Sunday, January 21, 2024

ট্রুম্যান নীতি ও ভারত ছাড়ো

 7. ট্রুম্যান নীতি কী ? মার্শাল পরিকল্পনার উদ্দেশ্যগুলি কী ছিল ? 4 + 4 

ট্রুম্যান নীতি : গ্রিস , তুরস্ক ও ইরানে রুশ অনুপ্রবেশের আশঙ্কা দেখা দিলে ওই দেশগুলিকে রুশ প্রভাব থেকে মুক্ত করার উদ্দেশ্যে মার্কিন রাষ্ট্রপতি ট্রুম্যান গ্রিস ও তুরস্কসহ বিশ্বের যে - কোনো দেশে রুশ আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সামরিক ও আর্থিক সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দেন । এই ঘোষণা ' টুম্যান নীতি ' নামে পরিচিত ছিল । 

 সোভিয়েত বিরোধিতা : প্রেসিডেন্ট রুজভেন্টের উত্তরসূরি ছিলেন ট্রুম্যান রুজভেল্ট সোভিয়েত রাশিয়ার সাঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে চাইলেও ট্রুম্যান রুজভেল্টের উত্তরসূরি হয়েও সোভিয়েত রাশিয়ার সঙ্গে তাঁর বিরোধিতা করতে থাকেন । তিনি সোভিয়েত পররাষ্ট্রমন্ত্রী মলোটভকে তাঁর ভাষায় ভর্ৎসনা করেন । তাই মলোটভ বলেছিলেন । যে , এই ধরনের ভৎসনা তিনি সারা জীবনে পাননি । 

ফুলটন বক্তৃতা চার্চিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মিসৌরি প্রদেশের ফুলটনের ওয়েস্ট মিনিস্টার কলেজে এক বক্তৃতায় বলেন যে সাম্যবাদ মানবসভ্যতার কাছে চ্যালের স্বরূপ । তাই সোভিয়েত আগ্রাসী নীতিকে রুখতে ইন্দো - মার্কিন যৌথ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে । 

 ট্রুম্যান নীতির লক্ষ্য 1947 খ্রিস্টাব্দে 12 মার্চ মার্কিন কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে ' ট্রুম্যান নীতি ' ঘোষিত হয় । ট্রুম্যান তাঁর ভাষণে বলেন , যে সকল দেশ সশস্ত্র সংখ্যালঘিষ্ঠ অথবা বাহ্যিক শক্তির আধিপত্য স্থাপনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে আমেরিকার কর্তব্য সেই সকল জনগোষ্ঠীর প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়া । 

সমালোচনা ডি . এফ . ফ্রেমিং টুম্যান নীতির তীব্র সমালোচনা করেছেন । তিনি এটিকে Effective Dec Jaration of War ' বলেছেন । ট্রুম্যান ঘোষণার ফলে এমন ধারার সৃষ্টি হয়েছিল যে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে ' চাপ ' এবং পাল্টা চাপ ' ছাড়া কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ সম্ভব হবে না এই নীতির যারা সমালোচনা করেছেন তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন জোসেফ জোনস , ওয়াল্টার লিপম্যান প্রমুখ ।

 মার্শাল পরিকল্পনার উদ্দেশ্য জন মার্শাল 1947 খ্রিস্টাব্দের জুন মাসে ইউরোপের অর্থনৈতিক পুনরুজ্জীবন সম্পর্কে মার্কিন নীতি ব্যাখ্যা করেন । তাই তার নাম অনুসারে এটি মার্শাল পরিকল্পনা নামে পরিচিত । কতকগুলি উদ্দেশ্য সাধনের জন্য মার্শাল পরিকল্পনা প্রয়োগ করা হয়েছিল , এগুলি হল-

 ( 1 ) যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত ইউরোপীয় রাষ্ট্রগুলির অর্থনৈতিক উন্নয়ন ঘটানো , যাতে তারা সোভিয়েত রাশিয়ার প্রভাবাধীন । না হয়ে পড়ে ।

 ( 2 ) সাহায্যপ্রাপ্ত ইউরোপীয় রাষ্ট্রগুলিকে সাহায্যদানকারী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রাধান্য সুনিশ্চিত করা।

 ( 3 ) সাহায্যপ্রাপ্ত ইউরোপীয় দেশগুলি নিয়ে একটি রাষ্ট্রজোট গঠন করা , যার মাধ্যমে সোভিয়েত রাষ্ট্রের আগ্রাসী মনোভাবকে প্রতিরোধ করা যায় । 

( 4 ) পশ্চিম ইউরোপীয় দেশগুলির অর্থনৈতিক পুনরুজ্জীবন ঘটিয়ে আমেরিকার বাণিজ্যিক স্বার্থপূরণের উপযুক্ত বাজার গড়ে তোলা । পরিশেষে বলা যায় যে , মার্শাল পরিকল্পনার প্রকৃত উদ্দেশ্য ছিল দয়া দেখিয়ে সাম্যবাদের ভিত্তি ধ্বংস করা ।

1942 সালের ভারতছাড়ো আন্দোলন সম্পর্কে নিবন্ধ লেখো । অথবা , ভারতছাড়ো আন্দোলনের প্রেক্ষাপট আলোচনা করো । 

উত্তর সূচনা : জাতীয় সংগ্রামের ইতিহাসে সর্বশেষ ও সর্বভারতীয় আন্দোলন ' ছিল । 1942 - এর ভারত ছাড়ো আন্দোলন বা আগস্ট আন্দোলন । গান্ধিজি পরিচালিত এই আন্দোলন ছিল সর্বাপেক্ষা ব্যাপক ও ঐতিহাসিকভাবে তাৎপর্যপূর্ণ । 

প্রস্তাব গ্রহণ : দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালীন অশান্ত ভারতীয় রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে 1942 খ্রিস্টাব্দে কংগ্রেসের কার্যনির্বাহী সমিতির অধিবেশনে ' ভারত ছাড়ো ' প্রস্তাবে বলা হয় যে শুধু ভারতের মঙ্গলের জন্যই নয় , ফ্যাসিবাদ , নাৎসিবাদ ও সাম্রাজ্যবাদের অবসান এবং বিশ্বের নিরাপত্তার জন্যও ভারতে ব্রিটিশ শাসনের অবসান একান্ত জরুরি । এই প্রসঙ্গে গান্ধিজি ঘোষ করেন করেছেন করেঙ্গে ইয়া মরেঙ্গে ।

 • ভারত ছাড়ো আন্দোলনের সূচনা : 1942 খ্রিস্টাব্দের ৪ আগস্ট রাতে বোম্বাইয়ে অনুষ্ঠিত নিখিল ভারত কংগ্রেস সমিতির অধিবেশনে বিপুল ভোটে ভারতছাড়ো প্রস্তাব পাশ হয় । ঘোষণা করা হয় 9 আগস্ট থেকে সারাভারতে ভারতছাড়ো আন্দোলন শুরু হবে এবং ইংরেজ ভারত ছাড়া পর্যন্ত এই আন্দোলন চলবে । কিন্তু ৪ আগস্ট মধ্যরাতে গান্ধিজি , জওহরলাল , প্যাটেল , জে বি কৃপালনি সহ শীর্ষনেতাদের ব্রিটিশ পুলিশ গ্রেপ্তার করলে পরদিন সকালে সারাভারত গণবিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে । 

ভারতছাড়ো আন্দোলনের বিস্তার : কোনো শীর্ষনেতা ছাড়াই জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে এই আন্দোলনে অংশগ্রহণ করে । 

প্রথমত , বাংলার মেদিনীপুর জেলার তমলুক ও কাঁথি মহকুমায় এই আন্দোলন সবথেকে তর আকার ধারণ করে । তমলুকে তাম্রলিপ্ত জাতীয় সরকার গড়ে ওঠে । এছাড়াও কলকাতা , ঢাকা , হুগলি সহ বাংলার বিভিন্ন স্থানে এই আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে ।

 দ্বিতীয়ত , বিহারের মুঙ্গের ভাগলপুর , মুজাফ্ফরপুর , যুক্তপ্রদেশের আজমগড় , জৌনপুর , গোরক্ষপুর প্রভৃতি জেলায় গান্ধিজির “ করেঙ্গে ইয়ে মরেঙ্গে ” ধ্বনি জনগণকে স্বাধীনতালাভে ব্যাকুল করে । 

তৃতীয়ত , বোম্বাই আমেদাবাদ , পুনা প্রভৃতি অঞ্চলে এই আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে পানি কটক , বেনারস প্রভৃতি স্থানে আন্দোলনকারীরা যোগাযোগ ব্যবস্থাকে বিচ্ছিন্ন করে দেয় । 

আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ : ভারতছাড়ো আন্দোলনে গান্ধিজির ডাকে যাঁরা দক্ষতার সঙ্গে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন জয়প্রকাশ নারায়ণ , অরুণা আস আলি , সুচেতা কৃপালনি , অজয় মুখার্জি সুশীল ধাড়া প্রমুখ । এছাড়াও আসামের 13 বছরের স্কুলছাত্রী কনকলতা বড়ুয়া ও মেদিনীপুরের তমলুকের 73 বছরের বৃদ্ধা মাতঙ্গিনি হাজরা ছিলেন । উল্লেখযোগ্য ।

ব্যর্থতার কারন :- 

উপযুক্ত নেতৃত্বের অনুপস্থিতি : ভারত ছাড়ো আন্দোলন গান্ধিজির একক নেতৃত্বের উপর নির্ভরশীল ছিল । কিন্তু আন্দোলন শুরু হওয়ার পরই গান্ধিজি সহ কংগ্রেস শীর্ষ নেতাদের কারারুদ্ধ করা হয়েছিল । গান্ধিজির অবর্তমানে আন্দোলনকে টেনে নিয়ে যাওয়ার মতো ব্যক্তিত্ব সেসময় দেশে ছিল না ।

 তাঁর দমন নীতি । এই আন্দোলন দমনের জন্য ব্রিটিশ সরকার তীব্র দমননীতি অনুসরণ করেছিল । দৈহিক নির্যাতন , গ্রেফতার , ঘর পুড়িয়ে দেওয়া , গুলি চালানো কোনো কিছুই বাদ দেওয়া হয়নি । 

অন্যান্য দলের বিরোধিতা : কমিউনিস্ট দল ভারত ছাড়ো আন্দোলন মেনে নেয়নি । আন্দোলন থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে তারা ব্রিটিশকে মদত দেয় । মুসলিম লিগ - সহ অন্য দলগুলিও কংগ্রেসের সঙ্গে সহযোগিতা করেনি 

অ সময়ে সূচনা 1939 খ্রিস্টাব্দে সুভাষচন্দ্র জাতীয় কংগ্রেসের সভাপতি থাকাকালীন এই আন্দোলন শুরু করার পক্ষপাতী ছিলেন । আর গান্ধিজি আন্দোলনের ডাক দেন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শেষ পর্বে । সেসময় ইংল্যান্ড যুদ্ধে সুবিধাজনক অবস্থায় ছিল ।

মর্লে- মিন্টো সংস্কার ও নৌবিদ্রোহর

 5.  1909 খ্রিস্টাব্দের মর্লে- মিন্টো সংস্কার আইনের সমালোচনামূলক আলোচনা করো । 

ভারত সচিব জন মর্লে এবং বড়োলাট মিন্টো কংগ্রেসের নরমপন্থী গোষ্ঠীকে সন্তুষ্ট করতে এবং  নরমপন্থী ও চরমপন্থীদের মধ্যে বিবাদ দীর্ঘস্থায়ী করতে চেষ্টা করেন।  পাশাপাশি  কংগ্রেসবিরোধী রাজনৈতিক দল মুসলিম লিগকে খুশি করার জন্য 1908 খ্রিস্টাব্দের 1 অক্টোবর ভারতের শাসন সংস্কারের উদ্দেশ্যে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে একটি খসড়া আইন পেশ করেন । 1909 খ্রিস্টাব্দে এটি আইনের রূপ পায় , যা কাউন্সিল আইন বা মর্লে-মিন্টো শাসন সংস্কার আইন ( 1909 ) নামে পরিচিত হয় । 

■ আইনের বিভিন্ন দিক : মলে - মিন্টো সংস্কার আইনের দুটি প্রধান দিক– কার্যনির্বাহক পরিষদ ও আইন পরিষদ ।

● কার্যনির্বাহক পরিষদঃ-  কেন্দ্র ও বিভিন্ন প্রদেশে কার্যনির্বাহক পরিষদ গঠনের লক্ষ্যে কয়েকটি পদক্ষেপ নেওয়া হয়— 

i) বড়োলাটের কার্যনির্বাহক পরিষদে এই প্রথম একজন ভারতীয় সদস্য নিযুক্ত হয় এবং প্রথম ভারতীয় সদস্য হিসেবে নিযুক্ত হন সত্যেন্দ্র প্রসন্ন সিংহ । 

ii)বোম্বাই ও মাদ্রাজের কার্যনির্বাহক পরিষদের সদস্য সংখ্যা বৃদ্ধি করে 2 থেকে 4 করা হয় । 

iii) বাংলার ছোটোলাটের জন্য তৈরি হয় একটি কার্যনির্বাহক পরিষদ ।

● আইন পরিষদ : মর্লে - মিন্টো আইন দ্বারা কেন্দ্র ও প্রদেশে আইন পরিষদ গঠন ও ক্ষমতা বিষয়ে কয়েকটি পদক্ষেপ নেওয়া হয় । 

i)  কেন্দ্রীয় আইন পরিষদের সংখ্যা বৃদ্ধি করে 16 থেকে 60 করা হয় । 

ii ) প্রাদেশিক আইন সভার সদস্য সংখ্যা বৃদ্ধি করে 50 জনের মধ্যে রাখা হয় ।

iii)  কেন্দ্রীয় ও প্রাদেশিক আইন পরিষদগুলি বাজেট তৈরি , বাজেট পাস , বাজেট সম্পর্কে আলোচনা ও ভোটদানের অধিকার পায় ।

iv ) আইন পরিষদ দেশের সার্বিক পরিস্থিতি সম্পর্কে আলোচনা ও সুপারিশ করার ক্ষমতা পায় ।

v)  মুসলিম সম্প্রদায়কে পৃথকভাবে সদস্য নির্বাচনের অধিকার দেয় ।

vi )  গভর্নর জেনারেল ও প্রাদেশিক গভর্নরগণ তাদের অপছন্দের যে - কোনো সদস্যকে আইনসভা থেকে অপসারণের অধিকায় পায় ।

● আইনের ত্রুটি:-

a)  এই শাসনসংস্কার আইন দ্বারা কেন্দ্র কিংবা প্রদেশে কোনো দায়িত্বশীল শাসনব্যকথা গড়ে ওঠেনি । 

b) এই আইনের দ্বারা নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের কোনো ক্ষমতা বা মতামতের গুরুত্ব ছিল না ।

c )  দেশীয় রাজ্য , সামরিক বিভাগ , বৈদেশিক নীতি প্রভৃতি বিষয়ে কোনো প্রস্তাব আনার অধিকার আইনসভার ছিল না ।

d )  এই আইনানুসারে গভর্নর জেনারেলই ছিলেন সর্বোচ্চ ক্ষমতার অধিকারী । আইনসভার যে - কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ , বাতিল করার অধিকারী ছিলেন তিনি । 

e ) এই আইনে মুসলিমদের জন্য পৃথক নির্বাচকমণ্ডলী গঠনের কথা বলা হয়েছিল , যা ভারতীয় জাতীয়তাবাদে আঘাত হানে । 

f ) এই আইনের দ্বারা কংগ্রেসের চরমপন্থী গোষ্ঠীকে জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন করার উদ্যোগ নেওয়া হয় , অন্যদিকে নরমপন্থীদেরও আশা - আকাঙ্ক্ষা পূরণ করা হয়নি । 

● গুরুত্ব:-  এই আইন ভারতের শাসনব্যবস্থা ও রাজনীতির উপর গভীর প্রভাব ফেলেছিল । এই আইনের দ্বারাই প্রথম কেন্দ্রীয় ও প্রাদেশিক আইনসভাগুলিতে বেসরকারি সদস্য সংখ্যা বৃদ্ধি করা হয় । এই আইনের দ্বারা বড়োলাটের শাসন পরিষদে একজন ভারতীয় সদস্য গ্রহণ করে সরকারি প্রশাসনে ভারতীয়দের যুক্ত করার ব্যবস্থা করা হয় ।  এই সংস্কার আইন ভারতে সাংবিধানিক রীতিনীতি প্রচলন ও আইনের শাসনের ভিত্তি প্রতিষ্ঠা করে ।

6. Ans নৌবিদ্রোহের কারণ ও গুরুত্ব লেখো । 

ভূমিকা : দ্বিতীয় বিশযুদ্ধের পরবর্তীকালে ভারতে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ জাতীয়  অভ্যুত্থান ছিল রয়্যাল ইন্ডিয় নেভির ধর্মঘট যা নৌবিদ্রোহ নামে ভারত ইতিহাসে খ্যাত । সুমিত সরকার লিখেছেন " ব্রিটিশদের সবচেয়ে  বড়ো ত্রাস অবশ্যই ছিল 1946 খ্রিস্টাব্দের নৌবিদ্রোহ ।

●  নৌবিদ্রোহের কারণ :-  1946 খ্রিস্টাব্দে বোম্বাইয়ের ভারতীয় নৌবাহিনীতে ব্যাপকভাবে  বিদ্রোহ ঘটেছিল তার পিছনে একাধিক কারণ দায়ী ছিল । যথা—

A)  খাদ্যগত বৈষম্য : ভারতীয় নাবিকদের নিকৃষ্টমানের খাদ্য সরবরাহ করা হত । কিন্তু ইংরেজ সেনারা উচ্চমানের খাদ্য পেত । ফলে ভারতীয় নৌসেনা , কর্মী এবং অফিসারদের মধ্যে বিক্ষোভ দানা বাধে।

 B) জাভিগত বিদ্বেষ:- ইংরেজ নাবিক ও নৌ - অফিসাররা ভারতীয় নাবিক ও নৌ - অফিসারদের যথেষ্ঠ ঘৃনার চোখে দেখত । এ ছাড়া ভারতীয় নাবিকদের সঙ্গে অপমানজনক ব্যবহারও করা হত । ফলে ভারত নাবিক ও সেনারা ইংরেজদের প্রতি প্রতিশোধপরায়ণ হয়ে ওঠে ।

C) ব্রিটিশ অফিসারদের খারাপ ব্যবহার : নৌসেনাবাহিনীতে জাতিগত বিদ্বেষের কারণে ইংরেজ নৌঅফিসাররা ভারতীয় নৌসেনাদের অকারণে গালিগালাজ , অপমান ও তাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করত । এই বৈষম্যমূলক আচরণ ভারতীয় নৌসেনাদের মনে অসন্তোষের জন্ম দেয়।

D ) বেতন বৈষম্য : সমযোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও ভারতীয় নৌসেনাদের কখনোই ব্রিটিশ নৌসেনাদের সমপরিমাণ বেতন দেওয়া হতো না । ব্রিটিশ সরকারের এই বেতন বৈষম্য ভারতীয় নৌসেনাদের মনে ক্ষোভের সঞ্চার করেছিল । 

E ) পদোন্নতি না করানো : নৌবাহিনীতে ভারতীয় নৌসেনাদের পদোন্নতির কোনো সুযোগ ছিল না । এমনকী চাকরির মেয়াদ শেষ হলেও পুনর্বাসনের কোনো ব্যবস্থা ছিল না । 

F ) আজাদ হিন্দ সেনাদের বিচার : ভারতের স্বাধীনতার জন্য নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর নেতৃত্বে আজাদ হিন্দ ফৌজের বীরত্বপূর্ণ সংগ্রাম ভারতীয় নৌসেনাদের খুবই অনুপ্রাণিত করেছিল । এবং তাদের বিদ্রোহের পথে পা বাড়াতে উদ্বুদ্ধ করে । আজাদ হিন্দ বাহিনীর আত্মত্যাগ এবং ভারতের স্বাধীনতার জন্য এই বাহিনীর সংগ্রাম নৌসেনাদের নতুন দিশা দেখায় ।

বিদ্রোহের প্রসার : ভারতীয় নৌবাহিনীর মধ্যে উপারার কারণে বিদ্রোহের পটভূমি তৈরি হয়েছিল । 1946 খ্রিস্টাব্দের ১৪ ফেব্রুয়ারি বোম্বাইয়ে তলোয়ার জাহাজে ভারতীয় নৌসেনাগণ বিদ্রোহের প্রত্যক্ষ সূচনা ঘটায় । কিছুদিনের মধ্যেই এই বিদ্রোহ  কলকাতা , করাচি , কোচিন , মাদ্রাজ প্রভৃতি স্থানেও ছড়িয়ে পড়ে । ভারতীয় নৌসেনিওরা বিদ্রোহটি পরিচালিত করার জন্য ' কেন্দ্রীয় ধর্মঘট কমিটি ' গড়ে তোলে ।

গুরুত্ব :- নৌবিদ্রোহ শেষ পর্যন্ত ব্যর্থ হয়েছিল ঠিকই , তার এই বিদ্রোহের গুরুত্ব ছিল অপরিসীম ।

এই বিদ্রোহের ফলে ইংরেজরা বুঝতে পেরেছিল যে শুধু সাধারণ মানুষ নয় ভারতীয় নৌসেনারাও তাদের চরম শত্রুতে পরিণত হয়েছে । 

এই বিদ্রোহের ফলে ভারতীয় স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে নতুন অধ্যায়ের সূচনা হয় । এই বিদ্রোহে হিন্দু - মুসলিম ঐক্য স্থাপিত হয়েছিল ।

এই বিদ্রোহের ফলে ভারতীয় নৌসেনা ও সাধারণ মানুষদের মধ্যে ব্যবধান হ্রাস পায় এবং তারা একত্রে ব্রিটিশ বিরোধী বিদ্রোহে যোগদান করে । 

জাতীয় কংগ্রেস ও মুসলিম লিগ উভয় শীর্ষগানীয় রাজনৈতিক দলই এই বিদ্রোহের বিরোধিতা করেছিল । কেবলমাত্র ভারতীয় কমিউনিস্ট দলের থেকেই বিদ্রোহীরা সমর্থন পেয়েছিল । শীর্ষস্থানীয় দলগুলি জাতীয় আন্দোলনের প্রসারের তুলনায় রাজনৈতিক ক্ষমতা দখলের ক্ষেত্রেই অধিক মনোযোগী ছিল ।

ভূমিরাজস্ব ও নবজাগরন

 3. ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির আমলে ভারতের ভূমিরাজস্ব ব্যবস্থার সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও । 

উত্তর:- 1765 খ্রিস্টাব্দে দেওয়ানি লাভের পর বাংলার গভর্নর লর্ডক্লাইভ পূর্বতন মুঘল আমলের ভূমিরাজস্ব ব্যবস্থা বজায় রাখেন । পরবর্তীকালে ওয়ারেন হেস্টিংস বাংলার গভর্নর - জেনারেল নিযুক্ত হয়ে ভারতের ভূমিরাজস্ব ব্যবস্থা সম্পর্কে বিভিন্ন পরীক্ষানিরীক্ষা চালিয়ে , রাজস্ব আদায়ের ভার কোম্পানির হাতে তুলে দেন । 

■ কোম্পানির আমলে ভারতের বিভিন্ন ভূমিরাজস্ব ব্যবস্থা :- 

● পাঁচসালা বন্দোবস্ত :- 1772 খ্রিস্টাব্দে বাংলার গভর্নর থাকার সময় হেস্টিংস তাঁর কাউন্সিলের চারজন সদস্যকে নিয়ে একটি ভ্রাম্যমাণ কমিটি গঠন করেন । এই কমিটির দায়িত্ব ছিল জমির ইজারাদার নিয়োগের । সর্বাধিক রাজস্ব প্রদানে সম্মত ইজারাদারকে পরবর্তী পাঁচ বছরের জন্য জমি ইজারার দায়িত্ব দেওয়া হত । সর্বাধিক রাজস্ব দিতে ব্যর্থ ইজারাদারের কাছ থেকে জমি কেড়েও নেওয়া হত । পাঁচ বছরের জন্য বলবৎ এই ব্যবস্থাটিকে পাঁচসালা বন্দোবস্ত বলা হত । 1772 থেকে 1777 খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত এই ব্যবস্থা কার্যকর থাকে । এই ভূমি বন্দোবস্তের উল্লেখযোগ্য দিকগুলি হল— 

কালেক্টর নিয়োগ:-  পূর্বে ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির রাজস্ব সংক্রান্ত সমস্ত ব্যাপার দেখাশোনা করত সুপারভাইজার নামক এক শ্রেণির কর্মচারী হেস্টিংস ওই কর্মচারীদের নতুন নামকরণ করেন কালেক্টর কালেক্টরদের নির্দিষ্ট কতগুলি দায়িত্ব পালন করতে হত । 

রাজস্ব বোর্ড ( Board of Revenue ) গঠন :- ভ্রাম্যমাণ কমিটি ক্ষমতার অপব্যবহার করে দুর্নীতিগ্রস্ত হয়ে পড়ে ফলশ্রুতিস্বরূপ হেস্টিংস এই কমিটিকে বাধ্য হয়ে বাতিল করেন সঠিকভাবে রাজস্ব সংগ্রহ করার জন্য 1773 খ্রিস্টাব্দে তিনি একটি রাজস্ব বোর্ড ( Board of Revenue ) গঠন করেন । 

আমিনি কমিশন গঠন : রাজস্বের ব্যাপারে সঠিক তথ্যসংগ্রহ করার উদ্দেশ্যে হেস্টিংস 1776 খ্রিস্টাব্দে আমিনি কমিশন গঠন করেন । 

● একসালা বন্দোবস্ত :-  পাঁচসালা বন্দোবস্তে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেওয়ায় হেস্টিংস 1777 খ্রিস্টাব্দে এটি বাতিল করে দেন । পরিবর্তে এক বছরের জন্য জমি বন্দোবস্ত দেওয়ার ব্যবস্থা চালু করেন । নতুন এই জমি বন্দোবস্ত প্রথাটি পরিচিত হয় একসালা বন্দোবস্ত নামে । 1277 খ্রিস্টাব্দে চালু হওয়া ব্যবস্থাটি 1779 খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত বলবৎ থাকে । এই জমি বন্দোবস্তের কয়েকটি উল্লেখযোগ্য ইতিবাচক দিক হল— একসালা বন্দোবস্তে কোনো জমিদার যদি রাজস্ব বাকি রাখতেন তাহলে সেই পরিমাণ রাজস্ব আদায়ের উপায় নির্দিষ্ট থাকত । সেক্ষেত্রে এই জমিদারের জমিদারির একাংশ বিক্রি করে তাকে রাজস্ব প্রদান করতে হয় এই ব্যবস্থায় নির্দিষ্ট জমির অধিকারী হতেন পুরোনো জমিদাররাই । 

●  দশসালা বন্দোবস্ত:-  জন শোরের বক্তব্যে আকৃষ্ট হয়ে কর্নওয়ালিশ 1789 খ্রিস্টাব্দে বাংলা ও বিহারে এবং  উড়িষ্যায় দশ বছরের জন্য জমি দেওয়ার প্রথা চালু করেন , যা দশসালা বন্দোবস্তা নামে পরিচিত হয় । এই ব্যবস্থা প্রবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে তিনি ঘোষণা করেন যে ব্রিটেনের পরিচালক সত্তা অনুমোদন দিলে এই দশ বছর মেয়াদি বন্দোবস্তকে চিরস্থায়ী করা হবে ।

● চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত :- 1794 খ্রিস্টাব্দে বাংলা , বিহার ওড়িশায় লর্ডকর্নওয়ালিস  চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত চালু করেন।চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের ফলাফল সম্পর্কে ঐতিহাসিকরা ভিন্ন ভিন্ন মত প্রকাশ করেছেন । মার্শম্যান এর মতো অনেকে এই ব্যবস্থার সাফল্যের কথাও বলেছেন । অপরদিকে হোমস - এর মতো কোনো কোনো ঐতিহাসিক এই ভূমি বন্দোবস্তের বেশকিছু ত্রুটি তুলে ধরেছেন । 

● সুফল : চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত ভারতের সামাজিক ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে যথেষ্ট ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছিল । এর সুফলগুলি হল— 

(A) এই ভূমি বন্দোবস্তের ফলে কৃষির উন্নতি ঘটে এবং কৃষিযোগ্য জমির পরিমাণও বৃদ্ধি পায় । 

(B)  চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের ফলে সরকারের বার্ষিক আয় সুনির্দিষ্ট হওয়ায় বাজেট প্রস্তুতিতে সুবিধা হয় । 

(C) জমিদাররা নির্দিষ্ট খাজনা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে দিয়ে বংশানুক্রমিকভাবে জমি ভোগ করার অধিকার পান । 

(D) এর ফলে নতুন জমিদার শ্রেণির উত্থান ঘটে , যারা ব্রিটিশ সরকারের বিশেষ সমর্থকে পরিণত হয় ।

● কুফল :-চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের ফল অপেক্ষা ফল ছিল অনেক বেশি । সেগুলি হল-- 

(A) জমির গুণাগুণ বিচার করে যে রাজস্ব ধার্য করা হত তার পরিমাণ ছিল অনেক বেশি । 

(B ) সূর্যাস্ত আইন অনুযায়ী জমিদাররা নির্দিষ্ট দিনে রাজস্ব জমা না দিলে তাদের জমিদারি হারাতে হত । 

(C ) অতিরিক্ত রাজস্বের চাপে কৃষকরা মহাজনদের কাছে সুদে টাকা  নিতে বাধ্য হত । এভাবেই গরিব কৃষকরা ঋণের জালে জড়িয়ে পড়ে । 

(D ) চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের অন্যতম প্রধান কুফল  হল পাত্তনি প্রথা এবং পাত্তনিদার নামক এক মধ্যস্বত্বভোগী শ্রেণির উদ্ভব । 

● রায়তওয়ারি বন্দোবস্ত :- দক্ষিণ ও দক্ষিণ - পশ্চিম ভারতের বেশকিছু অঞ্চলে ইংরেজ কোম্পানির শাসন । প্রতিষ্ঠিত হলে সেখানকার ভূমিবন্দোবস্তু সম্পর্কে নতুন করে চিন্তাভাবনা শুরু হয় যার ফলস্বরূপ 1820 খ্রিস্টাব্দে স্থানীয় প্রশাসক আলেকজান্ডার রিড এবং স্যার টমাস মনরো রায়তওয়ারি বন্দোবস্ত প্রবর্তন করেন ।

এই ব্যবস্থায় রায়তদের জমির ওপর স্থায়ী অধিকার থাকত না । দীর্ঘমেয়াদি শর্তে তারা 20-30 বছরের জন্য জমি ভোগদখলের অধিকার পেত । রায়তওয়ারি ব্যবস্থার অন্যতম বৈশিষ্ট্যগুলি হল— রায়তওয়ারি ব্যবস্থায় কৃষিযোগ্য জমিগুলিকে প্রথমে জরিপের ব্যবস্থা করা হত । তারপর সেগুলিকে উৎপাদন ক্ষমতা ও উর্বরতা অনুযায়ী এটি শ্রেণিতে বিভক্ত করে কৃষকাদের মধ্যে বণ্টন করা হত ।

● মহলওয়ারি বন্দোবস্ত:- 1822 খ্রিস্টাব্দে গাঙ্গেয় উপত্যকা , উত্তর - পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশ এবং মধ্যভারতের বেশকিছু অঞ্চলে মহলওয়ারি বন্দোবস্ত চালু হয়েছিল । নতলওয়ারি ব্যবস্থায় কয়েকটি গ্রাম নিয়ে তৈরি হওয়া মহল বা তালুকের ওপর রাজস্ব নির্ধারিত হত । এক্ষেত্রেও জমি বন্দোবস্ত দেওয়া হত 20-30 বছরের জন্য । এই বন্দোবস্তের প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলি হল— ইজারা প্রদান নির্দিষ্ট রাজস্ব প্রদানের শর্তে এক বা একাধিক ব্যক্তিকে সরকার কোনো নির্দিষ্ট মহল বা অঞ্চলের ইজারা দিত । ইজারা প্রাপক গ্রামের প্রধান বা মহলের কৃষকদের থেকে রাজস্ব আদায় করে সরকারকে দিত ।

এ ছাড়াও কোম্পানি নানা ধরনের ভূমিরাজস্ব ব্যবস্থা প্রবর্তন করে যেমন , ভাইয়াচারি বন্দোবস্ত পাঞ্জাবের কিছু অঞ্চলে চালু করা হয় । পরীক্ষানিরীক্ষা করে , যাতে সর্বোচ্চ রাজস্ব , ভারতের বিপুল চাষি - জমি থেকে জোগাড় করা যায় , সেই লক্ষ্য পূরণে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি তৎপর ছিল।

4. বাংলার নবজাগরণের প্রকৃতি আলোচনা করো । এর সীমাবদ্ধতা কী ছিল ? 

 নবজাগরণ :- উনিশ শতকে পাশ্চাত্য শিক্ষায় শিক্ষিত বাঙালি মধ্যবিত্ত শ্রেণির উদ্যোগে বাংলায় পাশ্চাত্য শিক্ষা ও জ্ঞান- বিজ্ঞানের চর্চা , ধর্মীয় উদারতা , সমাজসংস্কার , আধুনিক সাহিত্যের বিকাশ প্রভৃতি শুরু হয় । ফলে ঊনবিংশ শতকে বাংলার সমাজ- সংস্কৃতিতেও ব্যাপক অগ্রগতি ঘটে । এই অগ্রগতিকে কেউ কেউ উনিশ শতকে বাংলার নবজাগরণ ' বলে অভিহিত করেছেন ।

 নবজাগরণের প্রসার : উনিশ শতকে বাংলার বৌদ্ধিক অগ্রগতি বা নবজাগরণের প্রাণকেন্দ্র ছিল কলকাতা । কলকাতা থেকে এই অগ্রগতির ধারা পরবর্তীকালে বাংলা তথা ভারতের সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে রাজা রামমোহন রায়ের সময়কে এই জাগরণের সূচনাকাল হিসেবে ধরা হয় রামমোহন , বিদ্যাসাগর , কেশবচন্দ্র , দেবেন্দ্রনাথ প্রমুখ এই আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেন ।

বাংলার নবজাগরণের চরিত্র বা প্রকৃতি:-  পঞ্চদশ শতকে সংঘটিত ইউরোপের নবজাগরণের সঙ্গে অনেকে উনিশ শতকে সংঘটিত বাংলার নবজাগরণের তুলনা করেছেন । এর ফলে বাংলার নবজাগরণের চরিত্র বা প্রকৃতি নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে ।

(A ) সীমিত পরিসর :- ঊনিশ শতকের বাংলার নবজাগরণের ব্যাপ্তি বা পরিসর ছিল খুবই সীমিত । তা ছিল মূলত শহরকেন্দ্রিক , বিশেষ করে কলকাতাকেন্দ্রিক । কলকাতার বাইরে গ্রামবাংলায় এই নবজাগরণের প্রসার ঘটেনি এবং গ্রামবাংলার বৃহত্তর জনগোষ্ঠী এই নবজাগরণের কোনো সুফল পায়নি ।

(B ) মধ্যবিত্ত সমাজের মধ্যে সীমাবদ্ধতা :-  বাংলার জাগরণ শুধু পাশ্চাত্য শিক্ষায় শিক্ষিত প্রগতিশীল সমাজে সীমাবদ্ধ ছিল । বিভিন্ন ঐতিহাসিক এই সমাজের লোকেদের মধ্যবিত্ত ভদ্রলোক ' বলে অভিহিত করেছেন এজন্য অধ্যাপক অনিল শীল এই জাগরণকে এলিটিস্ট আন্দোলন বলে অভিহিত করেছেন । 

(C ) ব্রিটিশ নির্ভরতা :- বাংলার এই জাগরণ অতিমাত্রায় ব্রিটিশ - নির্ভর হয়ে পড়েছিল । ব্রিটিশ শাসনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল নবজাগরণের নেতৃবৃন্দ মনে করতেন যে , ব্রিটিশ শাসনের দ্বারাই ভারতীয় সমাজের মঙ্গল সাধিত হবে ।

(D ) হিন্দু জাগরণবাদ:- বাংলার নবজাগরণ প্রকৃতপক্ষে ‘ হিন্দু জাগরণবাদের পর্যবসিত হয় । রাধাকান্ত দেব , মৃত্যুঞ্জয় বিদ্যালঙ্কার প্রমুখের কার্যকলাপে হিন্দু জাগরণবাদের ছায়া দেখতে পাওয়া যায় । আবার , রামমোহন ও বিদ্যাসাগরও হিন্দুশাস্ত্রকে ভিত্তি করেই সমাজ পরিবর্তনের ডাক দিয়েছিলেন । 

● নবজাগরণ মতবাদের বিতর্ক :- 

পহ্মে :- ঐতিহসিক যদুনাথ সরকার , সুশোভন সরকার প্রমুখ উনিশ শতকের অগ্রগতিকে নবজাগরণ ' বলে স্বীকার করে নিয়েছেন ।স্যার যদুনাথ সরকার তার হিস্ট্রি অব বেঙ্গল ' গ্রন্থে উনিশ শতকে বাংলার বৌদ্ধিক অগ্রগতিকে নবজাগরণ ' বলে স্বীকার করে নিয়েছেন ।ঐতিহাসিক যদুনাথ সরকার লিখেছেন , ' ইংরেজদের দেওয়া সবচেয়ে বড়ো উপহার হল আমাদের উনিশ শতকের নবজাগরণ । 

বিপক্ষে :- নবজাগরণ ' অভিধার বিপক্ষে অশোক মিত্র , বিনয় ঘোষ , সুপ্রকাশ রায় , ড . বরুণ দে , ড . সুমিত সরকার প্রমুখ উনিশ শতকে বাংলার বৌশিক অগ্রগতিকে নবজাগরণ ' বলে স্বীকার করেন না । অশোক মিত্র সেন্সাস রিপোর্টে উনিশ শতকে বাংলার নবজাগরণকে ' তথাকথিত নবজাগরণ " বলে অভিহিত করেছেন ।

সীমাবদ্ধতা :

(i )  ইটালির ফ্লোরেন্স নগরী ইউরোপের নবজাগরণে যে ভূমিকা পালন করে বাংলার কলকাতা তা করতে পারেনি ।

(ii) ফ্লোরেন্সের মতো স্বাধীন মানসিকতা ও শিল্পীমন কলকাতার ছিল না । 

(iii) উনিশ শতকে বাংলার নবজাগরণ ছিল মূলত শহরকেন্দ্রিক । কৃষক - শ্রমিকসহ সমাজের একটি বড়ো অংশ এই নবজাগরণের অংশ হতে পারেনি । 

(iv) বাংলার নবজাগরণ ছিল মূলত বর্ণহিন্দুদের । মুসলিম সমাজ এর বাইরে ছিল । 

(v) বাংলার নবজাগরণের প্রবক্তারা বাংলার সমাজকাঠামো , ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান , জাতিভেদ প্রথা প্রভৃতি ক্ষেত্রে পুরোপুরি সাফল্য লাভ করেনি ।

হো - চি - মিন ও কিউবা হ্মেপনাস্ত্র সংকটর

 5. ভিয়েতনামের স্বাধীনতা আন্দোলনে হো - চি - মিনের ভূমিকার মূল্যায়ন করো ।

 Ans দক্ষিণ - পূর্ব এশিয়ার অন্যতম দেশ ইন্দোচিনে উনিশ শতকে যে ফরাসি প্রাধান্যের সূচনা হয়েছিল , দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পর্যন্ত তা অব্যাহত ছিল । 1940 খ্রিস্টাব্দ নাগাদ জাপান দক্ষিণ - পূর্ব এশিয়ায় সাম্রাজ্যবাদ বিস্তার নীতি গ্রহণ করে এবং সমগ্র ইন্দোচিনে সাময়িকভাবে জাপানি আধিপত্য প্রতিষ্ঠিত হয় । এই সময় শ্রমিক ও কৃষকদের ঐক্যবদ্ধ করে ইন্দোচিনে জাতীয়তাবাদী মুক্তিসংগ্রাম শুরু হয় এই সংগ্রামের নেতা ছিলেন কমিউনিস্ট নেতা নগুয়েন আই কুয়োক , যিনি হো - চি - মিন নামে পরিচিত ।

● ভিয়েতনাম :-  আন্নাম , টংকিং ও কোচিন নিয়ে গঠিত ছিল ভিয়েতনাম । 1930 খ্রিস্টাব্দে হো - চি - মিন ভিয়েতনাম ওয়ার্কার্স পার্টি গঠন করেন এবং পরবর্তীকালে এটি ' ভিয়েতনাম কমিউনিস্ট পার্টি ' নামে পরিচিত হয় । 1941 খ্রিস্টাব্দে তিনি ' লিগ ফর দি ইনডিপেন্ডেন্স ইন ভিয়েতনাম ' বা ' ভিয়েতমিন ' গঠন করেন । এছাড়াও তিনি একটি গুপ্ত সংগঠন গড়ে তোলেন । এই সংগঠনের সদস্যরা গেরিলা যুদ্ধে পারদর্শী ছিল ।

●হো - চি - মিনের নেতৃত্ব :-  ইন্দোচিনে ফরাসি সাম্রাজ্যবাদের অবসান ঘটার পরে  জাপানের আবির্ভাবের সুযোগে আন্নাম , কম্বোজ ও লাওসের রাজারা নিজেদের স্বাধীন বলে ঘোষণা করেন ।  ভিয়েতমিন নেতা হো - চি - মিন এই সুযোগে টংকিং - এর সাতটি প্রদেশে নিজ কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করেন এবং হ্যানয় নামক স্থানটিও নিজ অধিকার করেন ।  হো - চি - মিনের নেতৃত্বে এইসব  স্থানে ভিয়েতনাম গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয় ।

● দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধোত্তর পরিস্থিতি:- 1945 খ্রিস্টাব্দে জাপানের আত্মসমর্পণের পর 1945 খ্রিস্টাব্দে পটসডাম সম্মেলনে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে জাপানের অপসারণের পর ইন্দোচিনের 17 অক্ষরেখার উত্তর কুয়োমিনটাং এবং 17 ° অক্ষরেখার দক্ষিণে ব্রিটেন দায়িত্ব গ্রহণ করবে । দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইন্দোচিনে ফ্রান্সের কর্তৃত্ব পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়। অন্যদিকে কুয়োমিনটাং চিন ও উত্তর ইন্দোচিনে হো - চি - মিনের ক্ষমতা দখল করে । 

●যুদ্ধের সূচনা :- ফ্রান্স কেবলমাত্র দক্ষিণ ইন্দোচিন নিয়ে খুশি ছিল না । তার লক্ষ্য ছিল সমগ্র ইন্দোচিনে ফরাসি আধিপত্যের পুন:প্রতিষ্ঠা করা  । অপরদিকে হো - চি - মিনের লক্ষ্য ছিল ভিয়েতনামের স্বাধীনতা অর্জন করা । 1946 খ্রিস্টাকে উভয়পক্ষের মধ্যে চুক্তি হওয়া সত্ত্বেও ইন্দোচিনে ভিয়েতনাম যুদ্ধ শুরু হয় , যা দীর্ঘ আট বছর ধরে চলে । দীর্ঘস্থায়ী এই যুদ্ধে ফ্রান্স ইন্দোচিনের কিছু শহরে নিজ আধিপত্য বজায় রাখতে সক্ষম হলেও গ্রামাঞ্চলে ছিল ভিয়েতমিন বাহিনীর আধিপত্য প্রতিষ্ঠিত হয় ।

●  মার্কিন ভূমিকাঃ- পশ্চিমি শক্তিজোটের পক্ষে ভিয়েতনাম যুদ্ধ ছিল একটি অসমযুদ্ধ । মুষ্টিমের প্রতিক্রিয়াশীল সামন্ত , বণিক সম্প্রদায় ও আমলাগোষ্ঠীই তাদের পক্ষে ছিল । অন্যদিকে ইন্দোচিনের সাধারণ মানুষ ছিল হো - চি - মিনের পক্ষে । শুরুতে আমেরিকা ভিয়েতনাম যুদ্ধে সরাসরি দেয়নি , ফ্রান্সকে মদত দিয়েছে । কিন্তু হো - চি - মিনের আন্দোলনে সাম্যবাদী আন্দোলনের প্রভাব লক্ষ করায় আমেরিকা হস্তক্ষেপ করার নীতি গ্রহণ করে । ফরাসি সেনাপতি নেভারে ভিয়েতমিনদের ধ্বংস করতে দিয়েন বিয়েন - ফু নামে একটি অস্ত্রভাণ্ডার গড়ে তোলে । কিন্তু ভিয়েতমিন সেনাপতি জেনারেল গিয়াপ এক সময়োচিত আক্রমণে ফরাসি বাহিনীর দুর্ভেদ্য ঘাঁটি ছিন্নভিন্ন করে দেয় ।

●ভিয়েতকং :- 1954 খ্রিস্টাব্দের জেনেভা চুক্তির দ্বারা ভিয়েতনাম সমস্যার সমাধান হয়নি । 17 ° উত্তর অক্ষরেখা বরাবর ভিয়েতনামকে দ্বিধাবিভক্ত করে উত্তর ভিয়েতনামে ভিয়েতমিন এবং দক্ষিণ ভিয়েতনামে ন দিন দিয়েম - এর শাসন প্রতিষ্ঠিত হয় । উত্তর ভিয়েতনামে হো - চি - মিনের নেতৃত্বে সুসংবদ্ধ সরকার তৈরি হলেও দক্ষিণ ভিয়েতনামের পরিস্থিতি জটিল হয়ে ওঠে । দিয়েমের স্বৈরাচারী শাসনের বিরুদ্ধে দক্ষিণ ভিয়েতনামে জাতীয় মুক্তি ফ্রন্ট গঠিত হয় । দিয়েম এই ফ্রন্টকে ভিয়েতকং বা ভিয়েতনামি কমিউনিস্ট পার্টি ' আখ্যা দেন । অর্থ ও অস্ত্র দিয়ে উত্তর ভিয়েতনাম তাদের নানাভাবে সাহায্য করে । এইভাবে ভিয়েতনাম ক্রমশ ঐক্যবদ্ধ হয়ে স্বাধীনতার পথে এগিয়ে যেতে থাকে ।

2. কিউবা হ্মেপনাস্ত্র সংকট কী ? এর গুরুত্ব আলোচনা করো ?

উ :- দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরবর্তীকালে ক্যরিবিয়ান সাগরে অবস্থিত পশ্চিম ভারতীয় দ্বীপপুঞ্জে অবস্থিত সর্ববৃহৎ দ্বীপ কিউবায় হ্মেপনাস্ত্র ঘাটি নির্মানকে কেন্দ্র করে সোভিয়েত রাশিয়া ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে যে সংষাত শুরু হয় তা কিউবা হ্মেপনাস্ত্র সংকট নামে পরিচিত। 

● পটভূমি :- আর্থিক দিক থেকে বিচার করলে কিউবা হল একটি মার্কিন উপনিবেশ। কিউবার অর্থনীতি পুরোপুরি আমেরিকার আর্থিক সাহায্য ও বিনিযোগের উপর নির্ভরশীল ছিল। 1959 খ্রি: কিউবায় বাতিস্তা সরকারের পতন ঘটলে ফিদেল কাস্ত্রোর নেতৃত্বে নতুন সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়। পরবর্তীকালে কিউবার অর্থনৈতিক সংস্কারকে কেন্দ্র করে কিউবা ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয় এবং কিউবা ক্রমে সোভিয়েত অনুগত রাষ্ট্রে পরিনত হয়।

● ফিদেল কাস্ত্রোর ভূমিকা:- বাতিস্তা সরকারের জনবিরোধী কাজকর্মের প্রতিবাদে কিউবার তৎকালীন ছাত্রনেতা ফিদেল কাস্ত্রো তীব্র সরকারবিরোধী আন্দোলন গড়ে তোলেন । ক্রমশ জনসমর্থন আদায় করে এক বৈপ্লবিক অভ্যুত্থানের দ্বারা বাতিস্তা সরকারের পতন ঘটিয়ে কাস্ত্রো কিউবার ক্ষমতা দখল করেন। কিউবার রাষ্ট্রপতি কাস্ত্রো এরপর পুঁজিবাদী আমেরিকার দিক থেকে সরে এসে রাশিয়া , চিন ও অন্যান্য সমাজতান্ত্রিক দেশের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলার উদ্যোগ নেন ।

● কাস্ত্রো সরকারের অপসারণে আমেরিকার ভূমিকা : গ্রামেরিকা যুক্তরাষ্ট্র কাস্ত্রোর এরকম কার্যকলাপে অত্যন্ত ক্ষুব্ধ হয়ে নানাভাবে কাস্ত্রো সরকারের পতনের পরিকল্পনা নেয় ।1961 খ্রি: 16 ই এপ্রিল মার্কিন উদ্যোগে 1800 কাস্ত্রো বিরোধী সৈন্য কিউবায় অবতরন করেন। কিন্তু মাত্র দুদিনেই কিউবার সেনাবাহিনী এই আক্রমন প্রতিহত করতে সহ্মম হয়।

● কিউবায় ক্ষেপণাস্ত্র ঘাঁটি গঠন :-কাস্ত্রো সরকার 50 লক্ষ কিউবাবাসীকে রক্ষার জন্য রাশিয়ার সাহায্যে কিউবাতে একটি ক্ষেপণাস্ত্র ঘাঁটি গড়ার সিদ্ধান্ত নেয় ।1982 খ্রিস্টাব্দে সোভিয়েত ইউনিয়ন কিউবায় একটি মাঝারি ধরনের ক্ষেপনাস্ত্র ও 30 টি কেন্ট আণবিক বোমার বিমান সরবরাহ করে । বিদেশের মাটিতে এটিই ছিল সোভিয়েত ইউনিয়নে প্রথম ক্ষেপণাস্ত্র ঘাঁটি ।

●আমেরিকার প্রতিক্রিয়া:-  1962  খ্রিস্টাব্দের অক্টোবর মাসে আমেরিকা তার গুপ্তচর বিমানের তোলা ছবি থেকে জানতে পারে যে , কিউবায় সোভিয়েত ইউনিয়ন একটি ক্ষেপণাস্ত্র ঘাঁটি তৈরি করেছে।  কাজেই এখান থেকে নিক্ষিপ্ত ক্ষেপণাস্ত্র যুক্তরাষ্ট্র - সহ সমস্ত পশ্চিম গোলাধের নিরাপত্তাই ব্যাহত করতে পারে এই আশঙ্কায় আমেরিকা ভীত হয়ে পড়ে।

● কিউবা অবরোধ :- মার্কিন  রাষ্ট্রপতি কোনেডি কিউবায় নৌ - অবরোধের নির্দেশ দেন । 1962 খ্রি: 22 অক্টোবর এক বেতার ঘোষণার মাধ্যমে তিনি বিশ্ববাসীকে সেই অবরোধ সম্পর্কে জানান । প্রতিক্রিয়া স্বরুপ  সোভিয়েত সরকারও যুদ্ধের প্রস্তুতি গ্রহণ করে । এই অবস্থায় শেষ পর্যন্ত জাতিপুঞ্জের মধ্যস্থতায় এই সমস্যার সমাপ্তি ঘটে।

গুরুত্ব:- কিউবা সংকট হ্মনস্থায়ী হলেও এর গুরুত্ব অপরিসীম । যেমন ---

  মানবতাবাদের জয়:-  কিউবা সংকটকে কেন্দ্র করে ভবিষ্যতে আণবিক যুদ্ধ শুরু হতে পারে এমন আশঙ্কা  দেখা দিয়েছিল । তবে সঠিক সময় মার্কিন রাষ্ট্র এবং সোভিয়েত রাশিয়া এর ভয়াবহতা বুঝতে পারে । এই দুই দেশের পক্ষ থেকে যুদ্ধের উদ্যোগ হ্রাস পেলে মানবতাবাদের জয় হয়।

Madhyamik Geo Suggestion 2024

 A. শুদ্ধ অথবা  অশুদ্ধ লেখ:-

1)বায়ুমন্ডলের সবচেয়ে হালকা গ্যাস হল হাইড্রোজেন । --- শুদ্ধ।

2)গঙ্গানদীর নিম্ন প্রবাহে অসংখ্য অশ্বক্ষুরাকৃতি হ্রদ দেখা যায় । --- শুদ্ধ।

3)আপেক্ষিক আর্দ্রতা সর্বাধিক হয় দুপুর বেলা । --- অশুদ্ধ (ভোরবেলা )।

4)খারিফ শষ্য বর্ষাকালে চাষ হয় ।--- শুদ্ধ।

5)পৃথিবীর উষ্ণায়নে CFC এর প্রভাব সবচেয়ে বেশি ।--- অশুদ্ধ(co2)

6)উপগ্রহ চিত্র প্রকৃত ও ছদ্ম উভয় রঙের হয় ।--- শুদ্ধ।

7)স্ক্রাবার পদ্ধতিতে বায়ুর ধোঁয়া ও বর্জ্য নিষ্কাশন করা হয় । --- শুদ্ধ।

8)নলপথের মাধ্যমে যাত্রী পরিবাহিত হয় ।--- অশুদ্ধ(তেল)

9) হুগলি নদীতে শীতকালে ষাড়াষাড়ির বান দেখা যায়। --- অশুদ্ধ (বর্ষাকালে)

10) ভারতের সর্বাধিক জনঘনত্বযুক্ত রাজ্য হল বিহার । --- শুদ্ধ।

11) শুষ্ক নদীখাতকে ওয়াদি বলে । --- শুদ্ধ।

12) মালাবার উপকুলে বছরে দুবার বৃষ্টি হয়। --- অশুদ্ধ (করমন্ডল উপকুলে )

13)মরু উদ্ভিদ জেরোফাইট নামে পরিচিত । --- শুদ্ধ।

14)মন্থকূপ সৃষ্টি হতে গেলে নদীগর্ভ মসৃণ হওয়া একান্ত প্রয়োজন । অশুদ্ধ (উচু নিচু নদী গর্ভ হতে হবে।)

15) ভারতে মহানগরের সংখ্যা 53 টি । --- শুদ্ধ।

16) দিল্লীতে ভারতের প্রথম মেট্রোরেল পরিষেবা চালু হয়। --- অশুদ্ধ(কলকাতায় )

17)পাঞ্জাবে সবুজ বিপ্লবের দরুণ গমের উৎপাদন বৃদ্ধি পায় । --- শুদ্ধ।

18)নিরক্ষীয় অঞ্চলে পরিচলন বৃষ্টি সংঘটিত হয় ।--- শুদ্ধ।

19)মৌসুমী বায়ুকে স্থলবায়ু ও সমুদ্রবায়ুর বৃহত্তম সংস্করণ বলা হয় ।--- শুদ্ধ।

20)প্লাস্টিক হল এক প্রধান অজৈব অভঙ্গুর বর্জ্য পদার্থ । --- শুদ্ধ ।

21) অমাবস্যা তিথিতে মরা কোটাল হয়। --- অশুদ্ধ (ভরা কোটাল)

22) বৃহ্মরোপন মরু সম্প্রসারন রোধের অন্যতম উপায়। --- শুদ্ধ ।

23) বার্খান বালিয়াড়ির পরিবর্তিত রূপ সিফ । --- শুদ্ধ।

24) অ্যালবেডোর পরিমান 66% । --- অশুদ্ধ (44%)

25) অ্যানিমোমিটারের সাহায্যে বায়ুর গতিবেগ মাপা হয়। --- শুদ্ধ।

26) ভারতের সর্বোচ্চ মালভূমি ডেকানট্রাপ। --- অশুদ্ধ (লাডাক )

27)হিমরেখার ওপর থেকে নদীর কাজ শুরু হয় । --- অশুদ্ধ ( হিমরেখার নীচে বরফ গলে নদী তৈরি হয়।)

28) ওজনস্তরকে প্রাকৃতিক সৌরপর্দা বলে । --- শুদ্ধ।

29) ভারতের সবথেকে বেশি চা উৎপন্ন হয় অসমে। --- শুদ্ধ।

30)উপগ্রহ চিত্রের ক্ষুদ্রতম একক পিক্সেল ।--- শুদ্ধ।

31) কার্পাস চাষে পলিমাটি উপযুক্ত। --- অশুদ্ধ (কৃষ্ণ মৃত্তিকা )

32) ম্যানগ্রোভ অরন্যে জরায়ুজ অঙ্কুরোদগম দেখা যায়। --- শুদ্ধ।

33) গঙ্গেয় সমভূমিতে ল্যাটেরাইট মাটি দেখা যায়। --- অশুদ্ধ (পলি মাটি )

34)ওজোন গ্যাস সূর্যের অতি বেগুনি রশ্মিকে শোষণ করে । --- শুদ্ধ।

35) অধিক জলসেচে মাটির লবনতা হ্রাস পায়। --- অশুদ্ধ (বৃদ্ধি পায়)

36) পার্বত্য মৃত্তিকার অপর নাম রেগুর । --- অশুদ্ধ (পডসল)

37) ঝুমচাষ মৃত্তিকা হ্ময়ের কারন। --- শুদ্ধ।

38)অ্যানাবেটিক বায় দিনের বেলায় প্রবাহিত হয় । --- শুদ্ধ।

39) চিল্কা পূর্ব উপকুলের উপহ্রদ । --- শুদ্ধ।

40)ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলে সাধারণত গ্রীষ্মকালে বৃষ্টিপাত হয় । --- অশুদ্ধ (শীতকালে বৃষ্টি হয়।)

41) মানুষের দ্বারা বাতিল দ্রব্য হল বর্জ্য। --- শুদ্ধ।

42) প্রাচীন পলিগঠিত অঞ্চল খাদার নামে পরিচিত। --- অশুদ্ধ(প্রাচীন পলিগঠিত অঞ্চল ভাঙর নামে পরিচিত)

43)ভারতবর্ষে পশ্চিমী ঝঞ্ঝা - এর আগমন ঘটে শীতকালে ।--- শুদ্ধ।

44) হিমশৈলের 1/9 অংশ জলের উপরে ভেসে থাকে। --- শুদ্ধ।

45)সমুদ্রে ভাসমান বরফের স্তুপকে হিমশৈল বলে । --- শুদ্ধ।

46) হিমালয়ের প্রাচীনতম অংশ হল টেথিস । --- শুদ্ধ।

47)লৌহ ইস্পাত শিল্প হল আধুনিক শিল্পদানব। --- অশুদ্ধ (পেট্ররসায়ন শিল্প)

48) ভারতের সিলিকন ভ্যালি হল বেঙ্গালুরু । --- শুদ্ধ।

49)অনিয়ন্ত্রিত জনসংখ্যা বৃদ্ধি স্থিতিশীল উন্নয়নের পক্ষে বাঁধা হয়ে দাঁড়ায় । --- শুদ্ধ।

50) অহ্মাংশের ভিত্তিতে হিমরেখার উচ্চতা পরিবর্তিত হয়। --- শুদ্ধ।

51)জাহাজ চলাচলের জন্য নির্দিষ্ট সমুদ্রপথকে শিপিং লেন বলে । --- শুদ্ধ।

52) ভূমধ্যসাগরে জোয়ারভাটা দেখা যায় না। --- শুদ্ধ।

53)বার্ষিক উয়তার প্রসর সবচেয়ে বেশি হয় নিরক্ষীয় অঞ্চলে ।--- অশুদ্ধ (মেরু অঞ্চলে)

54) আপেহ্মিক আদ্রতা শতকরা হারে প্রকাশ করা হয়। --- শুদ্ধ।

55) অধহ্মেপনের উদাহরন হল কুয়াশা। --- অশুদ্ধ (গুড়িগুড়ি বৃষ্টি , তুষারপাত)

56)পশ্চিমঘাট পর্বত ও নীলগিরির মাঝে অবস্থিত পালঘাট গিরিপথ ।--- শুদ্ধ।

57) লু এক প্রকার সাময়িক বায়ু। ---অশুদ্ধ ( স্থানীয় বায়ু)

58)মেঘাচ্ছন্ন রাত্রিতে শিশির বেশি পড়ে । --- অশুদ্ধ (মেঘমুক্ত আকাশে বেশি শিশির পড়ে) 

59) তুষার ভহ্মক বলা হয় চিনুককে। --- শুদ্ধ।

60)বাখান বালিয়াড়ি বায়ুপ্রবাহের সমান্তরালে গঠিত হয় । --- অশুদ্ধ(আড়াআড়ি ভাবে গঠিত হয়।)

61) ওজন হল হালকা নীল রঙের গ্যাস । --- শুদ্ধ।

62) হিমসিড়িতে গড়ে ওঠা হ্রদকে বলে প্যাটারনস্টার্ন হ্রদ। --- শুদ্ধ।

63) মিসিসিপি নদীর বদ্বীপ পাখির পায়ের মতো। --- শুদ্ধ।

64)বিষাক্ত বর্জ্য সিসার প্রভাবে ব্ল্যাকফুট রোগ হয় । --- অশুদ্ধ(আর্সেনিক)

65) জলপ্রপাতের পাদদেশে মন্থকুপ সৃষ্টি হয়। --- অশুদ্ধ (মন্থকুপ নদীগর্ভে সৃষ্টি হয়।)

66) ধনুকের মতো বদ্বীপ দেখা যায় নীলনদে। --- শুদ্ধ।

67)মরু অঞ্চলে লবণাক্ত হ্রদগুলিকে প্লায়া বলে ।--- শুদ্ধ।

68) জলপ্রপাত ক্রমশ উৎসের দিকে সরে আসে। --- শুদ্ধ।

69) ওজন গ্যাসের ঘনত্ব মাপার একক ডবসন । --- শুদ্ধ।

70) ভারতের শীতলতম স্থান হল লাদাকের দ্রাস । --- শুদ্ধ।

71)মাজুলি ভারতের বৃহত্তম নদী দ্বীপ ।--- শুদ্ধ।

72)বিশাখাপত্তনম ভারতের একমাত্র শুল্কমুক্ত বন্দর ।--- অশুদ্ধ (কান্ডালা )

73)বাজাদা অবস্থান করে পেডিমেন্ট ও প্লায়ার মাঝে । ---শুদ্ধ।

74)একটি সক্রিয় সেন্সর - এর উদাহরণ হল RADAR। --- শুদ্ধ।

75)ভূ - বৈচিত্র্যসূচক মানচিত্রে কালো রং দিয়ে নিত্যবহ নদী চিহ্নিত করা হয় ।--- শুদ্ধ।

B. একটি বা দুটি শব্দে উত্তর দাও :-

1)যে উচ্চভূমি দুটি নদীব্যবস্থাকে পৃথক করে তাকে কি বলে ? Answer :- জলবিভাজিকা।

2)ক্ষয়সীমা ধারণার প্রবর্তক কে ? Answer :- পাওয়েল।

3)ভারতের বৃহত্তম লেগুন হ্রদ কোনটি ? Answer :- চিল্কা হ্রদ।

4) মিলেট কী ? Answer :- জোয়ার, বাজরা , ও রাগীকে মিলেট বলে।

5)ভারতের বৃহত্তম সমুদ্র বন্দরটির নাম কী ? Answer :-মুম্বাই।

6) ভারতের জমি জরিপ সংস্থা কোথায় অবস্থিত ? Answer :- দেরাদুনে।

7)ভারতে ‘ উন্নয়নের জীবনরেখা ' বলা হয় কোন্ পরিবহণ মাধ্যমকে ? Answer :- জলপথকে।

8) কলকাতার পরিপুরক বন্দরের নাম কী ? Answer :- হলদিয়া।

9) ভারতের একটি শুল্কমুক্ত বন্দরের নাম কী ? Answer :- কান্ডালা।

10) একটি স্বাভাবিক পোতাশ্রয় যুক্ত বন্দরের নাম কী ? Answer :- কান্ডালা।

11) ভারতে কত বছর অন্তর জনগননা হয় ? Answer :- 10 বছর।

12) ভারতের ডেট্রয়েট কোন শহরকে বলে ? Answer :- চেন্নাই শহরকে।

13)কাসকেড ' কোথায় দেখা যায় ? Answer :- নদীর উচ্চগতিতে।

14) দুটি পানীয় ফসলের নাম লেখ। Answer :- চা , কফি।

15) একটি জায়িদ ফসলের নাম লেখ । Answer :- কুমড়ো।

16)ভারতের কোন শহরে প্রথম পাতাল রেলের যাত্রা শুরু হয় ? Answer :- কলকাতা।

17)নদীর গতিবেগ দ্বিগুণ হলে তার বহন ক্ষমতা কত গুণ বৃদ্ধি পায় ?  Answer :- 64 গুন।

18) ভারতের উচ্চতম বাধের নাম কী ? Answer :- ভাকরানাঙাল।

19)ভারতের কোন রাজ্যে বনভূমির পরিমাণ সবথেকে বেশি ? Answer :- মধ্যপ্রদেশ।

20)পার্বত্য হিমবাহের পৃষ্ঠদেশে সৃষ্ট গভীর ফাটল কি নামে পরিচিত ? Answer :- ক্রেভাস।

21)ভারতে অবস্থিত হিমালয় পর্বতের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ কোনটি ? Answer :- গডউইন অস্টিন।

22)মেগাসিটি ' তে ন্যূনতম জনসংখ্যা কত থাকে ? Answer:- 50 লহ্ম।

23) Doctor's wind কাকে বলে ? Answer :- হারমাট্টানকে।

24)কোন শহরকে ভারতের প্রবেশদ্বার বলা হয় ? Answer :- মুম্বাইকে।

25)মৃত্তিকা ক্ষয় প্রতিরোধী একটি কৃষি পদ্ধতির নাম লেখ । Answer :- ধাপচাষ।

26) ভারতের কোথায় প্রথম পেট্ররসায়ন শিল্প গড়ে ওঠে ? Answer :- ট্রম্বেতে।

27)ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থার নাম কি ? Answer :- ISRO 

28) চা গবেষনাগার কোথায় অবস্থিত ? Answer :- অসমের জোরহাটে।

29) ভারতের প্রথম সুতাকল কোথায় স্থাপিত হয় ? Answer :- হুগলির ঘুসড়িতে।

30) ধান উৎপাদনে ভারতের কোন রাজ্য প্রথম ?  Answer :- পশ্চিমবঙ্গ।

31) বিশ্বের বৃহত্তম নদী অববাহিকার নাম কী ? Answer :- আমাজন।

32) মরুভূমির লবনাক্ত হ্রদগুলিকে কী বলে ? Answer :- প্লায়া।

33)একটি মুখ্য জোয়ার ও গৌণ জোয়ারের মধ্যে সময়ের পার্থক্য কত ?  Answer :- 12 ঘন্টা 26 মিনিট।

34) ভারতের উচ্চতম জলপ্রপাতের নাম কী ? Answer :- যোগ।

35) ভারতে গড় সাহ্মরতার হার কত? Answer :- 74.04%

36)ধুয়াধর জলপ্রপাত কোন নদীর উপর অবস্থিত ?  Answer :- নর্মদা নদীর উপর।

37)

38)গঙ্গা অ্যাকশন প্ল্যান ' প্রকল্পটি কবে গৃহীত হয় ? Answer :- 1986 খ্রি:।

39)

40)ভারতের কোন রাজ্য ইক্ষু উৎপাদনে প্রথম ? Answer :- উত্তরপ্রদেশ।

41)ভারতের একটি আগ্নেয়গিরির নাম লেখো ।Answer :- ব্যারেন।

42)উপগ্রহ চিত্রের ক্ষুদ্রতম এককের নাম কি ? Answer :- পিক্সেল।

43)কম্পোস্ট পদ্ধতিতে কীসের দ্বারা জৈব পদার্থের পচন ঘটানো হয় ?  Answer :- জীবানু ।

44)বরদইছিলা কোথায় দেখা যায় ?  Answer :- অসমে।

45)ভারতের ম্যাস্টোর ' কোন শহরকে বলা হয় ?  Answer :- আমেদাবাদকে।

46)ভারতের উচ্চতম হ্রদ কি ও কোথায় আছে ?  Answer :- সিকিমের গুরুদোংমা।

47)পর্বতের ঢাল বেয়ে উপত্যকায় যে বায়ু প্রবাহিত হয় তাকে কী বলে ?  Answer :- ক্যাটাবেটিক বায়ু।

48)ভারতের দীর্যতম নদী বাধের নাম কী ? Answer :- হীরাকুদ বাধ(মহানদী)।

49)পৃথিবীতে দিনে কতবার জোয়ার ও কতবার ভাটা হয় ? Answer :- দুবার জোয়ার ও দুবার ভাটা।

50)সাহারায় বালুকাময় মরুভূমিকে কী বলে ? Answer :- আর্গ। 

51)ভারতের অরন্য গবেষনা গার কোথায় অবস্থিত ? Answer :- দেরাদুনে।


Madhyamik English 2024

 VIVEKANANDA COACHING CENTRE

TUTOR:- SWAPAN KUMAR RAY(M.A)

MADHYAMIK -2024 

EXTRA ACTIVITY 

1.  Suppose you have lost your mobile phone . Write a letter to the OC of your local police station , reporting the loss .

 The Officer - in - Charge 

Sitai  Police Station 

Sitai, Cooch Behar

Sub : Loss of Mobile Phone.

 Sir/maam, 

 I , ------, c/o- ----- is currently residing at -------under Sitai Police Station . On 11 th January,2024 I lost my vivo v5 mobile phone near Sitai BDO office . 

I shall be highly obliged if you do the needful as early as possible . I also request you to make a recovery of the lost mobile phone  if possible .Thanking you ,

 Yours faithfully 

--------

2. Write a letter to the Manager of a bank to open a savings account in his branch.

To,

The Manager

Central Bank of India

Deokhata, Netaji Bazar

Sub:- opening a new account.

Sir,

I beg to inform you that I am ----- c/o -------, a resident of ----- , p.o-----, Dist -----. I want to open a new savings account in your branch for my personal use.

Therefore, I request you let me open a new account in your branch as early as possible. Thanking you,

Yours faithfully

----------

3. Write a letter to the headmaster of your school seeking leave of absence for three days for your illness.

To,

The Head Master

Konachatra High School

Konachatra, Sitai

Sub:-leave of absence. 

Sir/Maam,

I beg to inform you that I am Samridhya Ray Roll- 7 class- ix a student  in your school.I could not attained school from 12 th november to 15 th november for my ilness. 

Therefore I requested you kindly grant my application.

Yours faitfully

Samridhya Ray

Class:- ix 

Roll:- 7

Sec:- A

>> Write a letter to your friend inviting him/her to join to the marriage ceremony of your elder sister.

vill: Sagar Dighi.

p.o:- Br. Chatra.

Dist:- Cooch Behar

Pin:- 736167

My dear friend,

For a long time, I did not get any letter from you. So, I dont know how you are. I hope you are fine. I am very fine. My elder sister marriage ceremony  will be held on 12 th december 2023 in our house. Please come. 

No more today many when we meet.

Your ever

Sonamani

To, 

Name:- Samridhya  Ray

C/o :- Swapan kumar Ray

Vill:- Jatigara.

P.O:- Jatigara.

Dist:- Cooch Behar.

Pin:- 736167.

Story 

Moral list:-

1. cut your coat according to your cloth. (আয় বুঝে ব্যায় করো)

2. No pains, no gains (কষ্ঠ না করলে কেষ্ট মেলে না )

3. Grapes are sour. (আঙুরফল টক /পান না তাই খান না )

4. A friend in need is a friend inded. (অসময়ের বন্ধু প্রকৃত বন্ধু)

5. might is right (জোর যার মুলুক তার)

6. Tit for tat. (যেমন কুকুর তেমন মুগুর)

7. Many a little makes a mickle. (দশের লাঠি একের বোঝা)

8. Mind your own business. (নিজের চরকায় তেল দাও )

9. While there's life, there's hope. (যতহ্মন শ্বাস ততহ্মন আশ )

10. Dimond cuts dimond. (সেয়ানে সেয়ানে কোলাকুলি )

11. All that glitters is not gold. (চকচক করলেই সোনা হয় না )

12. Honesty is the best policy. (সততাই উত্তম পন্থা )

13. Knowledge is power (জ্ঞানই বল )

14. unity is strenght. (একতাই বল )

15. As you sow, so shall you reap. (যেমন কর্ম তেমন ফল )

16. It is easy to say, but hard to do. (বলা সহজ, করা কঠিন )

Biography (জীবনী) 

Rules:-

1. Many great men/women were born in our country, but ব্যাক্তির নাম  was a great man/ woman of all them.

2. His/Her original name was আসল নাম.

3. He/She was born on জন্ম তারিখ in জন্ম সাল  in জন্ম স্থান. 

4. His/Her father name was বাবার নাম and mother name was মায়ের নাম. 

5. He/She took his/her early education from প্রাথমিক স্কুলের নাম .

6. He/She passed ডিগ্রির নাম  in সাল .

7. He/She became যে পদ পেয়েছেন in সাল .

8. He/She joined যে দলে যোগ দেন  in সাল . 

9. He/She wrote many books like বই , বই, বই etc.

10. He/She established যে প্রতিষ্ঠান তৈরি করেন at স্থান in সাল .

11. Lastly he/she passed away on মৃত্যুর তারিখ in মৃত্যুর সাল  in মৃত্যুর স্থান .

>> Write a paragraph on Iswarchandra Vidyasagar in about 100 words . The following points will help you .

 Date of birth - 26th September , 1820 at Birsingha in Midnapore . Father Thakurdas Bandyopadhyay , mother - Bhagabati Devi , Primary Education - village Pathshala ; Higher education Sanskrit College in Kolkata ; Activities - joined Fort William College as professor - later joined Sanskrit College - became Principal - established Metropolitan Institution - took leading part in spreading education especially in rural areas and for females - wrote " Barno Parichaya " , " Bodhoday " etc - Social reformer - faught against early marriage and introduced Act for Hindu widow Remarriage Death , 29th July , 1891 .

Ans:-  ISWARCHANDRA VIDYASAGAR

 Many great men were born in our country, but Iswarchandra Vidyasagar   was a great man of all them. His original name was Iswarchandra Bandhyopadhyay.He was born on 26th September in 1820  in Birsingha in Midnapore.  His  father name was Thakurdas Bandyopadhyay  and mother name was Bhagabati Devi . He took his  early education from village pathsala.  He passed Higher education Sanskrit College in Kolkata.He  became Principal. He  joined  Fort William College as professor. . He wrote many books like  " Barno Parichaya " , " Bodhoday "  etc. Lastly he  passed away on 29th July  in 1891.


Madhyamik History Short 2024

  বিবেকানন্দ কোচিং সেন্টার 

ক্লাস : দশম শ্রেনী ; বিষয় : ইতিহাস 


A. সত্য বা মিথ্যা নির্ণয় করো :-

1)জন ম্যাকাডাম পিচ ঢালা রাস্তা নির্মাণ করেন । [ সত্য ]

2) ভারতে প্রথম হকি ক্লাব প্রতিষ্ঠিত হয় কলকাতায় । [ সত্য ]

3) ক্যামেরা শব্দটি প্রথম ব্যবহার করেন লিওনার্দো দা ভিঞ্চি । [ সত্য ]

4) সঞ্জীবনী পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর । [ মিথ্যা ] 

5) একজন বিখ্যাত ক্রীড়া গবেষক হলেন বোরিয়া মজুমদার ।  [ সত্য ]

6) উত্তরাখণ্ডে চিপকো আন্দোলন সংঘটিত হয় । [ সত্য ]

7) হিন্দু বালিকা বিদ্যালয়ের বর্তমান নাম বেথনু স্কুল । [ সত্য ]

8) কলকাতা বিশ্ববিদালয়ের প্রথম ভারতীয় উপাচার্য হল গুরুদাস বন্দ্যোপাধ্যায় । [ সত্য ] 

9) বিদ্যাসাগর ১৮৯০ খ্রিস্টাব্দে “ ভগবতী বিদ্যালয় ' প্রতিষ্ঠা করেন । [ সত্য ] 

10) খুৎকাঠি কথাটির অর্থ হল যৌথ মালিকানা । [ সত্য ] 

11) নদীয়ার নীলকুঠিয়াল ছিলেন স্যামুয়েল ফেডি । [ সত্য ] 

12) ফরাজি কথাটির অর্থ হল মহম্মদ প্রদর্শিত পথ । [ মিথ্যা]

13) ১৮৬৫ খ্রিস্টাব্দে প্রথম অরণ্য আইন প্রণীত হয় । [ সত্য ]

14) মহাশ্বেতা দেবীর অরণ্যের অধিকার ' মুণ্ডা বিদ্রোহের প্রেক্ষাপটে রচিত । [ সত্য ] 

15)  ১৮৬০ খ্রিস্টাব্দে নীল কমিশন গঠিত হয় ।  [ সত্য ] 

16) হিন্দুমেলার উদ্দেশ্য ছিল জাতীয়তাবাদী চেতনার জাগরণ ঘটানো । [ সত্য ] 

17) মুঘল সম্রাট দ্বিতীয় বাহাদুর শাহকে মান্দালয়ে নির্বাসন দেওয়া হয় ।  [ মিথ্যা ] 

18) আনন্দমোহন বসু ভারতসভা প্রতিষ্ঠার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন । [ সত্য ] 

19) ১৮৭৮ খ্রিস্টাব্দে দেশীয় ভাষায় সংবাদপত্র আইন প্রণীত হয় । [ সত্য ] 

20) বাংলায় উন্নত লাইনোটাইপ তৈরি করেন সুরেশচন্দ্র মজুমদার । [ সত্য ]

21) আইন অমান্য আন্দোলনের পটভূমিতে “ গোরা ’ উপন্যাসটি রচিত । [ মিথ্যা ]

22) ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর প্রতিষ্ঠিত ছাপাখানার নাম সংস্কৃত যন্ত্র। [ সত্য ]

23) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ' টেগোর অ্যান্ড কোং ' প্রতিষ্ঠা করেন । [ মিথ্যা ]

24) ভারতবর্ষে প্রথম গোয়ায় ছাপাখানা প্রতিষ্ঠিত হয় । [ সত্য ]

25) জগদীশচন্দ্র ক্রেসকোগ্রাফ যন্ত্রের সাহায্যে প্রমাণ করে যে উদ্ভিদের প্রাণ আছে । [ সত্য ] 

26) বেঙ্গল টেকনিক্যাল ইনস্টিটিউশন বর্তমানে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় নামে পরিচিত। [ সত্য ] 

27) স্বরাজ্য দলের সভাপতি ছিলেন চিত্তরঞ্জন দাশ । [মিথ্যা ] 

28) ভারতের কমিউনিস্ট পার্টিকে ' দ্বিজ ' বলা হল । [ সত্য ] 

29) কংগ্রেস সোশালিস্ট পার্টির প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ছিলেন জয়প্রকাশ নারায়ণ । [ সত্য ] 

30) বাবা গরিবদাস ছিলেন বারদৌলি সত্যাগ্রহের নেতা । [ মিথ্যা ] 

31) পাকিস্তানের প্রথম প্রধানমন্ত্রী ছিলেন লিয়াকত আলি খান । [ সত্য ]

32) সরকারি ভাষা কমিশনের সদস্য ছিলেন সুনীতি কুমার চট্টোপাধ্যায় । [ সত্য ]

33)রম্পা কৃষক বিদ্রোহের নেতা ছিলেন আল্লারি সীতারাম রাজু । [ সত্য ]

34)ভারতে ওয়াহাবি আন্দোলনের নেতা ছিলেন স্যার সৈয়দ আহমেদ খান ।  [ সত্য ]

35)আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু ' ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য কাল্টিভেশন অফ সায়েন্স ' প্রতিষ্ঠা করেন । [মিথ্যা ] 

36)বাংলার ' মুকুটহীন রাজা ' বলা হত বিপিন চন্দ্র পালকে । [ সত্য ]

37)নীলবিদ্রোহের নেতা ছিলেন দিগম্বর বিশ্বাস । [ সত্য ]

38)তিতুমিরের প্রধান সেনাপতি ছিলেন গোলাম মাসুম ।  [ সত্য ]

39)ভারতমাতা চিত্রটি এঁকেছিলেন গগনেন্দ্রনাথ ঠাকুর । [মিথ্যা]

40)গ্রামবার্তা প্রকাশিকা'র প্রথম সম্পাদক কাঙাল হরিনাথ ।[ সত্য]

41)১৯৪৭ - এ কাশ্মিরের রাজা ছিলেন হরি সিং ।[সত্য]

42) তিতুমির বাশের কেল্লা ভেঙে দেন । [মিথ্যা] 

43) শ্রী রামকৃষ্ণ দেব রামকৃষ্ণ মিশন প্রতিষ্ঠা করেন। [মিথ্যা]

44) ভারতসভা ইলবার্ট বিলের বিরোধীতা করে । [মিথ্যা ]

45) লাঙল পত্রিকার সম্পাদক হলেন কাজী নজরুল ইসলাম । [সত্য ]

46) নদীয়ার চৌগাছা গ্রামে নীল বিদ্রোহ শুরু হয়। [সত্য]

47) ১৮৬০ খ্রি: নীল কমিশন গঠিত হয়। [সত্য] 

48) যতিনদাশ ৬৪ দিন অনশন করে মারা যান ।  [সত্য] 

49) বীরসা মুন্ডার উপাস্য দেবতা সিং বোঙা । [সত্য ] 

50) ফরাজি কথার অর্থ হল বাধ্যতামুলক কর্তব্য । [সত্য ]

B. নিম্নলিখিত বিবৃতিগুলির সঠিক ব্যাখ্যা নির্বাচন করো :

1)  বিবৃতি : লর্ড লিটন ' নাট্যাভিনয় নিয়ন্ত্রণ আইন ' পাস করেছিলেন 

 ব্যাখ্যা : লিটন নাটক পছন্দ করতেন না । 

ব্যাখ্যা : নাটকের মাধ্যমে ধর্মীয় শিক্ষা দেওয়া হত ।

 ব্যাখ্যা : নাটকের মাধ্যমে ব্রিটিশ অন্যায় ও অত্যাচার জনমানসে তুলে ধরা হত । 

উত্তর :- ব্যাখ্যা : নাটকের মাধ্যমে ব্রিটিশ অন্যায় ও অত্যাচার জনমানসে তুলে ধরা হত । 

2) বিবৃতি : ১৯১১ খ্রিস্টাব্দে মোহনবাগান ক্লাবের আই . এফ . এ শিল্ড জয় একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা।

 ব্যাখ্যা : শিল্ড জয় ঔপনিবেশিক ব্রিটিশ শাসকের বিরুদ্ধে ভারতীয় জাতীয়তাবাদের জয় । 

ব্যাখ্যা : শিল্ড জয়ের ফলে মোহনবাগান অনেক অর্থ লাভ করে । 

ব্যাখ্যা : মোহনবাগান জাতীয় দলের মর্যাদা লাভ করে ।

 উত্তর :-  ব্যাখ্যা : শিল্ড জয় ঔপনিবেশিক ব্রিটিশ শাসকের বিরুদ্ধে ভারতীয় জাতীয়তাবাদের জয় ।

3) বিবৃতি : রামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের ধর্মভাবনার মূলকথা সর্বধর্ম সমন্বয় ।

ব্যাখ্যা : রামকৃষ্ণ একাধিক ধর্মগ্রন্থ পাঠ করেছিলেন ।

  ব্যাখ্যা : তিনি একেশ্বরবাদে বিশ্বাসী ছিলেন । 

ব্যাখ্যা : তিনি বিশ্বাস করতেন সবধর্মের মূল বক্তব্য এক এবং সেখানে একটি ঐক্য বিরাজমান । 

উত্তর :- ব্যাখ্যা : তিনি বিশ্বাস করতেন সবধর্মের মূল বক্তব্য এক এবং সেখানে একটি ঐক্য বিরাজমান ।

4)  বিবৃতি : রাজা রামমোহন রায় আমহার্স্টকে চিঠি লিখেছিলেন।

 ব্যাখ্যা : সতীদাহ প্রথা বন্ধ করার জন্য আবেদন হিসাবে ।

 ব্যাখ্যা : ভারতে পাশ্চাত্য শিক্ষা বিস্তারের উদ্যোগী হওয়ার আবেদন হিসাবে ।

 ব্যাখ্যা : ভারতে সংস্কৃতি শিক্ষা প্রসারের জন্য ।

 উ : ব্যাখ্যা : ভারতে পাশ্চাত্য শিক্ষা বিস্তারের উদ্যোগী হওয়ার আবেদন হিসাবে ।

 5. বিবৃতি : গ্রামবার্তা প্রকাশিকা ছিল এক জনপ্রিয় পত্রিকা ।

ব্যাখ্যা : এই পত্রিকা নীল বিদ্রোহের সমর্থন করে । 

 ব্যাখ্যা : এই পূর্ববর্তী কোনো সংবাদপত্রে গ্রামের কথা বলা হয়নি । 

ব্যাখ্যা : এর সম্পাদক কাঙাল হরিনাথ ছিলেন একজন জনপ্রিয় ব্যক্তি ।

 উ : ব্যাখ্যা : এই পূর্ববর্তী কোনো সংবাদপত্রে গ্রামের কথা বলা হয়নি ।

6. বিবৃতি ; উনিশ শতকের ভারতে ' নবজাগরণ ' কথাটি মানানসই নয় । - 

ব্যাখ্যা : এই নবজাগরণের কোনো নিশ্চিত স্রষ্টা নেই । 

ব্যাখ্যা : এই নবজাগরণকে ইউরোপীয়  নবজাগরণের সঙ্গে তুলনা করা যায় না ।  

ব্যাখ্যা : নবজাগরণ সমাজের সর্বস্তরের মানুষকে স্পর্শ করেনি ।

 উ : ব্যাখ্যা : নবজাগরণ সমাজের সর্বস্তরের মানুষকে স্পর্শ করেনি । 

7.  বিবৃতি ; ব্রিটিশ সরকার অরণ্য আইন পাস করে - 

 ব্যাখ্যা : অরণ্য আইনের উদ্দেশ্য ছিল অরণ্য সংরক্ষণ করা । 

 ব্যাখ্যা : অরণ্যের পশু পাখিদের রক্ষা করা । 

ব্যাখ্যা : অরণ্য আইনের উদ্দেশ্য ছিল অরণ্য সম্পদের ওপর থেকে আদিবাসীদের অধিকার কেড়ে নেওয়া । 

উ : ব্যাখ্যা : অরণ্য আইনের উদ্দেশ্য ছিল অরণ্য সম্পদের ওপর থেকে আদিবাসীদের অধিকার কেড়ে নেওয়া ।

8. বিবৃতি : রংপুরের কৃষকরা দেবী সিংহের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে ।

 ব্যাখ্যা : দেবী সিংহ কৃষকদের জমি কেড়ে নিয়েছিলেন । 

ব্যাখ্যা : দেবী সিংহ জমিদার ও প্রজাদের ওপর রাজস্বের হার বৃদ্ধি করে । 

 ব্যাখ্যা : দেবী সিংহ কৃষকদের নীলচাষে বাধ্য করেন । 

উ : ব্যাখ্যা : দেবী সিংহ জমিদার ও প্রজাদের ওপর রাজস্বের হার বৃদ্ধি করে । 

9. বিবৃতি : বিরসা মুণ্ডা নতুন ধর্ম মতের প্রচার করেন 

ব্যাখ্যা : তিনি ধর্মের প্রতি আসক্ত হয়ে পড়েন ।

 ব্যাখ্যা : তাঁর উদ্দেশ্য ছিল ধর্মগুরু হিসাবে কাজ করা । 

ব্যাখ্যা : তাঁর উদ্দেশ্য ছিল ধর্মের বন্ধনে মুণ্ডাদের ঐক্যবদ্ধ করা । 

উ : ব্যাখ্যা : তাঁর উদ্দেশ্য ছিল ধর্মের বন্ধনে মুণ্ডাদের ঐক্যবদ্ধ করা ।

10.  বিবৃতি : নীলকর সাহেবরা বে - এলাকা ' চাষে বেশি উৎসাহী ছিল । 

 ব্যাখ্যা : বে - এলাকা চাষে নীলকরদের নিজের জমির প্রয়োজন হত না । 

ব্যাখ্যা : বে - এলাকা চাষে কৃষকদের সুবিধা হত । 

 ব্যাখ্যা : বে - এলাকা চাষে শান্তি বজায় থাকতো । 

উ : ব্যাখ্যা : বে - এলাকা চাষে কৃষকদের সুবিধা হত ।

11.  বিবৃতি : উনিশ শতককে সভাসমিতির যুগ বলা হয় - 

ব্যাখ্যা : ড : অনিল শীল উনিশ শতককে সভাসমিতির যুগ বলেন । 

ব্যাখ্যা : উনিশ শতকে জাতীয় কংগ্রেস অনেকগুলি সভা করেছিলেন । 

ব্যাখ্যা : উনিশ শতকে ভারতে বিভিন্ন রাজনৈতিক সভাসমিতি গড়ে ওঠে ।

 উ : ব্যাখ্যা : উনিশ শতকে ভারতে বিভিন্ন রাজনৈতিক সভাসমিতি গড়ে ওঠে ।

12. বিবৃতি : ব্রিটিশ সরকার আনন্দমঠ উপন্যাসটি নিষিদ্ধ করে ।

ব্যাখ্যা : আনন্দমঠ সাম্প্রদায়িকতা ছড়ায় । 

ব্যাখ্যা : আনন্দমঠ উপন্যাসটি শিক্ষিতদের স্বদেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করে । 

ব্যাখ্যা : আনন্দমঠে ভারতীয়দের ' বন্দেমাতরম্ ' সংগীত ছিল ।

 উ : ব্যাখ্যা : আনন্দমঠ উপন্যাসটি শিক্ষিকদের স্বদেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করে । 

13. বিবৃতি গগনেন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর ব্যঙ্গচিত্রে বাঙালি বাবুদের সমালোচনা করেন।

 ব্যাখ্যা : বাঙালি বাবুরা পাশ্চাত্য সভ্যতার অন্ধ অনুকরণকারী ছিলেন । 

 ব্যাখ্যা : বাঙালি বাবুরা শিক্ষিত ছিলেন । 

ব্যাখ্যা : বাঙালি বাবুরা ধনী ও বিলাসি ছিলেন ।

 উ : ব্যাখ্যা : বাঙালি বাবুরা পাশ্চাত্য সভ্যতার অন্ধ অনুকরণকারী ছিলেন । 

14. বিবৃতি : ১৮১৭ খ্রিস্টাব্দে কলকাতা স্কুল বুক সোসাইটি ' প্রতিষ্ঠিত হয় ।

ব্যাখ্যা : এই সোসাইটির উদ্দেশ্য ছিল শিক্ষকদের কাছ থেকে বই বিষয়ে পরামর্শ নেওয়া । 

ব্যাখ্যা : এই সোসাইটির উদ্দেশ্য ছিল স্কুল পাঠ্যবই ছাপিয়ে সুলভে বা বিনামূল্যে শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেওয়া ।ব্যাখ্যা : এই সোসাইটির উদ্দেশ্য ছিল কলকাতায় ছাপাখানা প্রতিষ্ঠা করা । 

উ :  ব্যাখ্যা : এই সোসাইটির উদ্দেশ্য ছিল স্কুল পাঠ্যবই ছাপিয়ে সুলভে বা বিনামূল্যে শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেওয়া ।

 15. বিবৃতি ; জগদীশচন্দ্র বসু বসুবিজ্ঞান মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন ।

ব্যাখ্যা : বসুবিজ্ঞান মন্দির প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য ছিল বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখার মৌলিক গবেষণার কাজ করা । 

ব্যাখ্যা : ব্রিটিশ সরকার জগদীশচন্দ্র বসুকে এটি প্রতিষ্ঠায় উৎসাহ দেন । 

 ব্যাখ্যা : নিজের কাজকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য ।

 উ : ব্যাখ্যা : বসুবিজ্ঞান মন্দির প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য ছিল বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখার মৌলিক গবেষণার কাজ করা । 

16. বিবৃতি ; রবীন্দ্রনাথ প্রকৃতির সান্নিধ্যে শিক্ষাদানের সমর্থক ছিলেন - 

ব্যাখ্যা : রবীন্দ্রনাথ মনে করতেন প্রকৃতির কোলেই আদর্শ শিক্ষা হয় । 

 ব্যাখ্যা : রবীন্দ্রনাথ চাইতেন শিক্ষার্থীরা প্রকৃতির গুরুত্ব উপলব্ধি করুক । 

ব্যাখ্যা : রবীন্দ্রনাথ মানুষ ও প্রকৃতিকে বিচ্ছিন্ন কোনো বিষয় বলে মনে করতেন না । 

উ : ব্যাখ্যা : রবীন্দ্রনাথ মানুষ ও প্রকৃতিকে বিচ্ছিন্ন কোনো বিষয় বলে মনে করতেন না ।

17. বিবৃতি : আইন অমান্য আন্দোলনে ভারতের কৃষক সম্প্রদায় স্বতঃস্ফূর্তভাবে সামিল হয় -

 ব্যাখ্যা : কৃষকদের স্বার্থরক্ষার বিষয়টি এই আন্দোলনের কর্মসূচিভুক্ত ছিল । 

ব্যাখ্যা ; কৃষকরা এই আন্দোলনে যোগ দেওয়ার সুযোগ পায় । 

 ব্যাখ্যা : আন্দোলনে কৃষি রাজস্ব মকুবের ওপর জোর দেওয়া হয় । 

উ : ব্যাখ্যা : কৃষকদের স্বার্থরক্ষার বিষয়টি এই আন্দোলনের কর্মসূচিভুক্ত ছিল । 

18. বিবৃতি : মানবেন্দ্রনাথ রায় ভারত ত্যাগ করেন ১৯১৫ খ্রিস্টাব্দে ।

 ব্যাখ্যা : রাশিয়ার আন্দোলনে যোগ দেওয়ার জন্য ।

 ব্যাখ্যা:  জার্মানি থেকে অস্ত্র সংগ্রহের উদ্দেশ্যে । 

 ব্যাখ্যা : তৃতীয় আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যোগ দেওয়ার জন্য । 

উ : ব্যাখ্যা : জার্মানি থেকে অস্ত্র সংগ্রহের উদ্দেশ্যে । 

19. বিবৃতি : সরকার ১৯০৫ খ্রিস্টাব্দে ' কার্লাইল সার্কুলার ' ঘোষণা করে।

ব্যাখ্যা : সরকারের উদ্দেশ্য ছিল কৃষক আন্দোলন । দমন করা । 

ব্যাখ্যা : সরকারের উদ্দেশ্য ছিল নারী আন্দোলন দমন করা । 

ব্যাখ্যা : সরকারের উদ্দেশ্য ছিল ছাত্র আন্দোলন দমন করা । 

উ : ব্যাখ্যা : সরকারের উদ্দেশ্য ছিল ছাত্র আন্দোলন দমন করা । 

20. বিবৃতি : মাতঙ্গিনী হাজরাকে ' গান্ধিবুড়ি ' বলা হয় । 

 ব্যাখ্যা : মাতঙ্গিনী হাজরা গান্ধিজির মতো বৃদ্ধ বয়সেও আন্দোলন করনে । 

ব্যাখ্যা তিনি গান্ধিজির অহিংস উপায় অবলম্বন করে আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন । 

ব্যাখ্যা তিনি গান্ধিজির মতো শ্বেতবস্ত্র পরিধান করতেন ।

 উঃ ব্যাখ্যা: তিনি গান্ধিজির অহিংস উপায় অবলম্বন করে আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন । 

21. বিবৃতি সতীশচন্দ্র মুখোপাধ্যায় ডন সোসাইটি প্রতিষ্ঠা করেন কারণ - 

 ব্যাখ্যা : এর উদ্দেশ্য ছিল ছাত্রদের ঐক্যবদ্ধ করে আন্দোলনে সামিল করা । 

ব্যাখ্যা : অস্ত্রচালনা শিক্ষা দেওয়া । 

ব্যাখ্যা : সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপে উৎসাহ প্রদান করো ।

 উ : ব্যাখ্যা : এর উদ্দেশ্য ছিল ছাত্রদের ঐক্যবদ্ধ করে আন্দোলনে সামিল করা ।

22. বিবৃতি : মাস্টারদা সূর্যসেনকে ব্রিটিশ সরকার ফাঁসি দেয়।

 ব্যাখ্যা:  তিনি আলিপুর বোমা মামলায় অভিযুক্ত ছিলেন । 

ব্যাখ্যা : তিনি অলিন্দ যুদ্ধে অংশ নেন । 

ব্যাখ্যা : তিনি চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুণ্ঠনে নেতৃত্ব দেন । 

উ : ব্যাখ্যা:  তিনি চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুণ্ঠনে নেতৃত্ব দেন । 

23. বিবৃতি : দেশীয় রাজ্যগুলির ভারতভুক্তির ব্যাপারে বল্লভভাই প্যাটেল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয় - 

ব্যাখ্যা : তিনি ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন । 

 ব্যাখ্যা : তিনি দেশীয় রাজ্যগুলির মধ্যে সংহতি রক্ষা করতে চেয়েছিলেন ।

 ব্যাখ্যাঃ তিনি বিদেশি শাসনের বিরোধী ছিলেন ।

উ : ব্যাখ্যা : তিনি দেশীয় রাজ্যগুলির মধ্যে সংহতি রক্ষা করতে চেয়েছিলেন । 

24. বিবৃতি : ভারতের ইতিহাসে স্বাধীনতার পরবর্তী পাঁচবছর পুনর্বাসনের যুগ নামে অভিহিত হয়

ব্যাখ্যা : এই সময় উদবাস্তুদের ত্রাণ ও পুনর্বাসনের ওপর জোর দেওয়া হয় । 

ব্যাখ্যা : এই সময় পুনর্বাসন চুক্তি হয় । 

ব্যাখ্যা : এই সময় গৃহহীনদের ঘর দেওয়ার পৰিকল্পনা নেওয়া হয় ।

উঃ ব্যাখ্যা : এই সময় উদবাস্তুদের ত্রাণ পুনর্বাসনের ওপর জোর দেওয়া হয় । 

25. বিবৃতি : সাঁওতালরা ১৮৫৫ খ্রিস্টাব্দে স্বাধীনতার জন্য আন্দোলন শুরু করে ।

ব্যাখ্যা : সাঁওতালরা বহিরাগত মহাজন , দেশীয় জমিদার ও বনিকদের অত্যাচারে অসন্তুষ্ট ছিল ।

 ব্যাখ্যা : ইংরেজরা তাদের যুদ্ধে যোগদান করার জন্য অত্যাচার করত । 

 ব্যাখ্যা : সাওতালরা ব্রিটিশ বনিকদের দাসে পরিণত হয়েছিল । 

উ : ব্যাখ্যা ; সাঁওতালরা বহিরাগত মহাজন , দেশীয় জমিদার ও বনিকদের অত্যাচারে অসন্তুষ্ট ছিল । 

26. বিরতি নাথ ঠাকুর গোরা উপন্যাসে লিখেছিলেন - 

ব্যাখ্যা : ঔপনিবেশিক প্রশাসনকে সমালোচনা করার জন্য । 

ব্যাখ্যা : পাশ্চাত্য শিক্ষার সমালোচনা করার জন্য । 

 ব্যাখ্যা : সংকীর্ণ , জাতীয়তাবাদকে সমালোচনা করার জন্য । 

উ : ব্যাখ্যা : সংকীর্ণ জাতীয়তাবাদকে সমালোচনা করার জন্য ।

27. বিবৃতি ১৯০৬ খ্রিস্টাব্দে জাতীয় শিক্ষা পরিষদ পঠিত হয় - 

 ব্যাখ্যা : বৈজ্ঞানিক গবেষণার উন্নতির জন্য । 

 ব্যাখ্যা : জাতীয় শিক্ষা দানের জন্য । 

 ব্যাখ্যা : কারিগরি শিক্ষার উন্নতির জন্য ।

 উ : ব্যাখ্যা : জাতীয় শিক্ষা দানের জন্য । 

28. বিবৃতি : জাতীয় কংগ্রেস শ্রমিক আন্দোলনকে খুব বেশি প্রাধান্য দেয়নি ।

ব্যাখ্যা : কংগ্রেস শ্রমিকস্বার্থ অপেক্ষা গোষ্ঠীস্বার্থ রক্ষায় অধিক আগ্রহী ছিল এবং শ্রমিক আন্দোলনের কমিউনিজম ঘেঁষা আদর্শের পরিপন্থি ছিল । 

ব্যাখ্যা:  জাতীয় কংগ্রেস শ্রমিকদের পছন্দ করত না । 

ব্যাখ্যা : শ্রমিক আন্দোলনের কোনো নীতি ও আদর্শ ছিল না ।

 উ : ব্যাখ্যা : কংগ্রেস শ্রমিকস্বার্থ অপেক্ষা গোষ্ঠীস্বার্থ রক্ষায় অধিক আগ্রহী ছিল এবং শ্রমিক আন্দোলনের কমিউনিজম ঘেঁষা আদর্শের পরিপন্থি ছিল । 

29. বিবৃতি : শচীন্দ্র প্রসাদ বসু ' অ্যান্টি সার্কুলার সোসাইটি ' গঠন করেন --

ব্যাখ্যা : কার্লাইল সার্কুলারের প্রতিবাদ স্বরূপ গড়ে ওঠে অ্যান্টি সার্কুলার সোসাইটি । 

ব্যাখ্যা : কার্লাইল সার্কুলারের নির্দেশগুলি কার্যকর করার জন্য এই সোসাইটি গড়ে ওঠে । 

ব্যাখ্যা : ভারতের নারীদের ঐক্যবদ্ধ করার জন্য ।

 উঃ ব্যাখ্যা : কার্লাইল সার্কুলারের প্রতিবাদ স্বরূপ গড়ে ওঠে অ্যান্টি সার্কুলার সোসাইটি । 

30. বিবৃতি : স্বাধীনতার পর বাংলা ও পাঞ্জাবে শরণার্থী সমস্যা সবচেয়ে বেশি দেখা গিয়েছিল । - 

( ১ ) ব্যাখ্যা : বাংলা ও পাঞ্জাবে প্রতি বর্গমাইলে জনঘনত্ব খুব বেশি ছিল । 

 ব্যাখ্যা : বাংলা ও পাঞ্জাব ভারত - পাকিস্তানে দ্বিবিভাজিত হয় এবং এইসব অঞ্চলে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার পরিমাণও ছিল বেশি । 

ব্যাখ্যা : বাংলা ও পাঞ্জাব বসবাসের উপযোগি ছিল ।

 উ :  ব্যাখ্যা : বাংলা ও পাঞ্জাব ভারত - পাকিস্তানে দ্বিবিভাজিত হয় এবং এইসব অঞ্চলে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার পরিমাণও ছিল বেশি ।

31. বিবৃতি : স্বদেশি আন্দোলনের সময় বিলেতি পণ্যের দোকানের সামনে পিকেটিং চালানো হয় ।

ব্যাখ্যা  : পিকেটিং এর উদ্দেশ্য ছিল বিলেতি পণ্য বিক্রি বন্ধ করা । 

ব্যাখ্যা  : পিকেটিং এর উদ্দেশ্য ছিল ব্রিটিশদের দেশ থেকে বিতাড়িত করা ।

 ব্যাখ্যা : পিকেটিং এর উদ্দেশ্য ছিল সস্তার বিলেতি পণ্য জোগান দেওয়া ।

উ : ব্যাখ্যা  : পিকেটিং এর উদ্দেশ্য ছিল বিলেতি পণ্য বিক্রি বন্ধ করা । 

32. বিবৃতি : সরলাদেবী চৌধুরানী লক্ষ্মার ভান্ডার স্থাপন করেন ।

ব্যাখ্যা : লক্ষ্মীপুজোর আয়োজন করা তাঁর উদ্দেশ্য ছিল । 

ব্যাখা : স্বদেশী জিনিসপত্রের ব্যবহার বাড়ানোই তাঁর উদ্দেশ্য । 

ব্যাখ্যা  : দরিদ্রদের দান করাই তাঁর উদ্দেশ্য ছিল । 

উ : ব্যাখা : স্বদেশী জিনিসপত্রের ব্যবহার বাড়ানোই তাঁর উদ্দেশ্য । 

33. বিবৃতি : ' আজাদ হিন্দ ফৌজের নারী বাহিনীর নাম রাখা হয়েছিল ঝাঁসির রানি ব্রিগেড । 

ব্যাখ্যা  : ঝাঁসির রানী লক্ষ্মীবাঈয়ের লড়াকু মনোভাবকে স্মরণে রাখতে । 

ব্যাখ্যা :ঝাঁসির রানী লক্ষ্মীবাঈকে শ্রদ্ধা জানাতে ।

 ব্যাখ্যা : লক্ষ্মীবাঈ সহ দেশীয় রাজন্যবর্গকে সম্মান জানাতে ।

উ: ব্যাখ্যা  : ঝাঁসির রানী লক্ষ্মীবাঈয়ের লড়াকু মনোভাবকে স্মরণে রাখতে । 

34.  বিবৃতি : ব্রিটিশরা মুদ্রণ শিল্পের বিকাশের চেষ্টা করেছিল- 

ব্যাখ্যাঃ  ভারতীয়দের শিক্ষিত করতে চেয়েছিল । 

ব্যাখ্যাঃ  ভারতীয়দের মধ্যে খ্রিষ্টানধর্ম প্রচার করতে চেয়েছিল । 

ব্যাখ্যা : ভারতবর্ষ সম্পর্কে তথ্য জানা ও কোম্পানীর কর্মচারীদের তা জানানোর জন্য ।

উ: ব্যাখ্যা : ভারতবর্ষ সম্পর্কে তথ্য জানা ও কোম্পানীর কর্মচারীদের তা জানানোর জন্য ।

35. বিবৃতি : জেমস লঙ সাহেবের জেল ও জরিমানা হয়েছিল । 

ব্যাখ্যা : তিনি সরকারি অফিসের নথি চুরি করেছিলেন । 

ব্যাখ্যা : তিনি ' নীলদর্পণ ' নাটক ইংরাজিতে প্রকাশ করেছিলেন । 

ব্যাখ্যা : তিনি ব্রিটিশ কর্মচারীকে হত্যা করেছিলেন ।

উ : ব্যাখ্যা : তিনি ' নীলদর্পণ ' নাটক ইংরাজিতে প্রকাশ করেছিলেন । 

36.  বিবৃতি : ভারত ছাড়ো আন্দোলনের সময়ে ঊষা মেহতা কংগ্রেসের ' বেতার কেন্দ্র ' স্থাপন করেন । 

ব্যাখ্যা: স্বাধীনতার বাণী প্রচার ও আন্দোলন সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য সরবরাহ করায় ছিল এর উদ্দেশ্যে ।

ব্যাখ্যা:  দেশ - বিদেশে আন্দোলনের সংবাদ প্রচার করা । 

ব্যাখ্যা: দেশবাসীর সহানুভূতি ও সমর্থন আদায় করা । 

উ: ব্যাখ্যা: স্বাধীনতার বাণী প্রচার ও আন্দোলন সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য সরবরাহ করায় ছিল এর উদ্দেশ্যে ।

37. বিবৃতি : ১৯৪৬ খ্রীঃ ১২ ফেব্রুয়ারী রসিদ আলি দিবস ' পালিত হয় । 

ব্যাখ্যা : হিন্দু - মুসলিম ঐক্য স্থাপন করার জন্য । 

ব্যাখ্যা:  ক্যাপ্টেন রসিদ আলির সশ্রম কারাদণ্ডের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে । 

ব্যাখ্যা :  মন্ত্রী মিশনের প্রস্তাবের বিরোধীতা করতে । 

উ : ব্যাখ্যা:  ক্যাপ্টেন রসিদ আলির সশ্রম কারাদণ্ডের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে । 


Monday, January 15, 2024

বাচ্য Bacchya

 বাচ্য

বাচ্য হল বাক্যের মধ্যে ক্রিয়ার ( সমাপিকা ক্রিয়া ) প্রকাশভঙ্গিমার একটা বিশেষ রূপ । বাক্য মধ্যস্থ সমাপিকা ক্রিয়ার সঙ্গে কর্তা অথবা কর্মের সম্বন্ধ প্রকাশ করতে গিয়ে বাক্যগত প্রকাশভঙ্গিমাৰ যে রুপভেদ দেখা যায় তাকে বলে বাচ্য । 

বাচ্যের শ্রেণিবিভাগ বাংলা বাক্যের প্রকাশভঙ্গিমার রূপভেদের ভিত্তিতে বাচাকে চার ভাগে ভাগ করা যায়— কর্তৃবাচ্য , কর্মবাচ্য ভাববাচ্য ও কর্মকর্তৃবাচ্য ।

কর্তৃবাচ্য :-  যে বাক্যে সমাপিকা ক্রিয়ার সঙ্গে কর্তার অন্বয় স্পষ্ট হয়ে ওঠে অর্থাৎ কর্তার প্রাধান্য থাকে এবং ক্রিয়া কর্তার পুরুষের অনুগামী হয় তাকে বলে কর্তৃবাচ্য । যেমন— আমরা নিয়মিত খেলা করি । গীতা গান ভালোবাসে ।

কর্মবাচ্য : যে বাক্যে কর্মই প্রধান এবং ক্রিয়াপদ কর্মের পুরুষ অনুসারে গঠিত হয় তাকে বলে কর্মবাচ্য কর্তারূপী কর্মে প্রধানত শূন্যবিভক্তি হয় , প্রকৃত কর্তা গৌণভাবে অবস্থান করে অর্থাৎ ' র ' বা ' এর ' বিভক্তিযুক্ত হয় এবং এর পরে — ‘ দ্বারা ’ , ‘ দিয়া , “ দিয়ে ’ , ‘ কর্তৃক ' প্রভৃতি অনুসর্গ বসে । 

ভাববাচ্য :-  যে বাক্যে ক্রিয়াপদ নিজেই প্রধান হয়ে বাক্যের ভঙ্গি নির্ধারণ করে অর্থাৎ ক্রিয়ার ভাবই প্রাধান্য পায় , ক্রিয়া অকর্মক হয় এবং কর্তার সঙ্গে ক্রিয়ার অন্বয় হয় না , তাকে বলে ভাববাচ্য । ভাববাচো ক্রিয়া প্রায় সময়ই ' হ ধাতুযুক্ত হয় এবং প্রথমপুরুষের একবচন হয় ।

কর্মকর্তৃবাচ্য :- কর্তাবিহীন যে বাক্যে কর্মই কর্তার আসনে বসে কর্তা রূপে ক্রিয়ার সঙ্গে অন্বিত হয় । তাকে বলে কর্মকর্তৃবাচ্য । যেমন— গাড়ি চলে , ঘণ্টা বাজে , শঙ্খ বাজে , বাঁশি বাজে ইত্যাদি ।

■কর্তৃবাচ্য : মা রান্না করেছেন । 

কর্মবাচ্য : মায়ের রান্না করা হয়েছে । / মায়ের দ্বারা রান্না করা হয়েছে ।

 ■ কর্তৃবাচ্য : রাম রাবণকে নিহত করেন । 

কর্মবাচ্য : রাম কর্তৃক রাবণ নিহত হন । 

■ কর্তৃবাচ্য : বিভূতিভূষণ ' পথের পাঁচালী ' রচনা করেন । 

কর্মবাচ্য : বিভূতিভূষণ কর্তৃক ' পথের পাঁচালী ' রচিত হয় । 

■ কর্তৃবাচ্য : মশাই , যাবেন কোথায় ? 

ভাববাচ্য : মশাইয়ের কোথায় যাওয়া হবে ? 

■কর্তৃবাচ্য : কী করিতেছ ?

 ভাববাচ্য : কী করা হইতেছে ?

 ■ কর্তৃবাচ্য : আমি খাইব না ।

 ভাববাচ্য : আমার খাওয়া হইবে না

চন্দ্রযান 3 Chandrajan 3

 চন্দ্রযান 3 / রচনা চন্দ্রযান -3 /চন্দ্রযান -3 অভিযানে ইসরোর বিজ্ঞানের ভূমিকা/চাঁদের দেশে ভারত

ভূমিকা- আদিম মানুষ যখন বনজঙ্গলে থাকতো তখন থেকেই প্রকৃতিকে চিনতে শিখেছিল‌।প্রকৃতিকে বশে আনার জন্য তারা নিত্য নতুন কিছু আবিষ্কারের কথা ভাবত। সে ভাবনা আজও শেষ নেই। এই বর্তমান বিজ্ঞানের যুগেও তাই বিজ্ঞানীরা নিরলস পরিশ্রম করে অজানাকে জানার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। বিশ্বের মহাকাশ গবেষণাগার "নাসা" নতুন নতুন তথ্য এনে দিচ্ছে। বিশ্ব সৃষ্টি আদি কথা জানার জন্য গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছে। ভারতের মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র 'ইসরো' আজ পৃথিবীর বুকে পরিচিত লাভ করেছে। পূর্ণিমা রাতে গোল চাঁদকে দেখে ঠাকুমারা  তাদের নাতি নাতনিকে চাঁদ দেখিয়ে বলতো "আয় আয়  চাঁদ মামা টিপ দিয়ে যা"।  তখন হয়তো কেউ ভাবতে পারিনি। ওই চাঁদ মামার মাটিতে কেউ পৌঁছাতে পারবে। ইসরোর বিজ্ঞানীরা নিরলস পরিশ্রম করে আজ ভারতকে অনেক উঁচু জায়গায় পৌঁছে দিয়েছে । ভারতের দ্বিতীয় মিশনের চরম ব্যর্থতা মাথায় নিয়ে তৃতীয়বারের জন্য সফল হয়েছে। এটা শুধু ভারতেই গৌরব নয়, সারা পৃথিবীর গৌরব হয়ে ইতিহাসের খাতায় নতুন করে নাম লিখিয়েছে ভারত।

চন্দ্রযান 3 কী?

চন্দ্রযান 3 ভারতের এমন একটি উচ্চাভিলাষী মিশন যা চাঁদের পৃষ্ঠের সাথে সম্পর্কিত অনেক তথ্য পাবে। এই মিশনের সমস্ত কৃতিত্ব ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থার (ইসরো) কাছে যায়। চন্দ্রযান 3 এর মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ মিশন 14 জুলাই 2023-এ ISRO দ্বারা চালু করা হয়েছিল। এই মিশনের মূল উদ্দেশ্য ছিল কীভাবে চন্দ্রযান সফলভাবে চাঁদের দক্ষিণ মেরু পৃষ্ঠে অবতরণ করবে। লঞ্চ এবং অবতরণের মধ্যে 40 দিন সময় ছিল। এই চন্দ্রযান 3 তৈরিতে সম্পূর্ণরূপে ভারতীয় প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। এই মিশনকে সফল করতে ইসরোর বিজ্ঞানীরা দিনরাত পরিশ্রম করছিলেন। 

বৈশিষ্ট্য: 

চন্দ্রযান-৩ এর সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য হল এটি চাঁদের দক্ষিণ মেরু অংশে অবতরণ করেছে।

চন্দ্রযান 3 চাঁদে জল এবং বরফের পরিমাণ সম্পর্কে আমাদের তথ্য দেবে।

চন্দ্রযান 3 চাঁদে কতটা প্রাকৃতিক উপাদান এবং খনিজ পাওয়া যায় তা জানতেও আমাদের সাহায্য করবে।

চন্দ্রযান 3 তৈরি করার সময়, ভারত কোনওভাবেই বিদেশী প্রযুক্তির আশ্রয় নেয়নি। বরং বিজ্ঞানীরা সম্পূর্ণরূপে দেশীয় প্রযুক্তির আশ্রয় নিয়েছেন।

চাঁদে কত ধরনের প্রাকৃতিক গ্যাস মজুত আছে তাও খুঁজে বের করবে এই যান।

চাঁদের পৃষ্ঠের গঠন কেমন তা দেখতে চন্দ্রযান 3 বিজ্ঞানীদের কাছে ছবি পাঠাবে।

এই যানটি চাঁদে পৃথিবীর মতো পশু-পাখির বাস আছে কিনা তাও তদন্ত করবে।

যাত্রা শুরুর সময়কাল:- 

২০২৩ সাল ১৪ই জুলাই দুপুর ২ বেজে ৩৫ মিনিটে শ্রী হরি কোটার  সতীশ ধাওয়ান সেন্টার থেকে LVM মার্ক -৩ রকেটের পিঠে চড়ে মহাকাশে পাড়ি দিয়েছিল । ৪২ দিনের সময় ধার্য করে এগিয়ে যায় চন্দ্রযান -৩। লক্ষ্য ছিল চাঁদের দক্ষিণ মেরু তে অবতরণ। ৭০ ডিগ্রি দ্রাঘিমাংশ।  সফল হল ২৩ আগস্ট সন্ধ্যা ছটা বেজে চার মিনিটে। ইতিহাসের খাতায় নাম স্বর্ণাক্ষরে লিখে রাখল ভারত। এর আগে চীন চাঁদের মাটিতে যান পাঠিয়েছিল । তবে দক্ষিণ মেরুতে নয় । ভারতের চন্দ্রযান দক্ষিণ মেরু জয় করে বিশ্বের এক নম্বর স্থানে জায়গা দখল করে নিল।

চন্দ্রযান-৩ গঠন:-

 চন্দ্রযান-৩ এর ল্যান্ডারের নাম বিক্রম এবং রোভারের নাম প্রজ্ঞান। এর ওজন ৩৯০০ কেজি। প্রায় চার টনের কাছাকাছি। রোভারের ছিল ছয়টি পা। পা গুলি ছিল খুব শক্তপোক্ত ১০° অ্যাঙ্গেলে বেঁকে গেলেও বিক্রম ঠিকমতো ল্যান্ড করতে পারত। সেভাবেই এটাকে তৈরি করা হয়েছিল। বিক্রমের মাথায় রাখা হয়েছিল ভারতের পতাকা।রোভার ওজন ছিল ২৬ কেজি। 

ইসরোর বিজ্ঞানী ভূমিকা:- 

তৃতীয় চন্দ্র অভিযানের নেতৃত্ব দেন "রকেট ওম্যান"ঋতু ক্যারিধান শ্রীবাস্তব।চন্দ্রজান টু ব্যর্থ হওয়ার পর তার ব্যর্থতা থেকে শিক্ষা নিয়ে ইসরোর বিজ্ঞানীরা দিনরাত পরিশ্রম করে খুব অল্প সময়ের মধ্যেই চন্দ্রযান-৩  মিশন এর কাজ শুরু করেন। সফলতাও পান।

ভারতবাসীর আবেগ:- ২০১৯ সালে চন্দ্রযান  টু অভিযান শেষ মুহূর্তে ব্যর্থ হওয়ায় মানুষের মন হতাশ হয়ে পড়ে গিয়েছিল‌। আর সেই হতাশা কাটিয়ে ওঠার জন্য ২৩ তারিখ সকাল থেকে দিনভর উত্তেজনা ,উদ্দীপনা অবস্থায় টিভির পর্দায় চোখ রেখে দেখতে পাচ্ছিল চন্দ্রযান-৩  অবতরণের সময় কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গেছে। চন্দ্রযান পাঠানো ছবিগুলো বারবার টিভিতে দেখানো হচ্ছেছিল ।বিভিন্ন মন্দিরে মন্দিরে গঙ্গার ঘাটে ঘাটে , বিভিন্ন তীর্থস্থানে চন্দ্রযান শুভকামনা পূজা দিতে মানুষকে দেখা গেছে। 

ভারতের গবেষণা কেন্দ্র ইসরো থেকে বৈকাল ৫টা ২০ থেকে লাইভ টেলিকাস্ট লেখাতে শুরু করেছিল । মানুষ দেখেছিল অভাবনীয়  দৃশ্য।চাঁদের বুকে পা রাখতে বিক্রমে ১৫ মিনিট সময় ধার্য করা হয়েছিল। শেষ ১৮ মিনিট খুব চ্যালেঞ্জের মুখে ছিল বিক্রম। অবশেষে সেই সময় এসে গেল । চন্দ্রযান,-৩ পাখির পালকের মত ভাসতে ভাসতে চাঁদের মাটিতে নেমেছিল। সঙ্গে সঙ্গে ভারতবাসী উৎসবের আনন্দে  মেতে উঠেছিল।

উপসংহার :-বিজ্ঞানের মানুষের কাছে অনেক আশীর্বাদ হয়ে দাঁড়িয়েছে মানুষ মঙ্গল গ্রহে যান পাঠাচ্ছে। চাঁদের মাটিতে জান পাঠাচ্ছে একদিন হয়তো মানুষ মহাকাশে কৃত্রিম  স্টেশন তৈরি করবে, পৃথিবী অনেক এগিয়ে যাবে পৃথিবী কিভাবে সৃষ্টি হয়েছে জানার জন্য মানুষ আজ উদগ্রীব হয়ে উঠেছে একদিন হয়তো তা সত্যটা আসল বার করে ফেলবে। বিজ্ঞানের হবে জয়জয়কার।

Wednesday, January 10, 2024

Biography

 Biography 


Rules:-


1. Many great men/women were born in our country, but ব্যাক্তির নাম  was a great man/ woman of all them.

2. His/Her original name was আসল নাম.

3. He/She was born on জন্ম তারিখ in জন্ম সাল  in জন্ম স্থান. 

4. His/Her father name was বাবার নাম and mother name was মায়ের নাম. 

5. He/She took his/her early education from প্রাথমিক স্কুলের নাম .

6. He/She passed ডিগ্রির নাম  in সাল .

7. He/She became যে পদ পেয়েছেন in সাল .

8. He/She joined যে দলে যোগ দেন  in সাল . 

9. He/She wrote many books like বই , বই, বই etc.

10. He/She established যে প্রতিষ্ঠান তৈরি করেন at স্থান in সাল .

11. Lastly he/she passed away on মৃত্যুর তারিখ in মৃত্যুর সাল  in মৃত্যুর স্থান .



>> Write a paragraph on Iswarchandra Vidyasagar in about 100 words . The following points will help you .


 Date of birth - 26th September , 1820 at Birsingha in Midnapore . Father Thakurdas Bandyopadhyay , mother - Bhagabati Devi , Primary Education - village Pathshala ; Higher education Sanskrit College in Kolkata ; Activities - joined Fort William College as professor - later joined Sanskrit College - became Principal - established Metropolitan Institution - took leading part in spreading education especially in rural areas and for females - wrote " Barno Parichaya " , " Bodhoday " etc - Social reformer - faught against early marriage and introduced Act for Hindu widow Remarriage Death , 29th July , 1891 .


Ans:-  ISWARCHANDRA VIDYASAGAR

 Many great men were born in our country, but Iswarchandra Vidyasagar   was a great man of all them. His original name was Iswarchandra Bandhyopadhyay.He was born on 26th September in 1820  in Birsingha in Midnapore.  His  father name was Thakurdas Bandyopadhyay  and mother name was Bhagabati Devi . He took his  early education from village pathsala.  He passed Higher education Sanskrit College in Kolkata.He  became Principal. He  joined  Fort William College as professor. . He wrote many books like  " Barno Parichaya " , " Bodhoday "  etc. Lastly he  passed away on 29th July  in 1891.

PARAGRAPH WRITTING

 PARAGRAPH WRITTING

 COMPUTER 

Computer is a miracle of modern science . Charles Babbage is called the Father of modern computer . A computer can work very fast : It has many benefits .   It is used in educational institutions , industries , research laboratories , Government departments , offices , hospitals and so on . It has taken an important role in space research . In a word , computers have almost replaced human brains . In India also computers are gradually being introduced in different fields of activity .


  MY AIM IN LIFE 

Every man has an aim in life . An aimless  life is like a rudderless ship . I want to be a teacher . It is a noble profession . The teachers are the backbone  of the society  . He is actually a friend , philosopher and guide to the students . Only ideal teachers can build an ideal nation . A teacher is always respected by all . But for that I have to work hard . If I can achieve my dream , I shall try to set examples before my students .


SCIENCE IN DAILY LIFE 


Modern age is the age of science . We depend on science in every steps our life . Our day starts with a cup of tea or coffee , and it is science that provides us with this drink . The newspaper , which fulfils  our hunger for information , is the product of science . Electric lights and fans , cookers  , refrigerators , air - conditioners, telephones , televisions and many other things make our life comfortable. Nowadays we cannot think of our daily life without the use of computer . Computers are widely used in banks , offices and shopping malls .


MOBILE PHONE 


Mobile phone is one of the greatest  invention of the science . The mobile phone has changed the communication  system . Letter posting is now history . Telegraph / Telegram is now died . The mobile phone is the best medium of communication . This is also in almost all- hands , from a business man to a young school girl . Beside the communication a mobile phone is using as a camera , MP3 / MP4 player , phone book , calculater , clock , calender , torch , internet browser and so on . There can be no denial of the necessity of the cell phone . But all is not gold here . A few selfish  persons and criminals are using the mobile phone to fulfil their target . So , proper caution is needed in the use of phone.


MAN AND TREE / IMPORTANT OF TREES


 Tree is our best friend . Tree provides  us everything but we are destroying them day by day . Food , shelter  and garments  are three basic needs which are get easily supplied by the trees.Pollution  can be controlled for the trees . Tree gives us medicine , food etc. But they are vanishing  to build up houses . For industrilization trees are destroying . Soil erosion, unusual flood , ecological disbalance etc. are causing for deforestation . Global warming is also causing for it . 

Wednesday, January 3, 2024

Tense

 * Tense (কাল ) কী ? 

Tense denotes the time of performing a verb . [ ক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার সময়কে Tense বলে । ] আরো সহজভাবে বললে, কোনো  Verb এর কাজ কখন সংঘটিত  হয়, হয়েছিল বা হবে বুঝানোর জন্য Verb যে ভিন্ন ভিন্ন রূপ হয় তাকে Tense বলে। 

* ইংরেজিতে Tense প্রধানত তিনটি ।

a)  Present Tense [ বর্তমান কাল ] 

b) Past Tense [ অতীত কাল ] 

c) Future Tense [ ভবিষ্যৎ কাল ]


1. Present Tense বা বর্তমান কাল

যে কাজ বর্তমান সময়কে নির্দেশ করে তখন তাকে Present Tense বলে।

যেমন :-                                  I go to school.

He is going to school.

We are going to school.

Rahim is driving a car.

Present Tense কে আবার চার ভাগে ভাগ করা হয়েছে:

Present Indefinite Tense

Present Continuous Tense

Present Perfect Tense

Present Perfect Continuous Tense

১. Present Indefinite Tense: বর্তমানে যে কাজ হয়ে থাকে, কিন্তু কাজটির সমাপ্তি বা অসমাপ্তি কোনোটাই নির্দেশ করে না অর্থাৎ অনির্দিষ্ট থাকে তখন তাকে Present Indefinite Tense বলা হয়। আরো সহজ ভাবে বললে, বর্তমানের কোনো কাজ, ঘটনা, চিরন্তন সত্য, নিকট ভবিষ্যৎ, অভ্যাস বা প্রকৃতি বুঝালে তখন তাকে Present Indefinite Tense বলা হয়।

Structure:

Affirmative Sentence:. 

   Sub +V¹+ Obj

He/She/Ram +(V+es/s) Obj

Negative Sentence:

 Sub + do/does + not + Verb¹ + Obj


যেমন:

I write. Rahim drives. I do not write. Rahim does not Drive. The sun sets in the west.  The sun rises in the east.

২. Present Continuous Tense: কোনো কাজ বর্তমানে চলছে বা হচ্ছে, এখনো শেষ হয়নি এরূপ বুঝালে Verb এর Present Continuous Tense হয়।

Structure:

Affirmative Sentence:

 Sub + am/is/are + (Verb+ing) + Extension.

Negative Sentence: 

Sub + am/ is/ are + not +( Verb+ing).+ Extension.


যেমন: I am going to school. Karim is going to school. I’m not going to school. He is not going to school. Karim is driving a car. Rahima is singing a song.

৩. Present Perfect Tense: কোনো কাজ এইমাত্র শেষ হয়েছে, কিন্তু তার ফলাফল এখনও বিদ্যমান, এরূপ বুঝালে তাকে Present Perfect Tense বলে।

Structure:

Affirmative Sentence: Sub + have/ has + V³ + Extension.

Negative Sentence: Sub + have not/ has not + V³ + Extension.


যেমন: Karim has finished the work. I have read this story many times. Karim has not finished the work. They have not written.

৪. Present Perfect Continuous Tense: যে কাজ পূর্বে বা অতীতকালে শুরু হয়ে বর্তমানেও চলছে, এরুপ বুঝালে তাকে Present Perfect Continuous Tense বলা হয়।

Structure: Sub  + has been/ have been + (Verb+ing) + Extension.


যেমন: Karim has been waiting for 2 hours. Rahima has been sleeping for 4 hours. How long have you been living in this town? I have been learning English since I was twelve.

2. PAST TENSE (অতীত কাল)

যে কাজ অতীত সময়কে নির্দেশ করে তখন তাকে Past Tense বা অতীত কাল বলে।

Past Tense কে আবার চার ভাগে ভাগ করা হয়েছে:

Past Indefinite Tense

Past Continuous Tense

Past Perfect Tense

Past Perfect Continuous Tense

১. Past Indefinite Tense: কোনো কাজ অতীতকলে সম্পন্ন হয়েছিলো এরুপ বুঝালে তখন তাকে Past Indefinite Tense বলা হয়।

Structure:

Affirmative Sentence: 

Sub + V²+ Extension.

Negative SEntence: 

Sub + did not + V¹ + Extension.


যেমন: Rahim went to school. Kabir wrote this story. They did not go to school. The man died yesterday. Kohinoor went to Mexico last year.

২. Past Continuous Tense: অতীতকালে কোনো কাজ চলছিলো এরুপ বুঝালে তখন তাকে Past Continuous Tense বলে।

Structure:

Affirmative Sentence: 

Sub + was / were +(Verb+ing)+ Extension.

Negative Sentence: 

Sub + was not / were not + (Verb+ing)+ Extension.


যেমন: I was going to school. Shamim was watching Television. We were not going to work. She was not driving the car.

৩. Past Perfect Tense: অতীতে দুইটি কাজ সংঘটিত হলে, যে কাজটি পূর্বে বা আগে সংঘটিত হয়েছিল সেটি Verb এর Past Perfect Tense হয়, আর যে কাজটি পরে সংঘটিত হয় সেটি Past Indefinite Tense হয়।

Structure:

Subject + had + V³+ before + Subject + V²

Subject +V²+ After + Subject + had + V³


যেমন: I had bought a watch before you came here. Karim had reached the station before the train left. I reached the station after the train had left. The patient had died before the doctor came. The patient died after the doctor had come.

৪. Past Perfect Continuous Tense: অতীতকালে কোনো কাজ শুরু হয়ে কিছুক্ষণ যাবৎ চলছিল এরূপ বুঝালে তখন তাকে Past Perfect Continuous Tense বলে। যদি Past Perfect Continuous Tense এ দুটি কাজের উল্লেখ তাকে, তাহলে তার মধ্যে যে কাজটি পূর্বে বা আগে থেকে চলছিল সেটি Past Perfect Continuous Tense এ হবে এবং যেটি পরে সম্পন্ন হয় সেটি Past Indefinite Tense হয়।

Structure:

Sub + had been + Verb+ ing + Extension

যেমন: It had been raining since Monday. I had been waiting for two hours. Khadija had been listening to the song for an hour.

3. Future Tense (ভবিষ্যত কাল)

যে কাজ ভবিষ্যত সময়কে নির্দেশ করে তখন তাকে Future Tense বলে।

Future Tense কে আবার চার ভাগে ভাগ করা হয়েছে:

Future Indefinite Tense

Future Continuous Tense

Future Perfect Tense

Future Perfect Continuous Tense

১. Future Indefinite Tense: ভবিষ্যত কালে কোনো কাজ সংঘটিত হবে এরূপ বুঝালে তখন তাকে Future Indefinite Tense বলা হয়।

Structure:

Affirmative Sentence:

 Sub + Shall / Will + V¹+ Extension

Negative Sentence: 

Sub + Shall not / Will not + V¹ + Extension


যেমন: I will come back. We will visit Cox’s Bazar. Rahman shall move to another city. Karim will come to New York tomorrow.

২. Future Continuous Tense: ভবিষ্যতে কোনো কাজ শুরু হয়ে কিছু সময় ধরে চলতে থাকবে, এরূপ বুঝালে তখন তাকে Future Continuous Tense বলা হয়।

Structure:

Affirmative Sentence: 

Sub + Shall be / will be + Verb +ing + Extension

Negative Sentence: 

Sub + Shall not be / Will not be + Verb +ing + Extension


যেমন:  Jannat will be reading a story. We will be playing at this time tomorrow. Salman will be watching TV when I come home.

৩. Future Perfect Tense: ভবিষ্যতকালে কোনো নির্দিষ্ট সময়ে কোনো কাজ সম্পন্ন হয়ে থাকবে, এরূপ বুঝালে তখন তাকে Future Perfect Tense বলা হয়।

Structure: 

Sub + Shall have / Will have + V³+ Extension

যেমন:  Shamim will have come before Kabir comes. I shall have completed the assignment by Sunday. Ayesha will have submitted the letter by tomorrow.

৪. Future Perfect Continuous Tense: ভবিষ্যতকালে দুইটি কাজের মধ্যে যে কাজটি আগে সম্পন্ন হবে এবং দীর্ঘসময় ধরে চলতে থাকবে, এরূপ বুঝালে তখন তাকে Future Perfect Continuous Tense বলা হয়। এবং অপর কাজটি হবে Present Indefinite Tense.


Structure:

 Sub + Shall have been / Will have been +  Verb + ing + Extension.


যেমন:  We shall have been waiting for two hours. Robin will have been waiting before Shakib comes. Karim will have been exercising for an hour at 2:00.


সমীক্ষা- শীতলকুচি কলেজ

 স্থানীয় ইতিহাস চর্চার সন্ধানে ক্ষেত্র সমীক্ষা- 2022(শীতলকুচি ব্লক):

প্রসঙ্গ বিদ্যালয়

তত্বাবধায়ক:ইতিহাস বিভাগ, শীতলকুচি কলেজ, কোচবিহার


ছাত্র-ছাত্রী/সমীক্ষকের নাম- 

ক্লাস:- বি.এ(সান্মানিক), সেমেস্টার:- চতুর্থ, রেজিস্ট্রেশন নং:- 

১। বিদ্যালয়ের নাম:- মহেন্দ্রবর্মন সুখধনের কুঠি ৫ম পরিঃ প্রাঃ বিদ্যালয়,   স্থাপনের সাল-2006

১.১। গ্রাম:- ছোট গদাইখোড়া, গ্রাম পঞ্চায়েত :- ছোট শালবাড়ী

২। ভূমিদাতার নাম:- মহেন্দ্র বর্মন।

২.১। জাতি:- তপশিলি।

২.২। জন্মসূত্রে:- ভারতীয়।

২.৩। ভূমিদানের সাল:- 2006, মোট ভূমির পরিমাণ :- 52 শতক।

৩। বিদ্যালয় স্থাপনে অর্থদাতার নাম:- মহেন্দ্র বর্মন।

৩.১। মোট অর্থের পরিমাণ :- 40 হাজার, জন্মসূত্রে-ভারতীয়

৩.২। জাতি:- তপশিলি

৪। বিদ্যালয় স্থাপন কালে কতজন শিক্ষক/শিক্ষিকা ছিলেন :- 1 জন।

৪.১। জন্মসূত্রে ভারতীয় হলে তাদের নাম:-সত্যেন্দ্র নাথ বর্মন।

৫। বিদ্যালয় স্থাপন কালে মোট ছাত্রছাত্রী সংখ্যা :-  62

৬। বিদ্যালয়ের বর্তমান শিক্ষক শিক্ষিকা সংখ্যা :- 2, পুরুষ -2, মহিলা -0, মোট- 2





৭। বিদ্যালয়ের বতর্মান ছাত্রছাত্রী সংখ্যা বালক- 26 বালিকা -24 মোট- 50

৮। বিদ্যালয়ের নামকরণের ইতিহাস 

স্থানীয় ব্যক্তিবর্গের মতে, শ্রদ্ধেয় মহেন্দ্র বর্মন 2006 সালে বিদ্যালয় স্থাপনের জন্য 26 শতক জমি দান করেছিলেন। সেই জমি সংলগ্ন আরো 26 শতক জমি কিনে নিয়ে বিদ্যালয়ের জন্য দান করেছিলেন। 2006 সালে মাত্র একজন শিক্ষকের তত্বাবধানে বিদ্যালয়টি চালু হয়েছিল। মহেন্দ্র বর্মনের পুত্র ললিত চন্দ্র বর্মন জানিয়েছেন, তার পিতা একজন শিক্ষানুরাগী ব্যক্তি ছিলেন। তাই 52 শতক জমি ও প্রয়োজনীয়  অর্থ দান করেছিলেন। ভূমিদাতা মহেন্দ্র বর্মনের নাম অনুসারে বিদ্যালয়ের নামকরণ করা হয়েছিল 'মহেন্দ্র বর্মন সুখধনের কুঠি ৫ম পরিঃ প্রাথমিক বিদালয়'।

৯। বিদ্যালয়ের স্মরনীয় ঘটনা

বিদ্যালয়ের বর্তমান শিক্ষকগন ও স্থানীয় ব্যক্তিবর্গের কাছে জিজ্ঞাসাবাদ করে তেমন কোন স্মরনীয় ঘটনার কথা জানা যায় নি।

১০। বিদ্যালয়ের কৃতি ছাত্র-ছাত্রীর নাম

সঞ্চিতা বর্মন, কলেজ ছাত্রী।

উৎপল বর্মন, যুব নেতা।

১১। তথ্য প্রদানকারীর স্বাক্ষর  তারিখ   বয়স   পেশা   ঠিকানা 

১১.১।

১১.২।

১১.৩।










সমীক্ষাকৃত বিদ্যালয়ের ছবি








            04.05.22                                                                                   তত্বাবধায়কের স্বাক্ষর

সমীক্ষকের স্বাক্ষর (তারিখ সহ)                                                      ইতিহাস বিভাগ, শীতলকুচি কলেজ


CHOLA NAVAL EXPEDITION

 CHOLA NAVAL EXPEDITION

Good morning, I am Swapan Kumar Ray. Today I am discussing about the Chola Naval Expeditions. 

INTRODUCTION : 

The emergence of the Cholas as a major power in South India is notable for two reasons , One is their naval expedition and the other is the implementation of the local self - government system . Here we know about chola naval expedition . From the day of Rajaraja to Kulotunga -I. There naval expedition was continued around 135 years . During this time they made Bay of Bengal as a Chola lake by their activity .

Firstly we take a look at the map of Chola dynasty. We know, 

In the middle of the 9th century AD, Vijayalaya Chola founded the  Chola dynasty  in south India. 

After him, Aditya I defeated Pallava king Aparajita Varman and got the control over the Pallava kingdom.  

The next king  Parastaka-I  captured  the Pandya kingdom and  expanded the Chola kingdom up to Kanyakumari.

 Thus  the small Chola kingdom turned into an empire. Here we know about their Naval Expedition and the motives behind the expedition.

Rajaraja ( 985-1018 ) : 

The chola naval expedition was started by Rajaraja ( 985-1014 ) . He was the first who introduced a strong naval army. 

The Buddhist literature Dipavamsa and Mahavamsa showed that , in a campaign , Rajaraja overrun the northern part of Ceylon ( Simhal ) . He forced Mahendra V , to take refuge in the hill country in the south east of the island . Rajaraja wanted  to control  the trade with the south east Asian countries.

Later Rajaraja destroyed Anuradhapur ( the capital of Ceylon ) and established his capital at Polonnaruva . 

towards the end of his reign , Rajendra is credited with the conquest of 12000 islands in the Maldive islands , by a successful maritime operation . The Coromandal coast and Maldives were the centre for india trade with the south - east Asian countries . 

Rajendra ( 1012-1044 ) :

Ceylon : - 

Rajendra invaded Cylon and completed the conquest of the island began by his father . 

Ceylon became a mandalam or province of chola empire . Mahendra V was taken prisoner and transported to the Chola country where he died twelve years later . 

There after Mahendra V's son kassapa became the center of Ceylon resistance against the Chola . After war of six months  he made himself king of Rohana , the southern half of the island . He ruled as Vikrambahu I for twelve years from 1029 . 

Gangaikondachola :-

One of the most remarkable exploits in the reign of Rajendra I was the march across Kalinga to Bengal , in which the the chola armies crossed the river Ganga , and defeated two local kings . This expedition which was ied by chola took place in 1022 . 

In this case, he wanted to establish his supremacy over the prosperous ports of the eastern subcontinent of India.

 To commemorate this occasion , Rajendra-I assumed the title of Gangaikondachola ( the chola who conquered the Ganga ) . He built a new capital near the Kaveri river and called it Gangaikondacholapuram ( the city of chola who conquered the Ganga).

Srivijay : -

The remarkable expedition  in the time of Rajendra I were against the Sri Vijay empire . The Srivijay empire , which had been revived in the 10th century , extended over the Malay peninsula , Sumatra , Java and the neighboring islands , and controlled the overseas trade route to China . The rulers of the Sailendra dynasty of the Sri Vijay kingdom were Buddhist and had good relation with the Chola . The Sailendra ruler Vijayottungavarman had built a Buddhist vihara at Nagapatam ,  rajendra I gave a village for its upkeep . Later the chola tried to remove obstacles to indian traders and to expand trade with china . 

The expeditions led to the conquest of Kadaram or Kedah and number of the other places in the Malay peninsula and Sumatra .After his navy defeated Sailendra Empire , Vijayatungavarman became prisoner in the hands of Rajendra l.  The chola navy became the strongest in this area , and for some time the Bay of Bengal was converted into a chola lake.

China :-

 The chola rulers also sent a number of embassies to China . these were phartly diplomatic and partly commercial . Chola embassies reached china in 1016 and 1033. According to Chinese account, A chola embassy of 70 merchants reached China in 1077  , received 81800 strings of copper cash , that is more than four lakhs of rupees in return for the articles of tribute , glass ware , rhinoceros horns , ivory etc.

 Later Chola :-

 The next descendants of Rajendra Chola were - Rajadhiraj ( 1044-54 AD ) , Rajendra II ( 1054 '62 AD ) , Bir Rajendra ( 1062-70 AD ) , Adhirajendra ( 1070 AD ) etc.

 During their reign , the Chola expedition was continued mainly against Sri Lanka . From 1058 AD onwards , the Chola kings occasionally sent troops to Sinhalese and often brutally tried to break the rebellion .

 When King Vijayabahu I of Sinhalese tried to attack the Chola rule , Veer Rajendra invaded Sinhalese in 1065 AD . An inscription of Veer Rajendra claims that he defeated Vijayabahu and re established control over the whole of Sinhalese .

 Kulottunga's ( 1070-1120 ) achievement :-

The last powerful king of the main Chola dynasty was Kulottunga I,  ( 1070-1120 AD ) ) During his reign , he did not send any expedition against Sri Lanka . By 1070 AD , Sinhalese was virtually free from Chola rule . 

After 1070 no Chola inscriptions are found in Sinhalese . The independence of Northern Sinhalese is also mentioned in the book ' Mahabamsa ' . 

But the strength of the Chola navy was intact during his reign . The book ' Kalingattupparani ' claims that Kulottunga crossed the open sea and made the ' Kararam ' expedition .

 The emperor maintained diplomatic relations with various kingdoms like Kanauj in north India , Kabboja in Indo - China , and with Vyanzittha rule of Pagan .

Motive behind the expedition : -

There were some confusion behind the motive of the expedition among the historians . A doubt naturally arose as to the nature and purpose of the sea expeditions of the Cholas . 

Ramesh Ch . Majumder , K.G. Krishnan , D. N. Jha said that it is started that the main purpose of the naval expedition by the chola kings was actually political and they want to expand their political control beyond the sea . So it was actually a part of their imperialistic policy or ' Digvijaya '.

 But American historians Burton Stein , George Spencer etc. consider the maritime activities of the Cholas is not imperialistic but also plundering activitie . According to them , the main feature of the Chola regime was the decentralization of authority . The king was at the centre , but revenue collection was done by the local authorities Ure , Sabha , Nattar etc.

 The collection of the revenue and the depositing revenue by the local self government were huge different . But money was needed for administration . Hence the Chola kings were always engaged in collection and the main aim of the maritime expeditions was to collect money . 

reference :-

1. Chandra Satish , History of medieval India , Delhi , orient Blackswan , 2020 . 

2. K.A Nilkanta Sastry, The Cholas(vol- i - ii), Madras, 1955.

journal : 

1. S. Rajagopal , Chola naval expedition from AD 985 to AD 1029 ; A study , 10,2019 .

 2. Gautam P.K , The Cholas , journals of defence studies , vol7,2013 .

Extras:- Dipavamsha and Mahavamsha. Ptolemy's book, Periplous of the eritian sea, Ashokan inscription etc.

----

Shrivijay Expedition:-

Rajendra Chola I the great son of Rajaraja Cholal , [ 40 ] whose next great expedition was against the kingdom of Srivijaya in his 13th regal year . [ 41 ] Which consisted in the despatch of a powerful fleet which crossed the Bay of Bengal . Srivijaya was the powerful maritime state which ruled Malaya , Sumatra , Java , [ 42 ] Cambodia , Thailand , Kalimanthan , ( Modern Borneo ) and Sulawesi ( modern Celebs ) . [ 43 ] He travelled more than 2500 nautical miles from Tamil country ( one side travelling distance ) . But , what type of warships the Chola fleet had is not known but some of the transport ships were so large that they could carry 600 to 700 soldiers while other ships could as much as 100 horses along with their riders and weapons . Rajendra Chola was a great strategist . He had noticed that the Sailendra forces had well organised fleet but had possessed only few horses . So Rajendra Chola had thoughtfully carried a large number of Arabian horses in the various transport ships . He had planned in detail the way ; he was going to fight the war . According to strategy , he first to defeated Sailendra's naval fleet by fighting a series of naval battles in and around Malacca Straits . [ 44 ] He also fought battles on land by using Cholas cavalry which was basically responsible for victory over Sailendra land forces .

----

Establishment:-

Vijayalaya was a feudal lord under Pallavaraja Nripatunga.  On behalf of Pallavaraja, he occupied Tanjo.  His son Aditya also helped Pallavaraja in the battle of Sripurambiam against the Pandavas.  Instead, Pallavaraja, the undefeated Burman, accepted Aditya's rights over Tanjore.  Thus strengthened, he finally defeated the unconquered Varman and took possession of the entire Pallava kingdom.  Gangaraj accepted his supremacy.  Thus he turned the small Chola kingdom into an empire.  The next king I Parastaka reigned for a long time (907-55 AD).  After conquering the Pandya Raj, he expanded the Chola kingdom up to Kanyakumari.  He defeated Rashtrakutaraja Krishna II in the battle of Ballal.  But towards the end of his reign, the Chola dynasty became increasingly weak under incompetent kings for the thirty years before Rashtrakutaraja Krishna Rajaraja III ascended the throne.  After that, the real glory of the Chola dynasty began when Rajaraj sat on the throne.

----

Conquerred areas :-

 Rajendra I also defeated and captured the following places : Pannai ( Sumatra ) , Malaiyur , Mayuridingam , Ilankasoka ( part of Malaya ) , Mapappalam , Mevilimbagam , Valaippanduru , talaikkolam , Madamalingam ( lower Malaya ) , Ilamurudesam ( northern part of Sumatra ) and Kadaram ( capital of Srivijaya ) , Manakkavaram ( old name of Nicobar island ) .



History of North Bengal

 History of North Bengal DSE2

1 . Answer any ten questions from the following : 

( a ) Write the full form of S.R.C. 

উ:- SRC এর পুরো কথা হল States Reorganisation Commission.

( b ) Who was the last Independent king of Cooch Behar State ?

উ:- কোচবিহারের শেষ স্বাধীন রাজা ছিলেন জগদীপেন্দ্র নারায়ন।

 ( e ) What do you mean by " Haluya " in Cooch Behar and Jalpaiguri ?

উ :- কোচবিহার ও জলপাইগুড়িতে Haluya বলতে একধরনের প্রথাগত নাচকে বোঝানো হয়।

 ( d ) In which year Rai Saheb Panchanan Barma was born ?

উ:- বাংলা 1272 সালে 1 লা ফাল্গুন (ইংরেজি 1865 খ্রি: ) পঞ্চানন বর্মা জন্মগ্রহন করেন।

 ( e ) In which year was the Rajbanshi Kshatriya Samiti founded ?

উ:- পঞ্চানন বর্মা রাজবংশীদের জন্য বাংলা 1317 সালে রংপুর জেলায় ক্ষত্রিয় সমিতি তৈরি করেন ।

 ( g) Who wrote the famous book The Rajbanshis of North Bengal " ? 

উ :- চারুচন্দ্র সান্যাল The Rajbanshis of North Bengal  গ্রন্থটি লিখেছেন।

( h ) Who was the founder of Khen Dynasty ? 

উ :- কামতাপুরে খেনবংশের প্রতিষ্ঠাতা হলেন নীলধ্বব্জ। তিনি কামতেশ্বর উপাধী নেন।

(i) When did the Anglo-Koch treaty signed? 

উ :- অ্যাংলো - কোচ সন্ধি স্বাহ্মরিত হয় 1773 খ্রিষ্টাব্দে।

(j) When did the Rangpur Sahitya Parisad establish/found ?

উ:- রংপুর সাহিত্য পরিষদ গঠিত হয় 1905 খ্রিষ্টাব্দে।

(k) Who was the Hubsi ruler who attaked Kamtapur?

উ:- গৌড়ের হাবসি রাজা আলাউদ্দিন হোসেন শাহ কামতাপুর আক্রমন করেন।

(l) Who founded Nabobidhan Brahma Samaj ? 

উ:- কেশবচন্দ্র সেন 1880 খ্রিষ্টাব্দে নববিধান ব্রাহ্মসমাজ প্রতিষ্ঠা করেন।

(m) Who gave the title Brahmananda to Keshab Ch. Sen?

উ:- কেশবচন্দ্র সেনকে ব্রহ্মানন্দ উপাধী দেন দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর।

(n) Who wrote 'The Autobiography of an Indian Princess' / Amrit Bindu / Sishu Keshab ? 

উ :- মহারানী সুনীতি দেবী The Autobiography of an Indian Princess ও অমৃতবিন্দু , শিশু কেশব গ্রন্থগুলি লিখেছেন।

(o) What is the present name of Victoria College ?

উ:- ভিক্টোরিয়া কলেজের বর্তমান নাম এ. বি. এন. শীল কলেজ।

(p) Who was the founder of Cooch Behar dynasty ?

উ :- কোচবিহার রাজবংশের প্রতিষ্ঠাতা হলেন চন্দন।

(q) Who built coochbehar royal palece?

উ:- কোচবিহার রাজ প্রাসাদ গঠন করেন 1817 সালে মহারাজা নৃপেন্দ্র নারায়ন।

(r) What is another name of cooch Behar Royal Palace?

উ:- কোচবিহার রাজ প্রাসাদ ভিক্টর জুবিলি প্যালেস নামেও পরিচিত।

( s) Who destroyed Kamtapur kingdom?

উ :- কামতাপুর রাজ্য ধ্বংস করেন রুকনুদ্দিন বরবক শাহ।

( t) Who was Devi Singh ?

উ :- দেবী সিং ছিলেন রংপুরের একজন অত্যাচারী ইজারাদার।

(u) mention two leaders of Santhal Uprising ?

উ :- সাওতাল বিদ্রোহের দুজন নেতা হলেন সিধু , কানু ,চাদ ও ভৈরব।

(v)mention one leader of Shipoy Mutiny ?

উ :- সিপাহী বিদ্রোহের নেতা মঙ্গল পান্ডে।

( w)mention two leaders of Quit India Movement ?

উ :- ভারত ছাড়ো আন্দোলনের নেতা গান্ধিজী , মাতঙ্গিনী হাজরা।

(x)mention two leaders of North Bengal of Quit India Movement ?

উ :- উওরবঙ্গে ভারত ছাড়ো আন্দোলনের নেতা সুবোধ কুমার মিশ্র , প্রিয়া নিবাসী।

(y) Where did the British company establish their first factory?

উ :- ব্রিটিশ কোম্পানি 1680 খ্রি: মালদায় তাদের প্রথম কারখানা প্রতিষ্ঠা করেন।

(z) Who was Doors Gandhi? 

উ :- ডুয়ার্সের গান্ধি বলা হয় যঞ্জেশ্বর রায়কে।

Q. Write a note on the growth and development of Cinchona Plantation in Darjeeling. [marks-5]

Ans. ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিং-এ সিঙ্কোনা  গাছের চাষ শুরু হয় 19 শতকের মাঝামাঝি।  1862 সালে, ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি দার্জিলিং এর মুংপুতে সরকারি সিঙ্কোনা প্ল্যান্টেশন প্রতিষ্ঠা করে, যাতে সিঙ্কোনা ছাল থেকে ম্যালেরিয়ার ওষুধ কুইনাইন তৈরি করা হয়।  সিনকোনা চাষের প্রবর্তন ম্যালেরিয়া মোকাবেলায় কার্যকরি ভুমিকা নিয়েছিল। 

 বিংশ শতকের গোড়ার দিকে, দার্জিলিংয়ে সিঙ্কোনা  চাষ উল্লেখযোগ্যভাবে সম্প্রসারিত হয়েছিল, হাজার হাজার একর জুড়ে আবাদ করা হয়েছিল।  এই অঞ্চলটি কুইনাইনের একটি প্রধান  উৎপাদন কেন্দ্র  হয়ে উঠেছে, যা বিভিন্ন দেশে ওষুধ সরবরাহ করে।  দার্জিলিং-এ সিঙ্কোনা চাষের সাফল্যের জন্য বেশ কিছু কারণকে দায়ী করা হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে অনুকূল জলবায়ু পরিস্থিতি, দক্ষ শ্রম এবং চাষের কৌশলের অগ্রগতি। এই সময়ের মধ্যে, এই অঞ্চলটি প্রচুর পরিমাণে কুইনাইন উৎপাদন করেছিল, যা বিশ্বব্যাপী ম্যালেরিয়া নিয়ন্ত্রণ প্রচেষ্টায় উল্লেখযোগ্যভাবে অবদান রেখেছিল।  

বর্তমানে, দার্জিলিং-এ সিনকোনা চাষ বেশ কিছু চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন, যার মধ্যে রয়েছে কৃত্রিম ওষুধের প্রতিযোগিতা, বাজারের সীমিত চাহিদা ।  আধুনিক চাষাবাদ পদ্ধতি গ্রহণ, প্রযুক্তির উন্নতি এবং নতুন বাজারের সুযোগ  দার্জিলিংয়ের সিনকোনা শিল্পকে পুনরুজ্জীবিত করার জন্য কাজ করছে।  


Q.  Write a short note on Jitu Santhal of Malda.(মালদার জিতু সাঁওতাল সম্পর্কে একটি ছোট টিকা লেখ।)

উ:-  জিতু সাঁওতাল ছিলেন মালদার একজন বিশিষ্ট ব্যক্তি, সাঁওতাল আদিবাসী সম্প্রদায়ের সাথে যুক্ত একজন নেতা ।  সাঁওতালদের  অধিকার ও কল্যাণের জন্য তিনি আন্দোলন শুরু করেন।  জিতু সাঁওতাল উপজাতীয় সমস্যা সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে ভূমিকা পালন করেছিলেন এবং মালদহের আদিবাসী সম্প্রদায়ের উন্নতির জন্য কাজ করেছিলেন।  তার প্রচেষ্টা সাঁওতাল সম্প্রদায়ের আর্থ-সামাজিক উন্নতি এবং সাংস্কৃতিক সংরক্ষণ সহ বিভিন্ন দিককে অন্তর্ভুক্ত করতে পারে।

তাঁর এবং তাঁর বাহিনী বিষ মাখানো তীর এবং ধনুক ব্যবহার করতো , যাকে বৃটিশ এবং মুসলিম উভয়েই সমীহ করে চলতো । তিনি সাঁওতালদের হিন্দু সমাজের সঙ্গে একাত্ম করে গড়ে তোলার জন্য নিজেকে নিয়োজিত করেন । তাঁকে  সাঁওতাল_গুরু ' বলা হত । উনি মা কালীর পূজার মাধ্যমে সাঁওতাল সমাজকে সংগঠিত করতে শুরু করেন এবং খ্রীষ্টান ধর্মে ধর্মান্তরিত সাঁওতালদের স্বধর্মে ফিরিয়ে আনার কাজ শুরু করেন ।

১৯৩২ সালের ৩ রা ডিসেম্বর আদিনাথের মন্দিরের দখল নেয় জিতুর বাহিনী । অপরপক্ষে ছিল বৃটিশদের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কোতোয়ালির জমিদার আবুল হোসেন খান চৌধুরীর নেতৃত্বে আশপাশের মুসলমানরা । সাঁওতাল বীরদের তিরের সামনে অসহায় হয়ে পড়ে বৃটিশ এবং মুসলমানদের যৌথবাহিনী । তখন সন্ধির প্রস্তাব দেওয়া হয় জিতুকে । সাঁওতাল বাহিনী এই প্রস্তাবে সাড়া দিয়ে মন্দিরের বাইরে বেরিয়ে এলে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে জিতু সর্দারকে এবং তাঁর দুই সহযোদ্ধাকে গুলি করে হত্যা করা হয় ।

Q. Write in short the demographic pattern of North Bengal during Colonial rule.

ঔপনিবেশিক শাসনের সময় উত্তরবঙ্গের জনসংখ্যার বিন্যাস : -

ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা বৃদ্ধি,  নগরায়নের বিকাশ জনসংখ্যার বিন্যাসে বিশেষভাবে প্রভাব বিস্তার করেছিল।

 জনসংখ্যা বৃদ্ধি

 ঔপনিবেশিক আমলে উত্তরবঙ্গ উল্লেখযোগ্য জনসংখ্যা বৃদ্ধি ঘটেছিল।  1872 এবং 1947 সালের মধ্যে এই অঞ্চলের জনসংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে, উন্নত কৃষি পদ্ধতি, মৃত্যুর হার হ্রাস এবং এই অঞ্চলের ক্রমবর্ধমান চা ও পাট শিল্পে সুযোগ , বহিরাগতদের  আগমনের ফলে জনসংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি ঘটে।

 নগরায়ন

 ঔপনিবেশিক যুগে উত্তরবঙ্গে দ্রুতগতিতে নগরায়ন  হয়েছিল ।  দার্জিলিং, শিলিগুড়ি এবং দিনাজপুরের মতো শহরগুলি দ্রুত বিকাশ ঘটেছিল।  চা বাগান প্রতিষ্ঠা, ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার এবং প্রশাসনিক কেন্দ্রগুলির বিকাশ ইত্যাদি কারনে  এই নগরায়নের সুচনা ঘটে।

 ধর্মীয় কারন

 ঔপনিবেশিক আমলে উত্তরবঙ্গের ধর্মীয় গঠনও উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন সাধিত হয়।  হিন্দুধর্মই প্রভাবশালী ধর্ম হিসেবে থাকলেও, মুসলিম জনসংখ্যার উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি ঘটেছে । বিশেষ করে এই অঞ্চলের পূর্বাঞ্চলীয় জেলাগুলোতে।  এটি প্রাথমিকভাবে পূর্ববঙ্গ (বর্তমান বাংলাদেশ) থেকে মুসলমানদের অভিবাসনের কারণে মুসলমানদের জনসংখ্যা বৃদ্ধি হয়েছিল। 

 ঔপনিবেশিক শাসনের প্রভাব

 ঔপনিবেশিক নীতি এবং অর্থনৈতিক পরিবর্তন উত্তরবঙ্গের জনসংখ্যার নিদর্শনগুলির উপর গভীর প্রভাব ফেলেছিল।   রেলপথ এবং রাস্তা নির্মাণের ফলে স্থানান্তর এবং নগরায়ন সহজতর হয়েছে, যখন নতুন কৃষি পদ্ধতি এবং চিকিৎসা হস্তক্ষেপের প্রবর্তন জনসংখ্যা বৃদ্ধির প্রবণতাকে প্রভাবিত করেছে।

গিরিজ জনগোষ্ঠীর হ্রাস : ব্রিটিশ শাসনের পূর্বে উত্তরবঙ্গের জনসংখ্যার একটি উল্লেখযোগ্য অংশ ছিল বিভিন্ন গিরিজ জনগোষ্ঠী । তবে ব্রিটিশদের আগমনের পর বনাঞ্চল দখল , জমিদারি ব্যবস্থা চালু করা এবং নতুন ফসল চাষের প্রবর্তনের ফলে তাদের জীবনযাত্রার উপর ব্যাপক প্রভাব পড়ে । 

 অভিবাসনের বৃদ্ধি : ইজারি পদ্ধতি , এবং অন্যান্য বাণিজ্যিক ফসল চাষের জন্য শ্রমিকের প্রয়োজন বৃদ্ধির ফলে ঔপনিবেশিক শাসনামলে উত্তরবঙ্গে অভিবাসন বৃদ্ধি পায় । প্রধানত বিহার , উড়িষ্যা এবং ছোটনাগপুর থেকে প্রচুর সংখ্যক মানুষ কাজের সন্ধানে উত্তরবঙ্গে আসেন । 

 উপসংহার

 ঔপনিবেশিক শাসনের সময় উত্তরবঙ্গে জনসংখ্যাগত পরিবর্তনগুলি অর্থনৈতিক, সামাজিক এবং রাজনৈতিক কারণগুলির একটি জটিল ইন্টারপ্লে ছিল।  এই পরিবর্তনগুলি এই অঞ্চলের আধুনিক জনসংখ্যাগত ল্যান্ডস্কেপের ভিত্তি স্থাপন করেছে এবং আজও এর আর্থ-সামাজিক উন্নয়নকে প্রভাবিত করছে।