বরণের ওপর।

43.  দুটি সমতল দর্পণের মধ্যবর্তী কোণ 60° হলে, সৃষ্ট প্রতিবিম্বের সংখ্যা হবে  --- (a) 3 টি, (b) 4 টি, (c) 5 টি, (d) 6 টি।

44. অ্যামোনিয়া অণুতে সমযোজী বন্ধনের সংখ্যা --- (a) 1, (b) 2. (c) 3. (d) 41

45.  একটি উভধর্মী অক্সাইড হল ---  (a) CO₂, (b) H₂O, (c) ZnO, (d) MgO1

46. প্রদত্ত কোনটির তাপনমূল্য সব থেকে বেশি? ---  (a) কয়লা, (b) কেরোসিন, (c) পেট্রোল, (d) LPG।

47.  ফুলের বর্ণ নিয়ন্ত্রণ করে ---  (a) ক্লোরোপ্লাসটিড, (b) ক্রোমোপ্লাসটিড, (c) লিউকোপ্লাসটিড, (d) কোনোটিই নয়।

48. কোনোরকম কোশীয় গঠন নেই কার? ----  (a) ব্যাকটেরিয়া, (b) ভাইরাস, (c) প্রোটিস্টা, (d) ছত্রাক। 

49. ইনসুলিন হরমোন ক্ষরিত হয় ---  (a) অ্যাড্রিনাল, (b) পিটুইটারি , (c) অগ্ন্যাশয়, (d) থাইরয়েড গ্রন্থি থেকে।

50.  সারা পৃথিবীর স্থলভাগের কত অংশ বন? ---  (a) অর্ধেক, (b) এক তৃতীয়াংশ, (c) এক চতুর্থাংশ, (d) দুই তৃতীয়াংশ।

Friday, November 22, 2024

writting Skills

 VIVEKANANDA COACHING CENTRE 

CLASS:- IX ; SUB:- ENGLISH(B)

PARAGRAPH WRITTING

WATER CYCLE(জল চক্র ) 

Like many other natural cycles water cycle is one of the natures most common cycles. When the sunlight(সূর্যরশ্মি ) falls on water bodies, water is evaporated (বাস্পিভূত হওয়া) . Then the vapour (বাস্প) rises upward in the sky. As it gets up, the vapour gets heavier. After that it is condensed (ঘনিভূত ) to form the cloud(মেঘ) . In course of time the cloud falls back to earth as rain and gets mixed with water again.

COMPUTER

Computer is a miracle (অলৌকিক) of modern science. Charles Babbage is called the Father of modern computer. A computer can work very fast: It has many benefits. It minimises (হ্রাস করে) time, speeds up work, saves labour and reduces (কমায়) costs. Nowadays computer has become an indispensable (অপরিহার্য অংশ) part of modern civilization (সভ্যতা). It is used in educational institutions, industries, research laboratories, Government departments, offices, hospitals and so on. It has taken an important role in space research (মহাকাশ গবেষণায়). In a word, computers have almost replaced human brains. In India also computers are gradually being introduced in different fields of activity.

My Area  at Dawn

I live in a small village named Jatigara , under Cooch Behar district.  At dawn our locality looks very beautiful. The sky is slightly yellow in colour at sunrise. My locality becomes very nice when the first sunlight falls on the green field. This time is totally noise and pollution free because no human activity starts during this moment. The nature is calm and peaceful and different colourful birds begin to sing. The atmosphere is filled with the song of birds. It is an enjoyable moment as one can feel the cool weather and can see the dew drops on the grass. 

MY AIM IN LIFE

Every man has an aim in life. An aimless (লক্ষ্যহীন) life is like a rudderless (দাঁড়বিহীন) ship. I want to be a teacher. It is a noble profession (মহৎ পেশা). The teachers are the backbone (মেরুদন্ড) of the society (সমাজ). He not only provides (প্রদান করা) knowledge (জ্ঞান) to them but also teaches them to know the right and the wrong. He is actually a friend, philosopher (দার্শনিক) and guide (পথপ্রদর্শক) to the students. Only ideal teachers can build an ideal (আদর্শ) nation. A teacher is always respected (সম্মানিত হওয়া) by all. But for that I have to work hard (কঠোর). If I can achieve (সফলতা অর্জন) my dream, I shall try to set examples (উদাহরন) before my students.

SCIENCE IN DAILY LIFE

Modern (আধুনিক) age is the age of science. We depend (নির্ভরকরা) on science in every steps our life. Our day starts with a cup of tea or coffee, and it is science that provides (প্রদান করা) us with this drink. The newspaper, which fulfils (সম্পূর্ন করা) our hunger (ক্ষুধা) for information (তথ্য), is the product of science. Electric lights and fans, cookers (চুল্লি), refrigerators (রেফ্রিজারেটর), air-conditioners (এয়ার-কন্ডিশনার), telephones, televisions and many other things make our life comfortable (আরামদায়ক). Nowadays we cannot think of our daily life without the use of computer. Computers are widely (ব্যাপকভাবে) used in banks, offices and shopping malls.. Though science makes our life comfortable (আরামদায়ক), we have to be careful about the misuse (অপব্যবহার) of science.

MOBILE PHONE

Mobile phone is one of the greatest (মহৎ) invention (আবিস্কার) of the science. The mobile phone has changed the whole communication (যোগাযোগ ব্যবস্থা ) system. Letter posting (চিঠি পাঠানো) is now history. Telegraph / Telegram is now died. The mobile phone is the best medium (মাধ্যম) of communication. This is also in almost all hands, from a business man to a young school girl. Beside the communication a mobile phone is using as a camera, MP3/ MP4 player, phone book, calculater, clock, calender, torch, internet browser and so on. There can be no denial of the necessity (প্রয়োজন) of the cell phone. But all is not gold here. A few selfish (স্বার্থপর) persons and criminals (অপরাধী) are using the mobile phone to fulfil their target. So, proper caution (সাবধানতা) is needed (প্রয়োজন) in the use of Mobile phone.

* Report:- 


FLOOD BROKE OUT IN MIDNAPORE

By a staff reporter 

MIDNAPORE, July 15, 2024: Wide areas of Pingla Subdivision in Midnapore district have been damaged  in a flood that has broken out after a heavy rainfall in the last week. The water of Kalindi river has overflown its bank and submerged the nearby villages. Many trees have been uprooted and crops in the field have been damaged. According to sources two persons were dead and numerous cattles have been washed away. The state Government has started the rescue operation. Camps have been set up for the rescued families and food, water, medicine are being supplied free of cost by the district administration.


FIVE KILLED IN BOAT CAPSIZAL

By a staff reporter 

Sitai, July 20, 2024: A country boat carrying more than fifty passengers sank in the Singimari river near Sagardighi Ghat yesterday at around 4 p.m. According to sources the boat was carrying passengers much beyond its capcity including two cows. During the high tide the boat sank under the waves. Among the drowned passengers twenty persons swam to safety.Five persons  including two children were died. The Government has declared a compensation of Rs. 5 lacs for the family of each of the dead  persons.

Thursday, November 14, 2024

xii বাংলা সাহিত্য

 **** বাংলা চিত্রকলাচচীর ধারায় শিল্পী নন্দলাল বসুর কৃতিত্ব আলোচনা করো।

উত্তর: 

  "তোমার তুলিকা রঞ্জিত করে 

ভারত-ভারতী চিত্ত,

 বঙ্গলক্ষ্মী ভান্ডারে সে যে 

যোগায় নূতন বিত্ত।”

শিল্পী নন্দলাল বসুর প্রতি কবি রবীন্দ্রনাথের এই উক্তিটির মধ্য দিয়ে আমরা শিল্পী নন্দলাল বসুর প্রতিভার পরিচয় পাই। বাঙালির চিত্রকলাচর্চার পথে এক ভিন্নতর পথিক স্বভাবশিল্পী নন্দলাল বসু। মায়ের কাছ থেকে শিল্পীসত্তা পাওয়া এই চিত্রী, স্কুলের খাতায় নোট লেখার বদলে একমনে ছবি আঁকতেন। অতি শৈশবেই দুর্গা, গণেশ, হাতি, ষাঁড় প্রভৃতির মূর্তি বানিয়ে উৎসব ও মেলায় তা প্রদর্শন করতেন।

বিহারের মুঙ্গের থেকে কলকাতায় পড়তে এসে প্রথাগত পড়াশোনায় ব্যর্থ হন নন্দলাল-পরীক্ষায় পাশ করতে পারতেন না। তাই তিনি অঙ্কন শিক্ষাগ্রহণ করেন এবং একসময় শিল্পাচার্য-অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সংস্পর্শে আসেন।

অবনীন্দ্রনাথের কাছে পাঁচ বছর অঙ্কন শিক্ষা নন্দলাল বসুর জীবন ও কর্মধারায় ব্যাপক প্রভাব ফেলে। চিত্রকলা বিষয়ে তাঁর স্বাধীন চিন্তাভাবনার সূত্রপাত এখান থেকেই। তাঁর শিল্পীসত্তার পরিচয় মেলে সতী , শিবসতী , জগাইমাধাই,  নটরাজের তাণ্ডব,  জতুগৃহ,  দাহ , অহল্যার শাপমুক্তি , যম ও নচিকেতা ইত্যাদি ছবিতে।বাঁধা ছকে না-চলা এই শিল্পী রূপনির্মাণে ও বর্ণবিন্যাসে সমকালীন শিল্পীদের থেকে ভিন্নপথে হেঁটেছেন।

নেচার স্টাডি: নন্দলালই প্রথম যিনি ভারতীয় শিল্পশিক্ষায় নেচার স্টাডির ওপর গুরুত্ব দেন। চিত্রী নন্দলাল বসু ভগিনী নিবেদিতার পরামর্শমতো গোয়ালিয়র গিয়ে অজন্তার গুহাচিত্র নকল করার কাজ করেন। বইয়ের প্রচ্ছদ অঙ্কন ও অলংকরণে তাঁর ব্যতিক্রমী প্রতিভা প্রকাশিত হয়েছে। রবীন্দ্রনাথের 'সহজপাঠ'-এর নাম এ ব্যাপারে উল্লেখযোগ্য। স্বদেশি ভাবনায় ভরপুর ছিলেন এই শিল্পী। তাঁর আঁকা সাদা-কালোয় চলমান লাঠি হাতে গান্ধিজির ছবিটি অহিংস আন্দোলনের আইকনে পরিণত হয়। আবার স্বাধীন ভারতের সংবিধান অলংকরণ ভারতরত্ন এবং পদ্মশ্রীর মতো বিভিন্ন পুরস্কারের নকশাও করেন তিনি।

সুগভীর নিষ্ঠার সঙ্গে সহজ আনন্দের মেলবন্ধনকারী শিল্পী নন্দলাল বসু শিল্পের ক্ষেত্রে চিরকালই আনন্দের বার্তা বহন করে যাবেন।


*** বিজ্ঞান চর্চার ইতিহাসে জোড়াসাকো ঠাকুর বাড়ির অবদান আলোচনা করো ।

উত্তর:- বাঙালির বিজ্ঞানভাবনা ও বিজ্ঞানচর্চার সূচনা জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়ির পরিমন্ডলেই ঘটেছিল। ঠাকুর পরিবার থেকে প্রকাশিত বালক, ভারতী, সাধনা পত্রপত্রিকাতে বিজ্ঞান বিষয়ক বহু রচনা প্রকাশিত হত। কুসংস্কার দূরীকরণে দ্বারকানাথ ঠাকুরের ভূমিকা, চিকিৎসা শিক্ষাক্ষেত্রে তাঁর দান, শবব্যবচ্ছেদ প্রবর্তনে তাঁর প্রচেষ্টা, হাসপাতাল নির্মাণের পরিকল্পনা ইত্যাদির কথা জানা যায়। 

দ্বারকানাথের জ্যেষ্ঠপুত্র মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথের প্রিয় বিষয় ছিল জ্যোতির্বিদ্যা। বিশ্বপরিচয় গ্রন্থে রবীন্দ্রনাথ পিতার এই বিশেষ দিকটির প্রতি আলোকপাত করেছেন। স্বর্ণকুমারী দেবীর জ্যোতিষশিক্ষাও দেবেন্দ্রনাথের হাত ধরে। তাঁর পৃথিবী (১২৮৯ বঙ্গাব্দ) গ্রন্থে জ্যোতির্বিজ্ঞানের ভূমিকাই মুখ্য। জ্যোতির্বিজ্ঞান ছাড়াও ভূতত্ত্বে, বিজ্ঞানের বিভিন্ন বিষয়ে দেবেন্দ্রনাথের প্রশ্নাতীত পাণ্ডিত্য ছিল। জ্ঞান ও ধর্মের উন্নতি বইতে ভূতত্ত্ব, নৃতত্ত্ব, জীবতত্ত্ব বিষয়ে তাঁর সেই অধিকারেরই প্রতিফলন লক্ষ করা যায়।

দ্বারকানাথের জ্যেষ্ঠপুত্র দেবেন্দ্রনাথের প্রিয় বিষয় ছিল জ্যোতির্বিদ্যা। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং তাঁর ভাইবোনেরা দেবেন্দ্রনাথের কাছে জ্যোতির্বিদ্যা শিক্ষা করেন। রবীন্দ্রনাথের প্রথম গদ্য রচনা জ্যোতির্বিজ্ঞানবিষয়ক এবং তা দেবেন্দ্রনাথের সঙ্গে তাঁর আলাপচারিতারই ফসল। স্বর্ণকুমারী দেবী রচিত বিজ্ঞানবিষয়ক গ্রন্থ 'পৃথিবী'-তে জ্যোতির্বিজ্ঞান-এর প্রভাব গভীরভাবে লক্ষ করা যায়। দেবেন্দ্রনাথের জ্যেষ্ঠপুত্র দ্বিজেন্দ্রনাথ গণিত শাস্ত্রে বিস্ময়কর ব্যুৎপত্তির পরিচয় দেন। তিনি ইউক্লিডের জ্যামিতি নিয়ে আধুনিক চিন্তাভাবনা করেন। রবীন্দ্রনাথের সেজদা হেমেন্দ্রনাথ চিকিৎসাবিদ্যা শিক্ষার জন্য কিছুদিন মেডিকেল কলেজে অধ্যয়ন করেন। 'প্রাকৃতিক বিজ্ঞানের স্থূলমর্ম' তাঁর লেখা একটি অনন্য গ্রন্থ।

বাল্যকালে রবীন্দ্রনাথকে বিজ্ঞানপাঠ ও অনুশীলনে ব্যাপৃত থাকতে দেখা যায়। পরবর্তী জীবনে বিজ্ঞানবিষয়ক যে সকল রচনা রবীন্দ্রনাথ লিখেছেন, তার মধ্যে রয়েছে বহুবিধ বিজ্ঞানবিষয়ক প্রবন্ধ, বিজ্ঞান নিবন্ধের সমালোচনা এবং বিজ্ঞান গ্রন্থের ভূমিকা। তিনি 'বিশ্বপরিচয়' গ্রন্থে অপার বিজ্ঞানমনস্কতার পরিচয় দিয়েছেন।


***  বাঙালি বিজ্ঞান সাধক সত্যেন্দ্রনাথ বসুর অবদান লেখো।


উঃ  "যাঁরা বলেন যে, বাংলা ভাষায় বিজ্ঞানচর্চা সম্ভব নয়, তারা হয় বাংলা জানে না, নয়তো বিজ্ঞান জানেন না" এই চিরস্মরণীয় উক্তিটি করেছিলেন উপমহাদেশের একজন শ্রেষ্ঠতম প্রতিভা সত্যেন্দ্রনাথ বসু। তিনি বিশ্ববরেণ্য বিজ্ঞান সাধক।


বিজ্ঞান শিক্ষা: ১৯০৯ সালে হিন্দু স্কুল থেকে প্রবেশিকা পরীক্ষায় পাশ করে  ১৯১১ সালে প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে আই এস সি পরীক্ষায় ১ম স্থান অধিকার করেন। তারপর ১৯১৩ সালে গণিতে অনার্স নিয়ে শীর্ষস্থান, এবং ১৯১৫ সালে মিশ্র গণিতে বিজ্ঞান স্নাতকোত্তর পরীক্ষায় পাশ করেন।


বিজ্ঞানচর্চা: ১৯২৯ খ্রিঃ তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পদার্থবিদ্যার 'রিডার' হিসাবে যোগদান করেন। ২৪ বছর গবেষণায় তিনি বহু মূল্যবান সূত্র আবিষ্কার করেন। যার মধ্যে অন্যতম 'এক্স রে ক্রিস্টালোগ্রাফি'। এছাড়াও তিনি তাঁর পৃথিবী বিখ্যাত 'বোস সংখ্যায়ন' গবেষণার জন্য চির শ্রদ্ধেয়।   তিনি আবিষ্কার করেন ফোটনের সংখ্যায়ন নির্ধারণের বিষয়টি। এমনকি এক্ষেত্রে কণাবাদের উপর বিশেষ ভিত্তি দান করেন। এসব ছাড়াও বোসের অন্যান্য উল্লেখযোগ্য গবেষণার বিষয় হল মহাকর্ষ বল, বিদ্যুৎ চুম্বকীয় বল, সতেজ বল, ক্ষীণ বল- এগুলির একীকরণ তত্ত্ব প্রতিষ্ঠার প্রয়াস। সহকর্মী মেঘাদ সাহার সঙ্গে তিনি 'সাহা-বোস সমীকরণে' গ্যাসের অবস্থা বর্ণনা সংক্রান্ত তত্ত্ব উদ্ভাবন করেন এবং বিশেষ খ্যাতি লাভ করেন।

সম্মান: ১৯২৯ খ্রিঃ বোস ভারতীয় বিজ্ঞান কংগ্রেসে পদার্থবিদ্যা শাখার সভাপতি হন। ১৯৪৫ সালে কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক পদে যোগদান করেন। ১৯৫৮ খ্রিঃ তিনি লন্ডনে রয়‍্যাল সোসাইটির ফেলো নির্বাচিত হন। ১৯৫৯ খ্রিঃ ভারত সরকার তাঁকে জাতীয় অধ্যাপক রূপে নিয়োজিত করেন। কলিকাতা ও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় তাঁকে 'ডক্টর অব সায়েন্স' উপাধিতে ভূষিত করে। তিনি ভারত সরকারের 'পদ্মবিভূষণ' উপাধি লাভ করেন।

শেষকথা: রবীন্দ্রনাথও তাঁর প্রতি স্নেহশীল ও আকৃষ্ট ছিলেন। এমনকি তাঁর একমাত্র বিজ্ঞানগ্রন্থ "বিশ্বপরিচয়' তিনি সত্যেন্দ্রনাথ বসুকেই উৎসর্গ করে বলেছিলেন- " man of genius with a taste for literature and who is a scientist as well"। 

*** বাঙালী চিত্রকলার ইতিহাসে অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অবদান আলোচনা করো।

উ:- নব্য ভারতীয় চিত্রকলার জনক অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর (১৮৭১১৯৫১) তার  চিত্রকলা ও রচনার মধ্যদিয়ে  তুমুল আলোড়ন তুলে, হৈ-চৈ বাঁধিয়ে দিয়েছিলেন শিশুদের মনোজগতে। 

বাংলার শিল্পকলার ইতিহাসে জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়ি একটি বিশিষ্ট স্থান অধিকার করে রয়েছে। এই পরিবারের যে কয়েকজন সদস্য চিত্রচর্চায় সুনাম অর্জন করেছেন তাঁদের মধ্যে অন্যতম হলেন অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর (১৮৭১-১৯৫১)। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভ্রাতুষ্পুত্র অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর ছিলেন নব্যবঙ্গীয় চিত্ররীতির জনক তথা আধুনিক ভারতীয় চিত্রকলার পথপ্রদর্শক।

চিত্রচর্চা-আধুনিক ভারতীয় চিত্রকলাচর্চার পুরোধা হলেন অবনীন্দ্রনাথ। পাশ্চাত্য চিত্ররীতির প্রতি আকর্ষণে তিনি বহু খ্যাতনামা শিল্পীর কাছে শিহ্মাগ্রহন করেন।  শিল্পচর্চার প্রথম পর্যায়ে বিদেশি শিল্পীদের কাছে ড্রয়িং, প্যাস্টেল, অয়েল পেন্টিং, জলরং বিবিধ মাধ্যমে চিত্রাঙ্কন শেখেন। এরপর আইরিশ ইল্যুমিনেশন ও মুঘল মিনিয়েচারের সঙ্গে পরিচিত হওয়ার ফলে তাঁর শিল্পীসত্তায় নতুনত্ব দেখা দেয়। পরবর্তীতে রবীন্দ্রনাথের পরামর্শে বৈষ্ণব পদাবলিকে বিষয় হিসেবে গ্রহণ করে তিনি আত্মবিকাশের পথ খুঁজে পান। '

চিত্ররীতির বৈশিষ্ট্য-(১) জলরঙে 'গুয়াশ' পদ্ধতিতে ছবি আঁকার মাধ্যমে প্রকাশ পায় তাঁর শিল্পচর্চার দক্ষতা। এই 'গুয়াশ' পদ্ধতি জাপানি চিত্রের মত নয়। (২) তাঁর ছবির মূল প্রাণশক্তি ছিল অনুভূতিগ্রাহ্যতা। (৩) তাঁর ছবিতে রয়েছে মুঘল মিনিয়েচরের প্রভাব। (৪) বারবার রঙ ধুয়ে ফেলতেন বলে, তাঁর ছবিতে রঙের চরিত্র হয়ে উঠল মৃদু ও মসৃন। (৫) চিত্রচর্চায় ভারতের ধ্রুপদি ও পৌরাণিক অতীতের প্রতি ঝোঁক তার চিত্রের একটি বৈশিষ্ঠ্য ।

অবনীন্দ্রনাথ পাশ্চাত্য রীতি ত্যাগ করে ভারতীয় ছবি নিয়ে চর্চা শুরু করলেন । রবীন্দ্রনাথের পরামর্শে মুঘল রীতিতে তিনি এঁকেছিলেন কৃষ্ণলীলা এরপর তিনি আঁকলেন শ্বেত অভিসারিকা ১৯০৩ খ্রিস্টাব্দে অবনীন্দ্রনাথের আঁকা অন্তিম শয্যায় শাহজাহান ছবিটি রৌপ্য পদক পায়, বুদ্ধ সুজাতা ইংল্যান্ডের পত্রিকায় প্রশংসা পায় । তাঁর  উল্লেখযোগ্য ছবিগুলি হল কালিদাসের ঋতু সংহার বিষয়ে চিত্রকলা শেষ যাত্রা এছাড়াও কচ ও দেবযানী ,ঔরঙ্গজেবের সম্মুখে দাঁড়ার ছিন্ন মুন্ড , ভারতমাতা ,পার্থসারথি, অশোকের রানী ,দেবদাসী ,কাজরি নৃত্য ,বন্দিনী সীতা ইত্যাদি।

*** বাংলা চলচিত্রের ইতিহাসে সত্যজিৎ রায়ের অবদান আলোচনা করো ।

যে বাঙালি চলচ্চিত্রকার আন্তর্জাতিক মহলে বাংলা সিনেমাকে পরিচিতি দিয়েছিলেন, তিনি হলেন সত্যজিৎ রায় (১৯২১- ১৯৯২)। তিনি একইসঙ্গে একজন চলচ্চিত্র পরিচালক, প্রযোজক, কাহিনিকার, চিত্রনাট্যকার, সাহিত্যিক, সঙ্গীত পরিচালক এবং গীতিকার। তাঁর হাতে বাংলা সিনেমার নতুন অধ্যায় সূচিত হয়েছিল।


উল্লেখযোগ্য সিনেমা:- সত্যজিৎ রায়ের প্রথম ছবি বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপন্যাস অবলম্বনে 'পথের পাঁচালী' (১৯৫৫)। কান চলচ্চিত্র উৎসবে এই সিনেমাটি 'দ্য বেস্ট হিউম্যান ডকুমেন্ট' শিরোপা পেয়েছিল। সত্যজিৎ রায়ের 'পথের পাঁচালী', 'অপরাজিত' ও 'অপুর সংসার'- এই তিনটি সিনেমাকে একত্রে অপু ট্রিলজি বলা হয়। তাঁর অন্যান্য ছবির মধ্যে রয়েছে 'জলসাঘর', 'পরশপাথর', 'চারুলতা', 'কাঞ্চনজঙ্ঘা', 'অরণ্যের দিনরাত্রি', 'অশনি সংকেত', 'জন অরণ্য', 'প্রতিদ্বন্দ্বী' 'তিন কন্যা', 'শতরঞ্জ কে খিলাড়ি', 'ঘরে বাইরে', 'শাখা প্রশাখা', 'নায়ক' ইত্যাদি। এছাড়া শিশু-কিশোরদের জন্য তৈরি 'গুপী গাইন বাঘা বাইন', 'হীরক রাজার দেশে', 'সোনার কেল্লা', 'জয় বাবা ফেলুনাথ' সিনেমাগুলি এখনো সমান জনপ্রিয়।

পুরস্কার ও সম্মাননা :- চলচ্চিত্রশিল্পে তাঁর অবদানের জন্য সত্যজিৎ রায় বহু পুরস্কার ও সম্মানে ভূষিত হয়েছেন। সেগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল- অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের দেওয়া সাম্মানিক ডক্টরেট ডিগ্রি, ফ্রান্সের বিশেষ সম্মনসূচক পুরস্কার লেজিওঁ অফ অনার, ভারতের সর্বোচ্চ চলচ্চিত্র পুরস্কার দাদাসাহেব ফালকে এবং বিশ্ব চলচ্চিত্রের সর্বোচ্চ পুরস্কার একাডেমি (অস্কার) সম্মানসূচক পুরস্কার। এছাড়া মৃত্যুর কিছুদিন আগে তাঁকে ভারত সরকারের সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মান ভারতরত্ন প্রদান করা হয়।

*** বাংলা চলচ্চিত্রে ঋত্বিক ঘটকের অবদান  লেখ ।

বাংলা চলচ্চিত্রের ইতিহাসে ঋত্বিক ঘটক এক স্মরণীয় অধ্যায়। সত্যজিৎ রায়ের সমসাময়িক যুগে যারা বাংলা সিনেমা নির্মাণে অনন্যতার বিরল স্বাক্ষর রেখেছিলেন, তাঁদের মধ্যে ঋত্বিক ঘটক অগ্রগণ্য।

বিংশ শতাব্দীর একজন বিখ্যাত বাঙালি চলচ্চিত্র পরিচালক হলেন ঋত্বিক ঘটক। ঋত্বিক ঘটক চলচ্চিত্র জগতে পা রাখেন নিমাই ঘোষের 'ছিন্নমূল' (১৯৫১) সিনেমার মধ্য দিয়ে। এখানে তিনি একই সঙ্গে অভিনয় ও সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ করেন। এরপর ১৯৫২ সালে তাঁর একক পরিচালনায় মুক্তি পায় 'নাগরিক' সিনেমাটি। সিনেমাটি ১৯৫২ সালে তৈরি হলেও তা যুক্তি পেয়েছিল ১৯৭৭ সালে। ষাটের দশকে ঋত্বিক ঘটক পরপর তিনটি ছবি বানান 'মেঘে ঢাকা তারা, (১৯৬০), 'কোমল গান্ধার' (১৯৬১), এবং'সুবর্ণরেখা'। এই তিনটি চলচ্চিত্রকে একত্রে 'ট্রিলজি' বা 'ত্রয়ী চলচ্চিত্র' বলা হয়। সিনেমাগুলিতে তৎকালীন দেশভাগের যন্ত্রণা এবং উদ্বাস্তু জীবনের রুঢ় বাস্তবতা চিত্রিত হয়েছে। ১৯৭০ সালে তাঁর তৈরি 'তিতাস একটি নদীর নাম' এক অবিস্মরণীয় ও মহাকাব্যিক সৃষ্টি। ১৯৭৪ সালে 'যুক্তি-তক্কো আর গপ্পো' নামে তিনি আর একটি সিনেমা তৈরি করেন, এটিই তাঁর পরিচালিত শেষ ছবি।

ঋত্বিক ঘটক মনেপ্রাণে ছিলেন মার্কসীয় আদর্শে বিশ্বাসী। তাই তাঁর পরিচালিত চলচ্চিত্র গুলিতে বামপন্থা ও মানবতাকে তিনি কখনোই উপেক্ষা করে যেতে পারেননি। অনেক সমালোচক ঋত্বিক ঘটকের সিনেমায় অতি নাটকীয়তা ও ভারসাম্যহীনতার কথা বললেও আজকের দর্শক জানেন তিনি ছিলেন সময়ের থেকে এগিয়ে থাকা একজন চিত্র পরিচালক। আবেগ মননে, সংলাপে, দৃশ্যের সংঘর্ষ নির্মাণে তাঁর সিনেমা ছিল অভিনব। তিনি সিনেমার মাঝে মাঝে এমন এমন কিছু কাব্য মুহূর্ত তৈরি করেন, যা দর্শকের মনকে নাড়িয়ে দিয়ে যায়। 


পুরস্কার ও সম্মাননা :-  ১৯৭০ সালে ভারত সরকার তাকে শিল্পকলায় পদ্মশ্রী উপাধিতে ভূষিত করেন। 'হীরের প্রজাপতি' চলচ্চিত্রের জন্য শ্রেষ্ঠ শিশুতোষ চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। 'যুক্তি তক্কো আর গপ্পো' চলচ্চিত্রের জন্য শ্রেষ্ঠ কাহিনীকার বিভাগে ভারতের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন।

ix history Final

 *** দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের বিভিন্ন কারণগুলি আলোচনা করো।

উত্তর:-  দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ (১৯৩৯-'৪৫ খ্রি.) ছিল বিশ্ব ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়ানক যুদ্ধ। এই যুদ্ধে একদিকে ছিল অক্ষশক্তিভুক্ত জার্মানি, ইটালি, জাপান প্রভৃতি রাষ্ট্র এবং অন্যদিকে ছিল ইংল্যান্ড, ফ্রান্স, রাশিয়া, আমেরিকা প্রভৃতি রাষ্ট্র। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের  কারণগুলি  ছিল ---

1.ত্রুটিপূর্ণ ভার্সাই সন্ধি: - প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর বিজয়ী মিত্রশক্তি পরাজিত জার্মানির ওপর তীব্র বৈষম্যমূলক ভার্সাই সন্ধি (১৯১৯ খ্রি.) চাপিয়ে দেয়। এই সন্ধির দ্বারা জার্মানির বিভিন্ন ভূখণ্ড, শিল্পাঞ্চল, খনি ও উপনিবেশগুলি কেড়ে নেওয়া হয় । জার্মানির সামরিক শক্তি হ্রাস করা হয়। জার্মানির ওপর বিপুল পরিমাণ আর্থিক ক্ষতিপূরণের বোঝা চাপানো হয়। ঐতিহাসিক ই এইচ কার একে 'জবরদস্তিমূলক চুক্তি' বলে অভিহিত করেছেন। জার্মানি এই 'একতরফা চুক্তি' ভেঙে ফেলার সুযোগের অপেক্ষায় ছিল।

2.ঔপনিবেশিক লড়াই:- বিংশ শতকের শুরুতে বিশ্বের অধিকাংশ উপনিবেশ ইংল্যান্ড, ফ্রান্স, বেলজিয়াম, হল্যান্ড, আমেরিকা প্রভৃতি দেশের দখলে চলে যায়। পরবর্তীকালে ইটালি, জাপান প্রভৃতি দেশ খুব বেশি উপনিবেশ দখল করার সুযোগ না পেয়ে ক্ষুদ্ধ হয়। ফলে উপনিবেশের অধিকার নিয়ে বিভিন্ন দেশের মধ্যে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা শুরু হয়।

3.একনায়কতন্ত্রের উত্থান: - প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর কয়েকটি দেশে একনায়কতান্ত্রিক শাসকের উদ্ভব ঘটে। এদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন ইটালির ফ্যাসিস্ট শাসক মুসোলিনি, জার্মানির নাৎসি শাসন হিটলার, জাপানের শাসন তোজো প্রমুখ। তাদের উগ্র সাম্রাজ্যবাদ ও যুদ্ধবাদী নীতি বিশ্বে অশান্তি সৃষ্টি করে।

4.নিরস্ত্রীকরণ সম্মেলনের ব্যর্থতা: - জেনিভার নিরস্ত্রীকরণ সম্মেলনে (১৯৩৩ খ্রি.) বৃহৎ শক্তিগুলি জার্মানির অস্ত্রশক্তি হ্রাসে অত্যন্ত উদ্‌গ্রীব হলেও তারা নিজেদের অস্ত্রশক্তি হ্রাস করতে রাজি ছিল না। জার্মানি নিজের সামরিক শক্তি বৃদ্ধির সুযোগ না পেয়ে সম্মেলন ত্যাগ করে নিজের ইচ্ছামতো সামরিক শক্তি বৃদ্ধি করতে থাকে।

5.জাতিসংঘের ব্যর্থতা: - প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য নিয়ে জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠিত হলেও জাতিসংঘ তার লক্ষ্যপূরণে বারবার ব্যর্থ হয়। যেমন-  জাপান চিনের মাঞ্চুরিয়া দখল (১৯৩১ খ্রি.) করলেও জাতিসংঘ জাপানের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিতে পারেনি  । ইটালি অ্যাবিসিনিয়া দখল (১৯৩৬ খ্রি.) করলে জাতিসংঘ তা প্রতিরোধ করতে ব্যর্থ হয়।কিন্তু এই রকম পরিস্থিতিতেও জাতিসংঘ নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করে।

6.শক্তিজোট: - দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আগে বিশ্ব পরস্পর- বিরোধী দুটি সশস্ত্র শিবিরে বিভক্ত হয়ে পড়ে। একদিকে থাকে ইংল্যান্ড, ফ্রান্স, রাশিয়া, আমেরিকা প্রভৃতি দেশকে নিয়ে গড়ে ওঠা 'মিত্রশক্তি' এবং অন্যদিকে থাকে জার্মানি, ইটালি, জাপান প্রভৃতি দেশকে নিয়ে গড়ে ওঠা 'অক্ষশক্তি'। উভয় শিবিরের মধ্যে সমরসজ্জার প্রতিযোগিতা শুরু হয়।

7.ইঙ্গ-ফরাসি তোষণ: জার্মানি, ইটালি, জাপান প্রভৃতি সাম্রাজ্যবাদী রাষ্ট্র ক্রমাগত ভার্সাই সন্ধির বিভিন্ন ধারাগুলি লঙ্ঘন করে বিভিন্ন দেশে আগ্রাসন চালায়। এই আগ্রাসন প্রতিরোধের চেষ্টা না করে ইঙ্গ-ফরাসি শক্তি দীর্ঘদিন সাম্রাজ্যবাদী শক্তিগুলিকে তোষণ করতে থাকে। ইঙ্গ- ফরাসি শক্তি মনে করত যে, তোষণনীতির মাধ্যমে যুদ্ধ এড়ানো যাবে। কিন্তু এই তোষণনীতির ফলে সাম্রাজ্যবাদী দেশগুলির আগ্রাসন আরও বেড়ে যায়।

৪. প্রত্যক্ষ কারণ: জার্মানির শাসক হিটলার ১৯৩৯  খ্রিস্টাব্দের ১ সেপ্টেম্বর পোল্যান্ড আক্রমণ করলে ৩ সেপ্টেম্বর ইঙ্গ-ফরাসি শক্তি জার্মানির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে। ফলে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয়।


* *পার্ল হারবারের ঘটনাটি কী? (Marks-4)

অথবা, পার্ল হারবারে জাপান কর্তৃক বোমাবর্ষণ সম্পর্কে কী জান?

উত্তর:-  পার্ল হারবার হল প্রশান্ত মহাসাগরের হাওয়াই দ্বীপে অবস্থিত একটি বন্দর। এখানে আমেরিকা তার নৌঘাঁটি স্থাপন করেছিল। ইউরোপে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলার সুযোগে এশীয় রাষ্ট্র জাপান প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল ও দূরপ্রাচ্যের বিভিন্ন স্থানে আগ্রাসী নীতি প্রয়োগ করে। আমেরিকা এই আগ্রাসনের বিরোধিতা করলে আমেরিকা ও জাপানের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি ঘটে।

1. আমেরিকার উদ্যোগ:- জাপানের আগ্রাসী নীতির ফলে আমেরিকা জাপানের সঙ্গে পুরোনো বাণিজ্যিক চুক্তিটি বাতিল করে দেয়। জাপানে পেট্রোলিয়ামজাত পণ্য-সহ বেশ কয়েকটি পণ্য সরবরাহ বন্ধ করে দেয়। আমেরিকায় অবস্থিত জাপানি সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে। এসব ঘটনায় জাপান ক্ষুদ্ধ হয়।

2. যুদ্ধের সম্ভাবনা:- জাপান খনিজ তেলসমৃদ্ধ দক্ষিণ ইন্দোচিন দখল (১৯৪১ খ্রি.) করে নিলে জাপানের সঙ্গে আমেরিকা সব ধরনের বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছিন্ন করে। এরপর চিন ও ইন্দোচিন থেকে জাপানি সেনা প্রত্যাহারের দাবি জানায়। আমেরিকার এই দাবি জাপান প্রত্যাহার করলে উভয় পক্ষের মধ্যে যুদ্ধের সম্ভাবনা দেখা দেয়।

3.  পার্ল হারবারে আক্রমণ:- জাপান ১৯৪১ খিস্টাব্দের ৭ ডিসেম্বর সকালে বিশাল নৌবহর ও ৩৩৫টি যুদ্ধবিমান নিয়ে ডাইস অ্যাডমিরাল নোগুচি-র নেতৃত্বে আমেরিকার নৌঘাঁটি পার্ল হারবারে বোমাবর্ষণ শুরু করে এবং এখানকার মার্কিন নৌঘাঁটি ধ্বংস করে দেয়। এটি পার্ল হারবারের ঘটনা নামে পরিচিত।

4 দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে যোগদান: - পার্ল হারবারের ঘটনার পরদিন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নিরপেক্ষতা নীতি ত্যাগ করে সক্রিয়ভাবে জাপানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে যোগ দেয়। ফলে প্রাচ্যে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ে।


*** টীকা লেখো: রুশ-জার্মান অনাক্রমণ চুক্তি

উত্তর। নাৎসি শাসক হিটলার যেমন কমিউনিস্ট-বিরোধী ছিলেন তেমনি কমিউনিস্ট শাসক স্ট্যালিনও তীব্র নাৎসি-বিদ্বেষী ছিলেন।হিটলার এবং স্ট্যালিনের মধ্যে বিরোধ থাকা সত্ত্বেও বিশেষ পরিস্থিতিতে উভয়ের মধ্যে মিত্রতা স্থাপিত হয়।

1.জার্মানির উদ্দেশ্য: - পোল্যান্ড আক্রমণ করতে গিয়ে একই সঙ্গে পূর্ব সীমান্তে রাশিয়া এবং পশ্চিম সীমান্তে ইঙ্গ-ফরাসি শক্তির বিরুদ্ধে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়তে হতে পারে বলে হিটলার আপাতত রাশিয়ার সঙ্গে মিত্রতা স্থাপনের দ্বারা পূর্ব সীমান্তে যুদ্ধের সম্ভাবনা দূর করেন।

2. রাশিয়ার উদ্দেশ্য:-  সাম্যবাদ-বিরোধী ইঙ্গ-ফরাসি শক্তির সঙ্গে জোট গঠনে ব্যর্থ হয়ে রাশিয়া নিজের নিরাপত্তার প্রয়োজনে জার্মানির সঙ্গে মিত্রতা স্থাপনে আগ্রহী হয়।

3 .  চুক্তি স্বাক্ষর:-  রাশিয়া ও জার্মানির মধ্যে ১৯৩৯ খ্রিস্টাব্দে (২৩ আগস্ট) রুশ-জার্মান অনাক্রমণ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এই চুক্তি স্বাক্ষরে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী মলোটভ এবং জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী রিবেনট্রপ।

4 চুক্তির শর্তাবলি:-  রুশ-জার্মান অনাক্রমণ চুক্তির দ্বারা স্থির হয় যে, রাশিয়া ও জার্মানি- 

[a] শান্তিপূর্ণ উপায়ে নিজেদের মধ্যে বিবাদের মীমাংসা করবে।

 [b] পরবর্তী ১০ বছর একে অপরকে আক্রমণ করবে না। 

[c] তৃতীয় কোনো শক্তির দ্বারা আক্রান্ত হলে কেউ তৃতীয় পক্ষকে সহায়তা করবে না।

 [d] পোল্যান্ডকে নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি করে নেবে।

5 চুক্তিভঙ্গ: রাশিয়ার সঙ্গে অনাক্রমণ চুক্তি সত্ত্বেও হিটলার দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় চুক্তি ভঙ্গ করে ১৯৪১ খ্রিস্টাব্দে (২২ জুন) রাশিয়া আক্রমণ করেন।


*** ইটালিতে মুসোলিনির নেতৃত্বে ফ্যাসিস্ট দলের ক্ষমতা লাভের প্রেক্ষাপট আলোচনা করো।

উত্তর। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর দেশের সংকটজনক পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে মুসোলিনির নেতৃত্বে ফ্যাসিস্ট দল ১৯২২ খ্রিস্টাব্দে ইটালির শাসনক্ষমতা দখল করে।

ইটালিতে ফ্যাসিস্ট দলের ক্ষমতা দখল:- ইটালিতে মুসোলিনির নেতৃত্বে ফ্যাসিস্ট দলের ক্ষমতা দখলের প্রেক্ষাপট ছিল-

1 ইটালির দুর্দশা:- প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর ইটালিতে চরম রাজনৈতিক অস্থিরতা, অর্থনৈতিক সংকট, সামাজিক দুর্দশা, শ্রমিক ধর্মঘট, দাঙ্গা, লুঠতরাজ প্রভৃতি দেশকে এক চরম দুর্দশার দিকে ঠেলে দেয়। ফলে সরকারের ওপর ইটালিবাসী চরম ক্ষুদ্ধ হয়।

2 মুসোলিনির প্রচার:-  মুসোলিনি প্রচার করেন যে, প্রথম বিশ্বযুদ্ধে ইটালি মিত্রপক্ষের হয়ে যুদ্ধ করা সত্ত্বেও যুদ্ধের পর ভার্সাই সন্ধিতে ইটালিকে তার প্রাপ্য স্থানগুলি থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। তাঁর প্রচার ইটালির সেনা-অফিসার ও বেকার যুবকদের উদ্দীপ্ত করে।

3 ফ্যাসিস্ট দল গঠন:- মুসোলিনি ইটালির মিলান শহরে ১৯১৯ খ্রিস্টাব্দে (২৩ মার্চ) বেকার সৈনিক ও দেশপ্রেমিকদের এক সমাবেশে 'ফ্যাসিস্ট' দল প্রতিষ্ঠা করেন।

4 দলের সংগঠন:- ফ্যাসিস্ট দল শীঘ্রই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে অসংখ্য শাখা গড়ে তোলে। ১৯২১ খ্রিস্টাব্দে এই দলের সদস্যসংখ্যা প্রায় ৩ লক্ষে পৌঁছায়। মুসোলিনি বেকার সৈনিক ও যুবকদের নিয়ে 'ব্ল‍্যাক শার্টস' নামে একটি আধা-স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী গড়ে তোলেন।

5 রোম অভিযান:- ফ্যাসিস্ট দল ১৯২২ খ্রিস্টাব্দে বলপ্রয়োগ করে সমাজতন্ত্রীদের ধর্মঘট ভেঙে দিয়ে রাতারাতি জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। এরপর 'ব্লাক শার্টস' বাহিনীর ৫০ হাজার সদস্যকে নিয়ে মুসোলিনি রাজধানী রোম অভিযান (২৭ অক্টোবর) করেন।

6. ক্ষমতা দখল: - মুসোলিনির রোম অভিযানের ফলে রোমের ফ্যাক্টা মন্ত্রীসভা পদত্যাগ করে। রাজা তৃতীয় ভিক্টর ইমান্যুয়েল তাঁকে মন্ত্রীসভা গঠনের আহ্বান জানালে তাঁর নেতৃত্বে ফ্যাসিস্ট দল ইটালির ক্ষমতা দখল করে (৩০ অক্টোবর, ১৯২২ খ্রি.)।

*** রোম-বার্লিন-টোকিও অক্ষচুক্তি সম্পর্কে আলোচনা করো।

উত্তর। প্রথম  বিশ্বযুদ্ধের পর যেসব উগ্র সাম্রাজ্যবাদী একনায়কের আবির্ভাব ঘটে তাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন ইটালির মুসোলিনি, জার্মানির হিটলার এবং জাপানের তোজো।

1 ঘনিষ্টতার উদ্যোগ:- জার্মান শাসক হিটলারের শক্তিবৃদ্ধিতে আতঙ্কিত হয়ে ইটালির শাসক মুসোলিনি ফ্রান্সের সঙ্গে মিত্রতা গড়ে তোলেন। কিন্তু হিটলার উপলব্ধি করেন যে, জার্মানি ভবিষ্যতে অস্ট্রিয়া দখলের উদ্যোগ নিলে ইটালির সমর্থন তাঁর বিশেষ প্রয়োজন। মুসোলিনি ১৯৩৫ খ্রিস্টাব্দে অ্যাবিসিনিয়া আক্রমণ করলে হিটলার তাঁকে সমর্থন করেন। ফলে মুসোলিনি ও হিটলারের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা বৃদ্ধি পায়।

2. রোম-বার্লিন-টোকিও অক্ষচুক্তি:- মুসোলিনি ও হিটলারের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা বৃদ্ধি পেলে উভয়ের মধ্যে মিত্রতা (অক্টোবর, ১৯৩৬ খ্রি.) গড়ে ওঠে। ইটালি ও জার্মানির মধ্যে স্থাপিত এই মিত্রতা 'রোম-বার্লিন অক্ষচুক্তি' নামে পরিচিত।  জার্মানি ও জাপানের অ্যান্টি-কমিন্টার্ন জোটে ইটালি যোগ (৬ নভেম্বর, ১৯৩৭ খ্রি.) দিলে ইটালি, জার্মানি ও জাপানের মধ্যে 'রোম- বার্লিন-টোকিও অক্ষচুক্তি' মৈত্রীজোট গড়ে ওঠে।

শর্তাবলী:- ইটালি, জার্মানি জেনে রাখো ও জাপানের মধ্যে গড়ে ওঠা জোটের নামকরণে 'অক্ষ' শব্দটি প্রথম ব্যবহার করেন মুসোলিনি।  রোম-বার্লিন-টোকিও অক্ষচুক্তির দ্বারা স্থির হয় যে-

 [a] এই জোটের কোনো রাষ্ট্র চতুর্থ কোনো রাষ্ট্রের দ্বারা আক্রান্ত হলে তারা একে অন্যকে সহায়তা করবে।

 [b] এই চুক্তির স্থায়িত্ব হবে ১০ বছর।