Monday, December 30, 2024

B.A CBPBU 1st Sem Minor 1 Bengali Question

B.A CBPBU 1st Sem Minor 1 Bengali Question 

1. চর্যাপদ কে কোথা থেকে কত সালে আবিস্কার করেন ? চর্যাপদের আবিস্কার কাল , ছন্দ সম্পর্কে আলোচনা করো । চর্যাপদের সাহিত্যমূল্য আলোচনা করো । 2+3+5 ***

Ans:- বাংলা ভাষায় রচিত প্রাচীনতম গ্রন্থটির নাম চর্যাপদ। চর্যার টীকাকার মুনিদত্তের টীকা  বা ভাষ্যরচনা থেকে পাওয়া গ্রন্থটির  শিরোনাম যথাক্রমে 'চর্যাচর্যবিনিশ্চয়' ও 'চর্যাগীতিকোষবৃত্তি'।

১৯০৭ সালে নেপালের রাজদরবারের গ্রন্থাগার থেকে হরপ্রসাদ শাস্ত্রী (ভট্টাচার্য) চর্যাপদের পুঁথির সন্ধান পান।

নেপাল রাজদরবারে প্রাপ্ত সংকলিত গ্রন্থটির নাম ছিল 'চর্যাগীতিকোষ'। গ্রন্থের আবিষ্কর্তা শাস্ত্রী মহাশয় তাঁর নতুন নামকরণ করেন 'চর্যাচর্যবিনিশ্চয়।' 'চর্যাগীতি কোষ' গ্রন্থটি মূলতঃ টীকা বা ভাষ্য রচনা কেন্দ্রিক ব্যাখ্যামূলক একখানি পুঁথি ।  কিন্তু পুঁথিটির শেষের কয়েকটি পাতা ছেঁড়া ছিল বলে খণ্ডিত সেই পুঁথির টীকাকারের নাম জানা যায়নি।

■ চর্যার রচনা কাল:- 

চর্যার রচনাকাল নিয়ে বিতর্ক আছে। গ্রন্থটির আবিষ্কারক হরপ্রসাদ শাস্ত্রী, গ্রন্থের ব্যাখাকর্তা  ড. সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় ও ড. সুকুমার সেন প্রমুখ পণ্ডিতগণ চর্যাগীতি গুলিকে সাধারণ ভাবে দশম ও দ্বাদশ শতকের অন্তবর্তীকালের রচনা বলে মনে করেন। 

চর্যার পদকর্তা ও পদসংখ্যা :- 

চর্যাগীতিতে লুইপাদ, সরহপাদ, কাহ্নপাদ প্রভৃতি নামোপাধিযুক্ত ২৪ জন পদকর্তার ৫১ টি পদ সংকলিত হয়েছিল। তার মধ্যে সাড়ে ছেচল্লিশটিপদ অক্ষত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে। চর্যাগীতিতে সংকলিত পদগুলির মধ্যে সর্বাধিক সংখ্যক পদের রচয়িতা কাহ্নপাদ (পদসংখ্যা-১০টি) তারপরে ভুসুকুপাদ (পদসংখ্যা-৮) এবং সরহ বা সরহপাদ (পদ সংখ্যা-৪), বাকিপদ-কর্তাগণের কেউ তিনটি কেউ দুটি এবং কেউ একটি করে পদ রচনা করেন।

■ চর্যাপদের ভাষা :- 

হরপ্রসাদ শাস্ত্রী চর্যাচার্য-বিনিশ্চয় গ্রন্থের ভূমিকায় মুনিদত্তের সংস্কৃত ধারাভাষ্যের উপর ভিত্তি করে চর্যাপদের শ্লোকের রহস্যময় ভাষাকে সান্ধ্যভাষা বা আলো-আঁধারি ভাষা হিসেবে উল্লেখ করেন। বিধুশেখর শাস্ত্রী বেশ কিছু বৌদ্ধ গ্রন্থ থেকে প্রমাণের ভিত্তিতে পরে এই ভাষাকে 'ইচ্ছাকৃত ভাষা' (সংস্কৃত: সন্ধ্যা-ভাষা) হিসেবে উল্লেখ করেন। চর্যাপদের ভাষা অস্পষ্ট ও দুর্বোধ্য। সেই কারণে চর্যায় ব্যবহৃত ভাষাকে হরপ্রসাদ শাস্ত্রী বলেছেন সন্ধ্যাভাষা।

■ ছন্দ ও অলংকার:- 

চর্যার পদগুলি প্রধানত পয়ার ও ত্রিপদী পদে রচিত। এতে মাত্রাছন্দের প্রভাবও দেখা যায়। ১৬ মাত্রার পাদাকুলক ছন্দের ব্যবহারই এখানে বেশি। তবে সর্বত্র নির্দিষ্ট মাত্রারীতি দেখা যায়নি।

■ চর্যার সমাজচিত্র:- 

চর্যাগীতিগুলির বেশির ভাগই রচিত হয়েছে বাংলা দেশ ও বাঙালি-জীবনের পটভূমিকায়। ফলে প্রাচীন বাংলা ও বাঙালিজীবনের নানা ঘটনাবলী উঠে এসেছে চর্যার গানে।

অবশ্য সেখানে বাস্তব জীবনের ছবিগুলি অধ্যাত্মসংগীতে এক একটা আবরণ বা রূপকের ছদ্মবেশ নিয়ে ধরা পড়েছে। ফলে দৈনন্দিন জীবনের নানা ঘটনা যেমন জীবনচর্যা, তাদের আচার-ব্যবহার রীতি-নীতি, হাস্য-পরিহাস, বৃত্তি, ব্যবসা-বাণিজ্য অর্থনৈতিক-অবস্থান, দাম্পত্য জীবনের প্রেম-প্রীতি-অনুরাগ-বিরাগ, সংশয়, বিশ্বাস, আমোদ-প্রমোদ প্রভৃতি খুটিনাটির বর্ণনা  প্রকাশিত হয়েছে। সুতরাং প্রাচীন বাংলার সমাজ জীবনের ঐতিহাসিক দলিল রূপে 'চর্যাগীতি'গুলিকে গ্রহণ করা যায়।

■  চর্যার সাহিত্যমূল্য:- 

চর্যাপদে বাস্তব অথচ কাব্যময় নিখুঁত দৃশ্য ছায়াছবির মতো পাঠকের মনের চোখের উপর দিয়ে ভেসে যায়। প্রকৃতি ও মানুষকে কত নিবিড় ভাবে চিনতে এবং ভালোবাসলে এই ছবিগুলি আঁকা যায় তা সহজেই অনুমেয়। 

বাংলা সাহিত্যের শ্রেষ্ঠ ইতিহাসকার ডঃ অসিতকুমার বন্দ্যোপাধ্যায় মন্তব্য করেছেন ,  "প্রতীক রূপকের সাহায্যে চিত্র সৃষ্টি, আখ্যানের ইঙ্গিত, মানব চরিত্রের মধ্যে সুখ-দুঃখের বিরহ মিলনের দৈনন্দিন জীবন চিত্র চর্যার দর্শন ও তত্ত্বের নিষ্প্রাণতাকে কাব্যরসের স্পর্শে সজীব করিয়াছে"।

● প্রকৃতি বর্ণনা: চর্যাপদের পদগুলির মধ্যে গভীর গূঢ় অর্থ থাকলেও তার বাইরের সাধারণ অর্থে  প্রকৃতির নির্মল চিত্র ফুটে উঠেছে।

● আখ্যানধর্মীতা: আখ্যানধর্মীতা চর্যাপদের সার্থক সাহিত্য হয়ে ওঠার আরেকটি কারণ। চর্যার কোনো কোনো পদে আখ্যান বা  কাহিনির সন্ধান মেলে।

● ছন্দ ও অলংকার প্রয়োগ:- চর্যাপদের সাহিত্যিক মূল্য ভাব, ভাষা, ছন্দ, অলঙ্কার ইত্যাদি বিষয় নিয়ে প্রমাণ করা গেলেও কিন্তু কাব্য বিচারে এই সমস্ত মাপকাঠিই সব নয়। সবচেয়ে বড়ো মাপ কাঠি পাঠকের অনুভূতি। যদি সেই অনুভূতিতে কোনো কাব্য নাড়া দিতে পারে তবে তার ভাষা ছন্দ অলঙ্কার প্রয়োগের অসম্পূর্ণতা থাকলেও তা-ই সত্যিকার কাব্য। ভাষা, ছন্দ, অলঙ্কারের দিকে চর্যাপদ নিশ্চয় ত্রুটি মুক্ত নয়, কিন্তু তা সত্ত্বেও চর্যাপদকে সুষ্ঠু সুন্দর কাব্য বলে স্বীকার করতে দ্বিধা হয় না, কারণ চর্যাপদে আছে সুগভীর মানবতাবোধের নির্মল অনুভূতি। চর্যাপদ সেই দিক দিয়ে অমূল্য সৃষ্টি।

■ উপসংহার:-

 উপরিউক্ত বৈশিষ্ট্যগুলি আলোচনা করে বলা যায় যে বৌদ্ধ সাধন সংগীত হলেও চর্যাপদ আদর্শ সাহিত্য হয়ে উঠেছে। চর্যার ভাব ও রূপ সাহিত্য গুণের দিক থেকে উৎকৃষ্ট ছিল বলেই পরবর্তী সাহিত্যে তাঁর স্পষ্ট প্রভাব পড়েছিল। 

2. শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যের আবিষ্কার কাল ও আবিষ্কারক কে ছিলেন ? এর  সমাজ চিত্র আলোচনা করো ?  শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যে প্রকৃতি আলোচনা করো ?  2+3+5 ***

Ans:- আদি-মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক দলিল হিসেবে চিহ্নিত শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্য। এই একটি মাত্র গ্রন্থ আবিষ্কার ও প্রকাশের পর নিস্তরঙ্গ বাংলা সাহিত্যে তুমুল  আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছিল । দীর্ঘকাল ধরে প্রচলিত ধারণার মূলে আঘাত করেছিল এ কাব্যের আবিষ্কার।  বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের ক্ষেত্রে চিন্তা-চেতনার এক নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হয়েছিল শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্য আবিষ্কারের ফলে।

■ আবিষ্কার কাল ও আবিষ্কারক:- 

শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যের পুথিটি বসন্তরঞ্জন রায় বিদ্ববল্লভ আবিষ্কার করেন ১৩১৬ বঙ্গাব্দে। তিনি বিষ্ণুপুরের কাছে কাঁকিল্যা গ্রামের দেবেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়ের গোয়ালঘরের আদি-মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যের মাচা থেকে শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যের পুঁথিটি খুঁজে পান। পুঁথিটি ঐতিহাসিক দলিল হিসেবে চিহ্নিত 'শ্রীকৃষ্ণকীর্তন' কাব্য। 'শ্রীকৃষ্ণকীর্তনে'র আবিষ্কার কাল ১৩১৬ বঙ্গাব্দ। প্রকাশকাল  এখনও নির্ণয় করা সম্ভব হয়নি।

■ সমাজ চিত্র:- 

■ শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যে প্রকৃতি:- 

শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যটি রাধা-কৃষ্ণের প্রেমলীলা বিষয়ক কাব্য।  গ্রন্থটি ১৩টি অংশে বিভক্ত- জন্মখণ্ড, তাম্বুলখণ্ড, দানখণ্ড, নৌকাখণ্ড, ভারখণ্ড, ছত্রখণ্ড, বৃন্দাবনখণ্ড, কালিয়দমন খণ্ড, হারখণ্ড, যমুনাখণ্ড, বাণখণ্ড, বংশীখণ্ড ও রাধাবিরহ।

জন্মখণ্ডে কৃষ্ণ-আবির্ভাবের পৌরাণিক ভূমিকা রচনা করা হয়েছে। কংসের পাপে পীড়িতা পৃথিবীর দুঃখমোচনের জন্য ভগবান নারায়ণ কৃষ্ণরূপে আবির্ভূত হয়েছিলেন। দানখণ্ডে কৃষ্ণ মথুরার পথে দানী সেজে বসল এবং পথের বকেয়া মাশুলের পরিবর্তে 'দানী' কৃষ্ণ রাধার যৌবন দাবী করল দান হিসেবে। বিরহখণ্ডে রাধার হৃদয়ের আর্তির মধ্যে অসম্পূর্ণ গ্রন্থের সমাপ্তি ঘটেছে।


নাটগীতিমূলক এই আখ্যায়িকাতে লৌকিক জীবনের সমাজচিত্র বিচ্ছিন্নভাবে রয়েছে। গ্রন্থমধ্যে ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয়, বৈশ্য, শূদ্র, কুমার, তেলী, নাপিত, বৈদ্য, আচার্য,  প্রভৃতি নানা জাতি-সম্প্রদায়ের প্রসঙ্গ উল্লেখিত হয়েছে। ব্যবহারিক জীবনচর্যার দৈনন্দিন দিক থেকেও কবি বিভিন্ন উপাদন সংগ্রহ করেছেন। শ্রীকৃষ্ণকীর্তনে' সোনা, হীরা, মণি, মুক্তা ইত্যাদি রত্নের উল্লেখ-প্রাচুর্য সাধারণ লোকেরও সচ্ছল অবস্থার পরিচয় বহন করে । কবি গোয়ালিনী রাধাকেও নানা অলঙ্কারে সুসজ্জিতা করে তুলেছেন। এছাড়া সমকালীন লোকাচার ও লোকবিশ্বাস-এর পরিচয়ও পাওয়া যায় শ্রীকৃষ্ণকীর্তনে।

3. বাংলা ভাষায় শ্রেষ্ঠ ভাগবত অনুবাদকের নাম কি? তাঁর অনুবাদকর্ম ও কবিত্ব প্রতিভার পরিচয় দাও। **  1+4

অথবা, 

মালাধর বসুর কবিপ্রতিভা আলোচনা করো । 5

অথবা, 

শ্রীকৃষ্ণবিজয় কাব্যের সম্পর্কে আলোচনা করো। 5

উ:- বাংলা ভাষায় শ্রেষ্ঠ ভাগবত অনুবাদক হলেন মালাধর বসু।

পঞ্চদশ শতাব্দীর কবি (প্রাক-চৈতন্যযুগের কবি) মালাধর বসু তার জন্মস্থান বর্ধমান জেলার কুলিন গ্রামে। পিতা—ভগীরথ বসু, মাতা—ইন্দুমতী। কাব্যের শুরুতে কবি আত্মপরিচয় দিয়ে লেখেন-

"বাপ ভগিরথ মোর মা ইন্দুমতি।

জার পুজো হেল মোর তারা অনে মতি।"

‘শ্রীকৃষ্ণবিজয়  ভাগবত পুরাণের অনুবাদক হলেন মালাধর বসু। ভাগবতে দশম ও একাদশ স্কন্ধের অনুবাদে  শ্রীকৃষ্ণের  জীবনমাহাত্ম বর্ণিত হয়েছে যেখানে বারোটি  স্কন্ধে বিভক্ত। মহাপ্রভু শ্রীচৈতন্যদেব কৃদাসকবিরাজ বিরচিত শ্রীশ্রীচৈতন্যচরিতামৃত গ্রন্থে মালাধর বসুর শ্ৰীকৃবিজয় কাব্যের বিশেষ প্রশংসা করেছিলেন।  

■ শ্রীকৃষ্ণবিজয় কাব্য :- 

শ্ৰীকৃবিজয়' কাব্যের রচনাকাল পঞ্চদশ শতাব্দী। কবির কথায় ১৪৭৩ খ্রিস্টাব্দে কাব্য শুরু করেন এবং ১৪৮০ খ্রিস্টাব্দে সম্পূর্ণ করেন।এতে কাব্যটির রচনাকাল বিষয়ক একটি শ্লোক আছে, তা হল-

" তেরশ পঁচানই শকে গ্রন্থ আরগুল।

চতুর্দশ দুই শকে হৈল সমাপন।।"

শ্রীকৃষ্ণবিজয় কাব্যটি 'শ্রীকৃষ্ণবিক্রম', ‘গোবিন্দ বিজয়’ ও ‘গোবিন্দ মঙ্গল' নামেও পরিচিত। শ্রীকৃষ্ণবিজয় তিনটি পর্বে বিভক্ত। আদ্য কাহিনি, মধ্য কাহিনি, অন্তু কাহিনি। মালাধর বসু ভাগবতের কাহিনির বাঙালি রুচিসম্মত সুক্ষ্ম রূপান্তরের মধ্য দিয়ে বাংলা ভাষায় শক্তিবৃদ্ধি ও বাঙালির রসানুভূতিকে দৃঢ় করে গেছেন। সেদিক থেকে বাংলা সাহিত্যের ক্রমবিকাশে মালাধর বসুর 'শ্রীকৃষ্ণুবিজয়' কাব্যটি বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। চৈত্যচরিতামৃতম-এ উল্লেখ আছে, শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু কাবাটির প্রশংসা করে বলেছেন-

" গুণরাজ খান কৈল 'শ্রীকৃষ্ণবিজয়'।

তাঁহা এক বাক্য তাঁর আছে প্রেময়।।

জন্দের অন্দর কৃষ্ণ চোর প্রাণনাখ।

এই বাক্যে বিকাইন্তু তাঁর বংশের হাত।" 

শ্রীকৃষ্ণবিজয়' কাব্যে বাংলাদেশ ও বাঙালি জীবনের পরিচয় পাওয়া যায় - বৃন্দাবন, মথুরা, দ্বারকার চিত্র অঙ্কনের মধ্যে বাঙালি মনোভাব ও বাংলার নিসর্গ প্রকৃতি, বিভিন্ন ফলমূল, ছায়া সুশীতল এবং সৌরভপূর্ণ লাবণ্যময়ী বাংলাদেশের  কথাই রসঘন হয়ে উঠেছে। কবিত্ব শক্তির অভাব থাকা সত্ত্বেও 'শ্ৰীকৃবিজয় কাব্যটি বৈষ্ণব সমাজে সমাদৃত হয়েছিল কারণ—(ক) শ্রীকৃষ্ণবিজয় ভাগবতের অনুবাদ।

‘মধ্যযুগে রামায়ণ, মহাভারত ও ভাগবতের অনুবাদ বাংলা সাহিত্যকে পূর্ণতর মর্যাদা দিয়েছে।একথা বলার কারণ - প্রাচীন বাংলা সাহিত্যে রামায়ণ, মহাভারত ও ভাগবতের অনুবাদ প্রসঙ্গে মনে রাখা দরকার,বৌদ্ধযুগের অবসানে যে পৌরাণিক আদর্শ হিন্দুসমাজ ও সংস্কৃতিকে রক্ষা করেছিল, তার প্রভাবে বাংলা সাহিত্য ও বাঙালির সমাজ বিশেষভাবে নতুন রূপ লাভ করেছে। অনুবাদ সাহিত্যে তার স্পষ্ট ছবি পাওয়া যায়। বস্তুত, এই অনুবাদগুলি না পাওয়া গেলে বাংলা সাহিত্য কোনোদিন ক্লাসিক মহিমা লাভ করতে পারত না।

4.  অনুবাদক হিসাবে কৃত্তিবাসের কৃতিত্ব সম্পর্কে আলোচনা করো। * 5

উ:- বাংলা অনুবাদ সাহিত্যের জগতে কৃত্তিবাস ওঝা স্মরনীয়। তিনি মূলত বাল্মিকির রামায়নের শ্রেষ্ট বাংলা অনুবাদক। তার রচিত রামায়ণের নাম হল শ্রী রামপাচালী।

■  প্রাথমিক জীবন:

কৃত্তিবাস ওঝা জন্মগ্রহণ করেন ১৮৩১ সালে অবিভক্ত বাংলার নদীয়া জেলার ফুলিয়া গ্রামে । তার পিতা ছিলেন বনমালী ওঝা। এবং পিতামহ মুরারি ওঝা ছিলেন শাস্ত্রজ্ঞ পন্ডিত।

■ কৃত্তিবাসী রামায়ণ:- 

কৃত্তিবাসী রামায়ণ মূলত বাল্মিকী রামায়ণের উপর ভিত্তি করে রচিত হলেও, কৃত্তিবাস এই মহাকাব্য বাংলা নিজস্ব ভাবধারা ও স্থানীয় সংস্কৃতি সংযোজন করেছেন। তার লেখনীতে বাংলার গ্রামের ছবি, বাংলার মানুষের দৈনন্দিন জীবন এবং তাদের আচার-আচরণের প্রতিফলন ঘটেছে। তাইতো আর রামায়ণ কাব্য বাংলা ভাষা মানুষের মধ্যে গভীর প্রভাব ফেলে।

■ কৃত্তিবাসী রামায়ণে ভাষা ও শৈলী:-

কৃত্তিবাসী রামায়ণের ভাষা ছিল সহজ, প্রাঞ্জল অসাধারণ মানুষের বোধগমা। তিনি সংস্কৃতের জটিলতা থেকে দূরে থেকে সরল বাংলা ভাষায় রচনা করেছেন। তার অনুবাদ কাজ বাংলা ধর্মীয় ও সামাজিক জীবনে গভীর প্রভাব ফেলে। বাংলার গ্রামাঞ্চলের কৃত্তিবাসী রামায়ণের আসর বসতে শুরু করে। যেখানে মানুষ এই মহাকাব্য পাঠ করে শোনাতেন।

■ কৃত্তিবাসের মৌলিকতা:-

কৃত্তিবাসী রামায়ণ বাঙালি খুঁজে পেয়েছে তার হৃদয়ের ভাষা ও প্রাণের আকুতি। সংস্কৃত রামায়ণের কাহিনী, প্রেক্ষাপট ও চরিত্রগুলি অবিকৃত রেখে কৃত্তিবাসী রামায়ণ বাঙালির জীবনধর্মকে মন্ডিত করে ফেলেছে। কৃত্তিবাসী রামায়ণের বাঙালির দৈনন্দিন জীবনে ছায়াপাত ঘটেছে। রাম লক্ষণের ভাতৃত্ব,  সীতার দুঃখময় বধূজীবন, হনুমানের দাস্যভক্তি, সুগ্রীব বিভীষনের দাস্যভক্তি,  বাঙালির ঘরের জিনিস হয়ে উঠেছে। 

■ কৃত্তিবাসী রামায়ণ এর বৈশিষ্ট্য:-

বাঙালি ও বাংলার কবি কৃত্তিবাস বাল্মিকৃত সংস্কৃত রামায়ণের কাঠামোর মধ্যে নিজের কবি কল্পনাকে মূর্ত করে বাঙালির মন দিয়ে বাঙালির মতো রামায়ণ রচনা করেছেন। এর প্রধান বৈশিষ্ট্য বাঙালির বৈষ্ণবীয় ভক্তিবাদ।  কৃত্তিবাসী রামায়ণের কৃত্তিবাসী স্বরূপে বিচার করতে হবে। বাংলাদেশের পরিচিত জীবন থেকে লৌকিক উপমা রূপক কাজী ব্যবহার করে কৃত্তিবাসী বক্তব্যকে খুবই তির্যক ও তীক্ষ করে তুলেছেন। অলংকার প্রয়োগে কবির কৃতিত্ব এই যে সংস্কৃত অলংকারের সঙ্গে দৈনন্দিন বাঙালির জীবন স্থান পেয়েছে। ফলে কৃত্তিবাসী সৃজনশীল প্রতিভা ফুটে হয়ে উঠেছে।

5.  মহাভারতের শ্রেষ্ঠ অনুবাদক কবি কাশীরাম দাসের অনুবাদকর্মের পরিচয় দাও। * 5

উ:-■  কাশীরাম দাসের ভারত পাঁচালী:-

মধুসূদন দত্ত কাশীরাম দাস সম্পর্কে বলেছিলেন- "হে কাশী কবীশ দলে তুমি পুণ্যবান।"  কথিত আছে কাশীরাম মেদিনীপুরের  জমিদারের আশ্রয়ে থেকে পাঠশালায় শিক্ষকতা করতেন। সেসময় রাজবাড়িতে যে সমস্ত কথক এবং পুরাণ পাঠকারি পণ্ডিত আসতেন, তাদের মুখ থেকে মহাভারত প্রসঙ্গ শুনে তাঁর মহাভারতের প্রতি অনুরাগ জন্মায়। এই অনুরাগের ফলেই তিনি মহাভারতের অনুবাদ শুরু করেন। কাশীরামের লেখা মহাভারতের অনুবাদ গ্রন্থটির নাম 'ভারত পাঁচালী'। এটি সম্ভবত তিনি সপ্তদশ শতাব্দীর প্রথমার্ধে রচনা করেন

কাশীরাম দাস মহাভারতের অনুবাদ করলেও তিনি মহাভারতের প্রথম অনুবাদক নন। তুর্কি আক্রমণোত্তর কালে উচ্চবর্ণের হিন্দু এবং নিম্নবর্ণের হিন্দুর মধ্যে সংযোগ স্থাপনের জন্য পঞ্চদশ শতাব্দীতে যখন সংস্কৃতে লেখা পৌরাণিক ধর্মগ্রন্থগুলির অনুবাদ শুরু হয়, মহাভারতের অনুবাদও তখনই শুরু হয়। মহাভারতের প্রথম অনুবাদক হিসাবে কবীন্দ্র পরমেশ্বরকে ধরা হয়। তবে মহাভারতের শ্রেষ্ঠ অনুবাদক হিসাবে কাশীরাম দাসই সর্বাধিক জনপ্রিয়তা লাভ করেছেন। 

■ কাশীরাম দাসের কবি প্রতিভা:- 

কাশীরাম দামের কাব্য সম্পর্কে আলোচনা করতে গিয়ে অনেকেই বলেন যে, তিনি মহাভারতের সম্পূর্ণ অনুবাদ করতে পারেননি। আদি, সভা, বন ও বিরাট-এই চারটি পর্ব অনুবাদ করেন। বাকি অংশটুকু তাঁর ভ্রাতুস্পুত্র নন্দরাম সমাপ্ত করেন। সমালোচকদের এই অনুমানের পিছনে একটি কারণ হল কাশীরাম দাম তার অনুবাদে নিজেই লিখেছেন- " আদি, সভা, বল, বিরাটের কতদুর।

ইহা রচি কাশীদাস গেলা স্বর্গপুর।" 

যাইহোক কাশীরাম দাস মহাভারতের সম্পূর্ণ অণুবাদ করুন আর না করুন শুধুমাত্র এই চারটি পর্বের অনুবাদ বিচার করলেও তার কবি কৃতিত্ব ছোট করা যায় না। কাশীরাম দাস সংস্কৃত মহাভারতের হুবহ অনুবাদ করেননি, তিনি মহাভারতের ভাবানুবাদ করেছেন। 

কাশীরামের অনুবাদটি পড়লে কখনোই মনে হয় না যে, তিনি সংস্কৃত জানতেন না। হয়তো শ্রোতার কাছে আকর্ষণীয় করার জন্য। তিনি কিছু কিছু জায়গায় মহাভারতের সংস্কৃত শ্লোক যেভাবে বাংলায় রূপান্তরিত করেছেন তা লক্ষ করলে তাঁকে সংস্কৃত ভাষায় পণ্ডিত বললেও কম বলা হয়। 

 কাশীরাম দাস চৈতন্যোত্তর যুগের কবি ছিলেন এবং নিজেও বৈষ্ণবধর্ম গ্রহণ করেছিলেন। তাই স্বাভাবিকভাবে তাঁর রচনার ভাব ও ভাষায় চৈতন্যদেবের একটা প্রভাব পড়েছিল। তিনি তাঁর রচনায় মূল মহাভারতের রুক্ষ্মতা, শুষ্কতা, বৈরিতা অনেকটাই কমিয়ে এলেছিলেন। 

কাশিরামের অনুবাদ গ্রন্থে বাঙালিয়ানার চাইতে অনেক বেশি গুরুত্ব পেয়েছে যুদ্ধ-বিগ্রহ, লড়াই-সংঘাত। তবুও কাশীরাম যে তাঁর রচনাটি বাঙালির উপযোগী করে লিখেছিলেন এ ব্যাপারে কোন সন্দেহ নেই। আর হয়ত এই কারণেই আজও মহাভারতের কথা মনে পড়লে সবার আগে স্মরণে আমে কাশীরাম দামের সেই বিখ্যাত শ্লোক-

" মহাভারতের কথা অমৃত সমান।

কাশীরাম দাস কহে শুনে পুণ্যবান।" 

দীনেশচন্দ্র সেন মহাভারতের আলোচনা প্রসঙ্গে বলেছিলেন- "এক একখানি পত্র এক একটি চমৎকার চিত্রপটের ন্যায়, পড়িতে পড়িতে জগৎপুঞ্জ, যুদ্ধবীর ও প্রেমিকগণের মূর্তি মানসভক্ষের সমক্ষে উদঘাটিত হয়। 

6. বৈষ্ণব পদাবলী বলতে কী বোঝ? এর বিষয়বস্তু কী? **

উ:- ■ বৈষ্ণব পদাবলী :- 

বৈষ্ণব পদাবলী বাংলা-সাহিত্যের এক মহামূল্য সম্পদ। বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে বৈষ্ণব পদাবলি সাহিত্য একটি বিস্তৃত কালপর্ব জুড়ে বিন্যস্ত। 'বৈষ্ণব' অর্থাৎ বিষ্ণু যাদের উপাস্য দেবতা, আর 'পদাবলী' হল পদ সমষ্টি বা গানের সমষ্টি। প্রাক-চৈতন্যযুগে বিদ্যাপতি, চণ্ডীদাস এবং চৈতন্য ও চৈতন্য পরবর্তী যুগে গোবিন্দদাস, জ্ঞানদাস বিশেষভাবে খ্যাতিমান হলেও আরও বহু কবি বৈষ্ণব ধর্মাশ্রিত পদ লিখেছেন। বৈষ্ণব পদাবলীর মূল বিষয়বস্তু হল কৃষ্ণের লীলা এবং মূলত মাধুর্যলীলা। রাধাকৃষ্ণলীলাকথাই প্রধানত পদাবলীর মূল বিষয়বস্তু। রাধা-কৃষ্ণ প্রাসঙ্গিক কথাকে নানা পর্যায়ে বিভক্ত করে পদকর্তারা বিভিন্ন পদ রচনা করেছেন এবং তাঁদের বিচক্ষণতার প্রমাণ দিয়েছেন। 

■ বিষয়বস্তু:- 

(a) কৃষ্ণ তত্ব:- 

বৈষ্ণব ধর্মের প্রধান পুরুষ বা পরমপুরুষ হলেন কৃষ্ণ। তিনি আবার সমস্ত বৈষ্ণবের কাছে প্রধান আরাধ্য দেবতাও অর্থাৎ পরমব্রহ্ম ভগবান। উপনিষদের ব্রহ্ম ও পুরাণের বিষ্ণুর মধ্যে অভেদ কল্পনা করা হয়েছে। তাঁদের কাছে শঙ্খ-চক্র-গদাধারী শ্রীবিষ্ণু আরাধ্য মূর্তি নয়; বরং আরাধ্য দেবতা হলেন বংশীধারী নন্দদুলাল। কৃষ্ণদাস কবিরাজ 'শ্রীচৈতন্যচরিতামৃত' গ্রন্থের ৪র্থ পরিচ্ছেদে বলেছেন,

'পূর্ণ ভগবান অবতারে যেই কালে।

আর সব অবতার তাঁতে আসি মিলে।'

(b) শ্রীরাধাতত্ত্ব:- 

বৈষ্ণবধর্মে ও সাহিত্যে দেখা যায় শ্রীকৃষ্ণের মতো রাধা ঐতিহাসিক চরিত্র নয়। বৈষ্ণব দর্শনে শ্রীকৃষ্ণ নানান লীলাশক্তির অধিকারী। কৃষ্ণের এই শক্তিকে কোথাও কোথাও তিনভাগে ভাগ করা হয়েছে-স্বরূপ শক্তি, তটস্থা বা জীবশক্তি ও মায়াশক্তি। রাধার এই রূপ ও তত্ত্বের প্রকাশ বিকশিত হয়ে ওঠে শ্রীচৈতন্যদেবের জন্মের পরে। তিনি জন্মগ্রহণ করেছিলেন রাধার ভাব ও কান্তি নিজ অঙ্গে ধারণ করেই। কৃষ্ণদাস বলেছেন,

"কৃষ্ণ বলে নাচে কাঁদে হাসে অনুক্ষণ।

 যারে দেখে তারে কহে কহ কৃষ্ণনাম।'

(c) গোপীতত্ত্ব:-

হরিবংশের পরে রচিত ব্রহ্মপুরাণ, বিষ্ণুপুরাণ ও ভাগবত পুরাণে গোপীগণের উল্লেখ আছে। সেখানে রাধার কথা স্পষ্ট করে উল্লেখ না থাকলেও প্রধান এক সখীর সঙ্গে কৃষ্ণের রাসলীলার কথা উল্লিখিত আছে। হরিবংশেও গোপীদের কথা আছে যে, তারা সংসার বন্ধন তুচ্ছ করে জীবনকে মধুর করে উপভোগ করবার জন্যে কান্তার সঙ্গে মিলিত হোত। তারাই রাধা-কৃষ্ণের প্রেমলীলার সহায়িকা। শ্রীকৃষ্ণ ও রাধার লীলা দর্শনই তাদের একমাত্র কাম্য বস্তু। আবার এই গোপী বা সখীহীনা রাধা অসম্পূর্ণা। 5. বাংলা সাহিত্যে বৈষ্ণব পদাবলীর অবস্থান নির্ণয় করো।

7.  বাংলা সাহিত্যে বিদ্যাপতির অন্তর্ভুক্তির কারণ নির্দেশ করো। **

উ:- ■ বিদ্যাপতি:- 

বিদ্যাপতি বাঙালী ছিলেন না, বাংলা ভাষায় তাঁর কোন রচনা নেই, তবু, মিথিলার এই প্রতিভাময় কবি বাংলা সাহিত্যে যেমন অনায়াসে অন্তর্ভুক্ত হয়ে গেছেন তেমনি ভারতীয় সাহিত্যে 'কবি সার্বভৌম' রূপে অভিহিত হয়েছেন। তিনি শৈব ধর্মে দীক্ষিত হয়েও বৈষ্ণব কবিতা রচনায় যেমন অসাধারণ কৃতিত্বের পরিচয় দিয়েছেন, তেমনি পাশাপাশি রচনা করেছেন প্রাকৃত-অবহট্ঠ ও সংস্কৃত ভাষায় জীবনীকাব্য এবং পুরাণ গ্রন্থাদি। বিদ্যাপতি-রচিত বিভিন্ন গ্রন্থগুলি হলো কীর্তিলতা ,  ভূপরিক্রমা, পুরুষ পরিক্রমা , কীর্তিপতাকা ইত্যাদি।

■ বিদ্যাপতির বাংলা সাহিত্যে অন্তর্ভুক্তির কারণ :- 

বিদ্যাপতি বাংলার মাটিতে জন্মগ্রহণ না করলেও, বাংলায় পদরচনা না করলেও বাঙালীর হৃদয়ে সমাসীন হয়েছেন কবি। তাঁর পদাবলী বাঙালীর হৃদয়ের সামগ্রী হয়ে উঠেছে। স্বয়ং শ্রীচৈতন্যদেব বিদ্যাপতির পদাবলী আস্বাদন করে পরম আনন্দ লাভ করতেন

'চণ্ডীদাস বিদ্যাপতি রায়ের নাটকগীতি

কর্ণামৃত শ্রীগীতগোবিন্দ।

স্বরূপ রামানন্দ সনে

মহাপ্রভু রাত্রিদিনে

গায় শুনে পরম আনন্দ।'

বিদ্যাপতির পদে প্রেমের, মধুর রসের বিচিত্র প্রকাশ ঘটেছে। বৈষ্ণবীয় 'কান্তাপ্রেম'-এর সমৃদ্ধ কাব্যরূপ বিদ্যাপতিকে অমরত্ব দিয়েছে। মিথিলা বিদ্যাপতির জন্মস্থান হলেও গৌড়ীয় বৈষ্ণব ভক্তরা তাঁর পদে তাঁদের সাধনার বিষয় খুঁজে পেয়েছিলেন বিশেষ ভাবেই।

বিদ্যাপতি বাংলায় পদ রচনা না করলেও বাঞ্জলীর হৃদয়ে সমাসীন হয়েছেন। তাঁর পদাবলী বাঙালীর হৃদয়ের সামগ্রী হয়ে উঠেছে। স্বয়ং শ্রীচৈতন্যদেব বিদ্যাপতির পদাবলী আস্বাদন করে পরম আনন্দ লাভকরতেন। বাংলা ও মিথিলা এই দুই স্থানের মধ্যে সাংস্কৃতিক এবং আত্মিক সুসম্পক স্থাপিত হওয়ার কারণে মৈথিল ভাষার সঙ্গে বাংলা ভাষার, আসামের ছাত্রদের ক্ষেত্রে অসমিয়া ভাষার সংযুক্তি ঘটে। 'মৈথিল' ভাষায় বৈষ্ণব কবিতা রচনা করে বাঙালী তথা বাংলা সাহিত্যে বিদ্যাপতি অর্ন্তভুক্ত হয়ে গেছেন।


8.  'পূর্বরাগের শ্রেষ্ঠ কবি চণ্ডীদাস' - আলোচনা করো। **

উ:- প্রাক-চৈতন্যযুগেই নয়- মধ্যযুগের পদাবলী সাহিত্যে চণ্ডীদাস একটি বিশেষ স্থানে অধিষ্ঠিত। সহজ-সরল ভাষায়, প্রেমের আনন্দ মধুর বেদনাকে, রস সমৃদ্ধ করেছেন কবি চণ্ডীদাস। জনশ্রুতি অনুসারে বীরভূম জেলার নায়ুর গ্রামে চণ্ডীদাস বাস করতেন।চন্ডীদাস 'পূর্বরাগ ও আক্ষেপানুরাগ'-এর শ্রেষ্ঠ কবি। তাঁর প্রতিভার প্রকাশ এই সব পর্যায়ের পদেই।

চণ্ডীদাসের পদাবলীর মধ্যে পূর্বরাগ পর্যায়ের পদগুলি যেমন আক্ষেপানুরাগের প্রকাশ ঘটে। নিজের বিরূপ ভাগ্য তার এই দুঃখের কারণ তাই, আপাত ভাবে যেসব বিষয়াদি জীবন নির্বাহের পক্ষে অনুকূল সেই গুলিই রাধিকার কাছে বিরূপ হয়ে প্রতিভাত হয়েছে-

অবিস্মরণীয় করে রাধার চন্ডীদাস রাধিকাকে বিরহিনী রূপেই প্রভাসিত করেছেন।  রবীন্দ্রনাথ বলেছেন- 'বিদ্যাপতি সুখের কবি, চণ্ডীদাস দুঃখের কবি।'

"যমুনার জলে যাঞা যদি দিই ঝাঁপ।

পরাণ জুড়াবে কি অধিক উঠে তাপ।।

 অতএব এ ছার পরাণ যাবে কিসে।

নিচয়ে ভখিমু মুঞি এ গরল বিষে।।"

■ চণ্ডীদাসের পদাবলীর বৈশিষ্ট্য:- 

চন্ডীদাস প্রেমের কবি, তাঁর কবিতা প্রেমের কবিতা। যে প্রেমে আত্মানুভূতি প্রবল, আত্মনিবেদন মুখ্য সেই প্রেমের ব্যাকুলতা ও আবেগ আরো গভীর মর্মস্পর্শী ভাবে তিনি চিত্রিত করেছেন। 

চণ্ডীদাসের সরল সহজ ভাষা সত্যিই শ্রোতার মন হরণ করে নেয়। চণ্ডীদাস যে ভাবের কবি তা তাঁর পদাবলী পড়তে পড়তেই বোঝা যায়। 

তিলে তিলে আইসে যায়।

ঘরের বাহিরে দণ্ডে শতবার

মন উচাটন  নিশ্বাস সঘন

কদম্ব কাননে চায়।

সবশেষে চণ্ডীদাসের কবিতার ভাষার কথা। এ ব্যাপারে রবীন্দ্র-উক্তিই যথেষ্ট "আমাদের চণ্ডীদাস সহজ ভাষার সহজ কবি, এই গুণে তিনি বঙ্গীয় প্রাচীন কবিদের মধ্যে প্রধান কবি। তিনি একছত্র লেখেন ও দশছত্র পাঠককে দিয়া লেখাইয়া লন।"

9.  রোম্যান্টিক কবি জ্ঞানদাসের পদাবলী সম্পর্কে আলোচনা করো। **

উ:-  চৈতন্যোত্তর যুগের শ্রেষ্ঠ কবি-জ্ঞানদাস। তিনি দীক্ষিত বৈষ্ণব কবি; নিত্যানন্দ জাহ্নবাদেবী তাঁর দীক্ষাগুরু। তিনি ভক্ত কিন্তু রোমান্টিক মনের অধিকারী।কাটোয়ার কাছে কাঁদড়া গ্রামে আনুমানিক ১৫৩০ খ্রীঃ জন্মগ্রহণ করেন। চন্ডীদাসের মতো জ্ঞানদাসও ছিলেন রোমান্টিক কবি। তিনি ষোল শতকের পদাবলী সাহিত্যের একজন সেরা কবি। তার সুনাম চন্ডীদাস বা বিদ্যাপতির চেয়ে কোন অংশে কম নয়। 

■ জ্ঞানদাসের কবিপ্রতিভা:- 

রোম্যান্টিক কবি জ্ঞানদাস এর কবিতায়  কৃষ্ণ রূপের বন্দনা এত অপূর্বভাবে ফুটে উঠেছে-

" রূপ লাগি আঁখি ঝুরে, গুণে মন ভোর।

 প্রতি অঙ্গ লাগি কান্দে প্রতি অঙ্গ মোর।। "

জ্ঞানদাস একজন উৎকৃষ্ট পদাকার ছিলেন। তার কিছু স্মরনীয় পদ আছে। যেমন, রূপ লাগি আঁখি ঝুরে গুণে মন ভোর, কিংবা সুখের লাগিয়ে এ ঘর বান্ধিলুঁ ইত্যাদি। এই সব পদ বৈষ্ণব সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করেছে। পদাবলীর গুণ ও মান বৃদ্ধিতে জ্ঞানদাসের একটি বিশিষ্ট ভূমিকা আছে। ষোল শতক পদাবলীর স্বর্ণযুগ। জ্ঞানদাস এই স্বর্ণযুগের কবি। ভক্তের অনুভূতিকে কবিতায় প্রকাশ করার অপূর্ব প্রতিভা তার মধ্যে ছিল।

শব্দব্যবহার ও ভাষাভঙ্গি একই রকম বলে জ্ঞানদাসকে চন্ডীদাসের অনুসারী বলা হয়। অকৃত্রিম সহজ রচনারীতির দিক থেকে চন্ডীদাসের সঙ্গে তার মিল অবশ্যই আছে। কিন্তু জ্ঞানদাস একজন সতন্ত্র কবি। আধুনিক কালের গীতিকবিতার বৈশিষ্ট তার পদে পাওয়া যাবে।

জ্ঞানদাসের নামে প্রায় শ'দুয়েক পদ চালু আছে। ব্রজবুলিতেও তিনি অনেক পদ রচনা করেছেন। তবে তার বাংলা পদগুলো ব্রজবুলির পদের তুলনায় অনেক ভাল। তবে রুুপানুরাগের পর্যায়ের পদ গুলোই জ্ঞানদাসের কলমে প্রাণবন্ত হয়ে উঠেছে। দুটো রুুপানুরাগের পর্যায়ের পদ হল--

“রূপের পাথারে আঁখি ডুবিয়া রহিল

যৌবনের বনে মন হারাইয়া গেল।

ঘরে যাইতে পথ মোর হইল অফুরান

জ্ঞানদাস সঙ্গীত বিষয়েও একজন বিশেষজ্ঞ। একালে রবীন্দ্রনাথ ও নজরুল যেমন নিজেদের লেখার গানে সুর দিয়েছেন, সেকালে জ্ঞানদাসও একই কাজ করেছেন। সম্ভবত এ ক্ষেত্রে জ্ঞানদাস বাংলা সাহিত্যে প্রথম ব্যক্তি, যিনি গান লিখে সুর দিয়েছেন। 

10.  'গোবিন্দ দ্বিতীয় বিদ্যাপতি।' কথাটির তাৎপর্য ব্যাখ্যা করো। ** অথবা, গোবিন্দদাসকে বিদ্যাপতির ভাবশিষ্য বলা হয় কেন ? 

উ:-  গোবিন্দদাস বিদ্যাপতির ভাবশিষ্য ছিলেন– কথাটি বহুল প্রচলিত । একে তো তিনি ‘দ্বিতীয় বিদ্যাপতি’ নামে পরিচিত ছিলেন, তার ওপর আবার বিদ্যাপতির সঙ্গে ভণিতায়ও তার নাম বহুবার উচ্চারিত হয়েছে । বিদ্যাপতি এবং গোবিন্দদাসের কাব্যের মধ্যে যথেষ্ট সাদৃশ্য লক্ষ্য করা যায়।  

তিনি যে সজ্ঞানে বিদ্যাপতির অনুসরণ করেছিলেন, তাতেও কোনো সন্দেহ নেই। এই কারণেই উভয়ের রচনায় ভাবগত ঐক্যও বর্তমান। “এঁদের কাব্যে ভাব এবং রীতির মধ্যে ব্যবধান তেমন দেখা যায় না । উভয় কবিই বস্তুতে বিভোর হয়েছেন ফলে এঁদের কাব্যের সর্বত্রই ভাবের সাথে রূপের, শিল্পের সাথে শিল্পীর, মনের সাথে মননের একটি ব্যবধান রয়ে গেছে। বিদ্যাপতির মতোই তিনিও কাব্যের বহিরঙ্গের ওপর অধিকতর গুরুত্ব আরোপ করেছিলেন।

অবিমিশ্র ব্রজবুলি ভাষা, ছন্দের বৈচিত্র্য, অলঙ্কারের বহুল ব্যবহার ইত্যাদিতে বিদ্যাপতির অনুসরণপ্রিয়তাই লক্ষ্য করা যায়। এমনকি তিনিও বিদ্যাপতির মতোই কৃষ্ণলীলাকাহিনীর দিকেই তীক্ষ্ণ দৃষ্টি রেখেছিলেন। 

 বিদ্যাপতি ও গোবিন্দদাস উভয়েই সচেতন শিল্পী হওয়া সত্ত্বেও কাব্যকলাপ্রয়োগের কতকগুলি বিশেষ দিকে গোবিন্দদাস উৎকৃষ্টতর প্রতিভার পরিচয় দিয়েছেন, এদের মধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য ছন্দোবৈচিত্র্য, অলঙ্করণ ইত্যাদি। 

ভাবোল্লাস ও প্রার্থনার পদে বিদ্যাপতি সমধিক কৃতিত্বের পরিচয় দিয়েছেন, কিন্তু অভিসারের পদে গোবিন্দদাস তাঁকে অতিক্রম করে গেছেন। গৌরচন্দ্রিকার পদ-রচনায় গোবিন্দদাস ভাবোচ্ছ্বাসে ভেসে না গিয়ে কাব্যের বহিরঙ্গ-গঠনে সংযত কবি-কল্পনার পরিচয় দিয়েছেন। বিদ্যাপতির অবশ্য গৌরচন্দ্রিকা রচনার কোনো সুযোগই ছিল না।

গোবিন্দদাসের কাব্যে যে একটা অপূর্ব গীতি-মূর্ছনা লক্ষ করা যায়, তেমনটা বিদ্যাপতির ছন্দ-সুষমাযুক্ত পদেও পাওয়া যায় না। গোবিন্দদাসের কাব্যে যে সুরের সম্পূর্ণতা লক্ষ্য করা যায়, বিদ্যাপতির কাব্যে ছন্দ-ধ্বনি-অলঙ্কার সবকিছু থাকা সত্ত্বেও সুরের মধ্যে কোথায় যেন একটা ফাক থেকে যায়। বাক্যজালের জটিলতায় জড়িয়ে বিদ্যাপতির কাব্য যেখানে নীরস বলে প্রতিভাত হয়, গোবিন্দদাসের নিটোল কাব্য সেখানে রসে টই-টুম্বর। “বিদ্যাপতির নিকট গোবিন্দদাসের ঋণ ছন্দের জন্য, সুরের জন্য নয়। 

মিলনের পদ-রচনায় বিদ্যাপতির দক্ষতা প্রশ্নাতীত। তিনি ছিলেন রূপের, জীবনভোগের কবি, তাই তাঁর কাব্যে লক্ষ্য করা যায় যৌবনের উচ্ছ্বাস ও প্রেমের নৃত্য। মিলনের মতোই বিরহের পদ রচনাতেও বিদ্যাপতি ছিলেন অধিকতর সার্থক। ‘এ সখি হামারি দুখের নাহি ওর’ কিংবা ‘শুন ভেল নগরী। শুন ভেল দশ দিশ, শুন ভেল সগরি। প্রভৃতি পদের কাব্যসৌন্দর্য ভাবগভীরতার সঙ্গে যুক্ত হয়ে বিদ্যাপতিকে অসাধারণ কবির আসনে প্রতিষ্ঠিত করেছে। কিন্তু এইক্ষেত্রে গোবিন্দদাস অনেকটাই ব্যর্থ। ভাষার ঐশ্বর্য আর ছন্দ ঝঙ্কারের মধ্য দিয়ে শ্রীমতীর আর্তি যথাযথভাবে ফুটে উঠবার অবকাশ পায়নি।


11. যুগবিভাগ বলতে কী বোঝানো হয়ে থাকে? যুগবিভাগের বিভিন্ন পর্যায়গুলি সম্পর্কে সংক্ষেপে আলোচনা করো। 2+3

উ:- ■ বাংলা সাহিত্যে যুগ বিভাজন :- 

বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস হাজার বছর বা তার কিছু অধিক সময়ের ইতিহাস। বাংলা সাহিত্যের এই হাজার বছরের অধিক কালের ইতিহাস কে মনে রাখার সুবিধার্থে বা কালের প্রবাহ কে স্বীকার করে নিয়ে কয়েকটি যুগ বা প্রর্যায়ে ভাগ করে নিতে পারি। যদিও সাহিত্যের ইতিহাস সর্বত্র সাল তারিখের হিসেব স্পষ্ট যুগ বিভাগ করা যায় না। সাল তারিখ দেখে যুগের আরম্ভ হয় না, যুগের পরিসমাপ্তিও ঘটেনা। সাহিত্যকর্মের বৈচিত্র্যে ও বৈশিষ্ট্যে নির্দিষ্ট যুগের চিহ্ন ও সাহিত্যের বিবর্তনের ধারাটি বিশ্লেষণ করেই সাহিত্যের ইতিহাসে যুগবিভাগ করা হয়ে থাকে। 

■ যুগ বিভাজনের পর্যায় :- 

বাংলা সাহিত্যের যুগ বিভাগ নির্ধারিত হয়েছে প্রাপ্ত নিদর্শনের ভিত্তিতে। বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস কে প্রধানতঃ তিনটি যুগে ভাগ করা হয়েছে।

১। প্রাচীন যুগ বা আদিযুগ (৭৫০-১২০০) ,

২।মধ্যযুগ (১২০১-১৮০০) ও 

৩।আধুনিক যুগ (১৮০১- বর্তমান সময় পর্যন্ত) ।

প্রাচীন যুগ :

   ড. সুনীতি কুমার চট্টোপাধ্যায়ের মতে বাংলা সাহিত্যের প্রাচীন যুগ ৯৫০-১২০০ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত। আদি মধ্য যুগের প্রাচীনতম ও একমাত্র গ্রন্থ হল "চর্যাপদ"।

মধ্য যুগ :

 বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে মধ্যযুগের বিস্তার ১২০১ থেকে ১৮০০ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত। মধ্য যুগকে আবার দুটি উপবিভাগে ভাগ করা হয় যথা- আদি মধ্যযুগ(১৩০১-১৫০০) ও অন্ত্য-মধ্যযুগ (১৫০১ - ১৮০০)। আদি মধ্য যুগের সাহিত্যিক নিদর্শন গুলির মধ্য প্রথমের উল্লেখ করা যায় বড়ু চণ্ডীদাসের "শ্রীকৃষ্ণকীর্তন"। এছাড়াও কৃত্তিবাসের "রামায়ণ", মালাধর বসুর "শ্রীকৃষ্ণবিজয়" বিজয় গুপ্তের মনসা মঙ্গল কাব্য প্রভৃতি আদি মধ্যযুগের নিদর্শন। অন্ত মধ্যযুগের সাহিত্যিক নিদর্শন গুলি হল মুকুন্দরাম চক্রবর্তীর চণ্ডীমঙ্গল, বিভিন্ন চৈতন্যজীবনী গ্রন্থ, ভারতচন্দ্রের অন্নদা মঙ্গল ইত্যাদি।

আধুনিক যুগ:

  আধুনিক যুগ বলে বাংলা সাহিত্যে স্পষ্ট যুগবিভাগ নিয়ে মত পার্থক্য রয়েছে। তা হলেও মোটামুটি ভাবে ১৭৬০ খ্রীষ্টাব্দ ভারত চন্দ্রের মৃত্যুর পর থেকেই বাংলা সাহিত্যের আধুনিক যুগের সূত্রপাত বলে নানা সমালোচক মতপ্রকাশ করেছেন।

 12. বাংলা ভাষার উদ্ভবের ইতিহাস সম্পর্কে সংক্ষেপে আলোকপাত করো। *** 5

উ:- খ্রিস্টীয় হাজার সালের পূর্বেকার বাংলা ভাষার কোন নিদর্শন না থাকায় বাংলা ভাষার উৎস খোঁজা কঠিন তবে এতটুকু জানা গেছে আধুনিক ভারতীয় আর্য ভাষার অন্যতম হলো বাংলা ভাষা। সংস্কৃতির সঙ্গে এর সাদৃশ্য আছে কিন্তু তা প্রত্যক্ষ নয়। sanskrit হল ইন্দো-ইউরোপীয় বংশের প্রাচীন ভাষা। বাংলা ভাষা উদ্ভবের সূত্র পৃথিবীর ভাষা বংশের নিহিত। ভাষার সাদৃশ্য বিচারে পৃথিবীর প্রায় 4000 ভাষাকে বারটি স্তরে ভাগ করা হয়েছে। এর মধ্যে প্রধানএর মধ্যে প্রধান ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষাবংশ।

        ইউরোপ ও এশিয়ার বহু ভাষা ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষাবংশ থেকে এসেছে । ক্রমবিবর্তনের পথে বাংলা ভাষার জন্ম এই উন্নত বংশে। এই ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষার দুটি গুচ্ছ :- ১. সত্যম ২. কেন্তুম। সত্যম গুচ্ছের একটি ভাষা ইন্দো-ইরানীয়। এই ইন্দো-ইরানীয় শাখা ভারতের সিন্ধু উপকূলে প্রবেশ করে প্রায় 2000 বছর আগে। ভারতে প্রবেশকারী শাখা ভারতীয় আর্য নামে পরিচিত হয়  । খ্রিস্টের জন্মের আগে প্রায় দুই হাজার বছর ধরে প্রাচীন ভারতীয় আর্য ভাষার বিস্তৃতি ও বিবর্তন চলে। এই বিবর্তনের তিনটি ভাগ :-

১. প্রাচীন ভারতীয় আর্য, ২. মধ্য ভারতীয় আর্য ৩. আধুনিক ভারতীয় আর্য।

১. প্রাচীন ভারতীয় আর্য:-     এই ভাষার সময়কাল পনেরশো ১৫০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দদ থেকে ৬০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ পর্যন্ত। এই ভাষার প্রধান সাহিত্যিক কৃতি হল বেদ। ঋক বেদ এগুলির মধ্যে অন্যতম গ্রন্থ।  বেদের ভাষা বৈদিক ভাষা নামে পরিচিত। এই বৈদিক ভাষার সঙ্গে সংস্কৃতির কিছুটা পার্থক্য আছে। তবে সংস্কৃত ভাষার দুটি রূপ সেই সময় স্পষ্ট হয়ে উঠেছিল।  একটি  হল সাহিত্যিক অপরটি হল কথ্য।

২. মধ্য  ভারতীয় আর্য  :-   600 খ্রিস্টপূর্বাব্দ থেকে 900 খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত প্রায় দেড় হাজার বছর ধরে লৌকিক বা কথ্য সংস্কৃত রূপান্তরিত হয়েছিল প্রকৃত তথা মধ্য ভারতীয় আর্য। এই সময়কার ভাষা পালি ভাষা নামে পরিচিত । অশোকের অনুশাসনের শিলালিপি এই ভাষায় নিদর্শন আছে। একসময় বিবর্তনের পথে প্রাকৃত ভাষা অপভ্রংশ ও অবহট্টের পরিবর্তিত হয়। এই অপভ্রংশের তিনটি স্তর :- ১. শৌর শ্রেণী ২. মহারাষ্ট্রীয় ৩. মাগধি। অনেকে বলে থাকেন এই মাগধী অপভ্রংশ বাংলা ভাষার উদ্ভব এর উৎস। 

৩. আধুনিক ভারতীয় আর্য :- 900 খ্রিস্টাব্দ থেকে বর্তমান কাল পর্যন্ত এই ভাষান্তরের ব্যাপ্তি। বিভিন্ন অপভ্রংশ থেকে মোটামুটি 10 শতকে হিন্দি ,বাংলা, গুজরাটি ,মারাঠি প্রভৃতি ভাষার জন্ম। এর সবই আধুনিক ভারতীয় আর্য ভাষার নিদর্শন। এক সময় অপভ্রংশের ও অবহট্টের  বিবর্তন প্রাচীন বাংলা ভাষার সৃষ্টি করে। এই প্রাচীন বাংলা ভাষার নিদর্শন চর্যাপদ।

15.  বঙ্গলিপির উদ্ভবের ইতিহাস সম্পর্কে সংক্ষেপে আলোকপাত করো।* 5

উ:- ভারতে প্রাপ্ত প্রাচীনতম লিপির সন্ধান পাওয়া যায় অশোকের বিভিন্ন অনুশাসনে। অশোকের অনুশাসনে দু-প্রকার লিপি পাওয়া যায় – ব্রাহ্মী ও খরোষ্ঠী। লিপি বিশেষজ্ঞরা মনে করেন আরামীয় লিপি থেকে ভারতের আদিলিপি ব্ৰাহ্মী ও খরোষ্ঠীর জন্ম হয়েছে। খরোষ্ঠী লেখা হত ডান থেকে বাম দিকে এবং ব্রাহ্মী লেখা হত বাম থেকে ডান দিকে। অবশ্য ডান থেকে বাম দিকে লেখার নিদর্শনও রয়েছে। ব্রাহ্মী থেকে আধুনিক নাগরী, বাংলা প্রভৃতি ভারতীয় লিপির জন্ম হয়।

খ্রিস্টপূর্ব ২০০ অব্দে ব্রাহ্মী লিপির দুটি আঞ্চলিক রূপ গড়ে ওঠে – উত্তর ভারতীয় রূপ এবং দক্ষিণ ও বহির্ভারতীয় রূপ। এর দ্বিতীয় রূপটি থেকে পল্লব লিপির উদ্ভব হয়, যার থেকে গ্রন্থি, মালয়ালম, তামিল, তেলুগু, কন্নড় ও সিংহলি লিপির জন্ম হয়েছে। ব্রাহ্মী লিপির উত্তর ভারতীয় রূপই হল কুষাণ লিপি। চতুর্থ শতাব্দীতে অর্থাৎ গুপ্তরাজাদের শাসনকালে কুষাণ লিপি বিবর্তিত হয়ে গুপ্ত লিপি নাম ধারণ করে। ষষ্ঠ শতাব্দীতে গুপ্ত লিপি থেকে ‘সিদ্ধমাতৃকা’ লিপির জন্ম হয়। সপ্তম শতাব্দীতে এই সিদ্ধমাতৃকা লিপি থেকেই কুটিল লিপি উদ্ভূত হয়।

এই কুটিল লিপি অষ্টম শতাব্দীতে ভারতীয় উপমহাদেশে পাঁচটি শাখায় বিভক্ত হয়ে যায়। এই পাঁচটি শাখার মধ্যে উত্তর-পশ্চিম ভারত শাখা বা শারদা লিপি থেকে তিব্বতি, কাশ্মীরি ও গুরুমুখি লিপি; উত্তর ও মধ্যভারত শাখা থেকে দেবনাগরী, কায়থী ও গুজরাটি লিপি; মধ্য এশিয়া শাখা থেকে খােটানি লিপি এবং যবদ্বীপ-বালিদ্বীপ শাখা থেকে যবদ্বীপীয় কুটিল লিপি উদ্ভূত হয়।

কুটিল লিপির পঞ্চম শাখা বা পূর্ব-ভারত শাখার লিপি হল প্রত্ন বাংলা লিপি বা গৌড়ীয় লিপি। নবম শতাব্দীতে পাল সাম্রাজ্যের রাজা নারায়ণ পালের তাম্রশাসনে এই লিপির প্রাচীনতম নিদর্শন পাওয়া যায়। দ্বাদশ শতাব্দীর মধ্যে এই প্রত্ন বাংলা লিপি থেকে নেপালি, ওড়িয়া, মৈথিলি, বঙ্গলিপি – এই চার প্রকার লিপি উদ্ভূত হয়েছে। এইভাবেই ব্রাহ্মী লিপি থেকে ক্রমে ক্রমে বঙ্গলিপি বা বাংলা লিপির উদ্ভব হয়েছে।

Saturday, December 28, 2024

Evolution of Kushan music in North Bengal

 

Evolution of Kushan music in North Bengal
উত্তরবঙ্গে কুষান গানের বিবর্তন

লোকগান, নৃত্য, নাট্য মানুষের মনের গভীরকে ছুঁয়ে যাওয়ার অনেকগুলি কারণ আছে। সরাসরি জীবন থেকে উঠে আসা রসদে পুষ্ট সংস্কৃতি। তাতে থাকে ভেজা মাটির সোঁদা গন্ধ। প্রাণ থেকে উঠে আসা সুর, প্রাত্যহিক কথার বুনন আর জীবন দর্শন। ক্লান্ত সময়ের শেষে সুজনের আনন্দ, তা থেকে মনের তরতাজা হয়ে ওঠার পথ ও পদ্ধতি জীবনচর্যার বিস্তারকে আরও প্রসারিত করে। সারারাত নাট্য বা সঙ্গীতের অনুষ্ঠানের আসর তাই ভরা থাকে সহস্রে দর্শক শ্রোতায়। আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হ'ল অধিকাংশ লোক সঙ্গীত ও নাট্য আচার-অনুষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত। তাই তার সঙ্গে জীবন চর্যার সম্পর্ক খুব নিবিড়। অবসর বিনোদনের জন্য যা কিছু গড়ে উঠেছে তাও জীবনের প্রয়োজনেই।

কোচবিহারের লোকনাটা কুশান। তার প্রচলন শুধু যে কোচবিহারে তা তো নয়। কোচবিহার সংলগ্ন প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশের বিস্তীর্ণ অঞ্চল ও অসমে কুশান পালার জনপ্রিয়তা বেশ। কুশান পালায় কেবল রামায়ণের কাহিনিই পরিবেশিত হয় না। কুশানের অনেক পালাকার ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট, পুরাণের কাহিনিকে উপজীব্য ক'রে নাট্য রচনা করেছেন। সেগুলি প্রবল জনপ্রিয়ও হয়েছে।

কুশান গান বেশ কিছু বছর হ'ল যাত্রার রূপ নিয়েছে। তাই এই পালাকে এখন আর কুশান গান বলা হয় না। 'কুশান যাত্রা' নামে তার পরিচয়। অতীতে সাধারণ পোশাকেই চরিত্ররা অভিনয় করতেন। পুরুষ চরিত্রগুলি ধুতি-পাঞ্জাবী এবং মহিলা চরিত্রগুলি শাড়ি-ব্লাউজ পরতেন। এখন চরিত্রানুযায়ী জমকালো পোশাক ব্যবহারের প্রবণতা লক্ষ্যনীয় ভাবে বেড়েছে। সমবেত আবহ (Orchestra) ও 'দুকড়ি' নাচের মাধ্যমে আসরের শুরু হয়। এই নৃত্যানুষ্ঠানে ছেলেরা মেয়ে সেজে যেমন আসরে অবতীর্ণ হন তেমনই কম বয়সী মেয়েরা (তেরো থেকে সতেরো আঠারো বছরের) এই নৃত্য পরিবেশন করেন। এই নাচে যৌন আবেদন ব্যবহার করা হয় দর্শকদের আকৃষ্ট করবার জন্য। তবে মূল গীদাল এখনও সাধারণ ধুতি-পাঞ্জাবী পরেন। তাঁর গায়ে থাকে নামাবলী অথবা হলদে বা কমলা রঙের কাপড়। হাতে থাকে

ব্যানা।

দোয়ারীর চরিত্রটি সাজানো হয় কৌতুকোজ্জ্বল ক'রে। ভুঁড়িওয়ালা পেটের নাভির নীচে সাদা অথবা রঙিন ধুতি, আদুর শরীর রঙ দ্বারা

চিত্রিত করা হয়। মুখমন্ডলে ব্যবহার করা হয় বিভিন্ন রঙ, মাখায় টিকি, হাতে একটি বাঁকা লাঠি। তাঁকে দেখলেই যেন হাসির উদ্রেক হয় -তা লক্ষ্য রাখা যায়। অন্যান্য চরিত্রগুলির জন্য রূপানুযায়ী বিভিন্ন পোশাক ব্যবহার করা হয়। সব মিলিয়ে দর্শকদের আকর্ষণ করবার জন্য সাধ্যানুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।

কুশান পালায় অন্যতম আকর্ষণের বিষয় 'ফাঁস গান'। অনেকে 'খোসা গান'-ও বলে থাকেন। দুটি দৃশ্যের বিবতিতে গানের সঙ্গে নৃত্যানুষ্ঠান পরিবেশিত হয়। এই গানের সঙ্গে মূল পালার কোনও সম্পর্ক থাকে না। গানের কথা ও নাচে যৌন ইঙ্গিত থাকে। অনেক সময়ই বাংলা, হিন্দি সিনেমার জনপ্রিয় গান ব্যবহার করা হয়। চলচ্চিত্রের 'আইটেম সপ্ত ও ডান্স'এর মত। তবে কুশান পালায় এর প্রচলন প্রাচীন কাল থেকেই। একে 'ভর্তুকি গান'ও বলা হয়।

অতীতে কুশান পালার দল বাঁধতেন মূল গীদাল। তিনিই শিখিয়ে পড়িয়ে দলের অন্যান্যদের পালার উপযুক্ত ক'রে নিতেন। এখন মালিক দল তৈরি করেন ব্যবসায়িক স্বার্থে। তাই অভিজ্ঞ গুণী শিল্পীদের বিভিন্ন জায়গা থেকে একত্রিত করেন পারিশ্রমিকের বিনিময়ে। সেখানে শিক্ষানবীশদের কোনও স্থান হয় না। কুশান পালা প্রধান বিষয় থেকে অনেকটাই সরে এসেছে। রামায়ণ, পুরাণ, ঐতিহাসিক কাহিনি নির্ভর যে পালা তা ক্রমশ নষ্ট হ'তে শুরু হয়েছে অনেক বছর হ'ল। কুশান শিল্পীরা দুঃখ করেন এ নিয়ে। তাঁরা তাঁদের যন্ত্রণার কথা বলেন। বায়নার সময় আয়োজকেরা বায়নার সময় জানতে চান দলে কতজন মেয়ে আছে, তারা দেখতে কেমন, হিন্দি সিনেমার গানের সঙ্গে নাচ

হবে কিনা ইত্যাদি। অর্থাৎ ফাঁস গানই মূল হয়ে দাঁড়াচ্ছে।

আরও একটি কৌতূহলের বিষয় 'জুয়ার গান'। সম্পূর্ণ উত্তরবঙ্গেই আজ জুয়ার গানের ব্যাপক প্রসার। কোনও ক্লাব বা কয়েকজন ব্যক্তি দল বেঁধে আসরের আয়োজন করেন। যেখানে পালার আসর তা থেকে কিছুটা দূরে মানুষের চোখের একটু আড়ালে আর এক অঙ্গনে বসে জুয়ার আসর। সেখানে মেলে মদও, বলাই বাহুল্য। জুয়ার আসরের একজন মালিক থাকেন। জুয়ার আসর বসানোর জন্য এই মালিক আয়োজকদের অর্থ প্রদান করেন। পালার একটি আসর আয়োজনের জন্য এখন প্রায় পঁয়ত্রিশ থেকে চল্লিশ হাজার টাকা প্রয়োজন হয়। এই টাকার সিংহ পরিমান জুয়ার আসরের মালিক দিয়ে দেন। তার পরিবর্তে নির্বিঘ্নে জুয়ার আসর বসবার ব্যবস্থা ক'রে দেয়া আয়োজকেরা। কুশান বা উত্তরবঙ্গের অন্যান্য গালাগুলির জনপ্রিয়তার জন্যই এক একটি আসরে অনেক মানুষের সমাগম হয়। তাই জুয়া খেলায় অংশগ্রহণ করবার লোকেনা সংখ্যাও অনেক হয়। জুয়ার মালিক এই আসর থেকে লাভও করেন। কারণ তাঁর এটাই ব্যবসা। জুয়ার আসরের টাকায় যেহেতু পালার আয়োজন তাই 'জুয়ার গান' বলা হয়ে থাকে। কয়েক বছর আগে পর্যন্ত জুয়া ও মদের আসরের এত বাড়-বাড়ন্ত ছিল না। গত বারো-তেরো বছরে এর প্রসার ব্যাপক ভাবে হয়েছে। পালাকেন্দ্রিক জুয়ার আসরে হৈ-চৈ মারামারির ঘটনা কদাচিৎ ঘটতো। এখন তো প্রায় নিয়মিত হয়ে পড়েছে।
কুশান গানের মহান শিল্পী প্রয়াত ললিতমোহন বর্মণ। ললিত কুশানী নামেই তাঁর পরিচিতি। কুশান পালায় বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও তাকে বৃহত্তর সমাজের কাছে জনপ্রিয় ক'রে তোলার কাজে তাঁর অবদান অপরিসীম। ললিত কুশানীর বাড়ি দিনহাটা মহকুমার ফুলবাড়ি গ্রামে। এইই তাঁর জন্মভিটা। এই ভিটেতে তিনি জন্ম গ্রহন করেন ১৩৪২ বঙ্গাব্দের ১৩ই ভাদ্র। পিতা দুর্গামোহন বর্মণ ও মাতা ভয়লক্ষ্মী বর্মণের পুত্র ললিতমোহন ফুলবাড়ি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত প্রথাগত লেখাপড়া করেছেন। পিতা ছিলেন কুশান শিল্পী। সাংস্কৃতিক পরিবেশে বড় হয়ে অ্যাঁ ললিতের সঙ্গীতের প্রতি ভালোবাসা ছেলেবেলা থেকেই। গলায় সুর নিয়েই জন্মেছেন। তাই প্রথম থেকেই ভালো গাইতেন। তাঁর ছোটবেলায় সুরেন বসুনিয়া, কেশব বর্মণ, নায়েব আলি টেপু, আববাসউদ্দিনের রেকর্ড খুব জনপ্রিয়। ললিত সেসব গান শুনতেন আর নিখুঁত গাইতেন। সুর-তাল-লয় সহযোগে যেকোনও গান খুব সহজেই শিখে নিতেন। গাইতেনও খুব। লেখাপড়ার চেয়ে গান গাওয়ার প্রতি আগ্রহ ছিল বেশি। পুত্রের এই আগ্রহ দেখে পিতা দুর্গামোহন বললেন, তুমি শিখ। তোমার দ্বারা f যেন আমার বংশের মান-সম্মান উজ্জ্বল হয়।
পিতার উৎসাহেই ললিতমোহন আরও ভালো শেখার জন্য গেলেন ঝাপুড়া কুশানীর (বর্মণ) কাছে। ঝাণুড়া কুশানীর নিজের দল ছিল কুশান পালার। কুশান পালাকে জনপ্রিয় করবার জন্য তাঁর অবদানও অনেক। ললিত তাঁর কাছে শিখে কুশান গানকে আরও এগিয়ে নিয়েছেন। ললিত মোহন মাত্র ষোল বছর বয়সে নিজের কুশান পালার দল 'রামজীবনী ললিত কুশান যাত্রা সমাজ'। পালা বাঁধলেন, দস্যু রত্নাকর, রাজা হরিশ্চন্দ্র, লক্ষ্মনের শক্তিশেল, লব-কুশের পিতৃ পরিচয়, রাম বনবাস ইত্যাদি প্রচলিত কাহিনি অবলম্বনে। দলের কাজ ও সুনাম ক্রমশ ছড়িয়ে পড়ে গ্রাম থেকে গ্রামে। তিনি কুশান পালা নির্মাণে স্বকীয়তা দেখিয়েছেন।

অত্যন্ত দারিদ্রের সঙ্গে লড়াই ক'রে ললিত কুশানী এই আঙ্গিকে নতুন পথ নির্মান করেছেন। রামায়ণ নির্ভরতার বাইরে মহাভারত, পুরাণ, ঐতিহাসিক ঘটনাকে পালার উপজীব্য করেছেন। রচনা করেছেন নল-দময়ন্তী, শ্রীবৎস চিন্তা, সাবিত্রী সত্যবান, দাতা কর্ণের দান পরীক্ষা। কোচবিহার রাজার ইতিহাস কেন্দ্র ক'রে রচনা করেছেন 'রাজা কামতেশ্বর'। তাঁর মেধার ছৌযায় কুশান নতুন উত্তরণের দরজা খুলে দিয়েছে। পেয়েছেন মানুষের অকুন্ঠ ভালোবাসা, শ্রদ্ধা। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে পেয়েছেন স্বর্ণ-পদক, রৌপ্য-পদক। আব্বাসউদ্দিন স্মরণ সমিতি তাঁকে সম্মান জানিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তথ্য ও সংস্কৃতি বিভাগ ২০০১ সালে লালন পুরস্তাবে সম্মানিত করেছে। সে বছরই তিনি পরলোক গমন করেছেন। অভিনয় করেছেন পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন অঞ্চল ছাড়াও অসম, নেপাল ও বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায়।

মৃত্যুর বছর খানেক আগেই দু'হাজার সালে দীপঙ্কর ঘোষের নেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে প্রতিভাবান এই শিল্পী কুশানের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে বলতে গিয়ে অনেক কথাই বলেছেন। তাঁর সেই কথাগুলি আজ বাস্তব। তিনি বলেছেন "ভবিষ্যৎ তো এটা একদম যাত্রায় পরিণত হয্যা যাবে-কুশানটা উচ্ছেদ হয়্যা যাবে। এখন এখানকার যে স্থানীয় বড় বড় যাত্রাগুলো ছিল সেই যাত্রাগুলো তো এখন নাই। এখন ওই যে অভিনেতা অভিনেত্রীগুলো নামকরা এঁরা সব কুশানের মধ্যে ঢুকতেছে। আর আসিয়া যুক্তি দিচ্ছে মালিক পক্ষকে, যে তোমরা দলটাকে এইভাবে করো, ডাবল মঞ্চ করো, ওইটা লাইট লাগাও। বিভিন্ন যুক্তি পরামর্শ দিয়া এই ঠিক অপেরার সঙ্গে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে। কুশানের মর্যাদা কমে যাচ্ছে। এই দশ-বারো বছর হল এইটা বেশি বাড়ছে। আর মালিকপক্ষের একটা বিরাট ব্যবসা আছে। এখন বিভিন্ন নাচওলা ঢুকতেছে-এর মধ্যে হিন্দি এবং অপসংস্কৃতির কতকগুলো নাচটায়ও ঢুকা গেছে এর মধ্যে"।

অত্যন্ত বেদনার সঙ্গে উচ্চারণ করেছেন কথাগুলি। আরও প্রায় কেটেছে একুশ বাইশ বছর। যাত্রা হয়ে ওঠায় ঐতিহ্যের কুশান হারিয়েই গেছে প্রায়। গ্রামে কাজ কমে গেছে। মানুষের প্রাত্যহিক চাহিদা বেড়েছে আগের তুলনায় অনেক। পুজিবাদী ব্যবস্থার ফাঁদে মানুষ আজ কেবল 'কনজিউমার'। জীবনের সহজ সবল ছন্দ আজ জটিল আবর্তে ঘুরপাক খাচ্ছে। তার প্রভাব স্বাভাবিক কারণে আমাদের লোকনাটো, লোক সংস্কৃতিতে পড়েছে। প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও অনেকেই চেষ্টা করেছেন এবং করছেন কুশানের ঐতিহ্যকে বহমান রাখতে। ললিত কুশানির ছেলে বিনয় কৃষ্ণ বর্মণ খুব চেষ্টা করেছিলেন বাবার প্রতিষ্ঠিত দলটি টিকিয়ে রাখতে। পারলেন না। উল্লেখযোগ্য লড়াই করেছেন ধনেশ্বর বর্মণ (সিতাই), নির্মল দেবনাথ (শৌলমারি), মহিম বর্মণ (মাথাভাঙা), শৈব্যা কুশানী, জীতেন কুশানী (প্যাটলা), নরেন গীদাল (সুবচনীর পাট), বেণুকা কুশানী (গোসানিমারি)।

যাত্রা হয়ে ওঠার আগে কুশান কিছু রীতি মেনে অভিনীত হ'ত। এ তার নিজের বৈশিষ্ট্য। তার সুরের ধরণ একে পৃথক পরিচিতি দিয়েছে। দীর্ঘ কালের চর্চায় গড়ে ওঠা পরিচিতি। কুশানের কাহিনি বিস্তাবে পালা তিনরাত্রি, পাঁচরাত্রি, সাতরাত্রি ধ'রে চলত। আবার একরাত্রেও শেষ হ'ত। আশ্বিন মাসে দুর্গাপূজার পর থেকে চৈত্র মাসের শেষ পর্যন্ত সময়ে এই পালার আয়োজন করা হয়। এক একটি দলে পনের থেকে কুড়িজন পর্যন্ত পুরুষ ও মহিলা শিল্পী থাকেন। তাঁরাই বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেন, বাদ্যযন্ত্র বাজান, গান গান। মহিলা শিল্পী যেমন থাকেন তেমনই অনেক পুরুষ মাইলার সজ্জায় নৃত্য পরিবেশন করেন ও অভিনয় করেন। তাঁদের 'ছোকরা' বা 'ছুকড়ি' বলা হয় তা আগেই বলেছি। অনেক সংখ্যক মহিলা ইদানিংকালে অংশ গ্রহণ করলেও মুকড়িদের আকর্ষণ কমে নি। অনেক সময়েই মুকড়িদের আবেদন অনেক বেশি থাকে মহিলাদের তুলনায়।

* Abstract (সারাংশ) * Key word:- * Introduction * Conclusion  * Reference.


*

viii অষ্টম

১. ঠিক উত্তরটি নির্বাচন করো:


১.১ প্রতাপের প্রধান শখ ছিল ---  (ক) মাছ ধরা, (খ) ঘুড়ি ওড়ানো, (গ) বল খেলা।
১.২ ফুটবল মাঠে বারপুজো অনুষ্ঠিত হয় ---  (ক) ২২ শ্রাবণ, (খ) ১লা বৈশাখ, (গ) ২৫ বৈশাখ।
১.৩ নাগরাজনের বোনের নাম --- (ক) এণাক্ষী, (খ) মীনাক্ষী, (গ) কামাক্ষী।
১.৪ 'ফুল ফুটুক' কাব্যটি লিখেছেন --- (ক) সুভাষ মুখোপাধ্যায়, (খ) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, (গ) নজরুল ইসলাম।
১.৫ নজবুল ইসলামকে বলা হয় ----  (ক) কিশোর কবি, (খ) বিদ্রোহী কবি, (গ) বিশ্বকবি।
১.৬ উপান্তের শহরতলি জেগে উঠবে --- (ক) সা-রে-গা-মা করে, (খ) গান গাইতে গাইতে, (গ) সা-রা-রা-রা করে।
১.৭ সমাক্ষর লোপের একটি দৃষ্টান্ত হল ---  (ক) বড় দিদি বড়দি, (খ) দেশি দিশি, (গ) ফলাহার > ফলার।
১.৮ 'ভুল করে যদি ভুল লিখে ফেলি, তবু নম্বর দিও' বাক্যটি --- (ক) আদেশসূচক, (খ) প্রার্থনাসূচক, (গ) উপদেশসূচক।
১.৯ দ্বি (দুই) গো (গোরু) এর বিনিময়ে ক্রীত এটি হল ---  (ক) নিত্যসমাস, (খ) সমাহার দ্বিগু সমাস, (গ) তদ্বিতার্থক দ্বিগু সমাস।
১.১০ চলিত ভাষায় দেখতে পাওয়া যায় ---- (ক) ক্রিয়ার সংক্ষিপ্ত রূপ, (খ) সমাসবদ্ধ পদ, (গ) তৎসম শব্দের আধিক্য।
১.১১ কী বিচিত্র এই দেশ  বাকাটি --- (ক) অনুজ্ঞা ভাব, (খ) নির্দেশক ভাব, (গ) আপেক্ষিক ভাব-এর উদাহরণ।
১.১২ বিভক্তি কত প্রকার? --- (ক) চার, (খ) পাঁচ, (গ) দুই।
১.১৩  ঘুমপাড়ানি মাসিপিসির --- (ক) মস্ত পরিবার, (খ) ছোট্ট পরিবার, (গ) বড়ো পরিবার, (ঘ) মাঝারি পরিবার।
১.১৪ ঘরে ঘরে জ্বলে যায় ---  (ক) স্বপ্নের মোম, (খ) মৃদু মোম, (গ) শুধু মোম, (ঘ) স্বপ্নের মৃদু মোম।
১.১৫ আলাদিনের আশ্চর্য-প্রদীপ ---  (ক) তার মন, (খ) তার শরীর, (গ) তার হৃদয়, (ঘ) তার ইন্দ্রিয়।
১.১৬ কাবুলিওয়ালা পাঠানদের মাতৃভাষা ছিল ---  (ক) আরবি, (খ) পশতু, (গ) ফারসি, (ঘ) উর্দু।
১.১৭ "ডাস্টবিনের দুই পাশে দুটি প্রাণী, প্রাণীদুটি হল ---  (ক) দুটি কুকুর, (খ) দুটি মানুষ, (গ) দুটি বিড়াল, (ঘ) দুটি সৈন্য।
১.১৮  রঞ্জনের সঙ্গে ক্লাবের সম্পর্ক ছিল ---  (ক) পনেরো, (খ) যোলো, (গ) সতেরো, (ঘ) আঠারো-বছরের।
১.১৯ 'আপনাদিগের'-এর চলিত ভাষার রূপটি হল ---  (ক) আপনার, (খ) আপনি, (গ) আমাদের, (ঘ) আপনাদের।
১.২০ সাধুভাষায় ক্রিয়াপদ হয় --- (ক) দীর্ঘ, (খ) হ্রস্ব, (গ) সমাপিকা, (ঘ) অসমাপিকা।
১.২১ প্রবাদ হল --- (ক) একক ব্যক্তির সৃষ্টি, (খ) পণ্ডিতদের সৃষ্টি, (গ) গোষ্ঠী জীবনের সৃষ্টি, (ঘ) শিশুদের সৃষ্টি।
১.২২ গাড়িতে পাঠান মর্দ ছিল প্রায় ---  (ক) দশ জন, (খ) বারো জন, (গ) চোদ্দো জন, (ঘ) ধোংলা জন।
১.২৩  লোকটার কাছে লক্ষ্মী এলেন --- (ক) রণ-পায়ে, (খ) গড়গড়িয়ে, (গ) হনহন করে, (ঘ) হেলেদুলে।
১.২৪  প্রবাদের সন্ধান মেলে যাঁর রচনায় ---  (ক) ভারতচন্দ্র, (খ) শরৎচন্দ্র, (গ) সুভাষচন্দ্র, (ঘ) ঈশ্বরচন্দ্র।
১.২৫  শহরে- --- (ক) ১১০ (খ) ১৪৪, (গ) ১৫০. (খ) ১৬৪ ---  ধারা আর কারফিউ জারি হয়েছে।
১.২৬  সুভাদের গ্রামের নাম ছিল ---  (ক) চন্ডীপুর, (খ) কাশীপুর, (গ) হৃদয়পুর (ঘ) শ্রীরামপুর।
১.২৭  রঞ্জন সরকার তার পুরোনো ক্লাবের হয়ে খেলেছে--- (ক) দশ, (খ) পনেরো, (গ) কুড়ি, (ঘ) পচিশ বছর।
১.২৮  বুকুর বয়স ---  (ক) পাঁচ, (খ) সাত, (গ) ছয়, (ঘ) আট বছর।
১.২৯  যদি বদলে দিতে না পারো তাহলে---  (ক) দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে, (খ) সরতে সরতে, (গ) ঘুরতে ঘুরতে, (ঘ) লড়তে লড়তে মরতে।
১.৩০  ফুল ছুঁয়ে যায় চোখের পাতায়, জল ছুঁয়ে যায় --- (ক) চোখে, (খ) মুখে, (গ) ঠোঁটে, (ঘ) কানে।
১.৩১ তার কড়িগাছে কড়ি হল --- (ক) লক্ষ্মী, (খ) সরস্বতী, (গ) গণেশ, (ঘ) চন্ডী এলেন রণপায়ে।
১.৩২  শাখাগুলো নুয়ে আছে বহুদিন ছন্দহীন বুনো ---  (ক) বটের, (খ) অশ্বত্থের, (গ) চালতার, (খ) আমড়ার।
১.৩৩ ক্রিয়ার কালের প্রধান ভাগ --- (ক) চারটি, (খ) পাঁচটি, (গ) তিনটি, (ঘ) সাতটি।
১.৩৪  'শুকতারাটি ছাদের ধারে, চাঁদ থামে --'- (ক) নারকেল গাছে, (খ) তালগাছে, (গ) আমগাছে, (ঘ) কুলগাছে।
১.৩৫ ছোট্ট একটা --- (ক) জাদু, (খ) তাক, (গ) তুক, (ঘ) টিক করে বাইরেটা পালটে দাও।
১.৩৬  দু আঙুলের ফাঁক দিয়ে কখন খসে পড়ল তার ---  (ক) জীবন, (খ) খড়ি, (গ) ছড়ি, (ঘ) প্রদীপ।
১.৩৭  হরিচরণ বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত অভিধানের নাম--- (ক) 'বঙ্গীয় শব্দকোষ', (খ) 'জাতীয় শব্দকোষ', (গ) 'ভারতীয় শব্দকোষ', (ঘ) 'সংস্কৃত শব্দকোষ'।
১.৩৮ নাগরাজনের কাকা টিকিটের অ্যালবাম পাঠিয়েছিলেন ---  (ক) আলিপুর, (খ) সিঙ্গাপুর, (গ) মণিপুর, (ঘ) নাগপুর থেকে।
১.৩৯  জমিদারের নায়েবমশাই মাঝিকে প্রত্যেক মাসে দিত --- (ক) সাত টাকা, (খ) কুড়ি টাকা, (গ) পাঁচ টাকা, (ঘ) দশ টাকা।
১.৪০ নাটোরের রানির নাম হল --- (ক) ভবানী, (খ) শিবানী, (গ) সারদা, (ঘ) গৌরী।
১.৪১ "ভগবান তাঁকে বাঁচিয়ে রাখুন," কাকে বাঁচিয়ে রাখবেন? ---  (ক) বেণীকে, (খ) রমাকে, (গ) খুড়োকে, (ঘ) রমেশকে।
১.৪২  স্বাধীনতা আমার প্রয়োজন ---  (ক) সবার যেমন, (খ) আমার যেমন, (গ) তোমার যেমন, (ঘ) তার যেমন।
১.৪৩ ফুল ছুঁয়ে যায়  --- (ক) হাতের পাতায়, (খ) গাছের পাতায়, (গ) চোখের পাতায়, (ঘ) মাথায়।
১.৪৪  সন্ন্যাস নাচন চলে কত দিন ধরে?  --- (ক) আট নয়, (খ) নয়-দশ, (গ) দশ-এগারো, (ঘ) দশ-বারো।
১.৪৫  হরিসভায় কত দিনের বেশি থাকবার নিয়ম নেই? ---  (ক) দুই, (খ) তিন, (গ) চার, (ঘ) পাঁচ।
১.৪৬  ক্রিয়ার মূলকে বলে ---  (ক) সমাপিকা, (খ) প্রতিপাদিক, (গ) ধাতু, (গ) শব্দ।
১.৪৭ 'সমাস' শব্দটির অর্থ হল ---  (ক) সমাপ্ত, (খ) সম্বন্ধ, (গ) সংক্ষেপ, (ঘ) সুন্দর
১.৪৮  'চৌমাথ্য' কোন সমাসের উদাহরণ? ---  (ক) দ্বন্দ্ব, (খ) কর্মধারয়, (গ) দ্বিণু, (ঘ) বহুব্রীহি সমাস।
১.৪৯  তৃতীয় পদের অর্থ প্রাধান্য পায়, এমন সমাসটির নাম ---  (ক) দন্দ্ব  (খ) তৎপুরুষ, (গ) দ্বিগু, (খ) বহুব্রীহি সমাস।
১.৫০ 'টিকিটের অ্যালবাম' মূল গল্পটি কোন ভাষায় রচিত? --- (ক) হিন্দি, (খ) তামিল, (গ) তেলুগু, (ঘ) ওড়িয়া।
১.৫১  'তিনি ছিলেন পার্লামেন্টারি বক্তা - কে? --- (ক) জানকীনাথ ঘোষাল, (খ) ররীন্দ্রনাথ ঠাকুর, (গ) অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর, (ঘ) লালমোহন ঘোষ।
১.৫২  রঞ্জনের জার্সি নং কত? --- (ক) ১২. (খ) ১০. (গ) ১৩, (ঘ) ১১।
১.৫৩ লোকটার দু-আঙুলের ফাঁক দিয়ে কী খসে পড়ল। ---  (ক) জীবন, (খ) মুখ, (গ) পয়সা, (ঘ) তামা।
১.৫৪  হরিচরণকে মাসিক বৃত্তি দেন কে? ---  (ক) বিধুশেখর শাস্ত্রী, (খ) মণীন্দ্রচন্দ্র নন্দী, (গ) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, (ঘ) ক্ষিতিমোহন সেন।
১.৫৫  ব্যাসবাক্যের অপর নাম কী? --- (ক) সমাস, (খ) সমস্তপদ, (গ) বিগ্রহবাক্য, (ঘ) দ্বন্দু বাক্য।
১.৫৬  উভয়পদের অর্থ প্রাধান্য পায় যে সমাসে ---  (ক) দ্বিগু সমাস, (খ) দ্বন্দ্ব সমাস, (গ) তৎপুরুষ সমাস, (ঘ) কর্মধারয় সমাস।
১.৫৭ 'আদাব' গল্পে উল্লিখিত নদীর নাম ---  (ক) গন্ধ্যা, (খ) পদ্মা, (গ) সিন্ধু, (ঘ) বুড়িগঙ্গা।
১.৫৮ মান্দালয় জেল অবস্থিত ---  (ক) বার্মায়, (খ) আন্দামানে, (গ) মালয়েশিয়ায়, (ঘ) গুজরাটে।
১.৫৯  হরিচরণ বিশ্বভারতীর কাজ থেকে অবসর নেন --- (ক) ৬০, (খ) ৬৫, (গ) ৭০, (ঘ) ৭৫ বছর বয়সে।
১.৬০  জলপরি কন্যা উদাস নয়নে দেখে --- (ক) ঝড়, (খ) বৃষ্টি, (গ) বন্যা, (ঘ) নদী।
১.৬১ কবি সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের প্রথম কাব্যগ্রন্থ হল --- (ক) 'অগ্নিকোণ', (খ) 'পদাতিক', (৩) 'চিরকুট', (ঘ) 'ফুল ফুটুক'।
১.৬২  "কিছুখন যেন থামিয়া রয়েছে এ বাড়িরে ভালোবেসে।" কারা থেমে রয়েছে? --- (ক) ডাহুক মেয়েরা, (খ) রঙিন মেঘেরা, (গ) বাড়ির বধুরা, (খ) বনের পাখিরা।
১.৬৩  সুভাষচন্দ্রের পত্রে কোন্ কবির নাম উল্লিখিত হয়েছে?--- (ক) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, (খ) সুকান্ত ভট্টাচার্য, (গ) কাজী নজরুল ইসলাম, (ঘ) সুভাষ মুখোপাধ্যায়-এর।
১.৬৪  সুভাষচন্দ্রের মতে বন্দিদশায় সাধারণত একটা--- (ক) আধ্যাত্মিক, (খ) দার্শনিক, (গ) কবি, (ঘ) জাতীয়তাবাদী ভাব মানুষের অন্তরে শক্তির সঞ্চার করে।
১.৬৫  হরিচরণ বন্দ্যোপাধ্যায় 'বঙ্গীয় শব্দকোষ' রচনায় যাঁর নির্দেশে প্রবৃত্ত হন তিনি হলেন--- (ক) বায়রন, (খ) শেকসপিয়র, (গ) টেনিসন, (খ) ইয়েটস।
১.৬৬  স্বাধীনতা একটা শক্তিশালী --  (ক) রক্তপ্রবাহ, (খ) বীজপ্রবাহ, (গ) ধর্মপ্রবাহ, (ঘ) শক্তিপ্রবাহ।
১.৬৭  মাসিপিসিদের বাড়িতে অনেকগুলো পেট, কিন্তু রোজগার --  (ক) সামান্য, (খ) দুমুঠো, (গ) একমুঠো, (ঘ) অতি অল্প।
১.৬৮ 'সমাস' শব্দটির অর্থ হল -- (ক) সংক্ষেপ, (খ) মিলন, (গ) বিশ্বাস, (ঘ) সন্ধি।
১.৬৯  'গণ্যমান্য' সমাস হল ---  (ক) সাধারণ কর্মধারয় সমাস, (খ) উপমিত কর্মধারয় সমাস, (গ) স্বন্দ্ব সমাস, (ঘ) দ্বিগু সমাস।
১.৭০ 'বাণীকন্ঠের ঘর একেবারে নদীর --- (ক) তীরেই, (খ) পাশেই, (গ) সম্মুখেই, (ঘ) উপরেই।
১.৭১ মৃত্যুর পরে আমার প্রয়োজন হবে না---  (ক) অধিকারের, (খ) মুক্তির, (গ) স্বাধীনতার, (ঘ) মালিকানার।
১.৭২  মোরা করব সর্বনাশ --- (ক) লোকের, (খ) শিকলের, (গ) বাঁধনের, (ঘ) ভূতের।


সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করে লেখো:
1.  রবিনসন দ্বী প অবস্থান করছে  --- (a) এশিয়া, (b) দক্ষিণ আফ্রিকা, (c) অস্ট্রেলিয়া-তে।
2.  মারে-ডার্লিং নদী মিলিত হয়েছে --- (a) পার্থ, (b) সেন্টলুই, (c) ওয়েন্ট ওয়ার্থ শহরে।

3. জীবাশ্ম দেখা যায় --- (a) পাললিক, (b) আগ্নেয়, (c) রূপান্তরিত শিলায়।


4. ক্যারিবিয়ান সাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড়  --- (a) হ্যারিকেন, (b) টাইফুন, (c) টর্নেডো নামে পরিচিত।


5. পরিষ্কার আকাশ নির্দেশ করে ---  (a) নিম্নোস্ট্যাটাস, (b) কিউমুলাস, (c) কিউমুলোনিস্বাস মেঘ।


6. চলচ্চিত্র শিল্পে উন্নত  --- (a) ভূমধ্যসাগরীয়, (b) মৌসুমি, (c) নিরক্ষীয় জলবায়ু অঞ্চল।


7.  'ইয়াকুত' উপজাতির মানুষেরা ---  (a) ল্যাপল্যান্ডে, (b) সাইবেরিয়ায়, (c) ফিনল্যান্ডে বাস করে।

8. আর্থ সামিট অনুষ্ঠিত হয়েছিল  --- (a) ব্যাংকক, (b) দিল্লি, (c) রিও-ডি-জেনিরো শহরে।


9. সুন্দরলাল বহুগুণা একজন  ---- (a) অর্থনীতিবিদ, (৮) পরিবেশবিদ, (c) আবহাওয়াবিদ।


10.  জুন-জুলাই মাস ওশিয়ানিয়াতে ---  (a) শীতকাল, (b) বসন্তকাল, (c) গ্রীষ্মকাল।

11. মহাসাগরীয় ভুত্বক যে শিলা দ্বারা গঠিত তা হল --- (a) গ্রাফাইট, (b) ব্যাসল্ট, (c) গ্রানাইট।


12. জয়সলমিরের সোনার কেল্লা তৈরি হয়েছে ---  (a) বেলেপাথর, (b) চুনাপাথর, (c) কাদাপাথর দিয়ে।


13.  যে তাপমাত্রায় বায়ু সম্পৃক্ত হয়, তাকে বলে--- (a) হিমাঙ্ক, (b) স্ফুটনাঙ্ক, (c) শিশিরাঙ্ক।
14.  জলকণা ও তুষারকণার আংশিক মিশ্রিত রূপ হল ---  (a) তুষারবৃষ্টি, (b) প্লিট, (c) শিলাবৃষ্টি।

15. পিগমিরা যে জলবায়ু অঞ্চলের অন্তর্গত, তা হল ---  (a) নিরক্ষীয়, (b) তুন্দ্রা, (c) তৈগা।


16. মৌসুমি জলবায়ু অঞ্চলের প্রধান ফসল হল ---  (a) ধান, (b) গম, (c) ভুট্টা।


17. একটি পরিবেশবান্ধব শক্তি হল--- (a) তাপবিদ্যুৎ, (b) জলবিদ্যুৎ, (c) পারমাণবিক বিদ্যুৎ।


18.  'আর্থ সামিট' পরিবেশ সম্মেলন হয় --- (a) 1972 সালে, (b) 1982 সালে, (c) 1992 সালে।
19.  'গ্রেট বেরিয়ার রিফ' ----  (a) প্রশান্ত, (b) ভারত, (c) কুমেরু মহাসাগরে দেখা যায়।
20.  ওশিয়ানিয়ার সর্বোচ্চ শৃঙ্গটি অবস্থিত ---  (a) অস্ট্রেলিয়ায়, (b) পাপুয়া নিউগিনিতে, (c) নিউজিল্যান্ডে।
21.  পৃথিবীর ঘনত্ব হল- (a) 5.5 গ্রাম/ ঘনসেমি, (b) 2.6-3.3 গ্রাম/ ঘনসেমি, (c) 11 গ্রাম/ ঘনসেমি, (d) 13-14 গ্রাম/ ঘনসেমি।

22. ব্যাসল্ট-এর রূপান্তরিত রূপ হল ---  (a) কোয়ার্টজাইট, (b) অ্যাম্ফিবোলাইট, (c) গ্রাফাইট, (d) সিস্ট।


23. আকাশে প্রদত্ত কোন্ মেঘ থাকলে পরিষ্কার আবহাওয়া নির্দেশ করে? --- (a) স্ট্যাটাস , (b) নিম্নোস্ট্যাটাস, (c) কিউমুলাস, (d) কিউমুলোনিম্বাস।


24. মেঘের মধ্যে জলকণাগুলির গড় ব্যাস হল ---  (a) 2 মিমি, (b) 0.2 মিমি, (c) 0.02 মিমি, (d) 0.002 মিমি।


25. দক্ষিণ আমেরিকার চিলিতে সাধারণত যে জলবায়ু লক্ষ করা যায় তা হল- --- (a) নিরক্ষীয় জলবায়ু, (৬) মৌসুমি জলবায়ু, (c) তুন্দ্রা জলবায়ু, (৫) ভূমধ্যসাগরীয় জলবায়ু।


26. সর্বনিম্ন বার্ষিক উন্নতার প্রসর লক্ষ করা যায়--- (a) নিরক্ষীয় জলবায়ু অঞ্চলে, (b) তুন্দ্রা জলবায়ু অঞ্চলে, (c) মৌসুমি জলবায়ু অঞ্চলে, (d) ভূমধ্যসাগরীয় জলবায়ু অঞ্চলে।


27.  পরিবেশ অবনমনের মনুষ্যসৃষ্ট কারণটি হল  --- (a) বন্যা, (b) ধস, (c) অপরিকল্পিত নগরায়ণ, (d) ভূমিকম্প।
28.  'Earth Summit' কত সালে হয়েছিল? -- (a) 1984 সালে, (b) 1986 সালে, (c) 1973 সালে, (d) 1992 সালে।
29.  একটি প্রবাল দ্বীপ হল ---  (a) ক্যারোলাইন, (৮) ফিজি, (c) তাহিতি, (d) সলোমন।
30.  ওশিয়ানিয়ার যে আঞ্চলিক বিভাগে ইস্টার দ্বীপপুঞ্জ অবস্থিত তা হল- (a) পলিনেশিয়া, (b) মাইক্রোনেশিয়া (c) মেলানেশিয়া (d) অস্ট্রেলেশিয়া।

31. বহিঃকেন্দ্রমণ্ডলের ভৌত অবস্থা --- (a) কঠিন, (b) তরল, (c) অর্ধতরল, (d) গ্যাসীয় প্রকৃতির।


32.  চুনাপাথর যে খনিজ দিয়ে গঠিত তা হল ---  (a) কোয়ার্টজ, (b) ক্যালসাইট, (c) ফেল্ডসপার, (d) সিলিকন।

33. বায়ুর উন্নতা বেড়ে গেলে আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ ---  (a) বাড়ে, (b) কমে, (c) একই থাকে, (d) সবকটিই ঠিক।


34. ) প্রদত্ত কোন মেঘের মধ্যে থেকে সুর্যকে অনুজ্জ্বল দেখায়। --- (a) অল্টোকিউমুলাস, (b) স্ট্র্যাটোকিউমুলাস, (c) সিরোস্ট্যাটাস, (d) অন্টোস্ট্যাটাস।


35.  আফ্রিকা মহাদেশের কোন দেশে ভূমধ্যসাগরীয় জলবায়ু দেখা যায়? --- (a) আলবেনিয়া, (৮) আলজিরিয়া, (c) সিরিয়া, (d) তানজানিয়া।
36.  প্রদত্ত কোন্ প্রাকৃতিক ঘটনা পরিবেশের অবনমনের জন্য দায়ী নয়?--- (a) মৃত্তিকা ক্ষয়, (৮) জীববৈচিত্র্য হ্রাস, (c) অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত, (d) ভূমিধস।

37. ক্রান্তীয় শীতকাল দেখা যায় কোন্ জলবায়ু অঞ্চলে? ---  (a) মৌসুমি, (b) ভূমধ্যসাগরীয়, (c) নিরক্ষীয়, (d) তুন্দ্রা জলবায়ু অনঞ্চলে।


38. ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য পরিবেশের গুণগত মানকে বজায় রেখে যে উন্নয়ন করা হয়, তা হল--- (a) পর্যাপ্ত উন্নয়ন, (৮) স্থিতিশীল উন্নয়ন, (c) পরিবেশের সংরক্ষণ, (d) অর্থনৈতিক উন্নয়ন।


39.  ওশিয়ানিয়া মহাদেশের আঞ্চলিক বিভাগের সংখ্যা কয়টি? ---  (a) ২টি, (b) ত্রুটি, (c) 4টি, (d) 5টি।

40. পলিনেশিয়ায় অবস্থিত একটি দ্বীপের নাম হল ---  (a) মার্শাল, (b) কুক, (c) সলোমন, (৫) নাউরু।


41.  কৃত্রিম উপগ্রহের বিচারে সামগ্রিকভাবে পৃথিবীর গড় ঘনত্ব--- (a) 5.1 গ্রাম/ঘনসেমি, (b) 5.5 গ্রাম/ ঘনসেমি, (c) 0.3 গ্রাম/ ঘনসেমি, (d) 6.5 গ্রাম/ ঘনসেমি।

42. শ্রেণিকক্ষের ব্লাকবোর্ড তৈরিতে যে শিলার প্রয়োজন হয় তা হল ---  (a) মারবেল, (b) নিস, (c) প্লেট, (d) বেলেপাথর।


43.  'ম্যাকারেল আকাশ' সৃষ্টি হয় যে মেঘে আকাশ ছেয়ে গেলে তা হল  --- (a) সিরাস, (b) সিরোস্ট্যাটাস, (c) অল্টোকিউমুলাস, (d) সিরোকিউমুলাস।

44. জলকণা ও তুষারকণার আংশিক মিশ্রিত রূপ হল ---  (a) ব্লিট, (b) শিলাবৃষ্টি, (c) শিশির, (১) ড্রিজল।


45. ভূমধ্যসাগরীয় জলবায়ু অঞ্চলের 'প্রতিফলক বৃক্ষ' নামে পরিচিত যে গাছ তা হল --- (a) ম্যাপল, (b) লরেল, (c) জলপাই, (d) রোজমেরি।


46. 'মেরুপ্রভা' যে জলবায়ু অঞ্চলে সৃষ্টি হয় তা হল--- (a) নিরক্ষীয় জলবায়ু অঞ্চলে, (৬) মৌসুমি জলবায়ু অঞ্চলে, (c) ভূমধ্যসাগরীয় জলবায়ু অঞ্চলে, (d) তুন্দ্রা জলবায়ু অন্যলে।


47.  ভোপালের গ্যাস দুর্ঘটনায় যুক্ত বিষাক্ত গ্যাসটি হল (a) MIC, (b) Co,, (c) O,, (d) N₂O

48. জাপানের ফুকুসিমা পরমাণু দুর্ঘটনাটি ঘটে (a) 1986 সালে, (b) 1984 সালে, (c) 2012 সালে, (d) 2011 সালে।


49. রুপোর শহর' নামে পরিচিত ওশিয়ানিয়া মহাদেশের যে শহরটি তা হল (a) ব্রোকেনহিল, (b) মিলডুরা, (c) রোমা, (d) বেন্ডিগো।


50. প্রদত্ত দ্বীপগুলির মধ্যে যে দ্বীপটি প্রবাল জমে সৃষ্টি হয়েছে তা হল ---  (a) তাহিতি, (b) কিলাউইয়া, (c) ক্যারোলাইন, (d) ফিজি।


বিবেকানন্দ কোচিং সেন্টার
অষ্টম শ্রেনী -2024

1. . হর্ষবর্ধন ছিলেন ---- a) অসমের রাজা, (b) গৌড়ের রাজা, (c) কনৌজের রাজা, (d) মালবের রাজা।


2. . পাল বংশের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন --- (a)  ধর্মপাল, (b) গোপাল, (c) দেবপাল, (d) রামপাল।


3.  'হর্ষচরিত' রচনা করেন ---  (a) হর্ষবর্ধন, (b) জয়দেব, (c) বানভট্ট, (d) সন্ধ্যাকর নন্দী।

4. দিল্লির সুলতানি শাসন প্রতিষ্ঠা করেন --- (a) মহম্মদ ঘুরি, (b) কুতুবউদ্দিন আইবক, (c) ইলতুৎমিশ, (d) গজনির সুলতান মাহমুদ।


5.  পানিপথের প্রথম যুদ্ধ হয়েছিল ---  (a) 1520 খ্রিস্টাব্দে, (b) 1526 খ্রিস্টাব্দে, (c) 1527 খ্রিস্টাব্দে, (d) 1556 খ্রিস্টাব্দে।

6. হুমায়ুননামা' রচনা করেন --- a) বাবর, (b) হুমায়ুন, (c) গুলবদন বেগম, (d) বদাউনি।


7. 'দীন-ই-ইলাহি' প্রবর্তন করেন ---  (a) আকবর, (b) জাহাঙ্গির, (c) শাহজাহান, (d) ঔরঙ্গজেব।


8. বাংলায় 'দ্বৈত শাসনব্যবস্থা'-এর সূচনা করেন ---  (a) ওয়ারেন হেস্টিংস, (b) রবার্ট ক্লাইভ, (c) লর্ড ওয়েলেসলি, (d) লর্ড কর্নওয়ালিশ।


9. 'চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত' প্রবর্তিত হয় --- (a) 1773 খ্রিস্টাব্দে, (b) 1793 খ্রিস্টাব্দে, (c) 1813 খ্রিস্টাব্দে, (d) 1844 খ্রিস্টাব্দে।


10. ভারতে প্রথম রেলপথ চালু হয় ---  (a) 1833 খ্রিস্টাব্দে, (b) 1843 খ্রিস্টাব্দে, (c) 1853 খ্রিস্টাব্দে, (d) 1855 খ্রিস্টাব্দে।


11. তিতুমির' ছিলেন --- (a)  ওয়াহাবি আন্দোলনের নেতা, (b) ফরাজি আন্দোলনের নেতা, (c) নীল বিদ্রোহের নেতা, (d)  মুন্ডা বিদ্রোহের নেতা।


12.  'আর্য সমাজ' প্রতিষ্ঠা করেন --- (a) দয়ানন্দ সরস্বতী, (b) জ্যোতিরাও ফুলে, (c) মহাদেব গোবিন্দ রানাডে, (d) স্বামী বিবেকানন্দ।

13. ভারতের প্রথম ভাইসরয় ছিলেন --- (a) লর্ড ক্যানিং, (b) লর্ড বেন্টিঙ্ক, (c) ওয়ারেন হেস্টিংস, (d) লর্ড ডালহৌসি।


14.  বঙ্গভঙ্গ রদ করা হয় ----  (a) 1905 খ্রিস্টাব্দে, (b) 1907 খ্রিস্টাব্দে, (c) 1911 খ্রিস্টাব্দে, (d) 1919 খ্রিস্টাব্দে।
15.  অলিন্দ যুদ্ধ সংঘটিত হয় --- (a) 1919 খ্রিস্টাব্দে, (b) 1930 খ্রিস্টাব্দে, (c) 1935 খ্রিস্টাব্দে, (d) 1942 খ্রিস্টাব্দে।

16. ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী হিলেন ---  (a) জওহরলাল নেহরু, (b) রাজেন্দ্র প্রসাদ, (c) লর্ড মাউন্ট ব্যাটেন, (d)  লাল বাহাদুর শাস্ত্রী।


17.  লোকসভায় সভাপতিত্ব করেন ---  (a) রাষ্ট্রপতি, (b) প্রধানমন্ত্রী, (c) উপরাষ্ট্রপতি, (d) অধ্যক্ষ।

18. কলকাতায় ফোর্ট উইলিয়ম কলেজ প্রতিষ্ঠা হয়- (a) ১৮০০ খ্রিস্টাব্দে, (b) ১৮১৭ খ্রিস্টাব্দে, (c) ১৭৮১ খ্রিস্টাব্দে, (d) ১৮৩০ খ্রিস্টাব্দে।


19. ১৮১২ খ্রিস্টাব্দে পাকাপাকিভাবে বিলুপ্ত হয় ---  (a) সিপাহি বাহিনী, (b) দারোগা ব্যবস্থা, (c) ফৌজদারি ব্যবস্থা, (d) সিভিল সার্ভিস।


20. হিন্দু কলেজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না--- (a) ডেভিড হেয়ার, (৮) এডওয়ার্ড হাইড ইস্ট, (c) রামমোহন রায়, (d) নাথানিয়েল ব্র্যাসি হালেদ।


21. আত্মীয় সভা প্রতিষ্ঠা করেন ---  (a) রামমোহন রায়, (b) স্বামী দয়ানন্দ সরস্বতী, (c) রাজনারায়ণ বসু, (d) বিস্তুশাস্ত্রী পণ্ডিত।


22. 'হুল' শব্দের অর্থ ---  (a) মহাজন, (৮) জমিদার, (c) বিদ্রোহ, (d) বহিরাগত।


23.  ১৮৫৭-এর বিদ্রোহে গ্রামে খবর দেওয়া-নেওয়ার মাধ্যম ছিল --- (a) রুটি, (b) চিঠি, (c) টেলিগ্রাফ, (d) সংবাদপত্র।
24.  কংগ্রেসের প্রথম অধিবেশনে বেশিরভাগ প্রতিনিধি যোগ দিয়েছিলেন --- (a) বাংলা, (b) মাদ্রাজ, (c) বোম্বাই, (d) দিল্লি থেকে।

25. ১৯০৫ খ্রিস্টাব্দে বঙ্গভঙ্গের সরকারি ঘোষণা করা হয় ---  (৪) ১৬ অক্টোবর, (b) ১৯ জুলাই, (c) ৩০ ডিসেম্বর, (d) ৩০ এপ্রিল।


26. এঁদের মধ্যে কে ১৯৩০ খ্রিস্টাব্দের ৮ ডিসেম্বরের রাইটার্স বিল্ডিং অভিযানের সলো যুক্ত ছিলেন না?-


--- (a) বিনয় বসু, (b) রসময় শূর, (c) দীনেশ গুপ্ত, (d) সূর্য সেন।
27.  ফারসির বদলে ইংরেজিকে সরকারি ভাষার স্বীকৃতি দেওয়া হয়--- (a) ১৮৮৫ খ্রিস্টাব্দে, (b) ১৮৩৭ খ্রিস্টাব্দে, (c) ১৯৩২ খ্রিস্টাব্দে, (d) ১৮৯৮ খ্রিস্টাব্দে।
28.  ইউনিয়নিস্ট পার্টির নেতা ছিলেন--- (a) স্যার সিকন্দর হায়াৎ খান, (b) চক্রবর্তী রাজা গোপালাচারী, (c) মোতিলাল নেহরু, (৫) মহম্মদ ইকবাল।

29. স্বাধীন ভারতের সংবিধানের মূল রূপকার ---  (a) জওহরলাল নেহরু, (b) বি আর আম্বেদকর, (c) রাজেন্দ্র প্রসাদ, (d) মহাত্মা গান্ধি।


30.  রাজ্যসভায় রাষ্ট্রপতি নিয়োগ করতে পারেন ---  (a) ১২, (b) ১৫, (c) ১০, (d) ৯ জন সদস্যকে।
31.  আইন করে সতীদাহপ্রথা নিষিদ্ধ করেছিলেন--- (a) লর্ড ডালহৌসি, (b) রাজা রামমোহন রায়, (c) লর্ড বেন্টিঙ্ক, (d) ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর।
32.  সত্যশোধক সমাজ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন---  (a) দয়ানন্দ সরস্বতী, (৮) জ্যোতিরাও ফুলে, (c) বীরেশলিঙ্গাম পাণ্ডুলু, (d) রাজা রামমোহন রায়।
33.  এলিজা ইম্পের বানানো আইনগুলির বাংলা অনুবাদ করেছিলেন---- (a) বিদ্যাসাগর, (b) ওয়ারেন হেস্টিংস, (c) জোনাথন ডানকান, (d) উইলিয়ম কেরি।

34. নরমপন্থী ও চরমপন্থীরা আলাদা হয়েছিল কংগ্রেসের -- (a) কলকাতা অধিবেশনে, (b) বোম্বাই অধিবেশনে, (৫) লখনউ অধিবেশনে, (d) সুরাট অধিবেশনে।


35. ১৯০৫ খ্রিস্টাব্দে রাখিবন্ধন উৎসব পালিত হয়েছিল ---  (a) ৫ অক্টোবর, (b) ১৬ অক্টোবর, (c) ১৬ নভেম্বর, (d) ১০ অক্টোবর।


36. বিপ্লববাদের জনক' বলা হয় --- (a) মাস্টারদা সূর্য সেনকে, (b) ভগৎ সিংকে, (c) বাসুদেব বলবন্ত ফাদকেকে, (d) বাল গঙ্গাধর তিলককে।


37. মন্টেগু-চেমসফোর্ড ভারত শাসন আইন পাস হয়েছিল --- a) ১৯১৯ খ্রি. (b) ১৯১৫ খ্রি, (c) ১৯১৮ খ্রি. (d) ১৯১৭ খ্রি।


38. জালিয়ানওয়ালাবাগের হত্যাকাণ্ড ঘটেছিল ১৯১৯ সালের ---  (a) ১২ মার্চ, (b) ১৬ মার্চ, (c) ১৩ এপ্রিল, (d) ১৮ এপ্রিল।


39. ভগৎ সিং-এর ফাঁসি হয়েছিল--- (a) লাহোর ষড়যন্ত্র মামলায়, (৮) কাকোরি ষড়যন্ত্র মামলায়, (c) আলিপুর বোমার মামলায়, (d) মিরাট ষড়যন্ত্র মামলায়।


40. মুসলিম লিগের লাহোর অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন --- (a) চৌধুরি রহমৎ আলি, (b) ফজলুল হক, (c) খাজা আবদুল রহিম, (d) মহম্মদ আলি জিন্নাহ।


41. ভারতের স্বাধীনতা আইন পাস হয় --- (a) ১৯৪৬ খ্রিস্টাব্দের ১৮ জুলাই, (b) ১৯০৭ খ্রিস্টাব্দের ৩ জুন, (c) ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দের ৪ জুলাই, (d) ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দের ২৮ জুলাই।


42. কৃষক প্রজা পার্টির নেতা ছিলেন ---  (a) মুজফ্ফর আহমেদ, (b) এ কে ফজলুল হক, (c) মানবেন্দ্রনাথ রায়, (d) বিধানচন্দ্র রায়।


43.  ভারতের গণপরিষদের স্থায়ী সভাপতি ছিলেন--- (a) জওহরলাল নেহরু, (b) ড. বি আর আম্বেদকর, (c) ৬. রাজেন্দ্র প্রসাদ, (d) সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল।
44.  কেন্দ্রীয় আইনসভার উচ্চকক্ষকে বলা হয় ---  (a) বিধানসভা, (b) লোকসভা, (c) বিধান পরিষদ, (d) রাজ্যসভা।
45.  গ্রামীণ পঞ্চায়েত ব্যবস্থার সবথেকে ওপরের স্তরে রয়েছে --- (a)  গ্রাম পঞ্চায়েত, (b) পঞ্চায়েত সমিতি, (c) পৌরসভা, (d) জেলা পরিষদ।

46. ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি বাংলায় দেওয়ানি লাভের অধিকার পেয়েছিল-- - (a)  ১৭৭০ খ্রিস্টাব্দে, (b)  ১৭৭২ খ্রিস্টাব্দে, (c) ১৭৭৪ খ্রিস্টাব্দে, (১) ১৭৬৫ খ্রিস্টাব্দে।


47.  কোম্পানির আমলে পুলিশ থানা ব্যবস্থা চালু হয়েছিল --- (a) লর্ড ওয়ারেন হেস্টিংসের আমলে, (b) লর্ড কর্নওয়ালিশের আমলে, (c) লর্ড বেন্টিজ্ঞের আমলে, (d) লর্ড ক্যানিং-এর আমলে।
48.  ১৭৬৪ খ্রিস্টাব্দে বাংলায় নদীপথগুলি জরিপ করেন --- (a) এলিজা ইম্পে, (b) জেমস রেনেল, (c) মেকলে, (d) চার্লস উড।

49. বেঙ্গল গেজেট' নামে সাপ্তাহিক পত্রিকা প্রকাশ করেন ---  (a) মার্শম্যান, (b) জেমস অগাস্টাস হিকি, (c) উইলিয়ম কেরি, (d) ডিরোজিও।


50.  প্রথম ভাইসরয় হিসেবে নিযুক্ত হন --- (a) লর্ড বেন্টিক, (b) লর্ড ডালহৌসি, (c) লর্ড ক্যানিং, (d) লর্ড লিটন।
51.  জাতীয় কংগ্রেসের প্রথম সভা বসেছিল ---  (a) বোম্বাইতে, (b) মাদ্রাজে, (c) দিল্লিতে, (d) কলকাতায়।
52.  জ্যোতিরাও ফুলের দ্বারা গঠিত হয়েছিল --- a) আত্মীয় সভা, (b) সত্যশোধক সমাজ, (c) হিন্দু মেলা, (d) আর্য সমাজ।
53.  বাংলায় বিপ্লবী আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত ছিল --- (a) যুগান্তর, (b) হিন্দু প্যাট্রিয়ট, (c) সোমপ্রকাশ, (d) অমৃতবাজার পত্রিকা।
54.  'সীমান্ত গান্ধি' নামে পরিচিত ছিলেন --- (a) সৈয়দ আহমদ খান, (b) খান আবদুল গফফর খান, (c) মহম্মদ আলি জিন্নাহ, (d) শওকত আলি।

55. রেগুলেটিং অ্যাক্ট পাস হয় (a) ১৭৭২ খ্রিস্টাব্দে, (b) ১৭৭৩ খ্রিস্টাব্দে, (c) ১৭৭৪ খ্রিস্টাব্দে, (d) ১৭৮৪ খ্রিস্টান্সে।


56.  ঠগি দস্যুদের দমন করেছিলেন --- a) ওয়ারেন হেস্টিংস, (b) লর্ড উইলিয়ম বেন্টিঙ্ক, (c) কর্নওয়ালিশ, (d) ডালহৌসি।

57. জেমস রেনেল ছিলেন ভারতের --- (a) বিচারপতি, (b) জরিপ বিভাগের প্রধান, (c) গভর্নর জেনারেল, (d) জনশিক্ষা কমিটির সভাপতি।


58.  শিকাগো বিশ্ব ধর্ম সম্মেলনে যোগদান করেছিলেন--- (a) দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর, (b) কেশবচন্দ্র সেন, (c) স্বামী বিবেকানন্দ, (d) রাজা রামমোহন রায়।
59.  হাজি শরিয়তউল্লা ফরাজি আন্দোলন গড়ে তুলেছিলেন ---  (a) মিরাটে, (b) ব্যারাকপুরে, (c) বারাসাতে, (d) ফরিদপুরে।
60.  ভারতের প্রথম ভাইসরয় ছিলেন --- (a) লর্ড ডালহৌসি, (b) রবার্ট ক্লাইভ, (c) লর্ড বেন্টিঙ্ক, (d) লর্ড ক্যানিং।

61. ভারতের জাতীয় কংগ্রেসের প্রথম সভা বসেছিল ---  (a) মাদ্রাজে, (b) কলকাতায়, (c) দিল্লিতে, (d) বোম্বাইতে।


62. বঙ্গভঙ্গ রদ করা হয় ---  (a) ১৯০৬ খ্রিস্টাব্দে, (b) ১৯০৯ খ্রিস্টাব্দে, (৫) ১৯১১ খ্রিস্টাব্দে, (d) ১৯০৫ খ্রিস্টাব্দে।


63.  চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুণ্ঠনে নেতৃত্ব দেন ----  (a) ভগৎ সিং, (b) মাস্টারদা সূর্য সেন, (c) বিনয় বসু, (d) বাদল গুপ্ত।
64.  তাম্রলিপ্ত জাতীয় সরকার গঠিত হয়--- (a) সুভাষচন্দ্র বসুর নেতৃত্বে, (b) মাতঙ্গিনী হাজরার নেতৃত্বে, (c) সতীশচন্দ্র সামন্তের নেতৃত্বে, (d) মহাত্মা গান্ধির নেতৃত্বে।

65. মুসলিম লিগ গঠিত হয় --- (a) ঢাকায়, (b) যশোরে, (c) খুলনায়, (d) কলকাতায়।


66.  বাংলার কৃষক প্রজা পার্টির নেতা ছিলেন- (a) এ কে ফজলুল হক, (b) মহম্মদ আলি জিন্নাহ, (c) স্যার সিকন্দর হায়াৎ খান, (d) শওকত আলি।

67. স্বাধীন ভারতের সংবিধানের মূল রূপকার ছিলেন- (a) ড. রাজেন্দ্র প্রসাদ, (b) বি আর আম্বেদকর, (c) ড. সর্বপল্লী রাধাকৃয়ণ, (d) জওহরলাল নেহরু।


68.  যে চাষি পরের জমি ফসলের ভাগের বিনিময়ে চাষ করে তাকে বলে --- (a) খেতমজুর, (b) ভূমিহীন চাষি, (c) পাট্টাদার, (d) বর্গাদার।
69.  ভারতে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির প্রথম গভর্নর জেনারেল ছিলেন --- (a) লর্ড ওয়েলেসলি, (b) লর্ড ওয়ারেন হেস্টিংস, (c) লর্ড বেন্টিঙ্ক, (d) লর্ড ক্লাইভ।
69.  উইলিয়ম জোনস ১৭৮৪ খ্রিস্টাব্দে কলকাতায় প্রতিষ্ঠা করেন--- (a) এশিয়াটিক সোসাইটি, (b) কলকাতা মাদ্রাসা, (c) সংস্কৃত কলেজ, (d) ফোর্ট উইলিয়ম কলেজ।

70. বাংলার নদীপথগুলি জরিপ করেছিলেন ---  (a) চার্লস উড, (b) এলিজা ইম্পে, (c) উইলিযম জোনস, (d) জেমস রেনেল।


71. সতীদাহ রদ 'আইন পাস করেন --- (a) লর্ড ক্যানিং, (b) উইলিয়ম বেন্টিঙ্ক. (c) লর্ড ডালহৌসি, (৫) লর্ড আমহার্স্ট।


72. হুল শব্দের অর্থ হল (a) মহাজন, (b) জমিদার, (c) বিদ্রোহ, (d) বহিরাগত।


73.  'নীলদর্পণ' নাটকটি লেখেন ---  (a) ববীন্দ্রনাথ ঠাকুর, (b) কালিদাস, (c) দীনবন্ধু মিত্র, (d) বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়।

74. বাংলা বিভাজনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন ---  (a) লর্ড কার্জন, (৮) লর্ড রিপন, (c) লর্ড লিটন, (d) সি পি ইলবার্ট।


75. আলিগড় আন্দোলনের নেতৃত্ব দেন --- a) স্যার সৈয়দ আহমদ খান, (b) আবুল কালাম আজাদ, (c) শওকত ওসমানি, (d)  মহম্মদ আলি জিন্নাহ্।


76. 'পাকিস্তান' রাষ্ট্রের কথা প্রথম বলেন ---  (a) চৌধুরি রহমৎ আলি, (চ) মহাত্মা গান্ধি, (c) জওহরলাল নেহরু, (d) ফজলুল হক।


77.  আধুনিক ভারতের সবথেকে বড়ো কৃষক আন্দোলন সংঘটিত হয়েছিল---- (a) তেভাগায়, (b) তেলেঙ্গানায়, (c) জনগাঁওয়ে, (d) মহারাষ্ট্রে।

সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করো:
1.  বল পরিমাপের সূত্রটি হল  --- (a) ভর বেগ, (b) ভর ত্বরণ, (c) ভর সরণ, (d) ভর দ্রুতি।

2. কোনো আলোকরশ্মি একটি সমতল দর্পণের ওপর লম্বভাবে আপতিত হলে, প্রতিফলন কোণের মান হবে- -- (a) 90°, (b) 0°, (c) 45°, (d) 60°


3. ফুলারিনের সংকেত ---  (a) C₁g- (b) Cap- (c) Co (d) C201


4. অক্সিজেন প্রস্তুত করতে যে অনুঘটকটি ব্যবহার করা হয়, সেটি হল  --- (a) Mn2O2, (b) MnO2, (c) Mn₂O, (d) Mno


5. আইসোবারের ক্ষেত্রে যে কথাটি ঠিক, সেটি হল- (a) ভরসংখ্যা সমান, (b) প্রোটন সংখ্যা সমান, (c) নিউট্রন সংখ্যা সমান, (d) পারমাণবিক সংখ্যা সমান।


6. প্রদত্ত কোনটি গ্রিনহাউস গ্যাস নয়? -- (a) CO₂, (b) CH₁, (c) N2O. (d) N


7.  সমতল দর্পণে লম্বভাবে আপতিত আলোকরশ্মির ক্ষেত্রে প্রতিফলন কোণের মান হবে ---  (a) 90°, (b) 60°, (c) 50", (d) 0°
8.  নিউট্রন আবিষ্কার করেন ---  (a) জে জে থমসন, (৮) রাদারফোর্ড, (c) স্যাডউইক, (d) জন ডালটন।

9. বিস্ফোরক তৈরিতে কোন্ অ্যাসিড প্রয়োজন?--- (a) নাইট্রিক অ্যাসিড, (b) সালফিউরিক অ্যাসিড, (c) হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড, (d) অ্যাসিটিক অ্যাসিড।


10. কার্বনের নিয়তাকার রূপভেদ হল  -- (a) গ্রাফাইট, (b) গ্যাসকার্বন, (c) কোক, (d) করলা।


11.  45° কোণে আনত দুটি সমতল দর্পণের মাঝে কোনো বস্তু রাখলে দর্পণে সৃষ্ট প্রতিবিম্বের সংখ্যা হবে। --- (a) 6 টি, (b) ৪ টি, (c) 7 টি, (d) ৭ টি।
12.  প্রদত্ত কোন্ মৌলটি জৈব যৌগ গঠনে অপরিহার্য? -- (a) নাইট্রোজেন, (৮) অক্সিজেন, (c) হাইড্রোজেন, (d) কার্বন।

13. প্রদত্ত কোনটির ওপর তরলের চাপ নির্ভর করে না? (a) গভীরতা, (b) ঘনত্ব, (c) উন্নতা, (d) কোনোটিই নয়।


14.  প্রদত্ত কোনটি উৎপাদন অক্সিজেনের বৃহৎ শিল্প ব্যবহার? ---  (a) অ্যামোনিয়া, (b) ইউরিয়া, (c) সোডা, (d) ইস্পাত।

15. 18Ar এবং 40 Ca-এর মধ্যে সম্পর্কটি হল --- (a) আইসোটোপ, (৮) আইসোবার, (c) আইসোটোন, (d) আয়ন।


16. তরলের ঘনত্ব বেড়ে গেলে প্রবক বলের মান ---  (a) বেড়ে যায়, (b) কমে যায়, (c) একই থাকে, (d) নির্দিষ্ট করে কিছু বলা যাবে না।


17. শূন্যস্থানের প্রতিসরাঙ্ক হয় (a) শূন্য, (b) অসীম, (c) 1, (d) 0.51


18. Na মৌলটির পরমাণুর নিউট্রন সংখ্যা --  (a) 11, (b) 12, (c) 23, (d) 341


19. প্রদত্ত কোন ধাতুটি লঘু সালফিউরিক অ্যাসিডের সঙ্গে বিক্রিয়া করে হাইড্রোজেন গ্যাস উৎপন্ন করে না?


---  (a) Zn, (b) Fe, (c) Al, (d) Cul
20.  কার্বনের একটি রূপভেদ হল ---  (a)  সালফার, (b) ওজোন, (c) গ্রাফাইট, (d) কার্বন ডাইঅক্সাইড।
21.  হিরে চকচকে দেখায় আলোর কোন ধর্মের জন্য? ---  (a) প্রতিফলন, (b) প্রতিসরণ, (c) অভ্যন্তরীণ পূর্ণ প্রতিফলন, (d) প্রতিসৃত রশ্মি।

22. শূন্যযোজী মৌল হল -- (a) হাইড্রোজেন, (b) হিলিয়াম, (c) কার্বন, (d) লিথিয়াম।


23. কোনটির উৎপাদন অক্সিজেনের বৃহৎ শিল্প ব্যবহার? --- (a) ইস্পাত, (b) তামা, (c) সোনা, (d) জিংক।


24. প্রদত্ত কোনটির থেকে শুষ্ক বরফ তৈরি হয়? --'  (a) জল, (b) বায়ু, (c) অক্সিজেন, (d) কার্বন ডাইঅক্সাইড।


25. উদ্ভিদ বা অণুজীবের মধ্যে আস্ট্রকরণ হয়ে কার্বনঘটিত যৌগ তৈরি হয়। এটিকে বলে--- (৪) সৌরশক্তি, (b) পেট্রোলিয়াম, (c) বায়োফুয়েল, (৩) বায়োডিজেল।


26. যৌগিক আলোক অণুবীক্ষণ যন্ত্রের লেন্সে দ্রষ্টব্য বস্তুকে কত গুণ বড়ো দেখায়? --- (a) 3000-5000, (b) 2000-4000, (c) 6000-8000, (d) 8000-100001


27. একটি ভাইরাসঘটিত রোগ হল ---  (a) অ্যালার্জি, (b) ডেঙ্গি, (c) কলেরা, (d) কালাজ্বর।


28. আপদকালীন হরমোন হল ---  (a) থাইরক্সিন, (b) STH, (c) অ্যাড্রিনালিন, (d) ইনসুলিন।


29. বনের মাটি ও গাছের পাতা বৃষ্টিপাতের কত অংশ শুষে নেয়? -- a) 20%, (b) 30%, (c) 40%, (d) 50% 1


30.  আদা ও হলুদের উদ্ভিদের কোন অংশ মশলা হিসেবে ব্যবহৃত হয়?  --- (a) কান্ড, (b) গ্রন্থিকাণ্ড, (c) মূল, (d) পাতা।

31. স্প্রিং তুলাযন্ত্রের সাহায্যে পরিমাপ করা হয় বস্তুর --  (a) ভর, (b) ওজন, (c) ঘনত্ব, (d) আয়তন।


32.  হিরে চকচকে দেখায় আলোর যে ধর্মের জন্য তা হল--- (a) নিয়মিত প্রতিফলন, (b) অভ্যন্তরীণ পূর্ণ প্রতিফলন, (c) বিক্ষিপ্ত প্রতিফলন, (d) বিচ্ছুরণ।

33. কার্বনের নিয়তাকার রূপভেদ হল -- (a)  গ্যাসকার্বন, (b) কোল, (c) ফুলারিন, (৫) চারকোল।


34. প্রদত্ত যৌগগুলির মধ্যে আম্লিক অক্সাইড হল --- (a) CaO, (b) ZnO, (c) SO2, (d) Al2O3


35.  CCI যৌগে কার্বনের যোজ্যতা হল ---  (a) 2, (b) 3, (c) 4. (d) 11

36. পর্দাবিহীন কোশীয় অঙ্গাণু দুটি হল -- (a) গলগি বস্তু, রাইবোজোম, (b) লাইসোজোম, রাইবোজোম, (c) রাইবোজোম, সেন্ট্রোজোম, (d) কোনোটিই নয়।


37. কোনটি আদ্যপ্রাণীঘটিত রোগ?  --- (a) কলেরা, (b) ম্যালেরিয়া, (c) দাদ, (d) পোলিয়ো।


38. থাইরক্সিন ক্ষরিত হয় কোন্ গ্রন্থি থেকে? ---  (a) পিটুইটারি, (b) থাইরয়েড, (c) অগ্ন্যাশয়, (d) অ্যাড্রিনাল। (ix) শ্বাসমূলযুক্ত উদ্ভিদের উদাহরণ হল (a) বট, (b) আমলকী, (c) ক্যাকটাস, (৫) গরান।


39. বহুবর্ষজীবী বীরুৎ জাতীয় গাছের উদাহরণ হল ---  (a) এলাচ, (চ) বেল, (c) নয়নতারা, (d) সবগুলিই।


40. থাইরক্সিন ক্ষরিত হয় কোন্ গ্রন্থি থেকে? ---  (a) পিটুইটারি, (b) থাইরয়েড, (c) অগ্ন্যাশয়, (d) অ্যাড্রিনাল।


41.  শ্বাসমূলযুক্ত উদ্ভিদের উদাহরণ হল ---  (a) বট, (b) আমলকী, (c) ক্যাকটাস, (৫) গরান।

42. কোনো তরলপূর্ণ পাত্রের তলদেশে তরলের চাপ নির্ভর করে না? --- (a) তরলের প্রকৃতির ওপর, (b) তরলের আয়তনের ওপর, (c) তরলের উচ্চতার ওপর, (d) অভিকর্ষজ ত্বরণের ওপর।


43.  দুটি সমতল দর্পণের মধ্যবর্তী কোণ 60° হলে, সৃষ্ট প্রতিবিম্বের সংখ্যা হবে  --- (a) 3 টি, (b) 4 টি, (c) 5 টি, (d) 6 টি।

44. অ্যামোনিয়া অণুতে সমযোজী বন্ধনের সংখ্যা --- (a) 1, (b) 2. (c) 3. (d) 41


45.  একটি উভধর্মী অক্সাইড হল ---  (a) CO₂, (b) H₂O, (c) ZnO, (d) MgO1

46. প্রদত্ত কোনটির তাপনমূল্য সব থেকে বেশি? ---  (a) কয়লা, (b) কেরোসিন, (c) পেট্রোল, (d) LPG।


47.  ফুলের বর্ণ নিয়ন্ত্রণ করে ---  (a) ক্লোরোপ্লাসটিড, (b) ক্রোমোপ্লাসটিড, (c) লিউকোপ্লাসটিড, (d) কোনোটিই নয়।

48. কোনোরকম কোশীয় গঠন নেই কার? ----  (a) ব্যাকটেরিয়া, (b) ভাইরাস, (c) প্রোটিস্টা, (d) ছত্রাক।


49. ইনসুলিন হরমোন ক্ষরিত হয় ---  (a) অ্যাড্রিনাল, (b) পিটুইটারি , (c) অগ্ন্যাশয়, (d) থাইরয়েড গ্রন্থি থেকে।


50.  সারা পৃথিবীর স্থলভাগের কত অংশ বন? ---  (a) অর্ধেক, (b) এক তৃতীয়াংশ, (c) এক চতুর্থাংশ, (d) দুই তৃতীয়াংশ।


সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করে লেখো:
1.  একটি পর্দাবিহীন কোশ অঙ্গাণু হল ---- (a) রাইবোজোম, (b) লাইসোজোম, (c) মাইটোকনড্রিয়া, (d) গলগি বস্তু।
2.  ডায়ারিয়া হল---- (a) ভাইরাসঘটিত রোগ, (b) আদ্যপ্রাণীঘটিত রোগ, (c) ব্যাকটেরিয়াঘটিত রোগ, (d) ছত্রাকঘটিত রোগ।

3. জরুরিকালীন হরমোন হল ---- (a) থাইরক্সিন, (b) ইনসুলিন, (c) ইস্ট্রোজেন, (d) অ্যাড্রিনালিন।


4. কেল্প' হল--- (a) সামুদ্রিক মাছ, (b) সামুদ্রিক ঝিনুক, (c) সামুদ্রিক শ্যাওলা, (d) সামুদ্রিক কাঁকড়া।


5.  মিউসিলেজ ও পেকটিন থাকে ---  (a) বেলে, (b) রসুনে, (c) পুদিনায়, (d) আমলকীতে।

6. 'কোশের শক্তিঘর' নামে পরিচিত যে অঙ্গাণু সেটি হল ----  (a) গলগি বস্তু, (b) মাইট্রোকনড্রিয়া, (c) রাইবোজোম, (d) সেন্ট্রোজোম।


7.  আদ্যপ্রাণীঘটিত রোগটি হল ----  (a) কালাজ্বর, (b) অ্যালার্জি, (c) কলেরা, (d) মাম্পস।

8. আপদকালীন হরমোন হল ----  (a) থাইরক্সিন, (b) অ্যাড্রিনালিন, (c) টেস্টোস্টেরন, (d) ইস্ট্রোজেন।


9.  নালিপদের সাহায্যে গমন করে --- (a) তারামাছ, (b) অক্টোপাস, (c) হাঙর, (d) সাগরকলম।

10. ত্রিফলাতে যা থাকে না সেটি হল --- (a) আমলকী, (b) নিম, (c) বহেড়া, (d) হরিতকি।


11. ভারতে কোন্ প্রাণীকে 'জাতীয় জলজ প্রাণী' বলা হয়? --- (a) গঙ্গার কুমির, (b) গঙ্গার শুশুক, (c) ঘড়িয়াল, (d) কঙ্কপ।


12. থাইরক্সিন হরমোন ক্ষরণে উদ্দীপনা জোগায় --- (a) থাইরয়েড গ্রন্থি, (b) প্যারাথাইরয়েড গ্রন্থি, (c) পিটুইটারি গ্রন্থি, (d) অ্যাড্রিনাল গ্রন্থি।


13. গন্ডারের ক্ষেত্রে প্রদত্ত যে তথ্যটি ভুল সেটি হল---- (a) লম্বা ঘাসযুক্ত জলাভূমি গন্ডারের বাসস্থান, (b) পবিতোরা অরণ্যে গন্ডার সংরক্ষণ করা হয়, (c) গন্ডারের খঙ্গ কেরাটিন দিয়ে তৈরি,(d) গন্ডারের দৃষ্টিশক্তি প্রবল কিন্তু ঘ্রাণশক্তি দুর্বল।


14. অ্যালিসিন নামক যৌগ পাওয়া যায় --- (a) আদাতে, (b) পেঁয়াজে, (c) রসুনে, (d) হলুদে।


15. একটি স্বাধীনজীবী ব্যাকটেরিয়া হল --- (a) রাইজোবিয়াম, (b) ক্রসট্রিডিয়াম, (c) নাইট্রোব্যাকটর, (d) ই. কোলাই।


16. পর্দাবিহীন কোশ অঙ্গাণু হল ---  (a) মাইটোকনড্রিয়া, (b) নিউক্লিয়াস, (c) লাইসোজোম, (d) রাইবোজোম।


17. কোন ভাইরাসঘটিত রোগ নয়? --  (a) চিকেন পক্স, (b) টাইফয়েড, (c) হেপাটাইটিস, (d) ডেঙ্গু।


18. পিটুইটারি গ্রন্থি থেকে ক্ষরিত একটি হরমোন হল ---  (a) গ্লুকাগন, (৮) থাইরক্সিন, (c) ভেসোপ্রেসিন, (d) ইস্ট্রোজেন।


19. দংশক কোশ দেখা যায় ----  (a) অক্টোপাসে, (b) সাগরকুসুমে, (c) স্কুইডে, (d) সাগরকলমে।


20. ব্যাকটেরিয়ার শ্বসনে সাহায্য করে --- (a) মাইটোকনড্রিয়া, (b) রাইবোজোম, (c) মেসোজোম, (d) নিউক্লিওয়েড।


21. প্রদত্ত কোন্ মশলাটি উদ্ভিদের ফল? --- (a) গোলমরিচ, (b) জায়ফল, (c) জোয়ান, (d) মৌরি।


22.  একটি উপকারী ব্যাকটেরিয়া হল ---  (a) সালমোনেল্লা, (b) অ্যাজোটোব্যাকটর, (c) স্ট্রেপটোকক্কাস, (d) ভিব্রিও কলেরি।

23. একটি এককোশী প্রাণী হল ---  (a) মশা, (b) অ্যামিবা, (c) শামুক, (d) কাঁকড়া।


24. একটি আদ্যপ্রাণীঘটিত রোগের নাম হল --- (a) আমাশয়, (b) AIDS, (c) যক্ষ্মা, (d) ক্যানসার।


25. আপদকালীন চরমোন হল --- (a) সোমাটোট্রপিক হরমোন, (b) অ্যাড্রিনালিন, (c) ইনসুলিন, (d) ইস্ট্রোজেন।


26. তারামাছ বা স্টারফিশের গমন অঙ্গের নাম হল --- (a) চোষক বা সাকার, (b) ফ্ল্যাজেলা, (c) নালিপদ বা টিউব ফিট, (d) সিলিয়া।


27. ম্যানগ্রোভ অরণ্যের উদ্ভিদ হল ---  (a) শাল, (b) সুন্দরী, (c) নারিকেল, (d) আম।


28.  ফলের রসে থাকা শর্করাকে যে ছত্রাকটি ভেঙে দিতে পারে, সেটি হল ---  (a) মিউকর, (b) পেনিসিলিয়াম, (c) ইস্ট, (d) অ্যাগারিকাস।
29.  এক্স-সিটু সংরক্ষণের উদাহরণ।- (a) জুওলজিক্যাল পার্ক, (b) সংরক্ষিত অরণ্য, (c) জাতীয় উদ্যান, (d) বায়োস্ফিয়ার রিজার্ভ।

30. জলাতঙ্ক যে প্রকার অণুজীব দ্বারা ঘটে, সেটি হল ---  (a) ভাইরাস, (b) ব্যাকটেরিয়া, (c) প্রোটোজোয়া, (d) ছত্রাক।


31. ব্যাকটেরিয়া কোশে নিউক্লিয়াসের বদলে যেটি থাকে, সেটি হল ----  (a) প্লাসমিড, (b) নিউক্লিওলাস, (c) নিউক্লিওয়েড, (d) পিলি।


32.  শুধুমাত্র স্ত্রীদেহে পাওয়া যায় এমন একটি হরমোন হল  --- (a) ইনহিবিন, (৮) টেস্টোস্টেরন, (c) STH, (d) ইস্ট্রোজেন।

33. নালিপদ দেখা যায় যে প্রাণীটিতে, সেটি হল --- (a) স্কুইড, (b) হাঙর, (c) অক্টোপাস, (d) তারামাছ।


34. শৈবাল ও ছত্রাকের সহাবস্থানই হল --- (a) ল্যাকটোব্যাসিলাস, (b) লাইকেন, (c) অ্যামিবা, (d) স্পাইরোগাইরা।


35. গঙ্গার শুশুকের প্রতিটি চোয়ালের দাঁতের সংখ্যা হল--- (a) 27-32 টা, (b) 32-42 টা, (c) 42-47 টা, (d) 20-27 টা।


36.  তারামাছের বাহুর সংখ্যা ---  (a) ২টি, (b) 3টি, (c) 4টি, (d) এটি।

37. ইনসুলিন নিঃসৃত হয় --- (a) অগ্ন্যাশয়, (b) থাইরয়েড, (c) বৃক্ক, (d) হৃৎপিণ্ড থেকে।


38. বহিঃক্ষরা গ্রন্থির উদাহরণ হল--- (a) থাইরয়েড, (b) অগ্ন্যাশয়, (c) লালাগ্রন্থি, (d) পিটুইটারি গ্রন্থি।


39. ব্যাকটেরিয়া যে রাজ্যের অন্তর্গত তা হল --- (a) প্রোটোজোয়া, (৮) ফানজি, (c) প্ল্যান্টি, (d) মোনেরা।


40.  পক্স হল --- (a) ব্যাকটেরিয়া, (৮) ভাইরাস, (c) প্রোটোজোয়া, (d) ছত্রাকঘটিত রোগ।

41. একটি স্বাধীনজীবী ব্যাকটেরিয়া হল--- (a) অ্যাজোটোব্যাকটর, (b) রাইজোবিয়াম, (c) নাইট্রোসোমোনাস, (d) কোনোটিই নয়।


42. প্রোটিন তৈরি করতে সাহায্য করে --- (a) গলগি বস্তু, (৮) সাইটোপ্লাজাম, (c) লাইসোজোম, (৫) রাইবোজোম।


43.  কারকিউমিন যৌগটি পাওয়া যায় যে মশলায় সেটি হল ---  (a) দারচিনি, (৮) হলুদ, (c) রসুন, (d) আদা।

44. আমেরিকার মরু অঞ্চলে রেড ইন্ডিয়ানরা পাথরের তৈরি যে বাড়িতে থাকে তার নাম --- (a) ইগলু, (b) পুয়েবলা, (c) তাঁবু, (d) ঝুপড়ি।


45.  ইনসুলিন ক্ষরিত হয় যে গ্রন্থি থেকে সেটি হল --- (a) অগ্ন্যাশয়, (b) থাইরয়েড, (c) অ্যাড্রিনাল, (d) পিটুইটারি।

46. ডেঙ্গিার রোগটি হল ---  (a) ব্যাকটেরিয়াঘটিত, (b) ভাইরাসঘটিত, (c) ছত্রাকমটিত, (d) আদ্যপ্রাণীঘটিত।


47. রসুনে থাকে --- (a) অ্যালিসিন, (৮) রৌবেসিন, (c) পিপেরাইন, (d) কারকিউমিন।


48.  অ্যান্টিডায়াবেটিক হরমোনটি হল --- (a) হাকাগন, (b) ইনসুলিন, (c) ভেসোপ্রেসিন, (d) অক্সিটোসিন।

49. একটি এক্স-সিটু সংরক্ষণের উদাহরণ হল ---  (a) বোটানিক্যাল গার্ডেন, (b) অভয়ারণ্য, (c) ন্যাশনাল পার্ক, (d) বায়োস্ফিয়ার রিজার্ভ।


50. একটি পর্দাবিহীন কোশ অঙ্গাণু হল ---  (a) লাইসোজোম, (b) গলগি বস্তু, (c) ER, (d) সেস্ট্রোজোম।


Ix নবম

 নবম শ্রেনী 

1. বাংলা ব্যাকরণ Click Here



2. ভূগোল Click here // Click here

3. ইতিহাস Click Here

4. 

Project

 Project for class xi - xii

1. Netaji Subhash ch Bose Click here

2. Plastic Pollution Click Here

3. Interview Virat Kohli Click Here

4. Indianization Selfish Gient Click Here

5. Extention of a story Click here

6. Theaterical Script 

VIVEKANANDA OACHING CENTRE

Click here

plastic pollution

 BONA FIDE CERTIFICATE

This is to certify that. Name:- -------- of class XI, Roll No:---- Sec: --- , Registration No :- --- has completed  his/her project file on " Plastic Pollution: A Rising Global Threat " under my supervision. He/She has taken proper care and shown utmost sincerity in the completion of this project.

I certify that this project work is up to my expectation and as per the guidelines issued by WB.C.H.S.E


This is to certify that this project report entitled "  Plastic Pollution: A Rising Global Threat " by --------  class:- ---- , Roll no:- ---- , Registration No :- ----- submitted during the academic year 2024-25  is a bona fide record of work done under my supervision.


Signature of the project guide with date

Name

Designation

Department

School


ACKNOWLEDGEMENT


The project on "  Plastic Pollution: A Rising Global Threat "  has given me an extensive scope of learning through group activities. I consider myself lucky to work under  -------- whose support made our project quite interesting. We are thankful to him.


Last but not least, I am thankful to all my friends and family members who helped me to complete the project.


Signature of the student

CONTENT 

● INTRODUCTION .

● METHOD & TECHNIQUE .

● AIM OF THE PROJECT .

● OUTCOME OF THE PROJECT.

● CONCLUSION.

● REFERENCE.

INTRODUCTION 

As per the new syllabus , project work has been included as a part of the curriculum . We have made the choice according to the availability of work. We have chosen " Plastic Pollution: A Rising Global Threat " for out academic activity .Plastic pollution is the accumulation of plastic objects and particles in the environment, which can harm humans, wildlife, and their habitats. Plastic pollution can alter habitats and natural processes, reducing the ability of ecosystems to adapt to climate change, directly impacting the livelihoods, food production capacity and social well-being of millions of people.

 METHOD & TECHNIQUE :- 

On the first day, we discussed some environmental issues . After many discussions and based on the availability of works we chosed " Plastic Pollution: A Rising Global Threat "  for our project topic.

On the second and third day, we went through the text a number of times to have a better understanding of Plastic pollution , its causes and effects. 

On the fourth and fifth day, we thoroughly revised our script and made certain changes where necessary ad   submitted the final draft for evaluation.

AIM OF THE PROJECT :-

The aims and objectives are as follows:

a. A project develops deeper understanding of a particular topic. We can use our language skill in presenting the Environmental issues. 

b. A project develops imaginative faculty. We learn about the environment problems and the effects of plastic pollution .

c. It develops practical knowledge through experience. It develops communication skill and power of organisation.

d. We learn about plastic pollution and understand out dutiess to protect the plastic pollution .



OUT COME OF THE PROJECT :- 

Plastic Pollution: A Rising Global Threat" 

Plastic pollution is the accumulation of  plastic particles and objects in the Earth’s  environment that adversely affect humans, wildlife and wildlife habitat.  Pollutants are substances that  adversely affect the health, activities or survival of a population. Every day, thousands of tons of  pollutants are discarded into the air by natural events and human actions. Far more damaging are the substances discharged into the atmosphere by human actions.  Plastics acting as pollutants can be  classified based on their sizes into three aspects  which are: micro debris plastic, mega debris plastic,  and micro debris plastic. According to, mega  plastics and micro plastics have accumulated in  highest densities in the Northern Hemisphere, which  is concentrated around the current carrying the debris, plastic can be found off the coast of some islands.  Mega-plastics and micro-plastics are normally used  in the manufacturing of packaging materials (such as  plastic bottles, plastic bags etc.), footwear and other  domestic items. These are later found being washed off of ships or discarded in landfills. Some of the  items used in fishing activities are also found around remote islands. All these are still known as microplastic, meso-plastic and macro –plastic.

■ Causes of Plastic Pollution

The proliferation of plastic pollution is influenced by various interconnected factors. Here are some key factors. 

● The mass production of plastic :- 

particularly single-use plastics, contributes significantly to pollution. The ease of production and versatility of plastic have led to its pervasive use in various industries, exacerbating the pollution problem. Insufficient waste management systems, especially in many developing countries, result in  improper disposal of plastic waste. Lack of recycling facilities, landfill space, and incineration capabilities means that a significant portion of plastic  waste ends up in oceans, rivers, and natural environments . 


● Plain Old Trash: 

Plastics are found everywhere  along the streets and roads of every cities and  towns in India making them to be untidy. The cartons of some products such as can-milk, canbeverages, can-tomatoes are lined with plastics so as to allow proper packaging. Plastic drinking  bottles, water bottles, straws and stirrers used for  soft drinks in hotels, restaurants and events centres for entertainment during conferences,  seminars, symposiums, wedding receptions, etc are  disposed/discarded littering everywhere by the  participants and invited guests ignoring the environmental consequence.

 ●  Disposing of Plastic and Garbage: 

Plastics have complex chemical composition. This makes  plastic to be durable and do not break down  easily. Plastics and resins have different  properties related to contaminant absorption and  adsorption depending on their chemical  composition. The polymer degradation takes a  long period of time due to saline environments and cooling effect of the sea. These are  contributory factors to the persistence of plastic  debris in certain environments. Findings carried  out by the marine experts have made them to  predict the rates of decomposition of different plastic products.

●  Over-utilisation of Plastics:

 This refers to  plastics being over-used. It is less expensive and  durable. These enable both the priviledged and  less priviledged people in the society to afford  patronising plastic materials/items. It is one of  the most widely available and over – used item  in the world today. When plastic is disposed/ discarded, it does not decompose easily there by  polluting the land or air nearby when burnt in the  open air. Also, plastic items that are not properly  discarded can be carried to oceans through storm  waters.

● Fishing Nets: Fishing is an agricultural activity normally practised all over the world. The commercial aspect of fishing is an economic necessity in which people consume fish for their daily survival and maintenance of good balanced  diet. The ocean has faced different problems of  plastics pollution created by the fishing industry. The nets used for large scale fishing activities are  usually made of plastic. At the initial stage, these  fishing nets become submerged in water, on  spending much time it releases toxin at will.  


■ EFFECTS OF PLASTIC POLLUTION

Plastics consist of major toxic pollutants  having the potential to cause important harm to the  environment in the form of water, land and air  pollution. Plastic is a material that is nonbiodegradable, hence it can wreak havoc on natural  environment resulting into long-term issues for animals, plants and humans. Among the effects  plastic pollution has on our environments are  groundwater pollution, upsetting of the food chain,  killings of animals, land pollution, poisonous ability,  air pollution, expensiveness.

●  Groundwater Pollution: 

Groundwater is water  that is present in rocks or unconsolidated materials below  the  Earth’s surface. Groundwater forges a link between surface water  systems and the material in Earth’s Crust According to groundwater in its natural state  tends to be relatively free of contaminant in most  areas. Because it is a widely used source of drinking water, the contamination of  groundwater can be a very serious problem. 

● It Upsets the Food Chain:

 A food chain is a linear sequence of who eats whom in an  ecosystem. Most species belong to more than one  food chain, especially when they are at a low  feeding level. An ecosystem consists of one  or more communities of organisms interacting  with one another and with the physical  environment though a flow of energy and a  cycling of materials .  According to each  species in an ecosystem has its own position in a hierarchy of feeding levels.  A key  factor in how any ecosystem functions is the  transfer of energy from one of its feeding level to another . The food chain consists of  producers, consumers and decomposers. Most of  the organism in the food chain feeds on the  plastic wastes. The plastic wastes come in  different sizes be it large or small. 

● Killings of Animals: 

The availability of plastic  wastes such as plastic bags and containers, sixring plastic can holders etc in the crannies and  nooks of the environment that are being  discarded each day has resulted in the death of  some animals such as duck, dolphins, fish, fowl,  turkey, tortoises etc in the environment when  they become trapped in them or poisoned from  the toxins released by plastics wastes.  According to   many marine organisms such as fish, turtles,  birds etc have become entangled in plastic debris  which is responsible for their deaths. 

● Land pollution:

 Plastic waste are normally  dumped in landfills. When this takes place, there  is interaction with water there by forming  hazardous chemicals. When these chemicals seep  underground, the quality of water become  degraded. Wind has contributed to plastic  pollution thereby carrying and depositing plastic  from one place to another, increasing the land  litter. The plastic wastes can also get stuck on  trees, fences, towers, poles, traffic lights, roofs  etc and the animals coming in contact with them  in the surrounding and might suffocate them leading to death. ● Poisonous Ability: 

The plastic pollution is  poisonous. Plastic pollution has the potential to  poison animals, which can then adversely affect  human food supplies. A number of toxic  chemicals are artificially used by man to produce  plastic. Generally, the use of and exposure to plastics has been linked to numerous health  concerns which is affecting people all over the world. The plastic pollution is highly detrimental to large marine mammals. It poses single greatest threat to them. Some marine species, such as sea  turtles, have been found to contain large proportions of plastics in their stomach. 

● Air Pollution:

 It is the presence of chemicals in the atmosphere in concentrations high enough to  harm organisms, ecosystem, or human made materials, or to alter climate . Today, air pollution is a global problem; areas far from the  polluting source may be adversely affected as at atmospheric, circulation moves pollutants freely  without regard to political boundaries. When plastics are burnt in the open air, landfills or  incinerators, poisonous/toxic chemicals are released thereby causing environmental pollution.


■ PREVENTION OF PLASTIC POLLUTION

The rate at which plastic waste grows in the world today is discouraging and uncalled for. These ecosystems need to  be protected from future damage and actions need to be taken to establish a world with free-plastic wastes. 

● Reuse:

 Reusability refers to the use of materials  more than once in their original form instead of  throwing away after each use. This does not  only ensure the maximum use of the material life  span but also reduces waste. Reuse has increasingly been accepted as playing a vital part  in addressing a wide range of social challenges  related to poverty, health and well-being. 

● Reduce:

 In order to reduce plastic pollution, there is need to reduce our usage of plastic. This  translates to changing our daily attitudes and  avoiding the use of plastic when there is a better  alternative to it and only using plastic when it is  seriously needed. Plastic packaging need to be avoided. 

● Recycle: 

Recycling of plastic involves collection  of plastic waste and reprocessing it into new  products, in order to reduce the amount of plastic  in the waste stream. It is known that plastic does not break down easily, so to recycle plastic mean  it is still plastic, but it can be used for another  purpose entirely. 

● Educate Businesses: 

Education is an important  solution in order to increase awareness and  behavioural/attitudinal change. People need to be  guided and advised on plastic disposal so as to  prevent the occurrence of plastic pollution. Thereis need to speak to operators/owners of local  restaurants and businesses about that the  alternatives that they can divert to for stokinr, packaging items. 

● Government Intervention: 

The lawmakers and  government need to arise and get involved in the  prevention of plastic pollution so as to create fear  in public and allow strict adherence to preventive  measures to take place. Presently, awareness and  sensitization is on-going all over the globe on  plastic pollution. 


CONCLUSION :- 

Plastics are destroying nature due to their harmful effect and plastic bags have become the main cause of land pollution today. The plastic bags entering into the water bodies are a major cause of water pollution and these are deteriorating our environment in every possible way. Plastic pollution is a complex and multifaceted issue with far-reaching ecological and health consequences. Addressing this challenge requires concerted efforts at individual, community, corporate, and governmental levels to reduce plastic consumption, improve waste management infrastructure, and promote sustainable alternatives to single-use plastics. Such actions are crucial to mitigate the detrimental impacts of plastic pollution on ecosystems, wildlife, and human population. 



REFERENCE:- 

● Paul Sujit : Environmental and Population Education , Aaheli Publication , 2023.

● Duff & Dutt : Elixir an English Companion , Tulshi Prokashani ,  Kolkata , 2024.

● Ray & Martin : English Companion , Kolkata , 2024.

● Das Dulal: Adhunik Bhugal , Book India , 2011.

● Ghosh Taranidhar : Aims English Companion , Book India , 2024.

● Google & wikipedia .