Sunday, May 25, 2025

বয়েই গেল

 কে কী বলল বয়েই গেল 

এটা পারবি ওটা না! 

তোরা আমায় বলবি কিরে 

তোদের হিসাবে চলি না।

আমার মনে আমি রাজা 

মুখে আমি বলি না 

সময় মতো জবাব দেই 

আত্মবিশ্বাস ভুলি না।।


চাই না

 চাই না 

আমি চাই না আমাকে কেউ জানুক 

আমার কাজকে আমার নামে চিনুক।

পারিশ্রমিক আমার প্রাপ্য যত 

নিব আমি হিসেব মতো 

এর বাইরে প্রশংসা ও কু প্রশংসা 

আমার জানার দরকার নেই 

আমি শুধু কাজ করি ফলের পরে আমি নেই।


ব্যাক্তিগত সম্পর্ক ব্যাক্তিগত 

বাকি সম্পর্ক তাদের মতো 

যথা স্থানে মানান সই। 

কে কী বলল জানতে  চাই না 

লিমিটের বাইরে কখনোই যাই না।।

মনের নৌকা বয়ে চলো 

তাতে কেবা এল কেবা গেল।।





যেমন- তেমন

 যেমন- তেমন 
কিছু মানুষ আছে এমন 
ব্যবহারটা কেমন কেমন 
কথায় তুমি পারবে না 
ওদের এবার বুঝতে দাও 
তুমিও কিছু কম না।।
যারা তোমায় নিয়ে করবে মজা 
তাদের দেবে উচিত সাজা
একটু ভাবো আর তৎক্ষণাৎ
মুখে হাসি নিয়ে তাদের 
পিছনে দাও আস্ত খোচা।।
যারা তোমায় করবে প্রশ্ন 
যদি হন গুরু জন 
তাদের উত্তর দিতে পরো 
না পারলে জেনে নাও। 
এখানে কোন লজ্জা নেই।
কিন্তু যদি করে মজা 
প্রশ্ন তারা করেই বসে 
পরীক্ষাটা নিও তাদের 
মুখোস টা দিও খসে।
আজগুবি এক উত্তর দাও 
সঠিকটা তাদের বলতে দাও।
আর নয়তো প্রশ্নের বদলে 
পাল্টা প্রশ্ন করো তাদের।।
কেউ যদি তোমায় কোন কাজে 
আগ্রহী হয় সাথে নিতে 
প্রথমে ভাবো নিজের কথা 
উচিত হলে রাজি হও
নইলে মুখের উপর জবাব দাও।। 
যারা তোমায় মিষ্টি মুখে 
ছুরির মতো বলবে কথা 
মিষ্টি মুখে জানিয়ে দাও 
কতটা ওদের যোগ্যতা।
যোগ্য যেমন পাবে তেমন 
তোমার কোথায় দোষ তাতে?


বেশি বেশি ভালো না

 
বেশি, বেশি ভালো না 


সাধ্য বুঝে চলতে শেখ 
বেশি বেশি ভালো না 
তোমার কর্ম তুমি করো 
অন্যকেও করতে দাও
একা তুমি একশো না 
বেশি বেশি ভালো না।


নিজের জন্য করো কিছু 
নিজের কাজে থেমো না 
অন্যর জন্য করা ভালো 
তবে সবাই কিন্তু চায় না 
তারাই করবে ছলনা 
বেশি বেশি ভালো না।।


দ্বায়িত্ব যতোটা করো ততটা 
অতিরিক্ত করো না 
তার বেশি লায় দিও না 
মাথায় চড়ে নাচবে তারা 
যাদের জন্য নিজের কথা ভাবলে না 
বেশি বেশি ভালো না।।


অতিরিক্ত সুবিধা দিয়েও 
ভালো তুমি থাকবে না 
সুযোগ বুঝে পড়বে কেটে 
তখন তুমি কেউই না 
এটাই বাস্তব কথা জানবে 
বেশি বেশি ভালো না।।


হ্যা নিজের জন্য যতো পারো 
খাটতে থাকো আরো আরো 
কেননা নিজের কাছে ঠকবে না 
অন্যরেও বুঝতে দাও 
তুমি অত সস্তা না 
কেননা বেশি কখনোই ভালো না।।

গোপন কথাটি

গোপন কথাটি 
গোপন কথাটি রাখিও গোপনে 
কেউ যেন তা জানে না স্বপ্নে 
আমার কথা আমার দাস 
আমার তরে বসবাস 
অন্যরা তা জানবে কেন?
দশ কানে তা শুনবে কেন? 
সুযোগ বুঝে হানবে আঘাত
আমার কথাই আমার উপর 
এমন আমি পারব না।।

বিশ্বাস করে বলবে কেউ 
তার জীবনের গোপনটি
আমি কী হব বিশ্বাস ঘাতক 
দশকানে তা করব মাটি 
আর যা হব হতে পারি 
বিশ্বাস ঘাতক হব না।
কথা হবে আমার দাস 
আমার ভিতর হবে বাস।।



Thursday, May 22, 2025

X g 90 fff

 বিবেকানন্দ কোচিং সেন্টার 

2025

Geography

(নতুন পাঠক্রম)

সময় – 3 ঘন্টা 15 মিনিট

পূর্ণমান – 90

Special credit will be given for answers which are brief and to the point . Mark's will be deducted from spelling mistakes , untidiness and bad handwriting.



 বিভাগ- ‘ক’ 

১। বিকল্প প্রশ্নগুলি থেকে সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করে লেখ:                                                             ১×১৪=১৪ 

১.১ বায়ুর উষ্ণতা  মাপক যন্ত্র হল --- (ক) রেনগজ (খ) অ্যানিমোমিটার (গ) হাইগ্রোমিটার (ঘ) ব্যারোমিটার ।

১.২ ভারত- চীন সীমারেখা হল --- (ক) ম্যাকমোহন লাইন  (খ) রাডক্লিফ লাইন  (গ) ডুরান্ড লাইন  (ঘ) আট ডিগ্রি চ্যানেল।

১.৩ পললশঙ্কু দেখা যায়  পর্বতের --- (ক) পর্বতের  উচ্চভাগে (খ) পর্বতের পাদদেশে (গ) বদ্বীপ অঞ্চলে (ঘ) নদী বাকে ।

১.৪ সমুদ্র উপকুল সংলগ্ন আংশিক জলপূর্ণ গিরিখাতকে বলে --- (ক) ফিয়র্ড  (খ) হিমদ্রোনী (গ)  করি  (ঘ) ঝুলন্ত উপত্যাকা।

১.৫ ভারতে কফি গবেষণার প্রধান কেন্দ্রটি কোথায় অবস্থিত ? ---  (ক) চিকমাগালুর  (খ) কটক  (গ) গুরগাঁও (ঘ) জোড়হাটে ।

১.৬ সোনালী পানীয় বলা হয় ---(ক)  চা  (খ) কফি  (গ)  রবার (ঘ) কোকাকোলা কে ।

১.৭ ভারতে সর্বাধিক জলসেচ করা হয় যে পদ্ধতিতে --- (ক) কূপ ও নলকূপ (খ) সেচখাল (গ) খাল (ঘ) গভীর নলকূপ।

১.৮ প্রধান গ্রিনহাউস গ্যাস হল --- (ক) কার্বনডাই অক্সাইড  (খ) মিথেন (গ) ক্লোরোফ্লুরোকার্বন (ঘ) অক্সিজেন ।

১.৯ ভারতের প্রথম পেট্ররসায়ন শিল্প কেন্দ্র হল --- (ক) ট্রম্বে (খ)  হলদিয়া  (গ) ভাদোদরা  (ঘ) বঙ্গাইগাও।

১.১০ সমুদ্রে বিচ্ছিন্নভাবে ভাসমান বিশাল বরফের স্তূপকে বলে—শৈবাল সাগর / মগ্নচড়া / হিমপ্রাচীর / হিমশৈল।

১.১১ ভারতের হ্মুদ্রতম রাজ্য হল --- (ক) সিকিম (খ) গোয়া (গ) ত্রিপুরা (ঘ) মিজোরাম ।

১.১২ হ্ময়সীমা ধারনার প্রবর্তক হলেন --- (ক) গিলবার্ট  (খ) চেম্বারলিন (গ) পাওয়েল  (ঘ)  ডেভিস।

১.১৩ ট্রপোস্ফিয়ারের উচ্চতা বৃদ্ধির সঙ্গে উন্নতা বাড়ে প্রতি ১ কিমি . তে– (ক)  ৩.৪ ° C  (খ)  8.8 ° C  (গ)  ৫.৪ ° C (ঘ)  ৬.৪ ° C ।

১.১৪ শিকড় আলগা শিল্প হল ---(ক)  লৌহ ইস্পাত শিল্প (খ) কাগজ শিল্প (গ) কার্পাস বয়ন শিল্প (ঘ) চা শিল্প।


বিভাগ: ‘খ’ 

২। ২.১ নিম্নলিখিত বাক্যগুলি শুদ্ধ হলে পাশে ‘সু’ এবং অশুদ্ধ হলে পাশে ‘অ’ লেখ যেকোনো (ছয়টি প্রশ্নের উত্তর দাও):                             ১×৬=৬ 

২.১.১ হিমশৈলের 1/9 অংশ জলের উপরে ভেসে থাকে।

২.১.২ আন্টার্টিকা অঞ্চলে ওজন গহ্বর দেখা যায়। 

২.১.৩ শীতকালে ভারতে পশ্চিমিঝঞ্ঝার প্রভাব দেখা যায়।

২.১.৪ পর্বতের প্রতিবাদ ঢালে বৃষ্টিচ্ছায় অঞ্চল সৃষ্টি হয়।

২.১.৫ বর্জ্যের পুনব্যবহারে বর্জ্যের পরিমান কমে ।

২.১.৬ ভারতে অবস্থিত হিমালয়ের সবোচ্চ শৃঙ্গ হল গডউইন অস্টিন।

২.১.৭ Backbone Industry বলা হয় কার্পাস বয়ন শিল্পকে ।


২.২ উপযুক্ত শব্দ বসিয়ে শূন্যস্থান পূরণ কর (যে কোন ছয়টি প্রশ্নের উত্তর দাও):                                    ১×৬=৬ 

২.২.১ জলপ্রপাতের নীচে সৃষ্ট গর্তকে ------ বলে ।

২.২.২ হিমপ্রাচীর বরাবর ---- আবহাওয়া দেখা যায়।

২.২.৩ পৃথিবী ও চাঁদের দুরত্ব সবচেয়ে কম হয় ------- অবস্থানে ।

২.২.৪ বর্জ্য পদার্থের পচনের ফলে ----- গ্যাস উৎপন্ন হয়।

২.২.৫ ----- হল ভারতের বৃহত্তম লৌহ ইস্পাত শিল্প কেন্দ্র।

২.২.৬ ১০ লহ্মের অধিক জনসংখ্যা বিশিষ্ঠ শহরকে ------ বলে ।

২.২.৭ ভারতের ----- শহরে প্রথম পাতালরেল চালু হয়।


 ২.৩ একবার দুটি শব্দে উত্তর দাও (যে কোন ছয়টি প্রশ্নের উত্তর দাও):                                                  ১×৬=৬ 

২.৩.১ মরুভূমিতে যে শুষ্ক নদী উপত্যকা দেখা যায় তার নাম লেখ। 

২.৩.২ দুটি ই-বর্জ্যের নাম লেখ।

২.৩.৩ সিজিগি কাকে বলে?

২.৩.৪ ভারতের দীর্ঘতম জাতীয় সড়কের নাম কী ?

২.৩.৫ তুষার ভহ্মক কাকে বলা হয় ?

২.৩.৬ ভারতের রাজ্য পুনর্গঠনের মূল ভিত্তি কী ?

২.৩.৭ বায়ুমন্ডলের কোন স্তরে বেতার তরঙ্গ প্রতিফলিত হয়?

২.৩.৮ ISRO এর সদর দপ্তর কোথায় অবস্থিত ?


২.৪ বাম দিকের সঙ্গে ডান দিকের গুলি মিলিয়ে লেখো:                                                                        ১×৪=৪ 

বামদিক   ডানদিক

ভেম্বানাদ তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র

ঝুমচাষ   মৃত্তিকা হ্ময়

ফ্লাই অ্যাশ  উপহ্রদ 

চিকমাগালুর   কফি গবেষনাগার




 বিভাগ: ‘গ’ 


৩। নিচের প্রশ্নগুলির সংক্ষিপ্ত উত্তর দাও (বিকল্প প্রশ্নগুলির লক্ষণীয়):        ২×৬=১২ 

৩.১ বৈপরিত্য উত্তাপ কী ? 

অথবা

পশ্চিমি ঝঞ্ঝা কী ?

৩.২ হীমশৈল কী ?

অথবা

ড্রামলিন কী ?

৩.৩ ল্যান্ডফিল কী ?

অথবা

কম্পোস্টিং  বলতে কী বোঝো? 

৩.৪ মালনাদ ও ময়দান বলতে কী বোঝো? 

অথবা

সামাজিক বনসৃজন এর দুটি সুবিধা লেখ। 

৩.৫ কৃষি বনসৃজন কী ?

অথবা

পেট্ররসায়ন শিল্পকে উদিয়মান শিল্প বলে কেন ?

৩.৬ উপগ্রহ চিত্র কী ?

অথবা

ভূবৈচিত্র সুচক মানচিত্র কী ?


 

৪। সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যামূলক উত্তর দাও (বিকল্প প্রশ্নগুলি লক্ষ্যণীয়):                                                          ৩×৪=১২ 

৪.১ মরু অঞ্চলে বায়ুর কাজ বেশি হয় কেন? 

অথবা

ভারতের পশ্চিমবাহিনী নদীর মোহনায় বদ্বীপ গড়ে ওঠেনি কেন?

৪.২ বর্জ্যের পরিমান কীভাবে হ্রাস করা যায়?

অথবা

 বর্জ্যে ব্যবস্থাপনায় শিহ্মার্থীর ভূমিকা লেখ? 

৪.৩  জেট বায়ুর সঙ্গে মৌসুমী বায়ুর সম্পর্ক লেখ। 

অথবা

পাঞ্জাব ও হরিয়ানা কৃষিতে উন্নত কেন?

৪.৪ উপগ্রহ চিত্রের ব্যবহার লেখ।

অথবা

জিওস্টেশনারি ও সানসিনক্রোনাস উপগ্রহের পার্থক্য লেখ। 


 বিভাগ: ‘ঙ’ 


৫। ৫.১ যে কোনো দুটি প্রশ্নের উত্তর দাও:      ৫×২=১০ 

৫.১.১ হিমবাহের সঞ্চয়কার্যের  ফলে সৃষ্ট ভূমিরূপগুলি চিত্র - সহ বর্ণনা করো । 

৫.১.২  বায়ুমণ্ডলে উষ্ণতার তারতম্যের প্রধান কারণগুলি ব্যাখ্যা করো। 

৫.১.৩. সমুদ্রস্রোত সৃষ্টির কারণগুলি ব্যাখ্যা করো।

৫.১.৪ নিয়তবায়ু প্রবাহের উৎপত্তি ও গতিপথ আলোচনা করো।


 ৫.২ যে কোনো দুটি প্রশ্নের উত্তর দাও:      ৫×২=১০ 

৫.২.১ উত্তরভারতের নদনদী ও দহ্মিনভারতের নদনদীর পার্থক্য আলোচনা করো । 

৫.২.২ ভারতের চা চাষের অনুকূল প্রাকৃতিক পরিবেশের বর্ণনা দাও । 

৫.২.৩ ভারতের পলি মৃত্তিকা এবং কৃয় মৃত্তিকার বৈশিষ্ট্যগুলি সংক্ষেপে আলোচনা করো। 

৫.২.৪ ভারতে নগর গড়ে ওঠার প্রধান কারণগুলি আলোচনা করো ।


 বিভাগ: ‘চ’ 

৬। প্রশ্নপত্রের সাথে প্রদত্ত ভারতের রেখা মানচিত্রে নিম্নলিখিত গুলি উপযুক্ত প্রতীক ও নামসহ চিহ্নিত করে মানচিত্রটি উত্তরপত্রের সাথে জুড়ে দাও:         ১×১০=১০ 

৬.১ আরাবল্লী পর্বত।

৬.২ কাবেরী নদী।

৬.৩ চিল্কা হ্রদ

৬.৪ একটি বৃষ্টিচ্ছায় অঞ্চল।

৬.৫ একটি ম্যানগ্রোভ অরন্য অঞ্চল।

৬.৬ ভারতের একটি কফি উৎপাদক অঞ্চল।

৬.৭ ভারতের বৃহত্তম শহর।

৬.৮ পশ্চিমবঙ্গের একটি করমুক্ত বন্দর।

৬.৯ ভারতের ওকটি বিমানবন্দর।

৬.১০ আরবসাগরের রানী।


X his saq

 


  বিবেকানন্দ কোচিং সেন্টার 

ক্লাস : দশম শ্রেনী ; বিষয় : ইতিহাস 


A. সত্য বা মিথ্যা নির্ণয় করো :-

1)জন ম্যাকাডাম পিচ ঢালা রাস্তা নির্মাণ করেন । [ সত্য ]

2) ভারতে প্রথম হকি ক্লাব প্রতিষ্ঠিত হয় কলকাতায় । [ সত্য ]

3) ক্যামেরা শব্দটি প্রথম ব্যবহার করেন লিওনার্দো দা ভিঞ্চি । [ সত্য ]

4) সঞ্জীবনী পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর । [ মিথ্যা ] 

5) একজন বিখ্যাত ক্রীড়া গবেষক হলেন বোরিয়া মজুমদার ।  [ সত্য ]

6) উত্তরাখণ্ডে চিপকো আন্দোলন সংঘটিত হয় । [ সত্য ]

7) হিন্দু বালিকা বিদ্যালয়ের বর্তমান নাম বেথনু স্কুল । [ সত্য ]

8) কলকাতা বিশ্ববিদালয়ের প্রথম ভারতীয় উপাচার্য হল গুরুদাস বন্দ্যোপাধ্যায় । [ সত্য ] 

9) বিদ্যাসাগর ১৮৯০ খ্রিস্টাব্দে “ ভগবতী বিদ্যালয় ' প্রতিষ্ঠা করেন । [ সত্য ] 

10) খুৎকাঠি কথাটির অর্থ হল যৌথ মালিকানা । [ সত্য ] 

11) নদীয়ার নীলকুঠিয়াল ছিলেন স্যামুয়েল ফেডি । [ সত্য ] 

12) ফরাজি কথাটির অর্থ হল মহম্মদ প্রদর্শিত পথ । [ মিথ্যা]

13) ১৮৬৫ খ্রিস্টাব্দে প্রথম অরণ্য আইন প্রণীত হয় । [ সত্য ]

14) মহাশ্বেতা দেবীর অরণ্যের অধিকার ' মুণ্ডা বিদ্রোহের প্রেক্ষাপটে রচিত । [ সত্য ] 

15)  ১৮৬০ খ্রিস্টাব্দে নীল কমিশন গঠিত হয় ।  [ সত্য ] 

16) হিন্দুমেলার উদ্দেশ্য ছিল জাতীয়তাবাদী চেতনার জাগরণ ঘটানো । [ সত্য ] 

17) মুঘল সম্রাট দ্বিতীয় বাহাদুর শাহকে মান্দালয়ে নির্বাসন দেওয়া হয় ।  [ মিথ্যা ] 

18) আনন্দমোহন বসু ভারতসভা প্রতিষ্ঠার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন । [ সত্য ] 

19) ১৮৭৮ খ্রিস্টাব্দে দেশীয় ভাষায় সংবাদপত্র আইন প্রণীত হয় । [ সত্য ] 

20) বাংলায় উন্নত লাইনোটাইপ তৈরি করেন সুরেশচন্দ্র মজুমদার । [ সত্য ]

21) আইন অমান্য আন্দোলনের পটভূমিতে “ গোরা ’ উপন্যাসটি রচিত । [ মিথ্যা ]

22) ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর প্রতিষ্ঠিত ছাপাখানার নাম সংস্কৃত যন্ত্র। [ সত্য ]

23) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ' টেগোর অ্যান্ড কোং ' প্রতিষ্ঠা করেন । [ মিথ্যা ]

24) ভারতবর্ষে প্রথম গোয়ায় ছাপাখানা প্রতিষ্ঠিত হয় । [ সত্য ]

25) জগদীশচন্দ্র ক্রেসকোগ্রাফ যন্ত্রের সাহায্যে প্রমাণ করে যে উদ্ভিদের প্রাণ আছে । [ সত্য ] 

26) বেঙ্গল টেকনিক্যাল ইনস্টিটিউশন বর্তমানে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় নামে পরিচিত। [ সত্য ] 

27) স্বরাজ্য দলের সভাপতি ছিলেন চিত্তরঞ্জন দাশ । [মিথ্যা ] 

28) ভারতের কমিউনিস্ট পার্টিকে ' দ্বিজ ' বলা হল । [ সত্য ] 

29) কংগ্রেস সোশালিস্ট পার্টির প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ছিলেন জয়প্রকাশ নারায়ণ । [ সত্য ] 

30) বাবা গরিবদাস ছিলেন বারদৌলি সত্যাগ্রহের নেতা । [ মিথ্যা ] 

31) পাকিস্তানের প্রথম প্রধানমন্ত্রী ছিলেন লিয়াকত আলি খান । [ সত্য ]

32) সরকারি ভাষা কমিশনের সদস্য ছিলেন সুনীতি কুমার চট্টোপাধ্যায় । [ সত্য ]

33)রম্পা কৃষক বিদ্রোহের নেতা ছিলেন আল্লারি সীতারাম রাজু । [ সত্য ]

34)ভারতে ওয়াহাবি আন্দোলনের নেতা ছিলেন স্যার সৈয়দ আহমেদ খান ।  [ সত্য ]

35)আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু ' ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য কাল্টিভেশন অফ সায়েন্স ' প্রতিষ্ঠা করেন । [মিথ্যা ] 

36)বাংলার ' মুকুটহীন রাজা ' বলা হত বিপিন চন্দ্র পালকে । [ সত্য ]

37)নীলবিদ্রোহের নেতা ছিলেন দিগম্বর বিশ্বাস । [ সত্য ]

38)তিতুমিরের প্রধান সেনাপতি ছিলেন গোলাম মাসুম ।  [ সত্য ]

39)ভারতমাতা চিত্রটি এঁকেছিলেন গগনেন্দ্রনাথ ঠাকুর । [মিথ্যা]

40)গ্রামবার্তা প্রকাশিকা'র প্রথম সম্পাদক কাঙাল হরিনাথ ।[ সত্য]

41)১৯৪৭ - এ কাশ্মিরের রাজা ছিলেন হরি সিং ।[সত্য]

42) তিতুমির বাশের কেল্লা ভেঙে দেন । [মিথ্যা] 

43) শ্রী রামকৃষ্ণ দেব রামকৃষ্ণ মিশন প্রতিষ্ঠা করেন। [মিথ্যা]

44) ভারতসভা ইলবার্ট বিলের বিরোধীতা করে । [মিথ্যা ]

45) লাঙল পত্রিকার সম্পাদক হলেন কাজী নজরুল ইসলাম । [সত্য ]

46) নদীয়ার চৌগাছা গ্রামে নীল বিদ্রোহ শুরু হয়। [সত্য]

47) ১৮৬০ খ্রি: নীল কমিশন গঠিত হয়। [সত্য] 

48) যতিনদাশ ৬৪ দিন অনশন করে মারা যান ।  [সত্য] 

49) বীরসা মুন্ডার উপাস্য দেবতা সিং বোঙা । [সত্য ] 

50) ফরাজি কথার অর্থ হল বাধ্যতামুলক কর্তব্য । [সত্য ]

B. নিম্নলিখিত বিবৃতিগুলির সঠিক ব্যাখ্যা নির্বাচন করো :

1)  বিবৃতি : লর্ড লিটন ' নাট্যাভিনয় নিয়ন্ত্রণ আইন ' পাস করেছিলেন 

 ব্যাখ্যা : লিটন নাটক পছন্দ করতেন না । 

ব্যাখ্যা : নাটকের মাধ্যমে ধর্মীয় শিক্ষা দেওয়া হত ।

 ব্যাখ্যা : নাটকের মাধ্যমে ব্রিটিশ অন্যায় ও অত্যাচার জনমানসে তুলে ধরা হত । 

উত্তর :- ব্যাখ্যা : নাটকের মাধ্যমে ব্রিটিশ অন্যায় ও অত্যাচার জনমানসে তুলে ধরা হত । 

2) বিবৃতি : ১৯১১ খ্রিস্টাব্দে মোহনবাগান ক্লাবের আই . এফ . এ শিল্ড জয় একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা।

 ব্যাখ্যা : শিল্ড জয় ঔপনিবেশিক ব্রিটিশ শাসকের বিরুদ্ধে ভারতীয় জাতীয়তাবাদের জয় । 

ব্যাখ্যা : শিল্ড জয়ের ফলে মোহনবাগান অনেক অর্থ লাভ করে । 

ব্যাখ্যা : মোহনবাগান জাতীয় দলের মর্যাদা লাভ করে ।

 উত্তর :-  ব্যাখ্যা : শিল্ড জয় ঔপনিবেশিক ব্রিটিশ শাসকের বিরুদ্ধে ভারতীয় জাতীয়তাবাদের জয় ।

3) বিবৃতি : রামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের ধর্মভাবনার মূলকথা সর্বধর্ম সমন্বয় ।

ব্যাখ্যা : রামকৃষ্ণ একাধিক ধর্মগ্রন্থ পাঠ করেছিলেন ।

  ব্যাখ্যা : তিনি একেশ্বরবাদে বিশ্বাসী ছিলেন । 

ব্যাখ্যা : তিনি বিশ্বাস করতেন সবধর্মের মূল বক্তব্য এক এবং সেখানে একটি ঐক্য বিরাজমান । 

উত্তর :- ব্যাখ্যা : তিনি বিশ্বাস করতেন সবধর্মের মূল বক্তব্য এক এবং সেখানে একটি ঐক্য বিরাজমান ।

4)  বিবৃতি : রাজা রামমোহন রায় আমহার্স্টকে চিঠি লিখেছিলেন।

 ব্যাখ্যা : সতীদাহ প্রথা বন্ধ করার জন্য আবেদন হিসাবে ।

 ব্যাখ্যা : ভারতে পাশ্চাত্য শিক্ষা বিস্তারের উদ্যোগী হওয়ার আবেদন হিসাবে ।

 ব্যাখ্যা : ভারতে সংস্কৃতি শিক্ষা প্রসারের জন্য ।

 উ : ব্যাখ্যা : ভারতে পাশ্চাত্য শিক্ষা বিস্তারের উদ্যোগী হওয়ার আবেদন হিসাবে ।

 5. বিবৃতি : গ্রামবার্তা প্রকাশিকা ছিল এক জনপ্রিয় পত্রিকা ।

ব্যাখ্যা : এই পত্রিকা নীল বিদ্রোহের সমর্থন করে । 

 ব্যাখ্যা : এই পূর্ববর্তী কোনো সংবাদপত্রে গ্রামের কথা বলা হয়নি । 

ব্যাখ্যা : এর সম্পাদক কাঙাল হরিনাথ ছিলেন একজন জনপ্রিয় ব্যক্তি ।

 উ : ব্যাখ্যা : এই পূর্ববর্তী কোনো সংবাদপত্রে গ্রামের কথা বলা হয়নি ।

6. বিবৃতি ; উনিশ শতকের ভারতে ' নবজাগরণ ' কথাটি মানানসই নয় । - 

ব্যাখ্যা : এই নবজাগরণের কোনো নিশ্চিত স্রষ্টা নেই । 

ব্যাখ্যা : এই নবজাগরণকে ইউরোপীয়  নবজাগরণের সঙ্গে তুলনা করা যায় না ।  

ব্যাখ্যা : নবজাগরণ সমাজের সর্বস্তরের মানুষকে স্পর্শ করেনি ।

 উ : ব্যাখ্যা : নবজাগরণ সমাজের সর্বস্তরের মানুষকে স্পর্শ করেনি । 

7.  বিবৃতি ; ব্রিটিশ সরকার অরণ্য আইন পাস করে - 

 ব্যাখ্যা : অরণ্য আইনের উদ্দেশ্য ছিল অরণ্য সংরক্ষণ করা । 

 ব্যাখ্যা : অরণ্যের পশু পাখিদের রক্ষা করা । 

ব্যাখ্যা : অরণ্য আইনের উদ্দেশ্য ছিল অরণ্য সম্পদের ওপর থেকে আদিবাসীদের অধিকার কেড়ে নেওয়া । 

উ : ব্যাখ্যা : অরণ্য আইনের উদ্দেশ্য ছিল অরণ্য সম্পদের ওপর থেকে আদিবাসীদের অধিকার কেড়ে নেওয়া ।

8. বিবৃতি : রংপুরের কৃষকরা দেবী সিংহের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে ।

 ব্যাখ্যা : দেবী সিংহ কৃষকদের জমি কেড়ে নিয়েছিলেন । 

ব্যাখ্যা : দেবী সিংহ জমিদার ও প্রজাদের ওপর রাজস্বের হার বৃদ্ধি করে । 

 ব্যাখ্যা : দেবী সিংহ কৃষকদের নীলচাষে বাধ্য করেন । 

উ : ব্যাখ্যা : দেবী সিংহ জমিদার ও প্রজাদের ওপর রাজস্বের হার বৃদ্ধি করে । 

9. বিবৃতি : বিরসা মুণ্ডা নতুন ধর্ম মতের প্রচার করেন 

ব্যাখ্যা : তিনি ধর্মের প্রতি আসক্ত হয়ে পড়েন ।

 ব্যাখ্যা : তাঁর উদ্দেশ্য ছিল ধর্মগুরু হিসাবে কাজ করা । 

ব্যাখ্যা : তাঁর উদ্দেশ্য ছিল ধর্মের বন্ধনে মুণ্ডাদের ঐক্যবদ্ধ করা । 

উ : ব্যাখ্যা : তাঁর উদ্দেশ্য ছিল ধর্মের বন্ধনে মুণ্ডাদের ঐক্যবদ্ধ করা ।

10.  বিবৃতি : নীলকর সাহেবরা বে - এলাকা ' চাষে বেশি উৎসাহী ছিল । 

 ব্যাখ্যা : বে - এলাকা চাষে নীলকরদের নিজের জমির প্রয়োজন হত না । 

ব্যাখ্যা : বে - এলাকা চাষে কৃষকদের সুবিধা হত । 

 ব্যাখ্যা : বে - এলাকা চাষে শান্তি বজায় থাকতো । 

উ : ব্যাখ্যা : বে - এলাকা চাষে কৃষকদের সুবিধা হত ।

11.  বিবৃতি : উনিশ শতককে সভাসমিতির যুগ বলা হয় - 

ব্যাখ্যা : ড : অনিল শীল উনিশ শতককে সভাসমিতির যুগ বলেন । 

ব্যাখ্যা : উনিশ শতকে জাতীয় কংগ্রেস অনেকগুলি সভা করেছিলেন । 

ব্যাখ্যা : উনিশ শতকে ভারতে বিভিন্ন রাজনৈতিক সভাসমিতি গড়ে ওঠে ।

 উ : ব্যাখ্যা : উনিশ শতকে ভারতে বিভিন্ন রাজনৈতিক সভাসমিতি গড়ে ওঠে ।

12. বিবৃতি : ব্রিটিশ সরকার আনন্দমঠ উপন্যাসটি নিষিদ্ধ করে ।

ব্যাখ্যা : আনন্দমঠ সাম্প্রদায়িকতা ছড়ায় । 

ব্যাখ্যা : আনন্দমঠ উপন্যাসটি শিক্ষিতদের স্বদেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করে । 

ব্যাখ্যা : আনন্দমঠে ভারতীয়দের ' বন্দেমাতরম্ ' সংগীত ছিল ।

 উ : ব্যাখ্যা : আনন্দমঠ উপন্যাসটি শিক্ষিকদের স্বদেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করে । 

13. বিবৃতি গগনেন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর ব্যঙ্গচিত্রে বাঙালি বাবুদের সমালোচনা করেন।

 ব্যাখ্যা : বাঙালি বাবুরা পাশ্চাত্য সভ্যতার অন্ধ অনুকরণকারী ছিলেন । 

 ব্যাখ্যা : বাঙালি বাবুরা শিক্ষিত ছিলেন । 

ব্যাখ্যা : বাঙালি বাবুরা ধনী ও বিলাসি ছিলেন ।

 উ : ব্যাখ্যা : বাঙালি বাবুরা পাশ্চাত্য সভ্যতার অন্ধ অনুকরণকারী ছিলেন । 

14. বিবৃতি : ১৮১৭ খ্রিস্টাব্দে কলকাতা স্কুল বুক সোসাইটি ' প্রতিষ্ঠিত হয় ।

ব্যাখ্যা : এই সোসাইটির উদ্দেশ্য ছিল শিক্ষকদের কাছ থেকে বই বিষয়ে পরামর্শ নেওয়া । 

ব্যাখ্যা : এই সোসাইটির উদ্দেশ্য ছিল স্কুল পাঠ্যবই ছাপিয়ে সুলভে বা বিনামূল্যে শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেওয়া ।ব্যাখ্যা : এই সোসাইটির উদ্দেশ্য ছিল কলকাতায় ছাপাখানা প্রতিষ্ঠা করা । 

উ :  ব্যাখ্যা : এই সোসাইটির উদ্দেশ্য ছিল স্কুল পাঠ্যবই ছাপিয়ে সুলভে বা বিনামূল্যে শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেওয়া ।

 15. বিবৃতি ; জগদীশচন্দ্র বসু বসুবিজ্ঞান মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন ।

ব্যাখ্যা : বসুবিজ্ঞান মন্দির প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য ছিল বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখার মৌলিক গবেষণার কাজ করা । 

ব্যাখ্যা : ব্রিটিশ সরকার জগদীশচন্দ্র বসুকে এটি প্রতিষ্ঠায় উৎসাহ দেন । 

 ব্যাখ্যা : নিজের কাজকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য ।

 উ : ব্যাখ্যা : বসুবিজ্ঞান মন্দির প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য ছিল বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখার মৌলিক গবেষণার কাজ করা । 

16. বিবৃতি ; রবীন্দ্রনাথ প্রকৃতির সান্নিধ্যে শিক্ষাদানের সমর্থক ছিলেন - 

ব্যাখ্যা : রবীন্দ্রনাথ মনে করতেন প্রকৃতির কোলেই আদর্শ শিক্ষা হয় । 

 ব্যাখ্যা : রবীন্দ্রনাথ চাইতেন শিক্ষার্থীরা প্রকৃতির গুরুত্ব উপলব্ধি করুক । 

ব্যাখ্যা : রবীন্দ্রনাথ মানুষ ও প্রকৃতিকে বিচ্ছিন্ন কোনো বিষয় বলে মনে করতেন না । 

উ : ব্যাখ্যা : রবীন্দ্রনাথ মানুষ ও প্রকৃতিকে বিচ্ছিন্ন কোনো বিষয় বলে মনে করতেন না ।

17. বিবৃতি : আইন অমান্য আন্দোলনে ভারতের কৃষক সম্প্রদায় স্বতঃস্ফূর্তভাবে সামিল হয় -

 ব্যাখ্যা : কৃষকদের স্বার্থরক্ষার বিষয়টি এই আন্দোলনের কর্মসূচিভুক্ত ছিল । 

ব্যাখ্যা ; কৃষকরা এই আন্দোলনে যোগ দেওয়ার সুযোগ পায় । 

 ব্যাখ্যা : আন্দোলনে কৃষি রাজস্ব মকুবের ওপর জোর দেওয়া হয় । 

উ : ব্যাখ্যা : কৃষকদের স্বার্থরক্ষার বিষয়টি এই আন্দোলনের কর্মসূচিভুক্ত ছিল । 

18. বিবৃতি : মানবেন্দ্রনাথ রায় ভারত ত্যাগ করেন ১৯১৫ খ্রিস্টাব্দে ।

 ব্যাখ্যা : রাশিয়ার আন্দোলনে যোগ দেওয়ার জন্য ।

 ব্যাখ্যা:  জার্মানি থেকে অস্ত্র সংগ্রহের উদ্দেশ্যে । 

 ব্যাখ্যা : তৃতীয় আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যোগ দেওয়ার জন্য । 

উ : ব্যাখ্যা : জার্মানি থেকে অস্ত্র সংগ্রহের উদ্দেশ্যে । 

19. বিবৃতি : সরকার ১৯০৫ খ্রিস্টাব্দে ' কার্লাইল সার্কুলার ' ঘোষণা করে।

ব্যাখ্যা : সরকারের উদ্দেশ্য ছিল কৃষক আন্দোলন । দমন করা । 

ব্যাখ্যা : সরকারের উদ্দেশ্য ছিল নারী আন্দোলন দমন করা । 

ব্যাখ্যা : সরকারের উদ্দেশ্য ছিল ছাত্র আন্দোলন দমন করা । 

উ : ব্যাখ্যা : সরকারের উদ্দেশ্য ছিল ছাত্র আন্দোলন দমন করা । 

20. বিবৃতি : মাতঙ্গিনী হাজরাকে ' গান্ধিবুড়ি ' বলা হয় । 

 ব্যাখ্যা : মাতঙ্গিনী হাজরা গান্ধিজির মতো বৃদ্ধ বয়সেও আন্দোলন করনে । 

ব্যাখ্যা তিনি গান্ধিজির অহিংস উপায় অবলম্বন করে আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন । 

ব্যাখ্যা তিনি গান্ধিজির মতো শ্বেতবস্ত্র পরিধান করতেন ।

 উঃ ব্যাখ্যা: তিনি গান্ধিজির অহিংস উপায় অবলম্বন করে আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন । 

21. বিবৃতি সতীশচন্দ্র মুখোপাধ্যায় ডন সোসাইটি প্রতিষ্ঠা করেন কারণ - 

 ব্যাখ্যা : এর উদ্দেশ্য ছিল ছাত্রদের ঐক্যবদ্ধ করে আন্দোলনে সামিল করা । 

ব্যাখ্যা : অস্ত্রচালনা শিক্ষা দেওয়া । 

ব্যাখ্যা : সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপে উৎসাহ প্রদান করো ।

 উ : ব্যাখ্যা : এর উদ্দেশ্য ছিল ছাত্রদের ঐক্যবদ্ধ করে আন্দোলনে সামিল করা ।

22. বিবৃতি : মাস্টারদা সূর্যসেনকে ব্রিটিশ সরকার ফাঁসি দেয়।

 ব্যাখ্যা:  তিনি আলিপুর বোমা মামলায় অভিযুক্ত ছিলেন । 

ব্যাখ্যা : তিনি অলিন্দ যুদ্ধে অংশ নেন । 

ব্যাখ্যা : তিনি চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুণ্ঠনে নেতৃত্ব দেন । 

উ : ব্যাখ্যা:  তিনি চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুণ্ঠনে নেতৃত্ব দেন । 

23. বিবৃতি : দেশীয় রাজ্যগুলির ভারতভুক্তির ব্যাপারে বল্লভভাই প্যাটেল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয় - 

ব্যাখ্যা : তিনি ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন । 

 ব্যাখ্যা : তিনি দেশীয় রাজ্যগুলির মধ্যে সংহতি রক্ষা করতে চেয়েছিলেন ।

 ব্যাখ্যাঃ তিনি বিদেশি শাসনের বিরোধী ছিলেন ।

উ : ব্যাখ্যা : তিনি দেশীয় রাজ্যগুলির মধ্যে সংহতি রক্ষা করতে চেয়েছিলেন । 

24. বিবৃতি : ভারতের ইতিহাসে স্বাধীনতার পরবর্তী পাঁচবছর পুনর্বাসনের যুগ নামে অভিহিত হয়

ব্যাখ্যা : এই সময় উদবাস্তুদের ত্রাণ ও পুনর্বাসনের ওপর জোর দেওয়া হয় । 

ব্যাখ্যা : এই সময় পুনর্বাসন চুক্তি হয় । 

ব্যাখ্যা : এই সময় গৃহহীনদের ঘর দেওয়ার পৰিকল্পনা নেওয়া হয় ।

উঃ ব্যাখ্যা : এই সময় উদবাস্তুদের ত্রাণ পুনর্বাসনের ওপর জোর দেওয়া হয় । 

25. বিবৃতি : সাঁওতালরা ১৮৫৫ খ্রিস্টাব্দে স্বাধীনতার জন্য আন্দোলন শুরু করে ।

ব্যাখ্যা : সাঁওতালরা বহিরাগত মহাজন , দেশীয় জমিদার ও বনিকদের অত্যাচারে অসন্তুষ্ট ছিল ।

 ব্যাখ্যা : ইংরেজরা তাদের যুদ্ধে যোগদান করার জন্য অত্যাচার করত । 

 ব্যাখ্যা : সাওতালরা ব্রিটিশ বনিকদের দাসে পরিণত হয়েছিল । 

উ : ব্যাখ্যা ; সাঁওতালরা বহিরাগত মহাজন , দেশীয় জমিদার ও বনিকদের অত্যাচারে অসন্তুষ্ট ছিল । 

26. বিরতি নাথ ঠাকুর গোরা উপন্যাসে লিখেছিলেন - 

ব্যাখ্যা : ঔপনিবেশিক প্রশাসনকে সমালোচনা করার জন্য । 

ব্যাখ্যা : পাশ্চাত্য শিক্ষার সমালোচনা করার জন্য । 

 ব্যাখ্যা : সংকীর্ণ , জাতীয়তাবাদকে সমালোচনা করার জন্য । 

উ : ব্যাখ্যা : সংকীর্ণ জাতীয়তাবাদকে সমালোচনা করার জন্য ।

27. বিবৃতি ১৯০৬ খ্রিস্টাব্দে জাতীয় শিক্ষা পরিষদ পঠিত হয় - 

 ব্যাখ্যা : বৈজ্ঞানিক গবেষণার উন্নতির জন্য । 

 ব্যাখ্যা : জাতীয় শিক্ষা দানের জন্য । 

 ব্যাখ্যা : কারিগরি শিক্ষার উন্নতির জন্য ।

 উ : ব্যাখ্যা : জাতীয় শিক্ষা দানের জন্য । 

28. বিবৃতি : জাতীয় কংগ্রেস শ্রমিক আন্দোলনকে খুব বেশি প্রাধান্য দেয়নি ।

ব্যাখ্যা : কংগ্রেস শ্রমিকস্বার্থ অপেক্ষা গোষ্ঠীস্বার্থ রক্ষায় অধিক আগ্রহী ছিল এবং শ্রমিক আন্দোলনের কমিউনিজম ঘেঁষা আদর্শের পরিপন্থি ছিল । 

ব্যাখ্যা:  জাতীয় কংগ্রেস শ্রমিকদের পছন্দ করত না । 

ব্যাখ্যা : শ্রমিক আন্দোলনের কোনো নীতি ও আদর্শ ছিল না ।

 উ : ব্যাখ্যা : কংগ্রেস শ্রমিকস্বার্থ অপেক্ষা গোষ্ঠীস্বার্থ রক্ষায় অধিক আগ্রহী ছিল এবং শ্রমিক আন্দোলনের কমিউনিজম ঘেঁষা আদর্শের পরিপন্থি ছিল । 

29. বিবৃতি : শচীন্দ্র প্রসাদ বসু ' অ্যান্টি সার্কুলার সোসাইটি ' গঠন করেন --

ব্যাখ্যা : কার্লাইল সার্কুলারের প্রতিবাদ স্বরূপ গড়ে ওঠে অ্যান্টি সার্কুলার সোসাইটি । 

ব্যাখ্যা : কার্লাইল সার্কুলারের নির্দেশগুলি কার্যকর করার জন্য এই সোসাইটি গড়ে ওঠে । 

ব্যাখ্যা : ভারতের নারীদের ঐক্যবদ্ধ করার জন্য ।

 উঃ ব্যাখ্যা : কার্লাইল সার্কুলারের প্রতিবাদ স্বরূপ গড়ে ওঠে অ্যান্টি সার্কুলার সোসাইটি । 

30. বিবৃতি : স্বাধীনতার পর বাংলা ও পাঞ্জাবে শরণার্থী সমস্যা সবচেয়ে বেশি দেখা গিয়েছিল । - 

( ১ ) ব্যাখ্যা : বাংলা ও পাঞ্জাবে প্রতি বর্গমাইলে জনঘনত্ব খুব বেশি ছিল । 

 ব্যাখ্যা : বাংলা ও পাঞ্জাব ভারত - পাকিস্তানে দ্বিবিভাজিত হয় এবং এইসব অঞ্চলে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার পরিমাণও ছিল বেশি । 

ব্যাখ্যা : বাংলা ও পাঞ্জাব বসবাসের উপযোগি ছিল ।

 উ :  ব্যাখ্যা : বাংলা ও পাঞ্জাব ভারত - পাকিস্তানে দ্বিবিভাজিত হয় এবং এইসব অঞ্চলে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার পরিমাণও ছিল বেশি ।

31. বিবৃতি : স্বদেশি আন্দোলনের সময় বিলেতি পণ্যের দোকানের সামনে পিকেটিং চালানো হয় ।

ব্যাখ্যা  : পিকেটিং এর উদ্দেশ্য ছিল বিলেতি পণ্য বিক্রি বন্ধ করা । 

ব্যাখ্যা  : পিকেটিং এর উদ্দেশ্য ছিল ব্রিটিশদের দেশ থেকে বিতাড়িত করা ।

 ব্যাখ্যা : পিকেটিং এর উদ্দেশ্য ছিল সস্তার বিলেতি পণ্য জোগান দেওয়া ।

উ : ব্যাখ্যা  : পিকেটিং এর উদ্দেশ্য ছিল বিলেতি পণ্য বিক্রি বন্ধ করা । 

32. বিবৃতি : সরলাদেবী চৌধুরানী লক্ষ্মার ভান্ডার স্থাপন করেন ।

ব্যাখ্যা : লক্ষ্মীপুজোর আয়োজন করা তাঁর উদ্দেশ্য ছিল । 

ব্যাখা : স্বদেশী জিনিসপত্রের ব্যবহার বাড়ানোই তাঁর উদ্দেশ্য । 

ব্যাখ্যা  : দরিদ্রদের দান করাই তাঁর উদ্দেশ্য ছিল । 

উ : ব্যাখা : স্বদেশী জিনিসপত্রের ব্যবহার বাড়ানোই তাঁর উদ্দেশ্য । 

33. বিবৃতি : ' আজাদ হিন্দ ফৌজের নারী বাহিনীর নাম রাখা হয়েছিল ঝাঁসির রানি ব্রিগেড । 

ব্যাখ্যা  : ঝাঁসির রানী লক্ষ্মীবাঈয়ের লড়াকু মনোভাবকে স্মরণে রাখতে । 

ব্যাখ্যা :ঝাঁসির রানী লক্ষ্মীবাঈকে শ্রদ্ধা জানাতে ।

 ব্যাখ্যা : লক্ষ্মীবাঈ সহ দেশীয় রাজন্যবর্গকে সম্মান জানাতে ।

উ: ব্যাখ্যা  : ঝাঁসির রানী লক্ষ্মীবাঈয়ের লড়াকু মনোভাবকে স্মরণে রাখতে । 

34.  বিবৃতি : ব্রিটিশরা মুদ্রণ শিল্পের বিকাশের চেষ্টা করেছিল- 

ব্যাখ্যাঃ  ভারতীয়দের শিক্ষিত করতে চেয়েছিল । 

ব্যাখ্যাঃ  ভারতীয়দের মধ্যে খ্রিষ্টানধর্ম প্রচার করতে চেয়েছিল । 

ব্যাখ্যা : ভারতবর্ষ সম্পর্কে তথ্য জানা ও কোম্পানীর কর্মচারীদের তা জানানোর জন্য ।

উ: ব্যাখ্যা : ভারতবর্ষ সম্পর্কে তথ্য জানা ও কোম্পানীর কর্মচারীদের তা জানানোর জন্য ।

35. বিবৃতি : জেমস লঙ সাহেবের জেল ও জরিমানা হয়েছিল । 

ব্যাখ্যা : তিনি সরকারি অফিসের নথি চুরি করেছিলেন । 

ব্যাখ্যা : তিনি ' নীলদর্পণ ' নাটক ইংরাজিতে প্রকাশ করেছিলেন । 

ব্যাখ্যা : তিনি ব্রিটিশ কর্মচারীকে হত্যা করেছিলেন ।

উ : ব্যাখ্যা : তিনি ' নীলদর্পণ ' নাটক ইংরাজিতে প্রকাশ করেছিলেন । 

36.  বিবৃতি : ভারত ছাড়ো আন্দোলনের সময়ে ঊষা মেহতা কংগ্রেসের ' বেতার কেন্দ্র ' স্থাপন করেন । 

ব্যাখ্যা: স্বাধীনতার বাণী প্রচার ও আন্দোলন সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য সরবরাহ করায় ছিল এর উদ্দেশ্যে ।

ব্যাখ্যা:  দেশ - বিদেশে আন্দোলনের সংবাদ প্রচার করা । 

ব্যাখ্যা: দেশবাসীর সহানুভূতি ও সমর্থন আদায় করা । 

উ: ব্যাখ্যা: স্বাধীনতার বাণী প্রচার ও আন্দোলন সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য সরবরাহ করায় ছিল এর উদ্দেশ্যে ।

37. বিবৃতি : ১৯৪৬ খ্রীঃ ১২ ফেব্রুয়ারী রসিদ আলি দিবস ' পালিত হয় । 

ব্যাখ্যা : হিন্দু - মুসলিম ঐক্য স্থাপন করার জন্য । 

ব্যাখ্যা:  ক্যাপ্টেন রসিদ আলির সশ্রম কারাদণ্ডের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে । 

ব্যাখ্যা :  মন্ত্রী মিশনের প্রস্তাবের বিরোধীতা করতে । 

উ : ব্যাখ্যা:  ক্যাপ্টেন রসিদ আলির সশ্রম কারাদণ্ডের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে । 

১. ডুডলস কী?

• গুগলসের একটি বিশেষ সাজ ডুডলস নামে পরিচিত। সাধারণত বিশেষ কোনো দিনে বা সময়ে বিশেষ ব্যক্তিকে বা ঘটনাকে সম্মান জানাতে গুগলসের হোমপেজের লোগো বিশেষ সাজে সেজে ওঠে। এই সাজকে ডুডলস বলে।

২.ব্রিটিশ সরকার কেন ১৮৭৮ খ্রিস্টাব্দে 'সোমপ্রকাশ' সাময়িকপত্রের প্রকাশ বন্ধ করে দেয়? 

• বড়োলাট লর্ড লিটন ১৮৭৮ খ্রিস্টাব্দে 'দেশীয় সংবাদপত্র আইন' পাস করে ভারতীয় সংবাদপত্রগুলির ওপর হস্তক্ষেপ করে ব্রিটিশ-বিরোধিতার পথ বন্ধ করার উদ্যোগ নেয়। তখন এই আইনের দ্বারা 'সোমপ্রকাশ' পত্রিকাটিও সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়।

৩. ইতিহাসের তথ্যসংগ্রহে ইনটারনেট ব্যবহারের অসুবিধাগুলি কী?

• ইতিহাসের তথ্যসংগ্রহে ইনটারনেট ব্যবহারের অসুবিধাগুলি হল-[1] ইনটারনেট থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনেকসময় অসম্পূর্ণ থাকে। [2] তথ্যগুলি অনেকসময় মনগড়া হয়। [3] গবেষণার কাজে এই তথ্য ব্যবহার করার ক্ষেত্রে ভরসা পাওয়া যায় না। [4] অনেকক্ষেত্রে ইনটারনেটের অসত্য বা অর্ধসত্য তথ্য গবেষণার গুণগত মান কমিয়ে দেয়।

৪.বামাবোধিনী সভা-র উদ্দেশ্য কী ছিল?

• বামাবোধিনী সভার উদ্দেশ্য ছিল- [1] সামাজিক কুসংস্কারের বিরোধিতা করা, [2] নারীশিক্ষার প্রসার ঘটানো, [3] নারীদের অধিকার ও মর্যাদা বৃদ্ধি করা, [4] নারীজাতির স্বার্থে বিভিন্ন বইপত্র ও পত্রিকা প্রকাশ করা প্রভৃতি।

৫. 'বামাবোধিনী' পত্রিকা থেকে উনিশ শতকের কীরূপ সামাজিক তথ্য জানা যায়?

• 'বামাবোধিনী' পত্রিকা থেকে উনিশ শতকের বাংলার নারীদের অবস্থা, গৃহচিকিৎসা, শিশুপালন, গৃহকার্য, শিল্পকর্ম, পরিবার ও সমাজের যোগসূত্র হিসেবে নারীর ভূমিকা প্রভৃতি সম্পর্কে নানা তথ্য জানা যায়।

৬. উডের ডেসপ্যাচ কী?

• বোর্ড অব কন্ট্রোলের সভাপতি স্যার চার্লস উড ১৮৫৪ খ্রিস্টাব্দে শিক্ষাবিষয়ক একটি নির্দেশনামা প্রকাশ করেন যা উডের ডেসপ্যাচ বা উডের নির্দেশনামা নামে পরিচিত। উডের ডেসপ্যাচ-এ যেসব সুপারিশ করা হয় সেগুলি হল- [1] একটি পৃথক শিক্ষাদপ্তর গঠন, [2] কলকাতা, বোম্বাই ও মাদ্রাজে একটি করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা, [3] শিক্ষক-শিক্ষণব্যবস্থা প্রচলন, [4] উচ্চশিক্ষায় ইংরেজি ভাষার গুরুত্ব বৃদ্ধি, [5] স্ত্রীশিক্ষার প্রসার প্রভৃতি।

৭. মধুসূদন গুপ্ত কে ছিলেন?.

• মধুসূদন গুপ্ত (১৮০০-১৮৫৬ খ্রি.) ছিলেন কলকাতা মেডিকেল কলেজের একজন ছাত্র। এদেশে তিনিই প্রথম শব বা মৃতদেহ ব্যবচ্ছেদ করে এক যুগান্তকারী ঘটনা ঘটান। তিনি ১৮৪০ খ্রিস্টাব্দে ডাক্তারি পাস করেন এবং পরে মেডিকেল কলেজের চাকরিতে যোগ দেন।

৮. সতীদাহপ্রথা কী?

• উনিশ শতকের গোড়াতেও ভারতীয় হিন্দুসমাজে প্রচলিত এক প্রথা অনুসারে স্বামীর মৃত্যুর পর জ্বলন্ত চিতায় তাঁর বিধবা স্ত্রীকে জীবন্ত অবস্থায় পুড়িয়ে মারা হত। এই মধ্যযুগীয় নিষ্ঠুর বর্বর প্রথা সতীদাহপ্রথা বা সহমরণ নামে পরিচিত।

৯. হাজি মহম্মদ মহসীন বিখ্যাত কেন?

• হাজি মহম্মদ মহসীন (১৭৩২-১৮১২ খ্রি.) ছিলেন একজন শিক্ষাব্রতী, সমাজসেবক ও দানবীর। উনিশ শতকে বাংলার মুসলিম সমাজে শিক্ষার প্রসার, জনকল্যাণ প্রভৃতি ক্ষেত্রে তাঁর অসামান্য অবদানের কারণে তিনি বিখ্যাত হয়ে আছেন।

১০. ঔপনিবেশিক অরণ্য আইনের উদ্দেশ্য কী ছিল?

• ব্রিটিশ সরকার কর্তৃক ১৮৬৫ ও ১৮৭৮ খ্রিস্টাব্দে অরণ্য আইন প্রণয়নের উদ্দেশ্যগুলি ছিল- [1] অরণ্য থেকে অরণ্যবাসী জাতিগোষ্ঠীগুলিকে সুকৌশলে বিচ্ছিন্ন করা। [2] এদেশে নতুন নতুন শহর প্রতিষ্ঠা করা। [3] রেলগাড়ি, রেলপথ, জাহাজ প্রভৃতি তৈরির প্রয়োজনে অরণ্যের কাষ্ঠসম্পদ হস্তগত করার উদ্যোগ নেওয়া। [4] অরণ্যের অন্যান্য প্রাকৃতিক সম্পদ দখল করা।

১১. দেবী সিংহ কে ছিলেন?

• দেবী সিংহ ছিলেন দিনাজপুর, রংপুর ও এদ্রাকপুর পরগনার একজন ইজারাদার। তিনি ব্রিটিশ সরকারের কাছ থেকে ১৭৮১ খ্রিস্টাব্দে এই অঞ্চলের ইজারা নিয়ে এখানকার জমিদার ও প্রজাদের ওপর রাজস্বের হার বহুগুণ বৃদ্ধি করলে তাঁর বিরুদ্ধে রংপুর বিদ্রোহ (১৭৮৩ খ্রি.) শুরু হয়।

১২.কোন্ অঞ্চলকে জঙ্গলমহল বলা হয়?

• ধলভূম, বাঁকুড়া, মেদিনীপুর এবং দক্ষিণ-পশ্চিম বাংলার কিছুটা অঞ্চল নিয়ে জঙ্গলমহল গঠিত ছিল। এটি ছিল কৃষিজীবী চুয়াড় জাতি-অধ্যুষিত অঞ্চল। চুয়াড় বিদ্রোহের পর ইংরেজরা বিষ্ণুপুর শহরকে কেন্দ্র করে এই দুর্গম বনাঞ্চলটিকে 'জঙ্গলমহল' (১৮০০ খ্রি.) নামে একটি বিশেষ জেলা গঠন করে।

১৩. সন্ন্যাসী-ফকির বিদ্রোহ ব্যর্থ হল কেন?

• সন্ন্যাসী-ফকির বিদ্রোহ (১৭৬৩-১৮০০ খ্রি.) ব্যর্থ হওয়ার প্রধান কারণগুলি ছিল [1] এই বিদ্রোহে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে অনেকেই বাংলার বাইরে থেকে এসেছিলেন। তাই বাংলায় তাদের জনভিত্তি ছিল দুর্বল। [2] এই বিদ্রোহ শুরু থেকেই ক্ষুদ্র অঞ্চলে সীমাবদ্ধ ছিল। [3] সমাজের সর্বস্তরের মানুষের মধ্যে এই বিদ্রোহ জনপ্রিয় হতে পারেনি। শুরু থেকেই তা দুর্বল ছিল।

১৪. দুদু মিঞা স্মরণীয় কেন?

• দুদু মিঞা নানা কারণে স্মরণীয়। [1] তিনি ছিলেন বাংলার ফরাজি আন্দোলনের প্রধান প্রবর্তক, শরিয়ত উল্লাহর পুত্র এবং ফরাজি আন্দোলনের নেতা। [2] তাঁর নেতৃত্বে ঊনবিংশ শতকে ফরাজি আন্দোলন ধর্মীয়, সামাজিক ও অর্থনৈতিক আন্দোলনের রূপ নেয়।

১৫.নীল বিদ্রোহে খ্রিস্টান মিশনারিদের ভূমিকা কীরূপ ছিল?

• বাংলায় সংঘটিত নীল বিদ্রোহে ইউরোপ থেকে ভারতে আগত খ্রিস্টান মিশনারিদের বিশেষ ভূমিকা ছিল। [1] এই বিদ্রোহের সময় তারা নীলচাষিদের প্রতি সমর্থন ও সহানুভূতি জানায়। [2] তারা নীলকর সাহেবদের অত্যাচার ও শোষণের চিত্র স্থানীয় সংবাদপত্রগুলিতে তুলে ধরে। [3] তারা উপলব্ধি করে যে, নীলচাষিদের দুর্দশা দূর করার জন্য তাদের মধ্যে উন্নত 'খ্রিস্টান শিক্ষা' ও গণশিক্ষার প্রসার ঘটানো প্রয়োজন। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, মিশনারি জেমস লঙ নীলকরদের তীব্র সমালোচক ছিলেন।

১৬. জমিদার সভা ও ভারতসভার মধ্যে দুটি পার্থক্য লেখো।


• উনিশ শতকে গড়ে ওঠা জমিদার সভা ও ভারতসভার মধ্যে দুটি মৌলিক পার্থক্য ছিল--[1] জমিদার সভা ছিল মূলত জমিদার ও ধনী ব্যবসায়ীদের সংগঠন। অন্যদিকে, ভারতসভা সর্বস্তরের মানুষকে নিয়ে গণসংগঠন গড়ে তুলেছিল। [2] জমিদার সভার প্রধান লক্ষ্য ছিল বাংলা, বিহার ও উড়িষ্যার জমিদারদের স্বার্থ রক্ষা করা। অন্যদিকে, ভারতসভার প্রধান উদ্দেশ্য ছিল ভারতীয়দের সার্বিক কল্যাণসাধন ও স্বার্থরক্ষা।

১৭. আনন্দমঠ' উপন্যাস কীভাবে জাতীয়তাবাদী ভাবধারাকে উদ্দীপ্ত করেছিল?

• 'আনন্দমঠ' (১৮৮২ খ্রি.) উপন্যাসে বঙ্কিমচন্দ্র পরাধীন ভারতমাতার দুর্দশার চিত্র দেশবাসীর সামনে তুলে ধরে স্বৈরাচারী ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে দেশবাসীকে বিদ্রোহের আহ্বান জানান। 'আনন্দমঠ'-এর সন্তানদলের একমাত্র লক্ষ্য ছিল বিদেশিদের হাত থেকে দেশমাতাকে মুক্ত করা। 'আনন্দমঠ' প্রকাশের পর শীঘ্রই ভারতের বিভিন্ন ভাষায় গ্রন্থটি অনূদিত হয়। ফলে ভারতের সর্বত্র জাতীয় চেতনার ঢেউ খেলে যায়।

১৮. ব্যঙ্গচিত্র কেন আঁকা হয়?

• পরাধীন ভারতে নানা কারণে ব্যঙ্গচিত্রগুলি আঁকা হত, যেমন- [1] প্রচলিত সামাজিক কুপ্রথা সম্পর্কে মানুষকে অবহিত করা এবং [2] তৎকালীন রাজনৈতিক ও আর্থসামাজিক ত্রুটিগুলি জনসমক্ষে তুলে ধরা।

১৯. বাংলার মুদ্রণের ইতিহাসে বটতলা প্রকাশনার গুরুত্ব কী?

• বাংলার মুদ্রণের ইতিহাসে বটতলা প্রকাশনার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল।

[1] এই প্রকাশনীতে কম খরচে বেশি বই ছাপা হত। [2] এই ছাপায় হ্যান্ডমেড পেপারের ব্যাপক ব্যবহার দেখা যায়। ফলে স্বদেশি কারিগরির মুনশিয়ানা ফুটে ওঠে। এ ছাড়া পুঁথি, পাঁচালি এবং অনুবাদ সাহিত্যের প্রকাশনার প্রসার ঘটে। 

২০. প্রসেস প্রিন্টিং' সম্বন্ধে কী জান?

• উপেন্দ্রকিশোরের ছাপাখানার বিশেষ কৃতিত্ব ছিল প্রসেস প্রিন্টিং নামে এক ধরনের উন্নত মুদ্রণ কৌশল আবিষ্কার। তিনি তাঁর ইউ রায় অ্যান্ড সন্স নামে ছাপাখানায় নিরন্তর পরীক্ষানিরীক্ষা চালিয়ে এই উন্নত মুদ্রণ কৌশলের উদ্ভাবন করেন।

২১.বিজ্ঞান শিক্ষার বিকাশে IACS-এর ভূমিকা কী ছিল?

• উনিশ শতকে বিজ্ঞান শিক্ষার বিকাশে 'ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য কাল্টিভেশন অব সায়েন্স'-এর উল্লেখযোগ্য ভূমিকা ছিল। [1] এখানে পদার্থবিদ্যা ও রসায়নের বিভিন্ন শাখায় নিয়মিত গবেষণা চলত। [2] দেশ-বিদেশের বহু খ্যাতনামা বিজ্ঞানী ও গবেষক এখানে গবেষণা করেছেন ও বিজ্ঞান-বিষয়ক বহু বক্তৃতা প্রদান করেছেন। [3] এখানকার গবেষণার কাজ প্রকাশের উদ্দেশ্যে 'ইন্ডিয়ান জার্নাল অব ফিজিক্স' নামে নিজস্ব জার্নাল প্রকাশের ব্যবস্থা করা হয়।

২২.জাতীয় শিক্ষায় ডন সোসাইটির কী ভূমিকা ছিল?

• সতীশচন্দ্র মুখোপাধ্যায় কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত ডন সোসাইটি (১৯০২ খ্রিস্টাব্দ)-র কার্যাবলি ও এখান থেকে প্রকাশিত 'ডন' পত্রিকা জাতীয় শিক্ষার প্রসারে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নেয়। শিক্ষার্থীদের মধ্যে আদর্শবোধ, ধর্মবোধ, নীতিবোধ, জাতীয়তাবোধ, চরিত্রগঠন প্রভৃতির বিকাশে ডন সোসাইটি চেষ্টা চালায়। ১৯০৫ খ্রিস্টাব্দে (৫ নভেম্বর) সোসাইটির উদ্যোগে আয়োজিত বিরাট জনসভায় জাতীয় শিক্ষার পক্ষে উদ্যোগ নেওয়া হয়। এটি ১৯০৬ খ্রিস্টাব্দে ন্যাশনাল কাউন্সিল অব এডুকেশনের সঙ্গে মিশে গিয়ে জাতীয় শিক্ষাকে আরও সমৃদ্ধ করে।

২৩. হালি প্রথা কাকে বলে?

• গুজরাটের সুরাট জেলার বারদৌলি তালুকে নিম্নবর্ণের 'কালিপরাজ' সম্প্রদায়ভুক্ত কৃষকরা উচ্চবর্ণের 'উজলিপরাজ' সম্প্রদায়ের মালিকদের জমিতে বংশানুক্রমে শ্রমিকের কাজ করত। উচ্চবর্ণের অধীনে নিম্নবর্ণের মানুষের বংশানুক্রমে এই কাজের প্রথাটি 'হালি প্রথা' নামে পরিচিত।

• গুজরাটের সুরাট জেলার বারদৌলি তালুকে হালি প্রথা চালু ছিল।

২৪. বখস্ত আন্দোলন কোথায় এবং কী জন্য হয়েছিল?

• 'বখস্ত' আন্দোলন কারিয়ানন্দ শর্মার নেতৃত্বে ১৯৩৬-৩৮ খ্রিস্টাব্দে বিহারের বারহিয়া তাল, রিওরা, মাজিওয়ানা, আমওয়ারি প্রভৃতি অঞ্চলে হয়েছিল। জমিদারের হাতে কৃষকের বাধা পড়ে থাকা জমিকে 'বখস্ত' জমি বলা হয়। জমিদারের হাত থেকে এই জমি ফিরে পাওয়ার দাবিতে 'বখস্ত' আন্দোলন গড়ে উঠেছিল।

২৫. নিখিল ভারত ট্রেড ইউনিয়ন কংগ্রেস কী উদ্দেশ্যে প্রতিষ্ঠিত হয়?

• নিখিল ভারত ট্রেড ইউনিয়ন কংগ্রেস প্রতিষ্ঠার প্রধান উদ্দেশ্যগুলি ছিল-[1] আন্তর্জাতিক শ্রমিক সংগঠনে ভারতীয় সংগটনের সদস্যপদ গ্রহণ করা, [2] ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদ-বিরোধী আন্দোলনের মধ্যেই সংগঠিত শ্রমিক আন্দোলন গড়ে তোলা। [3] শ্রমিকদের ন্যায্য দাবিদাওয়া আদায় করা প্রভৃতি।

২৬. ভগিনী সেনা কী?

• ভারত ছাড়ো আন্দোলনের সময় মেদিনীপুর জেলায় গঠিত তাম্রলিপ্ত জাতীয় সরকারের অধীনে মহিলা স্বেচ্ছাসেবকদের নিয়ে একটি বাহিনী গড়ে ওঠে যা ভগিনী সেনা নামে পরিচিত।

২৭. কার্লাইল সার্কুলার' কী?

• ১৯০৫ খ্রিস্টাব্দে স্বদেশি ও বয়কট আন্দোলনে ছাত্রসমাজ সক্রিয়ভাবে ঝাঁপিয়ে পড়লে ছাত্র আন্দোলন দমনের জন্য বাংলা সরকারের মুখ্যসচিব কার্লাইল একটি দমনমূলক সার্কুলার বা ঘোষণা জারি করেন। এটি কার্লাইল সার্কুলার নামে পরিচিত। এই সার্কুলারের দ্বারা ছাত্রদের আন্দোলনে অংশগ্রহণ, 'বন্দেমাতরম' ধ্বনি প্রভৃতি নিষিদ্ধ হয়।